Announcement

Collapse
No announcement yet.

শতাব্দীর সবচেয়ে ভাগ্য-বিড়ম্বিত জাতি;কাশ্মীর!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • শতাব্দীর সবচেয়ে ভাগ্য-বিড়ম্বিত জাতি;কাশ্মীর!

    শতাব্দীর সবচেয়ে ভাগ্য-বিড়ম্বিত জাতি;কাশ্মীর!



    ঝিলাম নদীর তীর ঘেঁষে বিমোহিত দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় আর চোখে পড়ে না!
    সবুজে ঘেরা পর্বতমালার পাদদেশে উচ্ছ্বসিত জনতার ঢ্ল আর দেখা যায় না!
    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই, নেই হাট-বাজারগুলোতে মানুষের চলাফেরা।
    শিশুদের খেলার মাঠগুলোও বিরান পড়ে আছে। প্রতি মুহূর্তে লাশের সারি শুধু দীর্ঘই হচ্ছে!

    ২০১৯ সালের ৫ এ আগস্ট। কাশ্মীরের ইতিহাসে সূচনা হয় জুলুম ও নির্যাতনের এক নতুন অধ্যায়ের ! ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরীদেরকে স্বায়ত্তশাসনের বিশেষ মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করা হয়!
    এখন থেকে অন্য প্রদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাও কাশ্মীরে জায়গা কিনে বসবাস করতে পারবে।এভাবে মূলত ইসরায়েলী স্টাইলে কাশ্মীর দখলের ছক আঁকছে ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকার। চির স্বাধীনচেতা কাশ্মীরী জনগণ প্রতিবাদে ফেটে পড়লে সেখানে মোতায়েন করা হয় প্রায় দশ লাখ সেনা।বন্দুকের নলের মুখে কোণঠাসা করা হয় মজলুমানে প্রতিবাদী আন্দোলন।
    অনির্দিষ্টকালের লকডাউন দিয়ে ঘরে বন্দী করা হয় বিক্ষুব্ধ জনতাকে। নেট সংযোগ বন্ধ করে সমগ্র পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় কাশ্মীরকে।
    নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় অসংখ্য মুসলিমকে। ধর্ষণ করা হয় বহু নারীকে।

    কাশ্মীরের স্বাধীনতার পথে সবচেয়ে বড় বাঁধা পাকিস্তান!
    বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্য বিড়ম্বিত জাতি হচ্ছে কাশ্মীর জাতি। শতাব্দীকালব্যাপী লড়াই করার পরও তাদের ভাগ্যে স্বাধীনতা জুটেনি। যে পাকিস্তানকে ত্রাণকর্তা ভেবেছিলো তাদের এই ভাগ্য বিড়ম্বনার পিছনে সেই পাকিস্তানই সবচেয়ে বড় অপরাধী। ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক বা বানিজ্যিক সম্পর্কে ভাটা পড়লে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতো কাশ্মীরী মুজাহিদদেরকে। আর যখন দুই দেশের সম্পর্কে জোয়ার আসতো তখন এই পাকিস্তানই কাশ্মীরের জিহাদকে প্রতিহত করতো। চিহ্নিত মুজাহিদ কমাণ্ডারদের ধরে ধরে জেলখানায় পাঠাতো। চালাতো অমানবিক নির্যাতন। পাকিস্তান কখনোই চাইতো না যে, কাশ্মীর ভারতের আগ্রাসন থেকে মুক্ত হয়ে একটি স্বাধীন রাস্ট্রের রূপ ধারণ করুক। কারণ এটা হলে পাকিস্তান আর কাশ্মীরকে ব্যবহার করতে পারবে না!

