Announcement

Collapse
No announcement yet.

সত্যানুসন্ধানী মাযলুম উম্মাহ ও উলামায়ে সূ-দের মধ্যকার কথোপকথনের কিছু প্রতিচিত্র!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সত্যানুসন্ধানী মাযলুম উম্মাহ ও উলামায়ে সূ-দের মধ্যকার কথোপকথনের কিছু প্রতিচিত্র!

    ______________________[১]______________________

    মাযলুম: আসসালামু আলাইকুম শায়খ! বড় বিপদে আছি! মুশরিকরা আমার মা, বোনকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে, আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে। কী করবো, জলদি বলুন!

    শাইখ: ওয়া আলাইকুমুস সালাম। ওহ আচ্ছা। দেখুন প্রথমত আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে, আল্লাহর কাছে দুয়া করতে হবে। মুশরিকদেরকে কোমল ব্যবহারের মাধ্যমে দাওয়াহ দিতে হবে। সাবধান! বিদ্রোহ করতে যাবেন না, এতে হিতের বিপরীত হবে, আপনিও মারা পড়বেন! আসলে কাফিরদের কাছে ইসলামের বাণী সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে।

    মাযলুম: কিন্তু শায়খ, এই পরিস্থিতিতে তো জিহাদ ফরজ হবার কথা! আমরা কী মুশরিকদের বিরুদ্ধে এই পরিস্থিতিতেও জিহাদ করবো না?!!

    শাইখ: দেখুন আবেগ দিয়ে হুটহাট সিদ্ধান্ত নিলে চলবে না। জিহাদ করতে রাষ্ট্রপ্রধান এর অনুমতি লাগবে, শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ার মত সম্বল থাকতে হবে। রাষ্ট্রপ্রধান এর অনুমতি ব্যতীত জিহাদ হারাম!

    মাযলুম: কিন্তু শায়খ রাষ্ট্রপ্রধান তো নিজেই মুশরিক, এখন আমরা কার নেতৃত্বে যুদ্ধ করবো তাহলে?!

    শাইখ: আরেহ আপনার সমস্যা কী? খালি যুদ্ধ যুদ্ধ করেন! টুকটাক যুলুম সব শাসকই করে, হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কি কম জালিম ছিল??

    মাযলুম: কিন্তু শায়খ সে তো মুসলিম শাসক, আল্লাহর আইন দিয়ে বিচার করতো! আর এরা তো মুশরিক, এদের বসানো রাষ্ট্রপ্রধানরা নিজ নিয়ম কানুন দিয়ে কুফরি সংবিধান দিয়ে রাষ্ট্র চালায়, এদের সাথে তো সেই সময়ের শাসকদের তুলনা চলে না শায়খ!

    শাইখ: আপনাদের এই এক সমস্যা, অল্প বিদ্যা নিয়ে এইসব নিজ মনগড়া ফতোয়াবাজি করেন! তাকফির করছেন খারিজিদের মতো! নিজেই যখন এতো কিছু বোঝেন তখন ফোন দিয়েছেন কী জানতে?!

    মাযলুম: শায়খ তাহলে মুশরিক এবং তাদের তাগুত সহচরদের হাতে এভাবেই মারা যাবো, এটাই কী বলতে চাচ্ছেন? এর বিরুদ্ধে কিছুই করা যাবে না??

    শাইখ: দেখুন দুনিয়া পরীক্ষার জায়গা, মুমিনের জন্য কারাগার। তাই সবর করুন, দুয়া করুন, আল্লাহ অবশ্যই অবস্থার পরিবর্তন করে দেবেন।

    মাযলুম: শায়খ আপনাদের পরিণতি মুরজিয়া দরবারীদের মত যেনো না হয় আল্লাহর কাছে পানাহ চাই!

    কিছুদিন পর-

    ত্বগুতের/কুফরের বাহিনী: ইছ মুল্লা কো পাকাড়, দে সালে কো, মার সালে কো, সারি গোলিয়া উতার দে ইসকে ভেজে পার!

