Announcement

Collapse
No announcement yet.

ত্বাগুত সরকার কর্তৃক আলেমদের গ্রেফতার এড়ানোর জন্য যা যা করা যেতে পারে।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ত্বাগুত সরকার কর্তৃক আলেমদের গ্রেফতার এড়ানোর জন্য যা যা করা যেতে পারে।

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
    আলহামদুলিল্লাহ, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ।


    ত্বাগুত সরকার কর্তৃক আলেমদের গ্রেফতার এড়ানোর জন্য যা যা করা যেতে পারে।

    ১। আলেমগন বিপৎকালীন সময় গুলোতে মাদরাসায় রাত্রি যাপন করতে পারেন।
    ২। নিজ বাসায় রাত্রিযাপন করলে (বাসা যদি চৌরাস্তার মুখেও হয়) বাসা থেকে গাড়িতে উঠেয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিটি রাস্তায় মিনিমাম ১ জন সমর্থক / ছাত্রকে পালাক্রমে সারারাত সজাগ রাখা।
    যেনো অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটে গেলে বের হয়ে বাঁধা দিতে পারেন, গাড়ির ছবি এবং অপহরণকারীদের ছবি তুলতে পারেন এবং অপরাপর ছাত্র ও সমর্থক ভাইদেরকে প্রশাসনের অবৈধ তৎপরতা সম্পর্কে আপডেটেড করে গ্রেফতার করাকে রুখে দিতে পারেন।
    ৩। শীর্ষ আলেমগণের পরিবারের সদস্যরা পালাক্রমে রাত জাগতে পারেন এবং ফেসবুক এ অনলাইন ও মোবাইল চার্জ ও ক্যামেরায় ভিডিও করার প্রস্তুতি রাখতে পারেন অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়ানোর জন্য।
    ৪। যারা দূরবর্তী অঞ্চলের তাদেরকে ফোনের মাধ্যমে সজাগ করে দেয়া যেতে পারে এবং তারা তাদের নিকটস্থ রোড সমূহ ব্লক করে দিতে পারেন। বিশেষ করে গোয়েন্দা সংস্থা সমূহের অফিসগুলোতে নিয়ে যাওয়ার রাস্তা সমূহ চিহ্নিত করে ঐ রাস্তা গুলো ব্লক করে দেয়া যেতে পারে।
    ৫। প্রশাসনের ভেতরের লোকদেরকে একটা মেসেজ দেয়া যায় যে, তারা যারা ইসলামের হিতাকাঙ্খি এবং ত্বাগুত বাহিনির মুভমেন্ট সম্পর্কে খবরাখবর ফাঁস করে দেয়ার সুযোগ আছে তারা যেনো টর/ভিপিএন এর মাধ্যমে ফেইক আইডি থেকে নির্দিষ্ট করে দেয়া কোনো ফেসবুক / ফোরামে / ওয়েব সাইটে শত্রুর গতিবিধি সম্পর্কে জানিয়ে এই লড়াইয়ে শরিক হন। তথ্য জানিয়ে দেয়ার এই সিস্টেমটা কিছুটা সহজ একটা সিস্টেম দাড় করানো দরকার। যাতে ত্বাগুত বাহিনীই তাদের নিজেদের ভিতরকার তথ্য ফাঁসের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়তে বাধ্য হয়। ত্বাগুত বাহিনীর ভিতরে অবশ্যই অনেক হিতাকাঙ্খি ভাই আছেন। তাদেরকে সুযোগ করে দেয়া দরকার একটা। যাতে তারা তাদের পরিচয় গোপন রেখে ইসলামের খেদমত করতে পারেন তথ্য দিয়ে।
    ৬। আরো পয়েন্ট আসতে পারে মাশোয়ারা ক্রমে। তাই নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনার মধ্যে আরো কিছু ওয়ে বের করতে পারেন আলেম ও ছাত্র ভাইরা।

    *মূল বিষয়টা হলো যে কোনো মূল্যে হোক গ্রেফতার করতে আসা লোকদের ফুটেজ ও গাড়ির ছবি সংগ্রহ করা দরকার। যেনো প্রমাণ থেকে যায় কে বা কারা এই অপকর্মের সাথে সরাসরি জড়িত এবং তাদেরকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত বিচারের আওতায় আনতে সহজ হয়।

    ভাইয়েরা এই মেসেজটা আলেম ও ছাত্র ভাইদের মাঝে দ্রুত ছড়িয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। আমাদের কিছু কার্যকরী এবং শক্ত পদক্ষেপ বের করা দরকার শত্রুর মোকাবেলায়।

  • #2
    ভাইয়েরা এই মেসেজটা আলেম ও ছাত্র ভাইদের মাঝে দ্রুত ছড়িয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। আমাদের কিছু কার্যকরী এবং শক্ত পদক্ষেপ বের করা দরকার শত্রুর মোকাবেলায়।

    আপনার আরো সু-চিন্তিত কোন মশওয়াহ থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন, ইনশা আল্লাহ।
    আর যাদের পক্ষে সম্ভব লেখাটি স্যোশাল মিডিয়াতে যথাসম্ভব ছড়িয়ে দিন ও সতর্ক করুন।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      আমাদের উচিত সাধ্যমত সোস্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা।
      গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

      Comment


      • #4
        নিরাপদে কিভাবে তথ্য পাচার করা যাই.. এ বিষয়ে যে ভায়েরা পারেন টিউটোরিয়াল করে দেওয়ার অনুরোধ থাকলো...

