Announcement

Collapse
No announcement yet.

কীভাবে কাটে মুজাহিদ ভাইদের ঈদ?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কীভাবে কাটে মুজাহিদ ভাইদের ঈদ?

    কীভাবে কাটে মুজাহিদ ভাইদের ঈদ?


    বছর ঘুরে আবারও আমাদের সামনে ঈদুল আযহা উপস্থিত।
    সবার মাঝেই ছড়িয়ে পড়ছে ঈদের আমেজ। লাখ লাখ টাকার কুরবানি কেনা হচ্ছে। কার গরু কতোবড় তা নিয়ে ঠান্ডা মনস্তাত্বিক লড়াই চলছে। ঈদের অন্যান্য আনুষঙ্গিক কেনাকাটাও চলছে সমানতালে। ঈদের কেনাকেটার জন্য আমরা অনেকেই দুই তিন মাস পূর্ব থেকেই অর্থ সঞ্চয় করে রাখি। অনেক বাবারা-ই আছেন যারা ঈদের জন্য বরাদ্দ পুরো অর্থ ব্যয় করে স্ত্রী সন্তানদের জন্য কেনাকাটা করেন। কিন্তু নিজের জন্য কিছুই কেনেন না। কেন জানেন? কারণ পিতার কাছে সন্তানই তার দুনিয়া। স্বামীর কাছে স্ত্রীই তার দুনিয়া। পিতার সকল আয়-রোজগার তার সন্তানের জন্যই। স্বামীর সকল আয়-রোজগার তার প্রিয়তমা স্ত্রীর জন্যই! সন্তানের মুখে হাসি দেখলে বাবাদের চক্ষু শীতল হয়। স্ত্রীর মুখে হাসি ফুটলে স্বামীর অন্তরও ঠাণ্ডা হয়। বাস্তবতা আসলে এমনই হওয়া উচিত। কারণ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা নিজেই আমাদেরকে দু’আ শিক্ষা দিয়েছেন-

    رَبَّنَا ہَبۡ لَنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعۡیُنٍ وَّاجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِیۡنَ اِمَامًا

    “হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রী-সন্তানদের মাঝে আমাদের চোখের শীতলতা দান করুন। আর আমাদেরকে বানান মুত্তাকীদের সর্দার!” (সূরা আল ফুরকান-৭৪)

    আমরা সবাই যখন নিজেদের স্ত্রী-সন্তান, পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগে ব্যাস্ত, তখন কি একটিবারের জন্যেও আমরা মুজাহিদ ভাইদের কথা ভেবে দেখেছি? ভেবে দেখেছি কি তাদের কথা যারা নিজেদের পরিবার-পরিজন ছেড়ে কোনো যুদ্ধক্ষেত্রে পড়ে আছেন বা যারা তাগুতের ভয়ে কোনো এক অন্ধকার কুঠরিতে আত্নগোপন করে আছেন?

    তাদের ঈদ কীভাবে কাটছে যারা আল্লাহ তায়ালার দ্বীনের জন্য নিজেদের কলিজার টুকরা ছেলে-মেয়েদের ভালোবাসা বিসর্জন দিয়েছেন?বিদায়ের পূর্বমুহূর্তের ছোট্ট মেয়েটির আব্বু আব্বু ডাক যখন তার কানে প্রতিধ্বনিত হয় তখন আল্লাহর পথের মুজাহিদ নিজেকে স্থির রাখতে পারেন না। সন্তানের ভালোবাসায় তার অন্তর ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। কিন্তু আল্লাহর দ্বীনের জন্য তিনি সবকিছু ভুলে যান। বুকে পাথর চাপা দিয়ে আবারো বুক টান টান করে গিয়ে দাঁড়ান শত্রুর সামনে৷

