Announcement

Collapse
No announcement yet.

রুচিশীল তারুণ্যের মননশীল আয়োজন

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • রুচিশীল তারুণ্যের মননশীল আয়োজন

    রুচিশীল তারুণ্যের মননশীল আয়োজন


    প্রিয় যুবক ভাই!
    মানুষ জীবনে কত কিছুই আশা করে। সে আশার ডিজাইন আর রুচির ধরন দেখলে চেতনাহীন মানুষের চেতনা ফিরে আসে। রুচিহীন মানবের রুচি বেড়ে যায়। কাল্পনিক যুবক বাস্তবতার ঘারে চেপে বসে। কেন জানো যুবক ভাই! মনুষ্যত্ব তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। বিবেকত্ব তাকে ঝাপটিয়ে ধরে। তবে সেটা ক্ষণিকের জন্য। সামান্য সময়ের জন্য। কথায় বলে না! ঘারে ভূত চেপে বসেছে। এমনটাই মনে করতে পারেন। তারপরও তো ভালো। একটু তো করা হলো।

    ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়াস করে তুলে বিরাট ভরসা। ছোট্ট ছোট্ট কল্পনা নিয়ে যায় আকৃতির ছায়ায়। এতেই মানুষ কত খুশি! আনন্দের কত ভরাডুবি! এগুলো তো দুনিয়ার এ তুচ্ছ নগন্য জিনিসের তরে। কিন্তু যুবক ভাই! তোমার সে আশা আর রুচিগুলো যদি হয় উন্নত। যেমন- দয়াময় রবের জন্য। প্রিয় নাবীর জন্য। উম্মাহর চাহিদা পূরণের জন্য। শরীয়ার অগ্রাধিকারের আদলে তাহলে কেমন হবে একটু ভাবুন তো?

    ভাবার কিছু ক্লো বের করে দেই? না হয় তুমি ভাববে কি করে! অযথাই বলবে ভেবেছি। মিথ্যা বলা আপাতত থাক। মরনের আগে নয়। মৃত্যুর পর ভাবা হবে মিথ্যা বলা যায় কিনা!

    তাহলে চলো শুরু করি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সূরা ফুরকানের একেবারে শেষ কটি আয়াতে তোমার রুচির কথাগুলো তুলে ধরেছেন। ক্রমান্বয়ে সেদিকেই যাবো আমরা ইনশাআল্লাহ।

    ইরশাদ হয়েছে-[১]
    ১. রহমানের বান্দা যারা তারা জমিনে বিনয়ী হয়ে চলাফেরা করবে।
    ২.মূর্খদের সাথে তর্কে জড়াবে না বরং তাদেরকে শান্তিমূলক বাক্য শুনাবে।
    ৩.তারা রাতের আঁধারে প্রভুর সত্ত্বার সামনে অবনত হয়ে যাবে।
    ৪.তারা সর্বদা জাহান্নাম থেকে পানাহ চাইবে।
    ৫.চক্ষুশীতলকারী আহলিয়া ও আওলাদ ফরজনের জন্য রবের দরবারে অশ্রু ঝরাবে।
    ৬.তারা দ্বীনের পথে অর্থ সম্পদ খরচ করবে কিন্তু অসৎ পথে কিঞ্চিৎ পরিমাণ খরচ করবে না।
    ৭.অন্যায়ভাবে হত্যা করা থেকে বিরত থাকবে।
    ৮.আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে রব মানবে না।
    ৯.বেশি বেশি তাওবা ইস্তেগফার করবে।
    ১০.নেক আমল করবে।
    ১১.কৃপণতা করবে না।
    ১২.যখন তাদের সামনে দ্বীনের কথা বলে কোন কিছু চাপিয়ে দিতে চায় তখন তারা অন্ধের ন্যায় ঝাপিয়ে পড়ে না। বরং তারা নিখুঁত যাচাই বাছাই করে।

