Announcement

Collapse
No announcement yet.

যুদ্ধবাজ নেতৃবৃন্দ ও উল্টো পায়ে ব্যর্থ অভিজ্ঞতার পেছনে ছুটে চলা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • যুদ্ধবাজ নেতৃবৃন্দ ও উল্টো পায়ে ব্যর্থ অভিজ্ঞতার পেছনে ছুটে চলা

    যুদ্ধবাজ নেতৃবৃন্দ ও উল্টো পায়ে ব্যর্থ অভিজ্ঞতার পেছনে ছুটে চলা


    একেরপর এক নিরঙ্কুশ বিজয় এবং মুজাহিদদের দলে সরকারী সেনাদের ব্যাপক হারে যোগদানের মধ্যদিয়ে এই সত্য প্রমাণিত হয়েছে যে, আফগানিস্তানে দখলদার বাহিনী ও তাদের দালালদের কোন ঠাঁই নেই। চলমান পরিস্থিতি আরো প্রমাণ করে যে, আফগান যুদ্ধের মূল কারণ হচ্ছে বিদেশী দখলদারদের আগ্ৰাসন।

    এত দীর্ঘ সময় ধরে আফগানিস্তানে বিদেশীদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সক্ষম হওয়ার বড় একটি কারণ হচ্ছে, আফগান জনগণকে নির্বিচারে হত্যা করার মধ্যদিয়ে যে দালাল বাহিনী শক্তি সঞ্চয় ও ত্রাস সৃষ্টি করেছিল, তারা ছিল পশ্চিমা আগ্ৰাসনেরই সমর্থনপুষ্ট।

    ২০১৮ সালে কুন্দুজের দস্তে আরচি জেলার এক হিফজুল কোরআন মাদ্রাসায় সরকারি সেনারা বোমা হামলা চালায়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী ও হাফেজে কোরআন শাহাদাত বরণ করেন। সরকারী নরঘাতকরা নির্লজ্জের মত এই হামলার দায় স্বীকার করেছিল, কারণ এই হামলাটি ছিল তাদের বিদেশী আগ্রাসী প্রভুদের কর্তৃক সমর্থিত।

    তবে বর্তমান বাস্তবতা হল – মুজাহিদীন ও সাধারণ আফগানদের উচ্চকিত তাকবীর ধ্বনি শুনতে পেয়ে সেই সরকারী সেনাদের অবস্থা এতটাই নাজেহাল হয়ে পড়েছে যে, তারা মাত্র কিছু সময়ের মধ্যেই গোটা একটা জেলার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে জান বাঁচানোর তাগিদে পালিয়ে যাচ্ছে। কার আগে কে পালাতে পারে – সরকারি সেনাদের এই যে এক অবস্থা, এর কারণ হচ্ছে – বিদেশি প্রভুরা আকাশে উড়াল দিয়ে বিমান নিয়ে এসে রক্ষা করবে, এই আশা এখন তাদের আর নেই। যদি এমনটা আগে থেকেই না হত, তাহলে দেশের কোন অংশেই এই পোষা বাহিনী নিজেদেরকে কোন উপায়েই আক্রমন থেকে প্রতিহত করতে পারত না।

    আসল সত্য হল, এই দখলদার বাহিনীর উপস্থিতি ও তাদের আগ্ৰাসনই বহু সমস্যার মূল কারণ। তবে যাইহোক, এখন পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে। এক মাসের ব্যবধানে প্রায় একশত জেলা শত্রুদের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করা হয়েছে। একই সাথে শত্রু সেনারা ব্যাপক হারে মুজাহিদদের হাতে অস্ত্র সমর্পণের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করছে। এসবের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় যে, এই যুদ্ধ আফগানদের নিজেদের মধ্যকার যুদ্ধ নয়, এই যুদ্ধ তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। বরং আফগান জাতির অবস্থান সবসময়ই গৃহযুদ্ধের বিপক্ষে।

