Announcement

Collapse
No announcement yet.

“ফুরসান তাহতা রায়াতিন নাবিয়্যি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” সিরিজ-৪৮

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • “ফুরসান তাহতা রায়াতিন নাবিয়্যি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” সিরিজ-৪৮

    তৃতীয় অধ্যায়: ময়দানে প্রত্যাবর্তন- পঞ্চম পরিচ্ছেদ:দাগিস্তান: উপায় শেষ হওয়ার পর সাহায্য


    দ্বিতীয় বিষয়:

    কারাগারের অবস্থাগুলো নিয়ে কিছু ভাবনা


    وَقَدْ أَحْسَنَ بَي إِذْ أَخْرَجَنِي مِنَ السِّجْنِ

    رَبِّ بِمَا أَنْعَمْتَ عَلَيَّ فَلَنْ أَكُونَ ظَهِيرًا لِّلْمُجْرِمِينَ

    “নিশ্চয়ই তিনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করে আমাকে কারাগার থেকে বের করেছেন।”

    “হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন, তজ্জন্য আমি আর কখনো অপরাধীদের সহযোগী হব না।”

    পূর্বে বলে এসেছি যে, আমাদেরকে দারবান্দ শহরে গ্রেফতার করে দাগিস্তানের রাশিয়ান বর্ডারগার্ডের কমান্ডারদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। সেখানে আমাদের বিরুদ্ধে সরকারি অভিযোগের ফাইল খোলা হয়। আইনীভাবে আমাদের সাথে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়। আমাদের বিরুদ্ধে ভিসা বিহীন রাশিয়ান ফেডারেশনের অঞ্চলে ঢুকে পড়ার অভিযোগ আনা হয়।

    এটা ছিল রাশিয়ার অভ্যন্তরে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর সাথে আমার প্রথম সাক্ষাৎ। আমি যখন বিভিন্ন ইসলামী নামের অফিসারদেরকে দেখলাম আমাদেরকে তদন্ত করছে, তখন আমার কতটা যে ব্যাথা অনুভূত হয়েছে, সেই বাস্তবতা নিজ চোখে দেখা কখনোই শোনার মত হবে না।

    এটা আমার কাছে এ বিষয়টা আরো শক্তিশালী করল যে, আমাদের সর্বাধিক ভয়ংকর শত্রু হল অভ্যন্তরীণ দালাল এবং ভিতরে অবস্থানকারী বাতিলদের সহযোগী ও সৈন্যরা, যারা আমাদের মতই নাম ধারণ করে এবং আমাদের ধর্মীয় ভাষায়ই কথা বলে। এরাই হল হিংস্র হাত, দাঁত, দ্রুতগামি পা ও গ্রাসকারী হাত, যাদের মাধ্যমে আমাদের শত্রুরা আমাদেরকে দমন করছে। চাই তারা রাশিয়ান সেনাবাহিনীর অফিসার হোক, কিংবা মিশরীয় গোয়েন্দা বাহিনীর অফিসার হোক।

    আমি অনেক সময় রাশিয়ানদের হাতে নির্যাতিত জনগণকে নিয়ে ভাবতাম। কিভাবে রাশিয়ানরা তাদের দ্বীন, দুনিয়া, আকিদা ও সামাজিক ব্যবস্থা নষ্ট করে দিয়েছে এবং পরিশেষে এমন বিকৃত সমাজের রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে, যা ইসলাম চায়, কিন্তু আবার রাশিয়ান নিপীড়নের ভয়ে নিচু হয়ে থাকে। আমি অনুধাবন করতে পারছিলাম যে, গোটা অঞ্চলটি একটি বিৃশঙ্খল অবস্থায় আছে। নিজ সত্ত্বা, নিয়তি ও আত্মপরিচয় খোঁজছে। একারণে তারা পূর্বেও এবং এখনো পর্যন্ত চেচেন জিহাদের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পেরেছেন, যা এত সব দুর্যোগের মাঝেও ককেশাশি মুসলিমদের মনে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে।