    প্রিয় যুবক ভাই! এগুলো হলো একজন মানব রহমানের বান্দা হওয়ার জন্য শর্ত। একজন মানুষ মুসলমান হওয়ার জন্য শরীয়ার পক্ষ থেকে বাতলানো সূচি। যখন এ সূচিগুলো কোন মানুষের মাঝে থাকে না তখন সে মানব নামের জগন্য পশু।
    তাদেরকে রব একটি উপাধিও দিয়েছেন। উলায়িকা কাল আনআম বালহুম আদল্ল। নবী তাদের ভৎসনা করেছেন নিফাক শব্দ ব্যবহার করে।

    এ ফর্মুলাগুলো যখন কোন বান্দার জীবনে স্থায়ী হয়ে যায় তখন অন্তরে দ্বীনের প্রতি দরদ ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। ভালো কাজ করার নেক কর্ম করার আশা জাগ্রত হয়। তবে এটা ক্ষণিকের জন্য না। সামান্য সময়ের জন্য না বরং দায়িমান। বাস্তবতার সঠিক আয়োজনগুলো এ আমলগুলেই বিদ্যমান রয়েছে। আল্লাহ বান্দাকে দেখিয়ে দিয়ে নিজ কুদরতে বাস্তবতার সবক শিখিয়ে দিচ্ছেন।
    সুবহানাল্লাহ!

    যুবক ভাই! পথের কাঁটা কখনো পথচলাকে রুখে দিতে পারে না বরং তা পথিককে সতর্ক পায়ে চলতে নির্দেশ করে। যেভাবেই হোক-তাকে পথ চলতে হয়।আঘাতের ভয়ে থেমে থাকলে সে কখনো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনা। বাস্তবায়নের দারপ্রান্তে এগোতে পারেনা। আসমানী গ্রন্থ তো এমন বলে অযথা ভয় ও নিরাশা কাছে ভিড়ানো কাপুরুষের লক্ষ্মণ। মুমিনবান্দা মানেই শরীয়াহ বাস্তবায়নের ত্যাগী সৈনিক। বাস্তবতার রুপ দাঁড় করানোর এক নিঁখুত কারিগর।

    মুমিন বান্দার রুচি হবে উন্নত। শুধুই উন্নত না বরং মননশীল। ভাষা হবে মার্জিত। শুধুই মার্জিত না বরং সাবলীল। চালচলন আর ভেষভোষা হবে কুরআনের তরীকায়। চোখ রাঙানো আর মুখ ফিরানো হবে হাদিসের আলোকে।

    রব তো বলছেন-[২]
    ও বান্দা তুমি যখন কথা বলো তখন সুন্দর ভাষায় কথা বলো। শান্তিময় কথা বলো। যখন জমিনে চলাফেরা করো তখন বিনয়ী হয়ে চলো। যখন বিচার করো ইনসাফের সাথে করো। যখন চোখ তুলো হালাল জিনিসের দিকে তুলো। হারাম জিনিসের দিকে তাকিয়ে আমার সৃষ্টিকে অবমাননা করো না। জ্যোতিশক্তি কমিয়ো না। কিন্তু যখন তুমি এর বিপরীতে যাবে তখনই রুচিতে চির ধরবে। পঁচা জিনিস কাছে ভিড়বে। আর এ পঁচা জিনিস যখনই চাখতে শুরু করবে তখন শয়তান তোমায় ভালোবাসায় সিক্ত করবে।


    আল্লামা ইবনুল কায়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন-[৩]
    একজন যুবকের তারুণ্য উচ্ছাস বাড়ার জন্য গতিপ্রগতির প্রাণচঞ্চলে একটি মূল চালিকা শক্তি হলো- মেধামননে-গাত্রগাহে-শিরা-উপশিরায় স্রষ্টার আনুগত্য শক্তি প্রবাহমান করা।


    তথ্যাদি.
    ১.সূরা ফুরকান, আয়াত নং ৬৩-৭৩
    ২.সিরাতুন লিল আতফাল
    ৩.বাচ্চু কা ইসলাম ১ম সংখ্যা।

