Announcement

Collapse
No announcement yet.

উভয় সঙ্কটে ফিলিস্তিনি মুসলিমরা : একদিকে ইসরায়েলের বোমা হামলা, আরেকদিকে আব্বাসের ধরপা&#

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উভয় সঙ্কটে ফিলিস্তিনি মুসলিমরা : একদিকে ইসরায়েলের বোমা হামলা, আরেকদিকে আব্বাসের ধরপা&#

    উভয় সঙ্কটে ফিলিস্তিনি মুসলিমরা :
    একদিকে ইসরায়েলের বোমা হামলা, আরেকদিকে আব্বাসের ধরপাকড়!


    ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য পরিস্থিতি দিন দিন কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। হামাস-ফাতাহ উভয়ই গোপন অস্ত্রচুক্তি করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে ইহুদীদেরই বেঁধে দেওয়া ছকে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে।
    পশ্চিম তীরের ফাতাহ সেটা করেছে বহু আগেই; ইহুদীদের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে সেখান থেকে মুসলিমদের উচ্ছেদ ও অবৈধ ইহুদীবসতি নির্মাণ কিংবা ইচ্ছে হলেই তল্লাশীর নামে মুসলিমদের বাড়িঘরে রাত বিরাতে ইহুদীদের হানা,হত্যা,লুটপাট,শ্লীলতাহানী – এসব নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া শুধু নিন্দা প্রকাশ আর জাতিসঙ্ঘের কাছে ‘নালিশ’ দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

    অপরদিকে অবরুদ্ধ গাযা ভূখণ্ডে সশস্ত্র যুদ্ধের শ্লোগান তুলে একসময় জনপ্রিয়তা পাওয়া হামাস নিজেদের গণতান্ত্রিক বেড়াজালে আটকিয়ে ফেলেছে – সেও প্রায় দেড় দশক।

    সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে মুসলিমদের হৃত ভূমি পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম দৃশ্যত কোন পক্ষেরই নেই। বরং তাদের কাছ থেকে উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা গিয়েছে সময়ে সময়ে।
    গতো রমাজান মাসে গাযায় চালানো ইসরায়েলী আগ্রাসনোত্তর যুদ্ধবিরতির পরও নতুন সংকটে পড়ে ফিলিস্তিনিরা। একদিকে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভের কারণে ধরপাকড় চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, অন্যদিকে একইভাবে নিজ নাগরিকদের ওপর আটক অভিযান চালিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। পশ্চিম তীরে বেছে বেছে বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। [১] এ যেন জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ!

    গত ৪ জুলাই দখলকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার পর এক ফিলিস্তিনি মানবাধিকার আইনজীবীকে গ্রেফতার করেছে ইসরায়েলের নিরাপত্তাবাহিনী। ফরিদ আল-আতরাশ নামের আইনজীবীকে রবিবার জেরুজালেমের পূর্বাঞ্চলীয় একটি চেকপোস্টে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তিনি রামাল্লায় আব্বাসবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন। ইহুদি প্রভুদের ভক্ত ও তাদের স্বার্থের গোপন রক্ষক মাহমুদ আব্বাসের বিরুদ্ধে বিক্ষভকে কোনভাবেই সহ্য করতে পারেনি তারা। [২]

    ইসরায়েলের দখলদারির জেরে ফিলিস্তিনকে মূলত দুভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এর একটি মিসর সীমান্তে ও ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূলবর্তী ভূখণ্ড গাজা উপত্যকা – যার নিয়ন্ত্রণ করে প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। আরেকটি জর্ডান নদীর পাড়ের ওয়েস্ট ব্যাংক বা পশ্চিম তীর – প্যালেস্টাইনিয়ান অথোরিটি বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নামে (পিএ) যার শাসন করছে মাহমুদ আব্বাসের সরকার।

    হামাস, রাফা শহরে ২০০৯ সালের ১৪ই আগস্ট মোতাবেক ১৪৩০ হিজরীর ২৩ শে শাবান শুক্রবার জুন্দ আনসারুল্লাহ নামক একটি সশস্ত্র ইসলামিক দলের নেতা সহ ৫০ এর অধিক মুসলিম প্রতিরোধ যোদ্ধাকে হত্যা করে ও ইবনে তাইমিয়াহ মসজিদসহ আরও ৩টি বাড়ি গুড়িয়ে দেয়। [৩] [৪]

