Announcement

Collapse
No announcement yet.

একটি জরুরী সতর্কবার্তা ।। সকল ভিজিটর ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি...

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • #16
    যাজাকাল্লাহ মুহতারাম ভাই, ভুল হলে অবশ্যই ক্ষমা চাই।

    তবে আপনার লেখার ভিত্তিতে কয়েকটা বিষয় বলতে চাচ্ছি; আমার আসলে উনার এই ভাবে ভুল ধরাটা শুধু মডারেটরদের জন্য ছিল না। বরং সামগ্রিক ভাবেই আমার মনে হয়েছে যে, এই ভাবে কারো ব্যপারে কোন প্রমান ছাড়া ধারণা করা যে, উনার মন-মেজাজ ভাল নাই তাই এমন করেছেন, এটা শরিয়াতে নিষিদ্ধ।

    আরেকটা ব্যাপার; আপনি বলেছেন (ইনসাফ ও সাম্য ও সমতা)। অনেকেই মনে করে ইনসাফ মানে সমান হওয়া, যা সঠিক নয়। ইনসাফ নামে মুত্বলাক সবার সাথে সমান করা নয়। বরং প্রত্যেককে তার মর্যাদা ও বৈশিষ্টের পরিমাণ অনুযায়ী আচরণ করতে হবে। আল্লাহর নবী থেকে খুলাফায়ে রাশেদীন থেকেও এই ব্যপারে অনেক ঘটনা আছে। এই বিষয়টা নিয়ে শাইখ আতিয়াতুল্লাহ লীবী উনার (الثقافة و الوعي) কিতাবে অনেক বিস্তারিত ও সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছেন।

    যার ইলম, ইমান, আমল, তাক্বওয়া, দ্বীনের ক্ষেত্রে কুরবানী, দায়িত্ব ও মাসুলিয়্যাত বেশি; তাকে অবশ্যই সেই সেই ব্যক্তি থেকে বেশি মর্যাদা, সম্মান ও ছাড়া দিতে হবে, ভুল হলে ক্ষমা করতে হবে যার মাঝে এগুলো কম বা নেই। এটাই ইনসাফ, এটাই আদল। সর্বক্ষেত্রে সমান করার ইনসাফ নয়।

    উমর রাজি. আবু উবাইদা রাজি.কে বলেছিলেন; তুমি ছাড়া অন্য কেহ এমন কথা বললে প্রচন্ড মাইর দিতাম, কিন্তু তুমি হিসেবে ছাড় দিচ্ছি। কারণ উনার মর্যাদা অন্যদের থেকে বেশি ছিল, তাই ভুলের ক্ষেত্রে ছাড় পেয়েছেন।

    সর্বপ্রথম খারেজী জুল খুয়াইসিরাহ এটাই ভেবেছিল যে, ইনসাফ নামে সমান করা। যার ভিত্তিতে আল্লাহর নবীকে পর্যন্ত বলেছিল; আপনি ইনসাফ করুন।

    তবে ইহার অর্থ এই নয় যে, আমির বা মডারেটরদের ভুল হলেও মেনে নিতে হবে, চুপ করে থাকবে বা এমন কিছু। আমরা আমাদের আমীরদের কোন কথা এই জন্যে মানি না যে, এটা আমাদের আমির বলেছেন বা আমার জামাত এমনটা মনে করে। বরং আমরা তাদের কথা মানি, কারণ এটা শরিয়াহ অনুযায়ী হয়েছে।

    তবে ইহার অর্থ ইহাও নয় যে, আমিররা কোন ভুল করলে তাদের আনুগত্য থেকে বেরিয়ে যাব। বরং স্পষ্ট কোন ভুল করলেও আমরা কখনো আমিরদের আগুনগত্য থেকে বের হব না বা খারাপ আচরণ করব না। বরং কুফুরী হওয়ার পর্যন্ত তাদের সাথেই থাকব। এই বিষয়গুলো নিয়েও শাইখ আতিয়াতুল্লাহ উনার হিসবা ফোরামের সাক্ষাতকারে বিস্তারিত আলাপ করেছেন।

    আর ভাই, আপনি যেভাবে সহজ ভাবে বলে ফেলেছেন যে, আমিররা কোন ভুল করলে ঝাগড়া করব, এইভাবে যদি সবাই নিজের ব্যক্তিগত দৃষ্টিতে ভুল দেখলেই ঝগড়া শুরু করে, তাহলে ভাই, এক মাস পরে এই জামাতে আর কোন শৃঙ্খলা খুঁজে পাবেন না। অধিকাংশই দেখে যাবে তার ইলমের ঘাটতির কারনে ব্যক্তিগত দৃষ্টিতে কোন ভুল দেখলেও আমিরের সাথে ঝগড়া শুরু করবে। আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুন।

    এমন হতে পারে, আমিরের যদি এমন ভুল দেখে যা শুধরানোর উচিত, তাহলে অন্য বিজ্ঞ ভাইদের সাথে পরামর্শ করে জেনে নিবে, এমন করাটা আসলেই ভুল কিনা নাকি তার কাছে এমন মনে হচ্ছে। তারপর উত্তমভাবে তার মর্যাদা ও ইতায়াত ঠিক রেখে বিষয়টা উপস্থাপন করবে। আল্লাহু আলাম।

    Comment


    • #17
      Originally posted by কাল পতাকা View Post
      যাজাকাল্লাহ মুহতারাম ভাই, ভুল হলে অবশ্যই ক্ষমা চাই।

      তবে আপনার লেখার ভিত্তিতে কয়েকটা বিষয় বলতে চাচ্ছি; আমার আসলে উনার এই ভাবে ভুল ধরাটা শুধু মডারেটরদের জন্য ছিল না। বরং সামগ্রিক ভাবেই আমার মনে হয়েছে যে, এই ভাবে কারো ব্যপারে কোন প্রমান ছাড়া ধারণা করা যে, উনার মন-মেজাজ ভাল নাই তাই এমন করেছেন, এটা শরিয়াতে নিষিদ্ধ।

      আরেকটা ব্যাপার; আপনি বলেছেন (ইনসাফ ও সাম্য ও সমতা)। অনেকেই মনে করে ইনসাফ মানে সমান হওয়া, যা সঠিক নয়। ইনসাফ মানে মুত্বলাক সবার সাথে সমান করা নয়। বরং প্রত্যেককে তার মর্যাদা ও বৈশিষ্টের পরিমাণ অনুযায়ী আচরণ করতে হবে। আল্লাহর নবী থেকে খুলাফায়ে রাশেদীন থেকেও এই ব্যপারে অনেক ঘটনা আছে। এই বিষয়টা নিয়ে শাইখ আতিয়াতুল্লাহ লীবী উনার (الثقافة و الوعي) কিতাবে অনেক বিস্তারিত ও সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছেন।

      যার ইলম, ইমান, আমল, তাক্বওয়া, দ্বীনের ক্ষেত্রে কুরবানী, দায়িত্ব ও মাসুলিয়্যাত বেশি; তাকে অবশ্যই সেই সেই ব্যক্তি থেকে বেশি মর্যাদা, সম্মান ও ছাড় দিতে হবে, ভুল হলে ক্ষমা করতে হবে যার মাঝে এগুলো কম বা নেই। এটাই ইনসাফ, এটাই আদল। সর্বক্ষেত্রে সমান করার ইনসাফ নয়।

      উমর রাজি. আবু উবাইদা রাজি.কে বলেছিলেন; তুমি ছাড়া অন্য কেহ এমন কথা বললে প্রচন্ড মাইর দিতাম, কিন্তু তুমি হিসেবে ছাড় দিচ্ছি। কারণ উনার মর্যাদা অন্যদের থেকে বেশি ছিল, তাই ভুলের ক্ষেত্রে ছাড় পেয়েছেন।

      সর্বপ্রথম খারেজী জুল খুয়াইসিরাহ এটাই ভেবেছিল যে, ইনসাফ মানে সমান করা। যার ভিত্তিতে আল্লাহর নবীকে পর্যন্ত বলেছিল; আপনি ইনসাফ করুন।


      এমন হতে পারে, আমিরের যদি এমন ভুল দেখে যা শুধরানোর উচিত, তাহলে অন্য বিজ্ঞ ভাইদের সাথে পরামর্শ করে জেনে নিবে, এমন করাটা আসলেই ভুল কিনা নাকি তার কাছে এমন মনে হচ্ছে। তারপর উত্তমভাবে তার মর্যাদা ও ইতায়াত ঠিক রেখে বিষয়টা উপস্থাপন করবে। আল্লাহু আলাম।
      জি ভাই, ইনসাফ মানে সব ক্ষেত্রে সমান হওয়া নয়। এটা আমি বলিও নি। ইনসাফ যেভাবে হয়, সেটাই বলেছি। তবে ইনসাফ শব্দের উৎপত্তিই হলো نصف থেকে। যার অর্থ হলো, অর্ধেক। আর ইনসাফ অর্থ হলো অর্ধেক অর্ধেক করা। সমান সমান করা। তাই মৌলিকভাবে ইনসাফের মধ্যে সমান সমান করার তাৎপর্য অবশ্যই আছে। তবে সবক্ষেত্রে নয়।

      আর আপনি বলেছেন:

      “যার ইলম, ইমান, আমল, তাক্বওয়া, দ্বীনের ক্ষেত্রে কুরবানী, দায়িত্ব ও মাসুলিয়্যাত বেশি; তাকে অবশ্যই সেই সেই ব্যক্তি থেকে বেশি মর্যাদা, সম্মান ও ছাড়া দিতে হবে, ভুল হলে ক্ষমা করতে হবে যার মাঝে এগুলো কম বা নেই। এটাই ইনসাফ, এটাই আদল।

      ভাই, সম্মান আর বিচারের মাঝে তালগোল পাকিয়ে ফেললে হবে না। সম্মান, মর্যাদা এক জিনিস। আর বিচার আরেক জিনিস।
      আচ্ছা যদি একই অপরাধের কারণে একজনকে দশটা বেত্রাঘাত করা হয়, আর সেইম অপরাধের জন্য আরেকজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়; কারণ সে সম্মানিত, মর্যাদাবান, তাহলে সমাজের শৃঙ্খলা কোথায় যাবে?! এরকম যদি বারবার চলতে থাকে, তাহলে দেশে বা সমাজে আইন আছে বলে গণ্য হবে, নাকি অরাজকতা বলে গণ্য হবে?
      এটার কথাই তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইহুদীদেরদ মধ্যে নিম্নশ্রেণীর লোকেরা চুরি করলে তাদের হাত কেটে দেওয়া হতো, কিন্তু সম্মানিত লোকেরা চুরি করলে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হতো!

      তাহলে কি আপনি এমন বৈষম্যকেই ইনসাফ বলতে চাচ্ছেন?

      ভাই, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের বিভিন্ন সম্মানের কথা বলেছেন। বয়সে বড় যারা, তাদের সম্মানের কথা বলেছেন। আলেমদের সম্মানের কথা বলেছেন। আমিরদের অসম্মান করতে নিষেধ করেছেন। এছাড়া আরো বিভিন্ন শ্রেণীর লোকের সম্মনের কথা বলেছেন। কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে যে, এই সম্মানের ব্যাপারটা আইন ও বিচারের স্তর থেকে অনেক নিচে। আইন ও বিচারের ক্ষেত্রে এগুলো খুব কমই ধর্তব্য হবে।

      আমি দু’টি উসূল বলছি,
      ১. যেখানে শরীয়তের সুস্পষ্ট শাস্তি নির্ধারিত আছে, সেখানে এসব সম্মানের কথা বলে বিচারে তফাৎ করা যাবে না।
      ২. যেখানে সম্মানের দিক লক্ষ্য করতে গেলে বৈষম্য হয়ে যাবে, মানুষের মাঝে অসাম্য হয়ে যাবে, সেখানে এটার প্রতি লক্ষ্য রাখা যাবে না।

      আপনি যেই সম্মান ও মর্যাদার পার্থক্যের কথা বলেছেন, এটা আইন ও বিচারের স্তরের ধারে কাছেও যাাবে না। সম্মান ও মর্যাদা তো সাধারণভাবে চলাফেরা ও আচার-আচরণ করার ক্ষেত্রে। এটার তো কোন আইনী অবস্থান নেই। আইন ও বিচারের ক্ষেত্রে এটা নিয়ে আসা যাবে না। এখানে এটা নিয়ে আসলে সেই জাহিলিয়াত চলে আসবে।
      যেখানে দু’জনের মাঝে মিমাংসার ব্যাপার, দু’জনের মাঝে বিচার করার ব্যাপার, দু’জনের মাঝে ভুল-সঠিক যাচাই করার ব্যাপার, সেখানে যদি এসব সম্মান ও মর্যাদার বিষয় নিয়ে আসেন, তাহলে এটাই জাহিলিয়াত। এটাই জুলুম ও নৈরাজ্য।

      যেখানে ওমর রাযি. আবু উবায়দা রাযি.কে বলেছিলেন, অন্য কেউ হলে অনেক মাইর দিতাম, সেখানে দু’জনের মাঝে ফায়সালা বা বিচারের ব্যাপার ছিল না। এছাড়া সেটা হয়ত কোন আইনী বা বিচরিক বিষয়ের পর্যায়ে ছিল না।

      এটা করা যায়। আমরাও চলাফেরা ও জীবন যাপনের ক্ষেত্রে অনেককে বলি, তুমি না হয়ে অন্য কেউ হলে আমি এই ব্যবস্থা নিতাম। কিন্তু যখন বিষয়টা বিচারের পর্যায়ে চলে যায়, তখন সকলের সমান বিচার করতে হবে।

      নিজেদের মধ্যে থাকা আর বিচারের পর্যায়ে চলে যাওয়া যে ভিন্ন জিনিস, তার একটা উদাহরণ হলো, হুদুদের বিষয়গুলো যতক্ষণ পর্যন্ত আদালতে না পৌঁছায়, ততক্ষণ পর্যন্ত তা নিজেরা মিলেমিশে সমাধান করে ফেলতে পারে। অর্থাৎ লঘু শাস্তির মাধ্যমে শেষ করে দিতে পারে। কিন্তু যখন তা আদালত পর্যন্ত পৌঁছে, তখন কিছুতেই ক্ষমা করা যাবে না।
      মোটকথা, সম্মান ও মর্যাদার বিষয়গুলো সাধারণ সময়ে সাধারণভাবে চলাফেরার সময় প্রযোজ্য। এছাড়া এগুলো অন্তরের বিষয়। এর প্রকাশমাধ্যম বহু ধরণের হতে পারে। এর জন্য নির্দিষ্ট কোন কিছু আবশ্যক করা যাবে না। কিন্তু আইন ও বিচারের ক্ষেত্রে সম্মান ও মর্যাদার বিষয়গুলো নিয়ে আসা যাবে না। যদি নিয়ে আসা হয়, তাহলে এটাই নৈরাজ্য, এটাই আইনের শাসনের অনুপস্থিতি, এটাই জুলুম ও বিশৃঙ্খলা।
      আর বিচার বলতে শুধু আদালতের বিচার উদ্দেশ্য নয়।দু’জনের মাঝে সালিসি বিচারও এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত। পরিক্ষার খাতার মাধ্যমে এর উদাহরণ নিতে পারেন। খাতায় লেখার প্রতি গুরুত্ব কম দশুধু সম্মানিত ছাত্র বা মেধাবি ছাত্র হওয়ার কারণে নাম্বার বেশি দেওয়া যাবে কি?

      তাই সম্মান ও মর্যাদার কথা বলে ইসলামের মৌলিক আদর্শ ন্যায়-ইনসাফকে জলঞ্জলী দিবেন না।। সম্মান ও মর্যাদার বিষয়গুলো যার যার অন্তরের পর্যায়ে রেখে দিন। এটাকে মিমাংসার স্থানে নিয়ে আসবেন না।

      আর *যুল খুওয়াইসিরা আল্লাহর রাসূলকে ইনসাফ করতে বলেছে, তাই অন্য কোথাও ইনসাফ করতে বলা যাবে না, এমন নয়। খারিজীরা ইনিল হুকমু ইল্লা লিল্লাহ বলেছে, তাই আমরা ইনিল হুকুম ইল্লা লিল্লাহ বলতে পারবো না এমন নয়। আর যুলখুওয়াইসিরা ইনসাফ বলতে সমান সমান করা বুঝেছে, এটা আপনি কিভাবে জানলেন?


      আর ভাই, আপনি যেভাবে সহজ ভাবে বলে ফেলেছেন যে, আমিররা কোন ভুল করলে ঝগড়া করব, এইভাবে যদি সবাই নিজের ব্যক্তিগত দৃষ্টিতে ভুল দেখলেই ঝগড়া শুরু করে, তাহলে ভাই, এক মাস পরে এই জামাতে আর কোন শৃঙ্খলা খুঁজে পাবেন না। অধিকাংশই দেখে যাবে তার ইলমের ঘাটতির কারনে ব্যক্তিগত দৃষ্টিতে কোন ভুল দেখলেও আমিরের সাথে ঝগড়া শুরু করবে। আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুন।
      আমি ই তো আগে বললাম যে, যে কাউকে ভুল ধারার আগে খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ভুল ধরার আগে তার কমেন্টটা অনেকবার ভালো করে পড়ে বুঝে নিতে হবে। নিজে ভুল করা যতটা সমস্যা, তার চেয়ে বেশি সমস্যা হলো, আরেকজনকে ভুলভাবে ভুল ধরা। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত অপর মুসলমান ভাইয়ের কোনো কথা বা কাজকে কোনোভাবে ঠিক ধরা যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত ভুল অর্থে প্রয়োগ না করা। এই কথাগুলো আমি ওই কমেন্টে বলেছিলাম।
      এটা সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। শুধু আমিরদের কথা এখানে কেন যে নিয়ে আসা হয়, সেটাই বুঝি না। আমিররাও তো মানুষ। অনেক ক্ষেত্রে তাদের জ্ঞান-বুদ্ধি আমাদের থেকে কমও থাকতে পারে, কিসমিসের মত ছোট মাথার অধিকারী একজন হাবশিকেও আমির বানিয়ে দেওয়া হতে পারে, তারও আনুগত্য করতে হবে। তাই তাদের ব্যাপারটাকে আবার আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয় কেন? যেহেতু বিষয়টা শুধু আমিরদের ক্ষেত্রে নয়, তাই আগে বিষয়টাকে আপন অবস্থায় ব্যাপকভাবে বলতে হবে।
      তাই আমিররা যে পর্যায়ের কাজ করে, তাদের সাথে সে পর্যায়ের প্রতিক্রিয়া অবশ্যই দেখানো যাবে। যদি শুধু যুক্তি দিতে হয়, তাহলে সেটাই। যদি কখনো তর্ক করতে হয়, তাহলে সেটাই। যদি কখনো ঝগড়ার পর্যায়ে চলে আসে, তাহলে সেটাই। এগুলো করতে হবে, সেটা বলছি না। বরং সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে যেমন, আমিরদের ক্ষেত্রেও তেমনই। (সম্মানের বিষয়টা সাধারণ অবস্থায়। বিচার-বিশ্লেষণের অবস্থায় নয়)
      যেকোন মানুষের ক্ষেত্রে বা যেকোন কাজের ক্ষেত্রেই না বুঝে বা নিজের বুঝমত তাড়াহুড়া করে ভুল ধরে ফেললে মারাত্মক ফ্যাসাদ সৃষ্টি হয়। এটা পুরান কথা। এটা আমিরদের ক্ষেত্রে বা আমাদের ইমারার ক্ষেত্রে আলাদাভাবে বলে বিষয়টাকে আমিরদের দাপটের দিকে নিয়ে যাওয়া উচিত নয়।

