Announcement

Collapse
No announcement yet.

আমিরুল মু'মিনিন শাইখুল হাদিস মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদাহ হাফিযাহুল্লাহ’র পক্ষ থে

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আমিরুল মু'মিনিন শাইখুল হাদিস মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদাহ হাফিযাহুল্লাহ’র পক্ষ থে


    مؤسسة الفردوس
    আল ফিরদাউস
    Al Firdaws

    تـُــقدم
    পরিবেশিত
    Presents

    في اللغة البنغالية
    বাংলা ভাষায়
    In the Bengali Language

    بعنوان:
    শিরোনাম:
    Titled:

    بيان أمير المؤمنين الشيخ هبة الله أخند زاده حفظه الله تعالی
    ورعاه بمناسبة حلول عید الأضحی المبارك لعام ١٤٤٢ هـ

    ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের আমিরুল মু'মিনিন
    শাইখুল হাদিস মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদাহ হাফিযাহুল্লাহ’র পক্ষ থেকে
    ১৪৪২ হিজরি'র
    ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা বার্তা

    Message of felicitation of the esteemed
    Amir-ul-Mumineen Sheikh-ul-Hadith Mawlawi Hibatullah Akhundzada (may Allah protect him)
    on the occasion of Eid-ul-Adha





    للقرائة المباشرة والتحميل
    সরাসরি পড়ুন ও ডাউনলোড করুন
    For Direct Reading and Downloading











    روابط بي دي اب
    PDF (432 KB)
    পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৪৩২ কিলোবাইট]










    روابط ورد
    Word (365 KB)
    ওয়ার্ড [৩৬৫ কিলোবাইট]










    روابط الغلاف- ١
    book Banner [1.15 MB]
    বুক ব্যানার ডাউনলোড করুন [১.১৫ মেগাবাইট]










    روابط الغلاف- ٢
    Banner [819 KB]
    ব্যানার ডাউনলোড করুন [৮১৯ কিলোবাইট]










    ************
    مع تحيّات إخوانكم
    في مؤسسة الفردوس للإنتاج الإعلامي
    আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
    আল ফিরদাউস মিডিয়া ফাউন্ডেশন
    In your dua remember your brothers of
    Al Firdaws Media Foundation


    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    .....................................
    গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

    Comment


    • #3
      আলহামদুলিল্লাহ্ আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ আমাদের আমির কে হিফাযত করুন

      Comment


      • #4
        শুক রান জাযিলা!
        আমিরুল মুমিনীন হাফিঃ কে না দেখলেও উনার কথাগুলো পড়তে পারছি আলহামদুলিল্লাহ!
        জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
        পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তায়া-লা মিডিয়ার ভাইদের প্রতি রহম করুন..ভাইদের মেহনতে বার্তাটা পেলাম আলহামদুলিল্লাহ্।

          Comment


          • #6
            বিদেশী শক্তি প্রত্যাহারের পর আমেরিকা সহ বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোর সাথে আমরা পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে শক্তিশালী কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই, যা সকলের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।
            কাফের রাষ্ট্রসমূহের সাথে কূটনৈতিক, অর্ধনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ার ব্যাপারে শরয়ী ফায়সালা কী? এই ব্যাপারে কোনো মুহতারাম ভাই দালীলিক আলোচনা করলে খুব উপকার হতো।

            আমরা আঞ্চলিক প্রতিবেশী এবং বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোকে আশ্বস্ত করছি যে, অন্য কোনও রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয় এমন কোন কাজের ক্ষেত্রে আমরা আফগানের ভূমি ব্যবহার করার অনুমতি কাউকে দিব না


            কোনো সমরবিদ ভাই উক্ত কথার ব্যখ্যা করলে খুব উপকার হতো।
            বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
            কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

