Announcement

Collapse
No announcement yet.

মেয়েদের ফিতনা থেকে সালাফরা যেভাবে নিজেদের আত্মরক্ষা করতেন !

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মেয়েদের ফিতনা থেকে সালাফরা যেভাবে নিজেদের আত্মরক্ষা করতেন !

    মেয়েদের ফিতনা থেকে সালাফরা যেভাবে নিজেদের আত্মরক্ষা করতেন!


    মোহাম্মদ বিন সীরীন রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
    আল্লাহর কসম! আব্দুল্লাহর আম্মু (তার স্ত্রী) ছাড়া আমি অন্য কোন মহিলার দিকে দৃষ্টি দেইনি।
    জাগ্রতাবস্থায়ও না আর ঘুমন্তাবস্থায়ও না।
    স্বপ্নে আমি কোন মহিলাকে দেখলে মনে করছি, এটাতো আমার জন্য হালাল না। অতঃপর তার থেকে আমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়েছি। (সাহমু ইবলিস ওয়া কাওছিহ)
    .
    রাবী বিন খায়ছাম রাহিমাহুল্লাহ তার দৃষ্টিকে অবনত রাখতেন। আর মহিলাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম কালে নিজের চোখকে একদম নীচে নামিয়ে রাখতেন, তখন মহিলারা মনে করতো তিনি অন্ধ। অতঃপর তারা আল্লাহর কাছে অন্ধত্ব থেকে বাঁচার জন্য আশ্রয়প্রার্থনা করত। (যাম্মুল হাওয়া, ৮০)
    .
    আতা রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমাকে যদি বাইতুল মালের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহলে আমি বিশ্বস্ত হতে পারব। তবে কুৎসিত বিকৃত দাসীর ক্ষেত্রেও আমি নিজেকে নিরাপদ মনে করি না।
    ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যই বলেছেন।
    (সিয়ারু আলামিন নুবালা, ৫/৮৭-৮৮)
    .
    আহনাফ বিন ক্বাইস রাহিমাহুল্লাহ বলেন, তোমরা আমাদের বৈঠকগুলোতে খাবার ও নারী সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করা থেকে বিরত থাকবে। আমি ঐ ব্যক্তিকে ঘৃণা করি, যে নিজের লজ্জাস্থান ও পেটের বিবরণ দেয়। (সিয়ারু আলামিন নুবালা, ৪/৯৪)।
    .
    সাঈদ বিন মুসাইয়িব রাহিমাহুল্লাহুর বয়স ৮৪ বছর, তখন তার এক চোখ নষ্ট, আরেকটির দৃষ্টিশক্তিও একেবারে দুর্বল, এমতাবস্থায় তিনি বললেন, আমার কাছে নারীর চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর আর কিছু নেই।
    (সিয়ারু আলামীন নুবালা, ৪/২৩৭)
    .
    অন্যত্র তিনি বলেন,
    আমি নিজের উপর নারীকে ভয়ের মত অন্য কোন কিছুকে এত ভয় পাই না।
    তারা বললেন, হে আবু মুহাম্মদ! আপনার মত বুড়ো মানুষ তো আর মহিলাদেরকে চাইবে না, আর না মহিলারা আপনাকে চাইবে।
    তিনি বললেন, সেটাই আমি তোমাদের বলছি।
    (কেউ কাউকে চাইবে না, তারপরও আমার এত ভয়)
    অথচ সে সময় তিনি ছিলেন ক্ষীণদৃষ্টি সম্পন্ন বৃদ্ধ এক লোক। (সিয়ারু আলামীন নুবালা, ৪/২৩৭)
    .
    আল -আলা বিন যিয়াদ (রাহঃ) বলেন,
    কোন মেয়ের উড়নার উপর যেন তোমার দৃষ্টি না পড়ে।
    কারণ এই দৃষ্টিই অন্তরে কামনা-বাসনা জাগিয়ে তুলে।
    (আহমাদ, যুহুদ, ৩১১)।
    .
    আবু হাকীম রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
    হাসসান বিন আবু সিনান একদিন ঈদগাহে গেলেন।
    অতঃপর ঈদগাহ থেকে ফিরলে তার স্ত্রী তাকে বললেন, আজ কতইনা সুন্দরী রমণীকে তুমি অবলোকন করেছ।
    বারবার একই কথা বলার পর তিনি বললেন, তোমার জন্য আফসোস!
    বাড়ি থেকে বের হয়ে ফিরে আসা পর্যন্ত আমি আমার বুড়ো আঙুলের দিকেই তাকিয়ে ছিলাম।
    (ইবনু আবী দুনইয়া, আল-ওরাআ, ৬)
    .
    ওয়াক্বী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমরা সুফিয়ান সাওরীর সাথে ঈদের দিন বের হলাম।
    তিনি বললেন, আজ আমাদের সর্বপ্রথম কাজ হলো, আমরা আমাদের দৃষ্টি অবনত রাখবো।
    (ইবনু আবী দুনইয়া, আল-ওরাআ, ৭২)
    .
    আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
    যখন তোমার পাশ দিয়ে কোন মহিলা অতিক্রম করবে তখন তোমার দু'চোখে নিচে নামিয়ে নিবে, যতক্ষণ না সে তোমাকে অতিক্রম করে চলে যায়।
    (ইবনু আবী দুনইয়া, আল-ওরাআ, ৭২)