    কাশ্মীরীদের উপর জুলুম;সে যুগে-এ যুগেঃ

    কাশ্মীরের চলমান জুলুম-নির্যাতনের সূচনা আজ বা কাল হয়নি।যুগ যুগ ধরে চলে আসছে জুলুমের এই ভয়াবহতা! কখনো গোপনে কখনো প্রকাশ্যে!
    সু-দীর্ঘ পাঁচশত বছর মুসলিম বাদশাদের হাতে ন্যায় ও ইনসাফের সাথে কাশ্মীর শাসিত হবার পর ১৮১৯ সালে শিখদের হাতে চলে যায় কাশ্মীরের নেতৃত্ব। শিখ রাজা রঞ্জিৎ সিং এর হাতেই শুরু হয় কাশ্মীরী মুসলিমদের উপর জুলুমের ধারাবাহিকতা।
    শিখদের হাত থেকে ১৮৪৪ সালে কাশ্মীর দখলে নেয় ব্রিটিশরা। কিন্তু নিজেরা শাসন না করে মাত্র ৭৫ লাখ রুপির বিনিময়ে পুরো কাশ্মীর বিক্রি করে দেয় ডোগরাদের কাছে৷ সেই সাথে পূর্ব থেকে চলে আসা জুলুমের মাত্রা বেড়ে যায় বহুগুণে।
    ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের পর কাশ্মীরী জনগণের প্রাণের আকুতি ছিলো পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্য হয়ে থাকবার। জাতিসঙ্ঘ বলেছিলো, গণভোটের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে কাশ্মীরীদের ভাগ্য। কিন্তু ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু জাতিসঙ্ঘের সিন্ধান্তকে উপেক্ষা করে কাশ্মীরকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর প্রচেষ্টা চালায়। ফলে কাশ্মীর জুড়ে শুরু হয় তুমুল আন্দোলন। সেই আন্দোলন দমিয়ে দিতে সোচ্চার হয় ডোগরা রাজা হরি সিং। ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় কাশ্মীরের বুকে রচিত হয় ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম গণহত্যা।

    ১৯৪৭ সালের শুধু সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ভারতের পরিপূর্ণ সহযোগিতায় হিন্দু রাজা হরি সিং কর্তৃক জম্মু কাশ্মীরে যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিলো তার বৃত্তান্ত শুনলে যে কোনো মুসলিমের গা শিউরে ওঠে। ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরোচিত গণহত্যা ছিলো সেটি।
    ১৯৪৮ সালে ১০-এ আগস্ট তৎকালীন বৃটিশদের দৈনিক পত্রিকা "The Spectator"-এ প্রকাশিত এক রিপোর্ট মতে "১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে জম্মুতে ২ লাখেরও বেশি মুসলিমকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।"
    বৃটিশদের আরেক পত্রিকা "The London Times"-এ প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয় "১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে জম্মুতে কমপক্ষে ২ লাখ ৩৭ হাজার মুসলিমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।"
    এ ছাড়াও মিডিয়ার অলক্ষ্যে যে কত মুসলিম নিহত হয়েছিলেন তার কোনো পরিসংখ্যান নেই কারো কাছেই।
    মাত্র দুই মাসের মধ্যে ২ লাখ ৩৭ হাজার মুসলিমকে হত্যা?! তবুও মুসলিম জাগেনি! অথচ হাজ্জাজ বিন ইউসুফের মত পাষাণ হৃদয়ের অধিকারী শাসকও তো একজন মাত্র মুসলিম নারীর আর্তনাদে সাড়া দিয়ে সুদূর হিজায থেকে ভারতবর্ষে বাহিনী পাঠিয়ে বদলা নিয়েছিলো! এ নির্দয়তার শেষ কোথায় তাহলে ??

    এ ধরণের নির্মম ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি বারবার ঘটেছে কাশ্মীরে। এখনো ঘটে চলেছে। ১৯৯০ সাল থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ৩০ বছরে ভারতের মালাউন বাহিনী কমপক্ষে ২৫টি গণহত্যা চালিয়েছে কাশ্মীরে।
    আল জাজিরার এক রিপোর্ট মতে গত ২০ বছরে ৯৪,২৯০ জন কাশ্মীরী মুসলিমকে হত্যা করেছে মালাউন বাহিনী। ধর্ষণ করেছে ১০,১৬৭ জন নারীকে। মিডিয়ার আড়ালে থেকে যাওয়া সংখ্যা এরচেয়েও অনেক বেশি! কিন্তু তারপরও জাগিনি আমরা! তখনও ঘুমিয়ে ছিলাম আর এখনো ঘুমিয়েই আছি!!