    কারাগারটির শোচনীয় অবস্থা ছিল। ষ্টেশনারী সামগ্রীর একটি প্যাকেট দু’টি শেলে পাঠানো হল। ক্যাম্পের মধ্যে আমরা বিস্ময়ের বস্তু ছিলাম। সকলে আমাদের দিকে শত্রুর মত তাকাত। কিন্তু কিছুটা সহানভূতির সাথে, বিশেষত: সেসকল মুসলিম অফিসাদের পক্ষ থেকে, যারা একথা প্রকাশে আগ্রহী ছিল যে, তারা ধর্মের কারণে শত্রুতা করে না। কিন্তু দিনশেষে আমরা তাদের শত্রুই।

    এ ধাপটিও ঐশী করুণা থেকে মুক্ত থাকল না। কারণ অধিকাংশ বন্দিরা আমাদের প্রতি খুব সহানুভূতিশীল ছিল। তাদের অধিকাংশের মামলা হল, সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছ থেকে ছোট খাট চোরাচালানের ঘটনা। তারা আমাদেরকে অনেক উপকারি আইনী উপদেশাবলী শোনান। তাদের অনেকে আমাদের ব্যাপারটিকে ঘুষের মাধ্যমে সমাধান করার জন্য আমাদের মাঝে ও তদন্ত বিভাগের পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের মাঝে মধ্যস্থতা করতে চেষ্টা করেন। অর্থাৎ আমরা আমাদের সাথে যে পরিমাণ অর্থ আছে, তা প্রদান করতে রাজি হব। এর বিনিময়ে তারা আমাদেরকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। আমরা প্রস্তাব গ্রহণের কথা প্রকাশ করলাম। কিন্তু আমাদের মামলাটি বড় হয়ে গিয়েছিল। রাজধানীর টেলিভিশন সংবাদে তা উল্লেখ করা হয় এবং মামলাটি নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের সুপর্দ করা হয়।

    ওই সময় আমরা বন্দিদেরকে আমাদের সাথে নামাযের দাওয়াত দিতে ও কয়েকটি ছোট ছোট সূরা শিক্ষা দিতে আগ্রহি হলাম। আমরা বুঝতে পারলাম, তাদের অনেকেই নামে মাত্র মুসলমান, সূরা ফাতিহাটি পর্যযন্ত ভালো করে পড়তে জানে না।

    আমরা সেই অজানা জগতের সাথে যোগাযোগ করা শুরু করলাম, যাদের ভাষা, অভ্যাস, এমনকি কার্যগতভাবে তাদের সম্পর্কে কিছুই জানি না। বন্দিদের সহানভূতিটুকু ব্যতিত কারা কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের অবস্থা ছিল- যেমনটা তারিক ইবনে যিয়াদ তার সৈন্যদেরকে বলেছিলেন: “ইতরদের দস্তরখানে এতিমদের মত”

    আমরা দেখলাম, অনেক পণ্যসামগ্রী বিক্রয়ের জন্য তোলা হয়েছে। রাশিয়ান সৈন্যরা আমাদেরকে জিজ্ঞেস করছিল: তোমাদের সাথে কি ডলার আছে। তোমাদের কি মদ লাগবে? তোমাদের সিগারেট লাগবে? যা আমাদের ছাড়া অন্যদের কাছে অনেক বিক্রয় করছে। একবার আমাদের একজন তীব্র পেট ব্যথায় আক্রান্ত হল। তখন আমাদের নিকট অফিসার ডাক্তার আসল। তার সাথে ছিল একজন নার্স সৈনিক। সে রোগীকে একটি ডোজ দিল। এ সময় বন্দিরা খুব খোলা মনে নার্স থেকে ব্যাথার টেবলেট ও ব্যাথা নাশক ঔষধ কিনতে লাগল।