      Comment


      • #18
        ibnul khattab ভাই, আপনার কথাটাই আপনাকে বলতে চাই। কারো উত্তর দেওয়ার পূর্বে তার কথা আগে বুঝে তারপর উত্তর দিতে হবে। আমি আমার কথায় সম্ভবত কোন ভাবেই হুদুদের বিষয় বুঝাই নি বা ইংগিতও দেই নি। আর ফোরামে কোন ভুল হওয়া সম্ভবত হুদুদ পর্যায়ে যায় না। এমনকি জামাতের কোন আমিরও সম্ভবত সাধারণত হুদুদ পর্যায়ে ভুল করে না। করলে তো সেটার ফায়সালা হবেই। আর যে বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে, এই ক্ষেত্রে আগের কথাগুলোই সম্ভবত ভুল নয়।

        আর শুধু আমির না, বরং যারই যে দিক থেকে মর্যাদা অন্যের থেকে বেশি সে অপরের থেকে বেশী মর্যাদা পাবে। একই ভুলের জন্যে আমি আমার ছোট ভাইকে থাপ্পর দিতে পারি কিন্তু বড় ভাইকে সম্মানের সাথে ইশারা দেওয়া ছাড়া কিছুই করতে পারি না। আর বিস্তারিত জানার জন্য তো সোর্স উল্লেখ্য করেই দিয়েছি ভাই।

        Comment


        • #19
          Originally posted by কাল পতাকা View Post
          ibnul khattab ভাই, আপনার কথাটাই আপনাকে বলতে চাই। কারো উত্তর দেওয়ার পূর্বে তার কথা আগে বুঝে তারপর উত্তর দিতে হবে। আমি আমার কথায় সম্ভবত কোন ভাবেই হুদুদের বিষয় বুঝাই নি বা ইংগিতও দেই নি। আর ফোরামে কোন ভুল হওয়া সম্ভবত হুদুদ পর্যায়ে যায় না। এমনকি জামাতের কোন আমিরও সম্ভবত সাধারণত হুদুদ পর্যায়ে ভুল করে না। করলে তো সেটার ফায়সালা হবেই। আর যে বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে, এই ক্ষেত্রে আগের কথাগুলোই সম্ভবত ভুল নয়।

          আর শুধু আমির না, বরং যারই যে দিক থেকে মর্যাদা অন্যের থেকে বেশি সে অপরের থেকে বেশী মর্যাদা পাবে। একই ভুলের জন্যে আমি আমার ছোট ভাইকে থাপ্পর দিতে পারি কিন্তু বড় ভাইকে সম্মানের সাথে ইশারা দেওয়া ছাড়া কিছুই করতে পারি না। আর বিস্তারিত জানার জন্য তো সোর্স উল্লেখ্য করেই দিয়েছি ভাই।
          ভাই, আপনি যদি নিজেই বুঝে নিতেন এবং নিজের কথার ব্যাপারে ও আমার কথার ব্যাপারে ভালো করে চিন্তা করতেন, তাহলে হয়ত আমার এই উত্তর দিতে হতো না। কিন্তু দু:খের বিষয়, সেটা হলো না।

          ১. আপনি হুদুদ-অ-হুদুদ কোন পার্থক্য না করে ব্যাপকভাবে বলে ফেলেছেন। যেটা অনেক নন আলেম পাঠকদের মনে সংশয় সৃষ্টি করতে পারতো। তাই আমি হুদুদের বিষয়টা প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ করেছি। কিন্তু আপনি সেটা খেয়াল না করেই এই কমেন্টটা আবার করে ফেলেছেন। আমি হুদুদের বিষয়টা আপনার উপর অভিযোগ করিনি।বরং বিচারের একটা প্রকার হিসাবে প্রাসঙ্গিকভাবে বলেছি। যেহেতু আপনি কতগুলো দলিল দিয়ে ব্যাপকভাবে বলা শুরু করেছিলেন।

          ২. আর শুধু হুদুদ না হলেই বাকি ক্ষেত্রগুলোতে পার্থক্য করা যাবে, এমনও নয়। বরং সম্মানের ব্যাপারটাই আলাদা। বিচার ও আইনের ব্যাপারটাই আলাদা। কিন্তু আপনি সম্মান ও বিচারের ব্যাপার দুটিকে এক করে ফেলেছেন। সেটাই আমি আগের কমেন্টে বলেছিলাম।

          ৩. ফোরামের কথাগুলো হুদুদের পর্যায়ে যায় না ঠিক। কিন্তু হুদুদ ছাড়াও তো আরো বিচার আছে। সেই বিচারের পর্যায়ে অবশ্যই যায়। যেখানে মানহানী বা সম্মানে আঘাতের ব্যাপার আছে, সেটা বিচারের আওতার ভিতরে। অর্থাৎ যেখানে অপরপক্ষ সম্মান করে মেনে না নিয়ে বিচার চায়, সেটাই বিচারের বিষয়। সেই ব্যক্তি যদি বলে, আমি এখানে সম্মান করে মেনে নিবো না, বরং আমি বিচার চাই, তাহলে সেই ব্যক্তির সেই অধিকার আছে। আর অধিকার প্রতিষ্ঠিত করাই আসল ইনসাফ। তারপর অতিরিক্ত ইছার বা প্রাধান্য দান, বা অপরকে অগ্রাধিকার দেওয়া বা সম্মান করা সেটা যার যার ইচ্ছা। যতক্ষণ পর্যন্ত অসম্মান না হয়।

          Comment


          • #20
            আপনি আপনার কথার এক পর্যায়ে আমিরদেরকে ভুল ধরার ক্ষেত্রে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন। কিন্তু আপনি আফ্রিদি ভাইয়ের ভুল ধরার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করেননি। এভাবে আপনি আবচেতনভাবে আমির ও মামুরের মাঝে বিচারের ক্ষেত্রে পার্থক্য করে ফেললেন। এটাই বে-ইনসাফী। এটা থেকে আপনার আল্লাহর নিকট তাওবা করা উচিত। একজন মামুরের সম্মানকে অবচেতনভাবে ছোট করার কারণে।

            উপরন্তু আপনি ভুলভাবে ভুল ধরে সেটা স্বীকার না করে ঘুরিয়ে নিজেকে নির্দোষ সাব্যস্ত করতে চাইলেন। যেমন আপনি বলেছেন- “বরং সামগ্রিক ভাবেই আমার মনে হয়েছে যে, এই ভাবে কারো ব্যপারে কোন প্রমান ছাড়া ধারণা করা যে, উনার মন-মেজাজ ভাল নাই তাই এমন করেছেন, এটা শরিয়াতে নিষিদ্ধ।”
            যেখানে উনি নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ব্যাপারে কু ধারণাই করেননি, বরং মানুষের মন-মানসিকতার সাধারণ সম্ভাবনার কথা বলেছেন, সেখানে আপনি আবারো বললেন, উনি নাকি প্রমাণ ছাড়া কারো ব্যাপারে ধারণা করেছেন। দেখুন, উনার কথা কেমন ছিল-

            “বাস্তবতা আর লেখনি দু'টির মাঝে বেশ পার্থক্য রয়েছে। আমি যেটা প্রফুল্ল মন নিয়ে লিখছি, সেটা অন্য ভাইয়ের কাছে বিপরীত মনে হতে পারে কেননা তার মন-মেজাজ ভাল নেই। এমনিভাবে অনেককে দেখলে মনে হয় অহংকারী কিন্তু তার মাঝে বিন্দু পরিমান অহংকার নেই, আবার অনেককে দেখলে মনে হয় যে, সে অহংকারী নয় কিন্তু সে অহংকারে পরিপূর্ণ।”
            দেখুন, *উনি মানুষের সাধারণ সম্ভাবনা হিসাবে আরো কতগুলো অবস্থাও সাথে তুলে ধরেছেন। কিন্তু আপনি নিলেন প্রমাণ ছাড়া ধারণা হিসাবে। অথচ উনি এত বিনয়ীভাবে বলেছেন যে, উনার কথার মাধ্যমে কারো কোন আঘাত লাগার কথা না,
            কিন্তু আমির ও মডারেটরদের সম্মান বলে কথা...আপনি আমিরদের সম্মান রক্ষার জন্য উনাকে ভুল ধরে তাওবা করতে বললেন। এক্ষেত্রে আর সতর্কতার গুরুত্ব অনুভব হলো না।
            এই হলো আমির ও মামুরের মাঝে বিচারের পার্থক্য। এটাই বে-ইনসাফী।

