Announcement

Collapse
No announcement yet.

“ফুরসান তাহতা রায়াতিন নাবিয়্যি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” সিরিজ-৪১

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • “ফুরসান তাহতা রায়াতিন নাবিয়্যি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” সিরিজ-৪১

    তৃতীয় অধ্যায়: ময়দানে প্রত্যাবর্তন- পঞ্চম পরিচ্ছেদ:দাগিস্তান: উপায় শেষ হওয়ার পর সাহায্য- প্রথম বিষয়: ককেশাসের পরিস্থিতি নিয়ে কিছু ভাবনা- তৃতীয় ভাগ:

    (পূর্ব প্রকাশের পর)

    এই নীতির মূলকথা দু’টি:

    এক. গেরিলাগণ এ ধরণের জনসমর্থনের মুখাপেক্ষী হন শত্রুপক্ষের উপকরণগত বিশালত্বের মোকাবেলার জন্য। কারণ এ সমর্থনের ফলে তারা স্থানীয় অধিবাসীদের মাঝে আত্মগোপন ও আশ্রয় নিতে পারেন এবং তাদের থেকে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আবশ্যকীয় ব্যয় গ্রহণ করতে পারেন।

    দুই. গেরিলা যুদ্ধ -যেমনটা এক্ষুণি সুস্পষ্ট করলাম- একটি রাজনৈতিক যুদ্ধ হিসাবে বিবেচিত। এর মাধ্যমে গেরিলাগণ তাদের জন্য সহায়ক রাজনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেন। আর সকল রাজনৈতিক পরিকল্পনার জন্যই (যেমনটা সকলেরই জানাশোনা,) নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি একটি ব্যাপক ভোটব্যাংক থাকতে হয়, যার মাধ্যমে এবং যার জন্য উল্লেখিত রাজনৈতিক পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

    গেরিলাদের জন্য জনসমর্থন অর্জনের পন্থা সুপরিচিত। যা দু’ভাবে সফল হয়:

    ১- জনগণের ব্যাপারে সর্বোত্তম অবগতি। তাদের প্রকৃতি, মূল্যবোধ, মৌলিক প্রয়োজনসমূহ, তাদের অসন্তুষ্টির উৎসগুলো ইত্যাদি জানা। অতঃপর এ সকল অভিজ্ঞতাকে তাদের সমর্থন অর্জনের জন্য কাজে লাগানো।

    ২- এমন একটি রাজনৈতিক আদর্শ গ্রহণ করা, যা কমপক্ষে তার সাধারণ খসড়া হিসাবে বিশাল জনসংখ্যার নিকট সমাদৃত হবে।”
    এবার আমরা চেচনিয়ার গেরিলা গ্রুপগুলোর দিকে তাকালে দেখতে পাব যে, তাদের পশ্চাতে আছে রাশিয়ার সাথে লড়াই করা, তাদের অব্যাহত সীমালঙ্ঘন প্রত্যাখ্যান করা এবং রাশিয়া থেকে স্বাধীন হওয়া ও চেচনিয়ায় একটি স্বাধীন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার তীব্র বাসনার দীর্ঘ চার শত বছরের ইতিহাস।

    আবু বকর আকিদাহ বলেন:

    “চেচনিয়ার মুজাহিদগণ যেমন বীরত্বের আদর্শ ছিলেন, তেমনি চেচনিয়ার সিংহভাগ জনগণ আত্মত্যাগ ও বিসর্জনের আদর্শ ছিলেন। নিজ ঘাড়ে মুজাহিদগণকে খানা খাওয়ানোর ভার গ্রহণ করা, তাদেরকে আশ্রয় দেওয়া, তাদের পক্ষে শত্রুদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি করা, তাদেরকে শত্রুদের তথ্য দিয়ে সাহায্য করা এবং এমন যেকোন বিষয় থেকে তাদেরকে সতর্ক করা, যা তাদেরকে বিপদে ফেলতে পারে- এসবই করেছেন তারা। নিশ্চয়ই চেচনিয়ার জনগণের প্রতি মহান আল্লাহর অনুগ্রহ ছিল যে, তারা একই জাতীয়তা, একই ভাষা ও একই নেতৃত্বের অধীন ছিলেন।”
    দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে খাত্তাব বলেন:

    “সকলেরই জানা আছে যে, রাশিয়া খুব গুরুত্বের সাথে এ যুদ্ধে নেমেছে। আমাদেরকে একটা ছোট ডাকাতদল হিসাবে গণ্য করা হত। কিন্তু রাশিয়া এমনভাবে তাদের যুদ্ধ শুরু করে, যেন তারা একটি নিয়মিত বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধাবস্থায় আছে। তাদের নিকট থাকা সর্বপ্রকার অস্ত্র ব্যবহার করেছে। কিন্তু ইনশাআল্লাহ তাদের এ যুদ্ধে সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। দু’বছর যাবত তারা আমাদের সাথে কিছু করতে পারেনি। আজ রাশিয়া ভালোভাবেই বুঝে গেছে যে, এ সমস্যার সামরিক সমাধান হবে না। কারণ গোটা জাতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়িয়েছে।”

    মুজাহিদ মুহাম্মদ সমরকন্দি তার ‘দ্বিতীয় যুদ্ধের দিনগুলো’ নামক বইয়ে বলেন:

    “তাওজিন গ্রাম”

    আমরা ১ জিলহজ্জ ১৪২০ হিজরী মোতাবেক ৭/৩/২০০০ সাল সোমবার রাত ১২ টায় সেখানে প্রবেশ করলাম। নেতৃবৃন্দ (আল্লাহ তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!) খাওয়া ও অন্যান্য সব কিছুর শৃঙ্খলা করেছেন। মুজাহিদগণ গ্রামে থেকে গেলেন। তাদের অল্প কিছু সংখ্যক ছাড়া কেউ গৃহে প্রবেশ করলেন না।

    ফজরের সময় প্রধান সেনাপতি খাত্তাব গ্রাম থেকে বের হতে আদেশ করলেন। কারণ রাশিয়ানরা যদি জানতে পারে মুজাহিদগণ এখানে আছেন, তাহলে গ্রাম অবরোধ করবে।

    মুজাহিদগণের প্রতি গ্রামবাসীদের অভ্যর্থনা ছিল বিস্ময়কর। তারা তাদের জন্য খাবার-পানীয় নিয়ে বের হলেন। এমনকি মুজাহিদগণের ঘুম, গোসল ও বিশ্রামের জন্য তাদের গৃহগুলো খুলে দিলেন। যা মুজাহিদগণের মনোবল বৃদ্ধিতে বিরাট প্রভাব ফেলেছে। ”

    তিনি আরো বলেন:

    “আমরা তাওজিন গ্রামে প্রবেশ করলাম। দীর্ঘ ক্লান্তির পর সেখানে বিশ্রাম নিলাম। ইত্যবসরে প্রধান সেনাপতি আমাদেরকে সেখান থেকে বের হতে আদেশ করলেন। এ সবই ছিল এ আশঙ্কায় যে, রাশিয়া আমাদের ব্যাপারে জানতে পারলে এই গ্রাম অবরোধ করবে এবং তার অধিবাসীদেরকে নির্যাতন করবে। তাই নেতৃবৃন্দ মুজাহিদগণের আরামের চেয়ে নিরস্ত্র নাগরিকদের জীবনের ব্যাপারে অধিক যত্নশীল ছিলেন। নাগরিকদের প্রাণ রক্ষা করাই ছিল নেতৃবৃন্দের প্রধান গুরুত্বের বিষয়।

