Announcement

Collapse
No announcement yet.

ভাইয়া একটু শুনুন :

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ভাইয়া একটু শুনুন :

    ইহুদীরা তাদের বিকৃত কিতাবে যা পাচ্ছে সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। তাদের কিতাবের বক্তব্য ঠিক হোক বা ভুল, তারা ঠিকই মাসীহ-র আগমনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে এবং নিচ্ছে। কিন্তু আমরা মুসলিমরা জানি, আমাদের কাছে যা আছে তা সম্পূর্ণ সঠিক। কিন্তু আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করছি না। আমরা জানি মাসীহ আদ দাজ্জালের আগমনের একটি চিহ্ন এখনো প্রকাশ পায় নি, আর তা হল আল মাহদী। আমরা নিশ্চিত ভাবে এটা জানি যে আল মাহদী, আল মাসীহ আদ দাজ্জালের আগে আসবেন। আদ দাজ্জাল এসে যাবার পর আমাদের করনীয় তেমন কিছু নেই। কিন্তু আল মাহদী আসার পর আমরা কি করছি তার উপরই নির্ভর করবে দাজ্জাল আসার পর আমাদের অবস্থান কোথায় হবে। আমরা জানি সমগ্র বিশ্ব আল মাহদী এবং তাঁর দলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবে। আল মাহদী খুলাফায়ে রাশিদার আদলে শারীয়াহ প্রতিষ্ঠা করবেন। এবং আমরা নিশ্চিত ভাবে জানি আল মাহদী শান্তির পায়রা ওড়াতে আসবেন না, তিনি যুদ্ধ করবেন। সমগ্র পৃথিবীর ইতিহাসে সবচাইতে ভয়ঙ্কর যে মহাযুদ্ধ – আল মালহামা – আল মাহদী সেই যুদ্ধে মুসলিমদের নেতৃত্ব দেবেন – যদি আমরা বেঁচে থাকি তাহলে আল্লাহ যেন আমাদের তাউফীক দেন আল মাহদীর বাহিনীতে যোগ দেয়ার।অর্থাৎ এই যুদ্ধ তিনি একা করবেন না, তাঁর সাথে মুসলিমদের সশস্ত্র বাহিনী থাকবে যারা তাঁর অধীনে জিহাদ করবে।
    .
    .
    .
    এই দল বা দলগুলো কি আল মাহদী আসার পর রাতারাতি তৈরি হয়ে যাবে? রাতারাতি কিছু লোক আল মাহদীর কাছে আসবে আর আলৌকিক ভাবে যুদ্ধাস্ত্র আর ট্রেইনিং পেয়ে যাবে? নাকি এই দলগুলো আগে থেকেই কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত থাকবে, এবং মাহদীকে চিনতে পেরে বা তাঁর আগমনের কথা জানতে পেরে এই সশস্ত্র দলগুলো তাঁকে বাইয়াহ (আনুগত্যের শপথ) দেবে? হাদীস থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় কি ঘটবে। অথচ দেখুন সমগ্র মুসলিম উম্মাহ (শি’আদের আমরা মুসলিম উম্মাহ-র অংশ মনে করি না) এই ব্যাপারটা নিয়ে উদাসীন। ইহুদীরা তালমুদের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে মাসীহ আদ দাজ্জালের আগমণের জন্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করে রেখেছে। নিউক্লিয়ার বম্ব বানিয়ে রেখেছে, কাবালাহ, ইলুমিনাটি, ফ্রী ম্যাসনরী সহ অন্যান্য গুপ্ত সংগঠন, বিশ্ব মিডিয়া, বৈশ্বিক “কালচার” সব কিছুর মাধ্যমে দাজ্জালের আবির্ভাবের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করছে। আর আমরা, আল মাহদী একজন যোদ্ধা, যিনি যোদ্ধাদের কাছ থেকে বাইয়াহ গ্রহণ করে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবেন এবং খুলাফায়ে রাশিদার আদলে শাসন করবেন, এই সব কিছু জানার পরও, আল মাহদীর আগমনের চিহ্নগুলো চলে এসেছে, এটা জানার পরও আমরা মুসলিমরা এখনো প্রস্তুতি গ্রহণ তো দূরের কথা, সশস্ত্র ইসলামী দলের বৈধতাই স্বীকার করতে চাই না। ইসলামে এ ব্যাপারে কি বলা আছে সেটা খোজার দরকার নেই, পশ্চিমারা সন্ত্রাসী-সন্ত্রাসী সুর তোলে, আর আমরাও সেই সুরে গান গাই। এই ব্যাপারে কি কোন সন্দেহ থাকতে পারে যে আল মাহদী-কে পশ্চিমারা “সন্ত্রাসী” বলবে? আমরা কেন তাহলে কাফিরদের তৈরি করা প্যারাডাইমে চিন্তা করবো?

