Announcement

Collapse
No announcement yet.

ফিলিস্তিনের অবস্থা কেন আজ এরকম? ইতিহাস ও বর্তমানের আলোকে কিছু কথা।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ফিলিস্তিনের অবস্থা কেন আজ এরকম? ইতিহাস ও বর্তমানের আলোকে কিছু কথা।

    খ্রিস্টপূর্ব তিন হাজার বছর আগের কথা। ফিলিস্তিনে জন্ম নিয়েছিলেন ইসহাক (আ.), ইয়াকুব (আ.), ইইসুফ (আ.), যাকারিয়া (আ.) ও ঈসা (আ.)সহ অনেক নবী ও রাসুল। ফিলিস্তিনের পার্শ্ববর্তী দেশ জর্ডানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন নূহ (আঃ), লূত (আ.) ও আইউব (আঃ)। আরেক পার্শ্ববর্তী দেশ লেবাননে জন্ম নেন সালেহ (আ.)। পাশের দেশ মিশরে জন্ম নেন মুসা (আ.), হারুন ও শুয়াইব (আ.)। এসকল নবী-রাসুল ছিলেন সমসাময়িক যুগের পথপ্রদর্শক ও সংশ্লিষ্ট দেশের জনপ্রতিনিধি। ইতিহাস অধ্যয়নে জানা যায়, ইয়াকুব (আ.)এর বংশধরেরা খ্রিস্টপূর্ব তেরোশ’ বছর ধরে ফিলিস্তিন শাসন করতেন। দাউদ (আ.) তাঁর শাসনামলে জেরুজালেমে বায়তুল মুকাদ্দাস নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন। আর তাঁর পুত্র সুলায়মান (আ.) নির্মাণ কাজ শেষ করেছিলেন। এ মসজিদেই মিরাজের রজনীতে সকল নবীর আগমন ঘটেছিল। আর শেষ নবী মুহাম্মাদ (স.)এর ইমামতিতে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

    দাউদ (আ.)-এর মৃত্যুর পর ফিলিস্তিনের শাসনভার গ্রহণ করেন তাঁরই পুত্র সুলাইমান (আ.)। আর এতসব কারণেই ফিলিস্তিন, জেরুজালেম ও বায়তুল মুকাদ্দাস মুসলিমবিশ্বে পূণ্যভূমি হিসেবে পরিচিত।

    নবী সুলাইমান (আ.)-এর পরে ইতিহাসের গতিধারায় ফিলিস্তিনে ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলমানরা বসবাস করতে থাকে। কিন্তু ইহুদিরা তাদের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে অন্যদের পাত্তা না দিয়ে নিজেরা জুদাহ নামে একটি রাষ্ট্র গঠন করে। জেরুজালেমকে তারা রাজধানী ঘোষণা করে। এতে খ্রিস্টান এবং মুসলিমরা ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে।

    ১৩২ সালে খ্রিস্টান রাজা কনস্টানটিন (রোমান সম্রাট) ইহুদিদেরকে জেরুজালেম থেকে বিতাড়িত করেন। ফিলিস্তিন ঈসা (আ.)-এর জন্মভূমি হওয়ার কারণে খ্রিস্টানদের কাছে সেটি হয়ে ওঠে বিশেষ পূণ্যভূমি। অবশ্য সপ্তম শতাব্দীতে রোমানরা মুসলিমদের কাছে পরাজিত হয়।

    ফিলিস্তিন চলে আসে আবার মুসলিম শাসনের অধীনে। এ সময় থেকে পরবর্তী ১২০০ বছর পর্যন্ত ফিলিস্তিন ছিল স্বাধীন এক মুসলিম জাতিরাষ্ট্র। হাতেগোনা মাত্র কয়েকজন ইহুদি এ সময় ফিলিস্তিনে বসবাস করত। রোমানদের কাছে পরাজিত হয়ে ইহুদিরা ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। নীতিভ্রষ্টতার কারণে কোন দেশেই তাদের জায়গা হয়নি। ভূমিহীন যাযাবর-রিফিউজি হিসেবে বিভিন্ন দেশের বস্তিতে তারা বসবাস করতে থাকে। সৃষ্টিলগ্নের ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, ইহুদিদের স্থায়ী কোনো বসতভিটা ছিল না।