    এভাবে একের পর এক মুসলিম গণহত্যার ফলে কাশ্মীরে মুসলিমদের সংখ্যা আনুপাতিক হারে হ্রাস পেতে থাকে৷ সুপ্রিম কোর্টের প্রখ্যাত আইনজীবী এ জি নুরানী তার "The Kashmir dispute" নামক বইতে জওহরলাল নেহেরু কর্তৃক লর্ড মাউন্টব্যাটেনকে লেখা একটি চিঠির সূত্র উল্লেখ করে বলেন: জম্মুর মুসলিম জনসংখ্যা হলো, ৬১টি শতাংশ।
    জম্মুর তৎকালীন ৬১টি শতাংশ জনসংখ্যা বর্তমানে ৩৩ শতাংশে নেমে এসেছে। এর সঠিক কারণগুলো কী কী?? ইতিহাসের আলোকে সঠিক পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, বিপুল পরিমাণে জনসংখ্যা হ্রাসের পিছনে রয়েছে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সঙ্ঘটিত ভয়ানক মুসলিম গণহত্যা ও বিতাড়ন। বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় এমন পরিণতি শুধু কাশ্মীরেই নতুন নয়; আফগান-সোমালিয়া, ইয়েমেন-সিরিয়া, সহ মুসলিম অধ্যুষিত প্রায় প্রতিটি ভূখণ্ডের পরিণতিই আজ অভিন্ন। বিতাড়িত, নিগৃহীত, অমুসলিমদের করুণার পাত্র আজ মুসলিম উম্মাহ। যুগের পর যুগ ধরে যারা বিশ্বের সুপার পাওয়ার হয়ে বিশ্বের নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে তারাই আজ পরাধীন। না আছে স্বাধীন কোনো রাস্ট্র ;না আছে উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষমতা!
    আর্তনাদ মানেই তা নির্যাতিত মুসলিমদের! শরনার্থী শিবির মানেই তা বিতাড়িত মুমিনদের!!

    ৩৭০ ধারা বাতিলের পর আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী কাশ্মীর স্বাধীন হবার কথা!

    "Pacta Sunt Sarvanda" (পেক্টা সান্ট সারভেন্ডা) হলো আন্তর্জাতিক দেওয়ানী আইনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নীতি। ল্যাটিন ভাষায় বাক্যটির মর্মার্থ হলো, দুটি পক্ষ একটি অপরটির সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হলে উভয় পক্ষই চুক্তির শর্তাবলী শ্রদ্ধার সঙ্গে মেনে চলবে। কোনো এক পক্ষ চুক্তির কোনো একটি শর্ত ভঙ করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এবং উভয় পক্ষের অবস্থান চুক্তিপূর্ব অবস্থায় ফিরে যাবে।