    বর্তমান পরিস্থিতি আরো প্রমাণ করে যে, এই অবৈধ দালাল সরকার মূলতঃ বিদেশি দখলদার শক্তির আনুকূল্য ও সহায়তায় গঠিত হয়েছে। এই ‘ডলার দ্বারা গঠিত’ সরকার আদৌ আফগানদের আশা-আকাঙ্ক্ষার সরকার নয়।
    যদিও ‘নির্বাচনের স্বপ্ন’ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে এবং ‘গনতন্ত্র ও প্রগতির’ শ্লোগানে আকাশ বাতাস মুখরিত করা হয়েছে; কিন্তু এসবের অন্তঃসারশূন্যতা এখন সবার কাছেই স্পষ্ট। যদিও ক্রুজ মিসাইল ও ড্রোনের ছত্রছায়ায় কিছু অবসরপ্রাপ্ত যোদ্ধাকে ক্ষমতার মসনদের সামনে আনা হয়েছে, কিন্তু তাদের প্রতি আপামর সর্বসাধারণের কোন সমর্থনই নেই এবং কোনকালেই ছিলনা।

    অনুরূপভাবে, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে যে বাহিনী গঠন করা হয়েছিল, সে বাহিনীও কখনোই আফগানদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য ছিল না। বরং তা ছিল দখলদারদেরই এক সহায়ক বা ভৃত্য বাহিনী, যারা সাধারণ আফগানদের হত্যা করতেই দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছিল। আর তাদের বিদেশি প্রভুরা বিদায় নেওয়ায় এই ভৃত্যের বাহিনী এখন অসহায়ের মত পালিয়ে নিঃশেষ হচ্ছে।

    বর্তমানে আবারো কতিপয় সাবেক যুদ্ধবাজ নেতা – যারা অতীতেও শোচনীয়ভাবে ব্যার্থ হয়েছে – তারা আবার নতুন করে প্রতিরোধের আওয়াজ তুলছে। তারা জোর গলায় প্রচার করছে যে, তারা নাকি জাতির যুবকদের ও মিলিশিয়াগুলোকে সংগঠিত করছে। অবস্থাদৃষ্টে তো মনে হয়, এরা আবারো বিদেশী এজেন্ডা নিয়ে গৃহযুদ্ধ বাধানোর পায়তারা করছে।

    তবে সে যাইহোক, ইসলামি ইমারাহ কখনোই তাদেরকে এমন ব্যর্থ প্রয়াসের পুনঃমঞ্চায়ন করার সুযোগ দেবে না।
    আর, এরপরেও যদি তারা নিজেদের নির্বুদ্ধিতা পরিহার না-করাকেই বেছে নেয় এবং ইসলামি ইমারাহর চলমান বিজয় অভিযানের গতিরোধ করার ভীমরতি তাদের মাথায় জেঁকে বসে, তাহলে আল্লাহর সাহায্যে তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে গুড়িয়ে দেওয়া হবে, যেমনটি ইতিপূর্বেও করা হয়েছে। তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে এবং নির্মূল করা হবে।

    এই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এবং পশ্চিমাপন্থী কিছু ধর্মনিরপেক্ষ নেতা – যারা মার্কিন দখলদারিত্বের সময় আফগান জাতির কোষাগার শূন্য করে নিজেদের বাড়ি-গাড়ি ও সম্পদের পাহাড় গড়েছে, তারা এখন সেসব ‘ব্যক্তিসম্পদ’ রক্ষা করতে ‘গণবিপ্লবের’ শ্লোগান এঁকে দাঙ্গা-ফাসাদ ও জাতীয় সঙ্কট সৃষ্টির পায়তারা করছে। তবে তারা যা করছে তা নেহায়েত আত্মপ্রবঞ্চনা ছাড়া কিছু নয়। আফগান মুসলিম জাতি এতটা বোকা নয় যে তারা নিজেদেরকে ও নিজ দেশকে গৃহযুদ্ধের মত আত্মবিনাশী পথে নিক্ষেপ করবে শুধুমাত্র কিছু মুষ্টিমেয় অবসরপ্রাপ্ত ও ‘ভাড়াটে বন্দুকওয়ালা’ যুদ্ধবাজ নেতাদের অবৈধ সম্পদ রক্ষার জন্য!

