Announcement

Collapse
No announcement yet.

বিয়ে নিয়ে অগোছালো কিছু কথা ।। পর্ব-২ ।। অল্প বয়সে বিয়ে করলে কি কি উপকার হয়-

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বিয়ে নিয়ে অগোছালো কিছু কথা ।। পর্ব-২ ।। অল্প বয়সে বিয়ে করলে কি কি উপকার হয়-



    অল্প বয়সে বিয়ে করলে কি কি উপকার হয়-

    এই জাহিলী সমাজ তোমাকে ভালকিছু দিতে চায় না। বরং তোমাকে পাপের সাগরে ডুবাতে চায়। এইভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে আমাদের চরিত্র। পারছি না যৌবনকে পবিত্র রাখতে। কারণ, হচ্ছে যৌবন এক ধরণের ক্ষুধা। ক্ষুধা লাগলে যেমন খাবারের দরকার হয়, ঠিক তেমনি যৌবনের ক্ষুধা লাগলে বিয়ে/বউ দরকার হয়। কিন্তু জাহিলী সমাজ বলছে- আগে প্রতিষ্ঠিত হও। তারপর বিয়ের পিড়িতে বসো।
    অথচ এই আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন :
    وَأَنكِحُوا الْأَيَامَىٰ مِنكُمْ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ إِن يَكُونُوا فُقَرَاءَ يُغْنِهِمُ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ ﴿النور: ٣٢﴾
    অর্থ: “তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।” [সূরা নূর(২৪): ৩২]

    মহান আল্লাহ যেন বলছেন- বিয়ে করো, তোমায় প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আমি আল্লাহর...অভাবে আছো অভাব দূর করে দেব। ধনী হতে চাও বিয়ে করো। সুবহানাল্লাহ!!!!!!

    অন্যদিকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
    ثَلَاثَةٌ حَقٌّ عَلَى اللَّهِ عَوْنُهُمْ: المُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَالمُكَاتَبُ الَّذِي يُرِيدُ الأَدَاءَ، وَالنَّاكِحُ الَّذِي يُرِيدُ العَفَافَ
    তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ তা‘আলার জন্য কর্তব্য হয়ে যায়।
    ১। আল্লাহ তা‘আলার রাস্তায় জিহাদকারী,
    ২। চুক্তিবদ্ধ গোলাম যে তার মনিবকে চুক্তি অনুযায়ী সম্পদ আদায় করে মুক্ত হতে চায়
    ৩। ওই বিবাহিত ব্যক্তি যে (বিবাহ করার মাধ্যমে) পবিত্র থাকতে চায়।
    হাদিসটি পাবেন- (তিরমিজি-১৬৫৫, নাসায়ি-৩২১৮, ৩১২০, সহিহ ইবনে হিব্বান-৪০৩০ প্রভৃতি)

    অল্প বয়সে বিয়ে করলে রোমান্টিকতার বহু সময় পাওয়া যায়। তাহলে কেন বিয়ে করতে এতো দেরি করছেন! আল্লাহ তো অফার দিয়ে রাখছেন। আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে আপনাকে বড়লোক/ধনী বানিয়ে দেবেন। তিনি তার ওয়াদা দিয়েছেন।
    প্রিয় ভাই! শুধু খামোখা কেন দেরি করছেন, বিয়ে করুন......যৌবন শুরু হয়েছে, আল্লাহর দেয়া বিশাল অফারটাকে গ্রহণ করুন। আবারো বলছি- বিয়ে করুন...!