    এই তথাকথিত গণতান্ত্রিক শাসকশ্রেণীকে দিয়ে কি ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তি বা আলআকসার পুনরুদ্ধার আদৌ সম্ভব?… উত্তর হচ্ছে কখনই না…এদের দ্বারা ফিলিস্তিন ও আকসার পুনরুদ্ধার দিবাস্বপ্ন বৈ কিছুই নয়।

    তথ্যসূত্র :
    ——–
    [১]আব্বাস কর্তৃপক্ষের ধরপাকড় – https://tinyurl.com/bs28uckm
    [২] আব্বাসবিরোধী আইনজীবী গ্রেফতার – https://tinyurl.com/4kt6abh6
    [৩]আল জাজিরা’র নিউজ – https://tinyurl.com/5u2t7dhw
    [৪]বিবিসি’র নিউজ – https://tinyurl.com/r5vfs3wx

    লেখক: জামিল মাহমুদ
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    এই তথাকথিত গণতান্ত্রিক শাসকশ্রেণীকে দিয়ে কি ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তি বা আলআকসার পুনরুদ্ধার আদৌ সম্ভব?… উত্তর হচ্ছে কখনই না…এদের দ্বারা ফিলিস্তিন ও আকসার পুনরুদ্ধার দিবাস্বপ্ন বৈ কিছুই নয়।
    তাহলে কিভাবে সম্ভব? তাও এই পোস্টে বলে দেওয়া প্রয়োজন ছিল মনে হয়।
    আশা করি লেখক ভাই এ বিষয়ে আরেকটি পোস্ট করবেন। জাযাকাল্লাহ
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      নিঃসন্দেহে ইসলামী খিলাফাহ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে গণতন্ত্রের আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে। আর তা কখনোই ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিজয়ের পথ হতে পারে না।
      আর হামাস ও ফাতাহ উভয়টিই চলছে গণতন্ত্রের পথে। যা কখনো ফিলিস্তিনীদের মুক্তি দিতে পারে না। পাশাপাশি তারা হচ্ছে বৈশ্বিক তাগুত গোষ্ঠীর ক্রীড়নক। হয়তো কেউ প্রকাশ্যে করছে আর কেউ গোপনে করছে।
      সুতরাং বিশেষ করে ফিলিস্তিনবাসী এবং ব্যাপক ভাবে পুরো মুসলিম উম্মাহর একমাত্র মুক্তির পথ হলো যোদ্ধা ও দয়াল নবী প্রদর্শিত পথ জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ। যা আজ দিবালোকের চেয়ে সুস্পষ্ট। আল্লাহ তা’য়ালা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন।

      Comment


      • #4
        আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম যে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের সরকার মিলে ফিলিস্তিনকে ইসরাইলের হাতে তুলে দিচ্ছে এবং বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে যাতে করে ইসরাইলের গোপন সাহায্য কারির কোন ক্ষতি না হয় এবং ফিলিস্তিন সরকার ইসরাইলের জন্য পথ পরিস্কার করে দিতে পারে এবং প্রকাশ্যে ফিলিস্তিন সরকার ইসরাইলের বিরোধিতা করছে যাতে করে ইসরাইল বিরোধী মুসলিমরা ফিলিস্তিন সরকারের পাশে আশে এবং তাকে সাহায্য করে এবং তার বিরোধিতা না করে এসুযোগে সে এ সাহায্যকে ইসরাইলের উপকারের জন্য ব্যবহার করবে এবং বিপজ্জনক যাকে মনে করবে গোপনে হত্যা করবে বা বন্দী করবে অথবা এভাবে মুজাহিদদের তথ্য পাচার করে যা করার করবে ।এভাবেই এক এক করে সব মুসলিম ভূখন্ড দখল করা হবে। এবং বাংলাদেশে জুমলেন্ডের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া মাত্র শুরু হয়েছে।

        Comment


        • #5
          ফিলিস্তিনি মুসলিমদের চরম দুর্দিন যাচ্ছে। একদিকে অভিশপ্ত ইসরাইল অপরদিকে মুরতাদ শাসকগোষ্ঠীর ধোঁকাবাজি। হামাস বা ফাতাহ এদের কারো মাধ্যমেই ফিলিস্তিনের দুঃখ ঘুচবে না। একমাত্র জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর মাধ্যমে পবিত্র আল আকসা ও ফিলিস্তিনি ভুমির মুক্তি নিহিত রয়েছে। আজ হোক বা কাল হোক একদিন অবশ্যই আল্লাহর বান্দারা পবিত্র ভূমি ও আল আকসাকে উদ্ধার করবে। ইনশাআল্লাহ
          গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

          Comment

          Working...
          X