Announcement

Collapse
No announcement yet.

একজন ছোট্ট মুজাহিদের চিঠি; আমি তোমাকে ভালোবাসি বাবা .........

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • একজন ছোট্ট মুজাহিদের চিঠি; আমি তোমাকে ভালোবাসি বাবা .........

    আমি তোমাকে ভালোবাসি বাবা.........

    দয়া করে আর কেঁদো না......... আমরা একদিন সাক্ষাৎ করবো...একসাথে ইসলামের পথে।

    বাবা.............বলো আমরা জিহাদ করি শান্তির জন্য; শুভ বিদায়
    বাবা.........আল্লাহ যেন সবসময় তোমার সাথে থাকেন।

    ও আল্লাহ! তুমি কত না করুণাময়, তুমি আমাদেরকে অনেক কিছু রহমত স্বরুপ দিয়েছো, অথচ আমরা তোমাকে সেগুলোর জন্য ধন্যবাদ জানাই না, তা সত্ত্বেও, তুমি প্রতিদিন আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে তোমার নিয়ামত দান করে যাচ্ছো।

    ও আল্লাহ! তুমি কত সুন্দর, তুমি আমাদেরকে সঠিক পথ দেখিয়েছ এবং জান্নাতে যাওয়ার জন্য যেমন কাজ আমাদের করা উচিত তা সম্পর্কে আমাদের অবগত করেছ, যাহোক, আমরা এতটাই উদ্ধত যে, আমরা ঐসব কাজগুলোকে অবজ্ঞা করি যা আমাদেরকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।

    ও আল্লাহ! আমার বাবা সবকিছু ছেড়ে তাঁর জীবনকে উৎসর্গ করেছেন তোমার দ্বীনকে সমুন্নত করতে। তিনি এ দুনিয়াতে কোন কিছুকেই প্রাধান্য দেননি; না টাকা পয়সা, না সম্পত্তি; প্রকৃতপক্ষে তিনি সবকিছু ভুলে গিয়েছিলেন এবং শুধুমাত্র স্মরণ রেখেছিলেন, যে এ দুনিয়ায় ইসলামকে উঁচু ও প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

    ও আল্লাহ! এ কারণেই তিনি আমাদেরকে মুহাম্মাদ বিন কাসিম, মাহমুদ গজনবী, তারিক বিন যিয়াদ এবং খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ)-এর গল্প বলতেন, অবশেষে, তিনিও, তাঁদের মতো, শত্রুদের বিপক্ষে অস্ত্র ধরলেন এবং তাঁর শরীরের শেষ রক্তবিন্দু বের হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ করতে থাকলেন।

    ও আল্লাহ! বাবার কাছে আমার সালাম পৌঁছে দিও এবং তাঁকে বলে দিও তাঁর ছোট্ট ছেলেটি খুব ভালো আছে। ও আল্লাহ! দয়া করে তাঁকে এটাও বলো যে, তাঁর ছোট্ট ছেলেটি এই রমজানে জীবনের প্রথম রোজা রাখবে।

    ও আল্লাহ! আমাদের অনুপস্থিতিতে বাবাকে উদ্বিগ্ন হতে নিষেধ করো; এ দুনিয়ার জীবন অনেক ছোট। মা বলেন, এ দুনিয়ার জীবন হঠাৎ করে শেষ হয়ে যাবে, আর তখন কোন মা, বাবা, ভাই, বোন, ছেলে অথবা মেয়ে কেউই কাজে আসবে না। ঐ দিন একজন শহীদ তাঁর পরিবারের সত্তর জন সদস্যের জন্য সুপারিশ করতে পারবে এবং তাদেরকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।

    ও আল্লাহ! বাবাকে বলে দিও মা যখনই তাঁর কথা বলেন, অনেক কষ্ট পান। কিন্তু তিনি আমাকে অনেক সাহস দেন। তিনি নিঃশব্দে কাঁদেন, কিন্তু তিনি কখনো অধৈর্য ও অসংযমী হয়ে কাঁদেননি।

    ও আল্লাহ! বাবাকে বলো হতাশ না হতে। আমার মা অনেক সাহসী মহিলা, তিনি কাপড় সেলাই করেন এবং প্রতিবেশীদের বাসন ধুয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি আমাকে দিনে স্কুলে ও রাতে মসজিদে পাঠান। মসজিদে আমি ক্বারীর কাছ থেকে ক্বুরআন শিখি, আমার মা কারো কাছে কখনো অভিযোগ করেননি। বরং রাতে কাজ শেষ করে, তিনি আমাকে সাহসী ও বীরদের গল্প বলেন, যেমনটি আমার বাবা করতো, এবং বলেন, আমি যেন আমার বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেই।
    ও আল্লাহ! ঈদ প্রায় চলে এসেছে। অন্য ছেলে মেয়েরা তাদের বাবার সাথে নতুন জুতা কিনবে। তাদের দর্জি দিয়ে বানানো নতুন কাপড় আছে এবং ঈদ উপহারও কিনেছে বন্ধুদের সাথে দেয়া-নেয়া করতে। যখনই মাকে নতুন জুতা ও কাপড় কিনে দিতে বলি মা উত্তর দেন না। তিনি শুধু নিশ্চুপ থাকেন আর অন্য ঘরে চলে যান। এখন আর আমি তাঁর কাছে আবদার করিনা। হয়তোবা এর পিছে ভালো কোন কারণ আছে।

