Announcement

Collapse
No announcement yet.

অসুস্থতায় নবী আইয়ূব আ. এর পথ অবলম্বন

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • অসুস্থতায় নবী আইয়ূব আ. এর পথ অবলম্বন

    অসুস্থতায় নবী আইয়ূব আ. এর পথ অবলম্বন

    প্রিয় ভাই ও বোন!
    মাঝে মধ্যে আমরা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ি। মরণব্যাধি আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে। কালছুয়া রোগ অতিথির বেশে আলতো করে ছুঁয়ে যায়। তাতেই আমরা কাইত হয়ে যাই। চিত হয়ে পড়ি। হাউমাউ করে করে কেঁদে উঠি। ভ্রান্তির শ্লোগান [অকাল মৃত্যুবরণ] করবো এ পেরেশানে ইবাদতের কথা ভুলে যাই। রব কিন্তু আমাদের ভুলেন না। কিঞ্চিৎ পরিমাণও না। এক মুহূর্তের জন্যও না।

    আমাদের উচিত হবে না তাঁর নাশুকরিয়া করা।
    এ মুহূর্তগুলোতে আমরা নবী আইয়ূব আলাইহিস সালামের কথা স্বরণ করবো। মরণব্যাধি শরীর নিয়েও আল্লাহর স্মরণ থেকে তিনি এক মুহূর্তের জন্য গাফেল হননি। প্রতিটা মুহূর্তে তিনি কেবল আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়েছেন।।

    اني مسني الضر وانت ارحم الرحمين
    হে আমার প্রতিপালক! দুঃখ ক্লেশ আমাকে স্পর্শ করেছে। আপনি তো দয়ালুদের তাদের শ্রেষ্ঠ দয়ালু।[১]


    প্রিয় যুবক ভাই! একটু খেয়াল করুন- আইয়ূব আলাইহিস সালামের কথার মধ্যে কিন্তু কোন অভিযোগ নেই। কোন অনুযোগ নেই। নেই কোন আত্মম্ভরিতা। কেবল আছে বিনয় আর ভরসার অনন্য এক সমন্বয়।

    তিনি কিন্তু এ অভিযোগ তোলেন নি। হে আল্লাহ! আমি কষ্ট পাচ্ছি। আমার কষ্ট কমিয়ে দেন। আমি সহ্য করতে পারছিনা। সমাজের মানুষ আমাকে তিরষ্কার করছে। নানা অভিযোগ অনুযোগের তীর ছুঁড়ছে। তুহমতের বাকা আঙ্গুল উত্তলন করছে। ঘর থেকে বিতাড়িত করেছে। সমাজ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এমন কিছুই না!

    তিনি কিন্তু একথা বলতে পারতেন ওগো দয়াময় প্রভু! রোগের কারণে দ্বীনের দাওয়াত দিতে পারছিনা। রোগের কারণে উম্মাহ থেকে বিচ্ছিন্ন।
    আমাকে আপনি আরোগ্য করে দিন। তিনি এরকম কোনো কথা বলেননি। কেবল আল্লাহর সে গুনের দ্বারা প্রশংসা করেছেন যা পবিত্র কুরআনের সূরা ফাতিহাতে বিদ্যমান রয়েছে।

    আইয়ূব আলাইহিস সালাম বলেছেন-হে আমার রব! আপনি তো দয়ালুদের শ্রেষ্ঠ দয়ালু। আল্লাহ তাআলার সিফাতগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি গুণ হলো আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। তার চাইতে বড় দয়ালু আসমান জমিনে আর কোথাও নেই। যা সূরা ফাতিহার শুরুতে আমরা এই ঘোষণা দিয়ে থাকি।

    আইয়ূব আলাইহিস সালাম অভিযোগ না করে বরং আবদার করেছেন একজন দাস তার মালিকের কাছে যে সুরে আবদার করে। সে সুরে অনুনয়-বিনিনয় করে নবী আইয়ূব আলাইহিস সালামও ঠিক একইভাবে তার মালিক আল্লাহ সুবাহানাতালা আর কাছে আবদার করেছেন। সে আবদারে ছিলো অসহায়ত্বের নির্ভরতা । সে দাবীতে ছিলো ভালোবাসার অনুপমতা।

    প্রিয় বন্ধু নবী আইয়ূব আলাইহিস সালামের এই আকুল আবেদনের পরে আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তাআলা তাঁর দোয়া কবুল করে নিয়েছেন। তাঁর দুঃখ মুছে দিয়েছেন। তাঁর রোগকে আসান করে দিয়েছেন। কুদরতি প্রকাশ করে সম্মান দেখিয়েছেন। ত্যাগের নাযরানা যেমন ছিলো প্রতিদানের ধরণটাও তেমন ছিলো। আল্লাহ তাআলা অলৌকিক ঝর্ণার নহর তৈরি করে দিয়ে কষ্টের পাত্রকে আনন্দের মোহনায় ভাসিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ তা'আলা বলেন-
    فاستجبنا له فكشفنا ما به من ضر

    অতঃপর আমি তার আহবানে সাড়া দিলাম এবং তার সব দুঃখ কষ্ট দূর করে দিলাম।[২]


    প্রিয় যুবক ভাই!
    যে আল্লাহ আইয়ূব আলাইহিস সালামকে কঠিন রোগ থেকে সুস্থতা দান করেছেন তিনি কি আমাদের সুস্থ করে তুলতে পারেন না? যিনি নবী ইউনুস আলাইহিস সালামকে মাছের অন্ধকার পেট থেকে বাঁচিয়েছেন তিনি কি আমাদের সব রকম অন্ধকার থেকে মুক্ত করতে পারেন না?
    যিনি নবী ইবরাহীম আলাইহিস সালামের জন্য আগুনকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শীতল হাওয়ায় রুপান্তরিত করেছিলেন তিনি কি পারেন না আমাদের জন্য রক্ষক হতে? যিনি নবী ইউসুফ আলাইহিস সালামকে অপবাদ আর তুহমতের অনিষ্ট থেকে বাঁচিয়েছেন তিনি কি আমাদের ক্ষেত্রে আশ্রয়দাতা হতে পারেন না?