            Comment


            • #7
              প্রিয় ভাই, ইসলাম এক শাশ্বত জীবন ব্যবস্থা। যা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ন্যায়ের বিধান দিয়েছেন। ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় জীবন পর্যন্ত সকল স্থানে রয়েছে তার অবাধ বিচরণ। এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে ইসলাম কোনো সমাধান দেননি। ইসলামের রয়েছে স্বতন্ত্র পররাষ্ট্র নীতি। এতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে হারবী কাফিরদের সাথে কেমন আচরণ হবে? জিম্মীদের সাথে কেমন আচরণ হবে? চুক্তিবদ্ধ কাফিরদের সাথে কেমন আচরণ হবে? ইত্যাদি।
              সর্বপ্রথম একটি কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, তাহলো তালিবান মুজাহিদ গণ চুক্তির শুরু থেকে বলে আসছেন যে, এই চুক্তি শরীয়াহর সকল নির্দেশনা মেনে করা হয়েছে। এতে শরীয়াহ বিরোধী কোনো কিছুর আশ্রয় নেওয়া হয়নি। তাই আমরা আশ্বস্ত থাকতে পারি মুজাহিদ গণ শরীয়াহ সম্মত কাজ করছেন। তথাপি একটু ইতমিনানের জন্যই এই প্রশ্নের উদয়। তাই সংক্ষেপে কিছু কথা পেশ করছি। ইনশাআল্লাহ মুজাহিদগণের ব্যাপারে সন্দেহের ঘোর কেটে যাবে। আল্লাহ তা'আলা আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন।
              কাফের রাষ্ট্রসমূহের সাথে কূটনৈতিক, অর্ধনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ার ব্যাপারে শরয়ী ফায়সালা কী? এই ব্যাপারে কোনো মুহতারাম ভাই দালীলিক আলোচনা করলে খুব উপকার হতো।
              সম্মানিত ভাই, প্রতিটি চুক্তিবদ্ধ কাফের রাষ্ট্রের সাথে ন্যায়, সহমর্মিতা, সহযোগিতা এবং ভালো কাজে পরস্পর সহযোগিতা করা ও মন্দ কাজে প্রতিরোধ করা এটাই ইসলামের নির্দেশ। তাই আমরা আমাদের আলোচনা তিনটি ভাগে ভাগ করবো।
              ১. عدل (ন্যায় ) ইসলাম সর্বাবস্থায় মুসলিমদের ইনসাফের নির্দেশ দেয়। অর্থাৎ চুক্তির সমস্ত শর্ত মেনে চলা, তাদের প্রতি কোনো অবিচার না করা। আল্লাহ তা'আলার নির্দেশ,
              يا أيها الذين آمنوا كونوا قوامين بالقسط شهداء لله ولو على أنفسكم أو الوالدين والأقربين
              হে ঈমানদারগণ, তোমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠাকারী হয়ে যাও। তোমরা আল্লাহর জন্য সাক্ষ্য প্রদানকারী হয়ে যাও। যদিও তা তোমাদের অথবা পিতা মাতা কিংবা আত্মীয় স্বজনের বিপক্ষে হয়। সূরা নিসা : ১৩৫
              আল্লাহ তা'আলার ইরশাদ,
              وأوفوا بالعهد إن العهد كان مسؤولا
              তোমরা তোমাদের অঙ্গীকার পূর্ণ করো। নিঃসন্দেহে তোমরা নিজেদের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। সূরা ইসরা : ৩৪
              চুক্তি অবস্থায় অঙ্গীকার পূরণ, সদাচরণের ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর আসহাব এবং পরবর্তী সালাফ গণের অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে। কিছু তুলে ধরা হলো।
              ১. হযরত হুযায়ফা রাঃ ও তাঁর পিতা মদিনার দিকে রওনা হলেন। পথিমধ্যে কাফেররা আটকে ফেলল। তখন কাফেরদের থেকে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুক্তি পান যে, তারা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন না। অতঃপর তারা মদিনায় পৌঁছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ঘটনার ইতিবৃত্ত সব কিছু শুনালেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে যুদ্ধ থেকে বিরত রাখেন। এবং বলেন, "তোমরা ফিরে যাও। আমরা তাদের সাথে আমাদের অঙ্গীকার পূর্ণ করবো এবং আমরা তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর সাহায্য কামনা করি।" ( সহীহ মুসলিম তাকমিলায়ে ফাতহিল মুলহিম সহ, কিতাবুল জিহাদ : ৩/১৮৮)
              সুতরাং প্রিয় ভাই, ইসলাম অঙ্গীকার পূর্ণ করতে অনেক তাগিদ দিয়েছে। তাছাড়া আবূ বাসীর রাঃ ও আবূ রাফে' রাঃ এর ঘটনা উল্লেখযোগ্য যে, তারা ইসলাম গ্রহণ করে মাদীনায় আসলে তাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফিরিয়ে দেন এই বলে যে, আমি চুক্তি ভঙ্গ করতে পারবো না। তাই সেই হিসেবে তালিবান মুজাহিদ গণের উপর আবশ্যক হলো এই চুক্তির শর্তাবলী পরিপূর্ণ আদায় করা।
              ২. المواساة সহযোগিতা ও সহমর্মিতা প্রদর্শন করা। চুক্তিবদ্ধ রাষ্ট্রগুলোর সাথে ইসলাম সহযোগিতা ও সহমর্মিতার আচরণ করতে নির্দেশ দিয়েছে । আল্লাহ তা'আলার ইরশাদ,
              لا ينهاكم الله عن الذين لم يقاتلوكم في الدين ولم يخرجوكم من دياركم أن تبروهم وتقسطوا إليهم إن الله يحب المقسطين
              যারা তোমাদের সাথে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে তোমাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়নি আল্লাহ তোমাদের তাদের সাথে সদাচরণ করতে এবং তাদের প্রতি ইনসাফ করতে নিষেধ করেন না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন। সূরা মুমতাহিনাহ : ০৮
              তাছাড়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এধরনের অনেক ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। যেমন, মক্কাবাসী দুর্ভিক্ষে পতিত হলে আবু সুফিয়ান রাঃ নবীজির দরবারে উপস্থিত হয়ে বলেন, হে মুহাম্মদ তোমার ক্বওম তো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে! আল্লাহর কাছে দোয়া করো যাতে দুর্ভিক্ষ কেটে যায়। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের জন্য বৃষ্টি প্রার্থনা করলেন। ফলে তাদের উপর বৃষ্টি বর্ষন হলো এবং দুর্ভিক্ষ শেষ হয়ে গেলো। (বুখারী : ৪৭২১-৪৭২৪ পর্যন্ত)
              ৩. التعاون على الخير ودفع الشر অর্থাৎ ভালো কাজে সহায়তা করা। মন্দ কাজে বাঁধা দেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা। ইসলাম শরীয়ার গন্ডিতে থেকে এই প্রত্যেকটি বিষয়ের অনুমোদন দেয়। আল্লাহ তা'আলার ইরশাদ,
              يا أيها الذين آمنوا لا تحلوا شعائر الله..... إلي آخر الآية
              হে মুমিন সমাজ তোমরা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অসম্মান করো না।.... ( সূরা মায়েদা : ০২)
              মুফাসসিরিনে কেরাম বলেন, যখন মুশরিরকরা নবীজিকে হুদাইবিয়ার সময় উমরা করতে বাঁধা দেয় তখন কিছু সাহাবী চেয়েছিলেন এই সন্ধি অবস্থায় কাফেরদের হজ করতে বাঁধা দিবেন। তখন আল্লাহ তা'আলা এই আয়াত অবতীর্ণ করেন। সুতরাং এই আয়াত থেকে বুঝা যাচ্ছে, কল্যাণকর কোনো কাজে বাধা দিতে নেই।
              তাছাড়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিলফুল ফুযুলের ঘটনা তো সকলের জানা। যার ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইসলাম আসার পরে বারবার বহু হাদীসে স্বীকৃতি দিয়েছেন। যার থেকে বুঝা যায় ইসলামের গন্ডিতে থেকে ভালো কাজের সহায়তা করা যেতে পারে। আল্লাহু আ'লাম।
              তো প্রিয় ভাই আমরা উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝতে পারি যে, ইসলাম চুক্তিবদ্ধ কাফেরের সাথে ন্যায়ের নির্দেশ দেয়। সৌজন্য ও সহমর্মিতা র বাণী শোনায়।
              প্রিয় ভাই আশা করি তালিবান মুজাহিদ গণের ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়েছে। তারপরও অস্পষ্ট থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন।
              আর মুহতারাম ভাইয়ের দ্বিতীয় বিষয়টির ব্যাপারে আমি নিজ থেকে কিছু না বলে তালিবান মুজাহিদগণের প্রকাশিত শরীয়ত ম্যাগাজিন থেকে সামান্য কিছু অংশ তুলে ধরছি। নিম্নে সেই অংশটি তুলে ধরা হলো,
              ایک اور توجہ طلب بات یہ ہے کہ " افغانستان میں ہر شخص کا داخلہ ممنوع ہوگا جو امریکا کے لیے خطرہ ہو"۔