  • #2
    ইরশাদ হয়েছে-[১]
    ১. রহমানের বান্দা যারা তারা জমিনে বিনয়ী হয়ে চলাফেরা করবে।
    ২.মূর্খদের সাথে তর্কে জড়াবে না বরং তাদেরকে শান্তিমূলক বাক্য শুনাবে।
    ৩.তারা রাতের আঁধারে প্রভুর সত্ত্বার সামনে অবনত হয়ে যাবে।
    ৪.তারা সর্বদা জাহান্নাম থেকে পানাহ চাইবে।
    ৫.চক্ষুশীতলকারী আহলিয়া ও আওলাদ ফরজনের জন্য রবের দরবারে অশ্রু ঝরাবে।
    ৬.তারা দ্বীনের পথে অর্থ সম্পদ খরচ করবে কিন্তু অসৎ পথে কিঞ্চিৎ পরিমাণ খরচ করবে না।
    ৭.অন্যায়ভাবে হত্যা করা থেকে বিরত থাকবে।
    ৮.আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে রব মানবে না।
    ৯.বেশি বেশি তাওবা ইস্তেগফার করবে।
    ১০.নেক আমল করবে।
    ১১.কৃপণতা করবে না।
    ১২.যখন তাদের সামনে দ্বীনের কথা বলে কোন কিছু চাপিয়ে দিতে চায় তখন তারা অন্ধের ন্যায় ঝাপিয়ে পড়ে না। বরং তারা নিখুঁত যাচাই বাছাই করে।

    অনেক উপকারী পোস্ট। আল্লাহ আমাদেরকে আপনার খাঁটি বান্দা হিসাবে কবুল করে নিন। উপরোক্ত গুণগুলো আমাদের দান করুন। সম্মানিত পোস্টকারী ভাইয়ের ইলম ও আমলে বারাকাহ দান করুন। আমিন
    গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

    Comment


    • #3
      আল্লাহ আপনার লিখনীতে বারাকাহ দিন! আরো সুন্দর ও উপকারী পোস্ট জাতিকে উপহার দেওয়ার তাওফীক দিন!!

      একজন যুবকের তারুণ্য উচ্ছাস বাড়ার জন্য গতিপ্রগতির প্রাণচঞ্চলে একটি মূল চালিকা শক্তি হলো- মেধামননে-গাত্রগাহে-শিরা-উপশিরায় স্রষ্টার আনুগত্য শক্তি প্রবাহমান করা।-আল্লামা ইবনুল কায়্যিম রাহিমাহুল্লাহ
      মাশা আল্লাহ, সুন্দর বলেছেন।
      “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

      Comment


      • #4
        Originally posted by Ibrahim Al Hindi View Post

        অনেক উপকারী পোস্ট। আল্লাহ আমাদেরকে আপনার খাঁটি বান্দা হিসাবে কবুল করে নিন। উপরোক্ত গুণগুলো আমাদের দান করুন। সম্মানিত পোস্টকারী ভাইয়ের ইলম ও আমলে বারাকাহ দান করুন। আমিন
        আমিন! আমিন!! ইয়া রাব্বল আলামিন৷ দয়াময় রব! তোমার ইলমের সাগর আর হেলমের মহাসাগরের এক ফোঁটা ফজল দিয়ে প্রিয় মুজাহিদীনে কেরামকে সিক্ত করো।

        Comment


        • #5
          Originally posted by Munshi Abdur Rahman View Post

          আল্লাহ আপনার লিখনীতে বারাকাহ দিন! আরো সুন্দর ও উপকারী পোস্ট জাতিকে উপহার দেওয়ার তাওফীক দিন!!
          আমিন! আমিন!! ইয়া রাব্বল আলামিন।

          Comment


          • #6
            অনেক উপকারি পোষ্ট... আল্লাহ তায়া-লা আমাদের কে আমল করার তাওফিক দান করুন,আমিন ইয়া রব্ব।

