Announcement

Collapse
No announcement yet.

🏴আন নাসর মিডিয়ার বার্তার সারসংক্ষেপ! পয়গামঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (পাকিস্তান গঠনের উদ্

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • 🏴আন নাসর মিডিয়ার বার্তার সারসংক্ষেপ! পয়গামঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (পাকিস্তান গঠনের উদ্

    ️ইসলামের শত্রুরা যে ইতিহাস গোপন করে।⚠️
    ধৈর্য সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। জানা ইতিহাস সংক্ষিপ্ত করেছি। না পড়লে মিস করবেন। অজ্ঞ থেকে যাবেন।↪️
    ভারত উপমহাদেশে অন্ধকারের ছড়াছড়ি,
    আলোর মশাল নিয়ে এসেছিলেন,

    মুহাম্মদ বিন কাসিম,সুলতান মুহাম্মদ গজনবি বখতিয়ার খিলজি, প্রমূখ।

    চলেছিল ইসলামের সু-শীতল ন্যায়ের শরিয়া,
    শান্তিতে ছিল মুসলিম ও মূর্তি পূজারীরা।

    ১৮০০ সালে পলাশীর যুদ্ধের কারণে,
    ব্রিটিশরা ভারতে আসে,

    এবং
    আল্লাহর প্রেরিত, রাসূলের দেখানো, জীবন ব্যাবস্থা শরিয়া,কুরান হাদিসের ইসলামি রাষ্ট্র ব্যাবস্থা অচল হয়ে যায়।

    তাই তো ইসলামের আলোকে ছড়াতে,

    অখন্ড ভারতে রামরাজ্যের সপ্ন দ্রষ্টা মারাঠি শক্তির বিরোদ্ধে পানিপথ যুদ্ধ শুরু করেন
    শাহ ওলিওল্লাহ দেহ লভী রহ, এভাবে রক্ষা করেছিলেন মুঘল রাজ্যকে।

    অত:পর ব্রিটিশদের শাসনামলে

    ব্রিটিশ বিরোধী জিহাদে বিদ্রোহের আগুন ছড়াতে,

    ইসলামের দাওয়াহ দিতে, জিহাদের প্রস্তুতির জন্য, ঘাটি তৈরীর জন্য, অর্থ সংগ্রহের জন্য,

    শাহ ওলিওল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী তার ধুনুকের শ্রেষ্ঠ তীর ও নিজ তরবিয়তে গড়ে তুলে চোখের মনি
    শাহ সৈয়দ আহমেদ শহিদ ও শাহ ইসমইল শহিদকে পাঠিয়ে দেন ঢাকায়, এ থেকে ভারত- পাকিস্তান-আফগান,বেলচুইস্তিনে,
    নিজের বসত বাড়ি ভিটা ছেড়ে
    হিজরত-জিহাদ করেছেন,
    শুধু

    وَ قَاتِلُوۡہُمۡ حَتّٰی لَا تَکُوۡنَ فِتۡنَۃٌ وَّ یَکُوۡنَ الدِّیۡنُ کُلُّہٗ لِلّٰہِ ۚ فَاِنِ انۡتَہَوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ بِمَا یَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ ﴿۳۹﴾
    ৮. আল-আনফাল আয়াত ৩৯
    তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাও যে পর্যন্ত না ফিতনা (কুফর ও শিরক) খতম হয়ে যায় আর দ্বীন পুরোপুরিভাবে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। অতঃপর তারা যদি বিরত হয় তাহলে তারা (ন্যায় বা অন্যায়) যা করে আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা।


    ১. ফিতনা নির্মূল (তথা কাফেরদের শক্তি ধ্বংস করতে)
    ২. জীবন ব্যাবস্থা যেন আল্লাহর প্রদত্ত জীবন বিদগান ইসলাম হয়(শরিয়াত প্রতিষ্টা)

    কুনহার নদীর তীরে, বালাকোট ও শামিলির ময়দানে,

    তাদের শাহাদাতে এ-আলো নিভে যায় নি,
    বরং অনেকেই তাদের দ্বায়িত্ব পালন করেছেন,
    আরো প্রবলভাবে, নতুন করে।
    এরপর যখন ব্রিটিশদের পতন হলো
    পাকিস্তান ও ভারত সৃষ্টি হলো,

    হিন্দুদের কট্টরপন্থী মনোভাব ও ইংরেজ প্রেমের জন্য,
    আমাদের সালাফগণ বুঝতে পেরেছিলেন যে হিন্দু ও মুসলিম
    একসাথে থাকতে পারবে না,
    ইসলামি শরিয়া বাস্তবায়নের লক্ষেই পাকিস্তান গঠিত হয়েছিল,
    তখন যদি কেউ জিজ্ঞেস করতো
    পাকিস্তান গঠনের উদ্দেশ্য কি ছিল,
    তখন বলতো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

    গঠনের পর ৩ টি শ্রেণির মানুষ ছিল,

    এক, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ
    দুই, ওলামায়ে কেরাম,
    তিন, সাধারণ মুসলিম।