            তাই মন থেকে আমিরদের অতি প্রভাবের মানসিকতা দূর করুন। কোন মানুষ কোন মানুষের গোলাম নয়। কেউ কারো থেকে ছোট নয়। তাকওয়ার ভিত্তিতে পা্র্থক্য হবে। আর সেই পার্থক্য করবেন আল্লাহ পরকালে। দুনিয়াতে আপনি মন থেকে সম্মান করতে পারেন, কিন্তু বিচারের ক্ষেত্রে সেটা নিয়ে আসবেন না।

            Comment


            • #21
              ibnul khattab ভাই,
              আমাদের আলোচনাগুলো শুরু থেকেই আদালত কেন্দ্রিক বিচারিক আলোচনার বাইরে ছিল। এমনকি বড় কোন দায়িত্বশীল নিচের কাউকে শাস্তি দিবে, এই বিষয়টাও আমাদের আলোচনার বস্তু ছিল না। কিন্তু কিভাবে আপনার কথায় এগুলো ঢোকেছে আমি বুঝতে পারছি না।

              আর ইনসাফের প্রশিদ্ধ সংজ্ঞা হচ্ছে; প্রত্যেককে তার অধিকার দেওয়া।
              এটা থেকেও আরো স্পষ্ট ও সমৃদ্ধ সংজ্ঞা হচ্ছে; একই ক্ষেত্রে সমতা করা এবং ভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্নতা করা।
              (التساوي بين المتساوين و التفريق بين المختلفين)

              ইহার ভিত্তিতে শুধু সম্মানের ক্ষেত্রে না, বরং কোন কিছু দেওয়া বা দান করা, দায়িত্ব ও মর্যাদা দেওয়া, এমনকি ভুল হলে সেটার প্রতিক্রিয়ার ব্যপারেও ভিন্ন হবে। এই ফোরামে অবশ্যই সাধারণ সদস্যদের থেকে মডারেটরদের মর্যাদা, সম্মান ও কখনো ভুল হয়ে গেলে ছাড় বা অন্যদের থেকে আরো ভদ্রতা ও সম্মানের সাথে সামাধান ইত্যাদি হতে হবে। জামাতের ক্ষেত্রেও বিষয়টা এমনই হবে। এমনকি কেহ যদি তার আমিরের সাথে খারাপ আচরণ করে তাহলে সেটা অবশ্যই তার সমপর্যায়ের অপর কোন ভাইয়ের সাথে একই খারাপ আচরণ থেকে বেশি ভয়াবহ হবে। শাস্তিও বেশী হবে। হুবহু এই বিষয়টাই আমাদের মডারেটর মুন্সি ভাইয়ের কথায় উঠে এসেছে। এটাই তো ইনসাফ, কারণ দুই পক্ষ সমান স্তরের নয়।

              আপনি জালেম শাসকদের ব্যাপারেও ছাড় দেওয়ার যেসব হাদিস এসেছে, সেগুলো লক্ষ্য করুন। সেখানে কি আল্লাহর নবী বে-ইনসাফী করতে বলেছেন? একটা শৃঙ্খলা ভেংগে ফেলার চেয়ে টিকে রাখার জন্যে আমিরদেরকে ছাড় দেওয়ার ব্যপারে ইমামদের বানীগুলো পড়ে দেখুন। ফোরামে যদি সবাই মডারেটরদেরকে নিয়ে কথা বলতে থাকে বা উনাদের ব্যাপারে (মন-মেজাজ ভাল নেই) এমন বাচ্চা সূলভ কথা-বার্তা বলে, তাহলে এখানে বিশ্বাসযোগ্যতা কই যাবে ভাই?

              আর আপনি বারবার বিচার-বিচার শব্দ আনছেন। এখানে বিচার দ্বারা কি বুঝাচ্ছেন তা ক্লিয়ার করবেন। ফোরামে বিচারের বিষয় বা এখানে যে বিষয়গুলো নিয়ে আপত্তি তুলেছেন সেখানে বিচার কোথা থেকে এসেছে একটু বুঝিয়ে দিবেন।

              Comment


              • #22
                শাইখুত তারবিয়াহ আহমাদ মুসা জিবরিল (হাফিজাহুল্লাহ) একখানে বলেছেন , ‘‘শাইখ নাসির আল- আকিলকে প্রশ্ন করা হল, আকিদাহর ব্যাপারে কে সবচেয়ে বেশি জানেন? তিনি বললেন, পৃথিবীর বুকে এমন কাউকে আমি চিনি না যিনি আকিদাহর ব্যাপারে শাইখ আব্দুল্লাহ আল- গুনাইমানের চেয়ে বেশি জানেন। আমি মনে করি শাইখ নাসির আল- আকিলের এই কথা সম্পূর্ণ ঠিক। আমি আর বাবা দু’জনেই শাইখ আব্দুল্লাহ আল- গুনাইমানের কাছে পড়েছি। আমার ভুল হতে পারে, তবে আমার যতটুকু মনে পড়ে আমি কখনো তাঁর মুখে (শাইখ গুনাইমান রহ.) হাসি দেখি নি। একবার এক বন্ধুকে শাইখ গুনাইমানের (র.) বাসায় নিয়ে গিয়েছিলাম। দারসের মাঝখানে আমার বন্ধু কিছু একটা জিজ্ঞেস করায়- তিনি কড়াভাবে বকুনি দিয়েছিলেন। ফেরার পথে গাড়িতে আমার বন্ধু বলেছিল, ‘তুমি আর কোন দিন আমাকে এখানে আনবে না’। শাইখ খুব শক্ত মানুষ ছিলেন, আর এর পিছনে তাঁর উদ্দেশ্য সবাইকে যথাযথ শিক্ষা দেয়া কিংবা এটাই হয়তো তাঁর প্রকৃতি ছিল।’’
                অতঃপর তিনি আরো বলেন, ‘‘সারকথা হল, ...সবর দরকার। আজকের দিনে ছাত্রদের সাথে ছোট বাচ্চার মতো আচরণ না করলে হটাৎ একদিন দেখা যায় সে অধৈর্য হয়ে উধাও হয়ে গেছে।... দেখা যাবে সে সোশ্যাল মিডিয়ার কোনো এক প্রান্তে নেতিবাচক কোনো মন্তব্য (গীবত) করে বসবে।...’’

                ফোরাম-- একতো এটা সিরিয়াস জায়গা (নবীনদের অনুভূতি কল্পনা করে বলা!) আবার, কমেন্ট-পোস্ট করলেও তার জন্য এপ্রুভের অপেক্ষা করতে হয়। তাই যথাসম্ভব ছাড় দেওয়াই কল্যাণকর। বেয়াদবি-অসংগ্লতা এটাই বরং অস্বাভাবিক। এটা বিকল্পভাবে দমন করা যেতে পারে।

                Comment


                • #23
                  [QUOTE=কাল পতাকা;119754]ibnul khattab ভাই,
                  আমাদের আলোচনাগুলো শুরু থেকেই আদালত কেন্দ্রিক বিচারিক আলোচনার বাইরে ছিল। এমনকি বড় কোন দায়িত্বশীল নিচের কাউকে শাস্তি দিবে, এই বিষয়টাও আমাদের আলোচনার বস্তু ছিল না। কিন্তু কিভাবে আপনার কথায় এগুলো ঢোকেছে আমি বুঝতে পারছি না।

                  আর ইনসাফের প্রশিদ্ধ সংজ্ঞা হচ্ছে; প্রত্যেককে তার অধিকার দেওয়া।
                  এটা থেকেও আরো স্পষ্ট ও সমৃদ্ধ সংজ্ঞা হচ্ছে; একই ক্ষেত্রে সমতা করা এবং ভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্নতা করা।
                  (التساوي بين المتساوين و التفريق بين المختلفين)

                  ইহার ভিত্তিতে শুধু সম্মানের ক্ষেত্রে না, বরং কোন কিছু দেওয়া বা দান করা, দায়িত্ব ও মর্যাদা দেওয়া, এমনকি ভুল হলে সেটার প্রতিক্রিয়ার ব্যপারেও ভিন্ন হবে। এই ফোরামে অবশ্যই সাধারণ সদস্যদের থেকে মডারেটরদের মর্যাদা, সম্মান ও কখনো ভুল হয়ে গেলে ছাড় বা অন্যদের থেকে আরো ভদ্রতা ও সম্মানের সাথে সামাধান ইত্যাদি হতে হবে। জামাতের ক্ষেত্রেও বিষয়টা এমনই হবে। এমনকি কেহ যদি তার আমিরের সাথে খারাপ আচরণ করে তাহলে সেটা অবশ্যই তার সমপর্যায়ের অপর কোন ভাইয়ের সাথে একই খারাপ আচরণ থেকে বেশি ভয়াবহ হবে। শাস্তিও বেশী হবে। হুবহু এই বিষয়টাই আমাদের মডারেটর মুন্সি ভাইয়ের কথায় উঠে এসেছে। এটাই তো ইনসাফ, কারণ দুই পক্ষ সমান স্তরের নয়।

                  আপনি জালেম শাসকদের ব্যাপারেও ছাড় দেওয়ার যেসব হাদিস এসেছে, সেগুলো লক্ষ্য করুন। সেখানে কি আল্লাহর নবী বে-ইনসাফী করতে বলেছেন? একটা শৃঙ্খলা ভেংগে ফেলার চেয়ে টিকে রাখার জন্যে আমিরদেরকে ছাড় দেওয়ার ব্যপারে ইমামদের বানীগুলো পড়ে দেখুন। ফোরামে যদি সবাই মডারেটরদেরকে নিয়ে কথা বলতে থাকে বা উনাদের ব্যাপারে (মন-মেজাজ ভাল নেই) এমন বাচ্চা সূলভ কথা-বার্তা বলে, তাহলে এখানে বিশ্বাসযোগ্যতা কই যাবে ভাই?

