Announcement

Collapse
No announcement yet.

হেফাজতে ইসলামের কসাই মুদি বিরোধী আন্দোলনের ব্যাপারে মুজাহিদিনের প্রত্যাশা-কর্মপন্

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • #16
    আখিঁ, চলমান যুদ্ধের বা আগামী যুদ্ধে আমাদের শত্রু কে বা কারা সেটা-তো অনেক আগ থেকেই চাক্ষুস!!
    "এখন কথা হবে তরবারির ভাষায়, যতক্ষণ না মিথ্যার অবসান হয়"

    Comment


    • #17
      ( আগের কমেন্ট পর...)

      তো, অন্য ইসলামি দলের কোরবানি আমাদের এ কিউ আই এস বাংলাদেশ চ্যাপটারের জিহাদে কিছু সেচ সিঞ্চন করে কিনা এই ভাবনা থেকে মনে হল গ্লোবাল জিহাদ ও আমাদের রিজিওনাল পাওয়ারকে চিহ্নিতকরণ ও নিশানায় নেওয়ার বিষয়টি আনা দরকার, তাই বিনীতভাবে একটি আর্টিক্যাল এর আশ্রয় নিতে হলঃ https://dawahilallah.com/showthread.php?22614

      ( আচরণবিধির আড়ালে গ্লোবাল যে ডাকটি প্রচ্ছন্নভাবে লুকিয়ে আছে সেটাও একটু স্পষ্ট করা দরকার মনে হয়েছে, আমাদের প্রশ্নের উত্তর গুলো খোঁজার জন্য )

      আর্টিক্যালটির আলোকে এবার তাহলে প্রশ্নঃ
      ১। হেফাজাতের ' মোদীর বাংলাদেশে পদার্পন বিরোধী আন্দোলন ' কি আমাদের রিজিওনাল টার্গেট কে কিছুটা হলেও স্পর্শ করেছে না? -- আমার তো মনে হয় একটা লেভেলে ভাল ভাবেই করছে বরং একটি স্ট্রং মেসেজও গেল সব দিকে (বাকি হয়ত উনারা সজ্ঞানে এই আঙ্গিক থেকে আন্দোলনটি করেন নি) ,
      ২। হেফাজতের এই আন্দোলন বাংলাদেশের ময়দানে একটি বড় দাওয়াহ এর কাজ করেছে, আমভাবে জিহাদকে উজ্জীবিত করেছে, ভবিষ্যতের জন্য আমাদের মননকে প্রস্তুত করতে সাহায্য করছে। ( সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ )
      ৩। তাহলে উনাদেরকে কে আমাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা দরকার কিনা (যদি নেন, জঙ্গিত্বের খেতাব আলিঙ্গন করে ), কম সে কম মিডিয়া দিয়ে, কিছু সমর্থন দিয়ে ?
      দাওয়াত পৌঁছে দিয়ে তাদের সুবিশাল যে মাদ্রাসা ফোর্স - 'সাবিলুনা সাবিলুনা, আল জিহাদ জিহাদ' বলে তৃষনার্ত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এই বিরাট যুবশক্তিকে জিহাদি কাফেলায় ইন্টিগ্রেট করা যায় কিনা ?
      আর যদি করা যায় ইনশাআল্লাহ, তাহলে এই সুবিশাল ফোর্সকে শুধু রিজিওনাল নিশানাটা আর একবার আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া..... আর এখনকার মত কন্সেন্ট্রেটেড আন্দোলন অনুৎসাহিত করে 'লোণ উলফ মেথড' বা 'আরবান গেরিলা ওয়ারফেয়ার' শিখিয়ে দেওয়া.......ব্যাস ( বি ইযনিল্লাহ)
      "যতদিন পৃথিবীতে ফিতনা আছে, ততদিন জিহাদ প্রাসংগিক।
      আর যুগে যুগে কিছু মানুষের ফিতরাতই হচ্ছে ফিতনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, তাঁদের কোন যুক্তির প্রয়োজন পড়ে না
      "

      Comment


      • #18
        প্রিয় ভাই আমার প্রশ্ন হলো ঃ
        ১/ রাসুলুল্লাহ সাঃ কি আমাদেরকে মিছিল মিটিং সভা সমাবেশ হরতাল এসব করার নির্দেশ দিয়েছেন????
        ২/জিহাদ এখন ফরজ এটা কি বাবু নগরী বলেন আর মামুনুল হক তারা ভাল করেই জানে কিন্তু তারপরেও তারা জিহাদের জন্যে আমাদের বের হতে বলছে না। আমাদেরকে কাফেরদের শিখানো শয়তানি নিয়মের দিকে ধাবিত করছে। এই অবস্থায় আমাদের করণীয় কি??
        ৩/ ফেইসবুকে দেখলাম অনেক হাফেজ আলেম ভাইয়েরা বলছে যে ঃ যারা ছাত্রদের হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই সরকারের কাছে ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি বুঝি না ভাইয়েরা কি আল ওয়ালা ওয়াল বারা বুঝেন না নাকি কাফেরদেরকে ভয় পায় বড়ই আফসোসের বিষয়। মাদ্রাসায় পড়া ভাইদের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে সাধারণ মানুষের কি হবে??? আমাদের করণীয় কি??? তাগুতের কাছে বিচার চাওয়া কি রাসূল সাঃ এর দেখানো নিয়ম???
        ৪//অনেক ভাই কাদা ছুরাছুরি করছে। হাফিজুর রহমান মেজবাহ দালাল ইত্যাদি
        আর হাফিজুর রহমান মেজবাহ বলছে অন্য কথা। আলেমদের মাঝে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে আমরা যারা সাধারণ লাইনে লেখাপড়া করেছি তাদের জন্যে কোনটি হক কোনটি বাতিল তা বুঝা মুশকিল হয়ে যায় ফলে আমরা ফিতনায় পড়তে পারি। তাহলে হক দলের বৈশিষ্ট্য কোন গুলো হবে তা আমাদের সামনে তুলে ধরা হক বা বাতিল দলকে সাধারণ মানুষ কি করলে বুঝবে???


