Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# ১৪ ই জিলহজ্জ, ১৪৪২ হিজরি | ২৫শে জুলাই ২০২১ ঈসায়ী|

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# ১৪ ই জিলহজ্জ, ১৪৪২ হিজরি | ২৫শে জুলাই ২০২১ ঈসায়ী|

    উত্তরপ্রদেশের মালাউন প্রশাসন ভেঙ্গে দিয়েছে দিল্লির রোহিঙ্গা ক্যাম্প

    দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তের কাছে রোহিঙ্গাদের একটি অস্থায়ী ক্যাম্প ভেঙে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। গৃহহীন অসংখ্য পরিবার।

    মদনপুর খাদারের রোহিঙ্গা শিবিরে কিছুদিন আগেই আগুন লেগেছিল। ক্যাম্পের অধিবাসীদের বক্তব্য ছিল, বার বার তাদের ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি সেই ক্যাম্পের লাগোয়া উত্তর প্রদেশের সেচ দফতরের জমিতে তৈরি হওয়া শিবির বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ক্যাম্পের ভিতর তৈরি করা একটি অস্থায়ী মসজিদও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

    উত্তরপ্রদেশ ইরিগেশন বিভাগ এই অপারেশন চালিয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির জেলা শাসক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ”কোনো মসজিদ ভাঙা হয়নি। মসজিদের মতো দেখতে কোনো কাঠামো সেখানে ছিল না। কেবলমাত্র টেন্টগুলিই ভাঙা হয়েছে।” স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য দাবি, একটি টেন্টের ভিতরেই মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল।

    সমাজকর্মীদের বক্তব্য, ক্যাম্প ভেঙে দেওয়ার পরে অন্তত ১৬টি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তারা রাস্তার ধারে বসবাস করতে শুরু করেছে।

    ওই ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বক্তব্য, তাদের আর যাওয়ার জায়গা নেই। বাধ্য হয়েই তারা অস্থায়ী টেন্ট তৈরি করে থাকছিলেন। কোনোরকম আগাম বার্তা না দিয়ে টেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাদের বহু জিনিস নষ্ট হয়েছে।

    সূত্র: পিটিআই, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    নারীদের ব্যাপারে কোরআনের আয়াত ও হাদিস বলায় দুই ইমামকে চাকরিচ্যুত করল ফ্রান্স

    ফ্রান্স সরকার‘মূল্যবোধের পরিপন্থী’ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ তুলে দুই মসজিদের দুইজন ইমামকে চাকরিচ্যুত করেছে। এরমধ্যে একজনকে ঈদুল আজহার খুতবায় নারীদের নিয়ে কোরআনের আয়াত ও হাদিস বলার কারণে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বাকিজনকে কিছু মুসলিম নারীর পোশাকের সমালোচনা করে বক্তব্য দেওয়ার কারণে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

    ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন এই এক টুইট বার্তায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তুরস্কভিত্তিক ডেইলি সাবাহার খবরে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের পেই দ্য লা লোয়ার অঞ্চলে ঈদুল আজহার সময় কোরআনের আয়াত এবং হাদিসের রেফারেন্সে খুতবা দেওয়ার কারণে একজন ইমামকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

    চাকরিচ্যুত ওই ইমামের নাম মামাদি আহমাদি। তিনি ‘গ্রেট মস্ক অব সেইন্ট চামন্ড’ মসজিদের ইমাম ছিলেন। খবরে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহার দিন ফ্রান্সে খুতবায় কমোরোস বংশদ্ভূত ইমাম মামাদি আহমাদি -নবী মোহাম্মাদ সা. এর স্ত্রীদের উদ্দেশ্যে নাজিল হওয়া সূরা আহযাব থেকে আয়াত পাঠ করেন।

    ওই খুতবার একটি ভিডিও ক্লিপ ফ্রান্সের রিপাবলিকান পার্টির মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের সদস্য ইসাবেল সারপ্লি অনলাইনে শেয়ার করেন। এরপর ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোয়ার অঞ্চলের সরকারি দপ্তরকে ইমাম মামাদি আহমাদিকে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দেয়। এছাড়া ওই ইমাম যেন আর ফ্রান্সের রেসিডেন্স পারমিট (বসবাসের অনুমতি) না পান তারও নির্দেশ দেওয়া হয়।

    ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই ইমামের বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য এবং তিনি লিঙ্গ সমতাবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। ঘটনার পর ওই ইমাম বলেন, তার বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ অপ্রাসঙ্গিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের (মুসলিম) নারীদের বাড়ির মধ্যে বসে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। শরীয়ত মেনে তারা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট সবই হতে পারবে।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় মসজিদ প্রশাসন -ইমাম মামাদিকে পদচ্যুত করার কথা জানিয়েছে। লোয়ার অঞ্চলের সরকারি দপ্তর জানিয়েছে, ওই ইমামের আবাসিক সুবিধা আর যাতে নবায়ন না হয় তার জন্য তারা কাজ করছে।

    এ বিষয়ে এক টুইট বার্তায় ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দারমানিন বলেছে, আমার অনুরোধে অগ্রহণযোগ্য বক্তব্য দেওয়া দুই ইমামকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। যারা আমাদের দেশের আইনের বিরোধীতা করবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়ব।

    এদিকে, ফ্রান্সের অসংখ্য মানুষ ইমাম মামাদি আহমাদির পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন। তার পক্ষে অনলাইনে একটি পিটিশন খোলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইসলাম বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করছেন।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতে নওমুসলিম মুহাম্মদ আমিরের সন্দেহজনক মৃত্যু

      বাবরি মসজিদ ভাঙায় অংশগ্রহণকারী নওমুসলিম মুহাম্মদ আমির (বলবির সিং) এর সন্দেহজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার (২৩ জুলাই) হায়দারাবাদ প্রদেশের তেলাঙ্গানার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। খবর দ্য সিয়াসাত ডেইলির।

      খবরে বলা হয়, হাফিজ বাবা নগরে আমিরের ভাড়া বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ার পর স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।

      পূর্বে বলবির সিং নামে পরিচিত মোহাম্মদ আমের উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) কর্মী ছিলেন। আরএসএসের সক্রিয় কর্মী হিসেবে ১৯৯২ সালে তিনি বাবরি মসজিদের ধ্বংসে অংশ নিয়েছিলেন।

      কিন্তু তার উদারপন্থী পরিবার তার কাজকে প্রত্যাখ্যান করলে তিনি নিজেকে অপরাধী মনে করতে থাকেন। মানসিক শান্তির জন্য তিনি উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরের মাওলানা কলিম সিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ করেন। পরে ১৯৯৩ সালে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং বলবির সিং থেকে নিজের নাম পরিবর্তন করে মোহাম্মদ আমের রাখেন।

      ইসলাম গ্রহণের পর থেকে বাবরি মসজিদ ধ্বংসে নিজের অংশগ্রহণের বদলায় ১০০ মসজিদ নির্মাণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন মোহাম্মদ আমের। এই লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে হরিয়ানায় ‘মসজিদে মদীনা’ নামে প্রথম মসজিদ নির্মাণ করেন তিনি।

      গত ২৭ বছরে মোট ৯১টি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন মোহাম্মদ আমের। এছাড়া আরো ৫৯টি মসজিদ বর্তমানে নির্মাণাধীন অবস্থায় রয়েছে।

      সূত্র : সিয়াসত ডেইলি
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১৪৬ ফিলিস্তিনি আহত

        ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরে নাবলুস শহরের কাছাকাছি বেইতা গ্রামে জারজ রাষ্ট্র ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১৪৬ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

        গত শুক্রবার (২৩ জুলাই) ওই গ্রামে স্থানীয় কৃষকদের কৃষিজমি দখলে নিয়ে বসতি স্থাপন করে ইহুদিরা। এর প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভে অংশ নিলে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আহত হন এসব ফিলিস্তিনিরা।

        ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে তাজা বুলেটে বিদ্ধ হয়েছেন নয়জন, রাবার বুলেটে বিদ্ধ হয়েছেন ৩৪ জন এবং কাঁদানে গ্যাসে ৮৭ জন আহত হয়েছেন।

