Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ # ৮ই রমজান, ১৪৪২ হিজরি | ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ # ৮ই রমজান, ১৪৪২ হিজরি | ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ ঈসায়ী |

    খোরাসান | মুরতাদ বাহিনীর উপর তালেবানের তীব্র হামলা, নিহত ৭৪ এরও বেশি

    আল-ফাতাহ্ অপারেশনের ধারাবাহিতায় আফগানিস্তানে মুরতাদ কাবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে একেরপর এক সফল অভিযান চালাতে শুরু করেছেন তালেবান মুজাহিদিন। যার ৭ টিতেই মুরতাদ বাহিনীর ৭৪ সৈন্য নিহত হয়েছে।

    রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল সকাল ১০ টায় মুরতাদ কাবুল সরকারের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা তালেবান নিয়ন্ত্রিত লঘমান প্রদেশের আলিশাং জেলায় নতুন একটি পোস্ট স্থাপন করার চেষ্টা করে। এসময় কাবুলের পুতুল সৈন্যদের উপর তীব্র হামলা চালান মুজাহিদগণ। যার ফলে ৯ মুরতাদ সৈন্য নিহত এবং আরো ৭ মুরতাদ সৈন্য আহত হয়। মুজাহিদগণ ধ্বংস করেন মুরতাদ বাহিনীর ২টি ট্যাংঙ্ক ও অনেক যুদ্ধাস্ত্র।

    একইদিন সকাল ৮টায় পাকতিয়া প্রদেশের গার্ড-চেরি ও ইব্রাহীম-খাইল জেলায় মুরতাদ কাবুল বাহিনীর ৩টি চেকপোস্টে পৃথক হামলা চালান তালেবিন মুজাহিদিন। যার ফলে মুরতাদ কাবুল বাহিনীর ৬ সৈন্য নিহত এবং অপর ৬ সৈন্য গুরুতর আহত হয়।

    এমনিভাবে বদখশন প্রদেশের জেবাক জেলার সরাই মোহাম্মদ জান এলাকায় গত রাতে মুরতাদ কাবুল সৈন্যদের ২টি পোস্টে সশস্ত্র হামলা চালান মুজাহিদীনরা। এই অভিযানের ফলস্বরূপ, ভাড়াটে শত্রুর ২ ফাঁড়ি পুরোপুরি বিজয় করেন মুজাহিদগণ। এসময় ১৬ ভাড়াটে পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছিল এবং প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ মুজাহিদীনরা গনিমত লাভ করেছিলেন।

    অপরদিকে গতকাল সকাল ৯ টায় লোগার প্রদেশের মোহাম্মদ আগা জেলার পুল-এ-কান্ধারি এলাকায় এবং রাত ১১ টায় খোশি জেলার কেন্দ্রীয় প্রশাসনীক ভবনে লেজার-গাইড হামলা চালান তালেবান মুজাহিদিন। যার ফলে ৫ মুরতাদ সৈন্য নিহত এবং ৩ এরও অধিক সৈন্য আহত হয়েছে।

    একইভাবে হেলামান্দ প্রদেশের নাওয়াহ জেলায়, বদাখশান প্রদেশের রাগিস্তান জেলায় এবং সামঙ্গান প্রদেশের শরিকিয়ার এলাকায় পৃথক ৩টি হামলা চালান মুজাহিদগণ। যার প্রতিটিতেই ৬ করে মোট ১৮ মুরতাদ সৈন্য নিহত এবং ৪ মুরতাদ সৈন্য আহত হয়েছে।

    আলহামদুলিল্লাহ্, তালেবান মুজাহিদগণ প্রতিটি অভিযান শেষেই কাবুল বাহিনী হতে প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র ও গুলা-বারোদ গনিমত লাভ করেছেন।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    সোমালিয়া | মুজাহিদদের হামলায় মেয়রসহ ৮ মুরতাদ সৈন্য হতাহত

    পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় মুরতাদ প্রশাসনের উপর ২টি পৃথক হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। এতে এক মেয়রসহ ৫ সৈন্য নিহত এবং অপর ৩ সৈন্য আহত হয়েছে।

