Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ #৪ঠা সফর, ১৪৪৩ হিজরি | ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ #৪ঠা সফর, ১৪৪৩ হিজরি | ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২১ ঈসায়ী |

    তালেবান মুজাহিদীনের প্রশংসায় স্কাই নিউজের ব্রিটিশ নারী সংবাদদাতা

    কাবুল থেকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের নারী সংবাদদাতা অ্যালেক্স ক্রফোর্ড জানিয়েছেন, তার টিম ভারপ্রাপ্ত সরকারের কাছ থেকে অনুমতি পেয়ে তুলনামূলক স্বাচ্ছন্দ্যে আফগানিস্তান ও রাজধানী কাবুলে ঘুরে বেড়াতে পেরেছেন। তিনি বলেন, একাধিক সশস্ত্র তালেবান চেকপয়েন্ট রয়েছে যেখানে আমাদের সমস্ত কাগজপত্র কয়েকবার যাচাই -বাছাই করা হয় – কিন্তু তার সাথে প্রায়ই তারা আনন্দদায়কভাবে আমাদের ‘স্বাগতম, স্বাগত’ জানাতে থাকে। কিন্তু যখনই আমরা কোন তালেবানের সামনে পড়েছি, তারা বিদেশী সাংবাদিকদের কাজের সুবিধার্থে তাদের পথ থেকে সড়ে গিয়েছে, এটি আফগানদের জন্য স্পষ্টতই একটি ভিন্ন চিত্র।’

    ক্রফোর্ড বলেন, ‘তারা আমাদেরকে তাদের সাথে টহলে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। আমি পুরোপুরি নিশ্চিত যে তারা ভেবেছিল শুধু স্কাইয়ের ক্যামেরাম্যান রিচি মকলার তাদের পিকআপ ট্রাকের পেছনে উঠতে যাচ্ছেন। যখন আমিও তার পিছনে উঠি, তখন এই বিদেশী নারীর কারণে তালেবান পুরুষদের মধ্যে হঠাৎ আতঙ্ক দেখা দেয়। তারা অবিলম্বে ট্রাক থেকে নেমে যায়। কেবলমাত্র আমাকে নামিয়ে নেয়ার জন্য একজনকে রেখে যায়।’ তিনি আরও বলেন, তাদের মধ্যে দু’জনকে তাদের সিনিয়ররা গাড়িতে করে আমাদের সাথে যাওয়ার জন্য জোড় করে পাঠায়। কিন্তু যাত্রাপথে একজন আমার পুরো সময় আমার দিকে পিছনে ফিরে বসে থাকেন এবং অন্যজন বেশিরভাগ সময় তার পরিহিত চাদরের পিছনে লুকিয়ে ছিলেন। দু’জনকেই লজ্জিত ও বিব্রত মনে হচ্ছিল।’ সূত্র: স্কাই নিউজ।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নিরাপত্তাহীনতায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী

    রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক মেধাবী ছাত্রী সনাতনী ধর্ম তথা হিন্দু ধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। বিগত দুই বছর পূর্বে আইনসিদ্ধ ভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও স্বজনদের অগোচরে গোপনে ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে আসছিল। সম্প্রতি পরিবারের মধ্যে তার চালচলনের প্রতি সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তারা নিশ্চিত হয় দ্বীপান্বিতা পাল (২০) ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। সেও নিশ্চিত হয় তার পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনা জেনে ফেলেছে। এরপর থেকে তার প্রতি পরিবারের সদস্যদের আচরণ ভিন্নরুপ ধারণ করে। সে সুযোগ খুঁজতে থাকে প্রাণে রক্ষা পাওয়ার। শেষ পর্যন্ত সে কৌশলে গত রবিবার ঘর ত্যাগ করেও নিরাপত্তাহীনতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে জায়গা পরিবর্তন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।

    উক্ত মেধাবী ছাত্রী হচ্ছে চট্টগ্রামের খরণদ্বীপ এলাকার বোয়ালখালী থানা, বর্তমান সাং-সাবেরিয়া, আন্দরকিল্লা চট্টগ্রামের উজ্জল কুমার পাল ও মাতা শীলা পালের কন্যা। সে (রুয়েট) এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

    ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত/নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। যার রেজিঃনং-৩৮৪। ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী মেধাবী ছাত্রী দ্বীপান্বিতা পাল (২০) পূর্বের নাম পরিবর্তন করে বর্তমানে খাদিজাতুত তহিরা নাম রেখেছে। প্রাণ নাশের ভয়ে ঘর ছাড়া এ নওমুসলিম মেধাবী ছাত্রীর সাথে কথা হলে জানান,সে স্কুল,কলেজে পড়ার সময় মুসলমান বন্ধু-বান্ধবীদের সাহচর্যে থেকে ইসলামের রীতিনীতি দেখে দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়েন। সিদ্ধান্ত নেন গোপনে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানার।

    জানতে জানতে একসময় সনাতনধর্ম তথা হিন্দু ধর্মের প্রতি তার আস্থা বিশ্বাস শূন্যের কোটায় পৌঁছে। এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেন চির শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করার। সিদ্ধান্ত মোতাবেক চট্টগ্রাম নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পূর্বের ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে খাদিজাতুত তহিরা নাম গ্রহণ করেন।বিগত দুই বছর পূর্বে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেও এতদিন সে নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে ইসলামের বিধিবিধান পালন করে আসছিলেন।কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে করোনার কারণে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ঘরে অবস্থান করছিল।ঘরের মধ্যে গোপনে ধর্মকর্ম পালন করে চললেও দেরিতে হলেও পরিবারে সদস্যদের চোখে ধরা পড়ে যায়।সেই থেকে তার উপর শুরু হয় বিরুপ আচরণ। সব সহ্য করেও সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন ঘর ছাড়ার। অবশেষে সেই সুযোগ পেয়ে যাই গত রবিবার। নিজেকে প্রাণে রক্ষা করতে কৌশলে ঘর থেকে পালিয়ে যাই। পালিয়েও জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় স্থান পরিবর্তন করে করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানান। তিনি তার জীবনের নিরাপত্তা সহায়তা কামনা করেছেন।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বর্ষায় কাদা আর শুকনো মৌসুমে ধুলোবালি : উন্নয়নের প্রবল জোয়ারে ভাসছে দেশ।

      লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার দু’টি ব্যস্ত সড়ক হল চররমিজ ইউনিয়নের সৈয়দ মৌলভীবাজার-চৌধুরীবাজার সড়ক ও রামগতি বাজার-ছেউয়াখালী সড়ক। সড়ক দুটির মোট দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৪ কিলোমিটার।
      উপজেলার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই দু’টি রাস্তা দিয়ে চলাচল করলেও, সাড়ে ১৪ কিলোমিটার সড়কের প্রায় পুরোটা জুড়েই কার্পেটিং উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। ভারি যানবাহন তো দূরের কথা, হালকা দু’চাকার যান ও পথচারী চলাচল করাটাই এখন বড় দায় হয়ে পড়েছে।

      এলাকাবাসী জানান, সড়ক দুটিতে ভারি জানবাহন চলাচল করে।
      মৌলভীবাজার থেকে চৌধুরীবাজার পর্যন্ত নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যেই কয়েক কিলোমিটার সড়ক ভেঙে যায়। বর্তমানে সেখানে অনেক বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
      অপরদিকে রামগতিবাজার-ছেউয়াখালী সড়কটির ছেউয়াখালী সেতু থেকে সৈয়দ মৌলভী বাজারের পোল পর্যন্ত সাড়ে ৭ কিলোমিটার কাজ করা হয় ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে। সড়কটি আলাদা জোনের হওয়ায় অবশিষ্ট ৬ কিলোমিটার সড়কের কাজও করা হয়নি তখন। চলতি বছরের প্রথম দিকে পণ্যবাহী ট্রাক উল্টে রামগতি বাজারের ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এরপর যাত্রীবাহী গাড়ি উল্টে হতাহতের একাধিক ঘটনাও ঘটেছে।

      রাস্তাগুলোর এমন দুরাবস্থার কারণে মানুষের জরুরি কাজ যেমন- অসুস্থ রোগী আনা-নেওয়া ও ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াত নিয়ে বেকায়দায় রয়েছেন স্থানীয় বসবাসকারীরা। বর্তমানে এই দুটি সড়ক, এ অঞ্চলের মানুষের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে।
      তবে রাস্তার উন্নয়ন বা সংস্কারে কর্তৃপক্ষের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই ।