        Comment


        • #5
          Originally posted by Rumman Al Hind View Post
          নিরাপদে কিভাবে তথ্য পাচার করা যাই.. এ বিষয়ে যে ভায়েরা পারেন টিউটোরিয়াল করে দেওয়ার অনুরোধ থাকলো...
          সহমত ভাই আপনার সাথে।
          আসুন! নববী মানহাযে শান্তির জন্য কাজ করি!!

          Comment


          • #6
            ভাইয়েরা,, ছদ্মবেশে ইন্ডিয়ান গোয়েন্দা বাহিনী এদেশে কাজ করে যাচ্ছে, আমাদের ভাইয়েরা ইন্ডিয়ান গোয়েন্দাদের লিস্ট করে টার্গেট কিলিং করা যায় কি না!???
            ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

            Comment


            • #7
              যাদের পক্ষে সম্ভব লেখাটি স্যোশাল মিডিয়াতে যথাসম্ভব ছড়িয়ে দিন ও সতর্ক করুন।

              Comment


              • #8
                রফিকুল ইসলাম ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘কোন্ দল ক্ষমতায় আসলো বা কোন্ দল ক্ষমতা থেকে গেল তা আমাদের দেখার বিষয় নয়। তবে এই মাফিয়া সরকার ও মুরতাদদের হাত থেকে ইসলামকে রক্ষা করতে হবে। আজকের এই বক্তব্যের পর আমি আবার গ্রেফতার হতে পারি, আমাকে ধরে নিয়ে লাঞ্ছিত করা হতে পারে কিন্তু আমি সেসবের তোয়াক্কা করি না।’
                তিনি আরো বলেন, ‘মাওলানা মামুনুল হককে যদি এভাবে আক্রমণ করা হতে পারে, তার দাড়ি ধরে যেভাবে টানাটানি করে লাঞ্ছিত করা হয়েছে সেখানে আমি রফিকুল ইসলামকে মেরে ফেললেই বা কি হবে?’
                এ সময় রফিকুল ইসলাম সব ইসলামিক দলকে এক হবার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘সবগুলো দল এক হয়ে একজন আমিরের অধীনে আসেন। আমির ডাক দিলে আমরা পুরো বাংলাদেশ অচল করে এই মাফিয়া সরকারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করবো। দরকার হলে ক্ষমতা সেনাবাহিনীর হাতে যাবে, তবুও এই মুরতাদ সরকারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।’
                তিনি বলেন, ‘আজ ছাত্রলীগ-যুবলীগ এতই হিংস্র হয়েছে, যে কোনো সময় তারা আপনি বা আমাকে গুলি করে মেরে ফেলবে। তারা এমন হায়েনা হয়েছে যেখানে সেখানে আপনাকে আমাকে একটা একটা করে ধরবে। আমাদেরকে ধরার সুযোগ দেওয়া যাবে না। এরা আমাদের জিম্মি করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। আমরা কাউকে ক্ষমতা থেকে উঠানো বা নামানোর কথা বলছি না। তবে এই মাফিয়া সরকারকে আমাদের দূর করতে হবে। তবেই আমাদের চূড়ান্ত সফলতা আসবে। এখানে-সেখানে ভেঙে-ভেঙে মিছিল মিটিং করে লাভ হবে না।’
                ফেসবুক লাইভে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গোয়েন্দাবাহিনী সারাদিন আমাদেরকে ফলো করে। রাস্তায় টুপি পরে বের হওয়া যায় না। মাথা নিচু করে চলতে হয়। এভাবে চলতে চাই না। জিহাদের ডাক চাই। সেই জিহাদে শহীদ হবো। আমাদের মরার ভয় নাই। তবে মরার জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম লাগবে। লাখ লাখ যুবক প্রস্তুত হয়ে আছে শুধু মাত্র একটা ডাকের আশায়।’
                এ সময় তিনি হেফাজত নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘একটু মামলা-হামলায় যদি আপনারা ভয় পান তাহলে হেফাজতের নেতা থাকার দরকার নাই। আপনারা পদবি ছেড়ে সরে যান। আপনারা যদি সঠিকভাবে আগাতে পারেন তাহলে ২০ লাখ যুবক মরতেও দ্বিধা করবে না। জাতি আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। হয় মারবো না হয় মরবো, এটাই আপনাদের নীতি হওয়া দরকার।’
                এরপর সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে চালায় হিন্দুত্ববাদীরা। মোদি সরকার। মোদি যেভাবে চায় সেভাবেই তারা দেশ চালায়। দেশের মন্দিরে মন্দিরে এখন ফুল থাকে আর মসজিদে থাকে রক্ত। মোদির বিরুদ্ধে কথা বললেই সবাইকেই জেলে যেতে হয়। লকডাউনের নামে মসজিদ মাদরাসা বন্ধ করে দেবে। মসজিদ থেকে পিটিয়ে পিটিয়ে সবাইকে ধরবে। আমরা এসব চাই না। আমরা সুন্দর করে ইসলাম নিয়ে বাঁচতে চাই।’
                এরপর তিনি বারবার বলেন, ‘আজকের পর আমি গুম হতে পারি, জেলে যেতে পারি। তবে কুচ পরোয়া নেহি। কারণ মুমিনরা জান্নাতের আশা করে। আমি মরতে প্রস্তুত। আমি আল্লাহর জন্য কাজ করে যেতে চাই।’
                فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

