Announcement

Collapse
No announcement yet.

কেন আমরা মাইর খাই?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কেন আমরা মাইর খাই?

    কেন আমরা মাইর খাই?


    "মুসলিমরা কেন মার খাচ্ছে "এ বিষয় দুই শ্রেনির(শ্রেণীর) মানুষের মন্তব্য ও তাদের মন্তব্যের জবাব এবং এ বিষয় প্রিয় নবী সাঃ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাদীস উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ। আশা করি পুরো পড়বেন।

    ১. আপনি যদি একজন দ্বীনদার ডাক্তার বা ইন্জিনিয়ার(ইঞ্জিনিয়ার) কে জিজ্ঞেস করেন যে, মুসলিমরা কেন আজ মার খাচ্ছে? সে বলবে মুসলিমরা বিজ্ঞানের দিক থেকে পিছিয়ে আছে তাই মার খাচ্ছে। মুসলিমদের আগেকার বড়বড় আলেমরা বিভিন্ন কাজকে হারাম ফতুয়া দিয়েছে তাই আজ মুসলিমরা এত পিছিয়ে আছে। যেমন আগে ইংরেজি শিক্ষাকে হারাম ফতুয়া দেওয়ার কারনে(কারণে) মুসলিমরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুক্ষীন হচ্ছে। তাই আজ আমাদের বর্তমান পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।জ্ঞান বিজ্ঞানের সকল শাখায় আমাদের উত্তীর্ণ হতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজনে ইউরোপ আমরিকায় যেতে হলে তাও যেতে হবে।
    যারা এমনটি বলে থাকেন তাদের কথাটা সম্পুর্ন(সম্পূর্ণ) ভুল। কারন(কারণ) মুসলিমরা আজও জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে নেই। আজ যে ভারত পারমানবিক বোমা দিয়ে ক্ষমতা দেখায় সে বোমা কে তৈরি করেছে? সেটাতো এক মুসলিম ঘরের সন্তানই তৈরি করেছে।পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমা তৈরি করেছে যিনি তিনিও মুসলিম ঘরেরই সন্তান। তিনি উত্তর কোরিয়া সহ আরও কয়েকটি দেশকে বোমা তৈরিতে সাহায্য করেছে।
    আজ আপনি আমরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তালাশ করুন। বহু মুসলিম সন্তান ঐ সকল বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষক। আসলে পৃথবীতে(পৃথিবীতে) বড় বড় শিক্ষিত মানুষ আছে যারা মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেছে। অথচ ইমানের দুর্বলতার কারনে(কারণে) তারা তাদের জ্ঞান বিজ্ঞান দিয়ে অনবরত কাফেরদের সাহায্য করে যাচ্ছে।
    কেউ দেশ প্রেমের অজুহাত দিয়ে, কেউ স্বার্থের জন্য, কেউ অন্তরে নেফাকি থাকার কারনে(কারণে) এভাবে অমুসলিমদের সাহায্য করচে নিজের মেধা দিয়ে।এটা বললে ভুল হবে না যে,আজও জ্ঞান বিজ্ঞানে মুসলিমরা এগিয়ে। কারন(কারণ) ইউরোপ আমরিকায় একটা যুবক বড় হতে হতে হাজারো পাপে ডুব দিয়ে নিজের শরির স্বাস্থ্যকে নষ্ট করে ফেলে।
    অপরদিকে মুসলিম ঘরের অনেক ছেলেরাই একটা সময় পর্যন্ত পারিবারিক কারনে(কারণে) বা আল্লাহর ভয়ের কারনে(কারণে) পাপ না করে পড়ালেখা চালিয়ে যায়। আর একটা সময় ভালো শিক্ষিত হয়ে তাদের শিক্ষা অমুসলিম ছেলেদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়।
    দেখুন ভারতের পরমানু(পরমাণু)বিদ এপিজে আবুল কালাম যদি তার জ্ঞান দিয়ে পরমানু(পরমাণু) না বানাতো তাহলে ভারত আজ পাকিস্তানকে হুমকি দিতে পারতো?
    আসলে মুসলিমরা জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে থাকার কারনে(কারণে) মার খাচ্ছে না।বাগদাদে যখন তাতারিরা হামলা করে তখন বাগদাদের মুসলমানরা জ্ঞান বিজ্ঞানের শীর্ষে ছিলো। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাঠঘার(পাঠাগার) ছিলো বাগদাদে। যে পাঠাগারের সব বই তাতারিরা নদী ফেলে সাকো বানিয়েছে। স্পেন যখন মুসলিমদের হাত থেকে চলে যায় তখন স্পেন ছিলো জ্ঞান বিজ্ঞানের শীর্ষে।
