Announcement

Collapse
No announcement yet.

তালিবানের শাসনে ক্রিকেট খেলা ; কিছু কথা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তালিবানের শাসনে ক্রিকেট খেলা ; কিছু কথা

    তালিবান মুজাহিদিন দীর্ঘ ২০ বছর কুফফার ও তার দোসরদের সাথে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর বরকতে আবার ইসলামি ইমারত গঠন করা শুরু করেছেন। তাঁদের এই পূণরোত্থানে দাজ্জালি মিডিয়ার ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তাই তারা বিভিন্ন অপপ্রচার শুরু করেছে। এর মধ্যে ক্রিকেট খেলা অন্যতম। দীর্ঘদিন আফগানে কুফুরি গণতন্ত্র ব্যবস্থা চালু থাকায় কিছু দিনের পূর্ণ শরিয়াহ শাসন কায়েম করা ফেলা কুরান-সুন্নাহ ইতিহাস বিবর্জিত পদ্ধতি। যার কিছুটা আই এস ইরাকে করতে গিয়ে ব্যাপকভাবে জনসর্মথন হারিয়ে ফেলে। অবশ্য খারেজি আইএসের মধ্য ঢালাওভাবে তাকফির করে হত্যা করা মহামারী তাদের পতনের অন্যতম প্রধান কারণ। সাথে সাথে দায়েশের পূর্ণ তামকিন অর্জন না করে হুদুদ কিসাস কায়েম করাটা তাদের মারাত্মক ভুল ছিলো।
    অপরদিকে আফগান পুরো দেশ তালিবানের হাতে আসলেও সেটা পূর্ণ শরিয়াহ শাসন কায়েম করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

    ইসলামের কোন বিধান শুরু-শেষ একবারেই নাজিল হয়নি। বরং ধাপেধাপে প্রয়োজন অনুযায়ী নাজিল হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দীর্ঘ ২৩ বছর কুরানুল কারিম নাজিল করে দ্বীন পূর্ণ করেছেন। মক্কা-মদিনা সহ ইসলামের বিজিত অঞ্চলে শতভাগ ইসলামি আইন কায়েম করেছিলেন। এমনিভাবে ইসলামের প্রতি দাওয়াহ তিন স্তরে পাওয়া যায়।
    ক,মক্কি যুগের প্রথমিক কয়েক বছর গোপনে ইসলামের দাওয়াহ।
    খ,এরপর প্রকাশ্যে দাওয়াহ।
    গ,মাদানি জীবনে প্রতিরক্ষামূলক ও আক্রমণাত্মক যুদ্ধ-জিহাদের মাধ্যমে ইসলামের দাওয়াহ। (জিহাদের একটি উদ্দেশ্য হলো দাওয়াত পৌঁছানো।)

    শেষকথা হলো একজন মুসলিমের জন্য এই বিশ্বাস রাখা বড় ভুল হবে হকপন্থী মুজাহিদরা ক্ষমতায় আসলে অল্প সময়ে ১০০% শরিয়াহ আইন কায়েম করা উচিৎ ।এবং তালিবানের অধীনে ক্রিকেট খেলা চালু রাখার বিষয়টির কারণে আফগানে তাঁরা শরিয়াহ শাসনে ছাড়াছাড়ি করবেন।
    Last edited by বাকস্বাধীনতা; 09-22-2021, 08:08 AM.
    ইসলামই দিয়েছে প্রকৃত বাকস্বাধীনতা

  • #2
    ভাই,আমি আপনার সাথে দ্বীমত পোষণ করছি। আপনি বললেন, "দীর্ঘদিন আফগানে কুফুরি গণতন্ত্র ব্যবস্থা চালু থাকায় কিছু দিনের পূর্ণ শরিয়াহ শাসন কায়েম করা ফেলা কুরান-সুন্নাহ ইতিহাস বিবর্জিত পদ্ধতি"।
    এটা যে কুরান-সুন্নাহ ইতিহাস বিবর্জিত পদ্ধতি,দলিল দিলে ভালো হয়।
    কেননা শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা করা একটা ফরজ দায়িত্ব। আর কোনো জায়গা দখল নেওয়ার পর, জনসাধারণ বিরুদ্ধে যেতে পারে,এই ভয়ে শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা বিলম্বিত করা কীভাবে সম্ভব?! জনগণ বিরোধীতা করার ভয়ে, আল্লাহর করা ফরজকে বিলম্বিত করা কী যৌক্তিক??! জনগণ বিরোধী হওয়ার ভয়ে,আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা বিলম্বিত করলে,আমরা কীভাবে সেই দলের অন্তর্ভুক্ত হবো যারা,"নিন্দুকের নিন্দার পরোয়া করে না"?!

