Announcement

Collapse
No announcement yet.

ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ ১০টি

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ ১০টি

    بسم الله الرحمن الرحیم
    {{ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ ১০টি}}

    (১)الشِركُ فِی عِبَادَةِ اللَّه
    অর্থাৎ, আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে কাউকে শরিক করা।
    আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেছেন,
    إِنَّ اللَّهَ لاَ یَغفِرُ أن یُّشرَكَ بِه وَ یَغفِرُ ما دُونَ ذلك لِمَن یَّشاء
    অর্থাৎ, আল্লাহ তায়ালা শিরকের অপরাধকে ক্ষমা করবেন না, এ ছাড়া অন্য যে কোনো অপরাধ আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে দিতে পারেন।
    সূরা মায়েদার ৭২নং আয়াতে আরো এরশাদ হয়েছে,আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
    إنَّه مَن یُّشرِك بِاللَّه فَقَد حَرَّمَ اللَّه عَلَیهِ الجَنَّةَ وَ مَأوٰهُ النَّار وَ مَا لِلظٰلمیِنَ مِن أنصَارف
    অর্থাৎ, যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার সাথে শরিক করবে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জান্নাতকে হারাম করে দিবেন এবং তার আবাস স্থল হবে জাহান্নাম, আর জালিমদের জন্য কোনো সাহায্যকারি নেই।
    শিরক,যেমন,আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কারো কাছে প্রার্থনা করা।
    আল্লাহ তায়ালাকে বাদ দিয়ে কাউকে সেজদা করা, মানত করা, যবাহ করা ইত্যাদি।

    (২) مَن جَعَلَ بَینَهُ وَ بَینَ اللَّه وَسَاٸِط
    অর্থাৎ, কেউ যদি আল্লাহ তায়ালার মাঝে এবং বান্দার মাঝে মাধ্যম সৃষ্টি করে তাহলে তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে।
    যেমন,কেউ যদি মনে করে অমুক বাবার দরবারে গেলে আমার সন্তান হবে, অমুক পীর আমাকে পার করে নিয়ে যাবে।
    আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেছেন,
    أُدعُونِی أَستَجِب لَكُم
    অর্থাৎ, আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব।
    وَ إذَا سَأَلَكَ عِبَادِی عَنِّی فَإنِّی قَرِیب
    অর্থাৎ, হে নবী! আমার বান্দারা যখন আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, আমার বান্দাদেরকে বলে দিন فَإنِّی قَرِیب আমি বান্দার অনেক কাছে রয়েছি।
    أُجِیبُ دَعوَةَ الدَّاعِ إذَا دَعَانِی
    অর্থাৎ, যখন আমাকে কেউ ডাকে আমি তার ডাকে সাড়া দেয়।

    (৩) مَن لَم یُكَفِّرِ المُشرِكِینَ أو شَكَّ فِی كُفرِهِم أو صَحَّح مَذهَبَهُم
    অর্থাৎ, কেউ যদি মুশরিকদের কাফের মনে না করে অথবা তাদের কুফুরির ব্যপারে সন্দেহ করে অথবা তাদের ধর্মকে সত্যায়ন করে তাহলে তাদের ঈমান ভেঙ্গে যাবে।
    যেমন,কেউ বলল,খৃষ্টানরা তাদের ধর্মে থেকে জান্নাতে যেতে পারে, তাহলে তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে।
    যেমনঃ আল্লাহ তায়ালা কালামে মাজিদে বলেছেন, নবী (সা) কে উদ্দেশ্য করে,قُل یَا اَیُّها الكافررُن
    অর্থাৎ, হে নবী! আপনি বলুন, হে কাফেররা।

