Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদ-ই হলো মুক্তির পথ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদ-ই হলো মুক্তির পথ

    "জিহাদিই হলো মুক্তির পথ"

    এই পৃথিবীতে আমরা আল্লাহর যত হুকুম আহকাম পালন করি। প্রত্যেকটি হুকুম পালনের মধ্যেই রয়েছে আমাদের জন্য কল্যান(কল্যাণ)।আর সে কল্যান শুধু আখেরাতে পাই না বরং দুনিয়াতেও আমরা সে কল্যান লাভ করি।বর্তমান বিজ্ঞানিরা বিভিন্ন ইবাদাতের উপর গবেষনা(গবেষণা) করে নানান ধরনের উপকারিতা বের করেছে।তারা রাসুল(রাসূলের) সুন্নাহগুলোর উপর গবেষনা করেও দুনিয়াবি বহু উপকারিতা বের করেছে।যেমনঃ চিকিৎসকরা বলেছেনঃ মানষিক(মানসিক) রোগের একটা চিকিৎসা হলো গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠা।কিন্তু যদি কেউ তাহাজ্জুদ পড়তে উঠে তাহলে তাকে রাতের গভীরে ঘুম থেকে উঠতে হবে।তার আর মানষিক রোগ হবে না।
    চিকিৎসা বিজ্ঞান রোযার উপর গবেষনা করে দেখেছে রোযা রাখার কারনে মানুষের শরিরের মুল(মূল) কোষ গুলো অতিরিক্ত কোষগুলোকে খেয়ে পেলে। ফলে বিভিন্ন মারাত্মক রোগথেকে মানুষ রক্ষা পায়।
    এভাবে বিজ্ঞানিরা বিভিন্ন ধরনের ইবাদাতের উপর যেমনঃ মিসওয়াক,নামায, খাওয়ার সুন্নাহ,ঘুমের সুন্নাহ,ইত্যাদির উপর গবেষনা করে দুনিয়াবি বড় বড় উপকারিতা গুলো আবিষ্কার করেছেন।এর উপর আলাদা বই আছে। যাদের মন চায় পড়ে নিয়েন।
    কিন্ত একটি ইবাদাতের উপকারিতা নিয়ে বিজ্ঞানিরা আজও কোন গভেষনা(গবেষণা) করে নাই। করবেও না।অথচ সেই ইবাদাতটি অন্যান্য ইবাদাতের চাইতে ফজিলত ও গুরুত্ব অনেক বেশি। যেই ইবাদাতটির ফজিলত অনেক বেশি সেই ইবাদাতের দুনিয়াবি ও আখেরাতের উপকারিতাও অনেক বেশি।যেটা একমাত্র সেই ব্যক্তি অনুধাবন করে। যে এটার সাথে জড়িত থাকে।সেটি হল আল জিহাদ।
    এই ইবাদাতটি না করার কারনে আজ মুসলিমরা এত মার খাচ্ছে। এত অপমানিত হচ্ছে।এবং সামনেও হবে যদি এটা থেকে দুরে থাকে।পৃথিবীর ইতিহাসে যখনি মানুষ জিহাদকে ছেড়ে দিয়েছে তখনি মুসলিমরা অপমানিত হয়েছে।দেখুন আল্লাহ তাআলা যখন বনি ইসরাইলকে আমলিকা জাতির বিরুদ্বে জিহাদ করতে বলেছে। তখন বনি ইসরাইলরা আল্লাহর হুকুমকে অমান্য করে তারা বলেছে, হে মুসা তুমি এবং তোমার আল্লাহ গিয়ে যুদ্ব কর।তখন আল্লাহ বনি ইসরালকে অপমনিত করেছেন।তাদেরকে তিহ নামক প্রান্তরে চল্লিশ বছর উদ্বাস্তের মত ঘুরিয়েছেন।তারা" তিহ" নামক প্রান্তর থেকে বের হওয়ার জন্য সকালে রওয়ানা হত। আর বিকালে দেখতো তারা যে জায়গা থেকে বের হতো সে জায়গাই তারা অবস্থান করছে। এভাবেই আল্লাহ তাদের জন্য পৃথিবীকে সংকুচিত করে দিয়েছিলেন।আপনি যে বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহর দ্বীন থেকে দুরে সরে যাবেন বা জিহাদ থেকে দুরে সরে যাবেন একদিন সেই বিপদ অথবা তার চাইতে ভয়ানক বিপদ আপনার উপর আসবে।আবু জাহেল যে নেতৃত্ব হারানোর ভয়ে ইসলাম গ্রহন করে নাই।রাসুল সাঃ কে নির্যাতন করেছিল।মাত্র কিছুদিন পরে সেই নেতৃত্ব থেকে অপমানিত হয়ে বিদায নিয়েছিল।।পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেনঃ তোমরা নিজেদের হাতকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করো না।সুরা বাকারা১৯৫
    এআয়াতে তাফসিরে আবু আইয়ুব আনসারি রাঃ বলেনঃএ আয়াত আমাদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। আমরা এর ব্যাখ্যা উত্তমরুপে জানি।কথা হলো এই যে, আল্লাহ তাআলা ইসলামকে যখন বিজয়ী ও সুপ্রতিষ্ঠিত করলেন, তখন আমাদের মধ্যে আলোচনা হলো যে,এখন আর জিহাদের কি প্রয়োজন? এখন আমরা আপন গৃহে প্রবেশ করে বিষয় সম্পত্তির হিসেব করি।এ প্রসঙ্গে এ আয়াত নাযিল হলো।এতে স্পষ্ট বুজা(বুঝা) যাচ্ছে এখানে ধ্বংসের দ্বারা জিহাদ পরিত্যাগ করাই বুজানো হচ্ছে।সেজন্যই হযরত আবু আইয়ুব আনসারি রাঃ সারা জীবনই জিহাদ করে গেছেন।শেষ পর্যন্ত ইস্তাম্বুলে শহীদ হয়ে সেখানেই সমাহিত হয়েছেন।
    জালুত নামক স্বৈরাচারী যখন বনী ইসরাইলের উপর দমন পীড়ন শুরু করেছে তখন একমাত্র জিহাদের মাধ্যমেই জালুতে পতন হয়েছে।জালুতের জুলুম থেকে জিহাদের মাধ্যমেই আল্লাহ বনি ইসরাইলকে রক্ষা করেছেন।

