Announcement

Collapse
No announcement yet.

💫মাসউল ও মামুরের "আদাব রক্ষা" মাকবুলিয়্যাতের এক অলংঘনীয় শর্ত! {৩য় পর্ব-মামুরের আদাবসম&

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • 💫মাসউল ও মামুরের "আদাব রক্ষা" মাকবুলিয়্যাতের এক অলংঘনীয় শর্ত! {৩য় পর্ব-মামুরের আদাবসম&

    মামুরের আদাবসমূহ

    {আমার মামুর কে? আমার মামুরের পরিচয় কী? তাঁর সাথে আমার কিসের সম্পর্ক?}

    হে ভাই! আমার মামুরের প্রথম পরিচয় হলো- তিনি একজন বিশুদ্ধ তাওহিদবাদী মুমিন। তাই এক মুমিন অপর মুমিন থেকে যত হক পাওনা, এর সবগুলোই তিনি আমার কাছে পাবেন।

    তাঁর বিশেষ পরিচয় হলো- দাওয়া, এদাদ ও জিহাদের এই নববী মানহাজের রক্ত পিচ্ছিল পথে আমার এক অনুগত ও বিশ্বস্ত সাথী, এক আন্তরিক সাহায্যকারী এবং আমার অক্ষমতা, অপারগতা ও অনুপস্থিতির সময় এক প্রশস্তমনা প্রতিনিধী। তাই একজন অনুগত, বিশ্বস্ত সাথী তার মাসউল থেকে, একজন আন্তরিক সাহায্যকারী তার মানসুর থেকে ও একজন প্রশস্তমনা প্রতিনিধী তার আমীর থেকে পৃথক পৃথকভাবে যত হক পাওনা, এর সবগুলোই একসাথে আমাদের মামুর ভাইগণ আমাদের কাছে পাওনা।

    সুতরাং, হে দায়ী ইলাল্লাহ ও কিতালকারী ভাইগণ! আমরা আমাদের মামুর ভাইদের হকসমূহের ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক আছি তো? মামুর ভাইদের হকসমূহ আদায়ের ক্ষেত্রে কোন ধরণের গাফলতি ও গুরুত্বহীনতা আমাদের মাঝে কাজ করছে নাতো?

    প্রিয় ভাইয়েরা! মামুর ভাইদের আদাব-সম্মানের বিষয়টিকে আরেকটু খোলাসা করার জন্য কয়েকটি পয়েন্ট মুযাকারাতান উল্লেখ করছি বি-ইজনিল্লাহ-

    ১। মামুরের প্রার্থিব স্বার্থহীন আনুগত্যকে মূল্যায়ন করা। {আমার ভাই! মামুরের জন্য যেমন মাসউলের আনুগত্য জরুরী, মাসউলের জন্যও তার মামুরের এই একনিষ্ঠ আনুগত্যের সঠিক মূল্যায়ন জরুরী। এটাই তা'দিল তথা সমন্বয়। মাসউলের এই সমন্বয়সাধন একটা ত্বয়েফা, একটা মাজমু'আ, একটা শুবা ও একটা জামা'আকে এতো বেশি শক্তিশালী ও অগ্রসর করতে পারে, যা সমন্বয় না করা একজন মাসউলের পক্ষে ভেবে উঠাও সম্ভবপর হবেনা। কেননা, আমরা যখন আমাদের মামুর ভাইদের একনিষ্ঠ আনুগত্যের যথেষ্ট মূল্যায়ন করবো, তখন মামুর ভাই তাঁর মাসউলের আনুগত্যে আরো বেশি স্বাদ ও মজা খুঁজে পাবে; তাঁর কাজের স্প্রিহা ও স্পিড দুটোই বৃদ্ধি পাবে। পক্ষান্তরে মামুরের আনুগত্যকে মুল্যায়ন না করা হলে, সে আগ্রহ হারাবে, কাজে প্রকৃত স্বাদ ও মজা খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে ; ফলে তার কাজের স্প্রিহা ও স্পিড দুটোই কমে যাবে। তাই আমাদের জামা'আ কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়বে। আমার ভাই! এভাবে ১০/২০/৩০/৪০/৫০ জন ভাই যদি জামা'আকে পিছিয়ে দেন, তাহলে জামা'আ কতোটা পিছিয়ে পড়বে???! }