    (৪)مَن إعتَقَدَ أنَّ غَیرَ هَدیِ النَّبِیِّ ”صلی الله علیه و سلم“ أكمَلُ مِن هَدیِهِ فَأنَّ حُكمَ غَیرِهِ أحسَنُ مِن حُكمِهِ
    অর্থাৎ, কেউ যদি রাসূল (সা) এর আনিত সংবিধানের চেয়ে অন্য কারো সংবিধানকে পূর্ণঙ্গ মনে করে অথবা রাসূল (সা) এর ফায়সালার চেয়ে অন্য কারো ফায়সালাকে উত্তম মনে করে তাহলে তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে।
    আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেন,
    اَفَحُكمَ الجَاهِلِیِّةِ یَبغُونَ وَ مَن أحسَنَ مِن اللَّه حُكمَ لِلقَوم یُوقِنُون
    অর্থাৎ, তারা কি জাহিলিয়াতের বিধি বিধান চায়,আর বিশ্বাসি সম্প্রদায়ের জন্য আল্লাহ অপেক্ষা উত্তম বিধান দাতা কে আছে?!
    এভাবে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে পাকে সূরা নিছার ৬৫ নম্বর আয়াতে বলেছেন,
    فَلَا وَ رَبِّكَ لَا یُٶمِنُونَ حَتَّی یُحَكِّمُوكَ فِیمَا شَجَرَ بَینَهُم ثُمَّ لَا یَجِدُوا فِی أنفُسِهِم حَرَجًا مِمَّا قَضَیتَ وَ یُسَلِّمُوا تَسلِیمًا
    অর্থাৎ, সুতরাং না, তোমার রবের কসম, সে লোক ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যপারে আপনাকে বিচারক না মানাবে, অতপর আপনার মিমাংসার ব্যপারে নিজের মনে কোনো রকম সংকীর্ণতা পাবে না, এবং পরিপূর্ণভাবে মেনে নিবে।
    যেমন, কেউ বললো, চোদ্দোশত বছরের ইসলাম এখন চলবে না।এখন সময় আপডেট হয়েছে।

    (৫)مَن اَبغَضَ شَیٸًا مِمِّا جَاءَ بِهِ رَسُولُ اللَّه ”صلی الله علیه و سلم وَ لَو عَمِلَ بِهِ كَفَر
    অর্থাৎ, যদি কেউ রাসূল (সা) এর আনিত কোনো বিষয়কে অপছন্দ করে যদিও সে ইসলামের উপর আমল করছে তাহলে তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে।
    যেমন, কেউ নামায পড়ছে, রোযা রাখছে,হজ্ব করছে।কিন্তু সে ইসলামের একটা বিধান হিজাবকে সে অপছন্দ করে যা দ্বারা নারীরা পর্দা করবে। সে বলে এটা নারীদের স্বাধীনতাকে খর্ব করে, এি বিশ্বাস যদি তার থাকে তাহলে তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে। মনে মনে অপছন্দ করলেও তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে।
    যেমন, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেন, إذَا جَاءَكَ المُنَافِقُونَ قَالُوا نَشهَدُ إنَّكَ لَرَسُولُ اللَّه، وَ اللَّهُ یَعلَمُ إنَّكَ لَرَسُولُهُ، وَ اللَّه یَشهَدُ إنَّ المُنَافِقِینَ لَكَاذِبُونڈو
    অর্থাৎ, হে নবী! মুনাফিকরা যখন আপনার কাছে আসে তখন বলে আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,আপনি আল্লাহর রাসূল। এবং আল্লাহ তায়ালাও জানেন আপনি তার রাসূল, আর আল্লাহ তায়ালা এও সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে নিশ্চয় মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।

    (৬) مَن إستَهزَءَ بِشَیٸٍ مِن دِینِ الرَّسُول
    অর্থাৎ, রাসূল (সা) এর আনিত কোনো বিষয়কে উপহাস করা, তুচ্ছ, তাচ্ছিল্য করা।
    যেমন, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেন, قُل أَ بِاللَّهِ وَ اؔیَاتِهِ وَ رَسُولِهِ كُنتُم تَهتَٸز ٸُونَ অর্থাৎ, তোমরা কি আল্লাহ, তার আয়াত এবং তার রাসূলকে নিয়ে উপহাস করছিলে?!! لَا تَعتَذِرُوا তোমরা কোনো ধরনের অযর আপত্তি পেশ কর না। قَد كَفَرتُم بَعَدَ إیمَانِكُم তোমরা ঈমানের পর কুফুরি করলে।

    (৭) السِحرُ যাদু করা।
    সূরা বাকারার ১০২ নং আয়াতের মধ্যে এরশাদ হয়েছে, وَ مَا كَفَرَ سُلَیمٰنُ وَ لٰكِنَّ الشَّیٰاطِینَ كَفَرُوا অর্থাৎ, সোলাইমান (আ) কুফরি করেনি, কিন্তু শয়তান কুফুরি করেছে।
    কিভাবে কুফরি করেছে?یُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحرَ সে মানুষকে যাদু শিক্ষা দিয়েছে।