              یہ بات اپنوں پر بھاری اور شاید اپنوں کی طرف سے اعتراض کاسبب بنے۔

              ہم نے صلح حدیبیہ کے تمام مادوں کا ذکر کرلیا ہے ۔ ان میں سے ایک مادہ تقریبا اسی طرح ہے۔ حتی کہ وہ اس مادے سے بھی زیادہ سخت اور بھاری محسوس ہوتا ہے۔ جس میں کہا گیا ہے کہ : اگر کفار کی جانب سے کوئی مسلمانوں کے پاس آئے گا تو مسلمان اسے واپس بھیج دیں گے اور اسے اپنے یہاں قیام کی اجازت نہیں دیں گے۔ اور اگر کوئی شخص مسلمانوں میں سے کفار کے پاس جائے گا تو کفار اسے واپس مسلمانوں کے پاس نہیں بھیجیں گے۔

              یہ بات اس وقت بھی مسلمانوں کے لیےباعث تعجب تھی لیکن جب رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم نے اس بارے میں مختصر تبصرہ کیا اور فرمایا: جو ہم سے ان کے پاس جائے گا وہ اللہ کی رحمت سے دور ہوا۔ اور جو شخص ان میں سے ہمارے پاس آئے گا تو اللہ ضرور ان کے لیے کوئی راستہ بنائے گا۔

              بعد میں ابوبصیر رضی اللہ عنہ اور اس کے ساتھیوں نے ثابت کیا کہ مدینہ سے باہر بھی مسلمان زندگی گزار سکتے ہیں۔ بلکہ ابو بصیر کا معسکر اتنا مضبوط ہوا کہ بعد میں کفار حضور صلی اللہ علیہ وسلم سے درخواست کرتے رہے کہ ابوبصیر اور ان کے ساتھیوں کو مدینہ بلا لو ہم اس مادے سے دستبردار ہوتے ہیں۔

              یہاں بھی تاریخ خود کو دہرائی گی۔ اس کا سب سے بڑا فائدہ یہ ہوگا کہ دنیا کے مسلمان ، اسلام پسند تحریکوں کے افراد صرف امارت اسلامیہ کی کامیابی پر آراام سے نہیں بیٹھیں گے بلکہ دنیا کے ہر کونے میں جہادی معسکرات کا آغاز ہوگا۔ اور ابوبصیر کی طرح کئی دور دراز علاقے عظیم جہادی معسکرات میں تبدیل ہوجائیں گی۔جہاں سے آزادی اور اسلامی نظام کے نفاذ کی تحریک چلے گی۔جس سے دو فائدے ہوں گے۔ پہلی یہ کہ اسلامی اور جہادی تحریکوں کے نام پر کئی محاذ کھلیں گے۔جس کی وجہ سے کفری اتحاد کی توجہ تقسیم ہوگی۔ دوسرا فائدہ یہ ہوگا کہ امارت اسلامیہ افغانستان پر بیرونی دنیا کا دباو کم ہوجائے گا۔ اور افغانستان ایک اسلامی ماحول میں جلد ترقی کر جائے گا۔
              "যার সার কথা হলো পঞ্চম শর্তটি তথা আমেরিকা ও তার মিত্রদের জন্য হুমকি এমন কোনো ব্যক্তিকে আফগানিস্তানে সুযোগ দেওয়া হবে না এই ব্যাপারে আমাদের নিজেদের পক্ষ থেকেও প্রশ্ন উঠছে এবং ভারি মনে হচ্ছে। তাই এই ক্ষেত্রে আমরা বলবো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হুদাইবিয়াতে তার চেয়ে আরো কঠিন শর্ত মেনে নিয়েছেন। আর বলেছেন, যে আমাদের থেকে চলে গেল সে আল্লাহর রহমত থেকে দূরে সরে গেল আর যে আমাদের কাছে আসলো আল্লাহ তার জিম্মাদার হয়ে যাবেন। তারপর আমরা সকলে জানি আবু বাসীর রাঃ এর ঘটনা। তাকে আল্লাহ তা'আলা সাহায্য করেছেন। সুতরাং আজকেও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে ইনশাআল্লাহ। এখন আফগান ভূমি ব্যবহৃত না হওয়ার পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে প্রান্তে জিহাদের দূর্গ গড়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। " শরীয়ত ম্যাগাজিন ১০১ সংখ্যা