    তাহলে কিভাবে করবো এই মুল্যায়ন?
    (ক) কথার মাধ্যমেঃ যেমন- কোন কাজ শেষে তাৎক্ষণিকভাবে মৌখিক শুকরিয়া আদায় করা। জাযাকাল্লাহ খাইরন বলা। উপযুক্ত প্রশংসা করা। এবং পরবর্তীতে সময়ে সুযোগে উৎসামুলক বক্তব্য রাখা, আলোচনা করা।

    (খ)আন্তরিকভাবেই তাকে মুল্যায়ন করা। তার যোগ্যতা বৃদ্ধির ফিকির করা। যোগ্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাস্তবসম্মত প্রশিক্ষণদান ও পরিক্ষা গ্রহণ করা। তার কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য নির্জনে দোয়া করা।

    (গ) যোগ্যতা প্রমাণিত হলে, সে অনুযায়ী দায়িত্ব প্রদান করা। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও গ্রহণযোগ্য কোন ওজর ব্যতীত বসিয়ে না রাখা।

    ২। মামুরের সাথে সর্বাধিক সুন্দর ও নম্র আচরণ করা। কারণ, আমি তার শিক্ষক। আমার প্রতিটি কথা, কাজ ও আচরণ সে সবক হিসেবে গ্রহণ করে থাকে, এবং কিছুদিন পর সে ওগুলো আমাকে ফিরিয়ে দেবে, সবকদান হিসেবে। {সুতরাং, হে ভাই! আমরা আমাদের মামুর ভাইদেরকে সর্বোচ্চ সুন্দর সবক শিক্ষা দিচ্ছিতো?}

    ৩। মামুরের সর্ববিষয়ে সম্যক ধারণা রাখা এবং যথাসম্ভব তার খোঁজ-খবর রাখা। যাতে করে-
    (ক) সময়মতো তাকে প্রয়োজনীয় কাজ দিতে পারি।
    (খ) তাকে প্রয়োজনীয় মাশওয়ারা দিতে ও সাহায্য করতে পারি।
    (গ) বিপদে-আপদে তার পাশে দাঁড়াতে পারি।{ হোকনা তা শুধু দোয়া ও মাশওয়ারার মাধ্যমে }
    (ঘ) এবং তার মানোন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি।

    ৪। হতে পারে মামুর ভাই বয়সে বা কাজের দিক থেকে কিংবা যোগ্যতায় আমার চেয়ে ছোট। তাই বলে হে ভাই! আল্লাহর কাছেও মর্যাদায় সে আমার চেয়ে ছোট, ব্যাপারটি কিন্তু এমন নয়। বরং আল্লাহ তাআলার কাছেতো সেই সর্বাধিক সম্মানিত, যার তাকওয়া সর্বাধিক। অতএব, হে ভাই! কেউ আমার মামুর বলে তার প্রতি তাচ্ছিল্যের ভাব যেনো আমার ভেতর না আসে।

    ৫। মামুরের সাথে এমন কথা, কাজ ও আচরণ থেকে বিরত থাকা, যা তার আত্নসম্মানবোধে আঘাত করতে পারে।

    ৬। কাজ ও শাষণদানের ক্ষেত্রে তার সক্ষমতা ও অক্ষমতার বিষয়টি খুব খেয়াল রাখা। {হে ভাই আমরা কী তার উপর এমন বোঝা চাপিয়ে দিতে পারি, যা আল্লাহ তাআলা তার উপর আবশ্যক করে দেন নি?}

