Announcement

Collapse
No announcement yet.

কেনো এই গ্রেফতার-রিমান্ড??

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কেনো এই গ্রেফতার-রিমান্ড??

    কেনো এই গ্রেফতার-রিমান্ড? কী চায় এই তাগুত?? আমরা কোন পথে হাঁটবো???

    বাংলাদেশের মুসলিমরা, বিশেষ করে উলামায়ে কেরাম একটি চরম দুঃসময় অতিক্রম করছে। প্রতিদিনই শুনতে হচ্ছে কোনো না কোনো আলেমের গ্রেফতার হওয়ার করুণ কাহিনী। তরুন আলেম থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠ, দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম,মাদরাসার মুহতামিমসহ কেউই রেহাই পাচ্ছে না গ্রেফতারের আওতা থেকে। নানা অজুহাতে অসংখ্য নিরিহ মুসলিমদেরকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। কারাগারে তাদের উপর চালানো হচ্ছে ভয়ঙ্কর নির্যাতন। দেশের সর্বোচ্চ কুফুরী আদালত তাদের ব্যাপারে রিমান্ড মঞ্জুর করে অমানবিক নির্যাতনের স্ট্রীমরোলার চালানোর গণতান্ত্রিক বৈধতা দিচ্ছে । বয়োবৃদ্ধ উলামায়ে কেরামও নিস্তার পাচ্ছেন না ওদের নখর থাবা থেকে। হাতে লোহার বেড়ী পরিহিত সম্মানিত আলেমদের অসহায় চেহারা দেখে বাস্তবিক অর্থেই আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। উলামায়ে কেরামের সাথে তাগুত সরকারের এ ধরণের ধৃষ্টতামূলক আচরণ দেখে আমরা হতভম্ব হয়ে পড়েছি।
    কিন্তু আপনারা কি জানেন, তাগুত হাসিনা আলেমদের সাথে এ জাতীয় ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ কেনো করছে??
    তা জানতে হলে আমাদেরকে একটু পেছনে ফিরে দেখতে হবে

    ক্ষমতার এই মসনদে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ;অতীত থেকে বর্তমান!!


    ২০০৬ সালে তাগুত হাসিনা ক্ষমতায় আসার পূর্বেই পরিকল্পনা করেই এসেছিলো, এবার ক্ষমতায় আসলে বাবার মত মৃত্যুর আগে ক্ষমতা হাতছাড়া করবে না। এ জন্য করণীয় যা যা হতে পারে সবকিছুই সে করবে। এ দেশের মানুষের জন্য এই নরপিশাচের অন্তরে বিন্দুমাত্র কোনো দরদ নেই। তার প্রয়োজন শুধু ক্ষমতা। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে যদি দেশের সকল নাগরিককেও হত্যা করতে হয় সে তাও করতে প্রস্তুত। যদি সকল উলামায়ে কেরামকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলাতে হয় সে তাও করতে প্রস্তুত। বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা এর স্পষ্ট প্রমাণও পেয়েছি।
    এই তাগুত ক্ষমতায় আসার পর পর পিলখানা হত্যাকাণ্ড চালিয়ে সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ সকল সেনা অফিসারকে হত্যা করেছে৷ কারণ সে বুঝতে পেরেছিলো এদেরকে হত্যা না করলে পরবর্তীতে তারা ক্ষমতার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ সেনা অভ্যূত্থান ঘটিয়ে তাকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দিতে পারে৷ তাই নৃশংস একটি সেনা হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা নিয়েই সে ক্ষমতায় এসেছিলো। ক্ষমতায় আরোহণের অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই যার বাস্তব প্রতিফলন ঘটিয়েছিলো। আজকে যারা সেনাবাহিনীতে চাকরি করে তাদের কি মনে নেই সেই ইতিহাস? নিহত সেনাপ্রধানদের স্ত্রী-সন্তানদের গগণবিদারী আর্তনাদ তো আজও আমাদের অন্তরে দাগ টেনে যায়! সেই সময়ের চিত্রগুলো দেখলে তো আজও আমাদের চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে যায়! কিন্তু হে ভায়েরা! আপনারা এত দ্রুত কী করে ভুলে যেতে পারলেন এত বড় একটা ক্ষতকে? যে হাসিনা আপনাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো সেই হাসিনার অমানবিক হুকুমের গোলামী করতে কি আপনাদের দিলে একটিবারও বাঁধে না? নিজেদের আত্মমর্যাদাবোধকে সামান্য অর্থের কাছে এভাবেই বিক্রি করে দিতে পারলেন আপনারা??