    (৮)مُظاهَرَةُ المُشرِكِینَ وَ مُعَاوَنَتُهُم عَلَی المُسلِمِین
    অর্থাৎ, ইসলামের বিপক্ষে মুশরিকদের সাহায্য করা।
    যেমন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, یَا اَیُّهَا الَّذِینَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الیَهُودَ وَ النَّصَاری اَولِیَاءَ
    অর্থাৎ, হে ঈমানদাররা! তোমরা ইয়াহুদী, নাছারাদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করো না। بَعضُهُم اَولِیَاءُ بَعضٍ তারা একে অপরের বন্ধু। مَن تَوَلّٰهُم مِنكُم فَإنَّهُ مِنهُم কেউ যদি তাদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করবে তাহলে সেও তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
    আজকের মুসলিম দেশের অধিকাংশ সরকার কাফেরদের সাহায্য সহযোগিতা করছে।


    (৯)কাউকে শরিয়তের উর্ধে মনে করা।مَن إعتَقَدَ أنَّ بَعَدَ النَّاسِ یَسَعُ الخُرُوج عَن شَرِیعَةِ النَّبِیِّ (صلی الله علیه و سلم)
    অর্থাৎ, এই আকিদা পৌশন করা যে, কেউ শরিয়তের বাহিরেও থাকতে পারে।
    যেমন, আজকে অনেকে মনে করে, মারেফত এটাও তো শরিয়তের বাহিরের একটা বিষয়, যেমন, লেংটা ফকির সে শরিয়তের বাহিরে থেকে আল্লাহর কুতুব।
    শরিয়তের বাহিরে থেকে কেউ আল্লাহর অলি হতে পারবে না। কারণ إنَّ الدِّینَ عِندَ اللَّهِ الإسلَام আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনিত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। وَ مَن یَبتَغِی غَیرَ الإسلَامِ دِینًا فَلَن یُّقبَلُ مِنهُ কেউ যদি ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দ্বীনকে তৈরি করবে তাহলে তার থেকে এই দ্বীনকে গ্রহণ করা হবে না।وَ هُوَ فِی الآخِرَةِ مِنَ الخَسِرِین আর সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। সুতরাং কাউকে শরিয়তের উর্ধে মনে করা যাবে না।
    যেমন, কেউ বলল, অমুক পীর এটা করেছে শরিয়ত অনুযায়ী করেনি তাই কি হয়েছে, এটা মারিফত অনুযায়ী ঠিক আছে,। না, শরিয়ত অনুযায়ী হতে হবে। রাসূল (সা) মারেফতের চুরান্ত পর্যায়ে পৌছে গিয়েছিলেন,,।তবুও তিনি(সা) শরিয়ত বিরোধী কোনো কাজ করেন নি। সাহাবায়ে কেরাম (রাযিঃ) শরিয়াহ বিরোধী কোনো কাজ করেন নি। সুতরাং কেউ শরিয়তের বাহিরে যেতে পারবে না।শরিয়তের বাহিরে যে যাবে সে মুরতাদ, যিনদিক হয়ে যাবে।

    (১০) الإعرَاضُ عَن دِین اللَّهِ وَ لَا یَتَعَلَّمُهُ وَ لَا یَعمَلُ بِهِ
    অর্থাৎ, দ্বীন থেকে বিমুখ থাকা, দ্বীনের বিষয়েকে শিক্ষা না করা, এবং দ্বীনের উপরে আমল না করা।
    আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেন,وَ مَن أعرَضَ عَن ذِكرِی فَإنَّ لَهُ مَعِیشَةً ضَنقًا যে ব্যক্তি আমার দ্বীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তার জন্য আমি দুনিয়ার জীবনকে সংকুচিত করে দিব।
    যেমন, দ্বীনের আলোচনা হচ্ছে, কেউ বিমুখতা পদর্শন করে, সে শুনল না।

    (শায়েখ তামিম আল আদনানী হাফিঃ এর লেনচার থেকে মুখতাছার লেখা)

