Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুসীবতে ভেঙে পড়ো না!!!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুসীবতে ভেঙে পড়ো না!!!

    চারিদিকে আজ বিপদের ঘনঘটা। ত্বাগুতের ভয়াবহ আগ্রাসনে মুমিনরা হতবম্ভ ও দিশেহারা। প্রিয় ভায়েরা! দাজ্জালের এই পৃথিবীতে বিপদ আসবেই। কারণ, দিন যতই যাবে, পরিস্থিতি ততই ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। দাজ্জালের এই পৃথিবীতে যারাই ঈমানের পরিচয় দিতে চাইবে, তারাই তার নির্মম পদতলে পিষ্ট হবে। আমরা যদি পরিপূর্ণ ঈমানদার হই, তাহলে মুসীবতের এই সিলসিলা আরো দৃঢ় হবে। আজ তাওহীদের কথা বলার কারণে, মুশরিকদের বিরুদ্ধে না'রা দেয়ার কারণে এ দেশের তাওহিদপন্থীরা হয়রান, আমার ভাই, তুমি এটিকে মন্দ কিছু মনে করো না। এটা আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামের সুন্নাহ এবং আমাদের নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলে গেছেন, 'আমাকে যারা ভালোবাসবে, মুসীবত তাদের দিকে ঢলের পানির মতো ধেয়ে আসবে'। এদেশের নিঃস্বার্থ দ্বীনপ্রেমী আলেম-ওলামা ও তাঁদের অনুসারীরা রাসূলের এই সুন্নাহ-ই বাস্তবায়ন করছে। আমরা যদি এই বন্ধুর পথে পাহাড় হয়ে যাই এবং তাগুতের ভয় উপেক্ষা করে খোদাভীতির পরিচয় দিই, তাহলে ত্বাগুতের এই কূটচাল আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারে না।

    আমাদের ভেঙে পড়ার কোনো কারণ নেই। হতাশার কোনো কারণ নেই। আমরা যদি মুমিন হই, বিজয় আমাদের পদচুম্বন করবেই। গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন, আমাদের নেতাদের বন্দিত্ব, এসব দেখে হতাশ হওয়ার কী প্রয়োজন। আল্লাহ তায়ালা তো এসব দিয়ে আমাদের পরীক্ষা করতে চাচ্ছেন। আল্লাহ এসব দিয়ে সত্য-মিথ্যা প্রকাশ করে দিচ্ছেন এবং মুমিন ও কাফির-মুনাফিকের মুখোশ উন্মোচন করে দিচ্ছেন। আল্লাহ চাইলে একদিনেই এই ত্বাগুতের ভীত উপড়ে যেত এবং সবাই ঈমানদার হয়ে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলার পরিবেশ বিরাজ করতো। কিন্তু এটা আল্লাহর মানশা' নয়। তিনি চান, আমরা পরীক্ষা দিয়ে দিয়ে তাঁর নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হই। অতএব, এবারের যাত্রায় যে যতবেশি সবর ও ত্যাগের প্রমাণ দেবে, সে ততই মুকাররাবুনের দলে অন্তর্ভুক্ত হবে।

    চিন্তা কর উহুদের প্রেক্ষাপট— একে তো অনাকাঙ্ক্ষিত পরাজয় এবং একে একে চোখের সামনে সত্তর শহীদের লাশ, হামজা র.-র মতো মহান নেতৃবর্গের নির্মম হত্যা এবং অন্যদিকে এমন ভয়াবহ মুহূর্তে একমাত্র ভরসাস্থল মুহাম্মাদের আরাবীর শাহাদাতের খবর এসব মিলিয়ে সাহাবায়ে কেরামের মাঝে কী অস্থিরতা ও উৎকন্ঠা তৈরি হয়েছিল! চিন্তা কর, কতক সাহাবা তো আব্দুল্লাহ বিন উবাইয়ের কাছে এই আশা ব্যক্ত করছে যে, আবু সুফিয়ানকে বলুন, তিনি যেন আমাদের না মারেন! অবস্থা কতটা সঙ্গীন!! কিন্তু আল্লাহ তায়ালা এমন পরিস্থিতিতেও বলছেন, তোমরা অত তাড়াতাড়ি ভেঙে পড়ো না। তোমরা পরাজিত হলেও বিজয়ী। ঈমানের চেতনা বুকে লালনকারীরা কখনো কারো সামনে মাথা নত করে না। অতএব, প্রিয় ভায়েরা! অত তাড়াতাড়ি ভেঙে পড়ো না। হতাশ হয়ে যেও না। অধৈর্য হয়ো না। আল্লাহকে ভয় করো। নিঃসন্দেহে এই ত্বাগুত একদিন অপসারিত হবে এবং শেষ ভাল পরিণাম মুত্তাকীদের ভাগ্যে জুটবে।

