Announcement

Collapse
No announcement yet.

মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ !!! (পর্ব-২)

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ !!! (পর্ব-২)

    মডারেট ইসলাম বা আন্তঃধর্মীয় সংলাপ যে নামেই সম্প্রীতি ও ঐক্যের কথা বলা হোক না কেন; আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা কিন্তু কিতাবুল্লাহতে একটি প্রান্তিকতা স্পষ্ট করেছেন। আর এই প্রান্তিকতা হচ্ছে আহলে ইমান ও আহলে কুফরের মাঝে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুয়্যাত লাভেত(লাভের) পর থেকে এই প্রান্তিকতা আজো বিরাজমান। চৌদ্দশ বা সাড়ে চৌদ্দশ বছরের ইতিহাসে মুসলমানরা অনেক বড় বড় বিজয় (যেমনঃ বদর, মক্কা, রোমান, পারস্য, আন্দালুস, ফিলিস্তিন ও অতিসম্প্রতি কাবুল বিজয় দেখেছেন)। কাফেররা এত বড় বড় অপমান ও লাঞ্ছনাদায়ক পরাজয়ের পরও কখনো মুসলমানদের সাথে তাদের যুদ্ধের অবসান করেনি। হয়ত কখনো তারা সরাসরি সামরিক আগ্রাসন করেছে, আবার কখনও আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিয়েছে। কিন্তু উল্লেখিত এই দুই অবস্থার (যুদ্ধ ও প্রস্তুতি) সাথে সাথে কাফেররা মুসলমানদের সাথে সর্বদা আরেকটি যুদ্ধ জারি রেখেছিল। আর এই যুদ্ধটি হচ্ছে "মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ"।

    ইতিহাসের পাতা উল্টালে মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফেরদের এই হীন অথচ দুঃখজনকভাবে অত্যন্ত কার্যকর এই যুদ্ধের কিছু উদাহরণ খুঁজে পাওয়া যাবে। কারণ এটি কাফেরদের এমন এক নীরব আগ্রাসন যা মুসলিম সমাজ বুঝে উঠার আগেই সমাজের অনেকখানি ক্ষতি সাধন ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়ে যায়। বর্তমানে কাফেরেরা বিশেষ করে পশ্চিমা জোট শক্তি ইসলামের বিজয়কে বিতর্কিত করতে "মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের" আশ্রয় নিয়েছে।

    দোহা চুক্তি স্বাক্ষরের পর আমেরিকা ও তার মিত্ররা তাদের ভাষ্যমতে "আফগান জনগণ ও তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নিজের দেশে ফিরে যাচ্ছে"। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তারা এখনও যুদ্ধ শেষ করেনি। আফগান ভূমি থেকে তারা তাদের সৈন্য পত্যাহার করছে ঠিকই কিন্তু অন্য ফ্রন্টে তাদের যুদ্ধ এখন অব্যাহত। তাদের হয়ে যুদ্ধে নেমেছে পশ্চিমা মিডিয়া, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সেক্যুলার গোষ্ঠী; এমনকি বাংলাদেশের সুশীল সমাজও।
    যখন পশ্চিমা মিডিয়া আর তার দোসরা দেখলো যে, তালিবানরা মুসলিম ও বিশ্ববাসীর সামনে এমন এক ভিন্নতর চিন্তাধারা ও আদর্শ পদ্ধতি পেশ করছে, যা মানুষকে পশ্চিমা বস্তুবাদী মানদণ্ডের অন্ধকার থেকে মুক্ত করে ইসলামের আলাের দিকে, ইসলামি শরিয়তের ন্যায়বিচারের দিকে, পশ্চিমা কপট রাজনীতি থেকে বিশুদ্ধ ইসলাম ও ইসলামের উন্নত শিক্ষার স্বচ্ছতার দিকে এবং দালাল সরকারগুলাের পথভ্রষ্টতা থেকে বের করে উম্মতের সালাফদের মানহাজের দিকে পথপ্রদর্শন পেশ করছে, তখন পশ্চিমারা একাজের মধ্যে তাদের আদর্শের বিরুদ্ধে বিরাট হুমকি দেখতে পেল। একারণে পশ্চিমারা তালিবানদের থেকে মানুষকে বিমুখ করার জন্য তালিবানদের চিন্তাধারা ও তালিবান সরকারের বিরুদ্ধে তাদের অভিযােগের তীর এবং চক্রান্ত আরােপ করতে শুরু করল, যাতে করে অন্যান্য ইসলামি দেশসমূহে মুসলিমগণ তালিবানদের অনুসরণ না করে। তারা এমন কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করতে শুরু করলো - যা একদিকে ইসলামের বিজয়কে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস; অন্যদিকে মুসলমানদের অন্তরকে তালেবানের চিন্তাধারার ব্যাপারে প্রশ্নবিদ্ধ করছে,তাদের তাদের মস্তিষ্কগুলোকে সংশয়পূর্ণ করে তুলছে।