                  আর আপনি বারবার বিচার-বিচার শব্দ আনছেন। এখানে বিচার দ্বারা কি বুঝাচ্ছেন তা ক্লিয়ার করবেন। ফোরামে বিচারের বিষয় বা এখানে যে বিষয়গুলো নিয়ে আপত্তি তুলেছেন সেখানে বিচার কোথা থেকে এসেছে একটু বুঝিয়ে দিবেন।
                  [/QUOTE

                  আপনি এখানে ইনসাফের সংজ্ঞা দিয়েছেন। এটা কী দরকার ছিল? এটা অস্বীকার করেছে কে? এটা নিয়ে আপত্তি করেছে কে? অযথা বারবার না বুঝে এমন করলে কিভাবে হয়? আমি লিখি একটা, আপনি লিখেন অন্য আরেকটা।
                  আপনি আপনার কথার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে প্রশ্নটা করেছেন, সেটা হলো, মডারেটর ভাইয়ের পোষ্টে বিচারের বিষয় কোথায় পেলাম? এর উত্তরটা আমার পূর্বের কমেন্টগুলোর মধ্যে চলে এসেছে। ১. আমি বলেছি, শুধু আদালতের বিচারই বিচার নয়, বরং দুইজনের মাঝে সালিশি বিচারও একটা বিচার। ২. কাউকে দোষী সাব্যস্ত করাও একটা বিচার। অবশ্যই এটা বিচার। আমি আরো বলেছি যে, যে কথা মাসুষের সম্মানের আঘাত হয়, এমন কথাও একটা বিচার। যদি দোষী সাব্যস্ত করা ন্যায়সঙ্গতভাবে হয়, তাহলে সঠিক বিচার। আর যদি অন্যায়ভাবে হয়, তাহলে অন্যায় বিচার। যদি সম্মানে আঘাত ন্যায়সঙ্গতভাবে হয়, তাহলে ন্যায়বিচার, অন্যথায় অন্যায় বিচার। আমার পূর্বের কমেন্টে কিন্তু এই দু’টি পয়েন্ট উল্লেখ হয়েছে। যদিও নাম্বার দিয়ে উল্লেখ হয়নি। এখানে বিচার বলতে আনুষ্ঠানিক বিচার উদ্দেশ্য নয়। “সিদ্ধান্ত দেওয়া” উদ্দেশ্য। চাই যে কেউ যে কারো ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিক, এটাই একটা বিচার। যেমন বলে, জনগণ বিচার করবে, এই বিচার।

                  আর আমি বারবার বলেছি, সম্মানের বিষয়টার বাহ্যিক কোন রূপ নির্দিষ্ট নেই, ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট নেই। এটা যার যার অন্তরের বিষয়। এটার কারণে কাউকে অভিযুক্ত করা যাবে না। অর্থাৎ দোষী বলে বিচার করা যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত অসম্মান না করে। এই কথাগুলো কতবার বলতাম?!

                  ইহার ভিত্তিতে শুধু সম্মানের ক্ষেত্রে না, বরং কোন কিছু দেওয়া বা দান করা, দায়িত্ব ও মর্যাদা দেওয়া, এমনকি ভুল হলে সেটার প্রতিক্রিয়ার ব্যপারেও ভিন্ন হবে। এই ফোরামে অবশ্যই সাধারণ সদস্যদের থেকে মডারেটরদের মর্যাদা, সম্মান ও কখনো ভুল হয়ে গেলে ছাড় বা অন্যদের থেকে আরো ভদ্রতা ও সম্মানের সাথে সামাধান ইত্যাদি হতে হবে।।
                  কতবার বলেছি, এগুলে ঐচ্ছিক ব্যাপার। যার যার অন্তরের ব্যাপার। কেউ যদি বলে, আমি সম্মান করে মাফ করবো না, ছাড় দিবো না, আমাকে যা বলেছে, আমি তার সমান বিচার চাই, তাহলে সে চাইতে পারে এবং বিচারক বিচার করতে বাধ্য। না করলে জুলুম হবে। বৈষম্য হবে। আপনি এভাবে সম্মানের বিষয়টাকে এমন আবশ্যিক ছাড় ও শাস্তি মওকুফের বিষয় বানিয়ে ফেললে সকল স্বেচ্ছাচারিতার পথ খুলে যায়। এটা ভুল। আপনি বুঝতে ভুল করছেন। এটাই তো সকল স্বৈরাচারি কর্মকান্ডের সুড়ং পথ। আপনি এটা না বুঝলে আপনার বুঝ নিয়ে আপনি থাকেন। অযথা তর্ক করবেন না।

                  আপনি বলেছেন-

                  “এমনকি কেহ যদি তার আমিরের সাথে খারাপ আচরণ করে তাহলে সেটা অবশ্যই তার সমপর্যায়ের অপর কোন ভাইয়ের সাথে একই খারাপ আচরণ থেকে বেশি ভয়াবহ হবে। শাস্তিও বেশী হবে।
                  আস্তাগফিরুল্লাহ! আস্তাগফিরুল্লাহ! আপনি এটা কী বললেন? এটা কোথায় পাইছেন? ইসলাম কি এটা সমর্থন করে? ফিকহের কিতাবগুলো কি এটা সমর্থন করে? তাহলে আর ইসলামের ন্যায় থাকলো কোথায়? এগুলো আপনি কি স্কুল-কলেজের সিনিয়র-জুনিয়র নীতি থেকে শিখেছেন? যেখানে সালাম না দেওয়ার কারণে বড় ভাইয়েরা ছোট ভাইদেরকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে সম্মান করা শিখায়?

                  তার সমপর্যায়ের অপর কোন ভাইয়ের সাথে
                  কী আশ্চর্য! সমপর্যায়- উচ্চ পর্যায়- এগুলো পেলেন কোথায়? মামুর ভাই কি নিচু নিম্ন পর্যায়ের, আর আমির কি উচ্চ পর্যায়ের? এই শেণীবিভেদ কোথায় পেলেন? আমির কি এজন্য? আমি তো আমাদের তানযীমের সবচেয়ে বড় ভাই থেকেও নিজেকে নিম্ন শ্রেণীর বা নিম্ন পর্যায়ের মনে করি না, এবং আমাদের তানযীমের সবেচেয়ে ছোট ভাই থেকেও নিজেকে উচ্চ শ্রেণীর মনে করি না। আশ্চর্যজনক কায়সারি মনোভাব ফুটে উঠছে আপনার কথা থেকে।

                  আমির বানায় কি উচ্চ শ্রেনীর লোক হওয়ার কারণে? বা আমির হওয়ার কারণে কি উচ্চ শ্রেনীর হয়ে যায়? তখন কি সে সমপর্যায় থেকে উচ্চ পর্যায়ের হয়ে যায়? এই ধারণা কোথা থেকে পেলেন? ইসলামে তো এগুলো নেই। ইসলামে কেউ কারো থেকে ছোট নয়। মানে আইনীভাবে ছোট-বড় নয়। বরং মানুষের অন্তরে সম্মানের দিক থেকে ছোট-বড় হতে পারে। সেটার ঐচ্ছিক প্রকাশও ঘটতে পারে। কিন্তু সেটার কোন আইনী রূপ নেই, কোন বাধ্য-বাধকতা নেই। যেহেতু নির্দিষ্ট নয়, তাই। কিন্তু আপনার কথায় সুস্পষ্ট কানুনী রূপ চলে এসেছে, বাধ্য-বাধকতা চলে এসেছে। আপনি বলছেন, মাফ করতে হবে, ছাড় দিতে হবে। আর ছোট হলে শাস্তি বেশি হবে! নাউযু বিল্লাহ।