    এবার আসুন আজকের মূল আলোচনায় যাই-
    বিয়ে করলে যে যে উপকারিতা পাবেন। তা হলো-

    # লজ্জাস্থানের হেফাজত হয়।
    # বিবাহ চক্ষু নিচু করে।
    # তাড়াতাড়ি ধনী হওয়া যায়।
    # ইমান পরিপূর্ণ হয়।
    # অসুস্থতা দূর হয়।
    # ইবাদতে মজা পাওয়া যায়।
    # আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।
    # মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায়।
    *এমন তৃপ্তি যেটা শুধু নিজের বউয়ের কাছে পাবেন। যিনা করতে গিয়েও তা পাবেন না।
    #মেজাজ ঠান্ডা থাকে। মাথা কখনো হট হবে না।
    # যৌবনের ক্ষুধা নিবারণ হয়।
    আরো অনেক উপকারিতা আছে।

    ***
    খাবার না পেলে যখন ক্ষুধার যন্ত্রনায় হারাম ভক্ষণ করে ফেলে। ঠিক সেই রকম বউ না থাকলে যৌবনের ক্ষুধার তাড়নায় অনেকে লজ্জাস্থান দিয়ে পরনারীর সাথে যিনা করে ফেলে। যা আল্লাহ হারাম করেছেন। তা আজ আমাদের জাহিলী সমাজে অহরহ ঘটে চলেছে! আর আমাদের চারিদিকের কলুষিত পরিবেশের কথা তো কারো অজানা নয়।
    তাই ভাই, বিয়েকে সহজ করুন! দেখবেন- সমাজ থেকে অনেক যিনা-ব্যভিচার কমে যাবে। চারিত্রিক শুদ্ধতার সুবাতাস প্রবাহমান হবে, ইনশাআল্লাহ।

    ছেলে-মেয়েদের অভিভাবকদের বলছি- আপনারা অল্প বয়সে ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিন/করান। ক্যারিয়ারের চিন্তা বাদ দিন। আগে তাদের মানুষ করুন তথা তাদের চরিত্রকে ঠিক রাখুন। পবিত্র রাখুন।
    তাই মেয়ের বাবাদের বলছি- সময় থাকতে বিষয়টি বিবেচনায় নেন। কোন অঘটন ঘটে গেলে তখন আর আফসোস করে লাভ হবে না। আল্লাহ আপনাদের সুমতি দান করুন। আমীন
    ছেলের বাবাদের বলছি- আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, বিয়ে করলে ধনী বানিয়ে দেবেন। তাই ছেলেকে বিয়ে করান, দেখবেন- আল্লাহর রহমতে আপনার ছেছে খুব তাড়াতাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। বেকারত্ব দূর হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ
    সবশেষে হে যুবক ভাই, আপনার যদি বিয়ের জরুরত থাকে, আর মা-বাবা বিষয়টি বুঝতে না চান, তাহলে কোন রকম মা-বাবাকে রাযি করিয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করে নিজের সিদ্ধান্তে বিয়ে করে ফেলুন! দেখবেন- আল্লাহ আপনাকে কখনো নিরাশ করবেন না। ইনশাআল্লাহ
    আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে বুঝার তাওফিক দান করুন। আমীন


    সংগ্রহীত ও সংযোজিত এবং পরিমার্জিত

    *****


    প্রথম পর্বের লিংক-
    বিয়ে নিয়ে অগোছালো কিছু কথা ।। পর্ব-১ ।। বিয়ে করলে কি কি পরিবর্তন হয়-
    https://dawahilallah.com/showthread.php?23281-
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

  • #2
    দেরি করে বিয়ে নয়! সময়মত বিয়ে!

