Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# ২৪ শে জিলক্বদ,১৪৪২ হিজরি | ৫ই জুলাই ২০২১ ঈসায়ী|

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# ২৪ শে জিলক্বদ,১৪৪২ হিজরি | ৫ই জুলাই ২০২১ ঈসায়ী|

    পশ্চিমতীরে দখলদার ইজরাইলিদের গুলিতে ফিলিস্তিনি যুবক নিহত

    পশ্চিমতীরের নাবলাস শহরের দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি গ্রামে এক ফিলিস্তিনি যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দখলদার ইজরাইলি বাহিনী। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইজরাইলি বাহিনীর হাতে নিহত যুবকের নাম মোহাম্মদ ফারিদ হাসান। খবর আল জাজিরার।

    ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ২০ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কুসরা গ্রামে নিজের বাড়ি ছাদে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় দখলদার বাহিনীর গুলি এসে তার বুকে লাগে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায়ই তার মৃত্যু হয়েছে।

    পশ্চিমতীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় দখলদার ইজরাইলি বসতি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভ করে আসছে ফিলিস্তিনিরা।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কথিত লকডাউনে কাজ বন্ধ, সন্তানদের খাবার দিতে না পেরে বাবার আত্মহত্যা

    অভাবের কারণে পরিবারে কলহ চলে আসছিল। কথিত লকডাউনে কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে পারিবারিক কলহ আরও বেড়ে যায়।

    সেই কলহের জের ধরেই মুন্সিগঞ্জ সদরে দ্বীন ইসলাম (২৫) নামে এক দিনমজুর ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (৪ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    দ্বীন ইসলাম বরিশাল জেলার কাউনিয়া এলাকার গৌতমের ছেলে। তিনি মা, স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে মুক্তারপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

    নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভাবের কারণে আগে থেকেই কলহ ছিল পরিবারে। করোনার কারণে কাজ না থাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন দ্বীন ইসলাম। এ নিয়ে স্ত্রী শাহিদা বেগমের সঙ্গে তার কলহ আরও বেড়ে যায়। রোববার সকালে ফের স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। এ সময় স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দেন দ্বীন ইসলাম। পরে দরজা বন্ধ করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

    নিহতের মা জুলেখা বেগম বলেন, লকডাউনের কারণে কাজ ছিল না দ্বীন ইসলামের। ছেলে-মেয়ে খাবার চাইত। এ নিয়ে সংসারে সমস্যা। কাজ নেই, পুলাপাইনের মুখে ভাত দিতে পারে না, তাই অভিমানে মরে গেছে।

    নিহতের স্ত্রী শাহিদা বেগম বলেন, লকডাউনে কাজ ছিল না। ঘরে বাজার-সদাই কিছুই নেই। পুলাপাইনরে খাওয়াইতে পারছিলাম না। সংসারে অভাব দেইখা মনে করছে পুলাপাইনরে খাওয়াইতে পারি না, বাইচা থাইকা কী করুম। উনি তো মইরা গেছে, আমি কি করুম? লকডাউন খুললে কাজ করে আমাদের খাওয়াইতে পারত। আমি তো তাও পারুম না।

    উল্লেখ্য, ইসলামে আত্মহত্যা মহাপাপ। বর্তমানে তামাশার লকডাউনের কারণে শুধু দ্বীন ইসলামের পরিবারই নয় এমন লাখো পরিবার অভাবের তাড়নায় কাতরাচ্ছে। সুতরাং এ হত্যার জন্য তারাই দায়ী যারা গরীবের খাবারের ব্যবস্থা না করে প্রহসনের লকডাউন দিয়ে মানুষের জীবনকে অতিষ্ট করে তুলছে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3

      সেনাবাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিয়ের আসর পণ্ড, অতঃপর ঘুষ আদায়


      ত্বাগুত প্রশাসনের কথিত লকডাউন অমান্য করে ফেনীর সোনাগাজীতে শরীয়ত সম্মত বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করায়, ভরা মজলিসে সেনাবাহিনী নিয়ে হানা দিয়ে বিয়ের আসর পণ্ড করে দিয়েছে ত্বাগুত সরকারের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

      জানা যায়, গত ৪ ঠা জুলাই রবিবার ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের একটি বিয়ের আসরে হঠকারী ত্বাগুত প্রশাসনের এরূপ প্রহসনে এলাকাতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

      স্থানীয় আমিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জানায়, ত্বাগুত সরকারের ঘোষিত কঠোর লকডাউন অমান্য করে ইউনিয়নের সফরপুর ছলিম উদ্দিন মুন্সি বাড়িতে হেদায়েত উল্লাহর মেয়ের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। খবর পেয়ে টহলরত সেনা সদস্যদের নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির হোসেন বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালায়।

      জানা যায়, বিয়ের আসরে হঠাৎই ম্যাজিস্ট্রেট সহ সেনাবাহিনীর উপস্থিতি দেখে বরযাত্রীসহ আতঙ্কিত সব অতিথিরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে দেন। ত্বাগুত প্রশাসনের জেল-জরিমানা থেকে বাঁচতে আমন্ত্রিত অতিথিদের অনেকেই এ সময় পাশের বিভিন্ন বাড়ি-ঘরে গিয়ে আশ্রয় নেন।