    যদি জনগণ বিরোধীতা করে, তাহলে তাদেরকে প্রথমে এটা বোঝাতে হবে যে, "এটা আল্লাহর শরীয়া"। তাদের সন্দেহ দূর করতে হবে। যদি তারা তারপরেও বিরোধীতা করে,তাহলে তা হবে ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। তারপর, জনগণের উপর রিদ্দার হুকুম জারি করতে হবে। এবং তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলতে হবে।
    কিন্তু কোনোভাবেই শরীয়া প্রতিষ্ঠা বিলম্বিত করা যাবে না। যথাসাধ্য দ্রুত শরীয়া প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করতে হবে।

    আর যেহেতু ক্রিকেট খেলার বিষয়ে কথা উঠেছে,তাহলে প্রশ্ন আসে ক্রিকেট খেলা কী হারাম?
    প্রশ্নঃ ফুটবল, ক্রিকেট, ভলি, হাডুডু, টেনিস ইত্যাদি খেলা কি জায়েজ? এ সব খেলাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করা কি বৈধ?

    উত্তর: ক. উপরোক্ত খেলাগুলো খেলা জায়েয আছে শর্ত সাপেক্ষে। প্রথমত এসব খেলাধুলার জন্য ইসলামের বৈধ নিয়ত থাকতে হবে। যেমনঃ শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা, শরীর চর্চা, জিহাদের জন্য ফিটনেস ইত্যাদি। যে সকল কারণে এসব খেলাধুলা হারাম হবে-

    ১) সতর খোলা, ২) মিউজিক, পর্দার খেলাফ ও অশ্লীলতার প্রসার, ৩) সালাত বা সালাতের জামাআত পরিত্যাগ, ৪) আল্লাহর যিকির আযকার ও তার স্মরণ থেকে মানুষকে গাফিল করা ৫) বেশিরভাগ অধার্মিক ও অসাধু লোকজনের আড্ডা জমে উঠা ৬) বিনিময় গ্রহণ করা-চাই তা আয়োজকদের পক্ষ থেকে হোক বা বাইরের কোন পক্ষ থেকে হোক, ৭) অতিরিক্ত সময় অপচয়, ৮) কাফেরদের বন্ধু বানানো বা তাদের ভালোবাসার মাধ্যম বানানো ৯) খেলার অধ্যবসায় সদা-সর্বদা করা ১০) মারামারি ও ঝগড়া সৃষ্টি ইত্যাদি। যদি উপরোক্ত বিষয়গুলোর কোন একটি পাওয়া যায় তখন এসব খেলা হারাম হবে অন্যথায় তা জায়েজ।

    খ. খেলাধুলাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করা বা খেলার বিনিময় গ্রহণ করা:

    "কোন খেলাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করা, খেলাধুলা থেকে আয় রোজগার করা জায়েজ নয়। তাই খেলোয়াড়দের উপার্জন অবৈধ, চাই সে যতই দাড়িওয়ালা নামাজী হোক।"

    খেলোয়াড়দের বেতন দিয়ে রাখা হয় যাতে তারা হার-জিতের ভিত্তিতে খেলে সেখানে অর্থ লেনদেন হয়। এভাবে অর্থের বিনিময়ে হার-জিত খেলাটাই মূলত জুয়ার অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তাআলা বলেন:

    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالأَنصَابُ وَالأَزْلاَمُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

    'হে মুমিনগণ, নিশ্চয় মদ, জুয়া, প্রতিমা-বেদী ও ভাগ্যনির্ধারক তীরসমূহ তো নাপাক শয়তানের কর্ম। সুতরাং তোমরা তা পরিহার কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।' (সূরা আল মায়িদাহ ০৫: ৯০)

    পেশাদার খেলোয়াড়দের সার্বক্ষণিক চিন্তা ও কাজ থাকে খেলাকে কেন্দ্র করে, এটাই তার নেশা পেশা ও জীবিকা নির্বাহের কাজ। আল্লাহ কি আমাদেরকে ক্রিয়া কৌতুকে এভাবে জীবন অতিবাহিত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন? কখনোই নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন:

    وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ

    “আমি জিন ও মানুষকে কেবল এজন্যই সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার ইবাদাত করবে।” (সূরা যারিয়াত ৫১: ৫৬)

    যারা খেলাধুলাকে জীবন-জীবিকার অবলম্বন, নেশা, পেশা হিসেবে গ্রহণ করে এবং এর পেছনে জীবন-যৌবন ব্যয় করে তারা কিভাবে মহান আল্লাহর উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করল?!