    এই তাগুতি রাষ্ট্রব্যবস্থা বিয়েকে দিন দিন কঠিন করে তুলছে। বাল্য বিয়ে নিষিদ্ধ মর্মে আইন করে প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়েদের বিয়ের পথকে রুদ্ধ করে রাখতে আপ্রাণ প্রয়াস ব্যয় করছে। আর তাগুতি মিডিয়া নারীবাদ, নারী স্বাধীনতা, নারী মুক্তির শ্লোগান ইত্যাদির মাধ্যমে নারীদেরকে পুরুষদের সাথে অবাধ মেলামেশাকে প্রমোট করছে। তাদেরকে ঘরের বাহিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ দিচ্ছে। হিজাবকে ছুঁড়ে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছে। আর কতো কী... তারা দাজ্জালি মিডিয়ার মাধ্যমে এই দেশের নারীদের মাঝে পাশ্চাত্যের পশু সভ্যতার ফেরি করছে। ইউরোপের নগ্ন কালচার সমাজে ছড়িয়ে দিচ্ছে...যুবক-যুবতীদের চরিত্র বিধ্বংসী নানাবিধ ফাঁদ/ফিতনার জাল পেতে রেখেছে। তাই আমার ভাই/বোনেরা- নিজেদের ঈমান-আমলের ব্যাপারে সাবধান হোন! নিজ পারিবার-পরিজনের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখুন!
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      মাশা-আলাহ আল্লাহ আপনাকে উত্তম পতিদান(প্রতিদান) দান করুক
      জিহাদের মাধ্যমেই বিজয় আসবেই ইনশাআল্লাহ

      Comment


      • #4
        ভাই আমিতো বিয়ের কোন পথই খুঁজে পাচ্ছি না! এখন আমি কি করব?

        Comment


        • #5
          Originally posted by Saleh Ahmed View Post
          মাশা-আলাহ আল্লাহ আপনাকে উত্তম পতিদান(প্রতিদান) দান করুক
          আমীন, আমীন, ছুম্মা আমীন। ওয়া ইয়্যাকা আয়দান।
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment


          • #6
            Originally posted by khaled123 View Post
            ভাই আমিতো বিয়ের কোন পথই খুঁজে পাচ্ছি না! এখন আমি কি করব?
            আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন-
            وَمَا لَنَا أَلَّا نَتَوَكَّلَ عَلَى اللَّهِ وَقَدْ هَدَانَا سُبُلَنَا وَلَنَصْبِرَنَّ عَلَىٰ مَا آذَيْتُمُونَا وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُتَوَكِّلُونَ
            আমাদের আল্লাহর উপর ভরসা না করার কি কারণ থাকতে পারে, অথচ তিনি আমাদেরকে আমাদের পথ বলে দিয়েছেন। তোমরা আমাদেরকে যে পীড়ন করেছ, তজ্জন্যে আমরা সবর করব। ভরসাকারিগণের আল্লাহর উপরই ভরসা করা উচিত।- সূরা ইবরাহীম : ১২

            তাই ভাই, আল্লাহর উপর ভরসা করুন, দু‘আ করুন ও আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান। ইনশাআল্লাহ, আপনি সফল হবেন।
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment


            • #7
              Originally posted by abu ahmad View Post
              আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন-
              وَمَا لَنَا أَلَّا نَتَوَكَّلَ عَلَى اللَّهِ وَقَدْ هَدَانَا سُبُلَنَا وَلَنَصْبِرَنَّ عَلَىٰ مَا آذَيْتُمُونَا وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُتَوَكِّلُونَ
              আমাদের আল্লাহর উপর ভরসা না করার কি কারণ থাকতে পারে, অথচ তিনি আমাদেরকে আমাদের পথ বলে দিয়েছেন। তোমরা আমাদেরকে যে পীড়ন করেছ, তজ্জন্যে আমরা সবর করব। ভরসাকারিগণের আল্লাহর উপরই ভরসা করা উচিত।- সূরা ইবরাহীম : ১২

              তাই ভাই, আল্লাহর উপর ভরসা করুন, দু‘আ করুন ও আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান। ইনশাআল্লাহ, আপনি সফল হবেন।
              তাই ভাই আপনিও বিশেষভাবে দোয়া করবেন যাতে সবকিছু হয় একনিষ্ঠ মুমিনদের সাথে। অর্থাৎ জীবন মরন হাশর জান্নাত একেবারে সব সব সব কিছুই।