  • #2
    সুপ্রিয় আল ফিরদাউস মিডিয়া ভাইয়েরা,, অনুগ্রহ করে ঈমান ভঙ্গের কারণ সংবলিত একটি পিডিএফ বই দেওয়া যাবে????
    বিলাসিতা জিহাদের শুত্রু,শাইখ উসামা রাহ।

    Comment


    • #3
      আপনি যদি আরো বেশী সংকলন করে দিতেন তাহলে ভাল হত ।

      Comment


      • #4
        Originally posted by khaled123 View Post
        আপনি যদি আরো বেশী সংকলন করে দিতেন তাহলে ভাল হত ।
        জি ভাই আপনারা যদি চান তাহলে পুরো লেখা দেয়া যাবে ইনশাআল্লাহ

        Comment


        • #5
          ১. মূলনীতি জানার চেয়ে বুঝা কখনো কঠিন। আর প্রয়োগ করা আরো কঠিন।

          ২. উপরের কারণগুলোর কিছু আইনে কুফর। (মূল কূফর) কিছু সববে কুফর। (কুফরের কারণ) আইনে কুফরে সাধারণত তাবীল চলে না, সববে চলে।

          ৩. বিশেষ করে দশ নম্বর কারণটি তিন ভাগে বিভক্ত। ইরায (মুখ ফিরিয়ে নেওয়া) তারকুল ইলম ও তারকুল আমাল।
          যে মনিষী এ কারণগুলো সংকলন করেছেন, তার উদ্দেশ্য আমার জানা নেই। কিন্তু তারকুল আমালকে কুফর বলা তো খারিজীদের আকীদা। এছাড়া তো গুনাহই সম্ভব নয়। আর তারকুল ইলম (অর্থাৎ তাআল্লুম) মুতলাকান তারকুল আমালের একটি প্রকার। তখন জাহালাত তাবীল ইত্যাদি কিছুতেই উযর হবে না। কারণ, ব্যক্তি তখন ইলম থেকে দূরে থাকায় আগেই কাফির হয়ে আছে। আর যদি ইলম দ্বারা খাস ইলম তথা যরূরিয়্যাতে দীন উদ্দেশ্য করা হয়, তা উল্লেখ করা আবশ্যক ছিল। সেখানেও বিভিন্ন প্রকার আছে, বিস্তারিত বলছি না।

          ৪. বাকি আছে ইরায। ইরায দ্বারা দুশমনি বা ইহানাত উদ্দেশ্য হলে কাফিরের ক্ষেত্রে চলমান কুফর। মুসলিমের ক্ষেত্রে ইরতিদাদ। আর যদি উদাসীনতা বা গাফলত হয়, তবে এটা আর যাই হোক কুফর নয়। কারণ, ইরায, তারকুল ইলম ওয়াল আমাল তিনটাকে একত্রিত করলে এই অর্থই বের হয়। যা আইনে কুফর নয় এবং অগণিত মুসলিমের মাঝে পাওয়া যায়। যার কারণে তাকফীর করা হয় না। আর এই পয়েন্টে যে আয়াত সমূহ আনা হয়েছে, কাফিরদের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে। সেখানে, ইরায অর্থ দুশমনি। তারকুর ইলম অর্থ তারকু ইত্তিবাঈল ওয়াহি তথা তারকুল ঈমান। তারকুল আমাল বিহী অর্থ তারকুল ইসলাম। তাই সাধারণ মুসলিমদের ক্ষেত্রে এই মূলনীতির ভুল প্রয়োগ থেকে বাঁচতে হবে।

          ৫. আমি মনে করি, ঈমান ও কুফরের বিষয়ে আমাদের আরো অধ্যয়ন দরকার। আল্লাহ তাআলা আমাদের সামর্থ্য দান করুন। আমীন।


          https://82.221.139.217/showthread.php?22227

          Comment


          • #6
            Originally posted by Abu Abid View Post
            জি ভাই আপনারা যদি চান তাহলে পুরো লেখা দেয়া যাবে ইনশাআল্লাহ
            ইলম যত প্রচার করবেন ততই ভালো তাই প্রচার করুন আমি সহ সকল মুসলিম ভাইগন(গণ) ঈমান রক্ষার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন এবং তারা চিরস্থায়ী জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবেন।