    ১৯৪৭ সালে বৃটিশ-বেনিয়াদের হাত থেকে ভারত যখন স্বাধীনতা লাভ করে তখন ভারত উপমহাদেশে ৫৬৫টি অঙ্গরাজ্য ছিলো। যেগুলোকে বলা হতো, "Princely State" (প্রিন্সলি স্টেট)বা "করদ রাজ্য।"
    বৃটিশরা চলে যাবার আগে এই রাজ্যগুলোকে তিন ধরণের সুযোগ প্রদান করেছিলো।
    ১. তারা চাইলে ভারতের সাথে মিলে থাকতে পারবে।
    ২. চাইলে পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্য হয়েও থাকতে পারবে।
    ৩. চাইলে তারা স্বাধীনও থাকতে পারবে।
    যেহেতু এগুলোর অধিকাংশই পরিচালিত হতো হিন্দু রাজাদের দ্বারা, তাই ৫৬৫টি রাজ্যের মধ্যে ৫৪৯টি রাজ্যই ভারতের সাথে যোগদান করে। ১৩টি রাজ্য যোগদান করে পাকিস্তানের সাথে। বাকি ৩ টি রাজ্য স্বাধীন থাকবার পথটিই গ্রহণ করে।
    রাজ্য ৩ টি হলো, হায়দারাবাদ, কাশ্মীর ও জো-নগর।
    কিন্তু ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু নানা অজুহাতে রাজ্যগুলোতে সেনাবাহিনী পাঠায় এবং ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম দখলদারিত্বের পরিচয় রেখে একের পর এক রাজ্যগুলো দখল করে নেয়।
    তবে শত চেষ্টা করেও দখলে আনতে পারেনি কাশ্মীরকে। তাই আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে কাশ্মীরের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হয় ভারত। চুক্তিতে লেখা থাকে, কাশ্মীর ভারতের অঙ্গরাজ্য হবে ঠিক কিন্তু তাদের থাকবে স্বায়ত্তশাসনের অধিকার। সেই প্রেক্ষিতে ভারতের সংবিধানে ৩৭০ ধারা নামে একটি রাস্ট্রীয় ধারারও প্রবর্তন করা হয়।
    বর্তমানে ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে ভারত এবং কাশ্মীরের মধ্যে কৃত চুক্তি যেহেতু লঙ্ঘিত হয়েছে তাই ল অফ কন্ট্রাক্ট অনুযায়ী পরিস্থিতি ইন্সট্রুমেন্ট অফ একসেশনের আগের মুহূর্তে ফিরে যাবে। অর্থাৎ, চুক্তি লঙ্ঘনের ফলে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী কাশ্মীর স্বাধীন হয়ে যাবার কথা। যেহেতু চুক্তির পূর্বেও কাশ্মীর স্বাধীন ছিলো।
    কিন্তু আন্তর্জাতিক সকল নিয়ম-নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কাশ্মীরকে সামরিক বেরাকে পরিণত করেছে জওহরলাল নেহেরুর প্রেতাত্মা গুজরাটের কসাই মোদী।

    কাশ্মীরে মসজিদ ভেঙে মন্দির নির্মাণ:
    অনিয়মিত লকডাউনের ফলে অচল হয়ে পড়েছে কাশ্মীর। বিশ্বের মুসলিম প্রধান দেশগুলোর অমার্জিত নিরবতা আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি অবাক করেছে।
    কাশ্মীরকে খুব দ্রুত হিন্দু অধ্যুষিত অঞ্চলে পরিণত করতে চায় হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার। সে লক্ষ্যে প্রদেশটিতে প্রায় ৫০ হাজার মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ভারত।
    কাশ্মীরী সংবাদমাধ্যমের সূত্রে ডেইলি জং উর্দু জানিয়েছে জরাজীর্ণ মন্দিরগুলো পুনর্নির্মাণের নামে ঐতিহাসিক মসজিদ ও মাজারগুলিকে টার্গেট করেছে মোদী সরকার। কাশ্মীরের ঐতিহাসিক মসজিদগুলো মন্দিরের স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে- এরকম ভুয়া অজুহাতে মসজিদ ভাঙার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে ভারতের মালাউন বাহিনী।

    হতাশ হবার কিছু নেই:
    সবকিছুরই একটা শেষ আছে, সব জুলুমেরই অবসান আছে। সব পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে। তিল তিল করে জুলুমের খাতায় যতগুলো অন্যায় জমা হয়েছে প্রত্যেকটার প্রতিশোধ অবশ্যই নেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহর সৈনিকরাও প্রস্তুত হচ্ছে। কাশ্মীরের বোনেরা ভাইদের এবং মায়েরা সন্তানদের জিহাদী সাজে সাজিয়ে দিচ্ছে। কাশ্মীরের মুজাহিদরাও পাকিস্তানের ছলচাতুরী ধরে ফেলেছে। এবং কাশ্মীর জিহাদকে প্রতারক পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে শরীয়াহ বাস্তবায়নের পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ।