    আসুন এবার জেনে নিই কি করে ইহুদিরা পরবর্তীতে ফিলিস্তিনের ক্ষমতা দখল করে।

    এয়াকুব আলাইহি সালামেরই অপর নাম ইসরাইল। হিব্রু ইসরাইল শব্দটি আরবী আবদুল্লাহ্’র সমার্থক হলেও; আজ ইসরাইলীরা হচ্ছে আদু’আল্লাহ্ [আল্লাহ্’র শত্রু]। তিনি মৃত্যুশয্যায় তার সন্তানদের জিজ্ঞেস করেছিলেন:

    [২:১৩৩] আল বাকারা


    أَم كُنتُم شُهَداءَ إِذ حَضَرَ يَعقوبَ المَوتُ إِذ قالَ لِبَنيهِ ما تَعبُدونَ مِن بَعدي قالوا نَعبُدُ إِلهَكَ وَإِلهَ آبائِكَ إِبراهيمَ وَإِسماعيلَ وَإِسحاقَ إِلهًا واحِدًا وَنَحنُ لَهُ مُسلِمونَ


    “তোমরা কি উপস্থিত ছিলে, যখন ইয়াকুবের মৃত্যু নিকটবর্তী হয়? যখন সে সন্তানদের বললঃ আমার পর তোমরা কার এবাদত করবে? তারা বললো, আমরা তোমার পিতৃ-পুরুষ ইব্রাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের উপাস্যের এবাদত করব। তিনি একক উপাস্য। “

    অথচ তাদের সীমালঙ্গন আর বিধিবিধান না মানার কারনে তাদের উপর আরোপিত হয়েছে লাঞ্ছনা ও পরমুখাপেক্ষিতা:

    [২:৬১] আল বাকারা

    وَإِذ قُلتُم يا موسى لَن نَصبِرَ عَلى طَعامٍ واحِدٍ فَادعُ لَنا رَبَّكَ يُخرِج لَنا مِمّا تُنبِتُ الأَرضُ مِن بَقلِها وَقِثّائِها وَفومِها وَعَدَسِها وَبَصَلِها قالَ أَتَستَبدِلونَ الَّذي هُوَ أَدنى بِالَّذي هُوَ خَيرٌ اهبِطوا مِصرًا فَإِنَّ لَكُم ما سَأَلتُم وَضُرِبَت عَلَيهِمُ الذِّلَّةُ وَالمَسكَنَةُ وَباءوا بِغَضَبٍ مِنَ اللَّهِ ذلِكَ بِأَنَّهُم كانوا يَكفُرونَ بِآياتِ اللَّهِ وَيَقتُلونَ النَّبِيّينَ بِغَيرِ الحَقِّ ذلِكَ بِما عَصَوا وَكانوا يَعتَدونَ

    আর যখন তোমরা বললে, ‘হে মূসা, আমরা এক খাবারের উপর কখনো ধৈর্য ধরব না। সুতরাং তুমি আমাদের জন্য তোমার রবের নিকট দো‘আ কর, যেন তিনি আমাদের জন্য বের করেন, ভূমি যে সব্জি, কাঁকড়, রসুন, মসুর ও পেঁয়াজ উৎপন্ন করে, তা’। সে বলল, ‘তোমরা কি যা উত্তম তার পরিবর্তে এমন জিনিস গ্রহণ করছ যা নিম্নমানের? তোমরা কোন এক নগরীতে অবতরণ কর। তবে নিশ্চয় তোমাদের জন্য (সেখানে) থাকবে, যা তোমরা চেয়েছ’। আর তাদের উপর আরোপ করা হয়েছে লাঞ্ছনা ও দারিদ্র্য এবং তারা আল্লাহর ক্রোধের শিকার হল। তা এই কারণে যে, তারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করত এবং অন্যায়ভাবে নবীদেরকে হত্যা করত। তা এই কারণে যে, তারা নাফরমানী করেছিল এবং তারা সীমালঙ্ঘন করত।