    মোটকথা, আমাদেরকে রাজধানী ম্যাচাকালায় ট্রান্সফার করা হল। কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢুকানো হল। আমাদের সাথেও সাধারণ বন্দিদের ন্যায় আচরণ করা হল। যদিও দুঃখের মধ্যেই ছিলাম, তথাপি এটা আমাদেরকে আনন্দিত ও প্রশান্ত করছিল। আমি দুঃখের মাঝে থেকেও এই ভেবে আনন্দিত ছিলাম যে, মামলাটি নিরাপত্তা ধারার বাইরে সাধারণ কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত মামলায় পরিণত হয়েছে। এভাবে আমরা নিজেদেরকে দাগিস্তানের আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সমুদ্রে চোর, খুনি ও প্রতারকদের সাথে আবিস্কার করলাম.. কী বুঝলেন?

    আমাদেরকে নতুন বন্দিদের বিভাগে অন্তর্ভূক্ত করা হল। যেটাকে রাশিয়ান ভাষায় ক্রান্টাইন বলা হয়, যা মিশরীয় কারগারগুলোতে ব্যবহৃত ‘ইরাদ’ এর সমার্থক। তাতে কয়েকটি সেল ছিল। আমাদেরকে সবার শেষের সেলটিতে ঢুকানো হল। আমরা দেখলাম, একটি দীর্ঘকায় কক্ষ, যার দৈর্ঘ প্রায় দশ মিটার এবং প্রস্থ পাঁচ মিটার। তাতে ঢুকতেই বাম পাশে একটি কাঠের বেঞ্চ, যা মাটি থেকে প্রায় ১ মিটার উঁচু। তার নিচে ময়লার স্তুপ। তার নিচে দু’টি ইদুর খেলাধুলা করছে। বেঞ্চটি কক্ষের সমান দীর্ঘ। প্রস্থ প্রায় দুই মিটার। এটি হল এখানকার অধিবাসীদের জন্য যৌথ খাট। যাদের সংখ্যা প্রায় ১৫ জন। তারা আমাদেরকে ভালোবাসাপূর্ণ অভ্যর্থনা জানাল। তারা যখন জানল আমরা আরব, তখন আমাদের প্রতি তাদের সম্মান আরো বেড়ে গেল। যেহেতু বেঞ্চটি পরিপূর্ণ ভরা ছিল, তাই আমাদের স্থান সকলের শেষেই হল। এটা একটা সমস্যাপূর্ণ স্থান ছিল। কারণ আমরা বিশাল বড় একটি জানালার নিকটে ছিলাম। তার কাঁচ ভাঙ্গা ছিল। ফলে এখান দিয়ে আমাদের উপর দাগিস্তানের ডিসেম্বরের শীত ঋতুর কঠিন শৈত্যপ্রবাহ আছড়ে পড়ত। আমাদের সাথে শুধুমাত্র একটি পশমের চাদর ছিল। এটাকেই আমরা সকলের জন্য বিছানা বানিয়ে নিলাম। আর একটি কম্বল ছিল, যা অন্যান্য বন্দিরা আমাদেরকে অনুগ্রহ করে দান করেছে। আমরা এটাই চাদর হিসাবে ব্যবহার করলাম।

    কক্ষের এক কোণে একটি পানির ট্যাপ ও বেসিন ছিল। এর পাশেই একটি টয়লেট, যার প্রায় এক মিটার উঁচু অসম্পূর্ণ একটি দেয়াল ছিল। বন্দিগণ সূতা প্লাষ্টিকের ব্যাগ দিয়ে এটা পরিপূর্ণ ঢেকে দিয়েছিলেন। প্রকৃতপক্ষে এটা টয়লেট ছিল না। বরং উপর তলা থেকে নেমে আসা একটি পানির পাইপের মুখ ছিল। আপনি যখনই উপর তলার টয়লেট থেকে দ্রুতবেগে পানি আসার আওয়াজ শুনতে পাবেন, সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে দ্রুতবেগে বাথরূমের বাইরে লাফিয়ে পড়তে হবে। আর নয়ত সর্বপ্রকার ঘৃণার সাথেই সেই নেমে আসা পানিতে ডুবতে হবে।