                  অপর কোন ভাইয়ের সাথে একই খারাপ আচরণ থেকে বেশি ভয়াবহ হবে। শাস্তিও বেশী হবে।
                  এই কথার জন্য ইস্তেগফার করুন। এটা অভিশপ্ত কথা। “শাস্তিও বেশি হবে”- এই আইন আপনি কোথায় পেলেন? এমন জাহিলিয়াত যদি এতদিন পরেও প্রকাশ পায়, তাহলে তো মারাত্মক সমস্যা। চুল পরিমাণ শাস্তি বেশি দেওয়া কি জায়েয হবে? আপনিই বলেন তো, যদি একটা জামাতের মধ্যে এই সিস্টেম চলতে থাকে, অর্থাৎ একই অসঙ্গত আচরণ সমপর্যায়ের (আপনার কথামতো) ভাইয়ের সাথে করলে এক রকম শাস্তি, আর (আপনার কথামতো) উচ্চ পর্য়ায়ের! ভাইয়ের সাথে করলে কঠিন শাস্তি বা বেশি শাস্তি হয়, তাহলে মানুষের মনের প্রতিক্রিয়া কী হবে? দেশে যদি এই সিস্টেম চলতে থাকে, তাহলে মানুষের মধ্যে কী উপলব্ধি হবে? কী আশ্চর্যজনক কথাবার্তা আপনার।
                  আপনি সম্মান-মর্যাদার মতো ঐচ্ছিক ও অন্তরের আবেগের বিষয়টাকে কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। এটাকে আপনি শাস্তি কম হওয়া- বেশি হওয়ার পর্যায়ে নিয়ে গেছেন? এটাকে দোষী সাব্যস্ত করা- না করার পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। এটাকে আপনি আইনী ধারার পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।

                  আর আমি স্পষ্ট করে দিচ্ছি যে, আমি সম্মানের বিষয়টাকে ঐচ্ছিক বলার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো: কোন জায়গায় সম্মান করতে হবে, আর কোন জায়গায় উচিত জবাব দিতে হবে, এটা ব্যক্তির ইজতিহাদের উপর নির্ভরশীল। এছাড়া কোনটা সম্মানের অংশ, আর কোনটা সমান অধিকারের অংশ সেটা নির্ধারণ করাও অনেকাংশে ব্যক্তির বিবেক ও ইজতিহাদের উপর নির্ভরশীল। এছাড়া কোন জায়গায় কতটুকু সম্মান করতে হবে, সেটাও ব্যক্তির ইজতিহাদের উপর নির্ভরশীল।

                  আরেকটা বিষয় দেখুন তো, হাদিসের মধ্যে এসেছে, বড়কে সম্মান করতে হবে, আলিমকে সম্মান করতে হবে, এখন মামুরদের মধ্যে যারা বয়সে আমিরের থেকে বড়, বা বড় আলেম, আমিরকে তো অবশ্যই তাদেরকে সম্মান করতে হবে। এখন এর কারণে কি ছাড় দেওয়া ওয়াজিব হয়ে যাবে? কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্ষমা করা ওয়াজিব হয়ে যাবে? উত্তর: না। বরং এটা আমিরের ইচ্ছা ও ইজতিহাদের উপর নির্ভরশীল। ঠিক অন্য কোন সাধারণ মামুর ভাইও কখন আমিরকে সম্মান করে ছাড় দিবে, আর কখন আমিরকে উচিত জবাব দিবে, বা সমান বিচার চাইবে, সেটা উক্ত মামুরের ইচ্ছা ও ইজতিহাদের উপর নির্ভরশীল। ঠিক এ জায়গায় ক্ষমা করে আমিরকে সম্মান করতে মামুর বাধ্য নয়।

                  আরেকটা বিষয় বলি: আমির-মামুরের ব্যাপারে ধারণা পরিবর্তন করুন। আমির-মামুর সমপর্যায়ের। আমির-মামুর এক। নিজেদের মধ্য হতে একজনকে আমির বানানো হয় কাজের শৃঙ্খলার জন্য। ব্যাস, ব্যাপার এতটুকুই। আমার বন্ধু, বা আমার ছোট ভাইকে আমির বানিয়ে দিলাম, নির্দিষ্ট কোন একটা গুণের কারণে। জামাতের শৃঙ্খলার জন্য। এখানে তো উচ্চ পর্যায়-নিচু পর্যায়ের ব্যাপার নেই। আপনি এখানে উচ্চ পর্যায়-সমপর্যায় কেন নিয়ে আসলেন??! এটাই তো কায়সার ও কিসরার শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য। উঁচু-নীচু শ্রেণীবিভেদ।

                  আপনি হয়তো আবারো পেঁচ লাগাবেন। এখানে আপত্তি করে বলবেন, ইলম, তাকওয়াা ও অন্যান্য বিষয়ের কারণে উঁচু-নিচু শ্রেণী বিভেদ হয় না? উত্তর: এগুলো অন্তরের আবেগের বিষয়। বিভিন্ন স্থানে ঐচ্ছিকভাবে সম্মান প্রদর্শেনের বিষয়। এগুলোর কোন আইনী রূপ নেই। তাই এর মাধ্যমে শ্রেণীবিভেদ হয় না।
                  আবারো বলছি, ঐচ্ছিক সম্মান প্রদর্শন বলতে বুঝাচ্ছি, এর রূপ, ক্ষেত্রে ও পাত্র নির্ধারণ করা প্রত্যেক ব্যক্তির ইচ্ছা ও ইজতিহাদের উপর নির্ভরশীল। তাই সম্মান প্রদর্শন করা আবশ্যক, কিন্তু তার রূপ, ক্ষেত্রে ও মাধ্যম অস্পষ্ট হওয়ার কারণে এটা ঐচ্ছিকের মতোই হয়ে গেলে। যতক্ষণ পর্যন্ত অসম্মান না হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত অসম্মান না হয়।

                  সম্মানিত ভাই, আপনি একটু চিন্তা করে বুঝে তারপর উত্তর লিখবেন। আপনি দেখবেন যে, আমার কমেন্টের ভিতরেই আপনার কোন প্রশ্নের উত্তর চলে এসেছে কি না। চলে আসলে একই বিষয় বারবার নিয়ে আসবেন না।

                  আপনি নিজের ভুল হলে সেটা মেনে নিন। শুধু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিজের ভুলটাকে সঠিক বানানোর চেষ্টা করবেন না। আমি আপনার এমন একটা বিষয়ের ব্যাপারে একটা কমেন্ট করেছিলাম। কিন্তু মডারেটর ভাই সেটা এপ্রুভ করেননি। এপ্রুভ না করাতে আমি কিছু মনে করেছিলাম না। ভেবেছি, হয়তো কথা শেষ করানোর জন্য এমনটা করেছেন। আর আমিও চাচ্ছি কথা শেষ হোক। কিন্তু তারপর আবার আপনার এমন একটা কমেন্ট এপ্রুভ করেছেন, যেটা অযথা পুরান পেচাল বলে আমি মনে করি। যেগুলোর উত্তর পূর্বে হয়ে গেছে, সেগুলোই আবার পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে বলতে সুযোগ দিয়েছে। এতে তো সেই তর্ক বাড়ছেই।

                  আমি আগেই বলে নিচ্ছি, যদি “ইলম ও জিহাদ” ভাইও এ ব্যাপারে আমার বিপক্ষে কলম ধরেন, তবে আমি অন্ধভক্তির কারণে বা উনার বিশাল ব্যক্তিত্ব দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সেটা মেনে নিবো না। বরং আমার বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমোই মানবো। কারণ আমি মনে করি, আমার মূল উদ্দেশ্য এবং আমার দৃষ্টিভঙ্গিটাই সঠিক। যদিও কথার পেঁচে পড়ে অনেক কথা বলতে বলতে শাখাগত কথা দুয়েকটা ভুলও হতে পারে। কিন্তু আমি যে দৃষ্টিভঙ্গিটা বুঝাতে চাচ্চি, সেটাই ইসলামের আসল দৃষ্টিভঙ্গি।

                  আর আপনি একটা মারাত্মক ভুল কথা বলেছেন, কিন্তু ভুলভবেই তর্ক করে যাচ্ছেন, আর আমার কষ্ট করে উত্তর দিতে হচ্ছে। লিখতে লিখতে হাত ব্যাথা হয়ে যাচ্ছে। সারাদিন অন্য পেরেশানির পরে আবার এগুলোর উত্তর দিতে আরেক পেরেশানি।
                  যাইহোক, ভুলটা হলো-

                  আপনি জালেম শাসকদের ব্যাপারেও ছাড় দেওয়ার যেসব হাদিস এসেছে, সেগুলো লক্ষ্য করুন।
                  হে ভাই! কোথায় জালিম শাসকদেরকে ছাড় দিতে বলেছে? আপনি কি হাদিস বুঝেছেন? হাদিসে বলেছে, জুলুম করলেও তাকে আমির হিসাবে মেনে চলতে; তার ইমারতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করতে। কিন্তু তার অন্যায় কাজটার ব্যাপারে তো ছাড় দিতে বলেনি। বরং সেটা শক্তহাতে প্রতিরোধ করতে উৎসাহিত করেছেন। জালিমের হাত চেপে ধরার হাদিসটা বুঝাচ্ছি। এমনকি জালিম বাদশার জুলুমের প্রতিবাদ করে শহিদ হলে তাকে শ্রেষ্ঠ শহিদ এবং তার জিহাদকে শ্রেষ্ঠ জিহাদ বলেছেন।
                  শুধু জুলুম ও অন্যায়টার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করার অর্থ হলো, আপনি এই কাজটা থেকে ফিরে থাকুন, আপনার রাজত্বের বিরুদ্ধে আমাদের কোন অবস্থান নেই। আপনিই আমির থাকুন। শুধু অন্যায়টা বন্ধ করতে হবে।
                  আর বিদ্রোহ করার অর্থ হলো, তাকে গদি থেকে নামানোর আন্দোলন। আল্লাহর রাসূল দ্বিতীয়টা করতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু প্রথমটা করতে নিষেধ করা তো দূরের কথা, বরং সেটা না করলেই যে উম্মত ধ্বংস হবে, সেটা বলেছেন।

                  বা উনাদের ব্যাপারে (মন-মেজাজ ভাল নেই) এমন বাচ্চা সূলভ কথা-বার্তা বলে,
                  সুবহানাল্লাহ!!!!! আপনি কী বলতে চাচ্ছেন? উনাদের কি মন-মেজাজ খারাপ হতে পারে না? উনারা কি মানুষ না?আর সেই খারাপ মন-মেজজের প্রভাব কি উনাদের কাজে পড়তে পারে না? আমি কিছুই বুঝতে পারছি না!! আপনি কি মানবজাতির ব্যাপারে কথা বলছেন, নাকি ফেরেশতাদের ব্যাপারে কথা বলছেন? আপনি কি নবী বা সাহাবাদের ব্যাপারে কথা বলছেন, নাকি আমাদের যুগের কতিপয় দোষে-গুণে ভরা ভাইয়ের ব্যাপারে কথা বলছেন?