    হাসিনার দ্বিতীয় প্রধান বাঁধা ছিলো বিরোধী দল বিএনপি। আর বিএনপির মূল চালিকাশক্তি ছিল জামাত। তাগুত হাসিনা খুব চতুরতার সাথে উভয় দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার গুম আর ফাঁসি দিয়ে দলদুটিকে কোণঠাসা করে ফেলে। পরবর্তীতে ঘুরে দাঁড়াবার শক্তি তাদের বাকি থাকেনি। যখন বিরোধী দলের সকল নেতা-কর্মী জেলখানায় তখন সে একা একা নির্বাচন করে একের পর এক ক্ষমতায় আসতে শুরু করে। সেই ধারাবাহিকতা এখনো চলমান।

    ২০১৩ সালে যখন নাস্তিক ব্লগাররা মুসলিমদের প্রাণের স্পন্দন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কটুক্তি করতে শুরু করে তখন উত্থান ঘটে হেফাজতে ইসলামের। দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় উলামায়ে কেরামের তত্বাবধানে পরিচালিত এই অরাজনৈতিক সংগঠনটি নাস্তিক ব্লগারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে দেশজুড়ে ব্যপক সাড়া ফেলে দেয়। দেশের সকল মুসলিম এক প্লাটফর্মে এসে ঐক্যবদ্ধ হয়। ২০১৩ সালের ৬ই এপ্রিলের ঐতিহাসিক লংমার্চ দেখে হাসিনার ভিত কেঁপে ওঠে। তখন তাগুত হাসিনার সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় হেফাজতে ইসলাম৷ হেফাজতে ইসলামকে নির্মূল করতে সে পরিকল্পনা শুরু করে। ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে হেফাজতের সামনে৷ যার বাস্তব প্রতিফলন ঘটেছিলো ২০১৩ সালের ৫ই মের সেই কালো রাতে৷ নেতৃত্বদানে আনাড়ি নেতৃবৃন্দেরকে বুঝিয়ে ছলেবলে কৌশলে সন্ধ্যার সময় একত্রিত করে শাপলা চত্বরে। দেশী-বিদেশী সেনাদের যৌথ অভিযানে গভীর রাতে ঘটে এক নির্মম হত্যাযজ্ঞ। বিদ্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে এক অন্ধকার নগরীতে পরিনত করে মতিঝিলকে। এরপর চলে গণহত্যা। হাজার হাজার উলামা-ত্বলাবা সে রাতে শাহাদাত বরণ করে। তাদের লাশগুলোও পরিবারের কাছে ফেরৎ দেওয়া হয়নি। রাতের অন্ধকারেই তা পাচার করে দেওয়া হয় ভারতে। তারপর হেফাজতের শীর্ষস্থানীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে পঙ্গু করে দেয় হেফাজতে ইসলামকে। কিছুদিন যেতে না যেতেই ক্বাওমী স্বীকৃতি দিয়ে সেই রক্তের দাগ মুছে ফেলে ধূর্ত হাসিনা। আকাবির ও আসলাফের অনুসৃত পথ পরিত্যাগ করে সেদিন উলামায়ে কেরামের বিরাট একটা অংশ খুনি হাসিনার হাতে তুলে দেয় সম্মাননা স্বারক। রচিত হয় ইতিহাসের এক ঘৃণিত অধ্যায়৷ তাগুতরা সেদিন এসে বলে গিয়েছিলো, শাপলা চত্বরে না-কি একজন মানুষও নিহত হয়নি। সব না-কি বানোয়াট আর মিথ্যা ছিলো! মাদরাসার ছাত্ররা গায়ে লাল রঙ মেখে শুয়েছিলো,পুলিশ আসতেই তারা ওঠে দৌড় মেরেছিলো!! শত শত উলামা ত্বলাবারা সেদিন নিশ্চুপ ছিলো। তাদের কথাকে মৌন সমর্থন দিয়ে শাপলার রক্তকে বৈধ করে দিয়েছিলো৷ খুনি হাসিনাকে সেদিন তারা ক্বাওমী জননী উপাধি পর্যন্ত দিয়েছিলো। নাউজুবিল্লাহ!!

