Announcement

Collapse
No announcement yet.

"দরবারি আলেমদের থেকে সাবধান।"

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • "দরবারি আলেমদের থেকে সাবধান।"

    "দরবারি আলেমদের থেকে সাবধান!"

    "আব্বাসী খলিফাদের মাঝে সবচেয়ে তাকওয়াবান ও আল্লাহভীরু ব্যক্তি ছিলেন খলিফা হারুন অর রশিদ।যিনি শরিয়তের হেফাজত করেছেন এবং খ্রিস্টানদের উপর থেকে জিজিয়া আদায় করেছেন।সর্বোপরি মুসলমানদের জন্য একটা শান্তিময় সমাজব্যবস্থা উপহার দিয়েছিলেন।

    তিনি রোমের বাদশাহকে লিখেছিলেন" আমিরুল মুমিনীন হারুন অর রশিদের পক্ষ হতে রোমের কুকুর নাাকফুরের প্রতি।
    "

    কিন্তু এই লোকের শাসনের সময়ও আব্দুল্লাহ ইবনে মোবারক রহঃ লোকজনকে শাসকের দরবারে না যেতে,তাদের প্রশংসা না করতে,,তাদেরকে তাদের কাজে সাহায্য না করতে কঠোর ভাষায় সতর্ক করতেন।তিনি বলেন
    "আল্লাহতোমাকে হেদায়েত দান করুন,,তুমি সবসময় তাদের দরবার থেকে দূরে৷ থাকবে,তাদের সাক্ষাতে যাবে না,তাদের সংশ্রব থেকে বেঁচে থাকবে,কারণ এটা সর্বনিকৃষ্ট জায়গা।যা দ্বীনকে ছোট করে এবং তোমাকে মহা অপরাধের দিকে ঠেলে দিবে।সুতরাং হে প্রবঞ্চিত!কূপের গর্তে পড়ার আগেই সতর্ক হয়ে যাও।"

    এমনকি তার বন্ধু বিখ্যাত মুহাদ্দিস 'ইবনে উলইয়া উমরাহ' খলিফার দরবারে যাওয়া আসা করায় তিনি তার সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করেন যতক্ষণ না ইবনে উলইয়া শাসকের দরবারে যাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দেন।


    তাতারীদের ফিতনা মুলোৎপাটনকারী সুলতান সালাউদ্দিনের অসমাপ্ত ক্রুসেডের নেতৃত্বদানকারী সুলতান রোকনুদ্দিন বাইবার্স তখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তাতারী ফিতনার হাত থেকে উম্মাহকে রক্ষা করে তিনি পরিণত হয়েছেন এক মহাবীরে।তিনি আহ্বান করলেন 'তাতারী এবং ক্রুসেডারদের উপর চূড়ান্ত আঘাত হানার জন্য জনসাধারণের উপর অধিকাংশ অধিক কর আরোপ করা হতো হোক।
    কিন্তু ইমাম নববী রহঃ ফাতওয়া দিলেন "প্রথমে সুলতানের প্রাসাদে সাজানো স্বর্ণ এবং তার দাসী,বাদী ও সেনাপতিরা যেসব অলংকার দিয়ে নিজেদেরকে সাজিয়েছে সেগুলো জিহাদের ফান্ডে দান করা হোক,তারপর মুসলিম জনসাধারণের কথা ভাবা যাবে।"

    একইভাবে আব্বাসীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আবু জাফর মনসুর বিভিন্ন সময়ে সুফিয়ান সওরী রহঃ এর সমর্থন ও সাহায্য আশাবাদ ব্যক্ত করে তার কাছে বার্তা পাঠায়।কিন্তু তিনি কড়া ভাষায় বাদশাহ'র অনৈতিক কাজের সমালোচনা করেন।এরপর যখন বাদশাহ একদিন তাকে পেয়ে যায় তখন সে সুফিয়ান সওরী কে জিজ্ঞেস করে "আমার সম্পর্কে আপনার মতামত কি।"

    তিনি বলেন "আমি তোমাকে সবচেয়ে নিকৃষ্ট অবস্থায় পেয়েছি।"

    এমরকম কতশত ঘটনার কথা উল্লেখ করা যাবে যেগুলো বর্ণনা করেও শেষ হবে না।যে লোকগুলো শরিয়তের হেফাজত করেছে,কুফফারদের হাত থেকে মুসলিম ও ইসলামি ভূ-খণ্ডকে স্বাধীন করেছে তাদের ব্যাপারেও পূর্বের আলেমগণ ছিলেন খুবই সত্যপরায়ণ এবং তারা ছিলেন চাটুকারিতার উর্ধ্বে। সত্য বলায় তারা কারো তোয়াক্কা করতেন না।

    এখন আপনি বর্তমান জামানার তাগুত,মুরতাদ শাসকদের কথা ভাবুন তো।আর সেসকল আলেমদের কথা ভাবুন যারা তাগুতের কাছে প্রিয় হতে মুরতাদ শাসকদের দরবারে গিয়ে ভিড় জমায়। সামান্য স্বার্থ হাসিলের আশায় দ্বীন,ঈমান বিক্রি করে দেয় এবং মুসলমান জনসাধারণকেও বিভ্রান্ত করে ফেলে।এইসকল লোকদেরকে দেখলে আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক,ফুযাইল ইবনে ইয়ায,ইমাম নববী,ইমাম যুহরী কি বলতেন?

    যারা মুরতাদ শাসকদের এত গুণগান করে যেগুলো উমর ইবনুল আব্দুল আজিজের নামে করলেও অতিরঞ্জিত হয়ে যাবে। আর একজন রোমের বাদশাহ নাকফূরের মত কাউকে পেলে তো এরা সিজদায় লুটিয়ে পড়ে।

    সুতরাং হকপন্থি আলেমগণ সর্বযুগেই শাসকদের থেকে দূরে থেকেছেন।যদিও শাসক শরিয়ত ও মুসলিমদের হেফাজত করতেন।

    তাহলে যারা বর্তমানের ইসলামের প্রকাশ্য শত্রু তাগুত শাসকদের দরবারে যাওয়া আসা করে তাদের থেকে কিভাবে হক কথা বের হতে পারে।
    "যারা বলে শাসক কাফের হলেও আনুগত্য করা ফরজ।"

    অথচ পূর্বের শাসকগণ মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও আলেমগণ তাদের বিরোধিতা করেছেন।

    সুতরাং ওইসকল দরবারি আলেমদের থেকে বেঁচে থাকো,ওরা কখনোই তোমাকে সঠিক পথ দেখাবে না বরং তোমাকে অন্ধকার কূপে নিক্ষেপ করবে।

    নেক দোয়ায় আমাদেরকে ভুলবেন না।
    ক্বিতাল ব্যতীত দ্বীন অসম্পূর্ণ -ড.আব্দুল্লাহ আযযাম রহিঃ!!

  • #2
    আল্লাহ আমাদের হেফাযত করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment

    Working...
    X