    শাহাদাহ্ নিউজ এজেন্সীর প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২০ এপ্রিল, সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতে দিনালী জেলার মেয়র ও সুরক্ষা বিভাগের ডিপুটি আবদী মুহাম্মদ মাহমুদের গাড়ি লক্ষ্য করে সফল হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। এতে উক্ত মেয়রসহ তার আরো ৪ দেহরক্ষী মুরতাদ সৈন্য নিহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তার গাড়িটি।

    এমনিভাকে বিকাল বেলায় রাজধানীর আফজাউয়ী শহরে আরো একটি হামলা চালিয়েছেন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন। যার ফলে ৩ মুরতাদ সৈন্য গুরতর আহত হয়েছে।

    এছাড়াও এদিন যুবা রাজ্যের কাসমায়ো শহরে অবস্থিত ক্রুসেডার উগান্ডান বাহিনীর ২টি সামরিক ঘাঁটি এবং হাওলুদাক জেলায় সোমালিয় মুরতাদ বাহিনীর অপর ২টি ঘাঁটিতে সফল হামলা চালিয়েছেন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদগণ।

    আলহামদুলিল্লাহ্, মুজাহিদদের প্রতিটি হামলাতেই ক্রুসেডার ও মুরতাদ বাহিনী ভারি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      খোরাসান | কাবুল বাহিনীর উপর হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে তালেবান, নিহত ৭৭ এরও বেশি

      একেরপর এক মার্কিন বাহিনীর চুক্তি লঙ্ঘনের পর কাবুল বাহিনীর উপর হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে তালেবান। তালেবানের ৯ হামলাতেই নিহত ৭৭ এরও অধিক কাবুল সৈন্য।

      তালেবান সূত্রগুলো জানায়, আজ ২০ এপ্রিল দুপুর ২টার সময়, হেরাত প্রদেশের ঘোরিয়ানা জেলায় মুরতাদ কাবুল সরকারের একটি সামরিক কেন্দ্রে গাড়ি বোমা হামলা চালিয়েছেন একজন তালেবান মুজাহিদ, যার ফলে সামরিক কেন্দ্রটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এপর অন্যান্য মুজাহিদগণ সামরিক সেন্টারে ঢুকে কাবুল সৈন্যদের হত্যা করতে থাকেন। অভিযান শেষে গাড়ি বোমা হামলাকারী মুজাহিদ ও অন্যান্যরা নিরাপদে ফিরে আসেন।

      তালেবানদের সামরিক মুখপাত্র ক্বারী ইউসুফ আহমাদী জানান, এতে কাবুল বাহিনীর ২০ পুতুল সৈন্য নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরো অনেক সৈন্য। মুজাহিদদের হামলায় ধ্বংস হয়েছে কাবুল বাহিনীর যানবাহন, যুদ্ধ সরঞ্জামাদি এবং অনেক গোলা-বারুদ।

      এরপর নানগার প্রদেশের শেরজাদ জেলার গাঁদমাক-দাগ, পেটলো ও গন্ডমাক এলাকায় কাবুল বাহিনীর একাধিক চৌকিতে হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। যার ফলে কাবুল বাহিনীর ১২ সৈন্য নিহত এবং আরো ডজনখানেক সৈন্য আহত হয়েছে। মুজাহিদগণ ধ্বংস করেছেন মুরতাদ বাহিনীর ২টি গাড়ি ও ৩টি সামরিক চৌকি।

      এমনিভাবে তালেবান নিয়ন্ত্রিত লঘমান প্রদেশের আলিশাং জেলার কোটালি এলাকায় একদল পুতুল সৈন্য তালেবানদের তীব্র হামলার শিকারে পরিণত হয়। হামলার কারণ হিসাবে জানা যায়, এসব সৈন্যরা এই এলাকায় নতুন পোস্ট স্থাপন করতে এসেছিল। যার ফলে তালেবানদের হামলার শিকারে পরিণত হয়। এসময় ৯ মুরতাদ সৈন্য নিহত এবং আরো ৭ মুরতাদ সৈন্য আহত হয়েছে। মুজাহিদগণ ধ্বংস করেছেন মুরতাদ বাহিনীর ২টি সাঁজোয়া যান। শেষ পর্যন্ত কাবুল বাহিনী মুজাহিদদের হাতে চরম মাইর খেয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।