    জিহাদিই রক্ষা পাওয়ার পথঃ এই পৃথিবীতে যখনই কোন জালেম মারাত্নক(মারাত্মক) ভাবে হিংস্র হয়ে উঠেছে তখনই একমাত্র জিহাদের মাধ্যমে জালেমদের পতন হয়েছিল।জিহাদ শুধু মুসলিমদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে না। বরং পৃথিবীর সকল নির্যাতিত নিপড়িত মানুষের নিরাপত্তা দেয়।তাতারিরা যখন মারাত্মক হিংস্র হয়ে উঠেছিল। তখন শুধু তারা মুসলিমদের উপরেই নির্যাতন করে নাই।বরং তারা খৃস্টানদের উপরেও নির্যাতন করেছে।অবশ্য মুসলিমদের উপর বেশি করেছিল।কিন্তু তাতারিদের এই ফিতনা ধ্বংস হয়েছিল শুধু জিহাদের মাধ্যমেই।তৎকালীন সুপারপাওয়ার আব্বাসি খেলাফতের পতন হয়েছিল তাতারীধের হাতে।কারন(কারণ) তারা তাতারিদের বিরুদ্বে জিহাদের পথ না খুজে শান্তিপূর্ণ সমাধান ছেয়েছিল। কিন্ত মিশরের অল্পকিছু মামলুক যখন সুলতান কুতুজের নেতৃত্বে জিহাদের পথ বেছে নিয়েছিলো। তখনই তাতারি ফেতনা সমুলে উৎখাত হতে শুরু করে।উপমহাদেশের তৎকালিন রাজা দাহিরের অত্যাচারে যখন সবাই অতীষ্ট (অতিষ্ঠ। তখন মুহাম্মাদ বিন কাসিমের নেতৃত্বে মুসলিম সৈন্যরা দাহিরকে পরাজিত করে।এবং সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করে।যার কারনে মুহাম্মদ বিন কাসিম যখন উপমহাদেশ থেকে বিদায় নেন তখন হাজার হাজার অমুসলিমও তার জন্য কেঁদেছিলো।
    প্রিয় ভাই এটিই মুসলিমদের মুক্তির পথ এবং কল্যানের পথ।দ্বীন প্রতিষ্ঠার পথ।

  • #2
    পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেনঃ তোমরা নিজেদের হাতকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করো না।সুরা বাকারা১৯৫
    মুহতারাম! কুরআনের আয়াত লিখে অর্থ লিখা হলো আদব ৷
    শুধু অনুবাদ লিখা মনে হয় ঠিক না ৷
    এ বিষয়টি খেয়াল করলে ভালো হবে ৷ ইনশাআল্লাহ

    আর বর্তমানে কুরআনের অনেক এনড্রয়েড এপস আছে ৷ এপস থেকেও আপনি আয়াত কপি করতে পারবেন ৷ ইনশাআল্লাহ
    গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

    Comment


    • #3
      Originally posted by Ibrahim Al Hindi View Post
      মুহতারাম! কুরআনের আয়াত লিখে অর্থ লিখা হলো আদব ৷
      শুধু অনুবাদ লিখা মনে হয় ঠিক না ৷
      এ বিষয়টি খেয়াল করলে ভালো হবে ৷ ইনশাআল্লাহ

      আর বর্তমানে কুরআনের অনেক এনড্রয়েড এপস আছে ৷ এপস থেকেও আপনি আয়াত কপি করতে পারবেন ৷ ইনশাআল্লাহ
      আমি নতুন তো। আস্তে আস্তে আপনাদের ভালো পরামর্শের দ্বারা সংশোধনের চেষ্টা করবো। দোয়া করবেন

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ, অনেক উপকারী কথা বলেছেন ভাই...জাযাকাল্লাহ
        আল্লাহ আমাদেরকে মুক্তির পথের পথিক হিসাবে কবুল করুন। আমীন
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment

        Working...
        X