    অনুবাদক: তারেক মুসান্না
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    যুদ্ধবাজ নেতৃবৃন্দ ও উল্টো পায়ে ব্যার্থ (ব্যর্থ) অভিজ্ঞতার পেছনে ছুটে চলা
    এডিট করে নিলে ভাল হয়।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      Originally posted by Munshi Abdur Rahman View Post
      এডিট করে নিলে ভাল হয়।
      ঠিক করে নিয়েছি।
      জাযাকাল্লাহু খাইরান।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আলহামদুলিল্লাহ,, এমন একটি পোস্ট খুব দ্রুত আশা করছিলাম।
        ভাইয়েরা,আল্লাহ আপনাদের কাজগুলো কবুল করুন আমীন। আমার খুব ভয় হচ্ছে, এ-ই পরিস্থিতিতে কোন শয়তান আবার নেমে না পড়ে।
        ভাইয়েরা, যেসব সকল এলাকা বিজয় হয়েছে সেখানকার পরিস্থিতি খুব দ্রুত কন্ট্রোল করতে হবে। জনগণের সাথে খুব দ্রুত কথা বলতে হবে, জনগণকে বেশি করে এ-ই আন্দোলনে শামীল(শামিল) করতে হবে। মুজাহিদ ভাইদের কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। একদল যুদ্ধ করলে যেনো আরেকদল এলাকায় থেকে যায়। সীমান্ত যেনো ফাঁকা না রাখে। দুয়া করি আল্লাহ যেনো ভাইদের শক্তি বাড়িয়ে দেন এবং ছবরের সাথে পরিস্থিতি সামাল দেন।

        Comment


        • #5
          আলহামদুলিল্লাহ তালেবান দেখিয়ে দিয়েছে যে,তাঁরা কি করতে পারে। এটা নতুন নয়। এর আগেও আফগানিস্তানে যারা এসেছিল । তাঁদের প্রাপ্য পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কপাল পোড়া শয়তানের দল শিক্ষা নিচ্ছে না।

          যে জাতিই আফগানিস্তান আক্রমণ করেছে, তারা তাদের শক্তির সবটুকু হারিয়েই কেবল সেখান থেকে বের হতে পেরেছে। ইসকান্দার আল-মাকদুনির সময় থেকে আজ পর্যন্ত যারাই আফগানে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা নিজেদের জন্য ধ্বংসের সিদ্ধান্ত করে নিয়েছে। ইংরেজরা সেখানে প্রবেশ করে এ অঞ্চলে তাদের উপনিবেশকে ধ্বংস করেছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রবেশ করে টুকরো টুকরো হয়ে এখান থেকে বের হয়েছে। এখন আমেরিকা প্রবেশ করেছে। ইনশাআল্লাহ তাদের ক্ষেত্রেও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। এখানেই তাদের শক্তিমত্তার কবর রচিত হবে। এবং বাস্তবে তা হয়েছেও। আলহামদুলিল্লাহ

          চূড়ান্ত পরাজয় ও পতনই হলো আফগানিস্তানের সাথে যুদ্ধকারীদের শেষ পরিণতি।
          গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

          Comment


          • #6
            Originally posted by Ibrahim Al Hindi View Post
            আলহামদুলিল্লাহ তালেবান দেখিয়ে দিয়েছে যে,তাঁরা কি করতে পারে। এটা নতুন নয়। এর আগেও আফগানিস্তানে যারা এসেছিল । তাঁদের প্রাপ্য পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কপাল পোড়া শয়তানের দল শিক্ষা নিচ্ছে না।