                  আপনি কোন্ চিন্তা নিয়ে কথা বলছেন ভাই? আপনি এটা কিভাবে বললেন? কেন বললেন? এরকম কথা বলে সময় কেন নষ্ট করছেন? এমন কথা এলাউ করে তর্ক বাড়ানোর সুযোগ কেন করে দেওয়া হচ্ছে?

                  ভাই, আপনার সবগুলো কথার পরিপূর্ণ উত্তর দেওয়ার মতো অবস্থা নেই আমার।

                  Comment


                  • #24
                    মুহতারাম ভাইদের এই রকম একটি সিরিয়াস পোস্টে আর অযথা বিতর্ক না করতে আহ্বান করছি। অনুগ্রহ করে নিচের ৩টি ফাইল সবাই পড়বেন। মামুর মাসুলের সম্পর্কের ব্যাপারে আশা করি আপনাদের সংশয় দূরীভূত হবে ইনশা আল্লাহ।

                    শরঈ বিধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জিহাদি জামাআতগুলোর সাথে কৃত বাইয়াত পূর্ণ করার বিধান
                    -শাইখ সামী আল উরাইদী হাফিজাহুল্লাহ
                    https://gazwah.net/?p=6799

                    মুজাহিদের আত্মশুদ্ধি – ০২
                    মাসুলদের প্রতি যথাযথ শ্রবণ ও আনুগত্য প্রদর্শন
                    -উস্তাদ আহমাদ যাকারিয়া হাফিজাহুল্লাহ
                    https://gazwah.net/?p=21435

                    মুজাহিদের আত্মশুদ্ধি – ০৩
                    মাসুলদের প্রতি আদব ও সম্মান প্রদর্শন
                    -উস্তাদ আহমাদ যাকারিয়া হাফিজাহুল্লাহ
                    https://gazwah.net/?p=23594

                    শেষে ibnul khattab ভাই সহ সকল ভাইকে বলবো আমরা মোডারেটররা আপনাদের খাদিম। আপনাদের চেয়ে বড় কিছু নই। তবে ibnul khattab ভাই আপনার আলোচনার টোন বেশ কষ্টদায়ক। আপনি আপনার শ্রদ্ধার পাত্র বা বড় ভাইদের ক্ষেত্রেও এভাবে ভাবেন কিনা আল্লাহু আলাম। মুহতারাম ভাইদের আবারও এই রকম একটি সিরিয়াস পোস্টে আর অযথা বিতর্ক না করতে আহ্বান করছি।
                    Last edited by আবু আব্দুল্লাহ; 10-03-2021, 11:14 PM.

                    Comment


                    • #25
                      Originally posted by আবু আব্দুল্লাহ View Post
                      মুহতারাম ভাইদের এই রকম একটি সিরিয়াস পোস্টে আর অযথা বিতর্ক না করতে আহ্বান করছি। অনুগ্রহ করে নিচের ৩টি ফাইল সবাই পড়বেন। মামুর মাসুলের সম্পর্কের ব্যাপারে আশা করি আপনাদের সংশয় দূরীভূত হবে ইনশা আল্লাহ।

                      শরঈ বিধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জিহাদি জামাআতগুলোর সাথে কৃত বাইয়াত পূর্ণ করার বিধান
                      -শাইখ সামী আল উরাইদী হাফিজাহুল্লাহ
                      https://gazwah.net/?p=6799

                      মুজাহিদের আত্মশুদ্ধি – ০২
                      মাসুলদের প্রতি যথাযথ শ্রবণ ও আনুগত্য প্রদর্শন
                      -উস্তাদ আহমাদ যাকারিয়া হাফিজাহুল্লাহ
                      https://gazwah.net/?p=21435

                      মুজাহিদের আত্মশুদ্ধি – ০৩
                      মাসুলদের প্রতি আদব ও সম্মান প্রদর্শন
                      -উস্তাদ আহমাদ যাকারিয়া হাফিজাহুল্লাহ
                      https://gazwah.net/?p=23594

                      শেষে ibnul khattab ভাই সহ সকল ভাইকে বলবো আমরা মোডারেটররা আপনাদের খাদিম। আপনাদের চেয়ে বড় কিছু নই। তবে ibnul khattab ভাই আপনার আলোচনার টোন বেশ কষ্টদায়ক। আপনি আপনার শ্রদ্ধার পাত্র বা বড় ভাইদের ক্ষেত্রেও এভাবে ভাবেন কিনা আল্লাহু আলাম। মুহতারাম ভাইদের আবারও এই রকম একটি সিরিয়াস পোস্টে আর অযথা বিতর্ক না করতে আহ্বান করছি।

                      ১. ভাই, আপনার শেষ কথায় বা শেষ সিদ্ধান্তে আমি হতাশ হলাম। আমি কি ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নিয়ম-নীতির কথা ছাড়া ব্যক্তিগত অশ্রদ্ধার কোন কথা বলেছি? আমি ভুল ধারণা অপনোদন করার চেষ্টা করেছি। কোন মাসুল ভাইকে বা ভাইদেরকে তো এটাক করিনি।

                      “আপনি আপনার শ্রদ্ধার পাত্র বা বড় ভাইদের ক্ষেত্রেও এভাবে ভাবেন কিনা আল্লাহু আলাম।” জি ভাই, আমি এখানে যে দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছি, এমন ভাবনা ই তো রাখি। আমি তো কৃত্রিমভাবে কিছু বলিনি। আমার মনে ও ভাবনায় যা আছে তাই তো বলেছি। আমি তো এমন ভাবনা রাখা সকলেরই সঠিক নীতি বলে মনে করি।

                      ওই ভাইয়ের সবেচেয় বেশি দু:খজনক কথা হলো, উনি বলেছেন, নিচু (উনার কথা হিসাবে) পর্যায়ের হলে নাকি শাস্তি বেশি হবে। ভয়াবহ হবে? অর্থাৎ মামুর ভাই অন্যায় করলে। এবং উনি এসব কথা বৈশ্বিক তানযীমের কেন্দ্রিয় আলিমদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলছেন। যদি এটাই মেনে নেই, তাহলে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই পৃথিবীতে কী নিয়ে আসলেন? কী জন্য আসলেন?

                      আচ্ছা ছাড় দেওয়া ও ক্ষমা করার বিষয়টা কি কো আইনী বিষয়? আবশ্যিক বিষয়? তাহলে উনি এগুলোকে আইনীভাবে আবশ্যিকভাবে বিধান হিসাবে বলছেন কেন?

                      স্বেচ্ছায় স্বতস্ফুর্তভাবেই তো অন্তরে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আসে এবং সে কারণেই আমরা আমির বা মাসুলদেরকে অনেক কিছু ছাড় দিবো, অনেক ক্ষেত্রে মেনে নিবো, কিন্তু এটা তো আবশ্যিক আইন না? এটা তো আবশ্যক না? আবশ্যিক আইন হলে তো নীতির পার্থক্য হয়ে যাবে? বৈষম্য ও বে-ইনসাফী হয়ে যাবে।

                      আমি তো শ্রদ্ধা না করার কথা বলিনি। আমি তো শুধু এই কথাটাই বলতে চাচ্ছি যে, এটা আবশ্যক না। ‘আবশ্যক না’ মানে শ্রদ্ধ করে মাফ করতেই হবে, ছাড় দিতেই হবে, সব সময় মেনে নিতেই হবে, এটা আবশ্যক না। বা এটার কারণে অপরপক্ষকে দোষ দেওয়া হবে, বা শাস্তি দেওয়া হবে, এমন নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত অসম্মান না হয়।

                      বিশেষ করে শাস্তির পার্থক্যের কথা উনি কিভাবে বললেন? বা আপনি এটার ব্যাপারে আপত্তি না করে কিভাবে মেনে নিলেন? (ভাই, আমি কিন্তু আপনাকে আক্রমণাত্মকভাবে বলছি না। বা আপনাকে উত্তর দিতে বাধ্য করার জন্য বলছি না। বরং নিজে নিজে বলে যাচ্ছি একটা যুক্তি প্রদর্শন হিসাবে)