        এর আগে গত মে মাসে বেইতা গ্রামের পাশে ইহুদি বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা প্রকাশ করে। এ লক্ষ্যে বসতি স্থাপনকারী এই স্থানে এসে ঘর তৈরি শুরু করে।

        তবে, বিক্ষোভের মুখে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা এই মাসের শুরুতে বসতি ছাড়লেও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এখনো দখল করা স্থানটি ফিলিস্তিনিদের হাতে ছেড়ে দেয়নি।

        সূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          গোপালগঞ্জে ঈদের নামাজরত অবস্থায় মুসলমানদের উপরে এলাকার হিন্দুদের অতর্কিত হামলা

          গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়া দিঘলিয়া গ্রামের ফাঁড়াকাটা এলাকায় ঈদের দিন ঈদের নামাজরত অবস্থায় মসজিদে ভাংচুর ও মুসলমানদের উপরে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়েরা অতর্কিত হামলা করেছে। এতে অসংখ্য মুসল্লী আহত হয়, আহতদের চিত্র হাসপাতালে গিয়ে ধারণ করা হয় এবং মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
          শুধু এক এলাকার হিন্দুরা নয় বরং একাধিক গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের উগ্রবাদীরা এক হয়ে নামাজের জামাতে হামলা চালিয়েছে।
          এলাকার প্রতক্ষদর্শী একজন জানান ওখানের পরিবেশ ছিল খুব ভয়াবহ প্রায় ১০০০ হিন্দু লোক ছিল আর আমরা ছিলাম সামান্য কয়েক জন। ইটের খোয়া এমন ভাবে ফেলছিল, মনে হয়ছিল বোমা বর্ষন শুরু হইছে। তাই সামনে যাওয়ার মত পরিবেশ ছিল না। হিন্দু মহিলারা ফলের ট্রে ভরে ইটের টুকরা আনত আর পুরুষরা সেগুলো মারত। সেই সুযোগে রামদা দিয়ে বাড়ি ঘরে হামলা করে।
          কয়েক মাস আগে সে এলাকার উপজেলা চেয়ারম্যান শ্রী বিমল কৃষ্ণ একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে বিশ্বনবী (সঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করে।
          সেটার কোন বিচার হয়নি।
          সেই চেয়ারম্যান বিমল চন্দ্র বিশ্বাস এ হিন্দুত্ববাদী হামলার পেছনে অন্যতম ইন্ধনদাতা। ভয়ঙ্কর মুসলিম বিদ্বেষী বিমল বিশ্বাসের ভয়ঙ্কর সব সাম্প্রদায়িক কথাবার্তার ভিডিও ফেসবুকে সার্চ করলেই পাওয়া যায়।
          তবে চিন্তার বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশে এত বড় একটা হিন্দুত্ববাদী হামলার ঘটনা ঘটে গেলেও মিডিয়া তাকে ‘ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ’ বলে লুকিয়ে ফেলতে চেয়েছে। কিন্তু কোরবানীর ঈদের দিন মসজিদের মধ্যে কারা ফুটবল খেলতে গিয়েছিলো সেই তথ্য প্রকাশ করেনি।
          হলুদ মিডিয়া যদিও এ হামলাকে ফুটবল খেলা নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছে বলে চালিয়ে দিয়েছে।
          তাহলে প্রশ্ন আসে মসজিদে হামলা কেন? আর দুঃখজনক কোন মিডিয়ায় মসজিদের এই হামলার চিত্র প্রকাশ করেনি। আরো প্রশ্ন রয়ে যায়- ফুটবল খেলা হলে তো মাঠে হবে আর গণ্ডগোলটা ও মাঠে হওয়ার কথা, কিন্তু মসজিদের ভিতরে ইটপাটকেল এবং মসজিদ ভাঙচুর কেন?
          তথ্যসূত্র: দৈনিক কোটালীপাড়া(DK) – https://www.facebook.com/groups/620478108291271
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            কঠিন একটি সময় পার করছে মুসলিম উম্মাহ। দিনকে দিন উম্মাহর আকাশে কালো মেঘ ভারি হচ্ছে।
            গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

            Comment


            • #7
              দুনিয়ার মুসলিম এক হও, কাফেরদের গর্দান কাটো।

              Comment

              Working...
              X