Announcement

Collapse
No announcement yet.

|| সেক্যিউলারিজমঃ আল্লাহর অবাধ্যতাই যার মূলমন্ত্র || .

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • || সেক্যিউলারিজমঃ আল্লাহর অবাধ্যতাই যার মূলমন্ত্র || .

    || সেক্যিউলারিজমঃ আল্লাহর অবাধ্যতাই যার মুলমন্ত্র ||
    .
    .
    সেক্যিউলারিজম এমন এক মতবাদ যা ব্যক্তির জীবনে আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের ধারণাই পাল্টে দেয়। অথচ মুসলমানের জীবনে মূল বিষয়টি নিছক আল্লাহর উপর বিশ্বাস নয়, বরং প্রতিকর্মে তাঁর বিধানের পূর্ণ আনুগত্য। এ ক্ষেত্রে সামান্যতম আপোষ চলে না। বরং একজন মুসলমান প্রকৃত মুসলমান রূপে পরিচয় পায় এরূপ নিরংকুশ আনুগত্যের কারণে।

    আনুগত্যের এ লাগাম ঢিলা হলে সে ব্যক্তি আর মুসলমানই থাকে না। তখন স্থান পায় শয়তানের আনুগত্য। জীবনের প্রতিকর্মে তখন সে নির্দেশনাও পায় শয়তান থেকে। এমন ব্যক্তির জীবনে শয়তান পরিণত হয় সার্বক্ষণিক বন্ধুতে। মহান আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে এমন মানুষের বর্ননা(বর্ণনা) দিয়েছেন এভাবে, ‘‘ওয়াল্লাযীনা কাফারু আউলিয়া হুমুত্তাগুত, ইয়ুুখরিজুনাহুম মিনান্নুরে ইলাজ্জুলুমাত।’’ অর্থঃ যারা কুফুরি করে তথা আল্লাহর অবাধ্যতা করে তাদের অভিভাবক হলো শয়তান যে তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারে নিয়ে যায়। [আয়াতের আরবী টেক্সট ও হাওয়ালা যুক্ত করে দেওয়া কাম্য।-মডারেটর]

    শয়তানের আনুগত্যের কারণেই তাদের ধর্মীয় আক্বীদা-বিশ্বাস, আচার-আচরণ, চরিত্র, রাজনীতি, আইন-আদালত, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিসহ সবকিছুই পাল্টে যায়। মানুষ তখন নিজেই আবির্ভূত হয় আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী এক সাক্ষাত শয়তান রূপে। তখন রাষ্ট্রের বুক থেকে মহান আল্লাহতায়ালার সার্বভৌমত্বকে হটিয়ে এমন শয়তান চরিত্রের মানুষগুলো নিজেদের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করে। দেশের আইন-আদালত থেকে তারা হটিয়ে দেয় আল্লাহপাকের আইন। কাফের হওয়ার অর্থ এ নয় যে মানুষ শুধু মুর্তি পুজা করে। বরং আল্লাহর বিরুদ্ধে যে কোন বিদ্রোহ বা অবাধ্যতাই হলো কুফরি।

    বাংলাদেশের মূলতঃ সে অবাধ্যতাই হচ্ছে সর্বস্তরে। এবং সেটি হয়েছে সেক্যিউলার গনতন্ত্রের(গণতন্ত্রের) নামে। যে কোন মুসলিম দেশে সেক্যিউলারিজমের বিপদ এখানেই। বাংলাদেশের বিপদ হলো, এ হারাম মতবাদটিই এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রবলভাবে বিজয়ী। এবং সে বিজয়ের উৎসব পালিত হচ্ছে নানাভাবে। উৎসবযোগ্য হিসাবে গন্য(গণ্য) হয়েছে দেশ থেকে আল্লাহ আইন ও তাঁর সার্বভৌমত্ব হটানোর মত কুফুরি কর্মটিও। এটিকে বলা হচ্ছে জনগণের বিজয়। বলা হচ্ছে জনগণের সার্বভৌমত্ব।