    শাইখ: জিহাদ, জিহাদ, বাঁচাও বাঁচাও! (ওপাশ থেকে আওয়াজ আসছে কিউট শাইখে(!)-এর চিৎকারের, কিন্তু, কেউই এগিয়ে আসেনি..) ��

    ইহা একটি কাল্পনিক কথোপকথন!
    সংগৃহীত | সমাপ্ত

    ______________________[২]______________________

    এক জঙ্গী ও জঙ্গীবিরোধী ‘শায়েখ(!)’-এর কোন একটি কথোপকথনের প্রতিচিত্র!
    মুহতারাম খালিদ মুন্তাসির হাফিজাহুল্লাহ্

    https://dawahilallah.com/showthread.php?11239

    [কথোপকথনটি কাল্পনিক, তবে বিষয়বস্তু বাস্তব]
    [প্রথমে এক জঙ্গী তার মাজলুম ভাই-বোনদের ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে পবিত্র কুরআনুল কারীম থেকে একটি আয়াত তেলাওয়াত করছে।]
    জঙ্গী:-

    وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا [٤:٧٥]
    আর তোমাদের কি হল যে,তোমরা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ,নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।[সূরা নিসা; আয়াত:-৭৫]


    জঙ্গীবিরোধী শায়েখ(!):- এই আয়াত তেলাওয়াত করে তুমি কী বুঝাতে চাও!?

    জঙ্গী:- শায়েখ! আমি কী বুঝাতে চাই সেটা না বুঝার তো কিছু দেখছি না! আমার বুঝানোর বিষয়টি তো কুরআনের এই আয়াতটিতেই অনেকটা স্পষ্ট করে বলা আছে!!

    জঙ্গীবিরোধী শায়েখ(!):- এই আয়াতের ব্যাখ্যা আছে।

    জঙ্গী:- ও আচ্ছা! শায়েখ! তাহলে ব্যাখ্যাটা কেমন হবে যদি একটু বলতেন!?

    জঙ্গীবিরোধী শায়েখ(!):- আরে বেটা! বললাম না ব্যাখ্যা আছে!!

    জঙ্গী:- শায়েখ! এই আয়াতের ব্যাখ্যাটি কি তাহলে, ‘ব্যাখ্যা আছে, ব্যাখ্যা আছে’- এই কথাটি!?

    জঙ্গীবিরোধী শায়েখ(!):- যত্তসব ফাজলামু কথাবার্তা!

    [এই বলে শায়েখের দ্রুত প্রস্থান!]

    ______________________[৩]______________________

    আগুন! (রম্য রচনা)
    শায়খ নাসির ইবনু হাম্মাদ আল-ফাহদ (ফাকাল্লাহু আসরাহ)
    ২ যুলক্বাদা, ১৪২২ হিজরি

    শায়খ পা ভাঁজ করে বসলেন। স্বভাবসুলভ গাম্ভীর্যের সাথে আমামাহ ঠিক করলেন। তারপর ধীরে ধীরে তার চারপাশে বসে থাকা ছাত্রদের দিকে চোখ বুলালেন।

    তারা বসে ছিল স্থিরচিত্তে। নিবিষ্ট মনে। মাটির দিকে চোখ নামিয়ে। যেন তাদের মাথায় পাখি বসে আছে, আর একটু নড়াচড়াতেই উড়ে যাবে...।

    শায়খ শুরু করলেন – “হে বৎস, কাল আমরা কিতাবের কোথায় পৌঁছে ছিলাম?”

    “আমরা মুসান্নিফের এই বক্তব্য পর্যন্ত পৌঁছেছিলাম যে, 'জামাআহ হলো তাই, যা হকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যদিও শুধুমাত্র একজনও সম্পূর্ণ সত্যকে স্বীকার করে, তবে সেটাই জামাআহ।' “

    “হ্যাঁ, হ্যাঁ। আর আমি তোমাদের বলেছিলাম যে, হক্ব হলো তা-ই, যার উপর আমাদের এই জামাআহ আছে। আর যে আমাদের সাথে দ্বিমত করলো, সে জামাআহ ত্যাগ করলো। সে তাঁর এই কাজের মাধ্যমে দীনের মধ্যে বিদআহ সৃষ্টি করলো এবং মুমিনদের রাস্তার বিপরীত রাস্তায় চলে গেলো। আর...”

    হঠাৎ ভেসে আসা দরজায় আঘাতের শব্দে শায়খের কথায় বাঁধা পড়লো। শায়খ কথা থামিয়ে একজন ছাত্রের দিকে তাকালেন। তৎক্ষণাৎ ছাত্রটি উঠে গিয়ে দরজা খুললো। দরজার ওপারে দাঁড়ানো উস্কখুস্ক চুলের, কালি মাখা মুখের লোকটি চেঁচাতে শুরু করলো, “ইয়া শায়খ! ইয়া শায়খ! আদিলের ঘরে আগুন লেগেছে, সব পুড়ে যাচ্ছে...”