    তবে হ্যাঁ, মনে রাখবে, এভাবে বিজয় অর্জন সম্ভব নয় এবং সমস্যা উত্তরণ সম্ভব নয়। ক্যান্সারে প্যারাসিটামল নয়, হাত কাটতে হয়। কুফরের বিরুদ্ধে কথা বলে কেবল তলোয়ার। তাই হয়তো আমাদেরকে খালেস জিহাদের পথে ফিরে আসতে হবে নয়তো আমরা ধ্বংস হয়ে যাবো এবং আল্লাহ এমন এক দল নিয়ে আসবেন, যারা তাঁর পথে জিহাদ করবে। এরা নিন্দুককে কোনো ভয় পাবে না। কুফরের দম্ভ চূর্ণ করতে চাই তলোয়ার। আল্লাহর কালিমা বুলন্দ করতে চাই জিহাদ। শান্তিময় ইহকাল ও সৌভাগ্যময় পরকাল পেতে চাই জিহাদ। আল্লাহ আমাদেরকে তখনই সাহায্য করবেন, যখন আমরা আল্লাহকে সাহায্য করবো। মনে রাখবে, যে শরিয়াহকে অনুসৃত পথ বাদ দিয়ে ভিন্নপন্থায় শরিয়াহকে সাহায্য করে, তার ক্ষতি ঐ ব্যক্তির চেয়েও বেশি, যে সঠিক পন্থায় শরিয়াহর নিন্দা করে।
    و ضرر الشرع ممن ينصره لا بطريقه أكثر من ضرره ممن يطعن فيه بطريقه (تهافت الفلاسفة)

    আমি বিশ্বাস করি, আজকে যারা ইসলামের প্রতিরক্ষা করছে, তাঁরা জ্ঞানহীনভাবে শরিয়াহর প্রতিরক্ষা করছে। ফলশ্রুতিতে এতে লাভের চেয়ে লোকসানই বেশি হচ্ছে। কেননা, তারা দ্বীনের জন্য অদূরদর্শী সহমর্মিতা দেখাচ্ছে। আসলেই এ-কথা সত্য যে, "বুদ্ধিমান শত্রু মূর্খ বন্ধুর চেয়েও উত্তম"। আল্লাহ আমাদেরকে বুঝার তাওফিক দিন।
    ভুল-ত্রুটি জানানোর অনুরোধ রইল!!!

  • #2
    আসলেই এ-কথা সত্য যে, "বুদ্ধিমান শত্রু মূর্খ বন্ধুর চেয়েও উত্তম"। আল্লাহ আমাদেরকে বুঝার তাওফিক দিন।
    আমীন, আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ্ ভাইজান! খুব সুন্দর পোষ্ট.. আল্লাহ্ তায়া-লা আমাদেরকে বোঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন,আমিন।

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ, ঈমানী চেতনা জাগ্রতকারী ও সাহস যোগানোর মত লেখা। জাযাকাল্লাহ
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহ সুন্দর পোষ্ট। আল্লাহ তার মহান দ্বীনের বিজয়ের মাধ্যমে আমাদেরকে আনন্দিত করুন। ধৈর্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন।

