Announcement

Collapse
No announcement yet.

হিজরত কি এবং কেন?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • হিজরত কি এবং কেন?

    হামদ এবং সালাতের পর হযরত আয়শা এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনلا هجرة بعدالفتح ولكن جهاد ونية واذا استنفرتم فانفروا (মক্কা) বিজয়ের পর হিজরত নেই কিন্তু জিহাদ এবং নিয়্যাত রয়েছে এবং যখন তোমাদেরকে জিহাদের জন্য বের হতে বলা হয় তখন বের হয়ে পড় আহলে ইলমগনের নিকটে এর ব্যাখ্যা হল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের পর সেখান থেকে হিজরতের কোন প্রয়োজন নেই কারন তা এখন দারূল ইসলামে পরিনত হয়ে গেছে এ হাদিস দ্বারা হিজরত কে পরিপূর্ণ ভাবে বাদ দেওয়া হয়নি ।(মূল হিজরত কিন্তু রয়ে গেছে )কারন অপর সহীহ হাদিসে এসেছে لا تنقطع الهجرة جتي تنقطع التوبة হিজরতের দরজা তত দিন পর্যন্ত বন্ধ হবেনা যতদিন পর্যন্ত তোওবার দরজা বন্ধ না হয় সুতরাং কেহ যদি শিরকের এলিকায় থাকে তাহলে তার জন্য হিজরত করা আবশ্যক যেমন আল্লাহ বলেছেনالَّذينَ تَوَفّىٰهُمُ المَلٰئِكَةُ ظالِمى أَنفُسِهِم قالوا فيمَ كُنتُم ۖ قالوا كُنّا مُستَضعَفينَ فِى الأَرضِ ۚ قالوا أَلَم تَكُن أَرضُ اللَّهِ وٰسِعَةً فَتُهاجِروا فيها ۚ فَأُولٰئِكَ مَأوىٰهُم جَهَنَّمُ ۖ وَساءَت مَصيرًا
    যারা নিজের অনিষ্ট করে, ফেরেশতারা তাদের প্রাণ হরণ করে বলে, তোমরা কি অবস্থায় ছিলে? তারা বলেঃ এ ভূখন্ডে আমরা অসহায় ছিলাম। ফেরেশতারা বলেঃ আল্লাহর পৃথিবী কি প্রশস্ত ছিল না যে, তোমরা দেশত্যাগ করে সেখানে চলে যেতে? অতএব, এদের বাসস্থান হল জাহান্নাম এবং তা অত্যন্ত মন্দ স্থান।
    إِلَّا المُستَضعَفينَ مِنَ الرِّجالِ وَالنِّساءِ وَالوِلدٰنِ لا يَستَطيعونَ حيلَةً وَلا يَهتَدونَ سَبيلًا
    কিন্তু পুরুষ, নারী ও শিশুদের মধ্যে যারা অসহায়, তারা কোন উপায় করতে পারে না এবং পথও জানে না।
    ]فَأُولٰئِكَ عَسَى اللَّهُ أَن يَعفُوَ عَنهُم ۚ وَكانَ اللَّهُ عَفُوًّا غَفورً
    অতএব, আশা করা যায়, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন।আল্লাহ মার্জনাকারী, ক্ষমাশীল। হাফেজ ইবনে হাজার এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন যে এই বিষয়ের উপর আহলে ইলম গন একত্রিত হয়েছেন যে ব্যক্তি শিরকি এলাকায় রয়েছে তার জন্য হিজরত ওয়াজিব তবে শর্ত হল সে সেখানে তার দ্বীনকে প্রকাশ করতে অক্ষম হতে হবে এবং এখানে দ্বীনকে প্রকাশ করতে পারা দ্বারা উদ্দেশ্য হল সেখানে সে আল্লাহর একত্ববাদ এবং একনিষ্ঠতার দিকে ডাকতে পারবে এবং নামাজ কায়েম করতে পারবে এবং দ্বীনের শেআ'র গুলো কে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে অন্যথায় তার জন্য ইসলামী রাষ্ট্রে কিংবা এমন কোন জায়গায় হিজরত করা ওয়াজিব হয়ে যাবে যেখানে গিয়ে সে তার দ্বীনকে প্রকাশ করতে পারে(উক্ত কাজগুলো করতে পারে) কিন্তু যে অক্ষম হবে তার জন্য ভিন্ন কথা সুতরাং কুফরি রাষ্ট্রে কেহ যদি তার দ্বীন কে প্রকাশ করতে(উক্ত কাজ গুলো করতে) পারে তাহলে তার জন্য হিজরত আবশ্যক হবে না এবং সে যদি সেখানে উপরুক্ত কাজগুলো করতে পারে তাহলে মুসলমানদের জন্য অনেক উপকারী এবং কল্যান কর হবে অন্যথায় ফেতনা থেকে বাঁচতে হিজরত করবে এই জন্য শরিয়তের নিয়োম হল আহলে ইলম এবং জ্ঞানীদেরকে কুফরি রাষ্ট্রে পাঠানো হবে মানুষদেরকে আল্লাহর একাত্ববাদ এবং শরিয়ত শিক্ষা দেওয়ার জন্যে শর্ত হল তাদের কোন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা না থাকতে হবে যেটি সাহাবায়ে কেরাম ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছেন

  • #2
    মুখতাসার আসাসুল জিহাদ

    ৩:১; হিজরত হলো ওয়াতন ত্যাগ করা। হিজরত: ১) বাইরে থেকে স্থায়ীভাবে দারুল ইসলামে যাওয়া। যেমন- মক্কা থেকে মদীনায়। বাইরে দীন পালনে বাধা থাকলে তা ওয়াজিব। নয়তো মুসতাহাব। ২) দীনের সাহায্যার্থে ওয়াতন ছেড়ে মুজাহিদদের সাথী হওয়া। যেমন- বেদুইনদের মদীনায় হিজরত। প্রয়োজনে ওয়াজিব, নয়তো মুসতাহাব। ৩) নিরাপত্তার জন্য ওয়াতন পরিবর্তন করা। যেমন- মক্কা থেকে হাবশায় হিজরত। উল্লেখ্য, দারুল কুফর দারুল হারব হয়েছে জিহাদ ফারয হওয়ার পর। তাই মক্কা ও হাবশা তখন দারুল কুফর ছিল, হারবিয়্যাহ নয়। তবে মক্কা দারুল ফিতান আর হাবশা দারুল আমান।

    ১:৯; দারুল আমান বা নিরাপদ দেশ বলতে কখনো দারুল ইসলাম কখনো দারুল আহদ উদ্দেশ্য হয়। আর দারুল ফিতান বলতে কখনো দারুল হারব বা কুফর আবার কখনো দারুল বুগাত উদ্দেশ্য হয়।

    ১:৭; ওয়াতন অর্থ বাসভূমি। যার অর্থ মাতৃভূমি বা জন্মভূমিও করা হয়। এর দ্বারা একটি গ্রাম বা শহর থেকে নিয়ে একটি ভৌগোলিক অঞ্চল উদ্দেশ্য হতে পারে। এর অর্থ রাষ্ট্র নয়। একটি রাষ্ট্রে এক থেকে অনেকগুলো ওয়াতন থাকতে পারে। ওয়াতনের প্রতি আকর্ষণ বা ভালবাসা নিজের পছন্দের খাবার বা কাপড়ের উপর আকর্ষণের মতোই। এর কোনো আদর্শিক দিক নেই। এর সাথে রাষ্ট্রের আনুগত্যের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ, রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য আদর্শ নয়ত স্বার্থের উপর নির্ভরশীল। দেশ শব্দটি কখনো রাষ্ট্রের অর্থে কখনো ওয়াতনের অর্থে ব্যবহৃত হয়। উভয়ের পার্থক্য বুঝে নেয়া আবশ্যক। ধর্মের প্রয়োজনে উভয়কেই ছাড়তে হয়। যেমন- হিজরত বা মুক্তিযুদ্ধ।


    Comment


    • #3
      নিচের জাস্টপেইস্ট লিঙ্ক থেকে সরাসরি পড়তে পারেন-
      https://justpaste.it/8yd2o
      গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

      Comment

      Working...
      X