        অস্ত্র তুলে না নিলে আরও মার খাওয়া লাগবে এটা যদি মাদ্রাসার আলেম ভাইয়েরা না বুঝে তা হলে এত লেখাপড়া করে লাভ কই??আপনারা নিজের শত্রুকে ও চিনেন না আফসোস লাগে।
        আমি আল্লাহর তরবারি
        আমি খালিদ বিন ওলিদ
        আমি পারস্য বাহিনীর মৃত্যুর দূত

        Comment


        • #19
          জি ভাই সবাইকে আমাদের বোঝা উচিত যে আমরা আন্দোলন করে শহিদ হতে চাই না, আমাদের যুদ্ধ করে শহিদ হতে চাইতে হবে।
          আন্দোলন করলে কেউ আমাদেরকে বলবে না যাও অনেক আন্দোলন করেছ, এখন তোমরা খেলাফত প্রতিষ্ঠা কর???
          فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

          Comment


          • #20
            Originally posted by Abdul Muqaddim View Post
            এরপর হেফাজতের ৫ জন শহীদ হয়ে গেছেন, ( আল্লাহ তা' আলা ভাইদের এভাবেই কবুল করুন, আমিন। )
            দয়াময় রব যেন শহীদান ভাইদের নিয়্যত ও ইখলাসের দিকে লক্ষ্য করে, দ্বীনের হেফাজতকারী, রিবাতকারী শহিদ এর কাতারে সামিল করে নেন, আল্লাহুম্মা আমীন।

            ... কেন তার যথেষ্ট হোম ওয়ার্ক করা নেই, কেন তার প্লান নেই, কেন হেফাজতের সকল পর্যায়ের কমান্ডারদেরকে আগে থেকেই প্ল্যান বলে দেওয়া নেই কিভাবে তারা রাজপথে নেমে আসবেন, সাথে কি থাকবে, সিচুয়েশন কেমন হলে মাঠের যোদ্ধারা কি করবেন, কেন প্ল্যান নেই ফেসবুক বন্ধ করলে কিভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে তার কমান্ড চালিয়ে যাবেন... কেন কেন কেন ... খালি ফাকা বুলি মারলেই হল?
            মুহতারাম ভাই,

            এইগুলো তো বেশ এডভান্স লেভেল প্ল্যাণিং বরং আরো বেসিক লেভেলে পরিকল্পণা কী কী আছে - তা জানা দরকার। যদি নাও থাকে, আমরা সকলে অনলাইনে-অফলাইনে মাশওয়ারা, পর্যালোচনা ইত্যাদির মাধ্যমে ধীরে ধীরে হেফাজতকে একটি দীর্ঘ-মেয়াদী উদ্দেশ্য নির্ধারণে সাহায্য করতে পারি কিনা এবং সেই অনুযায়ী একটি পরিকল্পনা প্রণয়নে সাহায্য করা যায় কিনা তা চিন্তার দাবী রাখে। এটি ওপেন ফোরামসমূহে আলাপ-আলোচনা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পর্যালোচনার মাধ্যমে গতিশীল করা যায় কিনা - খতিয়ে দেখা দরকার।

            তবে জিহাদী গ্রুপগুলোর মতো ক্লিয়ার-কাট ই'লায়ে কালিমাতুল্লাহের উদ্দেশ্য নির্ধারণ অদৌ হেফাজতের জন্য সম্ভব কিনা - সেটিও একটি চিন্তার বিষয় কারণ গোপন জিহাদী সংগঠন আর মুরতাদ ও চরম ফ্যাসিষ্ট শাসনের চাপের মধ্যে ওপেন সামাজিক আন্দোলনের কার্যক্রমের মধ্যে ব্যাপক ফারাক থাকার কথা।

            আরেকটি দিক হতে পারে, ওপেন দাওয়াহ প্লাটফর্ম হিসেবে তাওহীদ ও জিহাদের দিকে দেশের আপামর মুসলিম জনগণকে ধীরে ধীরে নিয়ে যাওয়া। এ রকম ওপেন প্লাটফরমের পরিকল্পনা নিলে শুরুতে আ'মভাবে আমরে বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকারের পরিকল্পনা থাকতে পারে। আল্লাহু আলাম।

            Comment


            • #21
              Originally posted by majlom ummah View Post
              ছাত্রদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা দেশে ইসলাম চাই। এ-র জন্য যা যা লাগে সবই করতে রাজি। বাকী থাকলো আল্লাহ কাদের কবুল করেন।
              আল্লাহু আকবার! আল্লাহ কবুল করুন।

              ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনগুলোতে আগের মতো ব্যপকভাবে জনগপণের অংশ গ্রহণ পরিলক্ষিত হয় না। তাই ফলাফল পক্ষে আসে না। ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনের ভবিষ্যত কোথায় নীতিনির্ধারকদের ভাবতে হবে।
              মাঝে মাঝে এইভাবে চিন্তা করতে মনে চায় যে, এ রকম কিছু কিছু ইস্যু ভিত্তিক আন্দোলনের মাধ্যমে সাধারণ ছাত্র ভাইদের মধ্যে কিছুটা মুরতাদ সরকার বিদ্রোহী মনোভাব চাংগা হচ্ছে, সাধারণ জনগণও কিছুটা অভ্যস্থ হচ্ছে - উলামাদের নেতৃত্বে আন্দোলন-সংগ্রামে।

              ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে কিছুটা নড়াচড়ার মাধ্যমে উম্মাত মানসিকভাবে প্রস্তুত হচ্ছে বড় কিছুর জন্য। আল্লাহ যেন সেইভাবেই কবুল করেন। আমীন।

              Comment


              • #22
                Originally posted by Abdul Muqaddim View Post
                বিষয়টির গভীরে ঢুকতে গিয়ে মনে হচ্ছে, কেন শুধু তাহলে হেফাজাত বরং অন্যান্য ইসলামী দল (যারা কম সে কম জিহাদ শব্দটা মুখে আনে, আকিদা বা মানহাজে ভিন্নতা স্বত্বেও ) এদের যে কোন ভাল কাজ বা ত্যাগ বা আন্দোলন তানজীম আল কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট ( aqis) এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারে জিহাদের কাজ কে কোন না কোন সুরতে ভ্যালু এ্যাড করে বা প্রভাব ফেলে না কি?

                তাই এরকম দলগুলোর একটি ছোট লিস্ট কম সে কম সামনে রাখা যায় কিনা। বাকি, এই থ্রেডের আলোচনা শুধু হিফাজাত কেন্দ্রিক ই থাকলঃ
                সুন্দর বলেছেন ভাই, এই ব্যাপারে ভাবছিলাম যে,

                "আশা করা যায় - এ রকম একটি প্রশ্নের সেট আমাদের সাথে থাকলে এবং দু-একটি ইস্যুর ব্যাপারে এর উত্তরগুলো আমরা নিজেরা যাচাই-বাছাই করে নিলে এ রকম বেশীরভাগ ইস্যুর ব্যাপারে আমাদের প্রত্যাশা-চাহিদা-আবেগ-কর্মপন্থা আরও অধিক বাস্তবসম্মতভাবে পরিচালিত হবে ইনশাআল্লাহ।"

                এই ব্যাপারে বাকী সাথীরা কী বলেন - দেখা যাক।

                Comment


                • #23


                  আচরণবিধির নীচের অংশগুলোতে মনে হচ্ছে - আমাদের মূল প্রশ্নের উত্তরগুলো অনেকাংসেই চলে এসেছে আলহামদুলিল্লাহ। তবুও আমরা মেথডিকালি সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দেখার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

                  সাধারণ দ্বীনি সংগঠনগুলোর সাথে আচরণবিধি

                  ১। যেসব জামাআত সমাজে দাওয়াত ও তাবলীগ এবং ইসলাহের কাজ করে, তাদেরকে আমরা নিজেদের ভাই এবং শরীয়ত প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমাদের সাথী মনে করি।
                  ২। আমরা তাদের সকল ভালো কাজের প্রশংসা করি এবং যখনই সামর্থ্য হয়, তাদের ভালো কাজে সহযোগিতা করার প্রত্যাশা রাখি।
                  ৩। পাশাপাশি আমরা তাদেরকে জিহাদে সহযোগিতা ও নুসরতের দাওয়াত ও প্রেরণা দেই এবং শরীয়তের সকল ফরজ আদায় করার জন্য আহ্বান করি।
                  ৪। আমাদের প্রচেষ্টা হলো– এই ভূখণ্ডে থাকা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ’র সকল আদর্শিক চিন্তাধারাকে, শরীয়ত প্রতিষ্ঠার জন্য শরীয়তের শত্রুদের বিরুদ্ধে, ইসলামী ইমারাত আফগানিস্তানের পতাকাতলে একত্র করা; তাদেরকে ফুরুয়ী ইখতিলাফ থেকে বের করে উম্মতের সামগ্রিক ও বুনিয়াদী বিষয়ের উপর ঐক্যবদ্ধ করা, যেন শরীয়তের শত্রুদের মোকাবেলায় এই উম্মাহ এক সীসাঢালা প্রাচীর হয়ে যায়।

                  ত্রয়োদশ অনুচ্ছেদঃ উলামায়ে দ্বীনের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান এবং আচরণবিধি


                  এই ভূখণ্ডের উলামায়ে কেরাম ও মাদ্রাসাগুলোকে জামাআত কুফরি শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদের মূল শক্তি মনে করে এবং তাদের ব্যাপারে নিম্নে বর্ণিত পদক্ষেপগুলো নিজেদের জন্য আবশ্যক মনে করেঃ