    হাসিনা নিশ্চিত ছিলো হেফাজত আর কখনোই তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে না। পথের সকল কাটা পরিষ্কার করে সে স্বস্তির ঢেকুর তুলছিলো। এবং নির্বিঘ্নে হিন্দুত্ববাদী ভারতের এজেন্ডা বাস্তবয়নে মনোযোগী হয়েছিলো। কিন্তু মোদী বিরোধী আন্দোলনে তার সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়। হেফাজত আবারও রাস্তায় নামে৷ এবং টানা তিনদিন নিজেদের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে পুরো দেশ উত্তাল করে তোলে। পুলিশের গুলির মুখেও তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখে। এবং বিশ বিশটি প্রাণ ঝরিয়ে অবশেষে আন্দোলনের ইতি টানে। হাসিনার বিরুদ্ধে এত শক্তিশালী একটি দল এখনো টিকে আছে দেখে বেশ অবাক হয় হাসিনা। হেফাজতকে নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত ভাবতে বাধ্য হয় সে। বুঝতে পারে হেফাজত এখনো নির্মূল হয়নি।
    তাই সে হেফাজতকে নির্মূল করতে এবার আদা জল খেয়ে মাঠে নেমেছে। করোনার কৃত্রিম অজুহাত তৈরী করে সারাদেশে লকডাউন দিয়ে রেখেছে। যেনো গণগ্রেফতারের বিরুদ্ধে কেউ আন্দোলন করতে না পারে৷ হেফাজতের শীর্ষস্থানীয় নেতা-কর্মীদেরকে ধরে ধরে রিমান্ড দিচ্ছে।


    প্রিয় উম্মাহ!!আপনারা কি এখনো বুঝবেন না যে, এই তাগুত হাসিনা ও তার আজ্ঞাবহ প্রশাসনের নিকট ইসলাম ও মুসলিমদের কোনো মূল্যই নেই! ক্ষমতা এবং মুজিবীয় আদর্শের প্রশ্নে তারা কোনো কিছুর সাথেই কোনো আপোষ করতে রাজি নয়। ক্ষমতা আর মুজিবীয় আদর্শ টিকিয়ে রাখতে যদি দেশের সকল আলেম এবং ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের হত্যা করতে হয়, তাহলে তারা তাই করবে! সাধারণ জনগণের উপর তাদের পোষা গুণ্ডাবাহিনী ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বর্বরোচিত নির্যাতন কি আপনারা দেখেননি? এমপি-মন্ত্রীদের ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা এসব গুণ্ডা বাহিনী কর্তৃক মুসলিম বোনদের ধর্ষিত হবার ঘটনা কি আপনারা শোনেননি? নীরবতার এই দেয়াল আর কত উঁচু হবে তাহলে? আপনার আদরের কন্যা সন্তানকে চোখের সামনে ধর্ষিত হবার হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখার জন্যই কি তবে আপনারা এখনো চুপ আছেন? না-কি নিজের ছেলের মরদেহ কোলে নিয়ে মাতম করার অপেক্ষা করছেন??