    তারা একজন নাগরিকের যেন ক্ষতি না হয় সেজন্য নিজেরা কষ্ট সহ্য করতে এবং মুজাহিদগণকে কষ্টে সহ্য করাতে প্রস্তুত ছিলেন। আর প্রধানত যে কারণে মুজাহিদগণ সরকারি যুদ্ধনীতি পরিহার করে গেরিলা যুদ্ধনীতি অবলম্বন করেছিলেন, তা হল: নাগরিকদের প্রাণ রক্ষা করা এবং রাশিয়ানরা যেন নাগকিরদের বসবাসের গ্রামে বোম্বিং না করে।”

    ঘ- গেরিলা যুদ্ধের বিভিন্ন ধাপ:

    গেরিলা যুদ্ধের গবেষকগণ গেরিলা যাত্রাকে তিনটি স্তরে ভাগ করেন। শুধুমাত্র আত্মরক্ষামূলক স্তর। উভয় দলের মাঝে ভারসাম্যপূর্ণ স্তর। চূড়ান্ত স্তর। চেচনিয়ার মুজাহিদগণ আল্লাহর পথে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধের এ সকল স্তরগুলো অতিক্রম করেছেন। শায়খ শহিদ সেলিম খান ইয়ানদারবি এ যুদ্ধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংঘর্ষের ঘটনাটি নিম্নোক্ত ভাষায় সংক্ষেপ করেন:

    “চেচনিয়ার মুজাহিদগণ এ দীর্ঘ লড়াইয়ের ইতিহাসে নিজেদের নাম গর্বের সাথে লিপিবদ্ধ করার উপযুক্ত হয়েছেন। শুধু ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ এর লড়াইয়ের ইতিহাসটি স্মরণ করলেই আমাদের জন্য যথেষ্ট, যা জারযুনী প্রতিরক্ষা করা এবং রাশিয়ান সীমালঙ্ঘন মোকাবেলা করার জন্য জেগে উঠেছিল, যে সীমালঙ্ঘন রাশিয়া আমাদের উপর নতুন বছরের শুরুভাগে করেছিল। আমরা এখানে প্রসিদ্ধ গুপ্ত হামলার ঘটনাটি বর্ণনা করছি, যা শামিল বাসিফের নেতৃত্বাধীন বাহিনী রাশিয়ান অঞ্চলগুলোর মধ্যভাগে পরিচালনা করেছিল। এছাড়া বোদেনভস্কের নিকট সংঘটিত যুদ্ধ এবং ক্যাসলারে সালমান রাদুপাইভের উপর গুপ্তহামলার পর পরই পারফোমেক্স গ্রামে সংঘটিত যুদ্ধ, শেরজান উর্ট, ইয়ারিশ মার্দির নিকট আমির খাত্তাবের কীর্তিমালা এবং বামুত, উল্ড আশওয়া ও ইয়ানদার লড়াইয়ের ঘটনাগুলোও পর্যালোচনা করব। এই প্রত্যেকটি যুদ্ধের ঘটনাই স্মৃতিতে ভাসে। এছাড়াও আরো অনেক ঘটনা রয়েছে।

    এ সকল কার*্যাবলীর পরিসমাপ্তি ঘটেছে ১৯৯৬ এর আগষ্টে জারযুনী মুক্ত করার মাধ্যমে। জারযুনি মুক্ত করার পরই ৫ লাখ যোদ্ধাসহ রাশিয়ান বাহিনী আত্মসমপর্ণ করতে বাধ্য হয়। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এ বাহিনীটি মুজাহিদগণের সামনে আত্মসমর্পণ করল। এটি একটি সাক্ষ্য, যা সুদৃঢ়ভাবে একথা প্রমাণ করে যে, মুজাহিদগণ এ যুদ্ধে যতগুলো সংঘর্ষে জড়িয়েছেন, প্রতিটিতে বিরল বীরত্ব ও অবিচলতা প্রদর্শন করেছেন। কারণ তারা আল্লাহর নামে এবং চেচনিয়াকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে যুদ্ধ করেছেন।