    আর এই সীমালঙ্গনকারীদের সীমালঙ্গনের বর্তমান শিকার ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনি ভূমিতে তাদের দখলদারিত্ব আর আগ্রাসনের ইতিহাস সুদীর্ঘ। অথচ যেখানে ইসরাইলের অস্তিত্বের ভিতই দখলদারিত্ব সেখানে আজ তারাই শোর তুলছে ফিলিস্তিনিদের সন্ত্রাস বলে। এ যেন বাড়ীতে অতিথিকে থাকতে দেয়া গৃহকর্তা; যাকে তার অতিথি নিজ গৃহ থেকে বহিষ্কার করতে চায় জবরদখলকারী বলে। কিংবা পকেটমার ধরা পরার পর ভুক্তভোগীকে চোর সাজানোর মত প্রহসন। ঔপনৈবেশিকদের সহায়তায়, জার্মান ইহুদী নিধন পরবর্তী সময়ে এই প্রহসন মঞ্চস্থ হয়। আর নিঃসন্দেহে এই প্রহসনকারীদের জন্য অপেক্ষা করছে লাঞ্ছনা।

    ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতি সম্বন্ধে হামাস নেতা খালিদ মিশালের মন্তব্যটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ:
    “আজ ইসরাইল স্নায়ু পরীক্ষা করছে এই জাতির, তারা মিশরকে পরীক্ষা করছে, আরব আর মুসলিমদের পরীক্ষা করছে…যে তারা পূর্বের মত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে পারে কিনা নাকি বর্তমান নেতৃবৃন্দের অন্য কোন লক্ষ্য আছে। ”

    এই মন্তব্যটিই ফিলিস্তিনের দীর্ঘদিনের পরিস্থিতির সারাংশ। তাই, এই আলোচনা টেনে দীর্ঘ করতে চাই না আর মুসলিম দেশসমূহের পশ্চিমাদের মদদপুষ্ট নেতৃবৃন্দের পরচর্চায় ও লিপ্ত হতে চাই না।

    তবে, এই চিত্র খুবই হতাশার যে, যখন দেখি গঁৎবাধা আর একই ধরনের প্রতিক্রিয়া: ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার পরিপ্রক্ষিতে। ফেসবুকে ফিলিস্তিনি পতাকার বন্যা বইয়ে দেয়া হচ্ছে। আর অনেক ভাই ফিলিস্তিনকে তালিকাভুক্ত দেশের অন্তর্ভুক্তির পিটিশান সাইন আর শেয়ার করছেন। আর প্রতিবাদকারীরা রাস্তায় প্রতিবাদ করছে সমাজতন্ত্রীদের সাথে এই ধ্বনিতে: “ফিলিস্তিন মুক্ত করো” আর মুসলিমরা বলছে: “ও ফিলিস্তিন…”।

    ইয়াহুদীরা ফিলিস্তিনের বর্ণবাদী-জাতীয়তাবাদী পতাকাকে ভয় করে না। তারা ইসলামের পতাকাকে ভয় করে। আমরা এটা জানার চেষ্টা করি না কেন যে ফিলিস্তিনি পতাকার ভিত্তি কি? এর ডিজাইনটি নেয়া হয়েছে আরব বিদ্রোহের পতাকা [প্রায় অন্যান্য আরব জাতীয় পতাকার মত] যা খিলাফহ্’র বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়ছিলো আর যার হোতা ছিলো ব্রিটিশরা। এটি হচ্ছে ইসলামী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আর “আরব” জাতীয়তাবাদের প্রতীক। আর আমরা রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীস থেকে জানতে পারি, জাতীয়তাবাদের অসারতা আর এর পরিত্যাগের নির্দেশ। এই চিন্তা আমাদের মাথায় আসা উচিত না যে, ফিলিস্তিনি পতাকাতো যেকোনভাবে ইসলামিক; বস্তুতঃ তা হচ্ছে উম্মাহ্’র দুর্বলতা আর বিভাজনের প্রতীক আর যার বিরুদ্ধে আমাদের নিরন্তর সংগ্রাম করতে হবে, সমর্থন নয়।

    এই পতাকাগুলো ছুড়ে ফেলতে হবে আর তার পরিবর্তে ধারন করতে হবে তাওহীদের পতাকা। কমিউনিস্ট কিংবা সমাজতন্ত্রী কাফিরদের সাথে বিক্ষোভ পরিহার করতে হবে; যারা ইসলামেরই বিরুদ্ধাচরণ করে আর তাদের কোন চেতনা নাই ফিলিস্তিনকে সাহায্য করার আর না তারা চায় কোন মুসলিম ভূমি ইসলামিক বিধিবিধান দ্বারা শাসিত হোক।