              প্রিয় ভাই আশা করি সন্দেহ দূর হয়েছে। তথাপি সন্দেহ থেকে থাকলে নিজ মাসউল ভাইয়ের সাথে পরামর্শ করে সমাধান করে নেওয়ার নিবেদন। ফিতনার এই ক্ষণে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়ার আবেদন। আল্লাহ তা'আলা তাওফীক দান করুন। আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন।
              وما توفيقي إلا بالله عليه توكلت وإليه أنيب والسلام عليكم ورحمة الله وبركاته


              Comment


              • #8
                আমাদের জন্য উচিত হবে না দূর থেকে বসে বসে কলমের খোচাই ভাইদের সামনে এমন এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া যা তাদের জন্য পীড়াদায়ক! আফগানে এমন এমন মুজাহিদ ভাই আছেন যারা আমাদের থেকে ফিকহী বিষয়ে হাজারো গুন বেশি বুঝেন। তাছাড়া ময়দানে উনারা আছেন, আমরা আছি কুফরি শাসনব্যবস্থার অধীনে। আল্লাহ আমাদের বুঝার তাওফিক দান করুন, আমীন।
                ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                Comment


                • #9
                  তালেবান এর গোমড়াহি!
                  প্রথমত,ভাইয়েরা কেউ আমার এই কথাগুলো, তালেবান এর চুক্তির সাথে এড করবেন না,কারণ আমার দেওয়া বেশিরভাগ তথ্য গুলোই তাদের চুক্তির অনেক আগের।আর যেগুলো মোল্লা উমর মুজাহিদ এর নামে প্রকাশ করা হয়েছে,তাতো অবশ্যই শান্তিচুক্তির অনেক আগের। আমি লক্ষ্য করেছি,এক ভাই আমার এই কথাগুলো শান্তিচুক্তির সাথে এড করছে, এবং মনে করছে, আমি মোল্লা উমর এর কথাগুলো যেন শান্তি চুক্তির পরে বলেছে, বলে বলছি! অথচ মোল্লা উমরের কথা গুলো শান্তিচুক্তির অনেক আগের!! তিনি তো মারা গেছেন, অনেক আগে!
                  তালেবান এর গোমড়াহি
                  ১) তালেবান কেন তাগুত শাসকদের , মুসলিম বলে?
                  • ইমারত থেকে বলা হয়েছে, “আফগানিস্তানের ইসলামিক ইমারত সকল দেশের মুসলিম(!?) শাসকদের আহবান করছে, যেন তারা আল-আকসা মসজিদ রক্ষা করতে, আমেরিকান স্বার্থ রক্ষা করতে নয়, এবং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ইসলামী ও মানবিক দায়িত্ব পালন করে মুসলিমদের প্রথম কিবলার উপর ইসরাইলী আক্রমণ প্রতিরোধ একটি ইসলামী ঐক্যজোট তৈরি করেন করতে। ইসলামি দেশের শাসকদের এটি একটি কর্তব্য যেন তারা তাদের মতবিরোধ পাশে রাখেন এবং আল-আকসা মসজিদকে রক্ষা করার দায়িত্ব কাঁধে নেন। (ইহুদিদের আল-আকসা মসজিদ দখল করার ব্যাপারে আফগানিস্তানের ইমারতের বার্তা)
                  ২) তালেবান তাদের মুশরিক রাফিদা ভাইদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে, মুসলিমদের হত্যা করে!!
                  উসমান গাজি আইএমইউ(IMU) এর পক্ষ থেকে ২০১৫ সালে ইসলামিক স্টেটের প্রতি বাইয়াতবদ্ধ হয়েছিলেন।

                  বাইয়াত হওয়ার আগে, তারা রাফেজী সম্প্রদায়ের কিছু ব্যক্তিকে অপহরণ করেছিল, যেন এদের পরিবর্তে আফগানিস্তানের জাবুলের মুর্তাদ সরকার মুজাহিদিনদের পরিবারের কিছু সদস্যকে মুক্তি দেয়।

                  আফগান সরকার বন্দিদের মুক্তি দেয় নি, তাই তারা তাদের দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে না জানিয়েই রাফেজীদের ৭ জন পুরুষ, মহিলা এবং শিশুদের একটি দলকে হত্যা করে। কাবুলে রাফেজীদের হত্যার খবর প্রকাশ হওয়ার পর, রাফেজী বাহিনীর সাথে তালেবানরা মিলিত হয়ে উজবেকিস্তানের মুহাজিরিন এবং আনসারদের বিরুদ্ধে এক সম্মিলিত অভিযান পরিচালনা করে, তাদেরকে পাকড়াও করে এবং তাদের স্ত্রী, সন্তানসহ তাদেরকে হত্যা করে, এই সব কিছু কেবল ৭ জন রাফেজীর জন্য? অথচ মুশরিকদের জন্য কোন প্রতিশোধের বিধান নেই!

                  ক্রুসেডাররা আইএমইউ এর জিহাদীদের ধ্বংস করার জন্য ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছিল কিন্তু তারা সফল হয় নি, অন্যদিকে তালেবানরা তাদের রাফেজী ভাইদের সাথে মিলে মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই তা করতে সমর্থ হয় এবং এমনকি তারা তাদের অফিশিয়াল ইংরেজি সাইটে গর্বের সাথে এই খবরও প্রকাশ করে।https://ibb.co/YZWPjZw
                  ৩) তালেবান ভবিষ্যতে তাগুতদের সর্দার আমেরিকার বন্ধু হতে চায়!
                  • এখানে দেখুন- https://youtu.be/KafvUw7hwco
                  ৬ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মস্কো, রাশিয়ায় তালেবান মুখপাত্র শের মোহাম্মাদ আব্বাস স্ট্যানিকযাই এর একটি সাক্ষাৎকার বিবিসি তে প্রচারিত হয়।
                  সাংবাদিকঃ এখন আমি আপনাকে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে যাচ্ছি হয়তো আপনি তা আশা করছেন না "কেন আলোচনায় অংশগ্রহণ করছেন? যুদ্ধ চলিয়ে যাবেন না কেন”?