      পরে কনের বাবা ম্যাজিস্ট্রেটকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে স্বল্প পরিসরে মেয়ের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।

      করিম মিয়া নামে এক অতিথি বলেন,”বিয়ে বাড়িতে খাবার খেতে বসে শুনি সেনাবাহিনী নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট তাণ্ডব চালাতে চলে এসেছে। ভয়ে হাত না ধুয়েই দৌড়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিই। অনেক মেহমান বিয়ের ভোজ না খেয়েই পালিয়ে গেছেন।”
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        কথিত শাটডাউনে উপায়হীন সাধারণ মানুষ; বাড়ছে ভোগান্তি

        তামাশার কথিত লকডাউন/ শাটডাউনে বাংলাদেশের রাজধানীসহ সারা দেশে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষেরা চরম বিপদে পড়েছেন৷ কাজ নেই আবার কোনো সহায়তাও পচ্ছেন না৷ রিকশা চললেও যাত্রী না থাকায় চালকরা দিশেহারা, কাজহীন দিনমজুর ও নির্মাণ শ্রমিকরা।
        দিন আনে দিন খায় এ মানুষদের সংখ্যা আমাদের দেশে বেশি, যাদের একদিন ইনকাম বন্ধ থাকলে পুরো পরিবারটিকেই না খেয়ে থাকতে হয়।
        লকডাউনের আযাবে ঘরে ঘরে ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার। দুধের বাচ্চার কান্নার রোনাজারি। মাসুম শিশুর আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ।
        এমন কোন ঘর নেই যে ঘরে খাবারের অভাব নেই। পরিবারের যারা কর্তা তারা না হয় ৩ বেলার জায়গায় একবেলা খেয়ে থাকতে পারে কিন্তু মাসুম বাচ্চারা না খেয়ে কয়দিন বাঁচবে তা কারো জানা নেই।
        এভাবে চলতে থাকলে গরীব মানুষ আরো হতাশ হয়ে যাবে। বিনা খাদ্যে মারা যেতে হবে।
        জনগন তো সরকারের কাছে ভিক্ষা চায়না। চায়না কোন অনুদান, যদিও অনুদানের টাকা আসে জনগনের কষ্টার্জিত ট্যাক্সের টাকা হতে। জনগন চায় শুধু কর্ম করে জীবিকা চালাতে। পেটপুরে ডালভাত খেতে। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে। কিন্তু সরকার সেই কর্ম জোর করে ছিনতাই করে নিলো লকডাউন দিয়ে।
        এই কোটি কোটি মানুষ মিলে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললে তার ভার বহন করতে পারবে??

        কঠোর লকডাউনেও রবিবার বৃষ্টি থামার পর দুপরের দিকে মৎস্য ভবনের সড়কের পথে ফুটপাথে একটি কাঠের বাক্সের ওপর চা, বিস্কুটসহ আরো কিছু পণ্য সাজিয়ে বসেন লাবনী বেগম৷ কথা বলতে গেলে ইতস্তত বোধ করেন৷ যেন কিছুটা ভয় পেয়েছেন৷

        সব কিছু গুটিয়ে চলে যেতে চান৷ পরে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলে আশ্বস্ত হন৷ সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, লকডাউনে তো এরকম রাস্তার পাশে দোকান দেয়া যাবে না৷ বাইরে বের হওয়া নিষেধ৷ কেন বের হয়েছেন? জবাবে জানালেন, ‘‘আমার একটি ছেলে আছে৷ স্বামী নেই৷ ছেলেটি কিডনি রোগে আক্রান্ত৷ প্রতিদিন সাড়ে ছয়শো টাকার ওষুধ লাগে৷ এই টাকা জোগাড় করতে না পারলে আমার ছেলেকে বাঁচাতে পারব না৷ দোকান দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই আমার৷ আমি কী করব!’’
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          এই তাগুত সরকার কথিত লকডাউনের নামে উম্মাহকে না খাইয়ে রাখছে। উম্মাহর বর্তমান নিউজগুলো দেখে স্থির থাকা যায় না।
          আহ! কি করুণ দশা!
          আমাদের উচিত এ সুয়োগে জনগণের কাছে সরকারের শয়তানি উন্মোচনা করা।
          গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

          Comment


          • #6
            আহ.......হৃদয় বিদারক!

            কথিত লকডাউনে কাজ বন্ধ, সন্তানদের খাবার দিতে না পেরে বাবার আত্মহত্যা

            উল্লেখ্য, ইসলামে আত্মহত্যা মহাপাপ। বর্তমানে তামাশার লকডাউনের কারণে শুধু দ্বীন ইসলামের পরিবারই নয় এমন লাখো পরিবার অভাবের তাড়নায় কাতরাচ্ছে।
            সুতরাং এ হত্যার জন্য তারাই দায়ী যারা গরীবের খাবারের ব্যবস্থা না করে প্রহসনের লকডাউন দিয়ে মানুষের জীবনকে অতিষ্ট করে তুলছে।
            “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

            Comment

            Working...
            X