    আল্লাহ তাআলা যথার্থই বলেছেন:

    اعْلَمُوا أَنَّمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا لَعِبٌ وَلَهْوٌ وَزِينَةٌ وَتَفَاخُرٌ بَيْنَكُمْ وَتَكَاثُرٌ فِي الْأَمْوَالِ وَالْأَوْلَادِ كَمَثَلِ غَيْثٍ أَعْجَبَ الْكُفَّارَ نَبَاتُهُ ثُمَّ يَهِيجُ فَتَرَاهُ مُصْفَرًّا ثُمَّ يَكُونُ حُطَامًا وَفِي الْآخِرَةِ عَذَابٌ شَدِيدٌ وَمَغْفِرَةٌ مِّنَ اللَّهِ وَرِضْوَانٌ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا مَتَاعُ الْغُرُورِ

    "তোমরা জেনে রাখ যে, দুনিয়ার জীবন ক্রীড়া কৌতুক, শোভা-সৌন্দর্য, তোমাদের পারস্পরিক গর্ব-অহঙ্কার এবং ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে আধিক্যের প্রতিযোগিতা মাত্র। এর উপমা হল বৃষ্টির মত, যার উৎপন্ন ফসল কৃষকদেরকে আনন্দ দেয়, তারপর তা শুকিয়ে যায়, তখন তুমি তা হলুদ বর্ণের দেখতে পাও, তারপর তা খড়-কুটায় পরিণত হয়। আর আখিরাতে আছে কঠিন আযাব এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। আর দুনিয়ার জীবনটা তো ধোকার সামগ্রী ছাড়া আর কিছুই নয়।" (সূরা হাদীদ ৫৭: ২০)

    ক্রীড়া মঞ্চগুলোতে খেলার দিন সকাল থেকে দর্শনার্থীদের ঢল নেমে আসে, দূর দূরান্ত থেকে মূর্চ্ছনা, ঢোল, ডুগডুগির ছান্দিক, বাদ্য, একতারার টুংটাং এবং অশ্লিল অশালিন ছবির গান দিয়ে শুরু করা হয়। সেই সাথে থাকে উৎসব মুখর জনতার আনন্দের কলতান। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় এখেলা যেন তাদের আনন্দের তীর্থস্থান। অথচ এসব অনুষ্ঠানের কারণে পার্শ্ববর্তী এলাকার মসজিদ মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে লেখা-পড়ায় বাধা সৃষ্টিসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পর্যন্ত পালন করা যায় না। জাতীয় ও বিভাগীয় স্টেডিয়ামে দর্শক গ্যালারিতে তরুণ-তরুণীরা ইউরোপিয়ান কায়দায় স্বীয় সমর্থিত দলের পতাকাসহ উল্লাসে ফেটে পড়ে।

    বিশ্বকাপ ফুটবল, বিশ্বকাপ ক্রিকেট বা অলিম্পিক মাঠের গ্যলারিতে ইংলিশ ছায়াছবির মত নারীরা অশ্লিলতার মহড়া দেয়, নিজ নিজ সমর্থিত দলের পতাকা মাথায় গাল, স্তন, পেট ও উরুতে অংকন করে আর্শিবাদ জানায়। যদি নিজ সমর্থিত দলের জয় হয় তা হলে খেলোয়াড়দের প্রান উজাড় করে চুম্বন খেয়ে প্রেম উপহার দিতে দেখা যায়, আনুষ্ঠানিক নারীদের দুরবীন নিয়ে উপভোগ করতেও দেখা যায়।

