Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# ৭ ই শাওয়াল, ১৪৪২ হিজরি | ২০শে মে, ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# ৭ ই শাওয়াল, ১৪৪২ হিজরি | ২০শে মে, ২০২১ ঈসায়ী |

    মুরতাদ পুলিশের রিমান্ডে মাওলানা ইকবাল হুসাইন সাহেব নিহত

    পুলিশী রিমান্ডে অসুস্থ হয়ে হেফাজত নেতা মাওলানা ইকবাল হুসাইন সাহেব গতকাল বুধবার শাহাদাত বরণ করেছেন। ইন্না-লিল্লাহ ও ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
    বুধবার দুপুরে এ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার শাহ রফিকুল ইসলাম।
    সোনারগাঁও থানার হেফাজতের দায়িত্বশীল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সভাপতি মাওলানা ইকবাল হুসাইন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে শাহাদাত বরণ করেছেন।
    রিমান্ডে প্রচণ্ড জুলুুম না করা হলে এমনটা হওয়ার কথা না। জুলুমের কারণে অতিমাত্রায় অসুস্থ হলেও প্রশাসন উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি। পরিবারকেও করতে দেয়নি।

    উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল সোনারগাঁ থানার দুই মামলায় গ্রেফতার হেফাজত নেতা মাওলানা ইকবাল হোসেনসহ চার জনকে সাতদিন করে রিমান্ড চেয়ে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ুন কবিরের আদালতে পাঠালে আদালত প্রত্যেককে এক মামলায় দু’দিন ও আরেক মামলায় একদিনসহ মোট তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 05-21-2021, 06:10 AM.
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আর কত মৃত্যু হলে বিশ্বের বিবেক জেগে উঠবে?

    ফিলিস্তিনে চলছে ইহুদি সন্ত্রাসীদের বর্বরতা। বেড়েই চলেছে হতাহতের সংখ্যা। নারী, শিশু কেউ তাদের পৈশাচিক হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না।

    হুইলচেয়ারে বসেছিলেন ৩৩ বছরের ইয়াদ সালেহ। নিজের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এ সময় ইসরায়েলের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ে। মুহূর্তেই বদলে যায় সবকিছু। প্রাণ যায় ইয়াদ সালেহ, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, তাঁদের তিন বছরের কন্যা ও ভাইয়ের। লন্ডভন্ড হয়ে যায় সবকিছু। খবর এএফপির।

    বিস্ফোরণের পর ইয়াদ সালেহর লিভিং রুমের সবকিছু ভেঙেচুরে যায়। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পড়েছিল ছোট্ট মেয়েটির দুমড়েমুচড়ে যাওয়া লাল রঙের খেলনা সাইকেল। মধ্যাহ্নভোজের জন্য ফ্রিজ থেকে খাবার বের করছিলেন পরিবারের সদস্যরা। ভেঙে গেছে সেই ফ্রিজ। ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে গেছে টমেটো ভরা বাটিটি।

    গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ১০ মে থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২২৭ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৪ জন শিশু।

    দেইর-এল-বালা এলাকায় সাগরতীরে ছিল ইয়াদ সালেহর বাড়ি। বাড়িটির সব সদস্যের মরদেহ এখন মর্গে। ভাই ওমর সালেহ (৩১) জানান, ইয়াদ সালেহ ১৪ বছর ধরে হাঁটতে পারতেন না। তিনি কোনো যুদ্ধ বা সংঘর্ষের সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি বলেন, ‘আমার ভাই কী করেছিল? তিনি তো হুইলচেয়ারে বসা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাইয়ের মেয়ে কী করেছে? তাঁর স্ত্রী কী করেছে। তাঁরা তো মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করছিল।’

    ওমর সালেহ আরও বলেন, তাঁর ভাই ইয়াদ সালেহ বেকার। তিনি মা ও তিন ভাইয়ের সঙ্গে একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। তাঁরা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন।

    গাজার উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউসেফ আবু আল রশিদ বলেন, ‘ঘরের মধ্যে নির্দোষ ব্যক্তিদের হত্যা করা বড় অপরাধ। আর কত মৃত্যু হলে বিশ্বের বিবেক জেগে উঠবে?’

