Announcement

Collapse
No announcement yet.

গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা ।। স্পষ্ট শরঈ কারণ ছাড়া উলামাদের তাওহিন করা কুফরঃ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা ।। স্পষ্ট শরঈ কারণ ছাড়া উলামাদের তাওহিন করা কুফরঃ

    সুস্পষ্ট শরঈ কারণ ছাড়া উলামাদের তাওহিন করা কুফরঃ


    ১) আল্লামা ইবনুশ শাহনাহ আল হানাফী রহ. বলেন-
    "আন নিসাব কিতাবে আছে, যে ব্যক্তি কোন সুস্পষ্ট (শরঈ) ওজর ছাড়া কোন আলেমের সাথে বিদ্বেষ পোষণ করে তার ব্যাপারে কুফরের (সমূহ) আশংকা আছে! আর খসরুওয়ানীর নুসখায় আছে, এক ব্যক্তি (আলেম) কোন উচ্চ মসনদে বসে আছেন, আর কতিপয় লোকেরা তাকে বিদ্রুপাত্মক বিভিন্ন মাসালা জিজ্ঞেস করছে এবং বালিশ দিয়ে আঘাত করছে ও হাসি তামাশা করছে! এদের সবাইকে তাকফীর করা হবে!!"
    "وفي النصاب: من أبغض عالماً بغير سبب ظاهر خيف عليه الكفر. وفي نسخة الخسرواني: رجل يجلس على مكان مرتفع ويسألون منه مسائل بطريق الاستهزاء، وهم يضربونه بالوسائد ويضحكون يكفرون جميعاً".
    [লিসানুল হুক্কাম ফী মারিফাতিল আহকাম, ইবনুশ শাহনাহ পৃ.৪১৫]

    ২) ইমাম ইবনুন নুজাইম রহ. বলেন-
    "যে ব্যক্তি কোন সুস্পষ্ট (শরঈ) ওজর ছাড়া কোন আলেমের সাথে বিদ্বেষ পোষণ করে তার ব্যাপারে কুফরের আশংকা আছে! যদিও সে কোন ফক্বীহ অথবা কোন আলাভীকে (নবী বংশের কাউকে) হেয়প্রতিপন্ন করার ইচ্ছায় তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে! (কেননা) দ্বীনকে অবজ্ঞা করা কুফর (যেহেতু আলেমরা দ্বীনের ধারক ও বাহক তাই তাদের কোন শরঈ কারণ ছাড়া অবজ্ঞা করাও কুফর)। তবে যদি ইচ্ছাকৃত না হয় সেক্ষেত্রে কুফর হবে না।"
    " ومن أبغض عالماً من غير سبب ظاهر خيف عليه الكفر، ولو صغر الفقيه أو العلوي قاصداً الاستخفاف بالدين كفر، لا إن لم يقصده".
    [আল বাহরুর রায়েক্ব ৫/১৩৪]

    ৩) ইমাম ইবনু নুজাইম রহ. আরও বলেন-
    الاستهزاءُ بالعِلمِ والعُلَماءِ كُفرٌ
    ''ইলম ও উলামাদের নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা কুফর।''
    [আল আশবাহ ওয়ান নাযায়ির পৃ.১৬০]