    খেলাধূলা আজ মহামারি ও জাতীয় মরণ ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। মাদ্রাসা, স্কুলসহ নানা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ভেস্তে যাচ্ছে। অধিকাংশ খেলাই ইসলামী সভ্যতা ও আদর্শের ওপর আগ্নেয়াস্ত্রের মত আঘাত হানছে। আন্তর্জাতিক খেলা থেকে নিয়ে আঞ্চলিক খেলা পর্যন্ত সব খেলাতেই জুয়া, ব্যবসা ও অসৎ উপায়ে টাকা উপার্জনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এর পাশাপাশি এ সব খেলায় অসংখ্য শরিয়া বিরোধী ক্রিয়াকাণ্ড জড়িত তো আছেই।

    কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, বর্তমানের আধুনিক জাহেলিয়াতের যুগে এ সব খেলোয়াড়রাই আমাদের জাতীয় বীর, যুব সমজের ‘আইডল’ এবং আরও কত কিছু! নি:সন্দেহে এটি মুসলিম সমাজের দীনী চেতনা বোধের অভাব এবং জাতীয় অধঃপতনের সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন। আমীন।

    যাহোক, সর্বপরি কথা হল, খেলাধুলাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ যেমন জায়েয নেই তেমনি খেলাধুলায় হার-জিতের ভিত্তিতে অর্থকড়ি লেনদেন করা বা খেলার বিনিময় গ্রহণ করাও জায়েয নয়। আল্লাহু আলাম।

    ▬▬▬❖❖❖▬▬▬
    - Sharia Law (https://sharialawbd.blogspot.com/)

    Comment


    • #3
      জিহাদের একটি উদ্দেশ্য হলো দাওয়াত দেওয়া।)
      জিহাদের একটি উদ্দেশ্য হলো দাওয়াত পৌছানো।
      অধিকতর সঠিকভাবে বললে...।

      Comment


      • #4
        মুহতারাম বাকস্বাধীনতা ভাই

        আপনি যদি আলিম না হয়ে থাকেন তাহলে কোন বিজ্ঞ আলেম থেকে এই লিখাটি দেখিয়ে নেওয়ার অনুরোধ থাকলো।
        আমার কাছে লিখাটি সঠিক মনে হয় নি। যেহেতু আমি কম জানি তাই আপনাকে ব্যাক্ষ্যা(ব্যাখ্যা) করে বুজাতে পারব না।

        ক্ষামার দৃষ্টিতে দেখবেন ইন শা আল্লাহ।

        Comment


        • #5
          ভাইয়েরা, তাড়াহুড়ো না করে তালিব মুজাহিদ ভাইদের সময় দেয়। সাথে সাথে আমাদের সাধ্যের সবটুকু দিয়ে সাহায্য করি, এবং ভাইদের পক্ষে মিডিয়াতে কাজ করি। [[ আইএস,কে, ]] আইএসের পক্ষ থেকে দাইও স্বীকার হরা হয়েছে, পরপর একাধিক আক্রমণ, ইউএসকে আক্রমণ সেটি তো মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু মুজাহিদ ভাইদের উপরেও বোমা হামলা! আল্লাহ আমাদের বাড়াবাড়ি থেকে বাচিয়ে রাখুন আমীন
          সম্মান নেইকো নাচে গানে,
          আছে মর্যাদা বিনিদ্র রজনী ও রণে।

          Comment


          • #6
            [[ আব্দুল্লাহ পাঠান]] ভাইজান, তালিবান মুজাহিদ ভাইদের পূর্ণ তামকিনের সুযোগ দিই।
            اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

            Comment


            • #7
              সকল আগত ও অনাগত ভাইকে জাজাকুমুল্লাহ খাইরান!
              মুহতারাম @Abdullah Pathan ভাই!
              বারাকাল্লাহু ফি ইলমিক!!
              তবে তামকীনের পর ১০০% শরিয়াহ কায়েমে বিলম্ব হয় আর বিলম্ব হওয়ার দৃষ্টান্ত ইসলামের ইতিহাসে আছে। আর বিলম্ব না করার ইতিহাস সন্ত্রাসী খারেজির গোষ্ঠীর আছে। [২৫:৩২]
              আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং কুরানুল কারিমে কালামুল্লাহ শরিফ একসাথে একবারে নাজিল তথা পুরো শরিয়াত অবতীর্ণ না হওয়ার কারণ এরশাদ করেছেন।

              وَقالَ الَّذينَ كَفَروا لَولا نُزِّلَ عَلَيهِ القُرآنُ جُملَةً واحِدَةً كَذلِكَ لِنُثَبِّتَ بِهِ فُؤادَكَ وَرَتَّلناهُ تَرتيلًا