    জ্বী অবশ্যই হতে পারেন-
    তবে নবী আইয়ূব আলাইহিস সালামের মত করুণস্বরে আবদার জানাতে হবে। নবী ইউনুস আলাইহিস সালামের মত দ্বীপ্তকন্ঠে ঘোষণা করতে হবে। নবী ইবরাহীম আলাইহিস সালামের মত ভরসা নির্ভরতার প্রতীক উঠতে হবে। নবী ইউসুফ আলাইহিস সালামের মত পুতপবিত্র চরিত্রের অধিকারী হতে হবে।


    প্রমাণাদিঃ
    ১.সূরা আম্বিয়া, আয়াত নং ৮৩
    ২.সূরা আম্বিয়া, আয়াত নং ৮৪

  • #2
    প্রিয় ভাই! লেখাটা অনেক সুন্দর হয়েছে.. আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো লাগলো..লেখাটা আবার আসার সঞ্চার জাগালো..আমি এক যুগেরও বেশি সময় অসুস্থ হয়ে আছি ভাইজান! আমার জন্য সব ভাইদের কাছে সুস্থতার দোয়া করার বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি.. প্রিয় ভাই আমার! আপনার দোয়াতে আমি গোনাহগার কে একটু স্বরণ রাখবেন ইনশা-আল্লাহ্।

    Comment


    • #3
      Originally posted by Rumman Al Hind View Post
      প্রিয় ভাই! লেখাটা অনেক সুন্দর হয়েছে.. আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো লাগলো..লেখাটা আবার আসার সঞ্চার জাগালো..আমি এক যুগেরও বেশি সময় অসুস্থ হয়ে আছি ভাইজান! আমার জন্য সব ভাইদের কাছে সুস্থতার দোয়া করার বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি.. প্রিয় ভাই আমার! আপনার দোয়াতে আমি গোনাহগার কে একটু স্বরণ রাখবেন ইনশা-আল্লাহ্।
      জ্বী,, মুহতারাম। হৃদয়ের গহিনে যাদের বসবাস তারা হলো প্রিয় মুজাহিদীনে কেরাম। আপনিও অধমের জন্য একটু দুআ করবেন যেন আমি ফেরেশতাদের দুআর বস্তু হতে পারি।

      Comment


      • #4
        Originally posted by নুআইম আন-নাহহাম View Post
        জ্বী,, মুহতারাম। হৃদয়ের গহিনে যাদের বসবাস তারা হলো প্রিয় মুজাহিদীনে কেরাম। আপনিও অধমের জন্য একটু দুআ করবেন যেন আমি ফেরেশতাদের দুআর বস্তু হতে পারি।
        আল্লাহ্ তায়া-লা আমাদের অন্তরের পবিত্র চাওয়া গুলো কবুল করে নিন,আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন।

        Comment


        • #5
          আমরা বিপদে বা অসুস্থতায় সবর করব। ইনশাআল্লাহ

          আর সালাফদের নীতি হল-তাঁরা নিজের জন্য যা চাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করতেন।
          অপর ভাইয়ের জন্য তা চাইতেন।
          আর হাদিসে আছে,কোন মুসলিমের অগোচরে তাঁর জন্য দুআ করলে,দুআকারীকেও আল্লাহ অনুরূপ দান করেন।
          এজন্য আমরা সব মুসলিমদের জন্য দুআ করব। আর আমার যা প্রয়োজন তা অপর ভাইয়ের জন্য চাইবো। আল্লাহ আমাদেরকে মাফ করে দিন। আমিন
          গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

          Comment


          • #6
            Originally posted by Ibrahim Al Hindi View Post
            আমরা বিপদে বা অসুস্থতায় সবর করব। ইনশাআল্লাহ

            আর সালাফদের নীতি হল-তাঁরা নিজের জন্য যা চাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করতেন।
            অপর ভাইয়ের জন্য তা চাইতেন।
            আর হাদিসে আছে,কোন মুসলিমের অগোচরে তাঁর জন্য দুআ করলে,দুআকারীকেও আল্লাহ অনুরূপ দান করেন।
            এজন্য আমরা সব মুসলিমদের জন্য দুআ করব। আর আমার যা প্রয়োজন তা অপর ভাইয়ের জন্য চাইবো। আল্লাহ আমাদেরকে মাফ করে দিন। আমিন
            মাশা-আল্লাহ! সুন্দর কথা।

            Comment


            • #7
              Originally posted by Ibrahim Al Hindi View Post
              আমরা বিপদে বা অসুস্থতায় সবর করব। ইনশাআল্লাহ

              আর সালাফদের নীতি হল-তাঁরা নিজের জন্য যা চাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করতেন।
              অপর ভাইয়ের জন্য তা চাইতেন।
              আর হাদিসে আছে,কোন মুসলিমের অগোচরে তাঁর জন্য দুআ করলে,দুআকারীকেও আল্লাহ অনুরূপ দান করেন।
              এজন্য আমরা সব মুসলিমদের জন্য দুআ করব। আর আমার যা প্রয়োজন তা অপর ভাইয়ের জন্য চাইবো। আল্লাহ আমাদেরকে মাফ করে দিন। আমিন
              আমিন ছুম্মা আমিন।

              Comment

              Working...
              X