            Comment


            • #7
              Originally posted by Rumman Al Hind View Post
              অনেক উপকারি পোষ্ট... আল্লাহ তায়া-লা আমাদের কে আমল করার তাওফিক দান করুন,আমিন ইয়া রব্ব।
              আমিন! আমিন! ইয়া রাব্বাল আলামিন।

              Comment


              • #8
                অনেক ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য ভাই।

                Comment


                • #9
                  আল্লাহ পোস্টকারী ভাইকে উত্তম বদলা দান করুন। দ্বীনের খেদমতে আরো লেখনি আমাদের উপহার দেওয়ার তাওফিক দিন।

                  একজন যুবকের তারুণ্য উচ্ছাস বাড়ার জন্য গতিপ্রগতির প্রাণচঞ্চলে একটি মূল চালিকা শক্তি হলো- মেধামননে-গাত্রগাহে-শিরা-উপশিরায় স্রষ্টার আনুগত্য শক্তি প্রবাহমান করা।
                  মাশাআল্লাহ, সুন্দর বলেছেন।

                  ভাইয়ের পোস্টগুলা পড়লে মনেহয় কথাগুলা আপনি আমার সামনে বসে বলছেন। আল্লাহ আপনাকে লেখনিতে বারাকাহ দিক, আমিন।
                  [/color]
                  "এখন কথা হবে তরবারির ভাষায়, যতক্ষণ না মিথ্যার অবসান হয়"

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by লড়াকু দরবেশ View Post
                    অনেক ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য ভাই।
                    নিশ্চয়ই এ দুআগুলো আমার ও আমার প্রিয় মুজাহিদ ভাইদের কল্যাণ বয়ে আনবে।

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by নুয়াইম বিন মুসআব View Post
                      মাশাআল্লাহ, সুন্দর বলেছেন।

                      ভাইয়ের পোস্টগুলা পড়লে মনেহয় কথাগুলা আপনি আমার সামনে বসে বলছেন। আল্লাহ আপনাকে লেখনিতে বারাকাহ দিক, আমিন।
                      [/color]
                      আমিন! আমিন!! ইয়া রাব্বর আলামিন।