    শায়খ জায়গায় বসেই মাথা ঘুরিয়ে শব্দের উৎসের দিকে তাকালেন। শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলেন, “আর তাতে আমার কী?”

    “আমাদের এই মুহূর্তে আপনার এবং আপনার ছাত্রদের সাহায্য বড়ই প্রয়োজন, হে শায়খ!”
    .

    “তুমি চাও আদিলের অসতর্কতার কারণে সে যে সমস্যায় পতিত হয়েছে, আমি সেটার সমাধান করি?”
    .
    “শায়খ, বাসা ভর্তি নারী আর শিশু, এরা সবাই মারা পড়বে!”
    .
    “এসবই আদিলের কর্মফল। সে নিজেই এই বিপদ ডেকে এনেছে।"
    .
    এটুকু বলেই শায়খ তাঁর ছাত্রের প্রতি ইশারা করলেন। লোকটির মুখের উপর দরজা বন্ধ হয়ে গেল।
    .
    শায়খ আবার তাঁর দারস শুরু করলেন, “হে আমার সন্তানেরা! জেনে রাখো, যারাই আমাদের জামাআহর বিরুদ্ধে কথা বলে তারা গোমরাহ, বিদআতি এবং মন্দের অনুসরণকারী।”
    .
    একজন ছাত্র প্রশ্ন করলো, “যদি তারা আহলুস সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত হয়, তাও?”
    .
    “কীভাবে তারা আহলুস সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে? তুমি কি এখনো বুঝতে পারছো না? কেউ আমাদের জামাআহর বিরোধিতা করার পরও কিভাবে আহলুস সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। বরং সে একজন বিদআতি। না, বরং সে আহলুল বিদআহর চাইতেও নিকৃষ্ট। কারণ সে এমন সব ব্যক্তিদের তাবলিস করে যাদের বেশিরভাগ…”
    .
    দরজায় করাঘাতের শব্দে আবারও শায়খের কথায় ছেদ পড়লো। একজন ছাত্র উঠে গিয়ে দরজা খুললো।
    .
    চৌকাঠের ওপার থেকে সেই একই উস্কখুস্ক চুলের, কালিমাখা মুখের লোক আর্তনাদ করে উঠলো— "শায়খ, আগুন সালিহের ঘর পর্যন্ত পৌঁছে গেছে…”
    .
    “কোন সালিহ? বিদআতি সালিহ?”
    .
    “শায়খ, যারা তাঁর ঘরে আটকা পড়েছে তাদের আগুনের হাত থেকে বাঁচান, তারপর তাকে নাসীহাহ করুন।“
    .
    শায়খ বললেন, “এটা হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে ত্বরিত শাস্তি সেই ব্যক্তির জন্য, যে বিদআহ করেছে।”
    .
    এক ছাত্রের দিকে দরজা বন্ধ করার ইশারা করে শায়খ আবার শুরু করলেন, “দেখো, কিভাবে আল্লাহ এই বিদআতি খবিসকে শাস্তি দিয়েছেন। আল্লাহ এই ব্যক্তিকে শাস্তি দিয়েছেন, কারণ সে আহলুস সুন্নাহর পোশাকের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিল। কিন্তু যখন সে আমাদের বরকতময় জামাআহর বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করলো, তখন আল্লাহ তার স্বরূপ প্রকাশ করে দিলেন এবং তিনি এই বিদআতির শাস্তি বৃদ্ধি করে দিয়েছেন, আর তাই এখন তার ঘর আগুনে পুড়ছে।“
    .
    অস্বস্তির সাথে নড়েচড়ে একজন ছাত্র বলল, “কিন্তু শায়খ…আমি সালিহকে চিনি… আর আমি তো তাঁর মধ্যে কোনো বিদআহ দেখি নি!”
    .
    “হাহ! তুমি দেখো নি। কারণ তুমি আল-জারহ ওয়াত তা’দীল সম্পর্কে এখনও সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে পারো নি। আর তাই আমি তোমাকে বলছি, যে ব্যক্তি সুন্নাহর আড়ালে লুকিয়ে থাকে, সে প্রকাশ্য বিদআতির চাইতেও বেশি ভয়ঙ্কর। এই যে সালিহ, আমি তাকে বহুবার মসজিদে দেখেছি। সে আমার কুশলাদি জিজ্ঞেস করা তো দূরে থাক আমার দিকে তাকায় পর্যন্ত না! এমনকি সে আমাকে
    এড়িয়ে চলে।“

