Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ #| ১৯শে শাবান, ১৪৪২ হিজরি | ২রা এপ্রিল, ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ #| ১৯শে শাবান, ১৪৪২ হিজরি | ২রা এপ্রিল, ২০২১ ঈসায়ী |

    সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদের নিয়ে বিপাকে মাফিয়া আওয়ামী সরকার

    জনগণের প্রাণের অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ এবং তাদের ডাকা হরতালে পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়ক শক্তি হিসেবে মাফিয়া সরকার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঠে থাকা নিয়ে দলের ভেতরেই কথা উঠেছে। ঢাকার বায়তুল মোকাররমসহ কোথাও কোথাও হেফাজতের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা। এটাকে সংঘাতে উসকানি হিসেবেও দেখছেন সবাই।

    আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দলীয় কর্মীদের মাঠে থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি, উল্টা উত্তেজনা ছড়িয়েছে—এমন আলোচনাও খোদ আওয়ামী লীগে রয়েছে। দেশে এতগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকার পরও পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন দলের কর্মীদের নামাতে হলো, সেই প্রশ্নও সামনে এসেছে।

    আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কারও কারও মতে, নেতা-কর্মীদের এভাবে মাঠে নামানোর কারণে মনে হতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর সরকার বা দলের পুরোপুরি আস্থা নেই। অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মানুষের মনে এ ধরনের ধারণা তৈরি হলে তা বিপজ্জনক হবে।

    সসন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একজন নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরবিরোধী বিক্ষোভ এবং এটাকে কেন্দ্র করে সংঘাত মোকাবিলা আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিষয়। ফলে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগের এখানে সারসরি সম্পৃক্ত হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। অতীতে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঠে রাখার জোর চেষ্টা ছিল।

    হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী মোদিবিরোধী কর্মসূচি ও হেফাজতের হরতালে সন্ত্রাসী যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের মাঠে নামাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তার উৎসাহ ছিল বলেও জানা গেছে। এর মধ্যে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের মাঠে থাকার জন্য সংগঠনের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্দেশনা ছিল।

    অন্যদিকে রাজনৈতিক অনেক মহল বলছে সরকার দলীয় কর্মীদের মাঠে নামিয়ে সংঘাতে উসকানি দিয়েছে।

    অন্যদিকে হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলছেন, ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজের পর মোদিবিরোধী বিক্ষোভে সরকারি দল হামলা না করলে পরিস্থিতি সংঘাতময় হতো না। সংগঠনটির দাবি, মুসল্লিদের মিছিলে সরকারি দল হামলা করেছে, এই ভিডিও চিত্র দেখে হাটহাজারীতে মাদ্রাসার ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তাতে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। সেখানে পুলিশের গুলিতে চারজন শহীদ হন। এর জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসার ছাত্ররা মাঠে নামেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টানা তিন দিন আন্দোলনে নিহত হয়েছেন মোট ২১ জন।

    বায়তুল মোকাররমে সংঘাতের ঘটনার ভিডিও ফুটেজে আওয়ামী গোলাম পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা–কর্মীদের পাশাপাশি অবস্থানে দেখা গেছে।

    মোদিবিরোধী বিক্ষোভে এবার ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা প্রথম শক্তি দেখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। গত ২৫ মার্চ রাতে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহ ব্যানারে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের মোদিবিরোধী বিক্ষোভে হামলা চালায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনায় কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হন।

    পরে রোববার হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ও ঢাকার বাইরেও সন্ত্রাসী দল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাঠে দেখা গেছে। অনেক জায়গায় তাঁদের হাতে লাঠিসোঁটাও ছিল। ওই দিন কয়েকটি স্থানে সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হেফাজতের নেতা–কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