                  ১। উলামায়ে কেরাম ইসলামী সমাজের মুক্তাদা ও পথপ্রদর্শক। তাঁদের আনুগত্য ও নির্দেশনার মাধ্যমেই শরীয়ত এবং ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। তাঁদের সম্মান করা এবং সমাজে তাদের সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও তা রক্ষা করা, আমরা নিজেদের দায়িত্ব মনে করি। যেন তারা আল্লাহর শরীয়ত প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হন এবং আল্লাহর কিতাবকে পার্লামেন্টের মুখাপেক্ষী না বানান।
                  ২। আল-কায়েদা উপমহাদেশ, বিশেষভাবে হক্বপন্থী আলেমদের এবং দ্বীনি মাদ্রাসাগুলোর প্রতিরক্ষা নিজেদের অগ্রগণ্য দায়িত্ব মনে করে। এরই ধারাবাহিকতায় জামাআত নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী তাঁদের উপর সরকারি অথবা বেসরকারি সব ধরনের আগ্রাসন বন্ধে এবং তাঁদের উপর আসা যে কোনো ধরনের নির্যাতনের প্রতিশোধ গ্রহণে বদ্ধপরিকর ইনশাআল্লাহ।
                  ৩। আমরা আমাদের সমস্ত জিহাদি সফর হক্বপন্থী উলামায়ে কেরামের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে পরিচালনা করবো। এজন্য উলামায়ে কেরামের সাথে মজবুত যোগাযোগ রক্ষা করার এবং ইলমী সমস্যায় তাঁদের দিকনির্দেশনা গ্রহণ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
                  ৪। জামাআত উলামা ও মাদ্রাসাগুলোর শক্তির উৎস হয়ে তাঁদেরকে বৃটিশ শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে মজবুত হওয়ার জন্য শক্তি যোগাবে ইনশাআল্লাহ।
                  ৫। যেসব আলেম সমাজে কোনো ধরনের ইসলাহ ও তারবিয়াতের কাজ সম্পাদন করছেন, জামাআত সামর্থ্য অনুযায়ী তাঁদের সম্ভাব্য সবরকম সহযোগিতা করবে এবং কোনো এলাকা বিজয় করলে, এজাতীয় কাজের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা করবে ইনশাআল্লাহ।
                  ৬। জামাআত আলেম ও তালিবুল ইলমদেরকে জিহাদের সারিতে শামিল করার ইচ্ছা পোষণ করে, যেন তাঁরা এই জিহাদকে দ্বীনি ও দুনিয়াবি সফলতার দিকে নিয়ে যেতে পারেন।
                  ৭। ‘উলামায়ে সূ’ হলো ঐসব আলেম, যারা দুনিয়ার তুচ্ছ পদমর্যাদা ও ধনসম্পদের জন্য ইলমকে বিক্রি করে নিজেদের পেট জাহান্নামের আগুন দিয়ে ভরে এবং মানুষকে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শরীয়ত থেকে দূরে রাখে। এদের বাস্তবতা আমরা মানুষের সামনে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবো এবং এদের সরকারি ফাতওয়ার জবাব আমরা শরীয়তের ইলমের আলোকে প্রদান করার চেষ্টা করবো। যদিও আল্লাহর রাস্তার মুজাহিদদের অন্তর কাফের ও মুরতাদদের থেকে এরাই বেশি জখম করে, তবুও তাদের হত্যা বা বন্দী করা থেকে আমরা বিরত থাকবো, যতক্ষণ না আমাদের কাছে এমন কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থিত হয় যে, তারা শরীয়ত প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে।

                  Comment


                  • #24
                    আমার একটা পরামর্শ, লোন উলফ ম্যাগাজিন গুলোর আরো ব্যপকভাবে প্রচারণা করা যায় কিনা?

                    Comment


                    • #25
                      @সম্মানিত জাকারিয়া আব্দুল্লাহ ভাইঃ
                      প্রায় কয়েকবছর পর ফোরামে ব্যাক করে আপনার কোন স্ট্যাটাস বা কমেন্ট এর জন্য অপেক্ষমান ছিলাম।
                      যাই হোক ভাই, বেশ কিছুদিন আগে সংগত কারণে আমার সাথে এক tt (টপ টেরর) এর যোগাযোগ ছিল।
                      তখন তিনি আমাকে কিছু কথা বলেছিলেন। আমি সেগুলোকে হালকা আলাপ বলে মনে করেছিলাম।
                      যেমন উনি বলেছিলেন যে এখন দেশের সব কিছুই সেনা প্রধান আর তার ভাই জোসেফ নিয়ন্ত্রণ করছে। (যা আমি প্রায় ৬-৭মাস আগে এক ছাত্রলীগ নেতার সাথে কথা বলেও শুনেছিলাম) তো পরে আল জাজিরার ডকুমেন্টসটা বের হলে আমি কিছুটা নিশ্চিত হই।

                      সেই টিটি ভাই সেই সময়েই বলেছিলেন হেফাযত আর ভিপি নূরুর দল একটা কোয়ালিশন আন্দোলন করবে, আর এটার মাস্টার মাইন্ড হচ্ছে তারেক জিয়া। এখন বাস্তবতায় আমি তাই দেখছি।
                      আসলে তারা চাচ্ছে দেশে একটা অস্থিরতা তৈরী করে সেনা ক্যু করাতে এবং এরপর নির্বাচন এর মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে। এটা হল মূল প্লান। এখন হেফাযত এর হাকিমিয়্যাহর আকীদা কি আমরা জানি। তারা শুধু চাচ্ছে যেভাবে হোক ক্ষমতার পালা বদল। যেই আসুক সমস্যা নাই, একটু ইসলামবান্ধব হলেই হল।

                      এখন যদি বলি আমাদের ফায়দা কি? আসলে বর্তমান আমাদের তানজীমি হালাত আমি যা জানি তাতে তেমন কিছু করার নেই।

                      আমি একটি বিষয় আপনাদের বলি তা হলঃ আমরা আমাদের বিভিন্নি মিডিয়া প্রোপাগান্ডার রিচ যখন লাখ খানেক দেখি তখন বাস্তবিকই খুশি হই। কিন্তু কথা হল আমাদের এই মিডিয়া জাতীয় পর্যায়ে কোন সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পেরেছে কি? হয়তো এই ইস্যু নিয়ে অচিরেই আমাদের মিডিয়া থেকে ওডিও বা ভিডিও আসবে তাতে সামগ্রিক লাভ কি হচ্ছে? যেসকল ঈমানদাররা প্রভাবিত হচ্ছে তারা কি সমাজে কোন প্রভাব সৃষ্টি করতে পারছে?