    ৪) আল্লামা আব্দুর রহমান দামাদ আফেন্দী রহ. বলেন-
    "ফতোয়ায়ে বাযযাযিয়াতে আছে: কোন আলেমকে আলেম হিওয়ার জন্য অবজ্ঞা ও হেয়প্রতিপন্ন করা (মূলত) ইলমকেই হেয়প্রতিপন্ন করার নামান্তর। আর ইলম হচ্ছে আল্লাহ তা'আলার সিফাত, যা তিনি তাঁর উত্তম বান্দয়াদের অনুগ্রহ স্বরুপ প্রদান করে থাকেন, যেন তারা তাঁর সৃষ্টিকে তাঁর রাসূলদের প্রতিনিধিত্ব করে তাঁর শরীয়তের বিধি-বিধানকে জানাতে পারেন।....... সুতরাং কোন সম্মানিত ব্যক্তি ও কোন আলেমকে অবজ্ঞা করা কুফর। কেউ যদি কোন আলেমকে হেয়প্রতিপন্ন করার নিয়তে (ব্যাঙ্গাত্মকভাবে) বলে- 'উওয়াইলিম' অথবা কোন আলাভী (আলী রদি. এর বংশধর) কে (ব্যাঙ্গাত্মকভাবে) বলে- 'উলাইভী' তাহলে তা কুফর।..... আর যে কোন আলেমের সাথে কোন সুস্পষ্ট কারণ (শরঈ ওজর) ছাড়া বিদ্বেষ পোষণ করে তাহলে তার কুফিরের ব্যাপারে সমূহ আশংকা আছে। আর যদি কেউ মুখে কোন আলেম, ফক্বীহ কিংবা কোন আলাভীকে (কোন সুস্পষ্ট কারণ ছাড়া) গালি দেয় তাহলেও তাকে ইজমা মুতাবেক তাকফীর করা হবে এবং তাঁর স্ত্রীর উপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিন তালাক পতিত হবে।''
    "وفي البزازية: فالاستخفاف بالعلماء؛ لكونهم علماء استخفاف بالعلم، والعلم صفة الله تعالى منحه فضلاً على خيار عباده ليدلوا خلقه على شريعته نيابةً عن رسله، فاستخفافه بهذا يعلم أنه إلى من يعود، فإن افتخر سلطان عادل بأنه ظل الله تعالى على خلقه يقول العلماء بلطف الله اتصفنا بصفته بنفس العلم، فكيف إذا اقترن به العمل الملك عليك لولا عدلك، فأين المتصف بصفته من الذين إذا عدلوا لم يعدلوا عن ظله! والاستخفاف بالأشراف والعلماء كفر. ومن قال للعالم: عويلم أو لعلوي عليوي قاصداً به الاستخفاف كفر. ومن أهان الشريعة أو المسائل التي لا بد منها كفر، ومن بغض عالماً من غير سبب ظاهر خيف عليه الكفر، ولو شتم فم عالم فقيه أو علوي يكفر وتطلق امرأته ثلاثاً إجماعاً".
    [মাজমাউল আনহুর ফী শারহি মুলতাক্বাল আবহুর ১/৬৯৫; ফতোয়ায়ে বাযযাযিয়া ৬/৩৩৬]

    ৫) মুফতি রশীদ আহমাদ লুধিয়ানভী রহ. বলেন-

    علم اور اھل علم کی اھانت کفر ھے، علم دین کی اھانت اور علمائے دین کو اس لیے گالیا دینا کہ وہ حاملین علم ہے کفر ہے، لہذا ایسے شخص کو دوبارا مسلمان کرکے تجدید نکاح ضروری ہے۔
    ইলম ও আলেমদেরকে অসম্মানি করা কুফর। ইলমে দীনের অসম্মানি এবং আলেমদেরকে ইলমের অধীকারী হওয়ার কারণে গালি দেওয়া কুফর। এমন ব্যক্তির জন্য পুনরায় মুসলমান হয়ে বিবাহ নবায়ন করা জরুরী।
    [আহসানুল ফাতাওয়া ১/৩৮]
    এই ফাতাওয়া দিয়ে মুফতি রশীদ আহমাদ লুধিয়ানভী রহ. এর স্বপক্ষে ফুক্বাহাদের বক্তব্য গুলো দলিল হিসেবে নিয়ে এসেছেন আল্লামা আবু সাঈদ আল খাদেমী আল হানাফীর 'বারীক্বাতু মাহমূদিয়া ফী শারহি ত্বরীকাতি মুহাম্মাদিয়া' (২/১৭১) এর বরাতে।
    (قال في الأشباه: الاستهزاء بالعلم والعلماء كفر) وعن منية المفتي (تخفيف العلم
    والعلماء كفر) وعن الخزانة (من أذل العلماء ينفى من البلد بعد تجديد الإيمان) وعن
    مجموع النوازل (إهانة علماء الدين كفر) وعن المحيط (إن شتم عالمًا فقد كفر
    فتطلق امرأته وهكذا وهكذا) أي ويأتي في حقه سائر أحكام الردة كالقتل إذا لم يتب،
    قال في الأشباه: الاستهزاء بالعلم والعلماء كفر، وعن منية المفتي: تخفيف العلم والعلماء كفر، وعن الخزانة: من إذل العلماء ينفي عن البلد بعد تجديد الإيمان،