          কিছু বিষয় দেখে খারাপ লাগে: এখন হেফাজত একেবারে লজ্জাজনক কথাবার্তা বলছে। এভাবে তো আওয়ামীলীগের দু:সাহস আরো বেড়ে যাবে। তারা বুঝে যাবে যে, ইসলামপন্থীদের কোন ভিত্তি নেই। হেফাজত বলছে: তারা সরকারের বিরোধী নয়, তারা সরকারের সাথে সঙ্ঘাত চায় না, তারা ভাঙ্গচোর করেনি। যারা ভাঙ্গচোর করেছে, তাদেরকে গ্রেফতার করা হউক, বিচার করা হউক।
          তারপর তারা আবার আসাদুজ্জামান খানের সাথে বৈঠক করতে যায়। সেখান থেকে হতাশ হয়ে ফিরে আসে। বন্দিদের মুক্তির ব্যাপারে অনুরোধ করে। কী আশ্চর্য! তারা গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে যেতে পারে না?! মাওলানা কাসিম নানুতবী রহ তো পালিয়েছিলেন। ওই সময়ের ইসলামিক নেতারা পালিয়ে বেড়িয়েছিলেন। পালানো তো ওই সময়ও কষ্টকর ছিল।
          পালিয়ে গেলেও আওয়ামীলীগ অনেক ভয়ে থাকতো। তাদের মধ্যে রুউব পড়তো। তারা অজানা বিপদের আশঙ্কায় থাকতো। আফসোস! তারা মারামারি চিন্তাও করে না। তারা কি আন্দোলনের আগে এগুলো নিয়ে ভাবেনি? নাকি তারা বিএনপি জামাতের উস্কানীতে কাজ করেছে?

          Comment


          • #6
            ইতিহাসের যুগ-সন্ধিক্ষণে হেফাজতে ইসলাম এমন এক দল, যা কেবল ২০১০ বা তের সালেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই ধারার দলগুলো যে সফলতার মুখ দেখে না, তা ষাটের দশকেই প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আফসোস! প্রিয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ইতিহাস ও অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয় নি! ইতিহাস থেকে যারা শিক্ষা নেয় না, তাঁরা চরম দুর্গতির মুখে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। বৈশ্বিক জোট প্রথম ক্রুসেড থেকে শিক্ষা নিয়েছে, ফলাফলে দ্বিতীয় ক্রুসেডে বিজয়লাভ করেছে। যে-সব মুজাহিদ সংকট থেকে শিক্ষা নিয়েছে, তাঁরা এখনো টিকে আছে। আমার জানামতে আমাদের ভায়েরা তাঁদেরকে বিষয়গুলো জানানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁরাই ভাইদের তাড়িয়ে দেয়! হয়তো তাঁরা ভাইদের বুঝতে পারে নি!!

            হেফাজত বলছে, তাঁরা সরকার-বিরোধী নয়, তাঁরা সরকারের সাথে সংঘাত চায় না। কিন্তু সরকার তো ইসলাম চায় না। তাহলে সংঘাত না হয়ে উপায় কি?! আমি পরিস্কার বলতে পারি, হেফাজত খিলাফাহ চায় না। কেননা, এটি না কোন জিহাদি সংগঠন না রাজনৈতিক সংগঠন। অতএব, হেফাজতে ইসলামকে সরকারী শাসনের মুখোমুখি দাড় করানো ব্যর্থ একটি ভুল। আর তাই ইস্যুগুলোতে হেফাজত মিছিল-মিটিং, হরতাল-আন্দোলনেই সীমাবদ্ধ থাকবে। অর্থাৎ, কেমন-যেন মালিকের কাছে শ্রমিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন করছে যে, অধিকার দিয়ে দিলেই সে চুপ হয়ে যাবে। কিন্তু শ্রমিক জানে না যে, তাঁর মালিক কত বর্বর পর্যায়ের এক জালেম!