              আর কাফিররা বলে, ‘তার উপর পুরো কুরআন একসাথে কেন নাযিল করা হল না? এটা এজন্য যে, আমি এর মাধ্যমে তোমার হৃদয়কে সুদৃঢ় করব। আর আমি তা আবৃত্তি করেছি ধীরে ধীরে।
              ভাইজ্যন! এই আয়াতের গ্রহণযোগ্য কোন আরবি তাফসীর দেখতে পারেন!!
              আল্লাহ তায়ালা নিজেই তো ২৩ বছরে শরিয়াহ নাজিল করেন। এরপর মদিনায় সাহাবা রাদি এর তামকিন থাকা সত্ত্বেও দ্বীন এখানে দশ বছরে পূর্ণতা লাভ করে।
              ১/জিহাদের হুকুম চার স্তরে পূর্নতা পায়!
              ক.মক্কি যুগে কাফিরদের জুলুম সহ্য করা।
              খ.হিজরতের নির্দেশ।
              গ.জিহাদের অনুমতি।
              ঘ.সমস্ত কুফফার জোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নির্দেশ।

              ২/রাসুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাতেরপর খলিফা নির্ধারণে কয়েকদিন বিলম্ব হয়েছিলো।


              খলিফা উসমান বিন আফফান রাদি এর শাহাদাতে হত্যাকারীদের ফায়সালা নিয়ে আমিরুল মুমিনিন আলি রাদি ও আমিরে মুয়াবিয়া রাদি এর মধ্যকার ইজতিহাদে রায়ে বিলম্ব সইতে না পেরেই সন্ত্রাসী খারেজী উদ্ভব হয়েছিলো। এটা ইসলামের ইতিহাসের অংশ। নিকট যুগে খারিজি আই এসের ভাইয়েরা বিলম্ব না করার তাদের তথাকথিত "খিলাফাহ" স্থায়ীভাবে দাড়াঁতেই পারি নি। আর খারিজি মানহাযে ইমারত খিলাফত দাঁড়ানো অবশ্য অসম্ভব।

              উল্লেখ্য হযরত আলি রাদি ও হযরত মুয়াবিয়া রাদি এর মধ্যকার ৩য় খলিফার শাহাদাতের হত্যাকারীদের ফায়সালা বিষয়ে উভয় বড় সাহাবির ইজতিহাদি ইখতিলাফে খলিফা আলি রাদি এর রায় সহিহ ছিলো আর হযরত মুয়াবিয়া রাদি এর ইজতিহাদ ছিলো। ইজতিহাদি বিষয় হওয়ার কারণে উভয়ের কেউ গুনাহগার নন আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ এর মত অনুযায়ী।
              ২/আই এস খারেজি হওয়ার ব্যপারে হক পন্থি মুজাহিদ শাইখদের ফাতওয়া আছে।
              ইসলামই দিয়েছে প্রকৃত বাকস্বাধীনতা

              Comment


              • #8
                এখানে বিষয় হচ্ছে দুটি,
                ১। তালেবানের তত্বাবধানে কৃকেট(ক্রিকেট) ইত্যদির ব্যবস্থাপনা হওয়া।
                ২। যারা খেলায় মত্ত তাদের নিয়ন্ত্রন তালেবানরা এখনো না করা।
                যদি প্রথম বিষয়টি তালেবানদের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে তালেবানকে তুলসিপাতা মনে করার কোন কারণ নেই। আর তাদাররুজ তথা বিধান কায়েমে দেরি করার অজুহাতও এখানে অচল।
                আর যদ বিষয় দ্বিতীয়টি হয়ে থাকে তাহলে এখানে তালেবানের কোন ত্রুটি নেই। কারণ, অনেক কিছুই সময়ের কাছে দায়বদ্ধ। সময় অনুপাতে সবকিছুই ঘটে। আজ না হয় তালেবানরা তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে সময় লাগাচ্ছে। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করি।
                তবে, এখনো অস্পষ্ট যে, তালেবান কোন দিকে গড়ালো। তবে আশা করি দ্বিতীয়টিই প্রযোজ্য হবে।

