Announcement

Collapse
No announcement yet.

দারসুল কুরআন-৪

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দারসুল কুরআন-৪

    দারসুল কুরআন-৪

    إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَسْتَحْىِۦٓ أَن يَضْرِبَ مَثَلًا مَّا بَعُوضَةً فَمَا فَوْقَهَا فَأَمَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ فَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ ٱلْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ وَأَمَّا ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ فَيَقُولُونَ مَاذَآ أَرَادَ ٱللَّهُ بِهَٰذَا مَثَلًا يُضِلُّ بِهِۦ كَثِيرًا وَيَهْدِى بِهِۦ كَثِيرًا وَمَا يُضِلُّ بِهِۦٓ إِلَّا ٱلْفَٰسِقِينَ
    ٱلَّذِينَ يَنقُضُونَ عَهْدَ ٱللَّهِ مِنۢ بَعْدِ مِيثَٰقِهِۦ وَيَقْطَعُونَ مَآ أَمَرَ ٱللَّهُ بِهِۦٓ أَن يُوصَلَ وَيُفْسِدُونَ فِى ٱلْأَرْضِ أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْخَٰسِرُونَ
    অর্থঃ আল্লাহ পাক নিঃসন্দেহে মশা বা তদুর্ধ্ব বস্তু দ্বারা উপমা পেশ করতে লজ্জাবোধ করেন না। বস্তুতঃ যারা মুমিন তারা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করে যে, তাদের পালনকর্তা কর্তৃক উপস্থাপিত এ উপমা সম্পূর্ণ নির্ভূল ও সঠিক। আর যারা কাফের তারা বলে, এরূপ উপমা উপস্থাপনে আল্লাহর মতলবই বা কি ছিল। এ দ্বারা আল্লাহ তা’আলা অনেককে বিপথগামী করেন, আবার অনেককে সঠিক পথও প্রদর্শন করেন। তিনি অনুরূপ উপমা দ্বারা অসৎ ব্যক্তিবর্গ ভিন্ন কাকেও বিপথগামী করেন না। (বিপথগামী ওরাই) যারা আল্লাহর সঙ্গে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়ার পর তা ভঙ্গ করে এবং আল্লাহ পাক যা অবিচ্ছিন্ন রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন, তা ছিন্ন করে, আর পৃথিবীর বুকে অশান্তি সৃষ্টি করে। ওরা যথার্থই ক্ষতিগ্রস্ত।
    {সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৬-২৭}

    আয়াতের হেদায়েত/শিক্ষা
    👉👉 ভালো কাজ করা এবং ভালো কাজের আদেশ করা থেকে যেন লজ্জা বাঁধা হয়ে না দাঁড়ায়।
    👉👉 সহজে বোধগম্য হয় এমন দৃষ্টান্ত দেওয়া উচিত।
    👉👉 আল্লাহ তাআলা যখন কোনো কল্যাণ ও হেদায়েত নাযিল করেন, তখন এর দ্বারা মুমীনের ঈমান ও কল্যাণ বৃদ্ধি পায় আর কাফেরদের পথভ্রষ্ঠতা ও ক্ষতি বৃদ্ধি পায়।
    👉👉 ফিসক থেকে সতর্ক করা হয়েছে।যেমন; অঙ্গীকার ভঙ্গ করা, ভালো কাজে বাধা প্রদান করা, আল্লাহ তাআলার আদেশ অমান্য করা,ইত্যাদি।


    كَيْفَ تَكْفُرُونَ بِٱللَّهِ وَكُنتُمْ أَمْوَٰتًا فَأَحْيَٰكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ ثُمَّ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
    هُوَ ٱلَّذِى خَلَقَ لَكُم مَّا فِى ٱلْأَرْضِ جَمِيعًا ثُمَّ ٱسْتَوَىٰٓ إِلَى ٱلسَّمَآءِ فَسَوَّىٰهُنَّ سَبْعَ سَمَٰوَٰتٍ وَهُوَ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمٌ
    অর্থঃ কেমন করে তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে কুফরী অবলম্বন করছ? অথচ তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ। অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে প্রাণ দান করেছেন, আবার মৃত্যু দান করবেন। পুনরায় তোমাদেরকে জীবনদান করবেন। অতঃপর তারই প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে।
    তিনিই সে সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমীনে রয়েছে সে সমস্ত। তারপর তিনি মনোসংযোগ করেছেন আকাশের প্রতি। বস্তুতঃ তিনি তৈরী করেছেন সাত আসমান। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত।
    {সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৮-২৯}