  • #2
    আমরা কি মনে করছি? আল মাহদীকে কারা বাইয়াহ দেবে? উম্মাহ-র এই অবস্থায় এসি রুমে দারস দিয়ে বেড়ানো উলেমারা? সারাক্ষণ মাযহাবী-লা মাযহাবী কাঁদা ছোড়াছুড়ি করে বেড়ানো শায়খরা, শাসকদের কাছে নত মস্তকে হাত কচলাতে থাকা তথাকথিত ইসলামী দলগুলো? গণতন্ত্র পূজারীরা? পেছনে বসে থাকা সমালোচকরা? আমরা কি মনে করছি এরা আল মাহদীর সাথে মিলে যুদ্ধ করবে? যারা সত্যকে এখন স্বীকার করে না, তাঁরা সেই ভয়ঙ্কর সময়ে সত্যকে স্বীকার করবে? যার ফারয পালনে এখন সাহস করে না তারা তখন সাহস করবে? যারা পারিপার্শ্বিকতার দোহাই দিয়ে এখন ফারয ছেড়ে বসে আছে, তাদের মনে হঠাৎ তখন সাহস চলে আসবে? নাকি আমাদের শাসকরা আল মাহদীকে সাহায্য করবে? আমাদের বুদ্ধিজীবিরা? এরা কি আল মাহদীর বন্ধু হবে? নাকি শত্রু?
    .
    .
    আমরা কি মনে করছি অ্যামেরিকায় বসে দ্বীনকে বিকৃত করা সেলেব্রিটি দা’ঈ আর “অ্যাকাডেমিক”-রা আল মাহদী আসার পর আমেরিকাকে ছেড়ে মুসলিমদের দলে চলে আসবে? আমরা কি মনে করছি যারা এখন মুসলিমদের রক্ত হালাল করছে তারা তখন মুসলিমদের বাঁচাতে যুদ্ধ করবে? আর আমরা কি মনে করছি এই বিষয়ে আমাদের উদাসীনতা সেই ভয়ংকর সময় আমাদের বাঁচাতে পারবে? বানর ও শূকরের বংশধর আল ইয়াহুদ যদি তাদের বিশ্বাসের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে তাহলে উম্মাতে মুহাম্মাদীর এই বিষয়ে উদাসীনতার কি এক্সকিউস থাকতে পারে?

    Comment


    • #3
      হাদীসের বক্তব্য জানা মুসলিম হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। বিশেষ করে বর্তমান প্রেক্ষাপট এবং বাস্তবতার আলোকে আল মাহদী, আদ দাজ্জাল এবং ‘ঈসা ইবন মারইয়াম আলাইহিস সালাম-এর আগমন সম্পর্কে হাদীসে যা যা বর্ণিত হয়েছে তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘটনাপ্রবাহের জন্য প্রস্তুতির প্রথম ধাপ হল এই ব্যাপারে হাদীসের বক্তব্য জানা ও অনুধাবন করা। আল্লাহ যেন আমাদের জন্য তা সহজ করে দেন। এই উদ্দেশ্যেই আমি কিছু বইয়ের পিডিএফ এর লিঙ্ক চাইলে দিয়ে দিব ইনশা-আল্লাহ । এই বই গুলোতে শেষ যামানা, বিশেষ করে আল মাহদী, দাজ্জাল এবং ‘ঈসা ইবন মারইয়াম আলাইহিস সালাম সম্পর্কিত হাদীসগুলো সব একত্রিত করা হয়েছে। হাদীস উল্লেখের পাশাপাশি বর্তমান প্রেক্ষাপটের আলোকে সম্ভাব্য ব্যাখ্যাও বইগুলোতে দেয়া হয়েছে। আমি আশা করবো সব ভাই ও বোনেরা ইনশা আল্লাহ বইগুলো পড়ার চেস্টা করবেন। (* এক্ষেত্রে একটি বিষয় আমাদের সবার অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মনে রাখা দরকার। আমরা মুহাদ্দীস বা হাদীস বিশারদ নই, তাই আমরা যেন নিজে নিজে হাদীস ব্যাখ্যা করা থেকে বিরত থাকি। বিশেষ করে ভবিষ্যৎবাণী সংক্রান্ত হাদীস।)
      .
      .
      আল্লাহ আযযা ওয়া জাল যেন আমাদের তাউফীক দেন আমাদের উদাসীনতা এবং দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা কাঁটিয়ে উঠার। আল্লাহ যেন আমাদের তাউফীক দেন কুর’আন ও হাদিসের আলোকে বাস্তবতাকে বোঝার। আল্লাহ আযযা ওয়া জাল যেন আমাদের তাউফীক দেন সেই বাহিনীকে চেনার যারা আল মাহদীর সঙ্গী হবে। আল্লাহ যেন আমাদের তাউফীক দেন প্রস্তুতি গ্রহণ করার, এবং আল মাহদীর বাহিনীতে যোগ দেয়ার। আল্লাহ যেন আমাদের তাউফীক দেন আল মাহদীর বাহিনীতে যোগদান করার। আল্লাহ যেন আমাদের তাউফীক দেন আল মাহদীর বাহিনীতে যোগদান করার এবং শাহীদ হবার।
      সুরা আল বাক্বারাহ:269 - তিনি যাকে ইচ্ছা বিশেষ জ্ঞান দান করেন এবং যাকে বিশেষ জ্ঞান দান করা হয়, সে প্রভুত কল্যাণকর বস্তু প্রাপ্ত হয়। উপদেশ তারাই গ্রহণ করে, যারা জ্ঞানবান।

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ!

        Comment


        • #5
          অবশ্যই আমাদেরকে ইমাম মাহদীর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
          মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
          রোম- ৪৭

          Comment

          Working...
          X