Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# ২১ই রমজান, ১৪৪২ হিজরি | ০৪ঠা মে, ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# ২১ই রমজান, ১৪৪২ হিজরি | ০৪ঠা মে, ২০২১ ঈসায়ী |

    দখলদারিত্বের কবলে শাইখ জাররাহঃ বসতবাড়ি হারানোর শঙ্কায় ৫৫০ ফিলিস্তিনি

    জায়নিস্ট ইসরাইল তাদের দখলদারিত্বের অংশ হিসেবে পূর্ব জেরুজালেমের শাইখ জাররাহ থেকে ২৮ মুসলিম পরিবারকে উৎখাতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে ২৮টি পরিবারের ৫৫০ জন ফিলিস্তিনি মুসলিম বাস্তুচ্যুত হবেন বলে জানা যাচ্ছে।

    গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দখলদার ইসরাইলি উচ্চ আদালতের নির্দেশে শাইখ জাররাহের মুসলিম পরিবারগুলো আজ চরম উৎকন্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ।

    এবার ইহুদীরা শাইখ জাররাহের মুসলিম বাড়িগুলো নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করছে। আপাতত মুসলিমদের উৎখাত না করে বাড়িগুলোর মালিকানা ইহুদিদের বুঝিয়ে দিয়ে নিজ বাড়িতে ভাড়া থাকতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কিংবা ফিলিস্তিন পরিবারগুলোর কেউ মারা গেলে তখন বাড়ি হস্তান্তরের পরামর্শ দিচ্ছে কেউ কেউ। তবে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলিমরা ইহুদীদের এইসব ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

    ইসরাইলি আদালত ৬ই মে বৃহস্পতিবার, ২০২১ পর্যন্ত ইহুদী ও মুসলিমদের মাঝে পারস্পরিক সমঝোতায় পৌছতে রায় দিয়ে মুলতবি ঘোষণা করে।

    উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালে ফিলিস্তিনের উপকূলীয় শহর হাইফা ও ইয়াফা থেকে এই মুসলিম পরিবারগুলোকে বিতাড়িত করে দেয়া হয় হয়েছিল, যারা বর্তমানে পূর্ব জেরুজালেমের শাইখ জাররাহতে শরণার্থী হিসাবে এসে বসতি গড়েন। তখন পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম জর্ডানের অধীনে ছিলো। তৎকালীন সময়ে জাতিসংঘ ও জর্ডানের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী শাইখ জাররাহতে জর্ডান সরকার ফিলিস্তিন শরনার্থীদের জন্য বসতি গড়ে। কিন্তু ভূমি চুক্তি মতে তিন বছর বসবাসের ফলে ফিলিস্তিন পরিবারগুলো শরনার্থী স্টযাটাস হারিয়ে ভূমির মালিকানা স্বত্ব বুঝে পায়।

    ১৯৬৭ সালে যুদ্ধবাজ ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম জোড়পূর্বক দখল করে নেয়, ফলে জর্ডান পূর্ব জেরুজালেমে তার কর্তৃত্ব হারায়। কিন্তু তখনো ভূমির মালিকানাস্বত্ব পরিবর্তন হয়নি।

    ১৯৭২ সালে এসে দখলদার ইহুদীরা জাল কাগজপত্র বানিয়ে শাইখ জাররাহের মুসলিম বাড়িঘরগুলোর মালিকানা দাবি করে।

    বর্তমানে দখলদার ইসরাইলি আদালত জর্ডান-জাতিসংঘের করা দাপ্তরিক চুক্তিটি প্রত্যাখ্যান করে শাইখ জাররাহের মুসলিম বাতিগুলোর মালিকানা ইহুদিদের বলে রায় দিয়েছে।

    শাইখ জাররাহের স্মৃতিকাতর এক প্রবীণ বাসিন্দা আবেগী কন্ঠে বলেন,”আমরা যাবো না। শাইখ জাররায় জাতিগত নির্মূল বন্ধ করুন।”
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মডেল মসজিদ নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী

    কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা পরিষদ চত্বরে মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। ঠিকাদার আওয়ামী মাফিয়া বাহিনীর লোক।