              Comment


              • #8
                Originally posted by Munshi Abdur Rahman View Post
                এই তাগুতি রাষ্ট্রব্যবস্থা বিয়েকে দিন দিন কঠিন করে তুলছে। বাল্য বিয়ে নিষিদ্ধ মর্মে আইন করে প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়েদের বিয়ের পথকে রুদ্ধ করে রাখতে আপ্রাণ প্রয়াস ব্যয় করছে। আর তাগুতি মিডিয়া নারীবাদ, নারী স্বাধীনতা, নারী মুক্তির শ্লোগান ইত্যাদির মাধ্যমে নারীদেরকে পুরুষদের সাথে অবাধ মেলামেশাকে প্রমোট করছে। তাদেরকে ঘরের বাহিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ দিচ্ছে। হিজাবকে ছুঁড়ে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছে। আর কতো কী... তারা দাজ্জালি মিডিয়ার মাধ্যমে এই দেশের নারীদের মাঝে পাশ্চাত্যের পশু সভ্যতার ফেরি করছে। ইউরোপের নগ্ন কালচার সমাজে ছড়িয়ে দিচ্ছে...যুবক-যুবতীদের চরিত্র বিধ্বংসী নানাবিধ ফাঁদ/ফিতনার জাল পেতে রেখেছে। তাই আমার ভাই/বোনেরা- নিজেদের ঈমান-আমলের ব্যাপারে সাবধান হোন! নিজ পারিবার-পরিজনের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখুন!
                মাশাআল্লাহ! ভাই অনেক সুন্দর কথা বলছেন

                Comment


                • #9
                  মাশাআল্লাহ্! অনেক উপকারী পোস্ট।

                  প্রসঙ্গত কিছু কথা বলা প্রয়োজন মনে করছি।

                  আসলেই বর্তমান পরিবেশে পাশবিকতাকে জাগিয়ে তুলতে পারে এমন সব উপাদানই বিদ্যমান। তথাপি এই পাশবিকতা নিবারনের যে বৈধ উপায়, তথা বিয়ে তা হয়ে গেছে অনেক কঠিন।

                  বিশেষভাবে দ্বীনদাদের কতিপয় শ্রেণী যাদের মাঝে প্রধান হলো-
                  ১। গুরাবা: গুরাবা বলতে আমি বুঝাচ্ছি যারা চিন্তা ও আদর্শগত দিক দিয়ে সমাজ ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। ফলে বিয়ের ক্ষেত্রে তার ও পরিবারের চাহিদার মাঝে কোন সঙ্গতি নেই। ফলে এসব নিয়ে পরিবারের সাথে সৃষ্টি হয় টানাপোড়েন। এই অসঙ্গতি উপেক্ষা করে যারা বিয়ে করেন, তাদেরকে অবতীর্ণ হতে হয় নতুন এক মারেকা তথা যুদ্ধক্ষেত্রে যা সামাল দেওয়ার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার হয়ত কোনটিই নেই সে যুবক ভাইয়ের। যার ফলে জীবনের মধুরতম সে অধ্যায়ও মাঝে মাঝে তিক্ত অভিজ্ঞতায় রুপ নেয়।

                  যদি পরিবারকে অনেক যুদ্ধ-বিগ্রহের পর রাজি করানো যায়ও তখন দেখা যায় মেয়ে পক্ষকে রাজি করানো অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ছেলে তো আলেম না, ছেলের পরিবার তো দ্বীনদার না অথবা ছেলে তো তিন চিল্লা দেয়নি ইত্যাদি ইত্যাদি। এরপরে ছেলেরও পছন্দ-অপছন্দের ব্যাপার থাকে। ফলে বিয়ের জন্য যে ইচ্ছাশক্তি দানা বেধেঁছিল তা মাঝ পথেই শেষ হয়ে যায়।

                  ২| ফুক্বারা: যাদের সাধ থাকলেও সাধ্য নেই। বিভিন্ন অযুহাতে প্রত্যাখ্যান ইনাদের ক্ষেত্রে একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। যেন দরিদ্র, বঞ্চিত ও অসহায় মানুষের রব একজন, আর ধনীদের রব আরেকজন। দরিদ্র-বঞ্চিত মানুষের রবও যেন দরিদ্র! তিনি চাইলেও যেন তাদের ধনী করে দিতে পারবেন না!