            Comment


            • #7
              Originally posted by khaled123 View Post
              ইলম যত প্রচার করবেন ততই ভালো তাই প্রচার করুন আমি সহ সকল মুসলিম ভাইগন(গণ) ঈমান রক্ষার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন এবং তারা চিরস্থায়ী জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবেন।
              জাযাকুমুল্লাহ ভাই, " ইমান ভঙ্গের কারণ " অচিরেই দু পর্বে আসছে, আপনাদের দোয়া কামনা করি।
              (সাথে সাথে এটা মনে রাখতে হবে, এটা আমার নিজের কোনো কথা না, আমি শুধু শায়েখ হাফিঃ এর লেকচার থেকে খাতার পাতায় নিয়ে এসেছি)

              Comment


              • #8
                ইরায দ্বারা দুশমনি বা ইহানাত উদ্দেশ্য হলে কাফিরের ক্ষেত্রে চলমান কুফর। মুসলিমের ক্ষেত্রে ইরতিদাদ।
                মুহতারাম, ইহানাত মুসলিমকে মুরতাদ করে, অতএব এটা আইনে কুফর না হয়ে সববে কুফর হবে কেন?[**] যেমনটা কুরআনে এসেছে - ‘‘হায়, আমি যদি রাসূলের সাথে সৎপথ অবলম্বন করতাম।..’’{তারকুল আমাল বিহী অর্থ তারকুল ইসলাম। ইরাযের মাধ্যমে দ্বীন প্রত্যাখ্যান।} অধিকন্তু জানা আছে যে, মূলনীতির কারণে কুফরে পতিত হওয়া এবং মূলনীতি দ্বারা হুকুম দেয়া আলাদা বিষয়।

                যে মনিষী এ কারণগুলো সংকলন করেছেন, তার উদ্দেশ্য আমার জানা নেই। কিন্তু তারকুল আমালকে কুফর বলা তো খারিজীদের আকীদা। এছাড়া তো গুনাহই সম্ভব নয়।
                ইনি আর কেউ নন ইনি মুজাদ্দিদ শাইখ মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব রহ. যিনি তৎকালীন মুশরিক কাফিরদের রূহ সম্বন্ধে অত্যন্ত সচেতন ও ওয়াকিফহাল ছিলেন। এইজন্য তার পক্ষেই সম্ভব হয়েছিল দশ নং পয়েন্টটা ঈমানবিধ্বংসী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা। আল্লাহর ইচ্ছায় এটি অনেক ফিতনার জোয়ারকে ঠেকিয়ে দিয়েছে ও দিচ্ছে। বাড়াবাড়িকারীরা উম্মাহর মাঝে সবসময়ই ছিল তাই বলে তিনি সত্য বয়ানে সংকোচ করেন নি। যাইহোক, তারকুল আমাল দ্বারা স্রেফ আমল পরিত্যাগ উদ্দেশ্য নয়, এর দ্বারা বিদ্বেষ বা অসন্তুষ্টি উদ্দেশ্য। যখন মূলনীতির সমর্থনে আয়াত আনা হয়, তখন আয়াতের মর্যাদায় বর্ণনাকারীর চূড়ান্ত উদ্দেশ্যই বুঝতে হবে। বর্তমান সময়ে এই মূলনীতির গুরুত্ব অপরিসীম ও স্পষ্ট যখন লিবারেলিযম, ফেমিনিযম এর মত কুফরী আদর্শ ইসলামকে কুশলতার সাথে আক্রমণ করছে! বরং অগ্রসর হয়ে বলা হচ্ছে - সেকেলে ইসলাম, মৌলবাদী... ইত্যাদি ইত্যাদি।
                আল্লাহ শাইখ রাহিমাহুল্লাহকে উত্তম প্রতিদান দিন যিনি প্রকৃতই মহান সংস্কারক। সাথে সাথে আমাদের করণীয় গুলু বা চরমপন্থায় লিপ্ত না হওয়া। আল্লাহই আশ্রয়...