    ২. আপনি যদি একজন ভালো আমলদ্বার বা পিরকে জিজ্ঞেস করেন মুসলিমরা কেন এত মার খায়?কেন এত লাঞ্চিত(লাঞ্ছিত)? তিনি বলবেন আসলে মুসলিমদের প্রচুর আমলের প্রয়োজন। ইসলাহের প্রয়োজন।মুসলিমরা আধ্যাতিকতায়(আধ্যাত্মিকতায়) সমুন্নত হতে হবে।তাহলে মুসলিমরা আর মার খাবে না।
    #মুসলিমরা কেন মার খাচ্ছে?
    এ প্রশ্নের জবাব খুজতে(খুঁজতে) গিয়ে আজ আমরা কত গবেষনা(গবেষণা) করি। দিনের পর দিন গভেষনা(গবেষণা) করেই যাচ্ছি। একেকজনে একেক মতামত দিচ্ছি। গবেষনার(গবেষণার) কোন শেষ নেই। অথচ এই প্রশ্নের জবাব প্রিয় নবি সাঃ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তো বলেই গেছেন।
    আবু দাঊদে বর্ণিত হয়েছে, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
    ‏ ‏إِذَا تَبَايَعْتُمْ ‏ ‏بِالْعِينَةِ ‏ ‏وَأَخَذْتُمْ ‏ ‏أَذْنَابَ الْبَقَرِ ‏ ‏وَرَضِيتُمْ بِالزَّرْعِ وَتَرَكْتُمُ الْجِهَادَ سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ ذُلًّا لَا يَنْزِعُهُ حَتَّى تَرْجِعُوا إِلَى دِينِكُمْ ‏
    “যখন তোমরা ‘ঈনাহ’ অর্থাৎ এক ধরণের সুদী বেচা-কেনা করবে, গাভীর লেজ ধরে থাকবে, কৃষক হয়ে পরিতৃপ্ত হয়ে যাবে এবং জিহাদ পরিত্যাগ করবে, আল্লাহ তা’আলা তখন তোমাদের ওপর অপমান চাপিয়ে দিবেন এবং তা তোমরা হটাতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমরা নিজের দ্বীনের দিকে পত্যাবর্তন(প্রত্যাবর্তন) করো।” (আবু দাঊদ, আহমাদ)
    আল্লাহর নবী সাঃ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কত সুন্দর এই প্রশ্নের উত্তরটা দিয়ে গেছেন। তবুও আজ আমরা এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে(খুঁজতে) খুজতে হয়রান।আজ যদি বাংলাদেশের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন বাংলাদেশ সব আমল আছে।কিন্তু জিহাদ ও কিতালের আমল নেই। হয়ত আগে মুসলিমরা কমছিলো কিন্ত কমসংখ্যক মুসলিমরা আমল করত অনেক বেশী।কিন্তু বর্তমান মুসলিমরা অনেক বেশী। আর সবার আমল একসাথ করলে আজ থেকে তিনশ চারশ বছর আগের মুসলিমদের আমলের সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশী হবে হয়ত।কিন্তু এত আমল সত্ত্বেও মার খাচ্ছে। কারন(কারণ) আগের মুসলিমরা জিহাদ ও কিতাল করছে। আর এখনকার মুসলিমদের মাঝে সব আমল অল্প অল্প থাকলেও জিহাদ ও কিতাল নেই।পুর্বের মুসলিমরা জিহাদের মাধ্যমে দ্বীন প্রতিষ্ঠিত করেছিলো। এবং ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বড় বড় গভেষনাগার(গবেষণাগার) তৈরি করে ছিলো। পাঠাগার তৈরি করে ছিলো ফিকহবোর্ড তৈরি করেছিলো।আর আজ আমরা আগে বড় বড় পাঠাগার, গবেষণাগার ফিকহবোর্ড,তারপর বড়বড় আলেম তৈরি করে। এরপর দ্বীন প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি।আমি এসবে বিরুদীতা(বিরোধিতা) করছি না। কিন্তু এসবের জন্য জিহাদ চেয়ে দেওয়ার বিরুধীতা(বিরোধিতা) করছি।
    আল্লাহ আমাদের সঠিক বুজ(বুঝ) দান করো।

  • #2
    বানান এবং শুদ্ধ ভাষার দিকে লক্ষ্য করে পোস্ট করলে ভালো হয।
    গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ | আল্লাহ তায়ালা ভাইয়ের মেধা ও যোগ্যতায় আরো সমৃদ্ধি দান করুন। আমীন

      Comment

      Working...
      X