    শুধু ইয়াদ সালেহ নন, এ রকম হামলার শিকার হতে হয়েছে অনেক গাজাবাসীকে। তবু যেন দেখার কেউ নেই।

    ৫৮ বছরের উম ইয়াদের বাড়িতে চালানো হামলায় তাঁর ছেলে নিহত হয়। বাড়িতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান উম ইয়াদ।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ফিলিস্তিনে এখন সবচেয়ে বড় আতঙ্ক ইসরাইলের বোমা

      ফিলিস্তিনে এই মুহূর্তে করোনার ভয়কেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি জঙ্গিবিমানের বোমার ভয়। ওপর থেকে পড়ছে বোমা, চারদিক থেকে আসছে গোলা। সেই বোমা হামলা থেকে বাঁচাই যেন এখন তাদের একমাত্র কাজ। খবর এএফপির।

      ফিলিস্তিনে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৪ হাজার ৫৩২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ৩ হাজার ৪৪৮ জন। আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৬৪৩ জন।

      এই করোনার মধ্যেই চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে (১০ মে থেকে) ফিলিস্তিনে সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। ফিলিস্তিনিদের ওপর প্রতিদিনই হামলা জোরদার করছে ইসরাইল। কয়েকদিন ধরে চলা বিমান হামলার পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি লক্ষ্য করে গোলা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। এই হামলায় এপি ও আলজাজিরার মতো গণমাধ্যমের অফিসসহ শত শত ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে রাতদিন চলছে উদ্ধার অভিযান। এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ২২০ ফিলিস্তিনি যার মধ্যে ৬৩ জনই শিশু। হামলা থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং হামলা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

      এমন পরিস্থিতিতে করোনার ঝুঁকির চেয়ে বিমান হামলাকেই বেশি ভয় পাচ্ছে গাজাবাসী। জীবন বাঁচাতে দলে দলে ভিটেমাটি ছাড়ছে তারা। জাতিসংঘের তথ্য মতে, ইতোমধ্যে অর্ধ লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি ছেড়েছে। অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্কুল-কলেজের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে তারা। কিন্তু এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব মানার কোনো বালাই নেই। অল্প জায়গায় বহু মানুষ একসঙ্গে গাদাগাদি করে থাকছে।

      হাজার হাজার এসব উদ্বাস্তুর একজন উম্মে জিহাদ ঘাবাইন। ইসরাইলি বিমান হামলা থেকে বাঁচতে চলতি সপ্তাহে তিন সন্তানসহ একটি আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন তিনি। আরও অনেকের মতো তারও করোনার ভয় রয়েছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে তার কিছুই করার নেই। করোনার ঝুঁকি নিয়ে এএফপিকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি করোনাকে ভয় পাই। কিন্তু ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র এর চেয়েও বেশি ভয়ংকর।’ তার আট বছর বয়সী ছেলে বলে, ‘এই মুহূর্তে ক্ষেপণাস্ত্রই আমাদের বেশি মারছে।’
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভারতে যোগীরাজ্যে মালাউনরা ভেঙ্গে দিয়েছে শতবর্ষী পুরনো মসজিদ

        ভারতের উত্তরপ্রদেশের বারাবাঙ্কিতে ১০০ বছরের পুরনো একটি মসজিদ ভেঙ্গে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী যোগী* প্রশাসন। তাদের দাবি, মসজিদটি বেআইনি ছিল। প্রশাসন বলছে, স্থানীয় আদালতের নির্দেশে সোমবার রাতে তা ভেঙ্গে দেয়া হয়।