                  দরিদ্র যারা তারাও বিত্তশালী ছেলে খোঁজে। আর বর্তমানে এলিট শ্রেণীর একটা অংশের নিকট দ্বীনদার হওয়াটা একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। দেখুন, ওমুক এত অর্থবিত্তের মালিক হয়েও দ্বীনের ক্ষেত্রে কতটা অগ্রগামী। অর্থাৎ দ্বীনের দাওয়াহ দিচ্ছে সেখানেও ধনীদের মহত্ত্বের একটা হিডেন ম্যাসেজ থাকছে। যার ফলে দ্বীনদার শ্রেণীর মাঝে দুনিয়া পূজা মহামারি আকার ধারণ করেছে। তা না হলে যে লোকজন তোমার দাওয়াহ শুনবে না। তাহলে আল্লাহর রাসূল কেন দুনিয়ার পিছনে ছুটলেন না!

                  ধন-সম্পদের প্রয়োজন আছে, আমি তা অস্বীকার করছি না। কিন্তু এসব পারষ্পরিক সম্পর্ক ও মর্যাদা-সম্মানের মাপকাঠি যেন না হয়।

                  পক্ষান্তরে কোন কোন ক্ষেত্রে বিপরীত অবস্থাও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যখন দেখছে ছেলে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক তখন দ্বীনের বেশ ধারণ করে বলছে, "আমরা তো কেবল তোমার মত একটা দ্বীনদার ছেলেই খুঁজছি।"

                  আর বিয়ে-শাদী নিয়ে মা-বাবার সাথে বেয়াদবি করবেন না। অনেক ক্ষেত্রে তারা চাইলেও পারেন না। তারা নিজেরাও এই জাহেলী সমাজের শিকার। আমাদের যদি চাকুরি না থাকে, সামর্থ্য না থাকে তাহলে অনেক সময় তাদেরকেও পাত্রী পক্ষের সামনে হীনমন্যতার শিকার হতে হয়। সুতারাং আমাদেরকেও আমাদের নিজেদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে।

                  আর যারা ভাবছেন বিয়ের পরে ঠিক হয়ে যাবেন আর বর্তমানে নিজেদের কামনা-বাসনার কাছে সোপে দিয়েছেন, তাদের উদ্দেশ্যে আমার কথা হলো- আপনার আমাল অনুযায়ী আপনার ব্যাপারে ফায়সালা হবে। এটাই স্বাভাবিক কথা। গুনাহের কারনে মানুষের রিজিক তথা জীবিকা সংকুচিত হয়ে পড়ে যার মাঝে বিয়ে-শাদীও অন্তর্ভুক্ত। আর বিয়ের পূর্বে যে নিজের যৌবনের হিফাযত করবে আল্লাহ্ তাকে পবিত্র জীবন (উত্তম সঙ্গিণী) দান করুন। এবার আপনিই আপনার ব্যাপারে ফায়সালা করুন।
                  আল্লাহ্ বলেন-
                  "আমি মুসলিমদেরকে অপরাধীদের সমান গণ্য করবো! তোমাদের কী হলো যে তোমরা এমন ফায়সালা করছো!"

