Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ৭ই সফর, ১৪৪৩ হিজরি | ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ৭ই সফর, ১৪৪৩ হিজরি | ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২১ ঈসায়ী |

    বৃদ্ধকে পিটিয়ে মারল সুদের কারবারিরা

    ভোলার লালমোহনে শাজাহান মিয়া (৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সুদের কারবারিদের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড রায়রাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত শাজাহান মিয়া ওই গ্রামের ছফর আলী সর্দার বাড়ির মৃত মফিজ সর্দারের ছেলে। এদিকে স্বামীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী ভানু বিবি।

    মামলার বিবরণ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, একই বাড়ির মৃত ইমান আলী সর্দারের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর সর্দারের ছোটভাই মো. আলমগীর প্রবাসে থাকেন। গত কয়েক মাস পূর্বে ওই প্রবাসীর কাছ থেকে সুদে টাকা নেন নিহত শাজাহান মিয়ার ছোটভাই আবুল কালাম। সুদের ওই টাকা সময়মতো পরিশোধ করতে না পেরে আরও এক মাস সময় চান ঢাকায় কর্মরত আবুল কালাম।

    এদিকে সুদের টাকা ফেরত না পেয়ে বড়ভাই জাহাঙ্গীরের কাছে বিচার দেয় প্রবাসী আলমগীর। তাই আবুল কালামের কাছ থেকে পাওনা টাকার বদলে তার ভাই শাজাহানের বসতঘরের পেছনে থাকা জমি দখলের পাঁয়তারা চালায় জাহাঙ্গীর। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার সকালে ওই জমিতে মাটি কাটতে থাকে জাহাঙ্গীর ও তার লোকজন।

    এ নিয়ে বাধা দিতে গেলে বৃদ্ধ শাজাহান মিয়াকে মারধর করে তারা। একপর্যায়ে হামলাকারীরা বৃদ্ধ শাজাহান মিয়াকে উপরে তুলে নিচে মাটিতে আছড়ে ফেলে। এতে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান তিনি। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    পুলিশের ভুলে জেল খেটে সমাজছাড়া রাহিমা

    রাজধানীর পল্লবীতে নিরপরাধ এক নারীকে একটি মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম রাহিমা বেগম। শুধুমাত্র নামের মিল থাকায় পল্লবীর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রহিমার পরিবর্তে রাহিমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাহিমা নিজেকে নির্দোষ ও নিরপরাধ দাবি করলেও পুলিশ তার কথা শুনেনি। রাহিমাকে রহিমা ভেবেই কোর্টে চালান দেয় পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১০ সেপ্টেম্বর মিরপুর ১১ নম্বর বাউনিয়াবাঁধ এলাকায়। ওই দিনই কোর্ট থেকে জামিনে বের হন রাহিমা।

    সূত্র জানায় ২০১৭ সালের ২৫ মার্চ পল্লবী থানার একটি মাদক মামলায় মৃত আ. মতিনের স্ত্রী রহিমাসহ ৩ জনকে আসমি করা হয়। সেই সময় ওই মামলায় রহিমা কয়েক দফা জেল খাটেন। এরপর জেল থেকে বের হয়ে বাউনিয়াবাঁধ এলাকা ছাড়েন রহিমা। পাশেই মিরপুর ১২ নম্বর বেগুনটিলা বস্তিতে বসবাস করেন। সম্প্রতি ওই মামলার ওয়ারেন্ট বের হলে ১০ সেপ্টেম্বর পল্লবী থানা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আবুল কালাম আজাদ বাউনিয়াবাঁধ এলাকা থেকে রাহিমাকে গ্রেফতার করেন।

    ওই সময় রাহিমা পুলিশের কাছে অনেক আকুতি-মিনতি করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও পুলিশ শুনেনি। জেল খেটে বের হয়ে লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে মুখ দেখাননি নিরপরাধ রাহিমা। তিনি এখন সমাজছাড়া।

    এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী রাহিমা।

    অভিযোগে রাহিমা উল্লেখ করেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর পল্লবী থানা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আবুল কালাম আজাদ সকাল ১১টায় আমার বাউনিয়াবাঁধ ‘সি’ ব্লকের, ১৯নং লাইনের মাথায় আমার বাসায় এসে বলেন থানায় গিয়ে সাক্ষী দিতে হবে, ওসি স্যার ডেকেছেন। আমি বলি কিসের সাক্ষী দেব, আমি তো কিছু জানি না। এ কথা বলার পর আমাকে বলে কিছু না জানলে সমস্যা নাই থানা থেকে চলে আসবি। এ কথা বলে থানায় নিয়ে গিয়ে আমাকে অ্যারেস্ট (গ্রেফতার) করে। পরের দিন আমাকে কোর্টে চালান দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আমি কোর্ট থেকে উকিলের (আইনজীবী) মাধ্যমে অস্থায়ী জামিন নেই।

    কোর্ট থেকে এসে আমি জানতে পারি ২০১৭ সালের একটি মাদক মামলায় বাউনিয়াবাঁধ কলাবাগানবস্তির লালমতি নামের এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়। ওই সময় লালমতি পুলিশের কাছে তার পরিচয় গোপন রেখে তার নিজের নাম রহিমা ও স্বামীর নাম মতি বলেছে। পুলিশ তাকে ওই মামলায় ২ বার গ্রেফতারও করেছে। ওই মামলার ওয়ারেন্ট বের হওয়ার পর রহিমাকে গ্রেফতার না করে পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করেছে। এখন আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না। এলাকায় সবাই আমাকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে জেনেছে। কিন্তু আমার নামে থানায় কোনো প্রকার জিডি বা মামলা নেই।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গাজা উপত্যকায় মেয়াদ উত্তীর্ণ করোনার ভ্যাক্সিন পাঠিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল


      অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ৫০,০০০ ডোজ মেয়াদোত্তীর্ণ করোনার ভ্যাক্সিন পাঠিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল।

      গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আরব৪৮ ওয়েবসাইট এ খবর জানিয়েছে।

      মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজা উপত্যকায় পাঠানোর জন্য রাশিয়ায় তৈরি ভ্যাক্সিনগুলো ইহুদিবাদী ইসরাইলকে দেয়া হলেও তেল আবিব এগুলো অনুপযুক্ত অবস্থায় রেখে দিয়েছিল। এছাড়া, ভ্যাক্সিনের চালানটি ঠিক সময়ে গাজায় পৌঁছাতে বাধা দেয় ইসরাইল।

      সম্প্রতি গাজার কারেম আবু সালেম ক্রসিং দিয়ে রাশিয়ার তৈরি স্পুৎনিক লাইট টাইপের ভ্যাক্সিনের চালানটি অবরুদ্ধ এ উপত্যকায় পাঠানো হয়। কিন্তু সেফটি টেস্টে দেখা যায়, ভ্যাক্সিনগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

      এর আগে ইসরাইলি গণমাধ্যম খবর দিয়েছিল, মেয়াদ উত্তীর্ণ হতে যাওয়া ভ্যাক্সিনগুলো প্রথমে তেল আবিব পশ্চিম তীরের স্বশাসন কর্তৃপক্ষকে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষ ওই চুক্তি বাতিল করে দেয়। এরপরই চালানটি গাজা উপত্যকায় পাঠায় দখলদার ইসরাইল।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        হে মালিক ! তুমি আমাদেরকে তাদের সাহায্যে যাওয়ার তৌফিক দান করো। আমীন

        Comment

        Working...
        X