    .
    “শায়খ, এটা কি কোনো বিদআহ?”
    .
    “আলবৎ, যদি সে আমাদের বরকতময় জামাআহর সদস্য হত, তবে অবশ্যই আমাদের কুশলাদি জিজ্ঞেস করতো...”
    তৃতীয়বারের মত শায়খের কথায় বাধা পড়লো। দরজা খোলা মাত্র উস্কখুস্ক চুলে, কালিমাখা চেহারার লোকটি কান্নামিশ্রিত গলায় চিৎকার করে বললো, “ইয়া শায়খ, আগুন মসজিদ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে…”
    .
    শায়খ তাঁর স্বভাবসুলভ গাম্ভীর্যের সাথে লোকটির দিকে তাকিয়ে আস্তে আস্তে বললেন,
    “আমি ঠাহর করতে পেরেছিলাম এরকম কিছু একটা ঘটবে। কারণ এই মসজিদ বিদআতিদের কাছ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আর বিদআতিরা এই মসজিদে প্রবেশ করেছে, সালাত আদায় করেছে এবং তাদের বিদআত ছড়িয়ে দিয়েছে।
    হে অমুক! তুমি আমাদের যথেষ্ট বিরক্ত করেছো। আর এখানে আসবে না।“

    .
    “ইয়া শায়খ! মসজিদ আগুনে পুড়ে যাচ্ছে!”
    .
    “হোক মসজিদ…এসব কিছুর কারণ হলো আদিল। সে-ই এসবের জন্য দায়ী” তিনি ইশারায় তাঁর ছাত্রদের দরজা বন্ধ করতে বললেন।
    .
    শায়খ আবার তাঁর কথা শুরু করলেন, “দেখো, আহলুল বিদআহর গুনাহর ফলাফল। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ…এমনকি মসজিদও তাদের বিদআহর অকল্যাণ থেকে রক্ষা পেলো না।“
    .
    “হে শায়খ, আমাদের কি মসজিদের আগুন নেভাতে তাঁদের সাহায্য করা উচিৎ না?”

    .
    শায়খ গলা পরিষ্কার করলেন, “হে বৎস! যারা আগুন নেভানোর কাজ করছে তাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের লোক আছে। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বিদআতি, কেউ কেউ ফুসসাক্ব…আর আমাদের জামাআহ এসব থেকে মুক্ত। যদি আমরা তাদের সাহায্য করতে যাই, তবে আমাদের মধ্যে তাদের অকল্যাণ প্রবেশ করবে।"
    .
    একজন ছাত্রের দিকে তাকিয়ে আদেশ দিলেন – “তুমি পড়া শুরু করো, বারাকাল্লাহু ফীক।”
    .
    কিন্তু ছাত্রটি কিতাব থেকে পড়া শুরু করার আগেই একটি বিকট শব্দ তাদের হতচকিত করে দিলো। শায়খসহ সকলে দরজার দিকে ছুটে গেলেন। কিন্তু দরজাটা কোনোক্রমেই খুলছিল না। আর তখনই তাদের চোখের সামনে তাদের ঘরের দেয়াল ধ্বসে পড়তে শুরু করলো... আর চারদিক থেকে আগুন তাদের দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করলো।

    ________________________
    সাহসিকতা আয়ু কমায় না আর কাপুরুষতা আয়ু বৃদ্ধি করে না। জিহাদের মাধ্যমেই উম্মাহ জীবন লাভ করে।

  • #2
    মাশাআল্লাহ!