    আমরা কি ভেবেছি তাদের কথা, যারা নিজেদের প্রিয়তমা স্ত্রীর চোখ শীতলকারী হাসিকে উপেক্ষা করে হিজরত করেছেন? স্ত্রীও জানেন না তার প্রিয়তম স্বামী কোথায় আছে, কেমন আছে? স্বামীও জানেন না তার প্রিয়তমা স্ত্রী কোথায় আছে, কেমন আছে? ঈদের দিন স্ত্রী যখন খাবার নিয়ে বসে তখন তার মনের আয়নায় ভেসে ওঠে স্বামীর অবয়ব। তখন হয়ত ঘরের দরজা বন্ধ করে একা একা কাঁদেন তিনি। হাত তুলে দোয়া করেন- হে আল্লাহ! আমার স্বামীকে যেখানেই রেখেছ, সুস্থ্য রেখো! তাগুতের হাত থেকে আমার স্বামীকে রক্ষা করো! এবং জান্নাতুল ফিরদাউসে আমাদেরকে আবার মিলিত করো!!।

    একটিবারের জন্যও কি ভেবেছি তাদের কথা, নিজেদের মমতাময়ী মা-বাবার আদর-সোহাগ ও স্নেহ-ভালোবাসার গলায় ছুরি চালিয়ে যারা বছরের পর বছর অতিবাহিত করছেন কোনো নির্জন গুহায় বা কোনো অন্ধকার কুঠুরিতে??

    প্রিয় ভাই! আমরা যখন পড়াশোনা বা চাকরির কারণে নিজের এলাকা ছেড়ে অন্যকোথাও যাই তখন আমাদের কেমন লাগে? মাস পার হতে না হতেই আমরা অস্থির হয়ে উঠি। প্রিয় মানুষগুলোকে এক পলক দেখার জন্য, নিজের ঘরে ফেরার জন্য আমাদের অন্তরগুলো দুমড়েমুচড়ে যায়!
    মাতৃভূমির জন্য এই দরদ-ব্যাথা স্বয়ং রাসূল ﷺ এর মাঝেও ছিলো। হিজরতের সময় যখন তিনি মক্কা ছেড়ে যাচ্ছিলেন তখন বারবার পিছনে ফিরে তাকাচ্ছিলেন আর বলছিলেন:

    وَاللَّهِ إِنَّكِ لَخَيْرُ أَرْضِ اللَّهِ وَأَحَبُّ أَرْضِ اللَّهِ إِلَى اللَّهِ وَلَوْلاَ أَنِّي أُخْرِجْتُ مِنْكِ مَا خَرَجْتُ ‏

    “আল্লাহর ক্বসম! তুমি নিশ্চয় আল্লাহ্ তায়ালার সকল ভূমির মাঝে সর্বোত্তম এবং আল্লাহ্ তায়ালার নিকট তুমিই সবচেয়ে প্রিয়ভূমি। আমাকে যদি তোমার বুক থেকে(জোরপূর্বক) বিতাড়িত না করা হতো তবে আমি কখনই (তোমায় ছেড়ে) চলে যেতাম না”।

    (জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৯২৫)

    সুতরাং তাঁদের দিন কীভাবে কাটছে যারা আল্লাহর দ্বীনকে যিন্দা করতে বছরের পর বছর ধরে নিজেদের জন্মভূমি ছেড়ে আছেন? তাঁদেরও কি মনে পড়ে না,শৈশব ও কৈশরের স্মৃতি? বন্ধুদের আড্ডার আসর, গ্রামের মেঠো পথ, খেলার মাঠের কথা কি তাঁদের মনে পড়ে না? পড়ে ভাই পড়ে! কিন্তু আল্লাহর দ্বীনের জন্য দিকে তাকিয়ে তারা সেটাকে বুকে চাপা দেন!!

    প্রিয় ভাই ও বোন! আপনারা কি জানেন তাঁরা এই কুরবানী কেন দিয়ে যাচ্ছেন? কেন তাঁরা নিজেদের পরিবার-পরিজনকে ছেড়ে দুনিয়ার ক্যারিয়ারকে লাথি মেরে কাটায় মোড়ানো এই জিহাদের পথকে বেছে নিয়েছেন? কোন সে দায়িত্ববোধ যা তাঁদেরকে ঘর ছাড়তে বাধ্য করেছে?