    কিন্তু আল্লাহ! বাবাকে বলে দিও উদ্বিগ্ন না হতে। যদিও আমি নতুন কাপড় না পাই, যদিও আমি নতুন জুতা না পাই- তাতে কি? ঈদ তো একটা দিনই, এটা কেটে যাবে। দিনটা কাটানোর পরিবর্তে খেললাম, যা ছেলে-মেয়েরা করে এবং বাজারে না গিয়ে আমি মায়ের সাথে কাটাবো। যাহোক ,আমি আর বাচ্চা নেই। আমি বুঝতে শিখেছি। আমার সাহস ও সংকল্প অনেক মজবুত।

    ও আল্লাহ! বাবাকে বলে দিও আমরা অনেক খুশি। আমার কিছুর অভাব নেই। শুধু বাবাকে বলো আমাদেরকে মনে করতে।

    ও আল্লাহ! বাবাকে বলো দুশ্চিন্তা না করতে, যেহেতু আমি আর কাঁদি না।
    কেউ নেই যে আমাদের আদর করে কিছু বলবে, কেউ নেই যে আমার সাথে কোন খেলা খেলবে, কেউ নেই যে আমার সাথে রাগ করবে, কিন্তু মা সবসময় চেষ্টা করেন আমাকে খুশি রাখতে।

    যখন আমি শুনি অত্যাচারীরা আফগানিস্তান, ইরাক, ফিলিস্তীন, গুজরাট, আমবন (ইন্দোনেশিয়ার একটি দ্বীপ) এবং চেচনিয়ার ছেলে-মেয়েদের ঘর ধ্বংস করে দিয়েছে এবং তাদের বাবা-মাকে মেরে ফেলেছে, আমি নিজের দুঃখ ভুলে যাই। আমি খবরের কাগজে তাদের ছবি দেখি; তারা হতাশ হয়ে বসে আছে; কেউ বসে আছে তাদের ভাঙ্গা ঘরের স্তুপের উপর; কেউ বা অসহায়ের মতো তাদের পরিবার পরিজনের মৃতদেহের পাশে।

    আর এজন্যই আল্লাহ! তুমি আমার বাবাকে বলে দিও চিন্তা না করতে, কারণ আমি (তাঁর অবর্তমানে) দুঃখ পাই না।

    [ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত]
    Last edited by abu_mujahid; 04-30-2016, 11:38 PM.
    বিন কাসিমের রণ বেশে
    কাঁপন তুলো হিন্দ দেশে!
    দিকে দিকে লাগাও নারাহ
    জিহাদেই শান্তির ফোয়ারা!!

  • #2
    jajak Allah khair

    Comment


    • #3
      আল্লাহ্* আকবার

      Comment


      • #4
        হে আমার প্রাণের ছোট্ট ভাই! তোমার ব্যথায় আমরাও ব্যথিত। তোমার দুঃখে আমরাও দুঃখিত। তুমি আর কেঁদ না ভাই! তোমার কচি মুখের কথাগুলো আমার কানে বাজছে, আমার হৃদয়ে গভীর ভাবে রেখাপাত করেছে।
        ভাই! তুমি মন খারাপ কর না। আমি আর ঠিক থাকতে পারছি না.. চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে আসছে, আমি আর লিখতে পারছি না....

        Comment


        • #5
          Originally posted by ইলিয়াস গুম্মান View Post
          হে আমার প্রাণের ছোট্ট ভাই! তোমার ব্যথায় আমরাও ব্যথিত। তোমার দুঃখে আমরাও দুঃখিত। তুমি আর কেঁদ না ভাই! তোমার কচি মুখের কথাগুলো আমার কানে বাজছে, আমার হৃদয়ে গভীর ভাবে রেখাপাত করেছে।
          ভাই! তুমি মন খারাপ কর না। আমি আর ঠিক থাকতে পারছি না.. চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে আসছে, আমি আর লিখতে পারছি না....

          হে আল্লাহ্*! প্রতিটি মুসলিম সন্তানের অন্তরে এমন অনুভূতি জাগ্রত করে দিন। আমীন ইয়া রব্বাল মুরহিবীন।
          سبيلنا سبيلنا الجهاد الجهاد
          طريقنا طريقنا الجهاد الجهاد

          Comment


          • #6
            আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা যেন আমাদের প্রত্যেককে এমন নেক সন্তান দান করেন সেই সাথে উম্মতের মদ্ধে এই ধরনের মা দের তৈরি করে দেন যারা তাদের সন্তান দের কে এই ভাবে বড় করে তুলবে।
            জিহাদের এই দুর্গম পথে একমাত্র দৃঢ়রাই সফলকাম... আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের সবাই কে দৃঢ়তা দান করুক...

            Comment

            Working...
            X