Announcement

Collapse
No announcement yet.

কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে বল্লে যাদের গায়ে জ্বালা উঠে যায় তারা কি কুরআন অস্বীকার কারী &

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে বল্লে যাদের গায়ে জ্বালা উঠে যায় তারা কি কুরআন অস্বীকার কারী &

    কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে বল্লে যাদের গায়ে জ্বালা উঠে যায় তারা কি কুরআন অস্বীকার কারী নয়?



    (১)*“নিশ্চয়ই সমস্ত প্রাণীর মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কাফিররাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট,যারা ঈমান আনেনি।” (পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ: ৫৫)


    ২)*“নিশ্চয়ই কাফিররা মহান আল্লাহ তায়ালা সাথে শত্রুতা করে।” (পবিত্র সূরা বাকারা শরীফ :* ৯৮)


    ৩)*“তোমরা (মুসলমানরা) তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে প্রথমতঃ ইহুদীদেরকে অতঃপর মুশরিকদেরকে।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ:* ৮২)


    ৪) নিশ্চয়ই মুশরিকরা নাপাক বা অপবিত্র। (পবিত্র সূরা তাওবাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৮)

    ৫)*“হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ:* ৫১)


    ৬) হে ঈমানদারগণ! তোমরা মু’মিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না,তারা তোমাদের ক্ষতিসাধনে কোনো ক্রটি করে না-তোমরা কষ্টে থাকো,*তাতেই তাদের আনন্দ। (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ:* ১১৮)


    ৭) (হে ঈমানদারগণ) দেখো,*তোমরাই তাদের ভালোবাস,*তারা (কাফিররা) কিন্তু তোমাদের প্রতি মোটেও মুহববত পোষণ করে না। (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ:* ১১৯)


    মুসলমানদের শত্রু কাফির-মুশরিকদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি সাতশ’*পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করেছেন। যেন মুসলমানগণ সাবধানতা ও সতর্কতা অবলম্বন করতে পারে এবং কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব বা তাদের অনুসরণ অনুকরণ না করে।


    কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে,*বর্তমান যুগের মুসলমানগণ পবিত্র দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরে গিয়ে সেই কাফিরদেরই অনুসরণ করছে।


    এখন অনেক মুসলমান বলে থাকে যে, ‘সব কাফির খারাপ না’। নাউযুবিল্লাহ। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টভাবে বলে দেয়ার পরেও*‘সমস্ত কাফিররা মুসলমানদের শত্রু’ -এ কথা বিশ্বাস করে না। বরং কাফির-মুশরিকদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে। কাফিরদের নিয়মনীতি,*তর্জ-তরীক্বা,অপসংস্কৃতি গ্রহণ করে। নাউযুবিল্লাহ!


    মুশরিক হিন্দুদের পূজায় যায়। খ্রিস্টানদের ভ্যালেন্টাইন ডে,*থার্টি ফাস্ট নাইট,*হিন্দুদের পহেলা বৈশাখ,*মজুসীদের নওরোজ পালন করে। নাউযুবিল্লাহ!


    এখন মানুষ মহান আল্লাহ পাক উনার নাফরমানী করে উনার শত্রু,*মুসলমানদের শত্রু কাফিরদের ফরমান পালন করছে। নাউযুবিল্লাহ! তাহলে কি করে সে মুসলমান থাকতে পারে?*কি করে তার দোয়া মহান আল্লাহ পাক তিনি কবুল করবেন?

  • #2
    হে আল্লাহ, আমাদেরকে পরিপূর্ণভাবে দ্বীনে ইসলামে প্রবেশ করার তাওফিক দিন। আমীন
    আপনার পোস্টগুলো খুবই চিন্তা করে লেখা হয়, এমন মনে হয়। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      মাশা আল্লাহ, সুচিন্তিত লেখা। আল্লাহ ﷻ আমাদের বুঝার তাওফীক দিন এবং লেখকের ইলমে, আমলে ও ফিকরে বারাকাহ দান করুন, আল্লাহুম্মা আমীন।
      সাহসিকতা আয়ু কমায় না আর কাপুরুষতা আয়ু বৃদ্ধি করে না। জিহাদের মাধ্যমেই উম্মাহ জীবন লাভ করে।

      Comment


      • #4
        ঈমানের চাহিদা হল সর্বদা কুফরের বিরোধীতা (বিরোধিতা) করা ।সে হিসেবে মুমিনের চিরচারিত অভ্যাস এমন থাকা উচিৎ যে, সে সর্বদা কাফেরদের বিরুদ্ধে থাকবে এবং মুমিনদের পক্ষে থাকবে। কিন্তু যদি কেহ কাফেরদের পক্ষে থাকে আর মুমিনদের বিপক্ষে থাকে, তাহলে তার ঈমান কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে?

        Comment

        Working...
        X