    প্রিয় ভাই! তাঁরা এই পথ বেছে নিয়েছেন কারণ তারা জানেন, মুসলিম উম্মাহ খিলাফাহ হারিয়েছে প্রায় শত বছর হতে চলেছে। এই খিলাফাহ ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে সকল মুসলিমের একজন একক আমীর নির্বাচন করে তাকে প্রতিষ্ঠিত করা প্রত্যেকটা মুসলিমের উপরেই ফরজ হয়ে আছে। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের সর্ব স্বীকৃত আকীদাহ হলো, نصب الإمام فرض
    অর্থাৎ, মুসলমানদের কোনো একক আমীর না থাকলে একজন আমীরুল মুমিনীন নির্বাচন করা ফরজ।

    তাঁরা জিহাদের পথ বেছে নিয়েছেন কারণ তাঁরা জানেন, খিলাফাহ ফিরিয়ে আনার জন্য জিহাদের মত গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই।
    তাঁরা এই পথ বেছে নিয়েছেন কারণ তাঁরা জানেন, আমাদের প্রথম কিবলাহ বাইতুল মাকদিস, জায়নিস্ট ইহুদিদের দখলে। আর তা শুধু দু’আর মাধ্যমে উদ্ধার করা সম্ভব নয়। তাঁরা এই পথ বেছে নিয়েছেন কারণ তাঁরা আরো জানেন, অখণ্ড ভারতজুড়ে রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে হিন্দুত্ববাদী ভারত বাংলাদেশী মুসলিমদের উপর ইতিহাসের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালানোর নীল নকশা তৈরী করছে। অচিরেই এই ভূমির মুসলিমদের সাথে নিকৃষ্ট মালাউনদের এক ভয়াবহ যুদ্ধের সূচনা হতে যাচ্ছে৷ ভয়াবহ সেই যুদ্ধের হাত থেকে দেশের উলামায়ে কেরাম, মা-বোন, এবং আপামর জনসাধারণকে রক্ষা করাকে মুজাহিদগণ নিজেদের উপর আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে অর্পিত ফরজ দায়িত্ব মনে করেন।আর এটাই সেই দায়িত্ববোধ যা তাঁদেরকে নিজেদের স্ত্রী-সন্তান, ঘর-বাড়ী ও আত্মীয়-স্বজন ছাড়তে বাধ্য করেছে।

    কিন্তু কষ্টে আমাদের অন্তরগুলো ফেটে যায় যখন শুনতে পাই, উম্মাহর এ সকল শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরকে নিয়ে কুৎসা রটানো হচ্ছে। যখন দেখতে পাই তাদের ত্যাগ ও কুরবানিকে উম্মাহর সামনে থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করা হচ্ছে। তাদের থেকে মুসলিম সমাজকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
    হে আল্লাহ! আমাদেরকে ক্ষমা করুন! আপনার দ্বীনের এই সৈনিকগুলোকে রক্ষা করুন! তাদের এই ত্যাগ ও কুরবানির বদলায় আপনার জান্নাতকে তাদের জন্য প্রস্তুত করে রাখুন! আমীন, ইয়া রাব্বাল আলামীন!!


    লেখক: আব্দুল্লাহ মুনতাসির
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    “আল্লাহ্র ক্বসম!
    এ বানানটি এডিট করে নিলে ভালো হয়।


    লাখ লাখ টাকার কুরবানি কেনা হচ্ছে।
    আর এ বাক্যটি আমার কাছে অস্পষ্ট লাগছে। এমন হলে কেমন হয়। লাখ লাখ টাকা দিয়ে কুরবানির জন্য গরু কেনা হচ্ছে।
    গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