    সম্মানিত উলামায়ে কিরাম!!
    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো বলেছেন, মুমিন একই গর্তে দুই বার দংশিত হয় না। আমরা এই তাগুতের দ্বারা কতবার দংশিত হচ্ছি, এর কোনো হিসেব আছে? ইসলামের মূল্যবোধ রক্ষা করতে যতবার আমরা আন্দোলনে নেমেছি ততবারই আমরা নির্যাতিত হয়েছি! প্রতিটি ইস্যুতেই আমরা ব্যার্থ হয়ে ময়দান ছেড়েছি। এরপর যখনই এই হাসিনা আমাদের প্রতি কৃত্রিম কোনো সহমর্মিতা দেখিয়েছে তখন আমরা অতীতের সকল অপরাধের বৈধতা দিয়ে দিয়েছি। শাপলা চত্বর ট্রাজেডির কয়েক বছর যেতে না যেতেই আমরা এই তাগুতের হাতে সম্মাননা স্বারক তুলে দিয়েছি। কাওমী জননীর উপাধিও তাকে দিয়েছি! কিন্তু এতকিছু করেও কি আমরা তার রোষানল থেকে বাঁচতে পেরেছি? শত শত চাটুকারিতাও কি আমাদের কোনো উপকারে এসেছে? না, আসেনি! বরং এই তাগুত আগের চেয়েও হিংস্র হয়ে ঝাপিয়ে পড়েছে আমাদের উপর। আমাদের ট্যাক্সের টাকায় পোষা গুণ্ডাবাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে আমাদের উপর। মূর্তি-ভাস্কর্য ইস্যুতে এবং মোদী বিরোধী আন্দোলনে আমরা এর সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছি।
    বর্তমানে এই তাগুতের টার্গেট শুধু হেফাজতে ইসলামকে বিলুপ্ত করা নয় বরং ইসলামের পক্ষে আওয়াজ তুলতে পারে এমন সকল কণ্ঠকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়া। কারণ সে বুঝতে পেরেছে এখনো তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মত শক্তি ইসলামপ্রিয় জনতার মাঝে অবশিষ্ট আছে। আর সে এটা কখনোই চায়না যে তার ক্ষমতার হুমকি হয়ে কোনো শক্তি এই দেশে টিকে থাকুক। জামাত আর বিএনপিকে যেভাবে নির্মূল করেছে ঠিক সেভাবেই সে হেফাজতকে ইসলামের পক্ষের সকল শক্তিকে নির্মূল করতে চায়!

    আমরা আর কবে বুঝবো যে, এই তাগুতের প্রতি আমরা যতই নম্রতা প্রদর্শন করিনা কেনো, এই তাগুত আমাদের প্রতি বরাবরের মতোই কঠোর থাকবে। ইসলামের স্বার্থে আমাদের কোনো পদক্ষেপ তার হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডার বিরুদ্ধে গেলে সে আমাদেরকে এক চুল পরিমাণও ছাড় দিবে না। আমাদের নম্রতা বরং আমাদের দুর্বলতাকেই প্রকাশ করছে। তাগুতকে সন্তুষ্ট করতে আমরা কত কিছুই না করেছি! উম্মাহর এই ক্রান্তিলগ্নে জিহাদ ও ইদাদের মত ফরজ বিধান থেকেও আমরা উম্মাহকে দূরে রেখেছি। জিহাদ ও ইদাদের কথা বল্লে মাদরাসা বন্ধ হয়ে দ্বীন মিটে যাবে এ ধরণের কাল্পনিক ভূয়া সব অজুহাত দাঁড় করিয়ে ছাত্রদেরকে জিহাদ ও ইদাদের নববি মানহাজ থেকে বিমুখ করেছি! কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি তাগুতকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছি?ক্বাওমী মাদরাসাগুলোকেও কি ওদের রক্তচক্ষু থেকে মুক্ত রাখতে পেরেছি??
    এখনো কি বোঝার সময় হয়নি যে, এই যিল্লতি থেকে আমাদের মুক্তির একমাত্র পথ হলো জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ? যুগে যুগে এই জিহাদের মাধ্যমেই উম্মাহ সম্মানের আসনে আসীন হয়েছে। এই উপমহাদেশের মুসলিমরা যে চরম দুর্দিন অতিবাহিত করছে, একমাত্র জিহাদই পারে এই লাঞ্ছনা থেকে উপমহাদেশের উলামায়ে কেরাম এবং সাধারণ মুসলিমদেরকে মুক্তি দিতে৷ এখনো যদি এই সত্য আমরা উম্মাহ থেকে গোপন করি তাহলে উম্মাহর ভাগ্যে যে নির্মম পরিণতি ঘটবে তার দায় আমরা আলেমরা কখনোই এড়াতে পারবো না!!

  • #2
    আল্লাহ পোস্টকারী ভাইকে উত্তম থেকে উত্তম বদলা দান করুন ও উনার লেখা থেকে উম্মাহকে ব্যাপকভাবে উপকৃত করুন!