                  আর ভাইদের ব্যাপারে বলি, দুনিয়ার রুপ সৌন্দর্য্য ক্ষণস্থায়ী। বলতে পারেন, রুপ-সৌন্দর্য্য তো ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু তা না পাওয়া র দুঃখ তো ক্ষণস্থায়ী নাও হতে পারে।
                  তাহলে ঐ হাদিস স্মরণ করুন যেখানে বলা হয়েছে, ঐ ব্যক্তি যে দুনিয়াতে অনেক কষ্টে ছিল, তাকে যখন জান্নাতের মাঝে এক ডুব দিয়ে উঠানো হবে সে বলবে, দুনিয়াতে আমি কোন কষ্টেই ছিলাম না।
                  আসলে দুনিয়া তার কাছে বড় হতে পারে যার নিকট আখিরাত স্পষ্ট নয়। অবশ্যই সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করলে মনে বেশি প্রশান্তি পাওয়া যায়। কেউ কেউ তাই সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করা মুস্তাহাবও বলেছেন। যার স্ত্রী সুন্দরী নয় তথাপি সে আল্লাহর জন্য তার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখে তার প্রতিদান অবশ্যই বেশি হবে। যেমনটা যে মুজাহিদ গনিমত নিয়ে ফিরে আসে সে পরকালে ১/৩ প্রতিদান পাবে। আর যেকোন গনিমত পেল না তার প্রতিদান পুরোটাই আল্লাহ্ সুবাহানাহু তাআলা সংরক্ষণ করবেন।

                  তাই মোটামুটি পছন্দ হলেই বিয়ে করে ফেলুন। দৃষ্টির হিফাযত না করলে বিশ্ব সুন্দরীতেও কাজ হবে না।
                  আর দ্বীনদার কখনো অসুন্দর নয়। বলবেন, "হে আল্লাহ্ আমি যে কালো মেয়ে বিয়ে করেছি।"
                  অনেকটা মারিয়াম আলাইহাস্ সালামের মত যখন তিনি বলেছিলেন, "আমি তো কন্যা সন্তান প্রসব করেছি।"
                  জবাবে আল্লাহ্ বলেন, "ছেলে তো এই মেয়ের মত না।"
                  আপনার স্ত্রী যদি দ্বীনদার হয়ে থাকে তাহলে আমিও বলি, "সুন্দরীরা তো আপনার স্ত্রীর মত না।"

                  আর আল্লাহ্'র পরীক্ষা সবার জন্য সমান না। তিনি কাউকে জান দিয়ে, কাউকে মাল দিয়ে, কাউকে স্ত্রী-সন্তান দিয়ে, কাউকে ক্ষমতা ও সম্মান দিয়ে পরীক্ষা করেন। যার ফলে কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় বিয়ের ক্ষেত্রে তেমন কোন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় না। আবার কেউ ২/৩ বছর চেষ্টা করেও বিয়ে করতে পারেন না। আমাদেরকে সব পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তাহলেই আমাদের জন্য সফলতা।

                  আল্লাহ্ আমাদের জন্য সহজ করুন। আমীন, ইয়া রাব্বাল 'আলামীন।
                  Last edited by musafir15; 07-04-2021, 09:46 AM. Reason: spelling mistake, word missing

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by musafir15 View Post
                    মাশাআল্লাহ্! অনেক উপকারী পোস্ট।

                    প্রসঙ্গত কিছু কথা বলা প্রয়োজন মনে করছি।

                    আসলেই বর্তমান পরিবেশে পাশবিকতাকে জাগিয়ে তুলতে পারে এমন সব উপাদানই বিদ্যমান। তথাপি এই পাশবিকতা নিবারনের যে বৈধ উপায়, তথা বিয়ে তা হয়ে গেছে অনেক কঠিন।

                    বিশেষভাবে দ্বীনদাদের কতিপয় শ্রেণী যাদের মাঝে প্রধান হলো-
                    ১। গুরাবা: গুরাবা বলতে আমি বুঝাচ্ছি যারা চিন্তা ও আদর্শগত দিক দিয়ে সমাজ ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। ফলে বিয়ের ক্ষেত্রে তার ও পরিবারের চাহিদার মাঝে কোন সঙ্গতি নেই। ফলে এসব নিয়ে পরিবারের সাথে সৃষ্টি হয় টানাপোড়েন। এই অসঙ্গতি উপেক্ষা করে যারা বিয়ে করেন, তাদেরকে অবতীর্ণ হতে হয় নতুন এক মারেকা তথা যুদ্ধক্ষেত্রে যা সামাল দেওয়ার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার হয়ত কোনটিই নেই সে যুবক ভাইয়ের। যার ফলে জীবনের মধুরতম সে অধ্যায়ও মাঝে মাঝে তিক্ত অভিজ্ঞতায় রুপ নেয়।