    অনেক সুন্দর এবং বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন প্রিয় ভাই। আসলে যদিও গল্পগুলো কাল্পনিক কিন্তু আজকের বাস্তবতা এমনই। অনেক বড় আলিম বা শাইখদের সাথে মিলে যায় হুবহু।
    আল্লাহ সবাইকে সহিহ বুঝ দান করুন। আমাদেরকে হকের উপর অটল অবিচল রাখুন। মুহতারাম পোস্টকারী ও লেখক ভাইদেরকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। আমিন
    গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

    Comment


    • #3
      উপদেশ গ্রহণ করার মত পোস্ট ।মন ভরে উপদেশ গ্রহন করার পোস্ট।

      Comment


      • #4
        বর্তমানে মুরতাদ কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করা হল কল্যানকর এবং যুদ্ধ না করা হবে অকল্যানকর। কারন এ যুদ্ধ হল ঈমান ও কুফরের যুদ্ধ। যা কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী হবে । তাই যত আগানো যায় ততই ভালো।

        Comment


        • #5
          শেষের গল্প দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে,তা বুঝতে পারিনি। কেউ বললে ভালো হতো।
          আর শায়খ নাসির ইবনু হাম্মাদ আল-ফাহদ (ফাকাল্লাহু আসরাহ) এর বর্তমান অবস্থা কী?

          Comment


          • #6
            মুহতারাম ভাই, আমাদের বর্তমান অনেক মহামান্য শাইখগণ বলে থাকেন যে, বিভিন্ন দেশে নির্যাতিত মুসলিমরা মার খাচ্ছে তাদের গুনাহের কারণে। এতে আমাদের কিছু করার নেই। এই ধরনের যে সকল মন্তব্য করা হয়ে থাকে সে দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
            আর শাইখ এখনো ত্বাগুতের কারাগারে বন্দি। আল্লাহ তা'আলা শাইখের মুক্তি ত্বরান্বিত করুন। আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন।

            Comment


            • #7
              Originally posted by tamim has View Post
              মুহতারাম ভাই, আমাদের বর্তমান অনেক মহামান্য শাইখগণ বলে থাকেন যে, বিভিন্ন দেশে নির্যাতিত মুসলিমরা মার খাচ্ছে তাদের গুনাহের কারণে। এতে আমাদের কিছু করার নেই। এই ধরনের যে সকল মন্তব্য করা হয়ে থাকে সে দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
              আর শাইখ এখনো ত্বাগুতের কারাগারে বন্দি। আল্লাহ তা'আলা শাইখের মুক্তি ত্বরান্বিত করুন। আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন।
              উম্মতের বিপদ তাদের গুনাহের কারনে হলেও তাদের সাহায্যের জন্য জিহাদ করা ফরজ

              Comment


              • #8
                গল্পে কথিত শায়খ ফরজ জিহাদ আদায় না করার কারনে নিজেই মন্দের মাঝে পড়ে রয়েছে ।তাই এখানে তার জন্য আবশ্যক হল জিহাদ যেহেতু এখন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাই আগে জিহাদ করতে হবে এবং তারপর দেখতে হবে উল্লেখ্য লোকের মাঝে সত্যি কোন বেদয়াত আছে কিনা।যদি থেকে থাকে তাহলে দেখতে হবে এটি কুফুরি পর্যায়ের বেদআত নাকি ফুসুকি পর্যায়ের বেদআত যদি কুফুরি পর্যায়ের হয় তাহলেতো সে মুরতাদ ।তার সাথে মুরতাদের আচরন করা হবে।আর যদি ফুসুকি পর্যায়ের হয় তাহলে তাকে এর থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে যতক্ষন পর্যন্ত সে যুদ্ধ করতে না আসে ।যদি যুদ্ধ করতে আসে তখন সে মুরতাদ হয়ে যাবে তখন মুরতাদ হিসাবে তার সাথে যুদ্ধ করতে হবে ।
                দলিল হল-
                وَمِنهُم مَن يَقولُ ائذَن لى وَلا تَفتِنّى ۚ أَلا فِى الفِتنَةِ سَقَطوا ۗ وَإِنَّ جَهَنَّمَ لَمُحيطَةٌ بِالكٰفِرين
                আর তাদের কেউ বলে, আমাকে অব্যাহতি দিন এবং পথভ্রষ্ট করবেন না। শোনে রাখ, তারা তো পূর্ব থেকেই পথভ্রষ্ট এবং নিঃসন্দেহে জাহান্নাম এই কাফেরদের পরিবেষ্টন করে রয়েছে।

                Comment


                • #9
                  মাশাআল্লাহ, চমৎকার কালেকশন। জাযাকাল্লাহ
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment

                  Working...
                  X