        কিন্তু প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করেছে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এবং সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। তাদের দাবি, প্রশাসন বেআইনি কাজ করেছে, যারা মসজিদ ভেঙ্গেছে, তাদের শাস্তি দিতে হবে।

        মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহরাহমানি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘রাম সুনেহি ঘাট তহসিলের ১০০ বছরের পুরনো গরিব নওয়াজ মসজিদ কোনো আইনি বৈধতা ছাড়াই গত সোমবার রাতে প্রচুর পুলিশ নিয়ে প্রশাসন ভেঙ্গে দিয়েছে।’

        বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘এই মসজিদ নিয়ে কোনো বিরোধ ছিল না। এটি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের তালিকায় ছিল। রাম সুনেহি ঘাটের এসডিএম মসজিদ কমিটির কাছ থেকে কাগজপত্র চেয়েছিলেন। মসজিদ কমিটি তখন এলাহাবাদ হাইকোর্টে যায়। কিন্তু কোনো নোটিশ ছাড়াই মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।’

        তার দাবি, ‘হাইকোর্টের বর্তমান বিচারপতিকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে এবং দোষী অফিসারদের সাসপেন্ড করতে হবে। ভেঙ্গে দেয়া মসজিদের ইট-পাথর নিয়ে যাওয়া যাবে না। সেখানে কোনো নতুন কাঠামো করা যাবে না।’

        তিনি বলেছেন, ‘এখন ওই জায়গায় একটি মসজিদ তৈরি করে তা মুসলিমদের হাতে দেয়া সরকারের কর্তব্য।’

        তবে জেলা প্রশাসক আদর্শ সিং জানিয়েছেন, ‘আবাসিক এলাকায় ওই মসজিদ বেআইনি ছিল।’

        এক বিবৃতিতে জেলা প্রশাসক বলেছেন, “গত ১৫ মার্চ ওই মসজিদের মালিকানা সংক্রান্ত নথিপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দেখা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নোটিশ পাওয়ার পর তারা ‘পালিয়ে যান’।”

        তার দাবি, ‘রাম সুনেহি ঘাটের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে একটি মামলা দায়ের করা হয়। গত ১৭ মে তার নির্দেশ পালন করেছে প্রশাসন।’

        উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এই ঘটনার নিন্দা করে বলেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে।

        ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান জুলফিকার ফারুকি বলেছেন, ‘এই মসজিদ ছিল তহসিল চত্বরের কাছে। এই মসজিদ ভাঙ্গা বেআইনি কাজ। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। আমরা আদালতেও যাব।’

        ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, হাইকোর্ট গত ২৪ এপ্রিল জানিয়েছিল, ৩১ মে পর্যন্ত উচ্ছেদ ও ভাঙ্গার কোনো নির্দেশ কার্যকর করা যাবে না। হাইকোর্ট, জেলা কোর্ট ও নিম্ন আদালত যে নির্দেশ আগে দিয়েছে, তা পালন করা হয়নি। ৩১ মে’র আগে সেগুলো রূপায়ণ করা যাবে না। একটি জনস্বার্থ মামলার রায়ে এই কথা জানিয়েছিল হাইকোর্ট।

        উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় রয়েছে কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী দল বিজেপি এবং সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ একজন কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা।

        সূত্র : ডয়চে ভেলে
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          লাদেশের স্বাস্থ্যখাতে চলছে দুর্নীতির মহোৎসব

          বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও অনিয়মের অনেক আলোচিত একটি বিষয়। স্বাস্থ্যখাতে গত তিনমাসে নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্য, কেনাকাটায় দুর্নীতি আর অনিয়মের অনেক খবর প্রকাশিত হয়েছে, যেসব খবরের কোন প্রতিবাদও আসেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে।

          কিন্তু মহামারির সময়ে এই খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির পরিমাণ অনেক বেড়েছে। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি গত বছর একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।

          টিআইবি বলছে, করোনাভাইরাস মহামারীকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির মহোৎসব হচ্ছে।

          বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে যে সাংবাদিক সবচেয়ে বেশি রিপোর্ট করেছেন, সেই রোজিনা ইসলামকে সম্প্রতি পাঁচ ঘণ্টা মন্ত্রণালয়ে আটকে রাখার পর অফিসিয়াল সিক্রেক্টস অ্যাক্টের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
          স্বাস্থ্যখাতে ১৮০০ চাকরির নিয়োগ নিয়ে কোটি টাকার ঘুষের প্রস্তাব, স্বাস্থ্যের সাড়ে তিনশো কোটি টাকার কেনাকাটায় অনিয়ম - এরকম অনেকগুলো প্রতিবেদন তৈরি করেছেন রোজিনা ইসলাম।
          কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেসব অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে কি ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ? সেসব অভিযোগের ব্যাপারে কি খতিয়ে দেখা হয়েছে?
          স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি আর অনিয়ম
          বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ নতুন নয়।
          কিন্তু করোনাভাইরাস সংকট শুরু হওয়ার পর স্বাস্থ্য খাতের নাজুক অবস্থার চিত্রটি প্রকাশ্য হয়ে পড়েছে।
          দরকারি উপকরণের অভাব, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগ, হাসপাতালে সেবার অভাব, নিয়োগ আর কেনাকাটায় একের পর এক দুর্নীতির খবর যেন এই খাতের বেহাল দশাকেই তুলে ধরেছে।
          কিন্তু এসব অভিযোগ কতটা আমলে নিয়েছে স্বাস্থ্য খাতের কর্তাব্যক্তিরা?
          স্বাস্থ্যখাত সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আ ফ ম রুহুল হক বলছেন, ''দুর্নীতির কোন অভিযোগ আসলে সেটা দুর্নীতি দমন কমিশনে চলে যায়। এরপর আমরা সেখান থেকে কোন তথ্য আর পাই না। আর গত কিছুদিনে যেসব অনিয়ম, দুর্নীতির খবর হয়েছে, সেগুলো তো দুর্নীতি দমন কমিশন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা দপ্তরের তদন্ত করে দেখার কথা।
          দুর্নীতির তদন্ত কতটা হয়?
          মাস্ক কেলেঙ্কারি, কোভিড টেস্ট নিয়ে জালিয়াতি, জেকেজি আর রিজেন্ট হাসপাতালের মতো বড় আর আলোচিত ঘটনার পরেও, গত তিনমাসেই স্বাস্থ্য খাতে ১৮০০ জনবল নিয়োগে কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব, শত শত কোটি টাকার কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর আবার বাংলাদেশের গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে।
          যে সাংবাদিক এই প্রতিবেদনগুলো করেছিলেন, সেই রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখার পর অফিসিয়াল সিক্রেক্টস অ্যাক্টের একটি মামলা করে কারাগারে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

          'রুই-কাতলা সবসময়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়'
          বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ নতুন নয়। ২০১৯ সালে একটি প্রতিবেদনে স্বাস্থ্যখাতে কেনাকাটা, নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন, চিকিৎসাসেবা ইত্যাদি মিলিয়ে দুর্নীতি বেশি হয়, এমন ১১টি খাত চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন।
          গত বছরেই দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা টিআইবি একটি প্রতিবেদনে বলেছিল, করোনাভাইরাস সংকটের সময় অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে আস্থার সংকটে পড়েছে স্বাস্থ্য খাত।
          কিন্তু গণমাধ্যমে বড় বড় অনিয়ম-দুর্নীতি তথ্যপ্রমাণসহ প্রতিবেদন প্রকাশের পরেও কেন তেমন কোন ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ চোখে পড়ে না?

          টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, ''যেখানে সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত, সেখানে দুর্নীতি বা অনিয়মের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা বা রাজনৈতিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, এরকম ক্ষেত্রে খুব কমই আমরা কোন পদক্ষেপ দেখতে পাই।''
          ''বড় জোর বদলি হয়, যা আসলে কোন পদক্ষেপ না। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকেও খুব যে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়, তা নয়। কখনো কখনো চুনোপুঁটি ছোটখাটো কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়, যাদের রাজনৈতিক যোগসাজশ নেই। কিন্তু রুই-কাতলাদের ক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপ গৃহীত হতে দেখা যায় না।''
          ''এই কারণে দুর্নীতির ব্যাপকতা বেড়েই চলেছে। আর এই মহামারীকে দুর্নীতির একটি মহোৎসবে পরিণত করা হয়েছে।'' বলছেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।
          ২০২০ সালের বৈশ্বিক দুর্নীতির সূচকে দুই ধাপ নিচে নেমে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ১২তম আর এই অবনমনের পেছনে করোনাভাইরাস মহামারিতে স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপক দুর্নীতিকে অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
          টিআইবি বলছে, আমূল সংস্কারের পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িতদের সঠিক শাস্তি না হওয়ার কারণেই এই খাত দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভারত | মুসলিম বিদ্বেষের জেরে হরিয়ানায় আসিফকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা

            ভারত যখন প্রতিদিনই করোনার নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে, মৃতের লাশ সৎকারের অভাবে কুকুর যখন টেনে টেনে খাচ্ছে; ঠিক তখনো হিন্দুত্ববাদী ভারতে ইসলাম বিদ্বেষ আর নির্যাতনের মাধ্যমে মুসলিম হত্যা থেমে নেই।

            গত ১৬ মে রবিবার, ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের মেওয়াত অঞ্চলের একটি গ্রামে হিন্দুত্ববাদী গুজর সম্প্রদায়ের একদল গুন্ডাদের নির্যাতনে ২৮ বছর বয়সী আসিফ খান নামে এক মুসলিম মারা গেছেন। নিহতের পরিবারের লোকেরা এই হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করেছেন।

            নিহতের পরিবার জানায়, খলিলপুর গ্রামের জিম প্রশিক্ষক আসিফ খানকে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা অপহরণের পর নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। মৃত্যুর পূর্বে আসিফ তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তানকে রেখে যান।

            আসিফের শ্যালক মোহাম্মদ ইশা বলেন, আসিফ তাঁর দুই চাচাতো ভাই রাশিদ (৩১) ও ওয়াসিফকে (২২) নিয়ে সোহানার একজন স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে দেখা করার পর যখন স্যান্ট্রো গাড়িতে করে ফিরে আসছিলেন, তখন কমপক্ষে ২০ জনের মালাউন সন্ত্রাসীদের একটি দল দুইটি গাড়িতে চড়ে তাদের ধাওয়া করে।

            "তারা আমাদের গাড়িকে পেছন থেকে ধাক্কা মারে এবং অন্য গাড়িটি আমাদের গাড়িকে অনুসরণ করে।"- রশিদের ধারণকৃত ভিডিওতে ঘটনাটি রেকর্ড হয়। "উগ্রবাদীরা আচমকাই তাদের গাড়িতে ধাক্কা দেয়ার ফলে আসিফ গুরুতরভাবে মুখে আঘাতপ্রাপ্ত হন। তারা আমাদের উপর হামলা করে, আমাকে অজ্ঞান হওয়া পর্যন্ত বেদম পেটাতে থাকে। তারপর হিন্দুত্ববাদীরা আসিফকে গাড়ি থেকে টেনে বের করে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগলি গ্রামে তুলে নিয়ে যায়।"

            মোহাম্মদ ইশা জানান,"উগ্রবাদীরা আসিফকে বন্দী করে তার উপর নির্মমভাবে নির্যাতন চালিয়েছে। তারা আসিফের পা ও পায়ের পাতায় বেদম প্রহার করে, হাতুড়ি দিয়ে বুকে ও মাথায় সজোরে আঘাত করে।"