    পশ্চিমা মিডিয়া ইমারতে ইসলাম আফগানিস্তান'র ব্যাপারে উদ্দেশ্যে প্রনোদিত(প্রণোদি) ভাবে কিছু প্রশ্ন সমাজের (সামনে) ছুড়ে দিয়েছে। যেমন,
    ---> তালিবান প্রশাসন গণতান্ত্রিক হবে, না অগণতান্ত্রিক?
    ---> তালেবান প্রশাসনের রাষ্ট্রকাঠামো কি সংসদীয় হবে না, একনায়কতন্ত্র? -- ইত্যাদি।

    প্রত্যকের অন্তরে এই প্রশ্নসমূহ একবার হলেও জাগ্রত হয়েছে। তাই সকলেই নিজেদের বিচার-বুদ্ধি ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজছেন যাতে কাফের এবং সংশয়বাদীদের কঠোর ভাষায় জবাব দেওয়া যায়। আর ঠিক এখানেই আমাদের ভুল হচ্ছে। কারণ কাফেরদের মূল বিতর্কের বিষয় এই প্রশ্নগুলোর উত্তর নয় বরং স্বয়ং প্রশ্নের মাঝেই বিদ্যমান রয়েছে। তাই এই প্রশ্নগুলোর উত্তর বিশ্লেষণের পূর্বে প্রশ্নগুলোকে বিশ্লেষণ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।

    ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রশ্নগুলোতে দুটি অপশন দেওয়া হয়। যাতে যেন যুক্তি খন্ডনের(খণ্ডনের) কোন অবস্থা না থাকে। যেমন, তালেবান প্রশাসন গণতান্ত্রিক হবে, না অগণতান্ত্রিক? উত্তর কি দিবেন এমন প্রশ্নের? স্বাভাবিকভাবে ইসলামী গণতন্ত্র হারাম। তাই উত্তর হবে অগণতান্ত্রিক উপায়ে। আর তখনই সুশীল সমাজ হাজির হবে অগণতন্ত্রের সংজ্ঞা নিয়ে। অগণতন্ত্রে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা থাকবে না, জনগণের নেতা নির্বাচনের সুযোগ থাকবে না, জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রশাসন করানো হবে ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। তখন অনেকটা বাধ্য হয়ে অনেকে বলে ফেলেন না-না তালেবান প্রশাসন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গঠিত হবে। (নাউযুবিল্লাহ!!!) এই এমন এক প্রশ্ন; যায় উভয় উত্তর ভুল। খেয়াল রাখবেন এই নাপাক আল্লাহদ্রোহী কাফের ও তাদের দোসরদের প্রশ্নের ধাব(ধারা) অনেকটা একই রকম হয়।

    তাহলে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর কি? এই প্রশ্নগুলো উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের বেঁধে দেওয়া অপশনের বাইরে চিন্তা করতে হবে। কারণ মুসলমানদের কাছে আল্লাহ প্রদত্ত অপশন একটাই। শরীয়ত। কাফের, মুরতাদ, সংশয়বাদীদের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, "শরীয়ত মোতাবেক"।