    ১.স্বাধীনের পর এবার পালা,
    রাষ্ট্র গঠন করা, এর জন্য ছিলা রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা, তারা বলেছিল আমরা রাষ্ট্রকে ইসলাম অনুযায়ী পরিচালিত করব,
    তাই আলেমদের সাহায্য চেয়েছিল তারা,

    ২, তাই আলেমগণ তাদের সমর্থন দিয়েছিলেন,

    এবং জনগণকে অনুসরণ করতে বলেছিলেন,
    বলেছিলেন,

    শাসক গোষ্ঠি যদি কোরান সুন্নাহ অনুসরণ না করে তাহলে
    আমাদের সমর্থন ও অনুসরণের আদেশ মান্য করবে না।

    ৩, জনগণ তাই তাদের অনুসরণ করেছিল।

    কিন্তু শাসকরা ছিল মুনাফিক,
    তারা ইসলামের পরিবর্তে পশ্চিমা আদর্শ,
    গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতিয়তাবাদ, ধর্ম নির্পক্ষতায় বিশ্বাসী, তারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার ওয়াদা ভঙ্গ করে।

    এভাবে গনতন্ত্র বার বার মুসলমানদের প্রতারিত করে, এ মতবাদের উদ্দেশ্যই
    ইসলামি শরিয়া ধ্বংস করা,

    ভোট, পার্লামেন্ট এবং নির্বাচন এসব ধোঁকা ও প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না”।

    ইসলামি রাষ্ট্রের নামে ইসলাম বিরোধী আইন প্রণয়নই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও শাসক পার্লামেন্ট সদস্যদের কাজ।
    এবং মানব রচিত কুফরি আইনের ধারক বাহক পুলিশ- সামরিক বাহিনি।
    এসব সামরিক ও বেসামরিক খাতে

    ইসলামের স্বার্থ ছাড়া কাজ করা হারাম।

    সেনাবাহিনীর কাদিয়ানি পন্থিরা ও
    পশ্চিমা প্রেমি মুনাফিকরা অস্রের বলে,
    আলেমদের মৌলবাদী বলে জেল, জুলুম, হত্যা করে,

    আর
    এক শ্রেনীর আলেম, তৈরি করে যারা,
    কুফরি মতবাদগুলিকে ইসলামি বলে,
    ইসলামী মুভমেন্ট শুরু করে,
    যা মানব রচিত আইনকে গ্রহণযোগ্য করে,
    তারা এটি ভাবে না যে,

    আল্লাহর সংবিধান মানলে আল্লাহর ইবাদত,
    আর
    মামুষের তৈরী সংবিধান মানলে মানুষের ইবাদত হয়।

    এভাবে বলা হয় যে দেশ ত স্বাধীন হয়েছে,
    এখন আর জিহাদের প্রয়োজন নেই,

    মানব রচিত শরিয়া পরিপন্থী সংবিধানকে বলা হয়,
    ইসলামি সংবিধান। এর আনুগত্য কর।

    এভাবে ভ্রান্তির বেড়াজালে আমাদের সুখ ও সমৃদ্ধি।
    ভ্রান্তির বেড়াজালে আমাদের মৌলিক আদর্শ-বিশ্বাস,

    চলছে রাষ্ট্রিয়ভাবে আল্লাহ ও রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, সুদী অর্থনীতির মাধ্যমে।
    অন্যান্য অবিচারের মাধ্যমে,

    এরপর পাকিস্তান সেনাবাহিনী অত্যাচার করেছিল পূর্ব-পাকিস্তানের উপর, আমেরিকার আদেশে।

    এতে স্বাধীনতা ও জাতিয়তাবাদের রেষ ধরেই সৃষ্টি হয়
    বাংলাদেশ।
    এর সুযোগ নিয়ে ভারতের হিন্দুরা সুযোগ নেয়, বাংলাকে করদ-রাজ্য বানায় ভারত।

    যদি তারা মানবতাবাদী হতো, তাহলে কেন মায়ানমারের মুসলিমদের সহায্য করে নি?

    হ্যা! তারা স্বার্থপর, স্বার্থের জন্য ৭১ এ সাহায্য করেছিল।

    মানব ইতিহাসের এক বড় হিজরত, হাজার-হাজার লক্ষ-লক্ষ মানুষের ইজ্জত আব্রু, জান-মাল, ঘর-বাড়ি, এবং জমি-জমা ইত্যাদি এসব কিছুর নজিরবিহীন ত্যাগ-তিতিক্ষার পর, অবশেষে ঐ রাষ্ট্র অস্তিত্বে আসে, যার উদ্দেশ্য ছিল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

    যার সংবিধান হবে ইসলাম এবং ইশতেহার হবে কুরআন।অত্ন ত্যাগি বীর শহিদরা, সন্তান হারা মা বোনরা যেন চিৎকার কঅরে বলছে!
    ইসলামি শরিয়া চাই,

    তবেই কষ্ট ও ত্যাগ তিতিক্ষা স্বার্থক হবে।

    আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফিক দিন

    ❣️আমিন↪️
Working...
X