    Comment


    • #3
      আমার মুজাহিদ ভাইদের জন্য আমার মনটা নিরবে কেঁদে যায়।

      Comment


      • #4
        হে আল্লাহ, তোমার পথের এই বান্দাগুলোকে তুমি স্বীয় নিরাপত্তার চাদরে ডেকে নাও। হে আল্লাহ, তুমি তাদের নিন্দুকদের নিন্দা থেকে রক্ষা করো। হে আল্লাহ, এই বান্দাদের সকল দুর্বলতা মুছে দিয়ে তাদেরকে একেবারে তোমার কাছে টেনে নাও। ইয়া রব, তুমি তাদের সমস্ত বিয়োগ বেদনা দূর করে দাও। হে আল্লাহ, তুমি তাদের হকের পথে অটল অবিচল রেখো। হে রব, তাদের সমস্ত আশা আকাঙ্খা পূর্ণ করে দাও। হে আল্লাহ, হয়তো শরীয়াহ নয়তো শাহাদাহ এই দুই পূর্ণ করে তাদের ধন্য করো। ইয়া রব্বানা, তাদেরকে তুমি জান্নাতের সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করো। হে আল্লাহ, আমাদেরকে তাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে নাও।
        হে উম্মাহ, আমরা যেন এই শ্রেষ্ঠ সন্তান আল্লাহর অলীদের কথা কখনো ভুলে না যাই। হে উম্মাহ, হারিয়ে যাওয়ার পূর্বে তাদের ক্বদর করো। তাদের কাছে টেনে নাও। তাদের পরিবার পরিজনের পাশে দাঁড়াও। হে উম্মাহ, জেনে রাখো, এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ত্যাগের বিনিময়ে আল্লাহ তা'আলা আজো পৃথিবীকে আপন অবস্থায় স্থির রেখেছেন। এই জিন্দা দিল মানুষ গুলোর ক্বদর করো। তাঁরা তোমাদের জন্যই নিজেদের পরিবার, ক্যারিয়ারের মায়া ভালোবাসা সব কিছু বিসর্জন দিয়েছেন। তাদের কখনো কট্টরপন্থি, চরমপন্থি গালি দিয়ে দূরে সরিয়ে দিয়ো না। তাদেরকে নিজেদের আপন করে নাও।
        হে মুজাহিদ ভাইগণ, আল্লাহ তা'আলা আপনাদের সর্বোচ্চ প্রতিদান দান করুন। আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন।

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তায়া-লা বন্দি মুজাহিদ ভাইদের বন্দি মুক্তি সহজ করে দিন...ভাইদের পরিবারের সকলকে সবর করার তাওফিক দিন.. হে আল্লাহ আমাদের সকল ভাই-বোনকে ক্ষমা করে দিন..আমাদেরকে জান্নাতের অধিবাসি বানিয়ে নিন..আমিন ইয়া রব্ব।

          Comment


          • #6
            Originally posted by Ibrahim Al Hindi View Post
            এ বানানটি এডিট করে নিলে ভালো হয়।



            আর এ বাক্যটি আমার কাছে অস্পষ্ট লাগছে। এমন হলে কেমন হয়। লাখ লাখ টাকা দিয়ে কুরবানির জন্য গরু কেনা হচ্ছে।
            কুরবানির জন্য পশু কেনা হচ্ছে এমন হলে ভালো হয় ভাইজান!

            Comment


            • #7
              আল্লাহ তাআলা সকল বন্দী বীরকে মুক্তি দান করুন।

              Comment


              • #8
                আল্লাহ তাআলা বন্দি মুজাহিদ ভাইদের উত্তম মুক্তিকে ত্বরান্বিত করুন ও ভাইদের পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করার তাওফীক দান করুন, আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন!
                আমার নিদ্রা এক রক্তাক্ত প্রান্তরে,
                জাগরণ এক সবুজ পাখি'র অন্তরে।
                বিইযনিল্লাহ!

                Comment


                • #9
                  হে আল্লাহ! আমাদেরকে ক্ষমা করুন! আপনার দ্বীনের এই সৈনিকগুলোকে রক্ষা করুন! তাদের এই ত্যাগ ও কুরবানির বদলায় আপনার জান্নাতকে তাদের জন্য প্রস্তুত করে রাখুন! আমীন, ইয়া রাব্বাল আলামীন!!
                  সাহসিকতা আয়ু কমায় না আর কাপুরুষতা আয়ু বৃদ্ধি করে না। জিহাদের মাধ্যমেই উম্মাহ জীবন লাভ করে।

                  Comment


                  • #10
                    আস ছালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতাহূ,,

                    আপনাদের দোয়ায় তাদের শরীক করতে কখনো ভুলবেন না

                    Please don't forget
                    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

                    Comment


                    • #11
                      অফ টপিক! বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ তাই সংশোধনী জরুরী৷

