Announcement

Collapse
No announcement yet.

"মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কুফরি গনতন্ত্রে অংশগ্রহণের সংশয় নিরসন।"

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • "মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কুফরি গনতন্ত্রে অংশগ্রহণের সংশয় নিরসন।"

    "সকল কাজ নিয়্যতের উপর নির্ভরশীল।" রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এই হাদিস কি তাদের কুফরী কাজের বৈধতার দলিল হয়ে গেল?

    বস্তুত উক্ত হাদিসটি সৎকাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কারণ সৎকাজগুলোও যদি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার না উদ্দেশ্য বরং অন্য কোনো উদ্দেশ্য সম্পাদন করা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে সৎকাজগুলোও বরবাদ হয়ে যায়।যেমন ধরুন কেউ যদি নামাজ পড়ে এই উদ্দেশ্যে যে লোকে তাকে নামাজি বলবে,কেউ যদি জি হা দ করে যে লোকে তাকে বীর বাহাদুর বলবে তাহলে তাদের সালাত ও জি হা দ কোনো কাজেই আসবে না।ইমাম গাজালি রহঃও এই বিষয়টি উল্লেখ করেছেন যে ঘটনাটা শাইখ আব্দুল কাদির বিন আবদুল আযিয তার বিখ্যাত বই "আল-জামি ফী তালাবিল ইলম-ইশ-শরীফ" গ্রন্থের প্রথম খন্ডে উল্লেখ করেছেন।

    ইমাম গাজালী রহঃ বলেন
    "নিয়্যতের কারণে পাপগুলোর প্রকৃতিতে কোনো পরিবর্তন আসে না।অতএব অজ্ঞদের চিন্তা করা এবং বোঝা উচিত যে " কর্মসমূহ নিয়্যতের উপর নির্ভরশীল "রাসুলুল্লাহ সাঃ এর বাণীতে ব্যাপকতার জন্য পাপকাজ সওয়াবের কাজে পরিবর্তিত হতে পারে না।যেমন মঙ্গলের নিয়্যতে একজনকে খুশি করতে অন্যের গীবত করা,অবৈধ টাকায় দরিদ্রদের সাহায্য করা কখনোই পূণ্যের কাজ হতে পারে না।কেউ যদি সচেতনভাবে এটা করে সে হচ্ছে অবাধ্য। এবং অজ্ঞতাবশত করলে গুনাহগার হবে।তবে যে মূর্খতার জন্য পাপ পথে ভালো কাজ করার নিয়্যত করবে সে শাস্তি থেকে রেহাই পাবে না।"

    এখন চিন্তার বিষয় হলো নিয়্যত খারাপ হলে সৎকাজেরও কোনো প্রতিদান পাওয়া যাবে না।এটাই হচ্ছে হাদিসের প্রকৃত অর্থ। কিন্তু ভালো নিয়্যতে কুফর ও শিরক করলে কখনোই তা বৈধ হয়ে যাবে না।যেমনটা আগেই বলেছি কুরবানির উদ্দেশ্যে গরু চুরি করা জায়েয না।সন্তানকে আল্লাহর পথে উৎসর্গ করার জন্য ব্যভিচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়াটাও বৈধ না।

    তাহলে কিভাবে আল্লাহর শরিয়াহ বাস্তবায়নের মত মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে স্পষ্ট কুফর গনতন্ত্রের পথে হাটলে সেটা বৈধ হবে!বস্তত এটা তাদের মুখের কথা ও অন্তরের প্রতারণা।

    সুতরাং যে বা যারাই উক্ত হাদিসের প্রতি লক্ষ্য রেখে গনতন্ত্রকে হালাল বা পার্লামেন্টে গিয়ে আল্লাহর সত্ত্বায় মানুষের শরিক হওয়ার ফাতওয়া প্রদান করেছেন তাদের সকলের ফাতওয়াই ভুল এবং অগ্রহণযোগ্য।


    আল্লাহ তাদেরকে ওইরকম স্পষ্ট গোমরাহি থেকে ফিরে আসার তাওফিক দান করুন।
    আমিন।
    ক্বিতাল ব্যতীত দ্বীন অসম্পূর্ণ -ড.আব্দুল্লাহ আযযাম রহিঃ!!

  • #2
    মাশাআল্লাহ, খুব সুন্দর পোস্ট করেছেন ভাই, জাযাকাল্লাহ।
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment

    Working...
    X