                  আব্বাস স্ট্যানিকযাইঃ আমরা জানি যে আমদের ইতিমধ্যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, অতীতে অভিজ্ঞতাও আছে। তাই সমগ্র দেশ দখল করে, পুরো দেশ বলপূর্বক ক্ষমতায় নিয়ে গেলে কাজ হবে না। কারণ এটি আফগানিস্তানে শান্তি আনবে না। আমরা সম্পূর্ণ সামরিকভাবে একটি বিজয় চাই না। তাই আমরা একটি শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে টেবিলে বিষয়গুলো সমাধান করতে চাচ্ছিলাম। যাতে বিদেশি বাহিনীর প্রত্যাহারের পর আফগানদের মধ্যে কোন যুদ্ধ না হয়। সেখানে চিরস্থায়ী শান্তি থাকবে।
                  সাংবাদিকঃ এবং এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বৈধতার ইস্যু। আপনি কি মনে করেন যদি আপনারা শান্তিপূর্ণ সমাধান নিয়ে আসেন তবে ভবিষ্যতে সরকারের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে ভাল সম্পর্ক গড়ে তোলা আরও সহজ হবে? শেষবার শুধুমাত্র কয়েকটি মুষ্টিমেয় দেশ তালিবানদের স্বীকৃত দেয়।

                  আব্বাস স্ট্যানিকযাইঃ আমরা এটাই চাই। যদি ভবিষ্যতে আফগানিস্তানে সরকার আসে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ সেই সরকারকে সমর্থন দেয়, আমি খুবই আশাবাদী যে এটি সমগ্র বিশ্বের স্বীকৃতি পাবে। এবং এর ভাল সম্পর্ক থাকবে বিশেষভাবে প্রতিবেশীদের সাথে, পার্শবর্তী অঞ্চলের সাথে, সারা বিশ্বের সাথে। এমনকি আমেরিকার সাথে। আমরা আমেরিকাকে বলেছি, আমরা খলিলযাদ ও তার টিমকে বলেছি যে আমরা আফগানিস্তান থেকে আপনাদের বাহিনী প্রত্যাহার চাই কিন্তু আমরা ভবিষ্যতে আপনাদের বন্ধু হতে চাই। তাই আমেরিকানদের আফগানিস্তানে ফিরে আসা উচিৎ এবং আমাদের সাথে কাজ করা এবং আফগানিস্তানের পুনর্বাসন ও পুনর্গঠন করা উচিৎ।
                  ৪) তালেবান কেন মুরতাদ এর জন্য দোয়া করে? না,এটা হেদায়েতের দোয়া না!
                  • মোল্লাহ উমার বলেছেন, “অনুরূপভাবে, আমরা বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি মহামান্য (!?) কাতারের আমীর, শায়খ তামিম ইবন হামিদ ইবন খালিফাহ আল-সানিকে তার আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য ও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তার সফল ভূমিকার জন্য, পূর্বে বর্নিত নেতাদের রেহাই পাওয়ার ব্যাপারে এবং তাদেরকে আপ্যায়ন করার জন্য। আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি যেন তিনি মহামান্যকে এই দুনিয়াতে উত্তম প্রতিদ প্রতিদান করেন এবং পরকালে মহাপুরস্কার প্রদান করেন”। (গুয়ান্তানামো কারাগার থেকে মুজাহিদীন নেতাদের রেহাই পাওয়ার ব্যাপারে অভিনন্দন বার্তা)
                  • ইমারত থেকে আরও বলা হয়, “এবং এটা উল্লেখ করা উচিৎ, আমরা আমাদের ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই আমাদের ভাতৃ-প্রতীম কাতার এবং এর সম্মানিত আমির, মহামান্য(!?) শায়খ হামিদ ইবন খালিফাহ্ আল-সানিকে আল্লাহ তাঁকে হেফাযত করুন তার দেশে ইসলামিক ইমারতের একটি রাজনৈতিক কার্যালয় খুলতে রাজি হওয়ার জন্য এবং এর সাথে সম্পৃক্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করার জন্য” (কাতারে আফগানিস্তানের ইমারতের রাজনৈতিক কার্যালয় খোলার ব্যাপারে বার্তা)।
                  ৫) কেন তারা দারুল কুফরের সাথে সম্পর্ক করতে চায়? জিহাদ তো দূরের কথা!
                  • মোল্লাহ উমার আরও বলেছেন, “আফগানিস্তানের ইসলামিক ইমারত বহির্বিশ্বের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে চায় আর বিশেষভাবে মুসলিম বিশ্বের সাথে এবং প্রতিবেশী(!?) দেশের সাথে ইসলামিক শিক্ষা ও জাতীয় স্বার্থের আলোকে পারস্পরিক সম্মান এবং পারস্পরিক সার্থের পরিবেশ বজায় রাখতে চায়। এটা কারো কোন ব্যাপারে নাক গলাতে যায় না এবং অন্যদেরকে এর বিষয়ে নাক গলাতে দেয় না। ইসলামী ইমারত বিশ্বকে নিশ্চিত করছে যে, এর ভূমি কাউকে অন্যের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেয় না, অনুরূপভাবে, প্রকাশ্য ভাবে ঘোষণা দিচ্ছে যে, এটা ইসলাম ধর্মের শিক্ষার আলোকে এবং আমাদের জাতীয় সার্থের আলোকে সকল আন্তর্জাতিক আইনসমূহ ও চুক্তিকে সম্মান করে। আমরা অভিনন্দন জানাই ঐ সকল সরকার যারা গণ-বিপ্লবের পরে ক্ষমতায় এসেছে এবং আরবদেরকে তাদের নতুন জীবন ও অবস্থার প্রতি এবং আমরা তাদের অগ্রগতি, উজ্জ্বল ভবিষ্যত এবং তাদের জীবনে ইসলামী শিক্ষার আনুগত্যের জন্য দুয়া করি”। (১৪৩৩ সনের বরকতময় ইদ-উল-ফিতর উপলক্ষে একটি বার্তা)