    এ সকল অবস্থাগুলো ব্যতিত বাকি পরিবেশটি খুব ভালোবাসাপূর্ণ ও মজাদার ছিল। বন্দিগণ তাদের সামর্থ্যমত আমাদেরকে তাদের খাবার, রুটি, চা ও মাখন দিতে কার্পণ্য করেননি। যার মূল্য একমাত্র সে ছাড়া কেউ বুঝবে না, যে এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে জেলখানার খাবার গ্রহণ করতে বাধ্য হয়।

    নামাযের সময় হলে আমরা আযান দিলাম এবং জামাতে নামায আদায়ের ব্যবস্থা করলাম। তারপর বন্দিদেরকে নামাযের জন্য ডাকতে লাগলাম। তাদের কতক সাড়া দিল, আর বাকিরা বিভিন্নরূপ ওযর দেখাল। কিন্তু তারা আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল ছিল।

    আমরা কারাগারের যোগাযোগ-নেটওয়ার্ক খুঁজে পেলাম। প্রত্যেক কারাগারের বন্দিরাই পরস্পরের সাথে সম্পর্ক রাখত। আরবদের কারাগারে পৌঁছার সংবাদ তৎক্ষণাৎ সব সেলে জানিয়ে দেওয়া হল।

    পরবর্তী দিন, বন্দিরা আমাদেরকে তাদের ভাষায় (তবে বেশিরভাগই ইঙ্গিতে) এটা জানাল যে, উপর তলায় একজন রাশিয়ান বন্দি আছে, যিনি ব্যাংকের চাকুরিজীবি ছিলেন। ইংরেজি বুঝেন। আমরা আমাদের ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ লিখে তার প্রতি একটি চিঠি পাঠাতে পারি। কার্যতই আমি তার প্রতি একটি চিঠি লিখে আমাদের অবস্থা জানালাম যে, আমরা কিছু ব্যবসায়ী। আমরা ভিসা ছাড়া প্রবেশ করেছিলাম। তখন তার পক্ষ থেকে আমার নিকট একটি আইনী পরামর্শ এসেছিল, যার সারকথা হল, আমাদের ব্যাপারটি সহজ। কিন্তু আমাদেরকে দু’টি কাজ করতে হবে। প্রথমত: আমাদের দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। দ্বিতীয়ত আমাদের ব্যাপারটি নিয়ে কারো সাথে কথা বলা যাবে না। কারণ কারাগার গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্টদের দ্বারা পরিপূর্ণ।

    আমরা কয়েকদিন এই বরফপূর্ণ সেলে ভালোবাসা ও সহানুভূতিপূর্ণ পরিবেশে কাটালাম। এ সময় বন্দিরা আমাদেরকে আবেদন করতে লাগল, তাদের জন্য বিভিন্ন দু’আ লিখে দিতে। আমরা তাদেরকে আরবিতে লিখাতে লাগলাম। কিন্তু তারা নিজেদের ভাষায় যেভাবে উচ্চারণ করে, সেভাবেই লিখতে লাগল, অর্থাৎ রাশিয়ান ভাষায় তার অর্থ বুঝা ছাড়াই।

    ইবনুল কাইয়িম রহ. বলেন:

    “সফর কষ্টপূর্ণ বিষয়, এর দ্বারা সত্যবাদি-মিথ্যাবাদি যাচাই হয়। যখন তুমি তা শুরু করবে, তখন তা তোমার সহযোগীতে পরিণত হবে এবং তোমাকে গন্তব্যে পৌঁছে দিবে। ”