                      Comment


                      • #12
                        আমাদের প্রিয় ভাই একটি সুন্দর লেখা দিয়েছেন।
                        কিন্তু সূরা ফুরকানের
                        والذين إذا ذكروا بآيات ربهم لم يخروا عليها صما وعميانا
                        এই আয়াতের অর্থ বা ব্যাখ্যা হিসেবে উল্লেখ করেছেন
                        [যখন তাদের সামনে দ্বীনের কথা বলে কোন কিছু চাপিয়ে দিতে চায় তখন তারা অন্ধের ন্যায় ঝাপিয়ে পড়ে না। বরং তারা নিখুঁত যাচাই বাছাই করে।]
                        যেহেতু কালামুল্লাহর বিষয় খুবই স্পর্শকাতর, তাই আমি এ ব্যাপারে আমার তাহকীক তুলে ধরছি।
                        ১. প্রথমে কিছু আয়াত দেখুন
                        فذكر أنما أنت مذكر
                        স্মরণ করাও, তুমি তো কেবল স্মরণ করানেওয়ালা।
                        وذكر فإن الذكرى تنفع المؤمنين
                        স্মরণ করাও, কেননা স্মরণ করানো মুমিনদের ফায়দা দেয়।
                        وإذا ذكروا لا يذكرون
                        যখন তাদের স্মরণ করানো হয়, তারা স্মরণ করে না।
                        তাযকীর (উপদেশার্থে স্মরণ করানো) বিশেষত তাযকীর বিআয়াতিল্লাহ, কুরআনে ইতিবাচক বরং নবীওয়ালা কাজ হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। দ্বীনের কথা বলে কোন কিছু চাপিয়ে দেওয়ার অর্থে নয়।
                        ২ এবার দেখুন খররূ (তারা পতিত হল/ ঝাঁপিয়ে পড়ল) সহ
                        إنما يؤمن بآياتنا الذين إذا ذكروا بها خروا سجدا......
                        নিশ্চয় আমার আয়াতে বিশ্বাসী তো তারাই; যখন তাদের তা স্মরণ করানো হয়, সিজদাকারী হয়ে লুটিয়ে/ ঝাঁপিয়ে পড়ে।
                        إذا تتلى عليهم آيات الرحمن خروا سجدا.......
                        যখন তাদের নিকট দয়াময়ের আয়াত তিলাওয়াত করা হয় সিজদাকারী হয়ে লুটিয়ে/ ঝাঁপিয়ে পড়ে।
                        ....وخر راكعا وأناب..... ويخرون للأذقان يبكون.....
                        সুতরাং লুটিয়ে বা ঝাঁপিয়ে পড়াও নিজে নেতিবাচক নয়। সমস্যা সুম্মান (বধির অবস্থায়) আর উমইয়ানান (অন্ধ অবস্থায়) এর মধ্যে।
                        ৩. তাফসীর বিল হাওয়া থেকে বাঁচতে হলে অনুবাদ বির রায় থেকে বাঁচা যরুরী। এজন্য সহী তারকীবের বিকল্প নেই। সুম্মান উমইয়ানান হাল হয়েছে নিশ্চয়। এবং হাকিকী বধিরতা ও অন্ধত্বের অর্থ এখানে নেওয়া অসম্ভব। এখানে মাজায /উপমা উদ্দেশ্য। অর্থাৎ আল্লাহর আহ্বান ও তাযকীর থেকে বধিরতা, তাঁর আয়াত ও মারিফাত থেকে অন্ধত্ব। যা মুনাফিক বা জাহিলদের মাঝে পাওয়া যায়। মুনাফিকদের অবস্থা,
                        وآذا قاموا إلى الصلوة قاموا كسالى يراءون الناس ولا يذكرون الله إلا قليلا
                        ৪. আয়াতের অর্থ ও ব্যাখ্যা: এরা ঐ সকল লোক এদের যখন তাদের প্রভুর আয়াত সমূহ স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, ক) (মুনাফিকদের ন্যায় অতিভক্তি দেখানোর জন্য তাযকীর থেকে) বধির অবস্থায় ও (মারিফাত থেকে) অন্ধ অবস্থায় এর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে না।
                        খ) (অমনযোগীতার) বধিরতার ও (অজ্ঞতার) অন্ধত্বের আচরণ করে না।
                        গ) (যখন দীনের কথা বলা হয়,) এড়িয়ে যায় না।
                        ৫. আরো তাফসীর থাকতে পারে। الله أعلم بكلامه
                        আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন, তাঁর জন্য উৎসর্গীত করুন। আমীন।