                [**] হুকুম আরোপের নিয়ম-পদ্ধতি স্বীকার করে আরো বলছি, কুফরের কারণও তো নিশ্চয় কুফর! এটা হলে তো সববে কুফর আইনে কুফরের অংশ হয়ে যাচ্ছে, তাহলে আলাদা করার বিশেষত্ব কী? আল্লাহ বলেন- "সেদিন তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরী নিকটবর্তী ছিল.." অর্থাৎ আয়াতে তাদের কাজকে এখনও কুফরী বলা যাচ্ছে না। আয়াত থেকে বোঝা যায় ঈমান ও কুফরের মধ্যবর্তী কোন পথ ও পন্থা নেই। সববে কুফরের ফিকহী হাকীকত কি? এটা আমার কাছে পরিচিত না। এটাকে ওটার অংশ ভিন্ন আর কিছু জানছি না।

                Comment


                • #9
                  এ বিষয়ে ইলম ও জিহাদ ভাই যদি একটু কষ্ট করে কলম ধরতেন তাহলে আমাদের মতোরা অপকৃত হতো।
                  স্পর্শকাতর বিষয়গুলো বিজ্ঞ-প্রাজ্ঞ উলামাদের থেকে ইলম নেয়া উত্তম।
                  اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by Sa'd Ibn Abi Waqqas View Post
                    মুহতারাম, ইহানাত মুসলিমকে মুরতাদ করে, অতএব এটা আইনে কুফর না হয়ে সববে কুফর হবে কেন?[**] যেমনটা কুরআনে এসেছে - ‘‘হায়, আমি যদি রাসূলের সাথে সৎপথ অবলম্বন করতাম।..’’{তারকুল আমাল বিহী অর্থ তারকুল ইসলাম। ইরাযের মাধ্যমে দ্বীন প্রত্যাখ্যান।} অধিকন্তু জানা আছে যে, মূলনীতির কারণে কুফরে পতিত হওয়া এবং মূলনীতি দ্বারা হুকুম দেয়া আলাদা বিষয়।


                    ইনি আর কেউ নন ইনি মুজাদ্দিদ শাইখ মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব রহ. যিনি তৎকালীন মুশরিক কাফিরদের রূহ সম্বন্ধে অত্যন্ত সচেতন ও ওয়াকিফহাল ছিলেন। এইজন্য তার পক্ষেই সম্ভব হয়েছিল দশ নং পয়েন্টটা ঈমানবিধ্বংসী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা। আল্লাহর ইচ্ছায় এটি অনেক ফিতনার জোয়ারকে ঠেকিয়ে দিয়েছে ও দিচ্ছে। বাড়াবাড়িকারীরা উম্মাহর মাঝে সবসময়ই ছিল তাই বলে তিনি সত্য বয়ানে সংকোচ করেন নি। যাইহোক, তারকুল আমাল দ্বারা স্রেফ আমল পরিত্যাগ উদ্দেশ্য নয়, এর দ্বারা বিদ্বেষ বা অসন্তুষ্টি উদ্দেশ্য। যখন মূলনীতির সমর্থনে আয়াত আনা হয়, তখন আয়াতের মর্যাদায় বর্ণনাকারীর চূড়ান্ত উদ্দেশ্যই বুঝতে হবে। বর্তমান সময়ে এই মূলনীতির গুরুত্ব অপরিসীম ও স্পষ্ট যখন লিবারেলিযম, ফেমিনিযম এর মত কুফরী আদর্শ ইসলামকে কুশলতার সাথে আক্রমণ করছে! বরং অগ্রসর হয়ে বলা হচ্ছে - সেকেলে ইসলাম, মৌলবাদী... ইত্যাদি ইত্যাদি।
                    আল্লাহ শাইখ রাহিমাহুল্লাহকে উত্তম প্রতিদান দিন যিনি প্রকৃতই মহান সংস্কারক। সাথে সাথে আমাদের করণীয় গুলু বা চরমপন্থায় লিপ্ত না হওয়া। আল্লাহই আশ্রয়...