            নিহত আসিফের ভাই মহসিম বলেন, "আমাদের একমাত্র দাবি হলো আমরা ন্যায়বিচার চাই। অন্য কিছু নয়। আমরা আমাদের ভাইকে হারিয়েছি কিন্তু পুলিশ বিনা কারণে উল্টো আমাদের উপর চড়াও হয়েছে।যারা আমার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চাই।"

            মহসিম আরো বলেন,"আসিফ হত্যার মূল হোতা ও প্রধান ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তিনি পুলিশকে তাদের গ্রেফতারের দাবী জানান।"

            ইশা বলেন,"আসিফের জিম পরিচালনা ও তাদের আধিপত্যকে মেনে না নেয়া গুজ্জর সম্প্রদায়ের লোকেরা পছন্দ করেনি। তারা তাকে নিয়ে হিংসা করতো। অন্য ধর্মের লোকের অধিক প্রভাব-প্রতিপত্তি গুজ্জর সম্প্রদায়ের লোকেরা মেনে নেয়নি। ভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের বৈষম্য মূলক আচরণ আসিফ পছন্দ করতেন না। তিনি বিশ্বাস করতেন গ্রামের সবাই সমান। তিনি প্রায়শই তাদের বলতেন, তারা কেন অন্য সম্প্রদায়ের লোকদের হয়রানি করে? একজন মুসলিম হিসেবে আসিফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা তারা মেনে নিতে পারেনি। ফলশ্রুতিতে তারা তাকে তার পরিণতি ভোগের হুমকি দিয়েছিল।"

            মোহাম্মদ ইশা আসিফের সততা ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্বের প্রমাণ দিতে গিয়ে বলেন,"আপনি এলাকার যে কোন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন, তিনি কতটা ভালো মানুষ ছিলেন।
            যে লোকেরা তাকে খুন করেছে তারা এলাকায় গুন্ডা হিসাবে পরিচিত। তাদের নামে থানায় মামলাও রয়েছে।”
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              আহ! মুসলিম উম্মাহর কি করুণ দশা।
              আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।
              ভয়ের কিছু নেই-আঁধারের পর আলোর দেখা অবশ্যই মিলবে।
              উম্মাহর অতদ্র প্রহরীরা জেগে উঠছে। ইনশাআল্লাহ
              গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

              Comment


              • #8
                Originally posted by Ibrahim Al Hindi View Post
                আহ! মুসলিম উম্মাহর কি করুণ দশা।
                আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।
                ভয়ের কিছু নেই-আঁধারের পর আলোর দেখা অবশ্যই মিলবে।
                উম্মাহর অতদ্র প্রহরীরা জেগে উঠছে। ইনশাআল্লাহ
                উহঃ নিউজ গুলো দেখে হৃদয়টা ডুকরে কেদে উঠছে...
                আল্লাহর কসম! প্রতিটা অপরাধের বদলা নেবোই বিইজনিল্লাহ! আল্লাহর গোলাম গুলোর আল্লাহর ভয়ে কন্দনরত অশ্রভেজা চোখ তারা দেখেছে কত অসহায়... প্রতিশোধের হিংস্র থাবা তারা দেখেনি... জগতের সেরা সন্তান বিখ্যাত মুজাহিদ ফি সাবিলিল্লাহ দের গরম নিশ্বাসে হিংস্রতার রুপ তারা দেখতে পাবে বিইজনিল্লাহ্।
                ঐ দিন প্রশান্তি আসবে যে দিন মুসলিম জাতি এ দুনিয়াতে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।

                Comment


                • #9
                  আল্লাহ মুসলমানদের জান মালের নিরাপত্তা দান করুন!
                  আপনার সৈনিকদের দৃশ্য -অদৃশ্য পাঠিয়ে কাফিরদের ধ্বংস করেদিন!
                  আল্লাহ আপনি কাফিরদের একটা কেও ছেড়ে দিবেন না।।
                  ইয়া সামিউল আলীম

                  Comment

                  Working...
                  X