Announcement

Collapse
No announcement yet.

বিডি প্রতিদিন এর প্রতিবেদন ও আমার পর্যালোচনা।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বিডি প্রতিদিন এর প্রতিবেদন ও আমার পর্যালোচনা।

    বিডি প্রতিদিন এর প্রতিবেদনঃ

    আফগানিস্তানে তালেবানের অগ্রযাত্রা এবং বেসামরিক লোকদের ওপর হামলার ঘটনাকে গভীর উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তিনি গত ২৮ জুলাই বলেন, এভাবে লোকদের ওপর নির্যাতন চালানো হলে দেশটি একটি ‘অগ্রহণযোগ্য’ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। মানবাধিকারের দৃষ্টিতে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের পরিস্থিতি যেভাবে বিকশিত হচ্ছে তা সত্যিই ভয়াবহ।

    একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে তালেবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে শরিয়া শাসন চালু হয়েছে।

    সেখানে তারা নারীদের* শিক্ষা, পোশাক, চলাচল ও চাকরির বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছে। যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। *

    আমেরিকা আগে থেকেই জানত তারা দেশটি ছেড়ে এলে তালেবান গোষ্ঠী আবারও আফগানিস্তানে জেঁকে বসবে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর দু’টি প্রকাশনায় বলা হয়েছে, তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আলোচনা ও বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়টি তালেবানের বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। ফলে সংগঠনটি আফগানিস্তানে আরও মৌলবাদী শাসন চালু করতে পারে। ইতোমধ্যে তারা দেশটিতে শরিয়া শাসন চালুর ইঙ্গিত দিয়েছে।

    তালেবান ভালো করে জানে ভোটের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র সিঁড়ি হচ্ছে সহিংসতা এবং বন্দুকের নল।

    দেশটির কান্দাহার প্রদেশের জেলা নিয়ন্ত্রণের পরে তালেবান সেখানকার শত শত বাসিন্দাকে আটক করে। পাশাপাশি প্রাদেশিক সরকারের কর্মকর্তা, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে কয়েকজন বন্দিকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যাও করেছে। **

    ওই প্রকাশনায় আরও বলা হয়েছে, পরিস্থিতি যেভাবে বিকশিত হচ্ছে তাতে আগামীতে আফগানিস্তানে সরকারি বাহিনী ও তালেবানদের মধ্যে আরও ব্যাপক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে। তালেবান প্রতিশোধ নিতে হয়ত ভবিষ্যতে আফগান সরকারের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন চালাবে। তাই এখনই তাদের অগ্রযাত্রা থামাতে আন্তর্জাতিক মহলকে পদক্ষেপ নিতে হবে।

    বিডি প্রতিদিন


    ----------------------------------------------------

    আমার পর্যালোচনাঃ

    এই প্রতিবেদন পড়ে আমার যা বুঝে আসলো তা ৪ টি পয়েন্টে পর্যালোচনা করবো। ইনশাআল্লাহ । এখানে শুধু বিডি প্রতিদিন এর একটি প্রতিবেদন এর পর্যালোচনা করছি। প্রকৃত পক্ষে তাদের সকল প্রতিবেদনে একই বিষয় ফুটে ওঠে। আর শুধু বাংলাদেশ প্রতিদিন নয় এই ধরণের সকল পত্রিকার একই হালত।

    ১ নং পয়েন্টঃ ২৮ জুলাইয়ের প্রতিবেদন ১০ আগস্ট প্রকাশ করছে এর দ্বারা এটা বুঝা যায় যে, বিদেশি হলুদ মিডিয়া আর এদেশীয় নাস্তিক গড়নের হলুদ মিডিয়ার চিন্তা-চেতনা ও বিশ্বাসের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। বিদেশি বুদ্ধিজীবী ও এদেশীয় বুদ্ধিজীবিদের মাথায় শয়তানী কুট- কৌশল ছাড়া আর কিছু নেই। এদেশীয় মনিব পশ্চিমারা যা বলবে তাই তারা মেনে নিবে।

    ২ নং পয়েন্টঃ পশ্চিমা ও এদেশীয় মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবীদের একটাই সমস্যা তা হল ইসলাম ও শরীয়া শাসন। দেখুন পুরো প্রতিবেদন জুড়ে এটাই বুঝানো হয়েছে। ইসলাম ও শরীয়া শাসন পৃথিবীর কোথাও প্রতিষ্ঠা হোক এটা তারা চায় না। তারা প্রচার করে বেড়ায় শরীয়া শাসন হল বর্বরতা ও সেকালের শাসন। কারণ তারা জানে, এক জায়গায় শরীয়া শাসন চালু হলে তার শান্তি ও নিরাপত্তা দেখে পুরো মুসলিম উম্মাহ জেগে উঠবে। যা রুখার নয়। তাই এখনি অপপ্রচার করে তা রুখতে হবে।