    নবীজীর (সাঃ)[সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] পর খোলাফায়ে রাশেদার ন্যায় যোগ্য ও ন্যায়পরায়ন শাসক আর কারা ছিলেন? অথচ তারাও সার্বভৌম শাসক রূপে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করেননি। তারা পরিচয় দিয়েছেন আল্লাহর প্রতিনিধি রূপে। এ জমিন ও আসমানে সার্বভৌম শক্তির অধিকারি তো একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। বান্দাহর কাজ হলো তার প্রতিনিধি বা খলিফা রূপে একমাত্র তারই হুকুমের প্রতিষ্ঠা করা। ইসলামে তাই খেলাফত আছে জনগণের সার্বভৌমত্ব নাই। এটি ইসলামের অতি মৌলিক বিষয়।

    অথচ সেটিই বিলীন হয়ে গেছে সেক্যিউলারিজমের প্রকোপে। ফলে আল্লাহর অবাধ্যতার ন্যায় কুফরি হচ্ছে সর্বত্র। বিচারের নামে দেশের প্রতি আদালতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহান রাব্বুল আ’লামীনের আইনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। সে বিদ্রোহের আয়োজন হচ্ছে এমন জনগণের অর্থে যারা নিজেদেরকে আল্লাহ অনুগত দাস বা মুসলমান মনে করে এবং লাখে লাথে(লাখে) নামায-রোযাও পালন করে। অথচ বিস্ময়! তাদের প্রতিষ্ঠিত আদালতে ব্যভিচারও শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়। শাস্তিযোগ্য নয় সূদ খাওয়া, মদ খাওয়া এমনকি পতিতাপল্লি প্রতিষ্ঠাও।

    আল্লাহর বিরুদ্ধে এমন সর্বাত্মক বিদ্রোহকে শাসনতান্ত্রিক বৈধতা দিয়েছে সংসদে নির্মিত আইন। আর সেসব সাংসদদের নির্বাচিত করেছে জনগন(জনগণ)। ফলে আল্লাহর বিরুদ্ধে এ সর্বাত্মক বিদ্রোহে জড়িত শুধু সরকার নয়, জড়িত জনগনও(জনগণও)। এ বিদ্রোহে জনগণ অর্থ ব্যয়, শ্রম ব্যয়, এমনকি রক্ত ব্যয়ও করছে। ফলে যে শয়তানের আনুগত্য চর্চা প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল উপনিবেশিক বৃটিশের হাতে, বাংলাদেশে এখন সেটিই সরকারি নীতি। ফলে মহান আল্লাহ ও তাঁর বিধানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চর্চা হচ্ছে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ গণজীবনের সর্বত্র। ফলে যা হবার তাই হয়েছে। বরং হয়েছে অতি প্রচন্ডভাবে।

    মুসলমানদের জীবনের মিশনই হলো ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের উৎখাত। পবিত্র কোরআনে এটিকে বলা হয়েছে, ‘‘আমিরু বিল মারুফ ওয়া নাহি আনিল মুনকার।’’ মুসলমানের রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার তথা প্রতিটি প্রতিষ্ঠান নিয়োজিত হবে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের প্রতিরোধে, এটিই পবিত্র এ আয়াতের ঘোষণা। নবী পাক (সাঃ) ও সাহাবায়ে কেরাম আজীবন সেটিই করেছেন।

    অথচ বাংলাদেশের মানুষ রেকর্ড গড়েছে আল্লাহর এ হুকুমের বিরুদ্ধাচারনে(বিরুদ্ধাচরণে)। অন্যায়ের উৎখাতে নয়, বরং বিশ্বে রেকর্ড গড়েছে তার প্রাতিষ্ঠায়(প্রতিষ্ঠায়)। ফলে বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দূর্নীতিগ্রস্ত দেশে। আল্লাহর আনুগত্য প্রাধান্য পেলে কি এমনটি হতো? এভাবে বাংলাদেশের মানুষ শুধু নিজেদেরই কলংকিত করেনি, কলংকিত করেছে ইসলামেরও। নিজেদের কদর্য দিয়ে তারা ইসলামকেও আড়াল করেছে। দুনিয়ার রেকর্ড যাদের এত খারাপ সেটি আখেরাতেও কি কোন কল্যাণ দিবে?

  • #2
    অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment

    Working...
    X