    তারপর একদিন তারা আমাদেরকে বের করল। কারাগারের একটি কক্ষে নিয়ে গেল। আমাদেরকে সামনে থেকে এবং পাশ থেকে ছবি তুলল। আমাদের আঙ্গুলের ছাপ নিল। তারপর আমাদেরকে ফিরিয়ে দিয়ে গেল। আমাদের তো মাথায় আঘাত পড়ল। আমি সাথীদেরকে বললাম: আমরা বিদেশি। খুব সম্ভাবনা আছে যে, তারা আমাদের ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ ইন্টারপোলের কাছে পাঠাবে। এতে আমাদের তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে। কারণ আমার ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ আন্তর্জাতিক পুলিশের কাছে আছে। আমি সাথী ভাইদেরকে বললাম: আমাদেরকে আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা ও দু’আ করতে হবে। কারণ সব উপকরণ শেষ হয়ে গেছে। শুধুমাত্র সকল উপকরণের প্রতিপালকই বাকি আছেন।

    ﴿أَمَّن يُجِيبُ الْمُضْطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكْشِفُ السُّوءَ وَيَجْعَلُكُمْ خُلَفَاء الْأَرْضِ أَإِلَهٌ مَّعَ اللَّهِ قَلِيلًا مَّا تَذَكَّرُونَ﴾.

    “তবে কে তিনি, যিনি কোন আর্ত যখন তাকে ডাকে, তার দু’আ কবুল করেন ও তার কষ্ট দূর করে দেন এবং যিনি তোমাদেরকে পৃথিবীর খলীফা বানান? (তবুও কি তোমরা বলছ) আল্লাহর সঙ্গে অন্য প্রভূ আছেন? না, বরং তোমরা অতি অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর।”

    এটা আমাদের জন্য আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুলের ব্যাপারে একটি প্র্যাক্টিক্যাল শিক্ষা এবং আল্লাহ ব্যতিত সকল শক্তির অলীক কল্পনা দূর করার মাধ্যম ছিল। এই তো পরাশক্তি রাশিয়া, মানুষ যার গোয়েন্দা সংস্থার নাম শোনার সাথে সাথেই ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে যায়, যারা মনে করে, তারা সৃষ্টিজীবের শ্বাস-প্রশ্বাসের সংখ্যাও গণনা করতে সক্ষম, পশ্চিমা দেশগুলোতে তাদের কত শত্রুকে হত্যা করেছে.. আর আমরা ছয় মাস যাবত তাদের জেলখানার ভিতরে অবস্থান করছি। কিন্তু তারা আমাদের ব্যাপারে কিছুই জানে না।

    وَاللّهُ غَالِبٌ عَلَى أَمْرِهِ وَلَـكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لاَ يَعْلَمُونَ

    “বস্তুত আল্লাহ নিজ কাজে বিজয়ী, কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।”

  • #2
    আল্লাহ আপনার কাজগুলো কবুল করুক। আমিন
    ধারাবাহিকভাবে চলমান থাকুক............
    গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

    Comment


    • #3
      ভাইয়ের মেহনতকে আল্লাহ কবুল করুন, আমাদেরকেও এ-থেকে উপকৃত করুন। আমিন!!
      "এখন কথা হবে তরবারির ভাষায়, যতক্ষণ না মিথ্যার অবসান হয়"

      Comment


      • #4
        এটা আমার কাছে এ বিষয়টা আরো শক্তিশালী করল যে, আমাদের সর্বাধিক ভয়ংকর শত্রু হল অভ্যন্তরীণ দালাল এবং ভিতরে অবস্থানকারী বাতিলদের সহযোগী ও সৈন্যরা, যারা আমাদের মতই নাম ধারণ করে এবং আমাদের ধর্মীয় ভাষায়ই কথা বলে। এরাই হল হিংস্র হাত, দাঁত, দ্রুতগামি পা ও গ্রাসকারী হাত, যাদের মাধ্যমে আমাদের শত্রুরা আমাদেরকে দমন করছে। চাই তারা রাশিয়ান সেনাবাহিনীর অফিসার হোক, কিংবা মিশরীয় গোয়েন্দা বাহিনীর অফিসার হোক।
        মুহতারাম শাইখের এই উপলব্ধিটি আমাদের দেশের ক্ষেত্রেও সমান প্রযোজ্য।
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment

        Working...
        X