    এ বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের সাংসদ নূর মোহাম্মদ বলেছে বিরোধী পক্ষের কর্মসূচিতে সরকার–সমর্থক রাজনৈতিক নেতা–কর্মীরা মাঠে থাকার চেষ্টা করে, এটা অতীতেও হয়েছে, এখনো হচ্ছে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টানা তিন দিন আন্দোলনে নিহত হয়েছেন মোট ১২ জন।
    নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পেরেছি- শহীদ বাড়িয়াতে এই পর্যন্ত ২১ জন ভাই শাহাদাত বরণ করেছেন। আল্লাহ সবার শাহাদাতকে কবুল করুন। আমীন
    আর অনলাইন সূত্র অনুযায়ী- ছাত্রলীগ থেকে ঘোষণা দিয়ে এই পর্যন্ত ৭৫ জন মুসলিম ভাই পদত্যাগ করেছেন। আশা করি এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে রাইড শেয়ারিং চালকদের বিক্ষোভ

      করোনার খোড়া অজুহাতে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস সেবা বন্ধ করে দেয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন পাঠাও ও উবারের চালকেরা! গতকাল দুপুরে মাফিয়া সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শাহবাগ ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হয় এই আন্দোলন।
      আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন চালকদের বিশাল এক অংশ।

      মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসে গতকাল বুধবার। এ নিষেধাজ্ঞা আপাতত দুই সপ্তাহের জন্য বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে বাসে ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।

      এদিকে গতকাল নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর আজ সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মোটরসাইকেলচালকেরা বিক্ষোভ করেন। বেলা পৌনে একটার দিকে শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ করেন পাঠাও, উবারের চালকেরা।

      বেলা পৌনে একটা থেকে একটা পর্যন্ত পাঠাও, উবারের চালকেরা শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় শাহবাগ মোড় দিয়ে সীমিত আকারে যান চলাচল করে।

      এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দুপুর দেড়টার দিকে জড়ো হন মোটারসাইকেল চালকেরা। তাঁরা সড়কে মোটরসাইকেল রেখে ফুটপাথে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন। দাবি আদায়ে তাঁরা স্লোগান দেন। তাঁরা রাইড শেয়ারিং অ্যাপ বন্ধে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নির্দেশনার তীব্র প্রতিবাদ জানান।

      রাইড শেয়ারিং অ্যাপ বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানী ধানমন্ডি ২৭, বাড্ডা এলাকাতেও মোটরসাইকেল চালকেরা বিক্ষোভ করেছেন। তাঁদের একটাই দাবি, রাইড শেয়ারিং চালু করা হোক।

      যাঁরা নিয়মিত রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে যাতায়াত করেন, তাঁদের সবাই বিপদে পড়েছেন হঠাৎ করেই। মোটরসাইকেল রাইড সার্ভিস নিয়ে থাকেন তারা। কিন্তু হঠাৎ করে মাফিয়া সরকারের এরকম কান্ডজ্ঞানহীন আচরণ ক্ষুব্ধ করেছে এসকল যাত্রীদের।

      হাজার হাজার সাধারণ মানুষের এটাই উপার্জনের একমাত্র পথ। হঠাৎ এই সার্ভিস বন্ধ হয়ে গেলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে তাদের!
      কিন্তু এসকল বিষয়ে কোন খেয়ালই যেন নেই রাতের ভোটে আসা এই সরকারের!
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        Originally posted by abu ahmad View Post
        নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পেরেছি- শহীদ বাড়িয়াতে এই পর্যন্ত ২১ জন ভাই শাহাদাত বরণ করেছেন। আল্লাহ সবার শাহাদাতকে কবুল করুন। আমীন
        আর অনলাইন সূত্র অনুযায়ী- ছাত্রলীগ থেকে ঘোষণা দিয়ে এই পর্যন্ত ৭৫ জন মুসলিম ভাই পদত্যাগ করেছেন। আশা করি এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
        আল্লাহ্ তায়া-লা শহীদ ভাইদের কবুল করুন, আমিন।
        পদত্যাগ মুসলিমদের দ্বীনের জন্য কবুল করুন,আমিন।
        পদত্যাগ নিয়ে একটা ডকুমেন্টারি হলে অনেক মানুষ যানতে পারবে ইনশা-আল্লাহ্..আল্লাহ তায়া-লা মিডিয়ার ভাইদের এই কাজ আঞ্জাম দেওয়া সহজ করে দিন, আমিন।

        Comment

        Working...
        X