                    যদি পরিবারকে অনেক যুদ্ধ-বিগ্রহের পর রাজি করানো যায়ও তখন দেখা যায় মেয়ে পক্ষকে রাজি করানো অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ছেলে তো আলেম না, তিন চিল্লা দেয়নি ইত্যাদি ইত্যাদি। এরপরে ছেলেরও পছন্দ-অপছন্দের ব্যাপার থাকে। ফলে বিয়ের জন্য যে ইচ্ছাশক্তি দানা বেধেঁছিল তা মাঝ পথেই শেষ হয়ে যায়।

                    ২| ফুক্বারা: যাদের সাধ থাকলেও সাধ্য নেই। বিভিন্ন অযুহাতে প্রত্যাখ্যান ইনাদের ক্ষেত্রে একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। যেন দরিদ্র, বঞ্চিত ও অসহায় মানুষের রব একজন, আর ধনীদের রব আরেকজন। দরিদ্র-বঞ্চিত মানুষের রবও যেন দরিদ্র! তিনি চাইলেও যেন তাদের ধনী করে দিতে পারবেন না!

                    দরিদ্র যারা তারাও বিত্তশালী ছেলে খোঁজে। আর বর্তমানে এলিট শ্রেণীর একটা অংশের নিকট দ্বীনদার হওয়াটা একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। দেখুন, ওমুক এত অর্থবিত্তের মালিক হয়েও দ্বীনের ক্ষেত্রে কতটা অগ্রগামী। অর্থাৎ দ্বীনের দাওয়াহ দিচ্ছে সেখানেও ধনীদের মহত্ত্বের একটা হিডেন ম্যাসেজ থাকছে। যার ফলে দ্বীনদার শ্রেণীর মাঝে দুনিয়া পূজা মহামারি আকার ধারণ করেছে। তা না হলে যে লোকজন তোমার দাওয়াহ শুনবে না। তাহলে আল্লাহর রাসূল কেন দুনিয়ার পিছনে ছুটলেন না!

                    ধন-সম্পদের প্রয়োজন আছে, আমি তা অস্বীকার করছি না। কিন্তু এসব পারষ্পরিক সম্পর্ক ও মর্যাদা-সম্মানের মাপকাঠি যেন না হয়।

                    পক্ষান্তরে কোন কোন ক্ষেত্রে বিপরীত অবস্থাও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যখন দেখছে ছেলে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক তখন দ্বীনের বেশ ধারণ করে বলছে, "আমরা তো কেবল তোমার মত একটা দ্বীনদার ছেলেই খুঁজছি।"

                    আর বিয়ে-শাদী নিয়ে মা-বাবার সাথে বেয়াদবি করবেন না। অনেক ক্ষেত্রে তারা চাইলেও পারেন না। তারা নিজেরাও এই জাহেলী সমাজের শিকার। আমাদের যদি চাকুরি না থাকে, সামর্থ্য না থাকে তাহলে অনেক সময় তাদেরকেও পাত্রী পক্ষের সামনে হীনমন্যতার শিকার হতে হয়। সুতারাং আমাদেরকেও আমাদের নিজেদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে।

                    আর যারা ভাবছেন বিয়ের পরে ঠিক হয়ে যাবেন আর বর্তমানে নিজেদের কামনা-বাসনার কাছে সোপে দিয়েছেন, তাদের উদ্দেশ্যে আমার কথা হলো- আপনার আমাল অনুযায়ী আপনার ব্যাপারে ফায়সালা হবে। এটাই স্বাভাবিক কথা। গুনাহের কারনে মানুষের রিজিক তথা জীবিকা সংকুচিত হয়ে পড়ে যার মাঝে বিয়ে-শাদীও অন্তর্ভুক্ত। আর বিয়ের পূর্বে যে নিজের যৌবনের হিফাযত করবে আল্লাহ্ তাকে পবিত্র জীবন (উত্তম সঙ্গণী) দান করুন। এবার আপনিই আপনার ব্যাপারে ফায়সালা করুন।
                    আল্লাহ্ বলেন-
                    "আমি মুসলিমদেরকে অপরাধীদের সমান গণ্য করবো! তোমাদের কী হলো যে তোমরা এমন ফায়সালা করছো!"