                      আসলে আমাদের মিডিয়ার বর্তমান ওডিয়েন্স হওয়া উচিত সেইসকল আলিম যারা হেফাযত এর লিডিং এ আছেন বা এর আশে পাশের আপ কামিং লিডারশিপ। তারা জংগি হোক এটা তো কাম্য কিন্তু না হলেও অন্তত যেন আমাদের এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করে বুঝে বা না বুঝে তার দিকে আমাদের মনযোগী হওয়া উচিত।

                      এখন আরেকটি কথা হল আমরা চাই পুরা হিন্দুস্তান জুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে যাতে পরের ধাপে যাওয়া সহজ হয়। কিন্তু ভাই আসলে আমাদের সক্ষমতা যা আমি জানি সেই গতিতে আগালে জানি না গড় আয়ুর হায়াতে ২য় ধাপ তো দূরের কথা অস্থিরতার স্টেজই দেখে যাওয়া সম্ভব মনে হচ্ছে না। কারণ আমাদের চেয়ে সামরিক দিক দিয়ে এডভান্স উলফাও হিন্দুস্তানকে অস্থির করতে পারে নি। আর করলেও আমরা যে মানের চাই সেই মান উত্তীর্ণ হয় নি। তাহলে আমাদের করনীয় কি?

                      আমার মতে এমন সকল অস্থিরতা যা বাংলাদেশে হঠাৎ সৃষ্টি হয় তাকে যতদূর পারা যায় লেংদি করা যাতে অন্তত ক্ষমতার পালাবদল হয়। অর্থাৎ এই অস্থিরতা লেংদি করার জন্য যা করা যায় তাই চিন্তা করে বের করা। আর যেই দলই ক্ষমতায় আসুক তাতে আমাদের তেমন ক্ষতি নেই কারণ এরফলে অন্তত প্রশাসনিক বিভিন্ন পদে পরিবর্তন আসবে। আর এই রদবদল পুরা রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ২-৩ বছরের জন্য দূর্বল করে দেয়। আর এর প্রভাব আমাদের চেয়ে বেশি আর কে বুঝবে।

                      আপাতত না আমরা ক্ষমতায় আসতে পারবো, না আমাদের লক্ষ্য এটি। এখন আমাদের উচিত এমন কোন গভর্নমেন্টকে ক্ষমতায় যেতে সাহায্য করা যে ইসলামিস্ট না হলেও অন্তত চরম জাতীয়তাবাদি এবং একই সাথে হিন্দুস্তান বিরোধী হবে। যদি এমন হয় তবে কোন সন্দেহ নেই যে হিন্দুস্তান এই দেশে আজ বা কাল সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে। কারণ এতদূর সে তার পুরা পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়েছে তা সে হাতছাড়া করতে চাবে না।

                      তখন আল্লাহ চাইলে আমাদের জন্য পুরা হিন্দুস্তান জুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করা সহজ হবে ইংশা আল্লাহ।
                      কারণে একটি প্রবাদ আছে যা মোটামুটি এমনঃ আজ বাংলায় যা হচ্ছে কাল হিন্দুস্তানে তা হবে।

                      Comment


                      • #26
                        মুহতারম ভাইয়েরা আমার!খুব একটা সুন্দর কাজ হাতে নিয়েছেন।কিন্তু এ প্রশ্ন গুলির উত্তর দিবে কে বা পাব কৈ?শুধু শুধু প্রশ্নের মাধ্যমে কি বুঝাইতে চাচ্ছেন?এটার মাধ্যমে সাথীদের লাভ হবে নাকি ক্ষতি হবে? একটু বুঝিয়ে বল্লে ভাল হবে ইনশাআল্লাহ ।

                        Comment


                        • #27
                          Originally posted by ibn mumin 2021 View Post
                          @
                          আমার মতে এমন সকল অস্থিরতা যা বাংলাদেশে হঠাৎ সৃষ্টি হয় তাকে যতদূর পারা যায় লেংদি করা যাতে অন্তত ক্ষমতার পালাবদল হয়। অর্থাৎ এই অস্থিরতা লেংদি করার জন্য যা করা যায় তাই চিন্তা করে বের করা। আর যেই দলই ক্ষমতায় আসুক তাতে আমাদের তেমন ক্ষতি নেই কারণ এরফলে অন্তত প্রশাসনিক বিভিন্ন পদে পরিবর্তন আসবে। আর এই রদবদল পুরা রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ২-৩ বছরের জন্য দূর্বল করে দেয়। আর এর প্রভাব আমাদের চেয়ে বেশি আর কে বুঝবে।