    তালেবান প্রশাসনিক কোন পদ্ধতিতে গঠিত হবে? -- "শরীয়ত মোতাবেক"।
    তালেবান রাষ্ট্র কাঠামো কেমন হবে শরীয়ত? --- "শরীয়ত মোতাবেক"।
    আফগান রাষ্ট্রের প্রধান কিভাবে নির্বাচিত হবে? --- "শরীয়ত মোতাবেক"।
    আর আপনি বিশ্বাস রাখতে পারেন আপনার এই উত্তর কাফের, মুরতাদ, সেক্যুলার ও সংশয়বাদীদের অন্তরে ঠিক তেমন জ্বালাতনই তৈরি করবেন, যেমনটা বেলাল রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু' র "আহাদ আহাদ" উচ্চারণ উবাই ইবন খালাফের অন্তরে সৃষ্টি করেছিল।

    আরেকটি প্রশ্ন বারবার মিডিয়া জগতে উপস্থাপিত হচ্ছে যে, নবগঠিত আফগান রাষ্ট্রকে কোন কোন দেশ স্বীকৃতি দিবে?
    এই প্রশ্নটিই আজকের দিনে এতটাই অবান্তর ও অপ্রয়োজনীয় যে তা কল্পনাতীত। কারণ ইসলাম বিজয়ী হিসেবে টিকে থাকার জন্য কারো স্বীকৃতির মুখাপেক্ষি না। যতদিন পর্যন্ত তালেবান প্রশাসনের নেতৃত্বস্থানীয়রা শরীয়ত অনুসারে ইখলাস এবং আল্লাহর ভয়ে প্রকম্পিত থাকবেন, যতদিন মুসলিমরা অস্ত্র, কলম, জিহবা আর দো'আর মাধ্যমে ইসলামের কামিয়াবী চাইবে ইনশাআল্লাহ ততদিন ইমারতে ইসলাম আফগানিস্তানে ইসলামের পতাকা অবনমিত হবে না।

    ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখব ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে মদীনাকে কয়টি দেশ, রাষ্ট্র বা সাম্রাজ্য স্বীকৃতি দিয়েছিল? অষ্টম হিজরীর পর্যন্ত একটি রাষ্ট্রও মদিনাকে ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। অষ্টমী হিজিরিতে মক্কা বিজয়ের পরও কোন রাষ্ট্র মদিনাকে স্বীকৃতি না দিলেও তৎকালীন রোমান-পারস্যের সম্রাটরা মদিনা ও মদিনার সাইয়্যিদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমীহ করে চলতো।

    ঠিক সেভাবে যে তালেবান দুইটি পরাশক্তির (রাশিয়া ও আমেরিকা) কবর রচনা করেছে, একটি মুরতাদ সরকারের পতন ঘটিয়েছে, একটি গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন; বর্তমান যে তালেবানের হাতে বিশ্বের ৮৫ ভাগ ব্ল্যাক হেলিকপ্টার রয়েছে, সৈন্যের অধিক অস্ত্র আর চেকপোস্টের অধিক যুদ্ধযান রয়েছে। সেই তালেবান এবং তাদের বিজয়কৃত ইসলামী ইমারতকে অন্যান্য রাষ্ট্রের শুধু যে স্বীকৃতি দিবে এমন নয়; বরং সমীহ করে চলবে। ইন শা আল্লাহ। যদিও মুসলমান সৈন্য ও অস্ত্রাধিক্যে ভরসা করে না, শুধুমাত্র তাকওয়ার ভিত্তিতে যুদ্ধ পরিচালনা করে, রাষ্ট্র গঠন করে আর উম্মাহর খেদমত করে।


