Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# ৭ই জিলকদ, ১৪৪২ হিজরি | ১৮ই জুন ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# ৭ই জিলকদ, ১৪৪২ হিজরি | ১৮ই জুন ২০২১ ঈসায়ী |

    রাজশাহী ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মালাউন রকি কুমার ঘোষের নেতৃত্বে মুসলিমদের মসজিদ, দোকানপাট ও বাড়িতে হামলা

    তুচ্ছ ঘটনার জেরে রাজশাহী নগরীর হেতেমখা লিচুবাগান এলাকায় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মালাউন রকি কুমার ঘোষের নেতৃত্বে মুসলিমদের মসজিদে হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া আশেপাশের দোকানপাট ও বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।

    মুসলিম যুবকদের* মারপিট ও ককটেল বিস্ফারণের ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় মুসলিমরা আতঙ্কিত হয়ে মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে জড়ো করার চেষ্টা করে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হামলার ঘটনায় রাজশাহী নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ দায়ী।
    https://web.facebook.com/bdsocialnew...2790602192485/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের শেখ জাররাহ, নিয়মিত ইসরায়েলি বাহিনীর তল্লাশি-ধরপাকড়

    অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনে যেন এক উন্মুক্ত কারাগার শেখ জাররাহ। এই এলাকায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের উৎখাত করে অবৈধ বসতি গড়তে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে পুরো এলাকা। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এলাকায় ঢুকতে বা বের হতে পারবে না কোনো ফিলিস্তিনি। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটা, স্কুল এমনকি হাসপাতালেও যেতে পারছেন না শেখ জাররাহ’র বাসিন্দারা।

    ফিলিস্তিনের শেখ জাররাহ’র বাসিন্দা সালেহ আবু দিয়াব বলেন, যখনই এই এলাকা থেকে বের হতে হয় তখনই আইডি কার্ড দেখাতে হয়। কখনো কখনো অনুমতিপত্রও নিতে হয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। অথচ এই এলাকায় আমরা তিন পুরুষ ধরে বসবাস করে আসছি।

    পূর্ব জেরুজালেমের নিকটেই অবস্থিত এ এলাকাটি থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে এখানে ইহুদি বসতি স্থাপন করাই ইসরায়েলি বাহিনীর লক্ষ্য। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কেউ ঢুকতে বা বের হতে পারে না এই এলাকা থেকে।

    শেখ জাররাহ’র আরেক বাসিন্দা আয়া আবু দিয়াব বলেন, আত্মীয়-স্বজন কেউ আসলে আগে থেকে অনুমতি নিতে হয়। আসার সময় কয়েক দফা ইসরায়েলি বাহিনী তল্লাশি চালায়। আবার এলাকায় ঢোকার ত্রিশ মিনিটের মধ্যে ফিরে যেতে হয়। এই হলো আমাদের অবস্থা।

    কেউ অসুস্থ হলে সহজে পৌঁছাতে পারেন না হাসপাতালে। শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়াও বন্ধ। সব মিলিয়ে শেখ জাররাহ পরিণত হয়েছে এক উন্মুক্ত কারাগারে।

    শেখ জাররারই বাসিন্দা আহমাদ আবু দিয়াব বলেন, যখনই স্কুলে যাই তখনই চেকপোস্টে তল্লাশি করে। বেশিরভাগ সময়ই বের হতে দেয় না এলাকা থেকে। তাই আর স্কুলেও যাই না।

    এ ছাড়াও প্রতিনিয়ত চলছে ধরপাকড়। রাত হলেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে আটক করা হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আবারো আল-আকসায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, নিহত ৩

      অভিশপ্ত ইসরায়েল আবারও দখলকৃত পূর্ব জেরুসালেমের আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়েছে। শুক্রবার (১৮ জুন) জুমার নামাজের পর ফিলিস্তিনিদের ওপর এ হামলা চালায় ইহুদিরা। এতে অন্তত তিনজন ফিলিস্তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

      এর আগে জুমার নামাজের পর আল আকসা প্রাঙ্গনে ইসলাম অবমানানা ও ইহুদিদের পতাকা মিছিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভে সমাবেশে অংশ নেয় ফিলিস্তিনিরা।

      জানা যায়, সমাবেশ শুরুর আগেই বাব আল-সিলসিলা নামক একটি প্রবেশপথে দখলদার পুলিশ ফিলিস্তিনিদের ওপর রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস, স্টান গ্রেনেড ছোঁড়ে।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সোমালিয়ায় দখলদার শক্তি: শান্তি রক্ষার নামে যুদ্ধাপরাধ ও আতঙ্কবাজী