                  • ইমারত থেকে আরও বলা হয়, “ইসলামিক ইমারত বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির সাথে এবং অঞ্চলের অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এবং পারস্পরিক সম্মান অনুযায়ী কাজ করতে চায়। ইসলামী ইমারত পূর্বে কারো ক্ষতি করেনি, এখনও করে এবং ভবিষ্যতেও করবে না। অনুরুপভাবে, এটা কাউকে আফগানের ভূমিকে অন্য কারো বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেয় না”। (ফ্রান্সের গবেষণা সম্মেলনে ইমারতের ঘোষণাপত্র)

                  • ইসলামী ইমারতের আনুষ্ঠানিক মুখপাত্র বলেন, “সম্প্রতি অঞ্চলের কিছু রাষ্ট্র- ইন্ডিয়া, চীন ও রাশিয়া- উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, যদি আমেরিকান বাহিনীকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং তারা এ অঞ্চল পরিত্যাগ করে, তাহলে এ অঞ্চলে একটা অস্থিরতার পরিস্থিতি তৈরি হবে এবং এ অঞ্চলের রাষ্ট্রসমূহ আফগানিস্তান থেকে হুমকির সম্মুখীন হবে। আমরা এরূপ উদ্বেগকে পশ্চিমা গোয়েন্দা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার নেতিবাচক প্রভাব হিসেবে দেখছি এবং আমরা এ অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোকে অনুরোধ করছি, যেন তারা নিজেদের জন্য তথ্য নিরূপণ করে নেন এবং বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে বার্তা প্রচার করেন। ইসলামিক ইমারত জবাবদিহিতার ভুমিকায়, সবাইকে নিশ্চিত করছে যে, আফগানিস্তান থেকে এ অঞ্চলের কোন রাষ্ট্রের প্রতি বা কোন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি কোন প্রকার ক্ষতি আসবে না(!?)। আমরা আমাদের জাতির জন্য এবং এ অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে চাই (এ অঞ্চলের কিছু রাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রসঙ্গে ইমারতের মুখপাত্রের মন্তব্য)।
                  ৬) মুশরিক শিয়াদের মুসলিমদের ভাই বলে?
                  • মোল্লা ওমর বলেছেন, “এটা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য দায়িত্ব যে, সে এই ধূর্ত শত্রুর সর্বপ্রকার অভিশপ্ত চক্রান্তসমূহকে ব্যাহত করে এবং তাকে মুসলিমদের মধ্যে বিভাজনের আগুন জালানোর সুযোগ না দেয়। আমেরিকানদের কর্মপন্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ইরাকের মুসলিমদেরকে শ্রেণীবিভক্ত করা, শিয়া এবং সুন্নি আখ্যায়িত করার মাধ্যমে এবং আফগানিস্তানে পাশতুন, তাজিক, হাযারী ও উজুবেক এর মাধ্যমে, করে গণআন্দোলনের ও তার সাথে সশস্ত্র প্রতিরোধের জোর ও কাঠিন্য হ্রাস পায়।[…] অতএব, আমি ইরাকের ভাইদেরকে অনুরোধ করছি। শিয়া ও সুন্নীর নামে যে পার্থক্য রয়েছে তাকে পেছনে রেখে দখলদার শত্রুর বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়তে, কারণ বিজয় একতা ছাড়া সম্ভব নয়”। (ইরাক ও আফগানিস্তানের মুজাহিদ জাতির প্রতি বার্তা)
                  তারা দাবি করে আমেরিকানদের নীতি হচ্ছে মুসলমানদের শিয়া এবং সুন্নি এই দুই ভাগে বিভক্ত করা এবং তারা মনে করে রাফেজীদের সাথে ঐক্যের মাধ্যমেই কেবল বিজয় সম্ভব। অথচ যারা কিনা আল্লাহর সাথে শির্কে লিপ্ত এবং উম্মুল মুমিনিনদের উপর অপবাদ আরোপ করে এবং সাহাবা (রাঃ) দের উপরও, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