    [সংগৃহীত]
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

  • #2
    জাযাকাআল্লাহ্ আখি.. এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট.. আল্লাহ তায়া-লা আমাদের নারী ফিতনা থেকে হেফাযত করুন,আমিন।

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ ভাই চারদিকে নারীর ফিতনা ভয়ানক আকার এই অবস্থায় আপনার এই আলোচনা আমাদের পাথেয় হিসেবে কাজে লাগবে
      ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

      Comment


      • #4
        বর্তমান পরিস্থিতিতে নারীদের ফেতনা অনেক ভয়াবহ।
        আমাদের উচিত এ ফেতনা থেকে সতর্ক থাকা।
        গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

        Comment


        • #5
          মাশাআল্লাহ! গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। আল্লাহ তাআলা পোস্টকারী ভাইকে আল্লাহর শান অনুযায়ী পুরষ্কার দিন।

          Comment


          • #6
            (নবী মুহাম্মাদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার পর (পুরুষ) জাতির জন্য নারী জাতির ফেতনা হতে অধিক ক্ষতিকর আর কিছু থাকছে না।)
            আমরা নবীজির হাদিস থেকেও এ শিক্ষা পাই। তাই আমাদের সকলেরই নারী থেকে দূরে অবস্থান করতে হবে। আল্লাহ আমাদের নারীর ফেতনা থেকে হেফাযত করুন! আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন।
            Last edited by জুবা আহমাদ; 05-01-2021, 10:50 PM.

            Comment


            • #7
              জাযাকাল্লাহ। অনেক উপকারী পোষ্ট।

              Comment


              • #8
                মাশাআল্লাহ

                Comment


                • #9
                  হে আল্লাহ! আমাদেরকে দ্বীনের পথে ফিরিয়ে দিন এবং আমাদের তাওবাহ করার তৌফিক দান করুন।
                  আমাদের কে নারীর ফেতনা থেকে হেফাজত করুন,একমাত্র আপনি ছাড়া কোন সাহায্য কারী নেই;আমরা আপনার কাছেই সাহায্য প্রর্থানা করছি...
                  ইয়া সামিউল আলীম

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by Nasir24 View Post
                    মাশাআল্লাহ
                    ফোরামের রুলস টা পড়ার অনুরোধ...
                    https://82.221.139.217/showthread.ph...A6%A8%E0%A6%BE

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by নুআইম আন-নাহহাম View Post
                      মাশাআল্লাহ! গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। আল্লাহ তাআলা পোস্টকারী ভাইকে আল্লাহর শান অনুযায়ী পুরষ্কার দিন।
                      আল্লাহুম্মা আমীন।
                      সকল কমেন্টকারী ভাইদেরকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাই। জাযাকুমুল্লাহ
                      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                      Comment