        আফগানে বিদেশী দখলদার শক্তির আগ্রাসন নিয়ে আমরা চিন্তা করলেও প্রায় সময়েই ভুলে যাই সোমালিয়ার কথা। কিন্তু সাংবাদিকদের রিপোর্ট বলছে, বিগত কয়েক বছরে সোমালিয়া ব্যাপক ভাবে সামরিকিকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গেছে। ফলশ্রুতিতে এখন দেশটির প্রায় সবখানেই বিদেশি শক্তি এবং প্রাইভেট কন্ট্রাক্টর (ব্যক্তিগত বা ভাড়াটে সামরিক বাহিনী) দিয়ে পূর্ণ হয়ে গেছে। এই ব্যাপক সামরিকিকরণ দেশটিকে পরিণত করেছে এক খোলা আকাশের কারাগারে।

        এত বেশি সংখ্যক দখলদার সশস্ত্র বাহিনী তৈরি হবার কারণে দেশটিতে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গণহত্যা, অবাধ গুম-গ্রেফতার এবং আরো অনেক অপরাধ। গ্রাম্য অঞ্চলে এসব অপরাধ তো আরো ভয়ানক আকার ধারণ করেছে।

        সোমালিয়ায় বিদেশী শক্তি ও তাদের পদলেহী মুর*তাদ সরকারি বাহিনী চলমান যুদ্ধে যেসব যুদ্ধাপরাধ করেছে, তার সিংহভাগই ধামাচাপা পড়েছে ক্ষমতার জোরে। একইভাবে ধামাচাপা দেয়া হয়েছে সাপের মাথা আমেরিকার চালানো হত্যাযজ্ঞকেও। কথিত ওয়ার অন টেররের নামে নির্বিচারে ড্রোন হামলা করে তারা শহীদ করেছে অসংখ্য নিরপরাধ মানুষকে, যারা কোনোভাবেই এই যুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত নন।

        সোমালিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হালগান মিডিয়া বিগত কয়েক বছর ধরে এরকমই অনেক মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তারা হয় দখলদার বাহিনীগুলোর ড্রোন হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ধুঁকে ধুঁকে জীবন অতিবাহিত করছেন, অথবা হারিয়েছেন তাদের প্রিয়জনকে। আবার অনেকে সাক্ষী হয়েছেন কুফফার সংঘ জাতিসংঘের কথিত শান্তিরক্ষী বাহিনী 'AMISOM' এর বিচারবহীর্ভূত হত্যাকান্ড ও ধর্ষণের।

        প্রতিটি সাক্ষাৎকার দেবার সময় ভুক্তভোগীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছিলেন। তারা জানান, কথিত শান্তিরক্ষীদের রুটিন ফুট পেট্রোলের বুটের আওয়াজও তাদের আতঙ্কিত করে তোলে। এমনকি রাতের বেলায় দূর আকাশে বিমানের আওয়াজও তাদের ঘুম হারাম করে তোলে - এই বোধহয় সব লন্ডভন্ড করে দিলো আমেরিকান ও দখলাদর বাহিনীগুলোর ড্রোন।

        অপরদিকে যদি আল-কায়েদা শাখা আল-শাবাবের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর দিকে নজর দেয়া হয়, দেখা যাবে, শরীয়াহ্'র সুশীতল ছায়াতলে অনেক ভালো অবস্থানে আছেন জনগণ। আদল ও ইনসাফ সেখানকার জনগণের নিত্যসঙ্গী।

        সেখানে হাত কাটার ভয়ে কেউ চুরি করে না, ধর্ষণ করে না প্রস্তরাঘাতে বেদনাদায়ক মৃত্যুর ভয়ে। সেখানে বাজারগুলোতে দাম মনিটর করেন আল-শাবাবের পুলিশ বাহিনী। সালাতের ওয়াক্ত হবার সাথে সাথেই সব দোকানপাট ও কাজকর্ম বন্ধ করে বাধ্যতামূলক মসজিদে আসতে হয় সবাইবে। অভাবী ও দরিদ্রদের দেয়া হয় খাবার ও আর্থিক সহায়তা। যেকোনো ফিতনার উদ্ভবের জন্য দায়ী ব্যক্তিকে জনগণের সামনেই শরিয়ার সীমারেখায় তাদেরকে কঠোর সাজা দেয়া হয়।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          স্পেনে বর্ণবাদী সেনা কর্মকর্তার গুলিতে অভিবাসী মুসলিম নিহত