    এছাড়া এটাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে যে, আমরা সপ্তম শতাব্দির বদরের লড়াই আর ১৯৯৪ সালের ২৪ নভেম্বর জারযুনে নাস্তিক রাশিয়ানদের সাথে সংঘটিত প্রথম লড়াইকে পরস্পর তুলনা করতে পারি। সেদিন ফজরের সময় রাশিয়ান সরকারি বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের পক্ষ থেকে চতুর্দিক থেকে শহরে আক্রমণ করা হয়। তাদের সাথে ছিল কতিপয় চেচেন বিশ্বাসঘাতক। আর এ যুদ্ধে মুজাহিদগণ আক্রমণ শুরু হওয়ার ৬ থেকে ৭ ঘন্টার মধ্যে পরিপূর্ণ ট্যাংক সমৃদ্ধ একটি রাশিয়ান দলকে ধ্বংস করে দেন। আমরা এ ঘটনা থেকে বুঝতে পারি, বর্তমান মুজাহিদগণের বৈশিষ্ট্যও তাদের সপ্তম শতাব্দির পূর্বসূরীদের ন্যায়, যারা সে যুদ্ধে মনোমুগ্ধকর বিজয় অর্জন করেছিলেন।”

    এটা গেরিলা যুদ্ধের বিস্তারিত আলোচনার স্থান নয়। তবে আমি এ বিষয়টির প্রতি গুরুত্বারোপ করতে চাচ্ছি যে, চূড়ান্তকরণ স্তরটিই সবচেয়ে স্পর্শকাতর স্তর, যার ব্যাপারে হানি আদ-দারদিরি বলেন:

    “আর তৃতীয় স্তর হল ব্যাপক আক্রমণ ও রাজনৈতিক চূড়ান্তকরণ স্তর। এটা সেই স্তর, যার সূচনা হয় গেরিলা বাহিনী এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছার মাধ্যমে, যখন তারা স্থির যুদ্ধে সামর্থ্যবান একটি নিয়মতান্ত্রিক বাহিনী গঠন করতে সক্ষম। এ নিয়মতান্ত্রিক বীজটির মাধ্যমেই গেরিলাগণ মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব সম্পন্ন সামরিক সংঘাতে জড়াতে পারেন। যা শত্রুদেরকে নিজেদের স্বার্থেই যুদ্ধ পরিসমাপ্তি ঘটাতে বাধ্য করে।

    এই শেষ স্তরটিকে গেরিলা যুদ্ধের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্তর বলা হয়। যখন ভেড়া ভারসাম্যতার স্তর থেকে স্থবিরতা ও নিস্তেজ ঠুকোঠুকির পর্যায়ে চলে যাবে, তখন গেরিলা যোদ্ধাদেরকে খুব ক্ষিপ্র ও শক্তিশালী তৎপরতা চালাতে হবে, যাতে স্থবিরতার স্তরে উপনীত ক্লান্ত অবসন্ন শত্রুকে ফেলে দেয়া যায়।”

    চেচেন মুজাহিদগণ এক মনোমুগ্ধকর লড়াইয়ের মাধ্যমে যুদ্ধ চূড়ান্ত করেছেন, যাতে তারা এমন বীরত্ব ও অবিচলতা প্রদর্শন করেছেন, যার দৃষ্টান্ত খুব কম। তারা এক চমৎকার সংঘাতের মাধ্যমে তাদের যুদ্ধ চূড়ান্ত করেছেন, যা ইসলামী জিহাদের ইতিহাসে, এমনকি গোটা সামরিক ইতিহাসে গর্ব ও সম্মানের সাথে লিপিবদ্ধ থাকবে।

    ১৯৯৬ সালের ৭ই আগষ্ট চেচেন মুজাহিদগণ যুদ্ধে সর্বশেষ চেচেন সুকুমারবৃত্তি হিসাবে একই সময়ে জারযুনী, আরগুন ও গোরদাম্স শহরত্রয়ে আক্রমণ চালান।

    জারযুনিতে খুব দ্রুত শহরের হৃদপিণ্ডে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। সরকারের কার্যালয়গুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন এবং অনেকগুলো রাশিয়ান সামরিক ঘাটি পরিস্কার কিংবা অবরোধ করেন। আর অন্যদেরকে ঘাটি ছেড়ে দিতে বাধ্য করেন।

