Announcement

Collapse
No announcement yet.

অধিকাংশ তালিবুল ইলমদের হালত! (সবাই না)

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • অধিকাংশ তালিবুল ইলমদের হালত! (সবাই না)

    আমাদের দেশে সাধারণত তালিবুল ইলমরা দুটি মেরুতে অবস্থান করে থাকে।
    ১, জিহাদ ভালবাসে, গ্লোবাল মানহাজ শ্রোদ্ধা করে।
    ২,ব্যক্তিপুজারী, গণতন্ত্রধারী দের ট্যাবলেট সেবন কারী।

    ক্লাশে বা অন্য কোথাও প্রথম পক্ষ যদি জিহাদ নিয়ে আলোচনা করে,খিলাফার কথা বলে,মাযলুম মুসলিম জনপদ পূণরুত্থানের কথা বলে। তখনই দ্বিতীয় পক্ষ কটাক্ষ করতে থাকে। তাদের কথা প্রায় এমন হয়ে থাকে,
    "ধুর শুধু ফালতু আলাপ। লেখাপড়ার খবর নেই, কোথায় কি হয় তা নিয়ে লাফালাফি। এদের কে শায়েস্তা করা উচিৎ"

    আরো কত কি!!
    আচ্ছা,যারা এমন কথা বলে তারা জিহাদ খিলাফাহ কে কোন নজরে দেখছে? তারা কি জিহাদ কে ইলমের বহির্ভূত মনে করছে না? জিহাদ কে ইলমের প্রতি-পক্ষ বানানোর এই অপকৌশল জাতি কে কোন পথে নিয়ে যাচ্ছে?তারা শুধু মাত্র দরসি কিতাবাদিকেই ইলম মনে করে বসে আছে।
    ভাবখানা যেন এমন,দরসি কিতাবের পাশাপাশি অন্য কোন বিষয় ভিত্তিক কিতাবাদিকে তারা ইলম বলতে ইচ্ছুক নয়। তাদের কাছে চার দেয়ালের মধ্যে বেঁধে দেয়া কিছু কিতাবই ইলম।এর বাইরে যা কিছু আছে,তা যাই হোক না কেন?
    জিহাদ বিষয়ক হোক,খিলাফাহ সংক্রান্ত হোক,কুফর বিত-তাগুত হোক, ঈমান বিষয়ক হোক,দাওয়াহ রিলেটেড হোক
    কিছুই যেন ইলম নয়।
    আবার তারাই বিভিন্ন দিবসে জাতীয় পতাকা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে।এর প্রেক্ষিতে যখন এই বিভ্রান্তি নিয়ে কথা বলা হয় তখনই তাদের চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়।
    এই বিভ্রান্ত চেতনা মাথায় নিয়ে যখন তলাবারা বেড়ে ওঠে,যখন এরা জাতির রাহবারে পরিণত হয়,তখন জাতি এদের পিছনে পড়ে অন্ধ হয়ে যায়।এই জাতিকে অন্ধ বানানোর পেছনে এ জাতীয় তলাবারা কি দায়ী নয়?
    যাই হোক,এ বিষয়ে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। নিজেদেরও সতর্ক হতে হবে।
    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের হেফাজত করুন, আমীন।
    জঙ্গ যদি হয় যুদ্ধ তবে যোদ্ধারা হলো জঙ্গী,
    অভিধান পুরো শুদ্ধ তবে ফিরাও দৃষ্টিভঙ্গি।
    সন্ত্রাসী কে জঙ্গী বলে বাড়িওনা তার মূল্য,
    সন্ত্রাসী কভূ পারেনা হতে জঙ্গীর সমতুল্য।

  • #2
    -----------
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      আমাদের দেশে সাধারণত তালিবুল ইলমরা দুটি মেরুতে অবস্থান করে থাকে।
      ১, জিহাদ ভালবাসে, গ্লোবাল মানহাজ শ্রোদ্ধা করে।
      ২,ব্যক্তিপুজারী, গণতন্ত্রধারী দের ট্যাবলেট সেবন কারী।

      হে ভাই!
      বাস্তবসম্মত সত্য কথা বলেছেন! মাশা আল্লাহ!!