    ৬) ইমাম ইবনে আসাকির আদ দামেশক্বী (রহ.) লিখেছেন-
    إن لحوم العلماء مسمومة، وسنة الله في هتك أستار منتقصيهم معلومة، فمن أطلق لسانه في العلماء بالانتقاص والثلب، ابتلاه الله عز وجل قبل موته بموت القلب
    "আলেমদের গোশত বিষাক্ত। যারা তাদের মর্যাদাহানি করে তাদের ব্যাপারে আল্লাহর নীতি সুস্পষ্ট। যে ব্যক্তি উলামায়ে কিরামের বদনাম ও ছিদ্রান্বেষণে লিপ্ত হয়ে তাদের জবান চালায়,আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা তার মৃত্যুর আগেই তার কলব (অন্তর) -কে মৃত করে করে শাস্তি দিয়ে থাকেন।"
    এর স্বপক্ষে তিনি(রহিমাহুল্লাহ) সূরা নূরের ৬৩ নং আয়াত দলিল হিসেবে পেশ করেছেন-
    فَلْيَحْذَرِ الَّذِينَ يُخَالِفُونَ عَنْ أَمْرِهِ أَن تُصِيبَهُمْ فِتْنَةٌ أَوْ يُصِيبَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
    " অতএব যারা তাঁর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে, তারা এ বিষয়ে সতর্ক হোক যে, বিপর্যয় তাদেরকে স্পর্শ করবে অথবা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করবে।"
    [তাবয়ীনু কাযিবিল মুফতারি, ইবনু আসাকির পৃ.২৯-৩০]

    ৭) ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল রহ: বলেন-
    لحوم العلماء مسمومة؛ من شمها مرض، ومن أكلها مات
    " আলেমেদের গোশত বিষাক্ত যে তার ঘ্রাণ নেয় অসুস্থ হয়ে যায়, আর যে তা ভক্ষণ করে মরে যায়!"
    .
    [আল মুয়ী'দ ফী আদাবিল মুফীদ ওয়াল মুস্তাফীদ:৭১]

    ৮) ইমাম ইবনুল মুবারাক রহ: বলেন-
    من استخف بالعلماء ذهبت آخرته
    "যে আলেমদের অবজ্ঞা করে তার আখেরাত বরবাদ হয়।"
    [সিয়ারু আলামিন নুবালা ৪/৪০৮]

    ৯) ইমাম আহমদ ইবনু আল আযরাঈ' রহ: বলেন-
    "الوقيعة في أهل العلم - ولا سيما أكابرهم - من كبائر الذنوب"
    "আহলুল ইলম তথা আলেমদের- বিশেষ করে আকাবির আলেমদের-কুৎসা রটনা করা, তাদের নামে আক্রমণাত্মক কিছু বলা কবীরাহ গুনাহের অন্তর্ভুক্ত ।"
    .
    [আর রাদ্দুল ওয়াফের:১৯৭]
    .
    আল্লাহ আমাদের সকলকে এই জঘন্য কাজ থেকে হিফাযত করুক (আমীন)।

    Collected‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

  • #2
    আল্লাহ আমাদের সকলকে এই জঘন্য কাজ থেকে হিফাযত করুন ও লেখককে জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      আল্লাহ তায়ালা আমাদের এ জঘন্য কাজ থেকে হেফাজত করুন।

      Comment


      • #4
        আলহামদুলিল্লাহ্ অনেক উপকৃত হলাম, আল্লাহ্ তায়া-লা ভাইকে উত্তম বিনিময় দান করুন,আমিন ইয়া রব্ব।

        Comment


        • #5
          আল্লাহ আমাদের এসব জঘন্য কাজ থেকে হেফাজত করুন এবং পোস্টকারী\লেখক ভাইকে জাযায়ে খায়ের দান করুন, আমিন!!
          "এখন কথা হবে তরবারির ভাষায়, যতক্ষণ না মিথ্যার অবসান হয়"

          Comment


          • #6
            وَمَكَرُوا وَمَكَرَ اللَّهُ وَاللَّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِينَ ﴿آل*عمران: ٥٤
            এবং কাফেরেরা চক্রান্ত করেছে আর আল্লাহও কৌশল অবলম্বন করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ হচ্ছেন সর্বোত্তম কুশলী। (সূরা আলে-ইমরান {৩}: ৫৪)
            “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

            Comment


            • #7
              আল্লাহ আমাদের এমন জঘন্য কাজ থেকে হেফাজত করুন।
              উম্মাহর মাঝে এ ফতোয়াটি ব্যাপক প্রচার কাম্য।
              গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

              Comment


              • #8
                Originally posted by Ibrahim Al Hindi View Post
                আল্লাহ আমাদের এমন জঘন্য কাজ থেকে হেফাজত করুন।
                উম্মাহর মাঝে এ ফতোয়াটি ব্যাপক প্রচার কাম্য।
                আল্লাহুম্মা আমীন। সহমত ভাই আপনার সাথে।
                ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                Comment

                Working...
                X