                          আপাতত না আমরা ক্ষমতায় আসতে পারবো, না আমাদের লক্ষ্য এটি। এখন আমাদের উচিত এমন কোন গভর্নমেন্টকে ক্ষমতায় যেতে সাহায্য করা যে ইসলামিস্ট না হলেও অন্তত চরম জাতীয়তাবাদি এবং একই সাথে হিন্দুস্তান বিরোধী হবে। যদি এমন হয় তবে কোন সন্দেহ নেই যে হিন্দুস্তান এই দেশে আজ বা কাল সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে। কারণ এতদূর সে তার পুরা পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়েছে তা সে হাতছাড়া করতে চাবে না।
                          এই মতের শরয়ী পর্যালোচনা বাদ দিই। এ দেশে কি ক্ষমতার পালা বদল সম্ভব। মানে হাসিনা চলে গেলে কে আসবে ? খালেদা ! সে কি পারবে হাসিনার মতন ভারত ও পশ্চিমাদের স্বার্থ রক্ষা করতে ? পারবেনা। আর পারলেও কি তাকে আসতে দিবে হাসিনা ? হাসিনা তখন প্রভুদেরকে বলবে, তাকে ক্ষমতায় এনে কি লাভ! সে যা দিবে তার চেয়ে দ্বিগুণ বরং আমিই তো দিলাম, আর কি চাই,লাগলে আরো দিবো!! ব্যাস। হাসিনাই ক্ষমতায় থেকে যাবে।
                          আর খালেদা কি চরম জাতীয়তাবাদী !! না। তাহলে আর কে ক্ষমতায় আসবে??
                          পাশের দেশ মিয়ানমারের দিকে একটু দৃষ্টি দেয়া আবশ্যক। দেখেন সেখানে সেনাবাহীনির বিরোধীতা করে পুরো দেশ এক হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক ভাবে বিভিন্ন চাপও আসছে। আবার যারা গুলি করছে তারা এবং যাদেরকে গুলি করছে তারা-- সবাই একই ধর্মাবলম্বী। কিন্তু কিছু কি হচ্ছে ? হচ্ছেনা, হবেনা। আর আমাদের দেশে যদি এমন একটা অবস্থার সৃষ্টী হয় তাহলে নিশ্চিত আন্তর্জাতিক চাপ আরো কম আসবে মিয়ানমার থেকে। কারণ আমরা মুসলিম। এ অবস্থায় অস্ত্র ছাড়া তাদের সামনে শুধু আন্দোলন দিয়ে টিকে থাকা মুশকিল। বিষেশ করে এ দেশের মানুষের যে হালাত!!!
                          তাই, এখন। আমার মতে এখন,নিজ পরিমন্ডলে দাওয়াহর কাজকে খুব গতিশীল করা।সমর্থক ও যোগ্য সাথী বাড়ানো।বাংলাদেশের জনগণ ধার্মিক-- এই বিষয়টা কাজে লাগিয়ে তাদের খুব কাছে পৌঁছা জরুরী। আলেমদেরকে দাওয়াহর ক্ষেত্রে প্রায়োরিটি দেয়া।এবং চলমান অস্থিরতাকে যদি কোন ভাবে দীর্ঘমেয়াদি করা যায়, তাহলে তাই করা। কাজের ক্ষেত্রে 4g ওয়্যারকে ফলো করা। আর সবচেয়ে বড় হলো, কাজে নেমে পড়া। ঘরে বসে বসে, ল্যাপটপ আর মোবাইলে উপদেশ দেয়া, বড় বড় চিন্তা জাহির করা সহজ। কিন্তু কঠিন হচ্ছে, বাস্তবতা। তাই, সময় নষ্ট না করে সবাই কাজে নেমে পড়ুন। প্রচুর কাজ করতে হবে। গন্তব্য অনেক দূর। ওয়াল্লাহু আ'লাম।
                          আমরা গড়তে চাই, ধ্বংস নয়; আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে চাই, বিভক্তি নয়; আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই, পিছনে নয়! শাইখুনা আবু মোহাম্মাদ আইমান হাফিঃ

                          Comment


                          • #28
                            Originally posted by ibn mumin 2021 View Post
                            @সম্মানিত জাকারিয়া আব্দুল্লাহ ভাইঃ
                            প্রায় কয়েকবছর পর ফোরামে ব্যাক করে আপনার কোন স্ট্যাটাস বা কমেন্ট এর জন্য অপেক্ষমান ছিলাম।

                            সেই টিটি ভাই সেই সময়েই বলেছিলেন হেফাযত আর ভিপি নূরুর দল একটা কোয়ালিশন আন্দোলন করবে, আর এটার মাস্টার মাইন্ড হচ্ছে তারেক জিয়া। এখন বাস্তবতায় আমি তাই দেখছি।
                            আসলে তারা চাচ্ছে দেশে একটা অস্থিরতা তৈরী করে সেনা ক্যু করাতে এবং এরপর নির্বাচন এর মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে। এটা হল মূল প্লান।
                            আলহামদুলিল্লাহ দীর্ঘদিন পর আপনার কমেন্ট পড়ে ভাল লাগছে। আল্লাহ আপনার জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে সবকিছু সহজ করে দিন এবং আমাদের সকলের জন্যও।

                            সেই টিটির দেয়া ১ম তথ্য সঠিক ছিল বুঝা যাচ্ছে - ইতিমধ্যে তা প্রমাণিত হয়েছে। আর সেই তথ্যটি টিটি-দের জানার কথাও কারণ হারিসও আন্ডার-ওয়াল্ডে কাজ করেছে বা করে।

                            টিটর দেয়া বর্তমান আন্দোলন বিষয়ক তথ্য এর ব্যাপারে - আর কিছুদিন গেলে হয়তো ব্যাপারটি একসময় ক্লিয়ার হবে, আল্লাহু আ'লাম। তবে বাস্তবতা বেশ ঘোলা। যেমনঃ

                            - একদিকে হেফাজতের অনেক নেতা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৪ ও ২০ দলীয় জোটের শরীক ইসলামী গণতান্ত্রিক দলেরও নেতা - এটি তো সঠিক। এ সকল ইসলামী দল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন কাজ করেছে। তাই তারেক রহমানের সাথে এ সকল দলের নেতাদের গোপন সম্পর্ক থাকলে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। অর্থাৎ, ঐ সকল দলের নেতারা শেখ হাসিনার জুলুম থেকে মুক্তির জন্য তারেক রহমানের পরিকল্পনায় কাজ করতে পারে। এটি একটি সম্ভাবনা।

