Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# ২৪শে রমজান, ১৪৪২ হিজরি | ০৭ ই মে, ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# ২৪শে রমজান, ১৪৪২ হিজরি | ০৭ ই মে, ২০২১ ঈসায়ী |

    ফিলিস্তিন | শাইখ জাররাহতে ইফতার কালে মুসলিমদের উপর অভিশপ্ত ইহুদীদের হামলা

    পবিত্র রমজান মাসেও অভিশপ্ত দখলদার ইহুদী কর্তৃক মুসলিম দমন নিপিড়ন থেমে নেই। বরং ফিলিস্তিন জুড়ে পবিত্র এই মাসে রোজাদার মুসলিমিদের উপর দখলদার ইহুদীদের নিপীড়ন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

    গত ৬ মে বৃহস্পতিবারেও ফিলিস্তিনের পূর্ব জেরুজালেমের শাইখ জাররাহতে ইফতার কালীন সময়ে বর্বর হামলা চালিয়েছে দখলদার ইহুদীরা।

    তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সীর বরাত দিয়ে দৈনিক সাবাহ নিউজ জানায়, পবিত্র এই মাসে সারাদিন সিয়াম সাধনার পর রোজাদার ফিলিস্তিনিরা যখন নিজেদের বাড়ির সামনে ইফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, ঠিক তখনই দখলদার ইহুদীরা মুসলিমদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়। দখলদার ইহুদীরা বাড়ির ছাদ থেকে রোজাদার মুসলিমদের উপর পাথর, কাচের বোতল সহ বিভিন্ন আঘাতকারী বস্তু নিক্ষেপ করে।

    এসময় অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের মুসলিম বিদ্বেষী কট্টর ডানপন্থী দল 'ওজমা ইয়েহুদিত' পার্টির নেতা ও ইসরাইলি সংসদ সদস্য 'ইতামার বেন গাভির' ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে বর্বর ইহুদীদের হামলায় প্ররোচিত করতে থাকে।

    এদিকে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি দখলদারত্বের বিরুদ্ধে পবিত্র রমজানে রোজাদার মুসলিমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিক্ষোভ চলাকালে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত আগ্রাসী ইহুদী সৈন্যরা মুসলিমদের উপর নৃশংসভাবে হামলা চালায়। বিক্ষোভ দমাতে মুসলিমদের উপর ব্যাপকহারে গ্রেফতার ও নির্যাতন চালাচ্ছে।

    শাইখ জাররায় এমনই এক বিক্ষোভ থেকে আনাস ওবেইদ নামে ১৬ বছর বয়সী যুবককে আঘাতে আঘাতে নির্মমভাবে রক্তাক্ত করে গ্রেফতার করেছে ইসরাইলি সৈন্যরা।

    গতরাতে শাইখ জাররায় বিক্ষোভরত ওমর আল খতিব নামে আরেক মুসলিমকে দখলদার ইহুদী সৈন্যরা হাটু দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে, যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে দ্রুতই ভাইরাল হয়।
    ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রেফতারের পূর্বে অস্ত্রধারী দুইজন ইহুদী সৈন্য ওমর আল খতিবের ঘাড় ও হাতে সর্ব শক্তিবলে চেপে ধরে আছে, এ সময় আর্তনাদরত ওমরের গোঙ্গানি শোনা যায়।
    এদিকে পশ্চিম তীরের বুরিন গ্রামে ফিলিস্তিন মালিকানাধীন জমিতে আগুন ধরিয়ে ভূসম্পত্তির ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করেছে ইহুদী দুষ্কৃতকারীরা।

    এদিন সন্ধ্যায় পশ্চিম তীরের নাবালুস শহরে ১৬ বছর বয়সী সাঈদ ইউসুফ ওদেহকে ইসরাইলি সৈন্যরা কাঁধে গুলি করে হত্যা করেছে। তারা গুলিবিদ্ধ সাঈদকে রক্তক্ষরণে মৃত্যু অবধি ফেলে রাখে!
    দখলদার ইসরাইলি সৈন্যরা প্রথমে সাঈদকে গ্রেফতার করে, পরে মৃত সাঈদের লাশ রেড ক্রসের নিকট হস্তান্তর করে।

    সাঈদের নির্মম মৃত্যুতে এলাকায় শোকের আবহ বিরাজ করছে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাক্ষী উইঘুর মুসলিম দম্পতি আটক