                      আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো শুধু আমিরদেরকেই সম্মান করতে বলেননি, বরং বয়সে বড়দেরকেও সম্মান করতে বলেছেন। তাই আমিরের উপরও আবশ্যক হলো, মামুরদের মধ্যে যারা বয়সে তার থেকে বড় তাদেরকে সম্মান করা। তবে সম্মান করে নির্দিষ্ট কিছুতে ক্ষমা করা বা ছাড় দেওয়া বা শাস্তি না দেওয়া বা কম দেওয়া ওয়াজিব না। বরং এটা উনার ইচ্ছা ও ইজতিহাদের বিষয়। বিপরীতে আমিরের ক্ষেত্রেও ওয়াজিব না। বরং মামুরের ইচ্ছা ও ইজতিহাদের উপর নির্ভরশীল। এমনিভাবে আমিরের নেতৃত্বাধীন আলিমদেরকে সম্মান করাও ওতো আমিরের উপর আবশ্যক বা ওয়াজিব। তবে এর কারণে নির্দিষ্ট কোন ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া, বা ক্ষমা করা বা শাস্তি কম দেওয়া ওয়াজিব না। বরং এটা আমিরের ইজতিহাদের উপর নির্ভরশীল। ঠিক এর বিপরীতে আমিরকে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়াও ওয়াজিব নয়। বরং মামুরদের ইজতিহাদের উপর নির্ভরশীল। যেহেতু এগুলো অন্তরের সম্মানের বিষয়। প্রকাশ্য স্পষ্ট কোন আইন না।

                      আর অন্তরের শ্রদ্ধা প্রত্যেক আমিরের অবস্থা অনুযায়ী হবে। এটাই তো দুনিয়ার স্বাভাবিক নিয়ম। যে আমির যতটা সম্মান ও ভালোবাসা অর্জন করতে পারে, সে হিসাবে আন্তরিক ছাড় ও ক্ষমা পেতে পারে। তবে এটা আবশ্যিক নয়। আইন নয়।

                      ভাই, আপনি এই পোষ্টে আর অযথা বিতর্ক না করতে আহ্বান করেছিলেন। কিন্তু আপনি আমার অবস্থানের ব্যাপারে সর্বশেষ যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, সেটা আমি মেনে নিতে পারি নাই। তাই প্রয়োজনেই বিতর্ক করা আমার উপর আবশ্যক হয়ে পড়লো।

                      ২. আর ভাই আপনি যে কয়েকটি বইয়ের লিংক দিয়েছেন, আমি সেগুলো পড়বো ইনশাআল্লাহ। তবে আমি পূর্বেও শায়খদের এ ধরণের কিছু লেখা পড়েছি। তো সে হিসাবে একটা উপলব্ধি বলি: মূল হাদিসের পরে শায়খগণ নিজেদের পক্ষ থেকে কিছু ওয়াজ করেন। যেই ওয়াজের শাখাগত অনেকগুলো মাসআলার কোন দলিল নেই। তো শায়খগণ কুরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট দলিল ছাড়া নিজেদের ইজতিহাদ হিসাবে যা বলেন, সেটা তো অকাট্য নয়। আবশ্যক নয়। ওই সকল আলোচনাগুলোর মধ্যে শুধু কুরআান-হাদিসের উদ্ধৃতির অংশটাই আমাদের কাছে মূল বিষয় এবং দৃষ্টি আকর্ষণের বিষয়। বাকি কথাগুলোর জন্য আলাদা দলিল খুঁজি।

                      আর ভাই, উনি সম্মান ও মর্যাদার ভিত্তিতে ক্ষমা ও ছাড় দেওয়ার যেই আবশ্যিক নীতি বললেন বা সাধারণ নীতি বলে দিলেন, এর দ্বারা কি পাঠকদের মনে বিভ্রান্তি ছড়ায় না? ইসলামের আদর্শকে বিকৃত করা হয় না? পুরা ভুল মাসআলা প্রচার করা হচ্ছে না? এটা যদি ভুল না ধরি, তাহলে কিভাবে হয়? তাহলে কি ইসলামের ব্যাপারে মারাত্মক ভুল দেখে চুপ থাকবো?

                      আর ভাই, লক্ষ্য করুন, আমি আপনার সাথে তর্ক করছি, দ্বিমত পোষণ করছি। কিন্তু আপনাকে একটুও অসম্মান বা অশ্রদ্ধা করিনি। আর হ্যা, যেকোন মুসলিম ভাইয়ের সাথেই শ্রদ্ধা ও সম্মানের সাথে কথা বলতে হবে।

                      আার ভাই, ভুল হলে ক্ষমা করবেন। আর ফিনিশিং দিলে নিরপেক্ষ ফিনিশিং দিলে ভালো হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত কোন পক্ষের অন্যায় বা ভুল সুসাব্যস্ত না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত কোন পক্ষকে দোষী বা ভুল সাব্যস্ত করা থেকে বিরত থাকলে ভালো হয়।

                      আবারো বিনীতি অনুরোধ করছি, ভুল হলে ক্ষমাপ্রার্থী।

                      Comment


                      • #26
                        ibnul khattab ভাই, আমি অনেক পূর্ব থেকেই চাচ্ছিলাম এই পোষ্ট থেকে বিতর্কটা অন্যকোন থ্রেডে নিয়ে যেতে। আপনি আপনার লাস্ট কমেন্টটা অন্য আরেকটা থেডে করুন, সেখানে জবাব দিব ইনশাআল্লাহ। আসলে মডারেটর বলেন আর মাসুল বলেন, তারা অনেক কষ্ট করেন সাধারণ ভাইদের থেকে। কাজ নিয়ে বেশি আন্তরিক ও জান দিতে প্রস্তুত থাকেন। তাদের ব্যপারে আপনার শব্দ চয়নগুলো খারাপ লেগেছে। তাই আলোচনা চালিয়ে নিতে চাই।

                        আমি এখানে আমার মত প্রতিষ্ঠা করতে আসি নি, তাই আলোচনায় ক্লান্ত হব না ইনশাআল্লাহ। আর বহু বছর যাবত ফোরামে এমন আলোচনা-বিতর্কের করা হয়ে উঠে নি। এই আলোচনাটা চালিয়ে নিতে ভালই লাগবে। তবে এখন আপ্নার-আমার কথা বা যুক্তি চলবে না। আপনিও শাস্ত্রীয় আলাপ করবেন, দলিল দিবেন, ইমাগণের কথা আনবেন। আমিও এমনটা করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

                        Comment


                        • #27
                          ১- মুহতারাম ibnul khattab ভাই! আমি আপনার পুরো আলোচনাকে বাতিল করে দেইনি, কিন্তু মাসুল ও মোডারেটরদের ক্ষেত্রে আপনার শব্দচয়নগুলো ঠিক নয়। আদাব ও ইহতিরামের কমতি আছে। আপনি আপনার বড়দের ক্ষেত্রেও এই টাইপের বাক্যচয়ন করে থাকেন। তাহলে সেটিও সংশোধনের উপযুক্ত।

                          ২- শরীয়তের যেগুলো অকাট্য জরুরী বিধিবিধান রয়েছে, এগুলোর ক্ষেত্রে সবাই সমান, এমনটি কেউ অস্বীকার করেনি। যারা বিপরীত দিক থেকে কথা বলছেন উনাদের কথাও এমনটি নেই। হয়তো কোন কোন ক্ষেত্রে শব্দ চয়ন এদিক সেদিক হয়েছে। উনারা এটাই বলতে চাচ্ছেন যে আদাব ও ইহতিরামের দিক থেকে যারা কাজে বড় তারা অধিক হকদার। আর এটিও তো ইসলামের-ই মেজাজ। উনাদের থেকে কোন ত্রুটি প্রকাশিত হলেও সেটি আদাবের সাথে হওয়া চাই। আপনার কথা থেকে বুঝে আসে এই সম্মান দেখানো বা আদাব বজায় রাখা ব্যক্তির ইজতিহাদ নির্ভর। যার কাছে সঠিক মনে হয় দেখাবে, যার কাছে মনে হয় না দেখাবে না। কিন্তু ব্যাপারটি আসলে এমন নয়। আমির মাসুলদের সাধারণ ভুল (শরীয়তের অকাট্য ও জরুরী বিষয়গুলো নয়।) পরিলক্ষিত হলেও তা ধরার ক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে শ্রদ্ধা পাওয়ার অধিক হকদার। আর এটাই দ্বীনের মেজাজ।

                          সর্বশেষ কথা হল- বলার মত ও লেখার মত আরও বহু জিনিস রয়েছে। আমরা সেগুলোর দিকে নজর দেই।

                          Comment


                          • #28
                            এই পোস্টে উপরোক্ত বিতর্ক নিয়ে কথা না বলার অনুরোধ করা হল... কারো আরও কথা থাকলে ভিন্ন পোস্টে আপনার কথাগুলো গুছিয়ে লিখে দিবেন। কিছু এদিক থেকে দিবেন, কিছু আরেক দিক থেকে দিবেন এমন নয়। আপনার পুরো বক্তব্যের সারমর্ম লিখে দিবেন।

                            Comment

                            Working...
                            X