                            - দীর্ঘদিন থেকে লন্ডনে থাকা কর্ণেল শহীদ ও তার সাথীরা গণ-আন্দোলনের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কথা-বার্তা বলছিল। তারা এই দাবীও করছিল যে, আন্দোলন হলে সামরিক বাহিনী জনগণের সাথে থাকবে। এদের সাথেও তারেক রহমানের সম্পর্ক অসম্ভব নয়। তবে তাদের উপরুপ্ত পরিকল্পনা ও সামরিক বাহিনীতে এই সাপোর্ট - সক্ষমতা থাকলে - মিডিয়াতে এইভাবে বারবার ঘোষণা করাট একটু অস্বাভাবিকই।

                            - আমাদের স্বাভাবিক বুঝ অনুযায়ী, তারেক রহমানের এমন পরিকল্পনা থাকলে আর টপ টেরর-রা এই ধরনের তথ্য জানলে হাসিনা সরকারও জানার কথা। সেটি হলে - বর্তমান আন্দোলনকে যত শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করা যায় - সেটিই হওয়া উচিত ছিল হাসিনা সরকারের ইচ্ছা। কিন্তু বাস্তবে তাদেরকে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশী মারমুখি দেখা গেছে - যা এমন কিছুর বিরোধী। এক মাদ্রাসার উস্তাদ এমন তথ্যও দিয়েছেন যে, আগের রাতে তাদের কাছে খবর এসেছে যে - সরকার হার্ড-লাইনে আছে। ৪০-৫০টি লাশ পড়লেও সমস্যা নেই। তবে এ রকম তথ্য ছড়িয়ে সবাইকে ভীত করে তোলা একটি উদ্দেশ্য হতে পারে।

                            - আবার এই মারমুখী অবস্থানের উদ্দেশ্য এটিও হতে পারে - প্রেশার দিয়ে এই আন্দোলনকে থামিয়ে রেখে মুদির ভিজিট প্রোগ্রাম সুন্দরভাবে শেষ করা। কিন্তু উপরুক্ত তথ্য সত্য হলে সরকার এখানে এত প্রেশার দেয়ার কথা না।

                            - এই বিষয়ে আরেকটি চিন্তাধারা হচ্ছে - শেখ হাসিনা ভালভাবেই বুঝে তার জনসমর্থন তলানিতে। তাই এ রকম কোন আন্দোলনকে ইস্যু করে নিজেদের অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশকে দিয়ে ক্ষমতা নিয়ে এরপর ২/৩ বছর পর আবার ক্ষমতায় আসা - এটি একটি সম্ভাবনা যা উড়িয়ে দেয়া কঠিন।

                            বাস্তবে - রাজনৈতিক চাল অনেক আছে - অনেক লেভেলে প্লে হয় - অনেক সময় একাধিক লেয়ারে একাধিক গেইম প্ল্যান থাকে - একই প্লেয়ার একাধিক প্লে-ও করতে পারে - তবে বড় কোন গণআন্দোলন হলে সেটির ফুল কন্ট্রোল আন্দোলন শুরু যারা করে কিংবা যারা শুরুতে পিছনে থেকে কল-কাঠি নাড়ে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কঠিন - ফাইনালি আল্লাহ যেটি চান সেটিই উঠে আসে।

                            যে কোন আন্দোলনের ব্যাপারে আমরা আল্লাহর কাছে শেষের সেই কল্যাণটিই কামনা করি। আল্লাহুম্মা আমীন।

                            নোটঃ বর্তমান এই আন্দোলনটি কি আসলে "বিশাল এক হুংকারের পর নরম বিবৃতি" নাকি অন্য কিছু সেটি আরোও কিছুদিন গেলে বুঝা যাবে ইনশাআল্লাহ। আগে অবশ্য সবই হুংকার ফলোওড বাই বিবৃতিতে ঠেকেছে।

                            Comment


                            • #29
                              Originally posted by হাবিবুল্লাহ000 View Post
                              মুহতারম ভাইয়েরা আমার!খুব একটা সুন্দর কাজ হাতে নিয়েছেন।কিন্তু এ প্রশ্ন গুলির উত্তর দিবে কে বা পাব কৈ?শুধু শুধু প্রশ্নের মাধ্যমে কি বুঝাইতে চাচ্ছেন?এটার মাধ্যমে সাথীদের লাভ হবে নাকি ক্ষতি হবে? একটু বুঝিয়ে বল্লে ভাল হবে ইনশাআল্লাহ ।
                              মুহতারাম ভাই, আশা করি এই থ্রেডেই উত্তরগুলো লিখা হবে ইনশাআল্লাহ। যদিও একটু সময় লাগতে পারে।

                              Comment


                              • #30
                                Originally posted by ibn mumin 2021 View Post
                                এখন যদি বলি আমাদের ফায়দা কি? আসলে বর্তমান আমাদের তানজীমি হালাত আমি যা জানি তাতে তেমন কিছু করার নেই।

                                এখন আরেকটি কথা হল আমরা চাই পুরা হিন্দুস্তান জুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে যাতে পরের ধাপে যাওয়া সহজ হয়। কিন্তু ভাই আসলে আমাদের সক্ষমতা যা আমি জানি সেই গতিতে আগালে জানি না গড় আয়ুর হায়াতে ২য় ধাপ তো দূরের কথা অস্থিরতার স্টেজই দেখে যাওয়া সম্ভব মনে হচ্ছে না। কারণ আমাদের চেয়ে সামরিক দিক দিয়ে এডভান্স উলফাও হিন্দুস্তানকে অস্থির করতে পারে নি। আর করলেও আমরা যে মানের চাই সেই মান উত্তীর্ণ হয় নি। তাহলে আমাদের করনীয় কি?