    মাত্র ৫ বছর বয়সে তুরস্ক চলে যান চীনের কার্গিলিক কাউন্টির ইয়াহইয়া কুরবান। পরে তিনি তুর্কি নাগরিকত্ব লাভ করেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে তুরস্কের নাগরিকত্ব বহাল থাকার অভিযোগে সংখ্যালঘু উইঘুর দম্পতিকে আটক করেছে চীনের জিনজিয়াং কর্তৃপক্ষ।

    তাদের মেয়ে হানকিজ কুরবান জানান, আমার মা-বাবা জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাক্ষী, তাই তাদের সহজে ছেড়ে দেবে না বেইজিং।

    ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তিনি এবং তার স্ত্রী আমিনে কুরবান (স্থানীয় বাসিন্দা) জিনজিয়াংয়ের রাজধানী ইউরুমকিতে দোকান পরিচালনার সময় আটক হন। ওই ঘটনার পর থেকে তুরস্কে থাকা তাদের চার সন্তান তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এরপর মেয়ে হানকিজ কুরবান বেইজিংয়ে নিযুক্ত তুর্কি দূতাবাসে খোঁজখবর নিতে শুরু করে। জিনজিয়াং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কর্তৃপক্ষ ওই দম্পতির বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।

    হানকিজ বলেন, গত ৪০ বছর ধরে আমার মা-বাবা তুরস্কের নাগরিক। আমরা চারজন তাদের সন্তান। আমরা সবাই ইস্তানবুলে জন্ম ও বেড়ে উঠেছি। আমার বাবা-মা জিনজিয়াংয়ে ফিরে গিয়ে ব্যবসা করছিলেন। আমি মনে করি, আমার বাবা-মাকে এজন্য আটক করা হয়নি যে, তারা কোনো অপরাধ করেছে। বরং তারা চীন সরকারের কুকর্ম জেনে ফেলেছিল বলে তাদের আটক করা হয়েছে। তুরস্কে তাদের ফিরে আসা ঠেকাতেই এটা করা হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, উইচ্যাটে আমার মা ভয়েস ম্যাসেজ পাঠিয়েছিলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, তিনি আর আমার বাবা পুলিশ স্টেশনে এক রাত কাটিয়েছেন। পুলিশ তাদের নিয়ে যাচ্ছিল, সে কারণে দূতাবাসে আমাদের যোগাযোগে করতে বলেছিলেন। সেটা ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালের ঘটনা। পরে আমি তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাদের ফোন বন্ধ রয়েছে। তাদের ম্যাসেজ দিয়েও লাভ হয়নি।

    সূত্র : ইনসাফ টুয়েন্টি ফোর ডটকম।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      জোর করে মুরতাদ পুলিশের চাঁদা আদায়, না খেয়ে রোজা রাখলেন রিকশাওয়ালা

      ময়মনসিংহের ভালুকায় ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অসহায় দরিদ্র শামীম নামে এক রোজাদার রিকশাওয়ালার কাছ থেকে ৭০০ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

      ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার গভীর রাতে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা বাসস্ট্যান্ড ফুটওভার ব্রিজের পাশে ইউটার্নে।

      এ ঘটনায় ভালুকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ তার ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে বুধবার রাত আড়াইটার দিকে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাজটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।

      তার স্ট্যাটাসে জানা যায়- রাত ১টা ২০ মিনিটের দিকে চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য সিডস্টোর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় তিনি দেখেন পার্শ্ববর্তী উপজেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার গাড়াজান পণ্ডিতবাড়ি গ্রামের মৃত মহর আলীর ছেলে রিকশাচালক শামীম অটোরিকশা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। লোকটি এসে চেয়ারম্যানকে বলল কোথায় যাবেন? চেয়ারম্যান বললেন, না এখানেই, চেয়ারম্যান যে ভালুকা যাবেন তা বলেননি।

      তখন চেয়ারম্যান ওই অটোরিকশা চালককে জিজ্ঞেস করেন, এত রাতে কি যাত্রী পাওয়া যায়? লোকটি বলল রোজা থেকে সারাদিন রিকশা চালাতে পারি না। তাই রাতেই যা পাই তা দিয়ে সংসার চালাই আর অটোরিকশার কিস্তি দিতে হয়। তবে স্যার কী করব, গত মঙ্গলবার রাতে ৬০০ টাকা ইনকাম হয়েছিল। কয়েকজন পুলিশকে থানার সামনে নামিয়ে দিয়ে যখন আমি ভালুকা বাসস্ট্যান্ড ইউটার্ন নেই ঠিক সেই সময় হাইওয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আমাকে থামায় আর বলে আমার অটোরিকশাটি তারা নিয়ে যাবে। একপর্যায়ে হাইওয়ে পুলিশ এক হাজার টাকা দাবি করে।

