Announcement

Collapse
No announcement yet.

হজ্ব-কুরবানি না করে টাকা ইমারায় দিয়ে দিলে হবে কি?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • হজ্ব-কুরবানি না করে টাকা ইমারায় দিয়ে দিলে হবে কি?

    হজ্ব-কুরবানি না করে টাকা ইমারায় দিয়ে দিলে হবে কি?

    # কুরবানি না করে টাকা ইমারায় দিয়ে দিলে কুরবানি আদায় হবে কি’না?
    # কিংবা আকীকা না করে আকীকার টাকা ইমারায় দিয়ে দিলে আকীকা আদায় হবে কি’না?
    # এমনিভাবে হজ্ব উমরা না করে টাকা ইমারায় দিয়ে দিলে হজ্ব উমরা আদায় হবে কি’না?
    # কিংবা এসবের টাকা দুঃখী, অসহায়, দুর্ভিক্ষপীড়িত, যুদ্ধবিধ্বস্ত কিংবা বন্যাকবলিত মুসলিমদের দিয়ে দিলে এসব ইবাদাত আদায় হবে কি’না?

    উত্তর: হজ্ব, উমরা, কুরবানি, আকীকা, জিহাদ- এ সবগুলো ভিন্ন ভিন্ন ইবাদাত। একটি করার দ্বারা আরেকটি আদায় হবে না। অতএব, ইমারায় টাকা দিয়ে দিলে এসব ইবাদাত আদায় হবে না।

    এমনিভাবে অসহায় মুসলিমদের সাহায্য করা আলাদা একটি ফরিজা। এটি আলাদাভাবে আদায় করতে হবে। হজ্ব-উমরা বা কুরবানি-আকীকার টাকা দিয়ে দিলে সাহায্য করার ফরিজা তো আদায় হবে, কিন্তু এ ইবাদাতগুলো আদায় হবে না।

    অতএব, যার উপর কুরবানি ওয়াজিব তাকে কুরবানি করতে হবে। হজ্ব ফরয হয়ে থাকলে হজ্ব করতে হবে। উমরা করতে চাইলেও শরীয়তের নির্দেশমতো উমরা করতে হবে, ইমারায় বা অসহায় মুসলিমদের সাহায্যে টাকা দিলে হবে না।

    এমনিভাবে আকীকা করতে চাইলে শরীয়তের স্বাভাবিক নিয়মমতো আকীকা করতে হবে, টাকা দিয়ে দিলে আকীকার সুন্নত আদায় হবে না।

    মোটকথা সবগুলো আলাদা আলাদা ইবাদাত, আলাদা আলাদা আদায় করতে হবে। টাকা দিয়ে দেয়ার দ্বারা আদায় হবে না।

    তবে হাঁ,
    একটা ব্যাপার আছে। তা হলো, আপনি কুরবানি করে গোশত দিতে পারেন। কিংবা কুরবানির টাকা ইমারায় বা আফগানিস্তানে বা কাশ্মিরে দিয়ে দিলেন এবং বলে দিলেন যে, এটা কুরবানির টাকা, তারা আপনার উকিল হয়ে আপনার পক্ষ থেকে কুরবানি করে দেবেন। এতে আপনার কুরবানি আদায় হবে, পাশাপাশি অসহায়দের সহায়তার সওয়াবও পাবেন।

    আকীকার ক্ষেত্রেও এমনটা করলে করা যেতে পারে। তারা আপনার পক্ষ থেকে আকীকা করে নেবেন।

    অবশ্য হজ্ব উমরার ক্ষেত্রে এমন কোনো সূরত নেই। এগুলো নিজেকেই আদায় করতে হবে। নিজে করার সামর্থ্য যতদিন আছে, অন্যকে দিয়ে করানোর সুযোগ নেই। ওয়াল্লাহু তাআলা আ’লাম।

  • #2
    অবশ্য হজ্ব উমরার ক্ষেত্রে এমন কোনো সূরত। এগুলো নিজেকেই আদায় করতে হবে। নিজে করার সামর্থ্য যতদিন আছে, অন্যকে দিয়ে করানোর সুযোগ নেই। ওয়াল্লাহু তাআলা আ’লাম।
    এখানে “অবশ্য হজ্ব উমরার ক্ষেত্রে এমন কোনো সূরত নেই।” এমন হবে মনে হয়।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      "অবশ্য হজ্ব উমরার ক্ষেত্রে এমন কোনো সূরত নেই। এগুলো নিজেকেই আদায় করতে হবে। নিজে করার সামর্থ্য যতদিন আছে, অন্যকে দিয়ে করানোর সুযোগ নেই।"

      নোট: 'নেই' শব্দটি ভুলে বাদ পড়ে গেছে প্রিয় ভাই। এডিট করে নিলে ভালো হতো। আল্লাহ তাআলা আপনার মেহনতকে কবুল করুন, আমীন।
      আমার নিদ্রা এক রক্তাক্ত প্রান্তরে,
      জাগরণ এক সবুজ পাখি'র অন্তরে।
      বিইযনিল্লাহ!

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ্ ভাইজান! আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন,আমিন।

        Comment


        • #5
          তবে হাঁ, একটা ব্যাপার আছে। তা হলো, আপনি কুরবানি করে গোশত দিতে পারেন। কিংবা কুরবানির টাকা ইমারায় বা আফগানিস্তানে বা কাশ্মিরে দিয়ে দিলেন এবং বলে দিলেন যে, এটা কুরবানির টাকা, তারা আপনার উকিল হয়ে আপনার পক্ষ থেকে কুরবানি করে দেবেন। এতে আপনার কুরবানি আদায় হবে, পাশাপাশি অসহায়দের সহায়তার সওয়াবও পাবেন।

          আকীকার ক্ষেত্রেও এমনটা করলে করা যেতে পারে। তারা আপনার পক্ষ থেকে আকীকা করে নেবেন।
          এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এভাবে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কুরবানি করতে পারি।

          আর ভাইয়েরা! আমরা আরেকটি কাজ করতে পারি। তা হলো-
          আমরা কুরবানির গোশত কালেকশন করে আমাদের গরিব ভাইদের দিতে পারি বা যারা কুরবানি করবেন না তাদেরও দিতে পারি। এতে কিন্তু ভাইদের অনেক উপকার হবে।
          গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ এক ইবাদতের মাধ্যমে দুটি ইবাদতের সাওয়াব অর্জনের পথ বলে দেওয়া হয়েছে।

            Comment


            • #7
              মাশাআল্লাহ , উত্তম পোস্ট। আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন,আমিন

              Comment


              • #8
                মাশাআল্লাহ, সময়ের সেরা পোস্ট। আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনের সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন
                মুহতারাম ভাই, আপনার পোস্টগুলো খুবই উপকারী। তাই নিয়মিত আপনার পোস্ট চাই।
                আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুন। আমীন
                ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                Comment


                • #9
                  Originally posted by abu ahmad View Post
                  মাশাআল্লাহ, সময়ের সেরা পোস্ট। আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনের সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন
                  মুহতারাম ভাই, আপনার পোস্টগুলো খুবই উপকারী। তাই নিয়মিত আপনার পোস্ট চাই।
                  আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুন। আমীন
                  মুহতারাম ভাইয়ের সাথে সহমত

                  Comment

                  Working...
                  X