                                আমার মতে এমন সকল অস্থিরতা যা বাংলাদেশে হঠাৎ সৃষ্টি হয় তাকে যতদূর পারা যায় লেংদি করা যাতে অন্তত ক্ষমতার পালাবদল হয়। অর্থাৎ এই অস্থিরতা লেংদি করার জন্য যা করা যায় তাই চিন্তা করে বের করা। আর যেই দলই ক্ষমতায় আসুক তাতে আমাদের তেমন ক্ষতি নেই কারণ এরফলে অন্তত প্রশাসনিক বিভিন্ন পদে পরিবর্তন আসবে। আর এই রদবদল পুরা রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ২-৩ বছরের জন্য দূর্বল করে দেয়। আর এর প্রভাব আমাদের চেয়ে বেশি আর কে বুঝবে।

                                আপাতত না আমরা ক্ষমতায় আসতে পারবো, না আমাদের লক্ষ্য এটি। এখন আমাদের উচিত এমন কোন গভর্নমেন্টকে ক্ষমতায় যেতে সাহায্য করা যে ইসলামিস্ট না হলেও অন্তত চরম জাতীয়তাবাদি এবং একই সাথে হিন্দুস্তান বিরোধী হবে। যদি এমন হয় তবে কোন সন্দেহ নেই যে হিন্দুস্তান এই দেশে আজ বা কাল সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে। কারণ এতদূর সে তার পুরা পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়েছে তা সে হাতছাড়া করতে চাবে না।

                                তখন আল্লাহ চাইলে আমাদের জন্য পুরা হিন্দুস্তান জুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করা সহজ হবে ইংশা আল্লাহ।
                                কারণে একটি প্রবাদ আছে যা মোটামুটি এমনঃ আজ বাংলায় যা হচ্ছে কাল হিন্দুস্তানে তা হবে।
                                মুহতারাম ভাই,

                                গভীর চিন্তার উদ্রেককারী কিছু কথা বলেছেন মাশাআল্লাহ। এই ব্যাপারে কিছু খেয়ালঃ

                                - পুরো হিন্দুস্থান জুড়ে অস্থিরতাঃ আসলে কোন গোপন জিহাদী সংগঠন দুনিয়ার কোথাও নিজেরা একাকী এই অস্থিরতা তৈরী করতে পারে নি - বিশেষত এটি পোষ্ট ৯/১১ যুগে আরও বেশী সত্য হবে। প্রতিটি জিহাদের ময়দানই আগে আল্লাহর ইচ্ছায় অন্য কোনভাবে ব্যাপক গণ-আন্দোলন বা যুদ্ধ-পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে
                                আর মুজাহিদিনগণ পরে সেই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েছেন।

                                - তাহলে এই ব্যাপারে আমাদের করণীয় কী? - সম্মুখ সমরের ময়দানের বাইরে আসলে জিহাদী তানজিম টিকে থাকাই একটি বড় কাজ যাতে উপরুক্ত কোন পরিস্থিতি তৈরী হলে সুযোগ কাজে লাগানো যায়। এর আগে পর্যন্ত দাওয়া, ইদাদ, জনসমর্থন তৈরী ও সীমিত সারিয়া জারি রাখা ইত্যাদি চালু রাখা। আল্লাহু আ'লাম।

                                - ক্ষমতার পালাবদল হলে মুজাহিদিনের সুবিধা - একমত। তবে এমন আন্দোলন / অস্থিরতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার সামর্থ্য আছে কিনা সেটি একটি বিষয়। বাকী লং টার্মে মিডিয়া এফোর্ট দিয়ে পাবলিক সেন্টিমেন্ট প্রস্তুত করা, ইসলামী জনতার মুখে আমাদের কথা তুলে দেয়া - এগুলো হয়তো আল্লাহর সাহায্যে সম্ভব ইনশাআল্লাহ যা কিছুটা এখনো দেখা যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।

                                - ইসলামী দলগুলোর নেতৃত্বকে টার্গেট করে মিডিয়া ওয়ার্ক - আংশিক একমত। বাস্তবে এটি ২ দিক থেকেই হতে হবে। এ সকল দলের নেতৃত্ব এর সামনে বারংবার দীর্ঘ-মেয়াদী চিন্তা তুলে ধরা এবং এ সকল দলের কর্মী-সমর্থকদের মুখে আমাদের কথা তুলে দেয়া। নেতাদের অনেক সময়ই ফলোয়ারদের কথা রক্ষা করতে হয় বিশেষত যেখানে নিজেদের দীর্ঘমেয়াদী কোন উদ্দেশ্য বা কৌশল অনুপস্থিত থাকে। ফোকাসড মিডিয়া এফোর্টের মাধ্যমে এগুলো হয়ত অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ।

                                - ইসলামিষ্ট না হলেও চরম-জাতীয়তাবাদী সরকার - চরম জাতীয়তাবাদী সরকার হলেও মুজাহিদিনের উপর চাপ আসতে থাকবে। এটি থামার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ওদের কেউ ভারতের দাস, কেউবা আমেরিকা কিংবা চায়নার দাস। বরং বারংবার ক্ষমতার পালা-বদলই হয়তো মুজাহিদিনের জন্য উত্তম, যদিও এই ব্যাপারে মুজাহিদিনের তেমন সামর্থ্য এখন নেই। আল্লাহু আ'লাম।


                                Comment

                                Working...
                                X