                  https://ibb.co/QYB96ND
                  ৩ নাম্বার পয়েন্টে দেখুন, কিভাবে তারা রাফেজীদের আলেম এবং নেতাদেরকে আহবান করছে, যেন তারা তাদের জনগণকে এই নিশ্চয়তা দেয় যে শিয়া এবং সুন্নিদের মধ্যে কোন দ্বন্দ নেই। সুবহানাল্লাহ আহলুল সুন্নাহর বিরুদ্ধে কত জঘন্য মিথ্যাচার, আহলুল সুন্নাহ এবং শির্কে লিপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সবসময় শত্রুতা থাকবে, যতক্ষণ না তারা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে।
                  • ইমারত থেকে বলা হয়েছে, “সুতরাং এর উপর ভিত্তি করে ইসলামী ইমারত, সঙ্গতিপূর্ণ এবং যুক্তিসম্মত পররাষ্ট্র নীতির আলোকে পারস্পরিক সম্মান, সমতা এবং একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের ওপর হস্তক্ষেপ না করার মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছে অঞ্চলের রাষ্ট্রসমূহের সাথে ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে। ইমারত রাজনৈতিক সম্পর্কের পরিমণ্ডলকে আরও বর্ধিত করতে চায়, এবং ইরানের অনুরূপভাবে বিশ্বের সাথে প্রসারিত হতে চায়। ইসলামিক রাষ্ট্র ইরানের সাথে আমাদের সম্পর্ক হল সেই শিকলের একটি আংটা। অনুরোধ এবং আহবান, ইসলামি ইমারতের রাজনৈতিক কার্যালয় প্রধানের প্রতিনিধিদল ও ও সহায়ককে সাথে নিয়ে সাক্ষাৎ করা এবং ইরানী কর্মকর্তাদের ইতিবাচক আলোচনা এ সবই হল যে ইসলামী ইমারতের সঠিক, বিচক্ষণ, যুক্তিসঙ্গত এবং স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতির স্পষ্ট প্রমাণ। অধিকন্তু, প্রতিনিধি দলের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির প্রচেষ্টা এবং আফগান অভিবাসীদের বিষয়টিকে নিয়ে তাদের আলোচনা করা এটাই প্রমাণ করে যে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার মূখ্য ও প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল আফগান জাতির ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা পুরণ করা এবং জাতির সর্বোচ্চ স্বার্থ অর্জন করা ছাড়া আর কিছু নয়। ইরান একটি ইসলামিক জাতি, যার আফগানিস্তানের সাথে সীমান্ত রয়েছে, এর মধ্যে ২ মিলিয়নের বেশি আফগানরা আছেন, এর কাছে অনেক প্রাকৃতিক তেল রয়েছে এবং তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল, এর একটি সমুদ্র সৈকত রয়েছে এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতি এই অঞ্চলের মধ্যে এবং সমগ্র বিশ্বে। এসব স্বার্থই এই দুই দেশকে একত্রে আনে এবং একে অপরের সাথে ভাল ব্যবহার করতে বাধ্য করে সাধারণ জনগনের স্বার্থে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বন্ধনকে অটুট রাখতে (ইমারতের পররাষ্ট্রনীতি জাতির সর্বোচ্চ স্বার্থকে চিত্রিত করে)
                  • ইমারত থেকে আরও বুলা হয়েছে, “ফারস সংবাদ-প্রতিষ্ঠান একটি সংবাদ প্রচার করেছে ইসলামী ইমারতের প্রতিনিধিদলের ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের সাথে সাক্ষাত করার ব্যাপারে, এবং ইসলামী ইমারত এই সংবাদকে নিশ্চিত ও সমর্থন করছে। সম্প্রতি, ইসলামী ইমারতের রাজনৈতিক শাখার প্রধান দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিনিধিদল ইরানের রাজধানী তেহরানে তিন দিনের সফরে যান। এ সফরের উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা এবং প্রতিনিধিদল ফিরে এসেছেন উপরোক্ত বিষয়ের উপর আলোচনার পর। […] সফরকালীন অবস্থায়ু, যা ইরানী সরকারের আনুষ্ঠানিক আহ্বানের মাধ্যমে হয়েছিল, ইসলামী ইমারত সাধারণ লোকজন ও মুজাহিদীনদের বার্তা ও প্রয়োজনের কথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদল সমূহের কানে পৌঁছে দিতে সফল হয়েছে। তারা ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য প্রদান এবং বিভিন্ন বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা করেছেন।[…] আমাদের অবশ্যই এটা বলা উচিত যে ইসলামি ইমারত সর্বদা এ অঞ্চলের রাস্ট্রসমূহের সাথে ও বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে পারস্পরিক সম্মান কাঠামোর আলোকে সম্পর্ক অটুট রাখতে চেয়েছে এবং এ ব্যাপারে এখনও কোন ব্যতিক্রম নেই”। (আল-কারি মুহামামদ ইউসুফ আহমাদির বক্তব্য, ইসলামি ইমারতের ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের সাথে সাক্ষাতের ব্যাপারে)
                  ৭)জাতিয়তাবাদী উৎসব পালন করে!!
                  Last edited by আবু আব্দুল্লাহ; 07-26-2021, 08:01 AM.

                  Comment


                  • #10
                    অনেক সুন্দরভাবে বার্তাটি লিখেছেন। চিন্তাশীলদের জন্য রয়েছে চিন্তার খোরাক...........
                    গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

                    Comment


                    • #11
                      প্রিয় আব্দুল্লাহ ভাই, আপনিই আল ফিরদাউসের কমেন্টে হুবহু এই পোস্টটি করেছেন। যাতে আপনি বলেছেন যে, আপনি মনে করেন তালিবান মুরতাদ। আর আল ফিরদাউসের কমেন্টে আপনার সেই মন্তব্য / এখানে এই কমেন্ট হক জানার জন্য হয়ে থাকলে আপনি আরো নমনীয়তা প্রদর্শন করতেন। আপনার সেই কমেন্টের উপর ভিত্তি করে আমি যুদ্ধ বিরতি চুক্তি নামে পোস্টটি লিখেছি।
                      আর আমি নিশ্চিত যে, আপনিই আল ফিরদাউসের কমেন্ট বক্সে হুবহু এই কমেন্টটি তুলে ধরেছেন। আর নিশ্চিত আপনি আইসিস মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত। আল ফিরদাউসে আপনার আরো কিছু কমেন্ট থেকে বুঝা যায় আপনি তালিবান মুজাহিদীন সম্পর্কে কিছুই জানেন না। আপনি সেখানে বলেছেন, তালিবান কি ইসলামী শরীয়াহ দ্বারা শাসন পরিচালনা করে? আপনার এই প্রশ্ন বুঝায় যে, আপনি বৈশ্বিক জিহাদ, মুজাহিদীন সম্পর্কে খুব কম ধারণা রাখেন। তবে একটি মনে রাখবেন, আপনার অজ্ঞতা অন্য কারো উপর চাপিয়ে দিবেন না।
                      আর মুহতারাম মডারেটর ভাইগণের প্রতি বিনীত নিবেদন এই যে, আব্দুল্লাহ ভাইয়ের মতো কমেন্ট বা পোস্ট এলাও না করা হোক।
                      আর এই কমেন্টে আমি কোনো উত্তর না দিয়ে শুধু আব্দুল্লাহ ভাইয়ের বিষয়টি খোলাসা করে ক্ষান্ত হলাম। তবে ইনশাআল্লাহ সময় করে বিষয়গুলো স্পষ্ট করার চেষ্টা করবো।