                Comment


                • #9
                  ঘরোয়া ম্যাচ ছিল এটা। দেশের সেক্যুলার মিডিয়া একটু হাকিমগিরি করতে চাচ্ছিল আরকি!
                  যাইহোক তালিবান যদি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে ক্রিকেট ম্যাচের অনুমোদন দেয় তবে কি আমরা তাদেরকে বর্জন করব কিংবা তাদের বিরুদ্ধে -বিদ্রোহ- জায়েজ ঘোষণা করব ??
                  অথচ বৈধ শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ একটা অত্যাবশকীয় বিষয়- যতক্ষণ না তারা সালাত প্রতিষ্ঠা ছেড়ে দিচ্ছে অথবা সুস্পষ্ট কোন কুফরিতে লিপ্ত হচ্ছে।
                  আমরা আশা করব তালিবান প্রসাশন ক্রিকেটের অনুমোদন দিবেন না। আর, আমার মনে হয় না-যে ওনারা এর অনুমতি দিবেন। আমাদের আস্থা হারানোর কিছু নেই। কুফফার জোট তাদের চোখে ইতোমধ্যেই সর্ষে ফুল দেখেছে।
                  দেশীয় সেক্যুলার মুনাফিকরা (এদের কথা আর কি বলবেন এরা তো আয়েসি ও) নির্বোধ-- তাই তারা কিছু বোঝে না।

                  Comment


                  • #10
                    আমার কয়েকটি প্রশ্ন, কোন ভাই উত্তর দিলে ভালো হয়।
                    তালিবান মুজাহিদ ভাইয়েরা যদি ক্রিকেট চালু রাখে তাহলে ওনাদের সাথে যুদ্ধ করা বৈধ হবে???
                    ক্রিকেট না জায়েজ নাকি হারাম?
                    ক্রিকেট খেলা চলাকালীন সময়ে যারা পাহারাদারী করবে, তাদের কি গোনাহ হবে????
                    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 09-22-2021, 08:18 PM.
                    اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

                    Comment


                    • #11
                      বাকস্বাধীনতা ভাই, আপনি কোরআনের আয়াত দিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছেন, শরীয়াহ ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠা করা জায়েজ।

                      এই ব্যাখ্যা কে করেছে? কোন সালাফ এই ব্যাখ্যা করেছেন? কোন সালাফ বলেছেন,তামকীন অর্জনের জনগণ বিরোধী হওয়ার ভয়ে,শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা বিলম্বিত করা বৈধ? নিজে ব্যাখ্যা করলেই হয়ে গেলো?

                      আমি গ্রহণযোগ্য তাফসির দেখেছি, কিন্তু আপনি যা প্রমাণ করতে চেয়েছেন,তার সাথে কোনো মিল পেলাম না!

                      সালাফরা তো অনেক জায়গাই দখল করেছিলেন,এমন প্রমাণ কীআছে,যেখানে তারা ধীরে ধীরে শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা করেছেন?

                      আপনার ব্যাখ্যা অনুযায়ী,শরীয়া প্রতিষ্ঠা যেমন একটু একটু করে করা জায়েজ,তাহলে তো শরীয়া একটু একটু করে মানাও জায়েজ। তাহলে প্রথমে চুরি করলে সমস্যা নেই,ধীরে ধীরে তা ছাড়তে হবে। প্রথমদিকে রোজা না রাখলে সমস্যা নেই,ধীরে ধীরে রাখতে হবে। নামাজ প্রথমে ৫ওয়াক্ত পড়ার কী দরকার?! প্রথমে ১ওয়াক্ত,তারপর ধীরে ধীরে ২ওয়াক্ত তারপর আস্তে আস্তে ৫ওয়াক্ত পড়লে, কোনো সমস্যা নেই।(নাউযুবিল্লাহ)

                      যেহেতু শরীয়া প্রতিষ্ঠা ধীরে ধীরে করা বৈধ হয়,তাহলে পূর্ণ শরীয়াহ ধীরে ধীরে মানাও বৈধ হওয়ার কথা! কেননা শরীয়াহ তো মানুষের উপরই প্রতিষ্ঠা করে।

                      Comment


                      • #12

                        আপনার ব্যাখ্যা অনুযায়ী,শরীয়া প্রতিষ্ঠা যেমন একটু একটু করে করা জায়েজ,তাহলে তো শরীয়া একটু একটু করে মানাও জায়েজ। তাহলে প্রথমে চুরি করলে সমস্যা নেই,ধীরে ধীরে তা ছাড়তে হবে। প্রথমদিকে রোজা না রাখলে সমস্যা নেই,ধীরে ধীরে রাখতে হবে। নামাজ প্রথমে ৫ওয়াক্ত পড়ার কী দরকার?! প্রথমে ১ওয়াক্ত,তারপর ধীরে ধীরে ২ওয়াক্ত তারপর আস্তে আস্তে ৫ওয়াক্ত পড়লে, কোনো সমস্যা নেই।(নাউযুবিল্লাহ)