                Comment


                • #9
                  আফসোস শত আফসোস!!!
                  আর কত রক্ত ঝরলে জাগবে এই উম্মাহ?আর কত গুম,খুন হলে হুঁশ ফিরবে ঘুমন্ত শারদুলদের???
                  প্রিয় উম্মাহ!এখনও কি সময় হয়নি জাগবার?চেয়ে দেখ ডাকছে তোমায় শহীদানের তপ্ত খুন।
                  হে মহান পরওয়ারদেগার তুমি উম্মার শ্রেষ্ঠ সন্তান উলামায়ে কেরামদেরকে রক্ষা করো।
                  আমীন

                  Comment


                  • #10
                    ৫। প্রশাসনের ভেতরের লোকদেরকে একটা মেসেজ দেয়া যায় যে, তারা যারা ইসলামের হিতাকাঙ্খি এবং ত্বাগুত বাহিনির মুভমেন্ট সম্পর্কে খবরাখবর ফাঁস করে দেয়ার সুযোগ আছে তারা যেনো টর/ভিপিএন এর মাধ্যমে ফেইক আইডি থেকে নির্দিষ্ট করে দেয়া কোনো ফেসবুক / ফোরামে / ওয়েব সাইটে শত্রুর গতিবিধি সম্পর্কে জানিয়ে এই লড়াইয়ে শরিক হন। তথ্য জানিয়ে দেয়ার এই সিস্টেমটা কিছুটা সহজ একটা সিস্টেম দাড় করানো দরকার। যাতে ত্বাগুত বাহিনীই তাদের নিজেদের ভিতরকার তথ্য ফাঁসের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়তে বাধ্য হয়। ত্বাগুত বাহিনীর ভিতরে অবশ্যই অনেক হিতাকাঙ্খি ভাই আছেন। তাদেরকে সুযোগ করে দেয়া দরকার একটা। যাতে তারা তাদের পরিচয় গোপন রেখে ইসলামের খেদমত করতে পারেন তথ্য দিয়ে।

                    || মুহতারাম আপনার ৫নং পয়েন্টের সাথে আমি আরোও কিছু লেখা যুক্ত করতে চাই।

                    আমাদের অনেকেরই হয়তো মনে আছে পাকিস্তানের নেভাল শীপ হাইজ্যাকের কথা। মুরতাদ পাক সরকারের নেভাল ফৌর্সের কিছু সদস্য কায়দাতুল জিহাদের হয়ে নেভাল শীপ হাইজ্যাক করেছিল। এটা কিভাবে সম্ভব হয়েছিল? হ্যা এটা একারণে সম্ভব হয়েছিল যে তাদের মাঝে বিশুদ্ধ তাওহীদের দাওয়াহ পৌঁছে ছিল। তারা তাগুতী সিস্টেমে চাকুরী করা সত্ত্বেও ঠিকই ইসলামের সৌন্দর্য বুঝতে পেরেছিল। এটা দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করলাম একারণে যে যাতে করে আমরা যেন বর্তমান সরকারের বিভিন্ন প্রশাসনে যারা কর্মরত আছে তাদের মাঝে বিশুদ্ধ তাওহীদের দাওয়াহ পৌঁছে দিতে পারি। যাতে করে তারা ইসলাম সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা ভাবনা করে। যাতে করে তারা কোরআনের আয়াত নিয়ে চিন্তা ফিকির করে। তারা যেন আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হওয়ার সৌন্দর্য নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে।

                    একারণে তাদের মাঝে আমাদের অবশ্যই ইসলামের বিশুদ্ধ দাওয়াহ পৌঁছে দিতে হবে। তাদের মাঝ থেকেই বের করে আনতে হবে সাহাবাদের উত্তরসুরীদের। এটাকে আমি কুফফারদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের একটা বুদ্ধিবৃত্তিক কৌশল অবলম্বন বলে মনে করি।

                    এব্যাপারে কারো কোন মতামত বা আরোও কোন কর্ম কৌশল থাকলে জানাবেন ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের সবাইকে বোঝার তাওফীক দান করুন, আমীন ইয়া রব্বাল 'আলামিন ||

                    Comment


                    • #11
                      হে আল্লাহ! আমাদের সম্মানিত আলিম সমাজকে সুপথে পরিচালিত করুন ও ঈমানী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তাগুতের বিরুদ্ধে জিহাদের ময়দানে অবতীর্ণ হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন
                      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                      Comment

                      Working...
                      X