    তারা এ বিজয় অর্জন করেছেন, অথচ রাশিয়ান জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের পূর্ববর্তী প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয় যে, শুধুমাত্র জারযুনিতেই রাশিয়ান সৈন্য সংখ্যা ছিল ১২ হাজার যোদ্ধা, যা আক্রমণকারীদের সংখ্যার প্রায় তিন গুণে পৌঁছে যায়।

    অপরদিকে হাজার হাজার রাশিয়ান সেনা জারযুনীর আশ পাশের বিভিন্ন ঘাটিতে অবস্থান নেয়। যেমন ‘খান কিল্লা’য় অবস্থিত রাশিয়ান প্রধান ঘাটি ও বিমানবন্দরে অবস্থান নেয়, যা জারযুনি থেকে উত্তর পশ্চিমে ৭ মাইল দূরত্বে অবস্থিত।

    রাশিয়ানদের কাছে দু’শো সাতটি সাজোঁয়া চাকাও ছিল। কিন্তু চেচেনদের নিকট তা একটিও ছিল না। যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে যতগুলো তাদের নিকট দেখা গেছে, সবগুলোই শত্রুদের থেকে গনিমত হিসাবে প্রাপ্ত।

    রাশিয়ানদের পরাজয়ের কোন অযুহাত ছিল না। কারণ ব্যাপক আক্রমণের পূর্বে তার থেকে ছোট আক্রমণও হয়েছিল। এটা তার জন্য একটি প্রশিক্ষণ ছিল, যা তার পূর্বে মার্চে হয়েছিল। কিন্তু এটাই প্রতীয়মান হয় যে, রাশিয়া তার থেকে কিছুই শিখতে পারেনি।

    দ্বিতীয় রাত প্রবেশের সাথে সাথেই জারযুনীর আশপাশের সিংহভাগ রাশিয়ান সেনা সেই ঘাটিতে ফিরে আসল, যা ১৯৯৪ এর ডিসেম্বরে রাশিয়ার প্রথম আক্রমণের পূর্বে তাদের দখলে ছিল। অর্থাৎ বিশ মাস পূবে। এমনিভাবে চেচেনগণ গোরডাম্স ও আরগুন কেন্দ্রদ্বয়ও দখল করে নেন।

    রাশিয়ানদের ৪৯৪ সেনা নিহত হয়। সেই সাথে ১৪০৭ জন আহত এবং ১৮২ জন নিখোঁজ অথবা বন্দি হয়। এমনিভাবে তাদের ১৮ টি ট্যাংক এবং ৬৯ টি সৈন্যবাহি সাঁজোয়া গাড়ি ধ্বংস কিংবা গনিমতে পরিণত হয়।

    এ বিশাল বিজয় রাশিয়ার সামনে দু’টি অপশন খোলা রাখে: গোটা যুদ্ধ নতুন করে শুরু করা এবং জারযুনে নতুন রক্ত তোফান আরম্ভ করা অথবা শান্তির বিনিময়ে কার্যকরীভাবে আত্মসমর্পণ করা।

  • #2
    ১ম পর্ব
    https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232535%3B

    ২য় পর্ব
    https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232536%3B

    ৩য় পর্ব
    https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232537%3B

    ৪র্থ পর্ব
    https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232538%3B

    ৫ম পর্ব
    https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232539%3B

    ৬ষ্ঠ পর্ব
    https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232540%3B