            যে জাতিই আফগানিস্তান আক্রমণ করেছে, তারা তাদের শক্তির সবটুকু হারিয়েই কেবল সেখান থেকে বের হতে পেরেছে। ইসকান্দার আল-মাকদুনির সময় থেকে আজ পর্যন্ত যারাই আফগানে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা নিজেদের জন্য ধ্বংসের সিদ্ধান্ত করে নিয়েছে। ইংরেজরা সেখানে প্রবেশ করে এ অঞ্চলে তাদের উপনিবেশকে ধ্বংস করেছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রবেশ করে টুকরো টুকরো হয়ে এখান থেকে বের হয়েছে। এখন আমেরিকা প্রবেশ করেছে। ইনশাআল্লাহ তাদের ক্ষেত্রেও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। এখানেই তাদের শক্তিমত্তার কবর রচিত হবে। এবং বাস্তবে তা হয়েছেও। আলহামদুলিল্লাহ

            চূড়ান্ত পরাজয় ও পতনই হলো আফগানিস্তানের সাথে যুদ্ধকারীদের শেষ পরিণতি।
            চমৎকার বলেছেন ভাই....জাযাকাল্লাহ
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment


            • #7
              Originally posted by Ibrahim Al Hindi View Post
              আলহামদুলিল্লাহ তালেবান দেখিয়ে দিয়েছে যে,তাঁরা কি করতে পারে। এটা নতুন নয়। এর আগেও আফগানিস্তানে যারা এসেছিল । তাঁদের প্রাপ্য পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কপাল পোড়া শয়তানের দল শিক্ষা নিচ্ছে না।

              যে জাতিই আফগানিস্তান আক্রমণ করেছে, তারা তাদের শক্তির সবটুকু হারিয়েই কেবল সেখান থেকে বের হতে পেরেছে। ইসকান্দার আল-মাকদুনির সময় থেকে আজ পর্যন্ত যারাই আফগানে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা নিজেদের জন্য ধ্বংসের সিদ্ধান্ত করে নিয়েছে। ইংরেজরা সেখানে প্রবেশ করে এ অঞ্চলে তাদের উপনিবেশকে ধ্বংস করেছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রবেশ করে টুকরো টুকরো হয়ে এখান থেকে বের হয়েছে। এখন আমেরিকা প্রবেশ করেছে। ইনশাআল্লাহ তাদের ক্ষেত্রেও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। এখানেই তাদের শক্তিমত্তার কবর রচিত হবে। এবং বাস্তবে তা হয়েছেও। আলহামদুলিল্লাহ

              চূড়ান্ত পরাজয় ও পতনই হলো আফগানিস্তানের সাথে যুদ্ধকারীদের শেষ পরিণতি।
              মাশাআল্লাহ । বীরের জাতির পরিচয় দিয়েছেন।

              Comment


              • #8
                মহান আল্লাহর বাণী : মুমিনরা আল্লাহর পথে লড়াই করে। আর কাফেররা তাগুতের পথে লড়াই করে। তাই তোমরা শয়তানের দোসরদের বিরুদ্ধে লড়াই করো। নিঃসন্দেহে শয়তানের ষড়যন্ত্র নিতান্তই দুর্বল।

                Comment


                • #9
                  হে আল্লাহ! আফগান মুজাহিদ ভাইদের সাহায্য করুন এবং সবর করার তৌফিক দান করুন
                  তাদেরকে বিজয় দান করুন, তাদের শক্তি সামর্থ্য বৃদ্ধি করে দিন
                  আমাদেরকে মুজাহিদিনের কাতারে সামিল করুন, আমাদের ঈমানি শক্তি বৃদ্ধি করে দিন।
                  আল্লাহুম্মা মাগফির-লী ওয়ারহামনি
                  ইয়া রব্বাল আলামিন

                  Comment

                  Working...
                  X