      ঐ দুটি সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ উল্লাহ সেলিম জানান, “রাস্তার অবস্থা এতোটাই খারাপ, কোন মানুষ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স আসতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে। বেহাল রাস্তায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। বর্ষার সময় পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠে। আমাদের প্রতিদিন কাদা-পানি ভেঙে যাতায়াত করতে হয়। এমনকি মোটরসাইকেলও চালানো যাচ্ছেনা।” সূত্র: ইনকিলাম

      সারা দেশ জুড়ে সড়ক-মহাসড়কের এমন বেহাল দশা দালাল হাসিনা সরকারের উন্নয়নের ফাঁপা বুলির বাস্তবতাকে জনসমক্ষে প্রকাশ করে দিচ্ছে। উন্নয়নের জোয়ারে এসব রাস্তা ভেসে চলে গেছে বলে ব্যঙ্গ করছেন অনেকে।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার পর এবার সামাজিক মাধ্যমের উপর খড়গহস্ত স্বৈরাচার হাসিনা।

        ফেইসবুক ও টুইটার সহ সামাজিক মাধ্যমগুলোর উপর চড়াও হচ্ছে দালাল হাসিনা সরকার; অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনগণের মত প্রকাশের শেষ উপায়টার উপরেও এবার কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে তারা। খবর – নিক্কি এশিয়া, জাপান।

        মূলত সরকারের দুর্নীতি আর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক রিপোর্টগুলো বন্ধ করতেই স্রকার এমন উদ্যোগ নিয়েছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক এই পত্রিকাটি। এক্ষেত্রে তারা সরকারের তথ্যপ্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের বক্তব্য উল্লেখ করেছে, “সরকার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চায়।”

        সরকার এমন একটি আইন প্রণয়নের কথা ভাবছে, যাতে করে তারা দেশের অভ্যন্তরেই সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের তথ্য সার্ভারে জমা করতে পারবে। নতুন আইনের আওতায় সরকার সামাজিক মাধ্যমগুলোকে বাধ্য করবে যাতে তারা ‘সরকারবিরোধী মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়ানোর জন্য দায়ি’ একাউন্টের তথ্য সরকারকে সরবরাহ করে।

        উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সরকার ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’এর মাধ্যমে আগেই সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী ও সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করেছে। এই আইনের অধিনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আদালতের ওয়ারেন্ট ছাড়াই ‘মিথ্যা তথ্য প্রচারের’ দায়ে যেকাউকে গ্রেফতার করতে পারবে। ঐ আইন পাশের পর থেকেই শত শত সাংবাদিক ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী হামলা-মামলা ও পুলিশের হয়রানির শিকার হয়েছে। এই আইনের আওতায় গ্রেফতার কয়েকজন সাংবাদিকের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুও হয়েছে।

        এর তিন বছরের মাথায়ই সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের আরেকটি আইন প্রণয়ন করা হলে, জনগণের প্রতিবাদ করার যে অধিকারকে আগেই গলা টিপে হত্যা করা হয়েছিল- তার কফিনে শেষ পেরাক ঠুকে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

        অনেক বিশ্লেষক এমন মন্তব্যও করেছেন যে, এসকল আইনের উদ্দেশ্য একটাই। তা হল – সরকার ও তার সহকারিরা যা- খুশি-তা করবে, সারা দেশ লুটেপুটে খাবে, আর জনগণ শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবে; কেউ কোন প্রতিবাদ করতে পারবেনা। তাদের মতে, শেখ হাসিনা তার বাবার পথে হেটেই এদেশকে একটি নব্য ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছে।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          গাজায় এবার শরণার্থী শিবিরে ইসরাইল সন্ত্রাসীদের বিমান হামলা

          ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল।

          রোববার দিনের শুরুর দিকে ইসরাইল গাজার দেইর আল-বালা শহরের আল-মাগজি শরণার্থী শিবিরে এ হামলা চালায়। খবর সাফা নিউজ এজেন্সির।

          হামলায় শরণার্থী শিবিরের বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

          গত কয়েক দিন ধরে ইসরাইলি বাহিনী গাজার ওপর দফায় দফায় বিমান হামলা চালাচ্ছে। ইসরাইলের কুখ্যাত গিলবাও কারাগার থেকে ছয় ফিলিস্তিনি বন্দি পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে নতুন করে এ হামলা শুরু করে ইহুদিবাদী দেশটি।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X