Announcement

Collapse
No announcement yet.

কে আছো মুজাহিদদের সাথে আম্বর খাবে?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কে আছো মুজাহিদদের সাথে আম্বর খাবে?

    কে আছো মুজাহিদদের সাথে আম্বর খাবে?

    হুজুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনশত জন সাহাবার একটি মুজাহিদ গ্রুপকে কুরাইশের বানিজ্যিক কাফেলাদেরকে ধরার জন্য সমুদ্রের উপকূলের দিকে পাঠিয়ে ছিলেন। দীর্ঘ দিন পর্যন্ত মুজাহিদগণ সে কাফেলার অপেক্ষা করলেন তাদের খানা পিনার সব রসদপত্র শেষ হয়ে গেল।

    অতপর তারা অপারগ হয়ে গাছের পাতা খেতে বাধ্য হয়েছিলেন। তাই এ যুদ্ধকে ‘সারিয়ায়ে খাবৃত’ (অর্থাৎ- ঐ সৈনিক দল, যারা গাছের পাতা খেয়েছিলেন) বলা হয়। |

    এ ঘটনাটি স্বয়ং একজন মুজাহিদ হযরত জাবের (রাঃ) বর্ণনা করেন তিনি বলেন- হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরাইশের কাফেলাদের উপর অতর্কিত হামলা করে তাদেরকে ধরে নিয়ে আসার জন্য আমাদেরকে পাঠালেন। হযরত আবু ওবায়দা বিন জাররাহ (রাঃ) কে আমাদের আমীর নিযুক্ত করলেন।

    আর একটি ব্যাগে করে আমাদেরকে সফরের কিছু রসদপত্র দিলেন। আর তা খেজুর ব্যতিত অন্য কিছু ছিলনা।

    আমাদের আমীর আবু ওবায়দা (রাঃ) আমাদেরকে প্রতিদিন মাত্র একটি একটি খেজুর দিতেন। আমাদের প্রত্যেকেই নিজের বন্টনে পড়া খেজুরটিকে ছােট বাচ্চার ন্যায় চোষন করত। এরপর পানি পান করে নিতাম। এবং নিজের খেজুরটি কাপড়ে পেঁচিয়ে রেখে দিত।

    ধীরে ধীরে এ পন্থা ও একদিন শেষ হয়ে গেল। অতপর আমরা অপারগ হয়ে গাছের পাতা খেতে শুরু করেছিলাম। গাছের পাতা ছিড়ে তা পানিতে ভিজিয়ে খেয়ে নিতাম। এর ফলে আমাদের ঠোটগুলাে ফেটে গিয়েছিল। আর আমাদের পায়খানা হত ভেড়া ও বকরীর লেদার ন্যায়।

    একবার আমরা সমুদ্রের কিনারার দিকে গিয়েছিলাম। তখন হঠাৎ একটি বস্তু আমাদের দৃষ্টি আকর্ষন করল। যা দেখতে বড় ধরণের একটি বালুর স্তুপ মনে হচ্ছিল। আমরা যখন তার নিকটে গেলাম, তখন দেখতে পেলাম যে, সমুদ্র তার কিনারায় একটি বড় ধরণের মাছ ফেলে রেখেছে। যাকে মানুষ ‘আম্বর’ বলে আখ্যা দিয়ে থাকে।

    হযরত আবু ওবায়দা (রাঃ) প্রথমে বলেছিলেন যে, এটাতাে মৃত প্রাণী। অতপর কিছুক্ষণ পর বললেন- না- ব্যপারটি এমন নয়। বরং আমরা আল্লাহর রাসূলের প্রেরিত লােক। এবং আল্লাহর পথে জিহাদে লিপ্ত । এবং আমরা অপারগ অবস্থায় আছি। তাই আমাদের জন্য এটা খাওয়া সম্পূর্ণ বৈধ। তাই তােমরা সবাই এ থেকে খাও।

    আমরা তিনশত জন মুজাহিদ ১৫ দিন পর্যন্ত এর গােশত খেয়েছিলাম। এতে আমরা খুব স্বাস্থ্যবান হয়ে গেলাম ।

    আমার খুব ভালভাবে স্বরণ আছে যে, আমরা সে মাছের চোখের গর্ত . হতে বড় বড় মটকা ভরে তৈল বাহির করতাম। এবং আমরা তার দেহ থেকেগরুর গােশতের ন্যায় গােশত কেটে কেটে খেতাম ।

    একবার হযরত আবু ওবায়দা (রাঃ) ১৩ জন মুজাহিদকে সে মাছের চোখের গর্তের ভেতর বসিয়ে দিয়ে ছিলেন। সবাই আরামে বসতে পেরেছিল।��

    একবার তিনি সে মাছের মেরুদন্ডের হাড়টিকে ধনুকের ন্যায় মাটিতে দাড় করালেন। অতপর লম্বা একজন মুজাহিদকে উঁচু ধরণের একটি উটের উপর বসিয়ে দিয়ে সেই মেরুদন্ডের হাড়টির নীচ দিয়ে অতিক্রম হতে বললেন। সে মুজাহিদ খুব সহজেই পার হয়ে গেল। একটু মাথা ঝুকানাের ও প্রয়ােজন হয়নি।

    আমরা তার গােশত হতে শুখিয়ে শুখিয়ে কিছু গােশত আমাদের সহিত নিয়ে এসেছিলাম। আমরা মদীনা শরীফ গিয়ে যখন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে উপস্থিত হলাম তখন সে মাছের কথাও আলােচনা করলাম। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- ইহা আল্লাহর পক্ষ হতে তােমাদের খাদ্য পাঠানাে হয়েছে। তােমাদের নিকট কি অতিরিক্ত কিছু অংশ আছে ? আমরা যা কিছু নিয়ে এসেছিলাম তা থেকে কিছু হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দিলাম। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা থেকে খেলেন!।(বােখারী ও মুসলিম)

    মুজাহিদ ও শহীদদের বিস্ময়কর ঘটনাবলী ---১

    উৎসঃ সংগ্রহীত
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 03-11-2021, 02:40 PM. Reason: লেখকের অনুমতি নিয়ে উৎস সংযোজন
    “দ্বীনের জন্য রক্ত দিতে দৌড়ে বেড়ায় যারা,সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর উত্তরসূরী তারা”–TBangla

  • #2
    আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ!
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকেও কবুল করুন। আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment

      Working...
      X