    তালেবান সংক্রান্ত আরেকটি যে বিতর্ক তৈরি করার চেষ্টা করা হয় তাহলো, ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান জাতিসংঘের সদস্যপদ গ্রহণ করবেন কিনা? এ আলোচনার পূর্বে আমাদের সরাসরি আল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিফাতের দিকে রুজু করা দরকার। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মক্কায় তাওহীদের বাণী প্রচার করা শুরু করেন এবং শত কষ্টের পরেও নবুওয়তে দায়িত্ব চালিয়ে যান তখন কাফের-মুশরিকদের প্রতিনিধিদল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আরববিশ্বের রাজত্বের প্রস্তাব প্রদান করে। মক্কার অধিবাসীরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রধান করে রাষ্ট্রপরিচালনা করতে রাজি ছিল এই শর্তে যে, তিনি রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের জাহেলিয়্যাত, আইন-কানুন এবং তাদের বাপ-দাদাদের থেকে প্রাপ্ত রীতি-নীতির দ্বারা শাসন করবেন অর্থাৎ এগুলােকে বাদ দিবেন না। রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাইলেই তাউওরিয়া করে আগে ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারতেন, পরবর্তীতে সে ক্ষমতা ব্যবহার করে আল্লাহর দ্বীনের প্রচার করতে পারতেন। কিন্তু তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় জাহেলিয়্যাতের সাথে অংশীদার হয়ে রাষ্ট্রপরিচালনা করতে রাজি হননি।

    সুতরাং যে তালেবান নিজেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের অনুসারী দাবি করে; যে তালেবান বিগত ২০ বছর যাবত নববী মানহাজের অনুকরণে সশস্ত্র জিহাদের উপর অটল আছেন তারা কিভাবে আল্লাহর তাওহীদের তথা বিধানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংগঠনের নিয়ম-কানুনের সামনে মাথা পেতে দিবেন ??!

    বর্তমানে আন্তর্জাতিক আইনের নামে যা আছে এবং জাতিসঙ্ঘের সকল শাখা (বেসামরিক ও সামরিক প্রশাসন) রয়েছে তা মূলত: তাদের কর্তৃত্ব ও সম্প্রসারণবাদী-সাম্রাজ্যবাদী নীতিকে আড়াল করা এবং কতিপয় শক্তিশালী রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অন্যান্য দুর্বল রাষ্ট্র (যার মধ্যে ইসলামি দেশগুলােও রয়েছে), তাদের উপর রাজনৈতিক ও বিচার সংক্রান্ত কর্তৃত্ব বাস্তবায়ন করার জন্য বাহ্যিক আচ্ছাদন মাত্র। শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলাে আন্তর্জাতিক আইনের নামে এসব ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন আইন-কানুন তৈরি করেছে যাতে তাদের অপরাধী আইনের মাধ্যমে সেসব রাষ্ট্রের কল্যাণ এবং তাদের শক্তিগুলােকে শৃঙ্খলিত করার শর্তে এই আইনের শ্রেষ্ঠত্ব অন্য রাষ্ট্রগুলাের উপর আরােপিত করা যায়। বিগত ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে পৃথিবী তা প্রত্যক্ষ করছে। আর সত্যিকার অর্থে এসব আইন হচ্ছে, সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলাে দুর্বল রাষ্ট্র ও জাতির অধিকারের ক্ষেত্রে যে অপরাধ সংঘটিত করেছে, তা বাস্তবায়নের জন্য একটা হাতিয়ার মাত্র। যেনাে এসব আইন-কানুন সকল মাজলুম জাতির উপর বাস্তবায়ন করাকে আবশ্যক করে দিতে পারে।

    সকল আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং তাদের কুফরি আইন কানুন ও সমাজ ব্যবস্থার বিরােধিতাকারী রাষ্ট্র ও জাতিকে এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ ও ভূমি থেকে বিতাড়ন এবং সরকারের পতন ঘটানাে, তাদের সম্পদ দখল করার পরিণতি ভােগ করতে হচ্ছে; যে পর্যন্ত না উক্ত আইন-কানুনের প্রতি স্বেচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় আনুগত্য না করবে। কিন্তু তালিবানের নেতৃত্বস্থানী ও মুজাহিদগণ এই উপাখ্যান বাতিল করে দিয়েছে এবং তারা সুস্পষ্টভাবে এসব আইনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘােষণা করেছে।