    আমাদেরকে এটাও মাথায় রাখতে হবে প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা, ফিলিস্তিন অনেকগুলো আক্রান্ত মুসলিম ভূমির একটি ভূমি; একমাত্র ভূমি নয়। নিঃসন্দেহে এই ভুমি সমগ্র মুসলিম উম্মাহ্’র জন্য পবিত্র ভূমি। এর সাথে জড়িয়ে আছে মুসলিমদের প্রথম কিবলা আল-আকসা, রাসুলুল্লাহ’র ইসরা আর অসংখ্য আন্বিয়াদের স্মৃতি।

    তাই কেবল ফিলিস্তিনি মুসলিম ভাইদের নিকট নয় বরং সমগ্র মুসলিম উম্মাহ্’র ভাইদের কাছে এর তাৎপর্য অপরিসীম। কেননা,মিডিয়ার সবসময়ের প্রচেষ্টা একে ফিলিস্তিনি ইস্যু কিংবা আরব ইস্যু বলে তুলে ধরা। আমাদের দেখতে হবে, আমরা কি মিডিয়ার এই কাজে অজান্তে সাহায্য করছি কিনা? সাথে সাথে আমাদের সামগ্রিক বিশ্ব-পরিস্থিতিও অনুধাবন করতে হবে। এই আক্রান্ত ভূমির তালিকায় রয়েছে মালি, ইয়েমেন, সোমালিয়া, চেচনিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক, আরাকান, কাশ্মীর, মিন্ডানো এবং আরো অনেক। তাদের জন্য দু’আ করা আর সত্যিকারের তাগাদা অনুভব করতে হবে সমগ্র উম্মাহ্’র জন্য; আর এটাই প্রকৃত ভালবাসার নিদর্শণ।

    আমাদের গৌরবোজ্জল ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে; আর সাথে সাথে এই উপলব্ধি ও শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে, গতকালের ঘটনাপ্রবাহ থেকে যার মধ্যে নিহিত রয়েছে আজকের সমস্যার উত্তর। আমাদের বুঝা উচিত, আল-কুদসের জন্য জাতিসংঘের সমর্থন আদায়, এর জন্য কোন সমাধান নয়। এর সমাধান হচ্ছে, উম্মাহ্’র সমস্ত ভূমিকে একত্রীকরণ আর সমগ্র মুসলিম উম্মাহ্’র একক নেতৃত্বের অধীনে একক জাতি হিসেবে সম্মলিত বাহিনী প্রেরণ এই দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে; যেভাবে তা করেছিলেন সালাহউদ্দীন আইয়ুবী রহিমাহুল্লাহ। আর তা শরীয়াহ্’য় প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে; আরব, সমাজতান্ত্রিক, গনতান্ত্রিক আর অন্য যে কোন পন্থায় নয়: যা ইসলাম বহির্ভূত।

    ইসরাইল আর হামাস বর্তমানে ইঁদুর-বিড়ালের খেলায় রয়েছে। ইসরাইল এখনো তার প্রকৃত শত্রুর মুকাবিলায় অবতীর্ণ হয়নি। কিন্তু, শীঘ্রই তারা ইসলামের সত্যিকার সিংহের সন্মূখীন হবে, যখন তারা জীবন ভিক্ষা চাইবে আর বৃক্ষ আর পাথরের আড়ালে গিয়ে লুকোবে। আর পাথর বলে উঠবে আমার পিছনে লুকায়িত ইহুদীকে হত্যা কর, ইনশা’আল্লাহ্।

    আল্লাহ তায়ালা কোরআনে ইরশাদ করেছেনঃ

    বনী-ইসরাঈল[৪-৮]

    وَقَضَينا إِلى بَني إِسرائيلَ فِي الكِتابِ لَتُفسِدُنَّ فِي الأَرضِ مَرَّتَينِ وَلَتَعلُنَّ عُلُوًّا كَبيرًا

    আর আমি বনী ইসরাঈলকে কিতাবে সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলাম যে, তোমরা যমীনে দু’বার অবশ্যই ফাসাদ করবে এবং ঔদ্ধত্য দেখাবে মারাত্মকভাবে।