                        https://82.221.139.217/showthread.php?22227

                        Comment


                        • #13
                          Originally posted by sunni jihaadi View Post
                          প্রিয় ভাই!
                          ১. {যখন তাদের সামনে দ্বীনের কথা বলে কোন কিছু চাপিয়ে দিতে চায় তখন তারা অন্ধের ন্যায় ঝাপিয়ে পড়ে না। বরং তারা নিখুঁত যাচাই বাছাই করে।} এটা
                          {والذين إذا ذكروا بآيات ربهم لم يخروا عليها صما وعميانا}
                          এই আয়াতের অর্থ না তাফসীর?
                          কিছু আয়াত দেখুন
                          فذكر أنما أنت مذكر
                          স্মরণ করাও, তুমি তো কেবল স্মরণ করানেওয়ালা।
                          وذكر فإن الذكرى تنفع المؤمنين
                          স্মরণ করাও, কেননা স্মরণ করানো মুমিনদের ফায়দা দেয়।
                          وإذا ذكروا لا يذكرون
                          যখন তাদের স্মরণ করানো হয়, তারা স্মরণ করে না।
                          তাযকীর বিশেষত তাযকীর বিআয়াতিল্লাহ, কুরআনে ইতিবাচক বরং নবীওয়ালা কাজ হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। দ্বীনের কথা বলে কোন কিছু চাপিয়ে দেওয়ার অর্থে নয়।
                          এবার দেখুন খররূ সহ
                          إنما يؤمن بآياتنا الذين إذا ذكروا بها خروا سجدا......
                          নিশ্চয় আমার আয়াতে বিশ্বাসী তো তারাই; যখন তাদের তা স্মরণ করানো হয়, সিজদাকারী হয়ে লুটিয়ে/ ঝাঁপিয়ে পড়ে।
                          إذا تتلى عليهم آيات الرحمن خروا سجدا.......
                          যখন তাদের নিকট দয়াময়ের আয়াত তিলাওয়াত করা হয় সিজদাকারী হয়ে লুটিয়ে/ ঝাঁপিয়ে পড়ে।
                          ....وخر راكعا وأناب..... ويخرون للأذقان يبكون.....
                          সুতরাং খররূ তথা ঝাঁপিয়ে পড়াও নিজে সমস্যা নয়। সমস্যা সুম্মান (বধির অবস্থায়) আর উমইয়ানান (অন্ধ অবস্থায়) এর মধ্যে।
                          ২. ভাই! তাফসীর বিল হাওয়া থেকে বাঁচতে হলে অনুবাদ বির রায় থেকে বাঁচা যরুরী। এজন্য সহী তারকীবের বিকল্প নেই। সুম্মান উমইয়ানান হাল হয়েছে নিশ্চয়। এবং হাকিকী বধিরতা ও অন্ধত্বের অর্থ এখানে নেওয়া অসম্ভব। এখানে মাজায /উপমা উদ্দেশ্য। অর্থাৎ আল্লাহর আহ্বান ও তাযকীর থেকে বধিরতা, তাঁর আয়াত ও মারিফাত থেকে অন্ধত্ব। যা মুনাফিকদের মাঝে পাওয়া যায়।
                          وآذا قاموا إلى الصلوة قاموا كسالى يراءون الناس ولا يذكرون الله إلا قليلا
                          ৩. আয়াতের অর্থ ও ব্যাখ্যা: এরা ঐ সকল লোক এদের যখন তাদের প্রভুর আয়াত সমূহ স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, (মুনাফিকদের ন্যায় অতিভক্তি দেখানোর জন্য তাযকীর থেকে) বধির অবস্থায় ও (মারিফাত থেকে) অন্ধ অবস্থায় এর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে না।
                          ৪. তাহকীকের বেশি সুযোগ হয়নি। আরো তাফসীর থাকতে পারে। الله أعلم بكلامه
                          ৫. হে আল্লাহ! আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন, আপনার তরে উৎসর্গীত বানান। আমীন।
                          শাব্দিক তরজমা করা হয়নি। ভাব তরতমা যাতে সাধারণ ভায়েরা বুঝতে পারে। সাহিত্যক তরজমা করা যাবে শাব্দিক তরজমাও তখন আপনার তরজমা ও এই জাতীয় আরো অনেক সুন্দর সুন্দর তরজমা চলে আসবে।
                          তবে ভাইকে শুকরিয়া না জানিয়ে ছাড়ছি না। কারণ সতর্কতা করে দিয়েছেন।

                          Comment


                          • #14
                            ভাই চমৎকার কথা। ভাই আমরা যে দুনিয়ার মহাব্বত ছাড়তে পারি না।

                            Comment


                            • #15
                              Originally posted by আবু মুজাহিদ View Post
                              ভাই চমৎকার কথা। ভাই আমরা যে দুনিয়ার মহাব্বত ছাড়তে পারি না।
                              অব্যাহত দুআ ও চেষ্টা নাকি মুনাফেকির অনেকটা রেশ কেটে দেয়। আল্লাহ তাআলা আমাদের আমল করার তাওফিক দিন।

                              Comment

                              Working...
                              X