      এরপর অটোরিকশার চালক শামীম অনেক কাকুতি-মিনতি করে হাইওয়ে পুলিশকে বলে স্যার আমি সারাদিন রোজা থেকে কাজ করতে পারি না। তাই ইফতারের পর থেকে ৬শ’ টাকা পেয়েছি। টাকা দিয়ে চাল ও ঢাল কিনব, কিন্তু কোনো কথাই তারা শুনল না। শেষপর্যন্ত আমার কাছে আগের ১০০ টাকা ছিল আর ইনকামের ৬০০ টাকাসহ মোট ৭০০ টাকা হাইওয়ে পুলিশকে দিয়ে অটোরিকশাটি নিয়ে খালি হাতে বাসায় যাই। পরে না খেয়ে রোজা রেখে আজকেও আবার পেটের দায়ে এত রাতে আছি স্যার। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের প্রশ্ন হলো- আমরা কোথায় বসবাস করি?

      ফেসবুক স্ট্যাটাসের মন্তব্য কলামে অনেকেই লেখেন- হাইওয়ে পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজির কারণে রিকশা, অটোভ্যান, হাইওয়ে মিনি, প্রাইভেটকার, মাইক্রেবাস চালকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

      ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, ঘটনার রাতে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ডিউটি ছিল এপিএসআই আবু তাহেরের।

      সূত্র: যুগান্তর
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সরকারের ব্যর্থতায় কাজ হারিয়েছেন ৬২ শতাংশ মানুষ

        গত এক বছরে ৬২ শতাংশ মানুষ তাদের কাজ হারিয়েছেন। অনেকে পুনরায় কাজ শুরু করতে সক্ষম হলেও কমেছে অধিকাংশের আয়। ফলে বাধ্য হয়ে তারা ব্যয় কমিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নিম্নআয়ের মানুষের।

        গতকাল বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত অনলাইন সংলাপে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। ‘করোনাকালে আয় ও কর্মসংস্থান পরিস্থিতি : কীভাবে মানুষগুলো টিকে আছে’ শীর্ষক খানা জরিপে উঠে এসেছে এসব তথ্য-উপাত্ত। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) ও অক্সফাম বাংলাদেশ যৌথভাবে জরিপ কাজটি পরিচালনা করে। দেশের ১৬টি জেলা এবং শহর ও গ্রাম মিলিয়ে বাছাই করা ২ হাজার ৬০০ পরিবারের তথ্য নিয়ে জরিপের কাজ পরিচালিত হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মাসে এই জরিপ কাজ শেষ হয়।

        সিপিডির রিসার্চ ফেলো তৌফিক ইসলাম খান জরিপের ফলাফলের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তৌফিক ইসলাম বলেন, জরিপে দেখা গেছে, ৬২ শতাংশ মানুষ করোনা শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। যার বড় অংশ ২০২০ সালের এপ্রিল ও মে মাসে কর্মহীন হয়েছেন। পরে অনেকেই কাজে ফিরলেও আগের মতো আর চাকরি ফিরে পাননি। কর্মহীনদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ একমাসের বেশি বেকার ছিলেন।

        সিপিডি বলছে, কর্মসংস্থান হলেও আয় কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আয় কমেছে কৃষি খাতে। করোনার প্রভাবে ৭৮ শতাংশ মানুষ তাদের ব্যয় কমিয়ে দিয়েছেন। ৫২ শতাংশ খরচ কমাতে গিয়ে খাদ্য অভ্যাস কিছুটা পরিবর্তন করেছেন। জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষের ঋণের বোঝা বেড়েছে। ঋণ আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে।

        জরিপের তথ্য বলছে, কর্মসংস্থানে আছেন এমন ৪০ শতাংশ মানুষ করোনা সংক্রমণের আগের চেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছেন। আর ৮৬ শতাংশ বলছেন, তারা যা আয় করছেন তাতে সন্তুষ্টির জায়গায় নেই।

        করোনায় আয়ের ওপর সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষের। ২৫০০ টাকা থেকে ৭৫০০ টাকা আয়ের মানুষের আয় কমেছে ২২ থেকে ২৮ শতাংশ। এর ফলে দারিদ্র্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
        বিডি প্রতিদিন
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে হেফাজত করুন। আমিন
          গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

          Comment

          Working...
          X