                    [**] হুকুম আরোপের নিয়ম-পদ্ধতি স্বীকার করে আরো বলছি, কুফরের কারণও তো নিশ্চয় কুফর! এটা হলে তো সববে কুফর আইনে কুফরের অংশ হয়ে যাচ্ছে, তাহলে আলাদা করার বিশেষত্ব কী? আল্লাহ বলেন- "সেদিন তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরী নিকটবর্তী ছিল.." অর্থাৎ আয়াতে তাদের কাজকে এখনও কুফরী বলা যাচ্ছে না। আয়াত থেকে বোঝা যায় ঈমান ও কুফরের মধ্যবর্তী কোন পথ ও পন্থা নেই। সববে কুফরের ফিকহী হাকীকত কি? এটা আমার কাছে পরিচিত না। এটাকে ওটার অংশ ভিন্ন আর কিছু জানছি না।
                    প্রিয় ভাই!
                    ১. আমি ইহানাতকে সববে কুফর বলিনি। এটা তো আইনে কুফর।
                    ২. বলেছি, সাধারণ মুসলিমদের মধ্যে যে ইরায পাওয়া যায় তা হল গাফলাত। যে তারকুল ইলম ও আমল পাওয়া যায় তা তারকুল ঈমান ও ইসলাম নয়। এগুলো আইনে কুফর নয়।
                    ৩. আমি ঈমান কুফরের মাঝে স্তর সাব্যস্ত করিনি। তবে, তাকফীরে মুবহাম (অস্পষ্ট) ও মুখতালাফ ফীহ (বিতর্কিত) থেকে সতর্ক করেছি।
                    ৪. যেমন ইরায ও তারকে ইলম ওয়া আমল এটা ইহানাত ও তারকে ঈমান ওয়া ইসলাম হলে কুফর। কিন্তু এটা মূল পয়েন্ট থেকে বুঝে আসা কঠিন। কেউ যদি গাফলত ও তারকে ইলমুল আহকাম ও আমল বিহীর কারণে তাকফীর করে এটা কখনো বৈধ হবে না। অথচ এটাই মুল পয়েন্ট থেকে সহজে বুঝে আসে। এক ভাই তো 'তারকে আমল' এর নীতির ভিত্তিতে বলেই দিয়েছে, যে জিহাদের সাথে সম্পৃক্ত না সে মুসলিম না। তাহলে আমরা কি মাযলূম মুরতাদ উম্মাহর জন্য যুদ্ধ করার কথা বলি?
                    ৫. আমি বলেছি সববে কুফরে তাবীল চলে, আইনে কুফরে চলে না। এর উদাহরণ, হাতিব রা. কর্তৃক মক্কার কাফিরদের সহযোগিতা। এটা মুর্তি পূজার মত আইনে কুফর না। তাহলে তিনি নিশ্চিত মুরতাদ হতেন। যা উমার রা. মনে করেছেন।
                    ৬. মনীষী কে? আমার জানা ছিল। যেহেতু, তার অনেক সিদ্ধান্ত উপকারী হলেও সব নয়। জমহূর উলামায়ে আহলুস সুন্নাহর সাথে তার ইখতিলাফ আছে। কিন্তু অনেকেই তাঁকে সুন্নিয়্যাতের একক বা সঠিক ব্যাখ্যাকার মনে করেন। তাই আমি বৃহত্তর স্বার্থে এ বিষয়ে কথা বলি না। কিন্তু নির্ধারিত ভুল নিয়ে আলোচনা করতেই হয়।
                    ৭. উসমানী খিলাফাহর সাথে তাঁর আন্দোলনের আচরণ বর্তমান তালিবানের সাথে আইএসের আচরণের কাছাকাছি ছিল। মাথাব্যথার সমাধান তো মাথাকাটা নয়।
                    ৮. এখনো অনেকে উসমানী খিলাফাহকে বিদআতী শিরকী শাসন (তাগূত) মনে করে। যার কারণ আমাদের নিজ উদ্যোগে জানা উচিত। (জুলুম, ফিসক, বিদআত, শিরক প্রতিটি পৃথক বিষয়)
                    ৯. আহলুস সুন্নাহর অনেক আলিম (ইবনে আবিদীন শামী রহ. সহ) উসমানী খিলাফাহর বিরোধিতার কারণে ওয়াহাবীদের খারিজী সাব্যস্ত করেছেন।

                    ১০. কারো মনে আঘাত দিলে ক্ষমাপ্রার্থী। (ইদানিং ব্যস্ত আছি, ফোরামে আসা কঠিন) আল্লাহ সবাইকে হিদায়াত দান করুন।

                    ১১. নিচের লেখাটি মনযোগ দিয়ে পড়লে অনেক বিষয় স্পষ্ট হবে বলে মনে করি।

                    আইসিস ও আল-ক্বা’ইদাহ্*র মধ্যে মানহাজগত পার্থক্য
                    শাইখ আহমাদ আল হামদান হাফিযাহুল্লাহ
                    https://justpaste.it/8ssca


                    https://82.221.139.217/showthread.php?22227

                    Comment

                    Working...
                    X