                        যেহেতু শরীয়া প্রতিষ্ঠা ধীরে ধীরে করা বৈধ হয়,তাহলে পূর্ণ শরীয়াহ ধীরে ধীরে মানাও বৈধ হওয়ার কথা! কেননা শরীয়াহ তো মানুষের উপরই প্রতিষ্ঠা করে।


                        মাশা আল্লাহ! আব্দুল্লাহ পাঠান ভাই!! ভালোই ইজতিহাদ করেছেন!!!
                        সলাত, সিয়াম কি হুদুদ-কিসাস? যে তা মুসলিম অঞ্চল বিজয়ের পর সলাত দিনে ১ বা ২ ওয়াক্ত করে শুরু করবে?! তেমনি একই কথা সিয়ামের ব্যাপারে!
                        হুদুদ কিসাস কায়েম করতে কিছুদিন সময় লাগে! আফগান যেখানে ২০ বছর নব্য জাহিলি সমাজ গণতন্ত্র চালু ছিলো সেখানে ক্ষমতায় এসেই কি শতভাগ হুদুদ কিসাস কায়েম করা যায় নাকি কিছুদিন সময় লাগে?!
                        ভাইজান রাসুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাতের কয়েকদিন পর উনার দাফন মুবারক সম্পন্ন হয়েছিলো। তার কারণ হলো খিলাফতে রাশিদার খলিফা নির্ধারণ করা। আর এই বিলম্বটা সকল সাহাবায়ে কেরাম রাদি এর সামনেই হয়েছিলো। কোন সাহাবি এই বিলম্ব নিয়ে বিরোধিতা করে নি। এতুটুকু বিলম্ব ইসলামের সোনালী যুগেই হয়েছিলো তাহলে ১৪০০ বছর পর তালিবানের হুদুদ কিসাস কায়েম করতে বিলম্ব হতে সমস্যা কোথায়?? এতুটুকু বিলম্বের ব্যাপারে বিরোধিতা কেন করবো???

                        মুজাহিদদরা কোন অঞ্চল বিজয়ের পর পূর্ণ শরিয়াহ কায়েমে কিছুদিন সময় লাগবে এটাই স্বাভাবিক!
                        ইসলামই দিয়েছে প্রকৃত বাকস্বাধীনতা

                        Comment


                        • #13
                          আলহামদুলিল্লাহ। আপনি যেই কথা বলেছেন,তার সাথে আমি একমত।
                          "মুজাহিদদরা কোন অঞ্চল বিজয়ের পর পূর্ণ শরিয়াহ কায়েমে কিছুদিন সময় লাগবে এটাই স্বাভাবিক।"
                          তবে ইচ্ছাকৃতভাবে,জনগণ বিরোধীতা করার ভয়ে,শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা বিলম্বিত করা কখনোই কাম্য নয়।

                          Comment


                          • #14
                            Originally posted by Abdullah Pathan View Post
                            আলহামদুলিল্লাহ। আপনি যেই কথা বলেছেন,তার সাথে আমি একমত।
                            "মুজাহিদদরা কোন অঞ্চল বিজয়ের পর পূর্ণ শরিয়াহ কায়েমে কিছুদিন সময় লাগবে এটাই স্বাভাবিক।"
                            তবে ইচ্ছাকৃতভাবে,জনগণ বিরোধীতা করার ভয়ে,শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা বিলম্বিত করা কখনোই কাম্য নয়।
                            আলহামদুলিল্লাহ! ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ!!
                            নগণ্য বান্দাও আপনার পুরো কথার সাথে শতভাগ একমত।
                            ইসলামই দিয়েছে প্রকৃত বাকস্বাধীনতা

                            Comment


                            • #15
                              আব্দুল্লাহ পাঠান, ভাই! ভাইজান মুজাহিদদের ঐক্য অপরিহার্য৷ আপনাদের কমেন্টে আমি আনন্দিত হয়েছি। জাযাকুমুল্লাহ
                              اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

                              Comment

                              Working...
                              X