            আমি হেফাজতে ইসলামের সমালোচনা করছি না। বরং আফসোস করছি যে, মিলিয়ন-মিলিয়ন জনসমর্থন পেয়েও তাঁরা কেন জিহাদের ব্যপারে অবহেলা করছে! নেতৃবৃন্দ যুদ্ধের সাহস করছে না!! তবে আমার এই আফসোস-ও তাঁদের নীতি-বিরুদ্ধ। কেননা তাঁরা বিপ্লবী নয়। তাই স্বভাবজাত তাঁরা আসাদগংদের সাথে বৈঠক করতেই পারে। আমাদের কাজ হবে বারবার বলা, বারবার বলা, বারবার বলা। হয়ত তাঁদের সন্তান পরিপূর্ণ মুসলিম হবে!!!
            ভুল-ত্রুটি জানানোর অনুরোধ রইল!!!

            Comment


            • #7
              Originally posted by ইবনু যামান View Post
              ইতিহাসের যুগ-সন্ধিক্ষণে হেফাজতে ইসলাম এমন এক দল, যা কেবল ২০১০ বা তের সালেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই ধারার দলগুলো যে সফলতার মুখ দেখে না, তা ষাটের দশকেই প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আফসোস! প্রিয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ইতিহাস ও অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয় নি! ইতিহাস থেকে যারা শিক্ষা নেয় না, তাঁরা চরম দুর্গতির মুখে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। বৈশ্বিক জোট প্রথম ক্রুসেড থেকে শিক্ষা নিয়েছে, ফলাফলে দ্বিতীয় ক্রুসেডে বিজয়লাভ করেছে। যে-সব মুজাহিদ সংকট থেকে শিক্ষা নিয়েছে, তাঁরা এখনো টিকে আছে। আমার জানামতে আমাদের ভায়েরা তাঁদেরকে বিষয়গুলো জানানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁরাই ভাইদের তাড়িয়ে দেয়! হয়তো তাঁরা ভাইদের বুঝতে পারে নি!!

              হেফাজত বলছে, তাঁরা সরকার-বিরোধী নয়, তাঁরা সরকারের সাথে সংঘাত চায় না। কিন্তু সরকার তো ইসলাম চায় না। তাহলে সংঘাত না হয়ে উপায় কি?! আমি পরিস্কার বলতে পারি, হেফাজত খিলাফাহ চায় না। কেননা, এটি না কোন জিহাদি সংগঠন না রাজনৈতিক সংগঠন। অতএব, হেফাজতে ইসলামকে সরকারী শাসনের মুখোমুখি দাড় করানো ব্যর্থ একটি ভুল। আর তাই ইস্যুগুলোতে হেফাজত মিছিল-মিটিং, হরতাল-আন্দোলনেই সীমাবদ্ধ থাকবে। অর্থাৎ, কেমন-যেন মালিকের কাছে শ্রমিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন করছে যে, অধিকার দিয়ে দিলেই সে চুপ হয়ে যাবে। কিন্তু শ্রমিক জানে না যে, তাঁর মালিক কত বর্বর পর্যায়ের এক জালেম!

              আমি হেফাজতে ইসলামের সমালোচনা করছি না। বরং আফসোস করছি যে, মিলিয়ন-মিলিয়ন জনসমর্থন পেয়েও তাঁরা কেন জিহাদের ব্যপারে অবহেলা করছে! নেতৃবৃন্দ যুদ্ধের সাহস করছে না!! তবে আমার এই আফসোস-ও তাঁদের নীতি-বিরুদ্ধ। কেননা তাঁরা বিপ্লবী নয়। তাই স্বভাবজাত তাঁরা আসাদগংদের সাথে বৈঠক করতেই পারে। আমাদের কাজ হবে বারবার বলা, বারবার বলা, বারবার বলা। হয়ত তাঁদের সন্তান পরিপূর্ণ মুসলিম হবে!!!
              খুব ভালো মতামত জাযাকাল্লাহ ভাই, এসব কথা যদি তারা বুঝত!!!

              Comment


              • #8
                ভাই! খুব উপক্রিত হলাম, আমি সত্যিই ভেঙ্গে পরেছিলাম, জাযাকুমুল্লাহ

                Comment

                Working...
                X