    এই উপমহাদেশ নিয়ে যদি কেউ ভাবতে চায় তাহলে তাকে সর্বপ্রথম ভাবতে হবে ভারতকে নিয়ে। কারণ ভারতই হলো, এই উপমহাদেশীয় কুফফারদের মাথা। যদি উপমহাদেশকে মুশরিকদের দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করতে হয় তাহলে সর্বপ্রথম আঘাত করতে হবে সাপের মাথায়। কাশ্মীরের মুজাহিদ ভায়েরা আল্লাহর ইচ্ছায় এই সাপের মাথায়ই আঘাত করে যাচ্ছে। আমাদেরও উচিৎ কাশ্মীরের জিহাদকে শক্তিশালী করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা। আমাদেরকে শুধু আমাদের দেশ নিয়ে ভাবলে চলবে না, ভাবতে হবে পুরো উপমহাদেশ নিয়ে। আর পুরো উপমহাদেশে কাশ্মীরী ভায়েরাই সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরাও তাদের পথ ধরেই অগ্রসর হচ্ছি। আমাদের ভূমিতেও দাওয়াহ ও ই'দাদের কাজ পূর্ণোদ্দমে চলছে, আলহামদুলিল্লাহ।
    এই যুদ্ধ যত দীর্ঘস্থায়ীই হোক না কেনো, পরিশেষে বিজয় মুসলিমদের ভাগ্যেই আসবে ইনশাআল্লাহ! রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং দিয়েছেন সেই ঘোষণা!
    ‏‎حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيْدِ عَنْ صَفْوَانَ عَنْ بَعْضِ الْمَشِيْخَةِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَذَكَرَ الهِنْد، فَقَالَ: “لَيَغْزُوَنَّ الهِنْدَ لَكُمْ جَيْشٌ، يَفْتَحُ اللهُ عَلَيْهِمْ حَتَّى يَأْتُوا بِمُلُوْكِهِمْ مُغَلِّلِيْنَ بِالسَّلَاسِلِ، يَغْفِرُ اللهُ ذُنُوْبَهُمْ، فَيَنْصَرِفُوْنَ حِيْنَ يَنْصَرِفُوْنَ فَيَجِدُوْنَ ابْنَ مَرْيَمَ بِالشَّامِ. قَالَ أَبُوْهُرَيْرَةَ: إِنْ أَنَا أَدْرَكْتُ تِلْكَ الغَزْوَةَ بِعْتُ كُلَّ طَارِفٍ لِيْ وَتَالِدٍ وَغَزَوْتُهَا، فَإِذَا فَتَحَ اللهُ عَلَيْنَا وَانْصَرَفْنَا فَأَنَا أَبُوْهُرَيْرَةُ المُحَرَّرُ، يَقْدِمُ الشَّامَ فَيَجِدُ فِيْهَا عِيْسَى بْنَ مَرْيَمَ، فَلَأَحْرِصَنَّ أَنْ أَدْنُوَ مِنْهُ فَأُخْبِرُهُ أَنِّيْ قَدْ صَحبْتُكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ، قَالَ: فَتَبَسَّمَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضَحِكَ، ثُمَّ قَالَ: هَيْهَاتَ هَيْهَاتَ
    অর্থ: “বাকিয়্যাহ ইবনে ওয়ালীদ থেকে, তিনি সফওয়ান থেকে, তিনি জনৈক শায়খ থেকে, তিনি আবু হুরায়রাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণনা করেন; আবু হুরায়রাহ (রাযিআল্লাহু তাআলা আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিন্দুস্তানের যুদ্ধের আলোচনা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘অবশ্যই তোমাদের একটি দল হিন্দুস্তানে যুদ্ধ করবে। আল্লাহ তাঁদের বিজয় দান করবেন। তাঁরা হিন্দুস্তানের রাজাদের শিকল দিয়ে বেঁধে টেনে আনবে। আল্লাহ তাআলা সেই মুজাহিদদের সকলকে ক্ষমা করে দেবেন। অতঃপর মুসলিমরা যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে ঈসা ইবনে মারইয়াম আলাইহিস সালামকে শামে পেয়ে যাবে।’ আবু হুরায়রাহ (রাযিআল্লাহু তাআলা আনহু) বলেন, ‘আমি যদি গাজওয়াতুল হিন্দের সময় বেঁচে থাকি, তাহলে আমার সমস্ত সহায়-সম্পত্তি বিক্রি করে দেব এবং সেই যুদ্ধে শরীক হব। এরপর যখন আল্লাহ তা’আলা আমাদের বিজয় দান করবেন এবং আমরা যুদ্ধ থেকে ফিরে আসব, তখন আমি হব (জাহান্নামের আগুন হতে) মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরাইরা, যে শামে গিয়ে ঈসা ইবনে মারইয়াম আলাইহিস সালাম-এর সঙ্গে মিলিত হবে।’ (আবু হুরায়রাহ (রাযিআল্লাহু তাআলা আনহু) বলেন, আমি তখন নবীজীকে বলেছিলাম,) ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমার খুব আকাংখা যে, আমি ঈসা আলাইহিস সালাম-এর নিকটবর্তী হয়ে তাঁকে সংবাদ দেব যে, আমি আপনার সংশ্রবপ্রাপ্ত একজন সাহাবী।’ তিনি বলেন, এতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুচকি মুচকি হাসতে লাগলেন এবং বললেন, সে (যুদ্ধ) তো অনেক দেরি! অনেক দেরি!” -আলফিতান, নুআইম ইবনে হাম্মাদ ১/৪০৯, হাদীস ১২৩৬