                      মাতৃভূমির জন্য এই দরদ-ব্যাথা স্বয়ং রাসূল ﷺ এর মাঝেও ছিলো। হিজরতের সময় যখন তিনি মক্কা ছেড়ে যাচ্ছিলেন তখন বারবার পিছনে ফিরে তাকাচ্ছিলেন আর বলছিলেন:

                      وَاللَّهِ إِنَّكِ لَخَيْرُ أَرْضِ اللَّهِ وَأَحَبُّ أَرْضِ اللَّهِ إِلَى اللَّهِ وَلَوْلاَ أَنِّي أُخْرِجْتُ مِنْكِ مَا خَرَجْتُ ‏

                      “আল্লাহর ক্বসম! তুমি নিশ্চয় আল্লাহ্ তায়ালার সকল ভূমির মাঝে সর্বোত্তম এবং আল্লাহ্ তায়ালার নিকট তুমিই সবচেয়ে প্রিয়ভূমি। আমাকে যদি তোমার বুক থেকে(জোরপূর্বক) বিতাড়িত না করা হতো তবে আমি কখনই (তোমায় ছেড়ে) চলে যেতাম না”।

                      (জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৯২৫
                      প্রিয় ভাই! রাসূলুল্লাহ ﷺ এর মাতৃভূমি ছিল মক্কা৷ কিন্তু মক্কা থেকে হিজরতের সময় রাসূলুল্লাহ ﷺ আফসোস করে বলেছেন- وَلَوْلاَ أَنِّي أُخْرِجْتُ مِنْكِ مَا خَرَجْتُ ‏
                      যদি আমাকে বের করা না হত আমি বের হতাম না৷

                      কিন্তু এ কথাটা রাসূলুল্লাহ ﷺ কেন বলেছেন? এটা কি মাতৃভূমির প্রতি টান থাকার কারণে রাসূলুল্লাহ সাঃ আফসোস করে বলেছেন? নাকি "মক্কা" আল্লাহর প্রিয় ভূমি হওয়ার কারণে,বাইতুল্লাহর ভূমি হওয়ার কারণে বলেছেন?
                      হাদিসে আগের অংশেই স্পষ্ট আছে মাতৃভূমির টানে না বরং আল্লাহর প্রিয় ভূমি হওয়ার কারণে এ কথা
                      বলেছেন৷ তিনি ﷺ বলেছেন-
                      إِنَّكِ لَخَيْرُ أَرْضِ اللَّهِ وَأَحَبُّ أَرْضِ اللَّهِ إِلَى اللَّهِ

                      মোট কথা রাসূল ﷺ এর মক্কার প্রতি টান ছিল। এবং এটা প্রকাশ করেছেন৷ টান থাকার কারণ মাতৃভূমি হওয়া না,বরং আল্লাহর প্রিয় হওয়ার কারণে৷


                      মাতৃভূমি,আত্নীয়-স্বজন,সন্তান-পিতা-মাতার প্রতি টান,মুহাব্বত এটা স্বভাবজাত বিষয়৷ সাহাবায়ে কেরাম রাঃ এর বিভিন্ন ঘটনায় এর নজীর পাওয়া যায়৷ কিন্তু রাসূল ﷺ হিজরতের সময় যে আফসোস করেছেন এটা মাতৃভূমির প্রতি টান থাকার কারণে না বরং আল্লাহর প্রিয় হওয়ার কারণে৷
                      Last edited by Sulaiman Mahmud; 07-15-2022, 01:56 AM.

                      Comment


                      • #12
                        পোস্টটা প‌ড়ে কান্না চ‌লে আসল।
                        হে আল্লাহ! তু‌মি ভাই‌দের কুরবানীগু‌লো‌কে উত্তমরূ‌পে কবুল কর এবং আমা‌দের‌কে ভাই‌দের পদাঙ্ক অনুসরনকারী বানাও। আমীন।


                        Comment


                        • #13
                          আল্লাহ তায়ালা মুজাহিদ ভাইদের ত্যাগ গুলো কবুল করেন। আমীন
                          আমাদেরও তাঁদের সাথে যুক্ত হওয়ার তৌফিক দান করেন। আমীন

                          Comment


                          • #14
                            আমরা আমাদের বন্দী মুজাহিদ ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াই
                            বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

                            Comment

                            Working...
                            X