    ৩ নং পয়েন্টঃ আমেরিকা তাদের পরাজয় লুকানোর জন্য এই সকল মিথ্যা প্রতিবেদন প্রচার করে যাচ্ছে। আর সাথে সাথে আমেরিকার এদেশীয় গোলামরা তাদের মনিবের পরাজয়কে ঢাকার জন্য পাগলের মতো যা তা বলে বেড়াচ্ছে। আসলে আমেরিকা ও তার দোসররা ভূলে গেছে যে মানুষ আর এ ধরনের মিথ্যা গল্প বিশ্বাস করে না।

    ৪ নং পয়েন্টঃ বর্তমানে মিডিয়া হল অস্ত্রের তুলনায় ও বেশি শক্তিশালী। তাইতো কুফফাররা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্ত্রের যুদ্ধে না পেরে মিডিয়ার যুদ্ধে নেমেছে। এতে তারা অনেকটা সফলও হয়েছে। এদেশে পশ্চিমা চিন্তা-চেতনা ও সভ্যতা যা প্রচার-প্রসার হয়েছে এই মিডিয়ার মাধ্যমেই হয়েছে। সুতরাং এখন মুসলমানদের ও মিডিয়ার যুদ্ধের বিকল্প নেই। এমনকি বলা হয় মিডিয়া হল জিহাদের অর্ধেক কিংবা তার ও বেশী। তাইতো তাওহীদের পতাকাবাহী মুজাহিদিনে কেরামগণের মিডিয়ায় অনেক অনেক পারদর্শী হওয়া প্রয়োজন এবং কুফফার ও তার দালালদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার। আল্লাহ তাআলা আমাদের মিডিয়ায় পারদর্শী হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন!
    [


    আপনার যদি অন্য কোন পয়েন্ট মাথায় আসে তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন। ইনশাআল্লাহ


    আর আমি লিখায় খুবই দূর্বল সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন যে, আল্লাহ তায়ালা যেন আমার কলমকে শাণিত করেন বাতিলদের জন্য।
    আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 08-10-2021, 07:31 PM.

  • #2
    আল্লাহ তা‘আলা আপনার কলমেকে শাণিত করে দিন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      তাদের প্রশ্নের জবাব
      ১) বিশ্ব সন্ত্রাসিরা যখন মানবতার বুলি উড়ায়, তখন তা হাস্যকর বিষয় ছাড়া আর কিছু নয়।
      ২) কুকুরের পেটে ঘী হজম না হলে ঘীর কোন সমস্যা নেই, বরং কুকুরের সমস্যা। এমনিভাবে শরিয়াহ শাসনকে কেউ হজম করতে না পারলে এটা তার সমস্যা, শরিয়াহ এর নয়
      ৩) তাদের সাথে যুদ্ধ এই জন্য করতে হয়; যে কথায় আছে; যেমন কুকুর তেমন মুগুর। সুতরাং তারা যেহেতু কুকুর তাই তাদের জন্য প্রয়োজন মুগুর।
      পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ ভাই। ভাইয়ের কাছ থেকে এমন পোস্ট আরো আশা করি।

        Comment


        • #5
          যমুনা টিভি, এক নিউজে বলে তালেবান মুজাহিদ ভাইয়েরা নাকি মাদক ব্যবসা করে!! আফিম নাকি চাষ করে!!
          اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

          Comment


          • #6
            Originally posted by forsan313 View Post
            যমুনা টিভি, এক নিউজে বলে তালেবান মুজাহিদ ভাইয়েরা নাকি মাদক ব্যবসা করে!! আফিম নাকি চাষ করে!!
            নাউযুবিল্লাহ, মিথ্যুকদের উপর আল্লাহর লা‘নত পড়ুক...
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment


            • #7
              Originally posted by forsan313 View Post
              যমুনা টিভি, এক নিউজে বলে তালেবান মুজাহিদ ভাইয়েরা নাকি মাদক ব্যবসা করে!! আফিম নাকি চাষ করে!!
              তারা কতবড় খারাপ!!! যারা মাদক নির্মূলের জন্য জীবন দেয় তারা নাকি মাদকের ব্যবসা করে।
              পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

              Comment

              Working...
              X