    যখন তারা আন্তর্জাতিক সনদের আলােকে রাষ্ট্র পরিচালনা কিংবা যাবতীয় কার্যাবলীর ক্ষেত্রে শরিয়তের উৎসকে আঁকড়ে ধরার পরীক্ষার মুখােমুখি হয়েছে, তখন আমরা তাদের উপর তোহমতের পরে তোহমত দিয়েই যাচ্ছি। সুবহানাল্লাহ। আমরা কি ভুলে গিয়েছি, ২০০১ সালে ইসলামকে আঁকড়ে ধরার জন্য তাদের সরকার ও শাসনের পতন ঘটানো হয়েছিল; যে শাসনকে তারা বিরাট কুরবানির পর তাদের রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

    তালেবানের নিকট তাদের শাসনের লক্ষ্য হচ্ছে আল্লাহর দ্বীনকে সুউচ্চে তুলে ধরা। আর যে শাসনব্যবস্থায় আল্লাহর দ্বীন বিজয়ী থাকবে না,
    তালিবানদের দৃষ্টিতে পশ্চিমাদের সাথে দর কষাকষির করে সেখানে শাসনের কোনাে মূল্যই নেই। কিন্তু যদি কোন বিষয় ইসলামের শিক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক না হয় তাহলে কোনাে নীতি বা আন্তর্জাতিক সনদকে সমর্থন করতে তালেবানের পক্ষে শরয়ী কোন বাধা নেই।

    হঠাৎ করে আফগান জাতির অধিকার নিয়ে যারা সোচ্চার হয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, "তোমরা মাত্র কিছুদিন আগেই আফগান জাতির জন্য অধিকারের নামে কলম ধরেছো অথচ তালেবানরা গত বিশ বছর যাবত তাদেরদের সম্মাণ(সম্মান) ও অধিকারের জন্য অস্ত্র ধারণ করে আছেন। তোমরা তোমাদের প্রভু পশ্চিমা কাফেরদের সন্তুষ্ট করার জন্য কলমের কালি ব্যয় করছো অথচ এই তালেবান আল্লাহর দ্বীন কায়েম করার জন্য অকাতরে জীবন এবং রক্ত দিয়েছেন। সুতরাং তোমাদের এই মায়াকান্না, এই সংগ্রামের- আন্দোলনের নাটক আফগান জাতি অথবা মুসলিম জাতির কোন প্রয়োজনই নেই। আমাদের জন্য আমাদের আল্লাহই যথেষ্ট এবং তোমাদের জন্য তাঁর বাহিনী।

    পরিশেষে আল্লাহর কাছে এই দোয়া করি, তিনি যেন আমাদের তার তৈরি করা ইমান ও কুফরের প্রান্তিকতা বুঝার তৌফিক দান করুক(করেন)। এবং কাফেরদের প্রতি আগ্রাসন হোক সামরিক বা মনস্তাত্ত্বিক তা রুখে দেওয়ার শক্তি-সামর্থ্য এবং জ্ঞান দান করুন(করেন)। আমিন।।



    وَءَاخِرُ دَعْوَىٰهُمْ أَنِ ٱلْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ


    আবু দানিয়াল উসামা
    তারিখঃ ০৬ সফর, ১৪৪৩ হিজরি।।



    সহায়ক আর্টিকেলঃالد عانم الا ساسيت لفكر طا لبان (তালিবানের চিন্তাধারার মৌলিক ভিত্তি)
    লেখকঃ আলিম শাইখ আব্দুল ওয়াহহাব কাবুলি (রাহিঃ)

  • #2
    মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ !!! (পর্ব-১)
    https://82.221.139.217/showthread.ph...%26%232535%3B)
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      আল্লাহ আপনার মেধায় আরো বরকত দান করুন। আমীন
      এই সিরিজের উপর আপনার লেখা জারি রাখার অনুরোধ।
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        "জাযাকাল্লাহ খাইর" আপনাদের ভালবাসা আর সহযোগিতার জন্য।।
        ইন শা আল্লাহ আমি চেষ্টা করবো। আর নিশ্চয় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সকল জ্ঞানের মালিক।

        Comment


        • #5
          আলহামদুলিল্লাহ,, আল্লাহ আপনাদের কাজগুলো কবুল করুন আমীন। সম্মানিত খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। ভাইজান, কয়েক জায়গাই এডিট প্রয়োজন মনে করছি।
          اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

          Comment

          Working...
          X