    আয়াতের হেদায়েত/শিক্ষা
    👉👉 আল্লাহ তাআলাকে অস্বীকার করা জঘন্য অপরাধ।
    👉👉 আল্লাহ তাআলার অস্তিত্ব,কুদরত ও রহমতের উপর প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে।
    👉👉 খাদ্য, পানীয়, পোশাক ও বাহন জাতীয় যা কিছু আছে পৃথিবীতে, এগুলো সবই হালাল। তবে যেগুলোর হুরমত কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত (সেগুলো হারাম)।




    وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَٰٓئِكَةِ إِنِّى جَاعِلٌ فِى ٱلْأَرْضِ خَلِيفَةً قَالُوٓا۟ أَتَجْعَلُ فِيهَا مَن يُفْسِدُ فِيهَا وَيَسْفِكُ ٱلدِّمَآءَ وَنَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَ قَالَ إِنِّىٓ أَعْلَمُ مَا لَا تَعْلَمُونَ

    অর্থঃ আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদিগকে বললেনঃ আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেশতাগণ বলল, তুমি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা নিয়ত তোমার গুণকীর্তন করছি এবং তোমার পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি। তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা জান না।
    {সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ৩০}

    আয়াতের হেদায়েত/শিক্ষা
    👉👉 যে জানে না,সে জ্ঞানীদের কাছে প্রশ্ন করবে।
    👉👉 প্রশ্নকারীকে তিরষ্কার না করা এবং কোমলভাবে তাকে প্রশ্নের উত্তর বুঝিয়ে দেওয়া।
    👉👉 সৃষ্টির সূচনা জানা
    👉👉 আদম আলাইহিস সালামের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব।




    وَعَلَّمَ ءَادَمَ ٱلْأَسْمَآءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى ٱلْمَلَٰٓئِكَةِ فَقَالَ أَنۢبِـُٔونِى بِأَسْمَآءِ هَٰٓؤُلَآءِ إِن كُنتُمْ صَٰدِقِينَ
    قَالُوا۟ سُبْحَٰنَكَ لَا عِلْمَ لَنَآ إِلَّا مَا عَلَّمْتَنَآ إِنَّكَ أَنتَ ٱلْعَلِيمُ ٱلْحَكِيمُ
    قَالَ يَٰٓـَٔادَمُ أَنۢبِئْهُم بِأَسْمَآئِهِمْ فَلَمَّآ أَنۢبَأَهُم بِأَسْمَآئِهِمْ قَالَ أَلَمْ أَقُل لَّكُمْ إِنِّىٓ أَعْلَمُ غَيْبَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَأَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ وَمَا كُنتُمْ تَكْتُمُونَ

    অর্থঃ আর আল্লাহ তা’আলা শিখালেন আদমকে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীর নাম। তারপর সে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীকে ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। অতঃপর বললেন, আমাকে তোমরা এগুলোর নাম বলে দাও, যদি তোমরা সত্য হয়ে থাক।
    তারা বলল, তুমি পবিত্র! আমরা কোন কিছুই জানি না, তবে তুমি যা আমাদিগকে শিখিয়েছ (সেগুলো ব্যতীত) নিশ্চয় তুমিই প্রকৃত জ্ঞানসম্পন্ন, হেকমতওয়ালা।
    তিনি বললেন, হে আদম, ফেরেশতাদেরকে বলে দাও এসবের নাম। তারপর যখন তিনি বলে দিলেন সে সবের নাম, তখন তিনি বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, আমি আসমান ও যমীনের যাবতীয় গোপন বিষয় সম্পর্কে খুব ভাল করেই অবগত রয়েছি? এবং সেসব বিষয়ও জানি যা তোমরা প্রকাশ কর, আর যা তোমরা গোপন কর!
    {সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ৩১-৩৩}

    আয়াতের হেদায়েত/শিক্ষা
    👉👉 আল্লাহ তাআলা আপন কুদরতে আদম আলাইহিস সালামকে সমস্ত মাখলুকের নাম শিক্ষা দিয়েছেন।
    👉👉 ইলমের মর্যাদা ও জাহেলের উপর আলেমের শ্রেষ্ঠত্ব।
    👉👉 অক্ষমতা স্বীকার করে নেওয়ার ফযিলত।
    👉👉 অযোগ্য ব্যক্তি যোগ্যতার দাবী করলে, তাকে তিরষ্কার করা যায়।
Working...
X