                      • #12
                        আল্লাহর পথ(শপথ) মাঝে মাঝে আমার মন চায় নিজেের চোখ দুটি খুলে ফেলতে এবং ব্রেইনের নারীর স্মৃতিগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে। আবার মাঝে ভাবি হায়!! আমি কেন অন্ধ হলাম না! বর্তমান যুগে (নজর) হেফাজতের ৩টা উপায় আমার মতে।
                        ১/ অন্ধ হওয়া ২/ পরিপূর্ণ ইসলামী শরিয়া বাস্তবায়ন করা এবং তাকওয়া অবলম্বন করা । ৩/ নারীমুক্ত এলাকায় থাকা। কারণ, আপনি প্রাকৃতিক দৃশ্যও চোখ দিয়ে দেখতে পারবেন না, সেখানেও অশ্লীল পোশাকপরিহিতা নারী। রাস্তাও ভালো করে দেখতে পারবেন না, কারণ নারী, আর আলার(বলার) ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
                        আমি আল্লাহর তরবারি
                        আমি খালিদ বিন ওলিদ
                        আমি পারস্য বাহিনীর মৃত্যুর দূত

                        Comment


                        • #13
                          Originally posted by Power of Eman View Post
                          আল্লাহর পথ(শপথ) মাঝে মাঝে আমার মন চায় নিজেের চোখ দুটি খুলে ফেলতে এবং ব্রেইনের নারীর স্মৃতিগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে। আবার মাঝে ভাবি হায়!! আমি কেন অন্ধ হলাম না! বর্তমান যুগে (নজর) হেফাজতের ৩টা উপায় আমার মতে।
                          ১/ অন্ধ হওয়া ২/ পরিপূর্ণ ইসলামী শরিয়া বাস্তবায়ন করা এবং তাকওয়া অবলম্বন করা । ৩/ নারীমুক্ত এলাকায় থাকা। কারণ, আপনি প্রাকৃতিক দৃশ্যও চোখ দিয়ে দেখতে পারবেন না, সেখানেও অশ্লীল পোশাকপরিহিতা নারী। রাস্তাও ভালো করে দেখতে পারবেন না, কারণ নারী, আর আলার(বলার) ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
                          মাশাআল্লাহ এসবকিছু সত্য হয়ে থাকলে এসব কিছু হল ঈমানদীপ্ত শিখা।
                          ভাই চোখ খুলে ফেলতে চাওয়া এবং অন্ধ হতে চাওয়ার অনুমতি কি শরিয়াহ কাউকে দিয়েছে?
                          পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

                          Comment


                          • #14
                            Originally posted by abu ahmad View Post
                            মেয়েদের ফিতনা থেকে সালাফরা যেভাবে নিজেদের আত্মরক্ষা করতেন!
                            ভাই বর্তমান সময়ে চোখের হেফাজত কিভাবে করব যেখানে যাই সেখানেই তো পর্দাহীন মহিলা।
                            পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

                            Comment


                            • #15
                              Originally posted by mahmud123 View Post
                              ভাই বর্তমান সময়ে চোখের হেফাজত কিভাবে করব যেখানে যাই সেখানেই তো পর্দাহীন মহিলা।
                              জি ভাই, বর্তমানে তো এটি একটি কঠিন কাজ-ই বটে। তারপরেও আমাদেরকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার করতে হবে।
                              আর আমাদেরকে পর্দাহীনতার পরিবেশ যথাসাধ্য পরিহার করতে হবে। নেটের ফিতনা থেকে সর্তক থাকতে হবে। স্যোশাল মিডিয়াতে সময় কম দিতে হবে।
                              আল্লাহ আমাকে ও আপনাকে এবং আমাদের সকলকে চোখের হেফাযত করার ও চোখের গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দিন। আমীন
                              ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                              Comment

                              Working...
                              X