      অপরদিকে আজ ভোরে হেলমান্দ প্রদেশের গারিশাক জেলায় কাবুল বাহিনীর একটি পুলিশ চৌকিতে লেজার অস্ত্র দিয়ে হামলা চালান মুজাহিদগণ। এতে কমপক্ষে ৬ মুরতাদ সৈন্য নিহত হয়। একেই প্রদেশের কারশাক এলাকায় দুপুর ১২টায় কাবুল বাহিনীর উপর আরো ১টি হামলা চালান মুজাহিদগণ। যার ফলে এখানেও আরো ৬ মুরতাদ সৈন্য নিহত হয়।

      এদিকে বাগালান প্রদেশের মধ্য বাঘলান জেলায় রাস্তার পাশে স্থাপিত কাবুল বাহিনীর একটি চেকপোস্টে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। অভিযানের মাধ্যমে মুজাহিদগণ চেকপোস্টটি সম্পূর্ণরূপে বিজয়ী করেনেন। এসময় মুজাহিদগণ হত্যা করেন কাবুল বাহিনীর ৬ ভাড়াটে সৈন্যকে। মুজাহিদগণ ধ্বংস করেন ১ টি ট্যাঙ্ক। গনিমত লাভ করেন ১টি ট্যাঙ্ক ২টি পিকআপ, ২ টি মেশিনগান, ২ টি ক্লাশিনকোভ এবং অনেক গোলাবারুদ।

      একইভাবে এদিন নানগারহার প্রদেশের আরওয়ান্দ এলাকা, লোঘার প্রদেশের খোগিয়ান ও গজনী প্রদেশের শালগার জেলায় মুরতাদ কাবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে আরো ৩টি পৃথক হামলা চালিয়েছেন তালেবান মুজাহিদিন। এতে ১১ মুরতাদ সৈন্য নিহত এবং ১৩ এরও অধিক মুরতাদ সৈন্য আহত হয়েছে।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        "মুজাহিদগণ ধ্বংস করেন মুরতাদ বাহিনীর ২টি ট্যাংঙ্ক ও অনেক যুদ্ধাস্ত্র।"

        মুজাহিদগণ ট্যাংঙ্ক ও অনেক যুদ্ধাস্ত্র ধ্বংস কি আক্রমণ চলা কালে নাকি পরে?
        পরে ধ্বংস করে থাকলে, কেন?
        হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

        Comment


        • #5
          [[ আফ্রিদি]] ভাইজান,৷ সাধারণত যুদ্ধের সময়ই ধ্বংস করা হয়। আর পরেও ধ্বংস করার নিয়ম আছে। যেমনঃ অস্ত্র যদি পূনরায় শত্রুর হাতে চলে যাওয়ার ভয় থাকে।
          اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

          Comment


          • #6
            Originally posted by আফ্রিদি View Post
            "মুজাহিদগণ ধ্বংস করেন মুরতাদ বাহিনীর ২টি ট্যাংঙ্ক ও অনেক যুদ্ধাস্ত্র।"

            মুজাহিদগণ ট্যাংঙ্ক ও অনেক যুদ্ধাস্ত্র ধ্বংস কি আক্রমণ চলা কালে নাকি পরে?
            পরে ধ্বংস করে থাকলে, কেন?
            ভাইজান! মুজাহিদ ভাইদের জন্য যেটা সুবিধা মনে করেছেন সেটাই করেছেন আলহামদুলিল্লাহ্... হতে পারে যুদ্ধ চলাকালিন অথবা পরে। আল্লাহ্ তায়া-লা ভাইদের সাহায্য বহাল রাখুন,আমিন।

            Comment


            • #7
              তাকবির..আল্লাহু আকবার..!!
              যদি তোমরা জিহাদে বের না হও তবে তিনি তোমাদের কঠিন শাস্তি দিবেন এবং অন্য জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। আর তোমরা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (সূরা তাওবা, আয়াত: ৩৯)

              Comment

              Working...
              X