    ৭ম পর্ব
    https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232541%3B

    ৮ম পর্ব
    https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232542%3B

    ৯ম পর্ব
    https://82.221.139.217/showthread.ph...-%26%232543%3B

    ১০ পর্ব
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232535%3B

    পর্ব-১১
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232535%3B

    পর্ব-১২
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232536%3B

    পর্ব-১৩
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232537%3B

    পর্ব-১৪
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232538%3B

    পর্ব-১৫
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232539%3B

    পর্ব-১৬
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232540%3B

    পর্ব- ১৭
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232541%3B

    পর্ব-১৮
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232542%3B

    পর্ব-১৯
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232543%3B

    পর্ব-২০
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232534%3B

    পর্ব-২১
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232535%3B

    পর্ব-২২
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232536%3B

    পর্ব-২৩
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232537%3B

    পর্ব-২৪
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232538%3B

    পর্ব-২৫
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232539%3B

    পর্ব-২৬
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232540%3B

    পর্ব-২৭
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232541%3B

    পর্ব-২৮
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232542%3B

    পর্ব-২৯
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232543%3B

    পর্ব-৩০
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232534%3B

    পর্ব- ৩১
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232535%3B

    পর্ব-৩২
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232536%3B

    পর্ব-৩৩
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232537%3B

    পর্ব-৩৪
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232540%3B

    পর্ব-৩৫
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232539%3B

    পর্ব-৩৬
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232540%3B

    পর্ব-৩৭
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232541%3B

    পর্ব-৩৮
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232542%3B

    পর্ব-৩৯
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232543%3B

    পর্ব- ৪১
    https://82.221.139.217/showthread.ph...B%26%232534%3B

    অনেকদিন পর পোস্ট দিলাম। ব্যস্ত ছিলাম এবং কিছু অলসতাও ছিল। আল্লাহ যেন এখন থেকে আবার নিয়মিত পোস্ট দেওয়ার তাওফিক দান করেন। দু’আ প্রার্থী ভাইদের নিকট। আপনাদের দু’আকে অনেক অনেক মূল্যায়ন করি। কোন দু’আই তো বৃথা যায় না। আর আপনারা তো আলহামদু লিল্লাহ মহান পথের পথিক।

    Comment


    • #3
      আলহামদুলিল্লাহ,, আল্লাহ আপনাদের কাজগুলো কবুল করুন আমীন।
      আমাদের দেশে গেরিলা যুদ্ধের জন্য জনগণের আকিদা পরিশুদ্ধ করণ খুবই জরুরি। তা, না, হলে জনগণ মুজাহিদদের বিরুদ্ধে চলে যাবে,এবং ধরিয়ে দিবে।
      اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

      Comment


      • #4
        দোয়া করি ভাই, সবগুলো লিংক সারিবদ্ধ ভাবে দেবার জন্য।
        “দ্বীনের জন্য রক্ত দিতে দৌড়ে বেড়ায় যারা,সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর উত্তরসূরী তারা”–TBangla

        Comment


        • #5
          Originally posted by forsan313 View Post
          আলহামদুলিল্লাহ,, আল্লাহ আপনাদের কাজগুলো কবুল করুন আমীন।
          আমাদের দেশে গেরিলা যুদ্ধের জন্য জনগণের আকিদা পরিশুদ্ধ করণ খুবই জরুরি। তা, না, হলে জনগণ মুজাহিদদের বিরুদ্ধে চলে যাবে,এবং ধরিয়ে দিবে।

          জী ভাই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট,,, জাযাকাল্লাহ

          Comment


          • #6
            অনেকদিন পর পোস্ট দিলাম। ব্যস্ত ছিলাম এবং কিছু অলসতাও ছিল। আল্লাহ যেন এখন থেকে আবার নিয়মিত পোস্ট দেওয়ার তাওফিক দান করেন। দু’আ প্রার্থী ভাইদের নিকট। আপনাদের দু’আকে অনেক অনেক মূল্যায়ন করি। কোন দু’আই তো বৃথা যায় না। আর আপনারা তো আলহামদু লিল্লাহ মহান পথের পথিক।
            আল্লাহ ভাইকে ভরপুর তাওফীক দিন। নিরাপদ ও সুস্থ রাখুন। উম্মাহর কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ হওয়ার তাওফীক দান করুন। শুভ কামনা অবিরাম......!
            “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

            Comment

            Working...
            X