    ৬। কোন ভুল-ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে ভালোবাসা দিয়ে সংশোধন করা। আমি একথা বলছিনা যে, তাকে ভুলের কারণে শাস্তি দেয়া যাবেনা। বরং হে ভাই! আমার, আপনার শাষণের মাঝে যেনো আন্তরিক ভালোবাসাই থাকে। রাগ ও বিদ্বেষ না থাকে।

    আমি কোন এক জায়গায় দেখেছি - এক উস্তাদকে লক্ষ্য করে তাঁর ছাত্ররা বলছিলো; উস্তাদজী! আপনার সবকিছুই আমাদের কাছে ভালো লাগে। এমনকি আপনি যখন আমাদেরকে শাস্তি দেন, মারেন, বকাঝকা করেন তখনও!!! এর মৌলিক কারণ হলো- ছাত্রের প্রতি উস্তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা এবং শাষণ করার ক্ষেত্রে এমন পন্থা অবলম্বন করা, যা শাষিত ব্যক্তির কাছে তাৎক্ষণিকই কল্যাণকর ও ভালো মনে হয়। তাই সে নির্দ্বিধায় তা মেনে নেয়।

    হে ভাই! আমি, আপনি কী এটি চাই যে,আমার, আপনার একটি ভুল কথা, কাজ, আচরণ ও শাষণের কারণে আল্লাহর দীন কায়েমের বাগানে সদ্য ফুটে উঠতে থাকা একটি সুন্দর ফুল ঝরে যাক? আমি, আপনি তো ভাই, এই বাগানের একেকজন দরদী মালী। তাহলে একজন দরদী মালীর পক্ষে কী এভাবে কচি ফুলগুলোকে ঝরতে দেয়া সম্ভব?

    سبحان ربك رب العزة عما يصفون وسلام علي المرسلين و الحمد لله رب العالمين

  • #2

    আলহামদুলিল্লাহ,, আল্লাহ মুজাহিদ ভাইদের কাজগুলো কবুল করুন, আমীন।
    اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

    Comment


    • #3
      আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুন। আমিন

      মুহতারাম ভাই কমেন্ট বক্সে আগের পর্বগুলোর লিঙ্ক দিলে ভালো হবে।
      আল্লাহ আপনার সকল মেহনতকে কবুল করুন। আমিন
      গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

      Comment


      • #4
        যে সমস্ত ভাইয়েরা আগের পর্ব গুলো পড়তে পারেন-নি!
        তারা আগের পর্বগুলো পড়ে নিতে পারেন!
        লিংক ১

        https://82.221.139.217/showthread.ph...A7%8D%E0%A6%AC

        লিংক ২

        https://82.221.139.217/showthread.ph...A7%81%E0%A6%B9

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তায়া'লা আমাদের আমল করা সহজ থেকে আরো সহজ করে দিন, আল্লাহুম্মা আমিন।

          Comment


          • #6
            আলহামদুলিল্লাহ, উপকৃত হওয়ার মত পোস্ট। আল্লাহ ভাইকে জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন
            প্রিয় ভাই, এমন পোস্টের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার আবেদন রইল। আল্লাহ তাওফিক দিন। আমীন
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment


            • #7
              ভাই! আপনি একটা ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। এ বিষয়ে কুরআন-হাদিসের যে দিকনির্দেশনাগুলো আছে, সেগুলোর ব্যাখ্যা করা এবং সুস্পষ্টভাবে তার ভিত্তিতে আদবগুলো বর্ণনা করা দরকার। কিন্তু প্রিয় ভাই! আপনি কোন দলিলই উল্লেখ করছেন না। এছাড়া প্রথম পোস্টে আয়াত ও হাদিসের ভুল প্রয়োগ করেছেন। এভাবে তাবলীগীদের মতো অন্য বিষযের হাদিস টেনে টেনে নিজেদের মধ্যে লাগানোর চিন্তা সমস্যাজনক। প্রিয় ভাই! আপনি এমন সুনির্দিষ্ট পয়েন্টভিত্তিক আলোচনাকে কোন দলিল ছাড়া বর্ণনা করছেন, এটা সত্যি আপত্তিকর।

              Comment

              Working...
              X