                    আর ভাইদের ব্যাপারে বলি, দুনিয়ার রুপ সৌন্দর্য্য ক্ষণস্থায়ী। বলতে পারেন, রুপ-সৌন্দর্য্য তো ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু তা না পাওয়া র দুঃখ তো ক্ষণস্থায়ী নাও হতে পারে।
                    তাহলে ঐ হাদিস স্মরণ করুন যেখানে বলা হয়েছে, ঐ ব্যক্তি যে দুনিয়াতে অনেক কষ্টে ছিল, তাকে যখন জান্নাতের মাঝে এক ডুব দিয়ে উঠানো হবে সে বলবে, দুনিয়াতে আমি কোন কষ্টেই ছিলাম না।
                    আসলে দুনিয়া তার কাছে বড় হতে পারে যার নিকট আখিরাত স্পষ্ট নয়। অবশ্যই সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করলে মনে বেশি প্রশান্তি পাওয়া যায়। কেউ কেউ তাই সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করা মুস্তাহাবও বলেছেন। যার স্ত্রী সুন্দরী নয় তথাপি সে আল্লাহর জন্য তার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখে তার প্রতিদান অবশ্যই বেশি হবে। যেমনটা যে মুজাহিদ গনিমত নিয়ে ফিরে আসে সে পরকালে ১/৩ প্রতিদান পাবে। আর যেকোন গনিমত পেল না তার প্রতিদান পুরোটাই আল্লাহ্ সুবাহানাহু তাআলা সংরক্ষণ করবেন।

                    তাই মোটামুটি পছন্দ হলেই বিয়ে করে ফেলুন। দৃষ্টির হিফাযত না করলে বিশ্ব সুন্দরীতেও কাজ হবে না।
                    আর দ্বীনদার কখনো অসুন্দর নয়। বলবেন, "হে আল্লাহ্ আমি যে কালো মেয়ে বিয়ে করেছি।"
                    অনেকটা মারিয়াম আলাইহাস্ সালামের মত যখন তিনি বলেছিলেন, "আমি তো কন্যা সন্তান প্রসব করেছি।"
                    জবাবে আল্লাহ্ বলেন, "ছেলে তো এই মেয়ের মত না।"
                    আপনার স্ত্রী যদি দ্বীনদার হয়ে থাকে তাহলে আমিও বলি, "সুন্দরীরা তো আপনার স্ত্রীর মত না।"

                    আর আল্লাহ্'র পরীক্ষা সবার জন্য সমান না। তিনি কাউকে জান দিয়ে, কাউকে মাল দিয়ে, কাউকে স্ত্রী-সন্তান দিয়ে, কাউকে ক্ষমতা ও সম্মান দিয়ে পরীক্ষা করেন। যার ফলে কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় বিয়ের ক্ষেত্রে তেমন কোন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় না। আবার কেউ ২/৩ বছর চেষ্টা করেও বিয়ে করতে পারেন না। আমাদেরকে সব পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তাহলেই আমাদের জন্য সফলতা।

                    আল্লাহ্ আমাদের জন্য সহজ করুন। আমীন, ইয়া রাব্বাল 'আলামীন।
                    আমিন ইয়া রব্বাল আলামীন

                    Comment


                    • #11
                      প্রিয় musafir15 ভাই, আপনার মূল্যবান কমেন্টের কারণে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জাযাকাল্লাহু আহসানাল জাযা।
                      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                      Comment

                      Working...
                      X