          পশ্চিমা বিশ্বে নতুন করে দানা বাধা বর্ণবাদী হামলার জেরে এবার স্পেনে এক মরক্কোর মুসলিম নিহত হয়েছেন।

          স্থানীয় মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ জুন, রবিবার স্পেনের মাজারোন শহরে এক ক্যাফেতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার সময় মরক্কোর অভিবাসী ইউনেস বিলালকে (৩৭) স্পেনের বর্ণবাদী সাবেক এক সেনা কর্মকর্তা গুলি করে হত্যা করেছে। ইউনেস স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মার্সিয়া শহরে বসবাস করতেন।

          প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হত্যাকারী সাবেক ঐ সেনা কর্মকর্তা ইউনেসের সাথে লম্বা সময় ধরে কথা বলায় ক্যাফের ওয়েটারকে প্রথমে ভৎসনা করে। রাগান্বিত ঐ সেনা কর্মকর্তা এসময় মুসলিমদেরকেও উচ্চস্বরে গালি দিতে থাকে।

          এমন বর্ণবাদী আচরণে ইউনেস নিজ আসন থেকে উঠে দাড়ান এবং ঐ সেনা কর্মকর্তাকে মুসলিম ও ওয়েটারদের সম্মান দিতে বলেন।

          পরবর্তীতে হত্যাকারী ঐ সেনা কর্মকর্তা তার বাড়িতে চলে যায়, নিজ কাপড় পরিবর্তন করে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ক্যাফেতে পুনরায় ফিরে আসে।

          নিহতের পরিবার স্পানিশ পত্রিকা এল পাইসকে জানায়,"কোনকিছু না বলে ঐ সেনা কর্মকর্তা ইউনেসের সামনে এসে দাঁড়ায়। বাতাসে গুলি চালিয়ে সে বলে,"সাহস থাকলে এখন উঠে দাড়াও!" "ইউনেস উঠে দাড়ালে, ঐ সেনা কর্মকর্তা ইউনেসের বুকে তিন রাউন্ড গুলি ছুড়ে।"

          ইউনেসের স্ত্রী ও শিশু তখন হত্যাকাণ্ডের কাছাকাছি অবস্থান করছিল। তাদেরকে ডেকে আনা হলে, তারা ইউনেসের মৃত দেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে।

          বিশ্লেষকরা বলছেন, স্পেনে, বিশেষকরে দেশটির মার্সিয়া অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাবের এটি একটি ক্ষুদ্র বর্হিঃপ্রকাশ মাত্র।

          উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারী মাসে স্পেনের মার্সিয়া শহরের সান জাভিয়ার অঞ্চলে বর্বর ভানডাল জনগোষ্ঠীর লোকেরা মুসলিমদের মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চালায়। তারা মসজিদের জানালাগুলোতে "ইসলাম ধর্মের বিনাশ চাই"- লিখে রেখে যায়।

          স্প্যানিশ দৈনিক এল ডায়ারিও পত্রিকায় স্থানীয় বর্নবাদ বিরোধী গ্রুপ "কনভিভির সিন রেসিজমের" মুখপাত্র জুয়ান গাইরার্দো জানান,"বহু অভিবাসী খামারে কাজ করতে এ অঞ্চলে আগমনের ফলে দীর্ঘদিন ধরে বর্ণবাদ এ অঞ্চলে উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে। অভিবাসীরা অত্যন্ত অনিশ্চয়তার মাঝে এখানে বসবাস করছেন।"

          বর্ণবাদ বা জাতিগত বৈষম্য নির্মূল পরিষদের প্রেসিডেন্ট আন্তমি তুসিজে টুইটারে টুইট করে বলেন, "এই হত্যাকাণ্ডটি কাঠামোগত বর্ণবাদের উপরিভাগের কিঞ্চিৎ প্রতিক্রিয়া মাত্র...প্রতিটি বর্ণবাদী কর্মকান্ডে কার্যত কোন অজুহাত লাগে না, সমস্যাটিকে চিহ্নিত না করার প্রতিটি অপচেষ্টা পরবর্তীতে মারাত্মক বিপর্যয়ের অবতারণা করে।"

          এদিকে, স্পেনের মাজারোনে বসবাসকারী স্থানীয় মুসলিমরা ইউনেসের লাশ জন্মভূমি মরক্কোর বেনি মেল্লাল শহরে পাঠানোর পূর্বে জানাজার নামাজে শরীক হয়েছেন।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X