    فَإِذا جاءَ وَعدُ أولاهُما بَعَثنا عَلَيكُم عِبادًا لَنا أُولي بَأسٍ شَديدٍ فَجاسوا خِلالَ الدِّيارِ وَكانَ وَعدًا مَفعولًا

    অতঃপর যখন এ দু’য়ের প্রথম ওয়াদা আসল, তখন আমি তোমাদের উপর আমার কিছু বান্দা পাঠালাম, যারা কঠোর যুদ্ধবাজ। অতঃপর তারা ঘরে ঘরে ঢুকে ধ্বংসযজ্ঞ চালাল। আর এ ওয়াদা পূর্ণ হওয়ারই ছিল।

    ثُمَّ رَدَدنا لَكُمُ الكَرَّةَ عَلَيهِم وَأَمدَدناكُم بِأَموالٍ وَبَنينَ وَجَعَلناكُم أَكثَرَ نَفيرًا

    তারপর আমি তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জন্য পালা ঘুরিয়ে দিলাম, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দিয়ে তোমাদেরকে মদদ করলাম এবং জনবলে তোমাদেরকে সংখ্যাধিক্যে পরিণত করলাম।

    إِن أَحسَنتُم أَحسَنتُم لِأَنفُسِكُم وَإِن أَسَأتُم فَلَها فَإِذا جاءَ وَعدُ الآخِرَةِ لِيَسوءوا وُجوهَكُم وَلِيَدخُلُوا المَسجِدَ كَما دَخَلوهُ أَوَّلَ مَرَّةٍ وَلِيُتَبِّروا ما عَلَوا تَتبيرًا

    তোমরা যদি ভাল কর, তবে নিজদের জন্যই ভাল করবে এবং যদি মন্দ কর তবে তা নিজদের জন্যই। এরপর যখন পরবর্তী ওয়াদা এল, (তখন অন্য বান্দাদের প্রেরণ করলাম) যাতে তারা তোমাদের চেহারাসমূহ মলিন করে দেয়, আর যেন মসজিদে ঢুকে পড়ে যেমন ঢুকে পড়েছিল প্রথমবার এবং যাতে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয় যা ওদের কর্তৃত্বে ছিল।

    عَسى رَبُّكُم أَن يَرحَمَكُم وَإِن عُدتُم عُدنا وَجَعَلنا جَهَنَّمَ لِلكافِرينَ حَصيرًا

    আশা করা যায় তোমাদের রব তোমাদের উপর রহম করবেন। কিন্তু তোমরা যদি পুনরায় কর, তাহলে আমিও পুনরায় করব। আর আমি জাহান্নামকে করেছি কাফিরদের জন্য কয়েদখানা।

    আল্লাহ্ তা’আলা আরো বলেন:

    [৩:১৩৯] আল ইমরান

    وَلا تَهِنوا وَلا تَحزَنوا وَأَنتُمُ الأَعلَونَ إِن كُنتُم مُؤمِنينَ

    “আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে।”

    আর, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে দিয়েছেন,

    “ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না মুসলমানেরা ইহুদীদের সাথে লড়াই করবে। তারা ইহুদীদের হত্যা করবে। ইহুদীরা পাথর খন্ড ও গাছের আড়ালে লুকাবে। তখন পাথর ও গাছগুলি বলবে হে মুসলিম ! এই যে ইহুদী আমার পিছনে। এস, ওকে হত্যা কর।” [মুসলিম হা/৮২,কিতাবুল ফিতান, মিশকাত হা/৫১৪৪]

    ইনশাআল্লাহ সে সময় আর বেশি দূরে নয় যখন মুসলিমদের হাতের মাধ্যমে প্রতিটি ইহুদিদের অন্যায়ের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।হে উম্মাহর অগ্রগামী বীরেরা প্রস্তুত হও।ফিরে এসো রবের নিকট।বিজয় তো আমাদের সুনিশ্চিত।