    নিম্নমানের বালু, কমগ্রেডের সিমেন্ট, পরিমাণে কম ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরনো ইট, ২০ মিলির পরিবর্তে ১৬ মিলির রড, মসজিদের বেইজে ঢালাইয়ে পাথরের পরিবর্তে ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। ঢালাইয়ের কাজে স্টিলের স্যাটারিং ব্যবহার বাধ্যতামূলক থাকলেও সেখানে কাঠের সাটারিং ব্যবহার করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

    স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান রবিন মসজিদটি নির্মাণে ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছেন। প্রতিমন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে এই নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে।

    নির্মাণাধীন মসজিদটি ঘুরে দেখা গেছে, এর প্রাথমিক স্তরের কাজ চলছে। মসজিদের পিলার ও গম্বুজের কাজ চলমান দেখা গেছে। এসময় নির্মাণ শ্রমিকদের কাছে কাজের মান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কেউ বলার আগ্রহ দেখাননি।

    তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শ্রমিক বলেন, ‘মসজিদের কাজের মান খুবই খারাপ হচ্ছে। বেইস ঢালাইয়ে পাথরের খোয়া ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও সেখানে ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। নিম্নমানের বালু ও কমগ্রেডের সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। কয়েকটি জায়গায় পুরনো ইট, পুরনো প্লেইন রড ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষ করে যেখানে ২.৫ এফএম’র বালু ব্যবহারের কথা সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ধুলোর মতো বালু। সিমেন্টের ব্যবহার পরিমাণ মতো দেওয়া হচ্ছে না। ইট ও পাথরের খোয়া ভালোভাবে পরিষ্কার না করে ময়লাযুক্ত অবস্থায়ই ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।’

    ওই শ্রমিক আরো বলেন, ‘আমরা কামলা দেই। ঠিকাদার যেভাবে কাজ করতে বলেন সেভাবেই আমাদের করতে হয়।’

    কালের কণ্ঠ
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সরকারের বন্দোবস্ত দেওয়া নিয়ে গুরুতর অনিয়ম

      নীলফামারী সদরের খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের সরকারি খতিয়ানভুক্ত পেট বিষার বিলের একাংশ কৃষিজমি দেখিয়ে ছয়টি পরিবারকে বন্দোবস্ত দেওয়া হয় ২০১৯ সালে। সম্প্রতি ওই বিলের জমি নিয়ে মৎস্যজীবী, কৃষক ও বন্দোবস্ত পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছে। দুই পক্ষই বিলে যাওয়া নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান করছে।

      এদিকে বন্দোবস্ত পাওয়া ছয়টি পরিবারকে ভূমিহীন বলা হলেও তারা আর্থিকভাবে সচ্ছল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। সরেজমিনেও তাদের নিজস্ব জমি থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

      এর আগে ওই বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা শতাধিক ব্যক্তি ও কৃষক জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। স্থানীয় লোকজন জানান, ২ দশমিক ৮০ একর বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আশপাশের ভূমিহীন পরিবারগুলো। সেচের কাজেও এই বিলের পানি ব্যবহার করা হয়। শুষ্ক মৌসুমেও বিলে পানি থাকে।

      অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বিলের ১ দশমিক ৬৫ একর অংশকে কৃষিজমি দেখিয়ে ৬ জনকে ৯৯ বছরের জন্য বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। কবুলিয়ত দলিল সম্পাদন করে দেন তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদ তামান্না। তিনি বর্তমানে ঢাকার সাভারে লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণকেন্দ্রে কর্মরত।

      মুঠোফোনে নাহিদ তামান্না বলেন, খাসজমির তালিকায় বিলটির ওই অংশের দোলা (কৃষিজমি) হিসেবে উল্লেখ আছে। ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের প্রত্যয়ন অনুযায়ী ভূমিহীনদের নির্বাচন করা হয়েছিল। জেলা প্রশাসকের অনুমোদনক্রমে পরে কবুলিয়ত দলিল সম্পাদন করে দেওয়া হয়।

      খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের কৃষক জিতেন্দ্র নাথ রায় (৫০) বলেন, ২০১৪ সালে কৃষি বিভাগ (সেচ) আইপিপি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বিলটি পুনঃখনন করে।

      বন্দোবস্ত পাওয়া ৬ পরিবারের মধ্যে ৬২৩০ নম্বর দলিলে দক্ষিণ কিসামত গোড়গ্রামের হাবিবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী নূর নাহার সিকদার পেয়েছেন ৩০ শতক। হাবিবুর রহমানের কৃষিজমি আছে ২৮ শতক। বন্ধক নিয়ে চাষ করেন আরও চার বিঘা জমি। নূর নাহার সিকদার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহায়ক পদে কর্মরত। চার কক্ষের আধা পাকা বাড়িও আছে তাঁদের। তবে ছেলেমেয়েকে নিয়ে নূর নাহার সিকদার জেলা শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন।

      বন্দোবস্ত পাওয়া বাকি পাঁচ পরিবারের মধ্যে চারটিই হাবিবুর রহমানের আত্মীয়ের। সরেজমিনে তাঁদের সবারই নিজস্ব জমি ও পাকা, আধা পাকা বাড়ি থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। প্রথম আলো
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সৌদির পাঠ্যসূচিতে যুক্ত হচ্ছে মুশরিকদের বানোয়াট কিচ্ছা কাহিনীর গ্রন্থ রামায়ণ-মহাভারত

        পবিত্র ভূমি সৌদি আরবে এবার মুশরিক হিন্দুত্ববাদীদের ‘রামায়ণ ও মহাভারতের’ মতো মনগড়া বানোয়াট কিচ্ছা কাহিনীকে দেশটির পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষী সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। ইহুদি ঘেঁষা এই ক্রাউন প্রিন্স সৌদি আরবে ইসলামের ইতিহাসকে কলুষিত করে পশ্চিম পশু সভ্যতার মতো সাজাতে চাইছে। আধুনিকতার নামে শুরু থেকেই প্রিন্স সালমান বিভিন্ন পদক্ষেপ মুসলিমদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। সৌদি আরবে সিনেমা হল খোলা, ডান্স বারের উদ্বোধন থেকে শুরু করে নারীদের স্বাধীনতার নামে গাড়ি চালানো এবং সম্প্রতি মসজিদুল হারামে নারী নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি ভালোই আলোড়ন ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

        তবে এবার প্রিন্স সালমান তার সৌদি আরব ভিশন ২০৩০ এর প্রেক্ষিতে সেখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন দৃষ্টিভঙ্গির অংশ হিসাবে অন্যান্য দেশের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি অধ্যয়নের নামে নাস্তিকতা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এরই অংশ হিসাবে শিক্ষার্থীদের রামায়ণ ও মহাভারত শেখানো হবে বলে জানা গেছে। সৌদির বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

        একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী সৌদি আরবের স্কুলগুলোতে পড়ানো বিভিন্ন বইয়ের পৃষ্ঠার ছবি তুলে পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি কীভাবে ইতোমধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সৌদি আরবের পাঠ্যসূচিতে। সেখানে হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্মের মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

        আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুধু রামায়ণ-মহাভারতই নয়, ভারতীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয়েও পাঠ দেয়া হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। তার মধ্যে থাকছে যোগচর্চা, আয়ুর্বেদের মতো প্রাচীন শিক্ষাও। নতুন সিলেবাসে বিভিন্ন ধর্ম নিয়েও পাঠদান করা হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরও বেশি সর্ব ধর্ম সম্পর্কে সহিষ্ণু (অসাম্প্রদায়িক তথা নাস্তিক) করে তুলতেই এই উদ্যোগ।

        তবে এ নিয়ে খোদ সৌদি আরবের বাসিন্দাদের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সৌদি আরবের মুসলিমরা বলছেন, এভাবে কাহিনি নির্ভর ও ভিত্তিহীন একটি ধর্মের ব্যাপারে কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা দেয়ার মাধ্যমে কোন উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায় সৌদি প্রশাসন তা আমাদের বোধগম্য নয়।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X