      তবে ভাই! অবুঝ বান্দা এটা জানে যে যারা উম্মাহর প্রকৃত কাণ্ডারি তারা সবার (আগে) নিজেদের আত্মসমালোচানায় বেশী চিন্তিত থাকেন অন্যের ব্যপারে মতামত পেশ করার আগে।
      ইয়া আল্লাহ! আপনি উক্ত কথার উপর আমল করার তাওফিক দান করুন!
      আমীন! ইয়া রাব্বাল আলামীন!!
      লিল্লাহি তাকবির! আল্লাহু আকবার!!

      Comment


      • #4
        ভাইজান খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা। আসলে বাস্তবতা এমনই। আল্লাহ আপনি এদেশের মুসলিমদের বিশেষ (করে) আলিমদের জাগিয়ে দিন। দ্বীন কায়েমের নববী পদ্ধতি ছেড়ে দিয়ে কুফরি পদ্ধতি গ্রহণ করার প্রবণতা ছাত্রজীবন থেকেই শুরু হয়। বাহ্যিক সৌন্দর্য আর বাহ্যিক নেতাগীরি করে করতে পারার প্রতি মানুষের মনে একটা ভিন্ন টান থাকে। ছহিহ আকিদা লালনকারী একজন মুসলিম, আর ভ্রান্ত আকিদা লালনকারী মুসলিমের মাঝে অনেক প্রার্থক্য। এখান অনেক কথা চলে আসবে। জিহাদ খেলাফতের প্রতি মনোযোগী হয়ে এক আমীরের অধীনে কাজ করার ইচ্ছা সবার থাকে না। অনেকের আবার অজ্ঞতার কারণে জিহাদ ও খেলাফতের পথে কাজ করার সুযোগ হয় না। আবার দেখা যাচ্ছে অফ লাইনে কোন সাথী না পাওয়ার কারণে যেই এলাকায় যেই ইসলামীক দলটি বড় ও শক্তিশালী সেই দলে ঢুকে যাচ্ছে। তাছাড়া এদেশের মানুষ বহুদিন ধরে কুফরি তন্ত্রের ধোকা বাজীতে লিপ্ত , দাওয়াত ও জিহাদের পথে ফিরে আসতে একটু দেরী হবে। এখন আমাদের হলো নিজেরা কিছু প্রতিষ্ঠান খুলা যাতে করে ছহিহ আকিদা মানহাজ ছড়ানো যায়। যেই প্রতিষ্ঠানের উস্তাদরা, বিশেষ (করে) মুহতামিম জিহাদ বিরোধী, সেই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের জিহাদ(জিহাদের) না আসাটাই স্বাভাবিক।
        اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

        Comment


        • #5
          অজ্ঞতা, আর কুফরি শাসনব্যবস্থাকে মেনে নেওয়া। এ দুটি বিষয় এদেশের আলিম সমাজকে জিহাদ খেলাফত থেকে দূরে সড়িয়ে(সরিয়ে) রেখেছে। শুধু দূরে নয়, বহু দূরে। আমার খুব মনে পড়ে জেএমবি ভাইদের সারা দেশে কুফরি শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে জিহাদের সময় এদেশের আলিম সমাজ কীভাবে বিরোধিতা করে ছিলো। একটি মাদ্রাসার প্রধানের কথা এখনো চোখে ভাস্ব। [[[ এ-ই বোমাবাজি ইসলামে নাই]]] এভাবে মুসলিম দেশে জিহাদ করার কোন সুযোগ নাই। তার কথাগুলো সাংবাদিকরা রেকর্ড করে যাচ্ছিলো। এগুলো হচ্ছে সন্ত্রাসী, এগুলো হচ্ছে জঙ্গিবাদী।
          এখানে যেই ভুলটা ঐ মুহতামিম/ শাইখুল হাদিস করেছে সেটা হচ্ছে কুফরি শাসনব্যবস্থাকে মেনে নেয়া।
          اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ, খুব সুন্দর বলেছেন ভাই...তবে আমার মনে হয় বাস্তব হালাত আরো করুণ!
            আল্লাহ সবাইকে হিফাযত করুন ও আপনার কলমে আরো বরকত দান করুন। আমীন
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment

            Working...
            X