    তাগুতকে সন্তুষ্ট করতে আমরা কত কিছুই না করেছি! উম্মাহর এই ক্রান্তিলগ্নে জিহাদ ও ইদাদের মত ফরজ বিধান থেকেও আমরা উম্মাহকে দূরে রেখেছি। জিহাদ ও ইদাদের কথা বল্লে মাদরাসা বন্ধ হয়ে দ্বীন মিটে যাবে এ ধরণের কাল্পনিক ভূয়া সব অজুহাত দাঁড় করিয়ে ছাত্রদেরকে জিহাদ ও ইদাদের নববি মানহাজ থেকে বিমুখ করেছি! কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি তাগুতকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছি?ক্বাওমী মাদরাসাগুলোকেও কি ওদের রক্তচক্ষু থেকে মুক্ত রাখতে পেরেছি??
    এখনো কি বোঝার সময় হয়নি যে, এই যিল্লতি থেকে আমাদের মুক্তির একমাত্র পথ হলো জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ? যুগে যুগে এই জিহাদের মাধ্যমেই উম্মাহ সম্মানের আসনে আসীন হয়েছে। এই উপমহাদেশের মুসলিমরা যে চরম দুর্দিন অতিবাহিত করছে, একমাত্র জিহাদই পারে এই লাঞ্ছনা থেকে উপমহাদেশের উলামায়ে কেরাম এবং সাধারণ মুসলিমদেরকে মুক্তি দিতে৷ এখনো যদি এই সত্য আমরা উম্মাহ থেকে গোপন করি তাহলে উম্মাহর ভাগ্যে যে নির্মম পরিণতি ঘটবে তার দায় আমরা আলেমরা কখনোই এড়াতে পারবো না!!

    আল্লাহ তা‘আলা গোটা মুসলিম উম্মাহকে, বিশেষ করে উম্মাহর রাহবার উলামায়ে কেরামকে সময়ের কঠিন বাস্তবতা অনুধাবন করে, দ্বীনের সহীহ মানহায-নববী মানহায জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহর পথে ফিরে আসার তাওফীক দান করুন! জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহর কাতারে সারিবদ্ধভাবে সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় দাঁড়ানোর তাওফীক দান করুন! উম্মাহর উপর চলমান এই লাঞ্ছনাকর জীবন থেকে মুক্তির একমাত্র পথ জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহর সহীহ বুঝ দান করুন............!!!
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      কথিত হেকমতের শেষ কোথায়?

      মাশা আল্লাহ! আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বুঝার তাওফিক দান করুন। আমীন!
      মহাসচিব সাহেবের কথিত হেকমতের শেষ কোথায়! জুমায় হাতজোড় করে ওলামায়ে কিরামের মুক্তির জন্য কান্না! নাকি মায়াকান্না ! সরকার পক্ষের সাথে ভালো সম্পর্ক। বিশেষকরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে গভীর সম্পর্ক!? তার এতসব রমযান পূর্বে বি বাড়িয়ায় শহিদভাইদের জন্য আন্দোলনে একটি তার বিখ্যাত মাদ্রাসার ৫০ জন ছাত্র আহত হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারেনি তো!?
      দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খিলাফাহ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ। অনেক উপকারী কথা!

        Comment


        • #5
          ভাই! এই যিল্লতি থেকে আমাদের মুক্তির যে একমাত্র পথ হলো জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ এটা আলেমরা বুঝতে চায় না বা না বেঝার ভান ধরে। আর এক পীর সাহেব আলেমদেরকে বলতেছে, এত নাচানাচি বাদ দিয়ে খানকায় চলে আসেন। তাহলে নাকি সব ঠিক হয়ে যাবে। শুধু মাদ্রাসা মসজিদ নাকি যথেষ্ট না।
          ভাই! আপনারা কি মনে করেন এরা জিহাদ কখনো বুঝবে।মাদরাসা ওয়ালারা মাদরাসা নিয়ে আছে, মসজিদ ওয়ালার মসজিদ আর পীর সাহেবরা খানকা। এরা কখনোই জিহাদ বুঝবে না।
          (আল্লাহ আমাদের সঠিকটা বোঝার তাওফিক দান করেন, আমিন)

          Comment


          • #6
            আলহামদুলিল্লাহ, আপনাকে চিন্তাশীল হৃদয়ের অধিকারী মনে হচ্ছে আমার কাছে। যার কারণে আপনার পোস্টে চিন্তার খোরাক পাওয়া যায়। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment

            Working...
            X