    ١- [عن ثوبان:] عِصابتانِ مِن أُمَّتي أحرَزهما اللهُ مِن النّارِ عِصابةٌ تغزو الهِنْدَ وعِصابةٌ تكونُ مع عيسى ابنِ مَرْيَمَ

    আমার উম্মতের দুইটি দলকে আল্লাহ তা'আলা জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়েছেন।
    ১.যারা হিন্দুস্তানে যুদ্ধ করবে।
    ২.যারা ঈসা ইবনে মারয়ামের সঙ্গে থাকবে।
    মু'জামুল আওসাত-৭/২৩

  • #2
    হতাশ হবার কিছু নেই

    সবকিছুরই একটা শেষ আছে, সব জুলুমেরই অবসান আছে। সব পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে। তিল তিল করে জুলুমের খাতায় যতগুলো অন্যায় জমা হয়েছে প্রত্যেকটার প্রতিশোধ অবশ্যই নেওয়া হবে ইনশা আল্লাহ।
    আল্লাহর সৈনিকরাও প্রস্তুত হচ্ছে। কাশ্মীরের বোনেরা ভাইদের এবং মায়েরা সন্তানদের জিহাদী সাজে সাজিয়ে দিচ্ছে। কাশ্মীরের মুজাহিদরাও পাকিস্তানের ছলচাতুরী ধরে ফেলেছে এবং কাশ্মীর জিহাদকে প্রতারক পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে শরীয়াহ বাস্তবায়নের পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে, আলহামদু লিল্লাহ।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      আল্লাহু আকবার!

      হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। বিজয় আমাদেরই হবে। কেননা,আমাদের প্রানপ্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের বিজয়ের সুসংবাদ শুনিয়েছেন। ওয়াল্লাহি! আমারাই গাজওয়ায়ে হিন্দের সৈনিক। কুফফারদের গলায় বেরি পড়িযে মসনদ থেকে টেনে হেঁচড়ে আমরাই নিয়ে আসবো। শুধু সময়ের অপেক্ষা।

      আমাদের সকলের মনোযোগ দিয়ে লেখাটি পড়া দরকার এবং সাধ্যমত শেয়ার করা কাম্য।
      আল্লাহ পোস্টকারী ভাইকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
      গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

      Comment


      • #4
        إنشاء الله
        نصر من الله وفتح قريب وبشر المؤممين

        Comment


        • #5
          এই যুদ্ধ যত দীর্ঘস্থায়ীই হোক না কেনো, পরিশেষে বিজয় মুসলিমদের ভাগ্যেই আসবে ইনশাআল্লাহ!
          মাশাআল্লাহ, উপকৃত হওয়ার মত একটি পোস্ট। জাযাকাল্লাহ
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment

          Working...
          X