                      Comment


                      • #12
                        প্রিয় ভাইয়েরা, আমরা তালিবান মুজাহিদীন থেকে বহু দূরে অবস্থান করছি। আমরা শুধু কিছু লেকচার, বই, শীট ইত্যাদি মুতালা করেছি। না কখনো ময়দানে গিয়েছি না কখনো কোনো বড় মুজাহিদীনের সংস্পর্শে এসেছি। মোট কথা ময়দান সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান হলো কিছু সংবাদ কিংবা কিছু বই। অন্য কিছু নয়। তাই আমরা আমাদের অজ্ঞতাকে মুজাহিদীনের উপর চাপাবো না। আমরা জানি না আমরা চুপ থাকবো ইনশাআল্লাহ। আমি না জানলেই যে, বিষয়টি ভুল এমন ধারণা পরিহার করবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তা'আলা আমাদের বুঝার ও আমল করার তাওফীক দিন। আমীন।

                        Comment


                        • #13
                          আল কায়দা তালিবানের সম্পর্কের বিষয়টি চুক্তিতে অস্পষ্ট রাখা হয়েছে। চুক্তিতে বলা হয়েছে, আফগান ভূমি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। এই কথাটিতে অনেক ফাঁক ফোঁকর রয়েছে। অনেক কিছুই অস্পষ্ট রাখা হয়েছে। এতে তালিবান অন্য দেশে লড়াই করবে না এই ধরণের কোনো কথা বলা হয়নি। তাছাড়া এখানে এ কথাও বলা হয়নি যে, তালিবান আল কায়দার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে। তাই আল কায়দা তালেবানের এই কথা বলা যাবে না যে, তারা অন্য দেশে লড়াই করবে না। এখানে শুধু বলা হয়েছে আফগান ভূমির কথা। আর আমি আপনাকে বলবো যে, আপনি চুক্তি পরবর্তী মুজাহিদীনের বার্তা গুলো অধ্যয়ন করেন। ইনশাআল্লাহ স্পষ্ট হয়ে যাবে।
                          আর আপনার পরবর্তী আপত্তি গুলোর নির্ভরযোগ্য কোনো উৎস থাকলে উল্লেখ করুন। আপনার এই বাংলা দলীল গ্রহণ যোগ্য নয় ; কারণ আপনি এখানে অসম্ভব রকমের বিকৃতি সাধন করেছেন। যেমন, আপনি বলেছেন,
                          আর ভাইয়েরা, তালেবান কেন তাগুত শাসকদের মুসলিম বলে? যেমন: ইমারত থেকে বলা হয়েছে, “আফগানিস্তানের ইসলামিক ইমারত সকল দেশের মুসলিম(!?) শাসকদের আহবান করছে, যেন তারা আল-আকসা মসজিদ রক্ষা করতে, আমেরিকান স্বার্থ রক্ষা করতে নয়, এবং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ইসলামী ও মানবিক দায়িত্ব পালন করে মুসলিমদের প্রথম কিবলার উপর ইসরাইলী আক্রমণ প্রতিরোধ একটি ইসলামী ঐক্যজোট তৈরি করেন করতে। ইসলামি দেশের শাসকদের এটি একটি কর্তব্য যেন তারা তাদের মতবিরোধ পাশে রাখেন এবং আল-আকসা মসজিদকে রক্ষা করার দায়িত্ব কাঁধে নেন। (ইহুদিদের আল-আকসা মসজিদ দখল করার ব্যাপারে আফগানিস্তানের ইমারতের বার্তা)
                          অথচ তালিবান মুজাহিদীন এই ধরনের কোনো বক্তব্য দেননি। ফিলিস্তিনের মযলূম মুসলিমদের পক্ষে যে বার্তা দিয়েছেন সেটা নিচে তুলে ধরা হলো,
                          تدين الإمارة الإسلامية بأشد العبارات هذه الفظائع وتعرب عن دعمها لمسلمي فلسطين ، وتدعو الدول الإسلامية ومنظمة التعاون الإسلامي والأمم المتحدة والمجتمع الدولي بأسره إلى وقف هذه الفظائع التي ترتكبها إسرائيل ومنعها،و الدفاع عن حقوق الفلسطينيين المظلومين .
                          (https://alemaraharabi.org/?p=153456)
                          এখানে الدول الإسلامية বলা হয়েছে যার অর্থ হলো মুসলিম দেশগুলোকে। অর্থাৎ তালিবানরা মুসলিম দেশগুলোকে আহ্বান করছে। আর আপনি বলছেন, "সকল দেশের মুসলিম শাসকদের " যা অনেক বড় খেয়ানত। আল্লাহ তা'আলা আমাদের হেফাজত করুন। আমীন।
                          পরবর্তীতে আপনি বারবার বলেছেন, মোল্লা ওমর বলেছেন। অথচ মোল্লা ওমর রহিঃ চুক্তির বহু পূর্বে রবের সান্নিধ্যে চলে গেছেন। তাছাড়া এটা আপনার মুজাহিদীনের ব্যাপারে জ্ঞান স্বল্পতারই ইঙ্গিত করে। তাই আমরা না জেনে কথা থেকে বিরত থাকবো। সুতরাং আপনার দলীল গুলো নির্ভরযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। তাই আপনার বাকি প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকলাম। আর আপনার কাছে নিবেদন জেনে শুনে কথা বলবেন। দুয়েকটি বার্তা বিবৃতি শুনে মুজাহিদীনের ব্যাপারে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। আল্লাহ তা'আলা তাওফীক দান করুন।



                          Comment


                          • #14
                            @ Abdullah Pathan এর আপত্তিকর কমেন্ট বা পোস্টকে এপ্রুভ না করার অনুরোধ করছি মুহতারাম মডারেটর ভাইদের।
                            গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

                            Comment

                            Working...
                            X