    মুসলিম উম্মাহ সর্বত্র আজ যে নির্যাতন, নিপীড়ন আর হত্যার মুখোমুখি হচ্ছে তার মাধ্যমে আল্লাহ্ তা’আলা উম্মাহ্’কে ইসলামের মৌলিক শিক্ষা থেকে বিচ্যুতি, জাতীয়তাবাদ, মানব-রচিত বিধান, ঔপনৈবেশিক দাসত্বের মনন, অনৈক্য আর পরাজিত মানসিকতার কলুষতা থেকে মুক্তি দান করুন।

    আর আমাদেরকে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষায় ফিরে যাওয়ার তাওফীক দিন। আল্লাহ্ তা’আলা বিশ্বাসীদের বিজয় দান করুন এবং ঐক্য দান করুন। আমাদের বিশ্বাস আর জ্ঞানকে পরিশুদ্ধ করুন আর আমাদের একনিষ্ঠতা দান করুন। আল্লাহ্ তা’আলা ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের ধৈর্য ধারন করার তাওফীক দিন আর দৃঢ়পদ করুন। আমীন

    [বিঃদ্রঃ বিভিন্ন স্থান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং কিছু কথা যুক্ত করা হয়েছে ]
    Last edited by বীর সেনা; 08-29-2021, 06:08 AM.

  • #2
    আল-কুরআনুল কারীমের আয়াত যুক্ত করা ছাড়া শুধু অনুবাদ দেওয়া উচিত নয়। তাই আয়াত যুক্ত করে দেওয়ার বিনীত অনুরোধ করছি।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      Originally posted by Munshi Abdur Rahman View Post
      আল-কুরআনুল কারীমের আয়াত যুক্ত করা ছাড়া শুধু অনুবাদ দেওয়া উচিত নয়। তাই আয়াত যুক্ত করে দেওয়ার বিনীত অনুরোধ করছি।
      ভাইজান ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে আর ভূল(ভুল) হবে না।

      Comment


      • #4
        ফিলিস্তিনের ভাইয়েরাও বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানতে হবে এবং মানতে হবে যে, তাদের ধারণকৃত পতাকাটি জাতীয়তাবাদের! হাজারো ফিলিস্তিনি আছে যারা জম্মের পর এই পতাকাকেই ইসলামের পতাকা মনে করছে, অথচ বিষয়টি ছিলো তার উল্টো। ইসলামের পতাকা হলো [[ কালো / সাদা। উপরে কালিমা অঙ্কিত। কালিমার পতাকা ধারণ করলেই দেখবেন আপনার শত্রু কিভাবে বেড়ে যায়! চতুর্দিকে চিৎকার চেচামেচি শুরু হয়ে যাবে। আল্লাহ আমাদের বুঝার তাওফিক দান করুন আমীন।
        বিলাসিতা জিহাদের শুত্রু,শাইখ উসামা রাহ।

        Comment


        • #5
          Originally posted by বীর সেনা View Post

          ইনশাআল্লাহ সে সময় আর বেশি দূরে নয় যখন মুসলিমদের হাতের মাধ্যমে প্রতিটি ইহুদিদের অন্যায়ের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।হে উম্মাহর অগ্রগামী বীরেরা প্রস্তুত হও।ফিরে এসো রবের নিকট।বিজয় তো আমাদের সুনিশ্চিত।

          মুসলিম উম্মাহ সর্বত্র আজ যে নির্যাতন, নিপীড়ন আর হত্যার মুখোমুখি হচ্ছে তার মাধ্যমে আল্লাহ্ তা’আলা উম্মাহ্’কে ইসলামের মৌলিক শিক্ষা থেকে বিচ্যুতি, জাতীয়তাবাদ, মানব-রচিত বিধান, ঔপনৈবেশিক দাসত্বের মনন, অনৈক্য আর পরাজিত মানসিকতার কলুষতা থেকে মুক্তি দান করুন।

          আর আমাদেরকে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষায় ফিরে যাওয়ার তাওফীক দিন। আল্লাহ্ তা’আলা বিশ্বাসীদের বিজয় দান করুন এবং ঐক্য দান করুন। আমাদের বিশ্বাস আর জ্ঞানকে পরিশুদ্ধ করুন আর আমাদের একনিষ্ঠতা দান করুন। আল্লাহ্ তা’আলা ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের ধৈর্য ধারন করার তাওফীক দিন আর দৃঢ়পদ করুন। আমীন
          আমিন আমিন সুম্মা আমিন

          Comment

          Working...
          X