Announcement

Collapse
No announcement yet.

সালাউদ্দিনের ঘোড়া || ফেসবুকের ফ্রন্ট লাইন থেকে কিছু কথা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সালাউদ্দিনের ঘোড়া || ফেসবুকের ফ্রন্ট লাইন থেকে কিছু কথা

    আস-সালামু আলাইকুম।
    প্রিয় ভাইয়েরা। আজ আপনাদের সামনে আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু কথা বলছি !
    আজ রদুইটি বিষয় নিয়ে কথা বলবঃ- ১। জিহাদী মিডিয়া প্রচারণা ২। অনলাইনে নাস্তিক-মুরতাদ নিধন।


    ১। জিহাদী মিডিয়ার প্রচারণাঃ-
    আপনারা জানেন আমরা অনেক দিন থেকে অনলাইনে দাওয়াতি কাজ করে যাচ্ছে। অনলাইনের মাধ্যমে আমরা মুজাহিদীন ও জিহাদী মিডিয়া কন্টেন্টগুলো আপনাদের কাছে সহজতর উপায়ে সরবরাহ করছি, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুজাহিদীনদের সংবাদগুলো বাংলা অনুবাদ করে পরিবেশন করছি এবং কুফর-নাস্তিকদের ইসলাম-বিরোধী প্রোপ্যাগান্ডা খন্ডন করছি। আমরা আমাদের এতদিনের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক শিক্ষা লাভ করেছি এবং প্রতিনিয়ত শিক্ষা নিচ্ছি। অতীতে ২০১২-২০১৩ সালের দিকে বাংলাদেশের জিহাদী মিডিয়া প্রচারের ফ্রন্টলাইনে কাজ করত মূলত ৩ টি ফেসবুক পেজঃ- আনসারুল্লাহ বাংলা, সালাউদ্দিনের ঘোড়া, সিরাতুল মুস্তাকিম। পরবর্তীতে হিন্দুস্তানের চূড়ান্ত যুদ্ধ, মরক্কো থেকে ইন্দোনেশিয়াসহ আরও কয়েকটি পেজ তৈরি করা হয়।
    ২০১২-২০১৩ সালের দিকে ফেসবুকের অনলাইন ইসলামিক পেজগুলো মূলত ছিল জামাত-শিবির ও আহলে হাদিসদের দখলে, এদের একদল কুফরি গণতন্ত্রের প্রচারণা চালাতো, অন্য দল সারাদিন তাদের তাগুত বাদশা’র গুণগান গাইত। আলহামদুলিল্লাহ, প্রথম দিকে আমরা, কুফরি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে শুরু করি। তখন জামাত-শিবির থেকে অনেক বাঁধা এলেও হাক্কানি ওলামাদের কুফরি গণতন্ত্র নিয়ে লেখা বিভিন্ন ডকুমেন্টস পড়ে ও দেখে অনেক জামাত-শিবিরের ভাই ভুল বুঝতে পারেন। তখন আমাদের পেজের ফ্যান ১০০০’এর বেশী খুব কমই যেত, ৪০০/৫০০ হবার সাথে সাথে ডিলিট করে দিত। তখন অনলাইনে আমাদের সাহায্যকারী ভাইয়েদের সংখ্যা ছিল অনেক কম। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের দাওয়াহ থেমে থাকে নি, শত শত পেজ বন্ধ করে দেবার পরও এখন অনলাইনে আমাদের কার্যক্রম চলছে। এখন পরিস্থিতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। হাজার হাজার ছেলে অনলাইনে দাওয়াহ পেয়ে মানহাজ বদলে নিয়েছে। যারা এককালে আমাদের সাথে চরম বাক-বিতণ্ডা করত, তারা আজ চরম বন্ধুতে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে অনলাইনে জিহাদের পক্ষে কথা বলার মত হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে গেছে। ফেসবুকে কয়েকশত জিহাদী বিষয়ক পেজ চলছে , আলহামদুলিল্লাহ, তারা দাওয়াতি কাজকে অনেক দ্রুতগামী করে তুলেছে। এখন আমাদের পেজে একটি পোস্ট দিলে কয়েক শত অ্যাকাউন্ট/ পেজ সেটা কপি করে বা, শেয়ার করে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
    আমরা হিসাব করে দেখেছি, আমাদের পেজের বয়স ২০/৩০দিন হলে প্রায় ৩০০০ মত ফ্যান হয়ে থাকে এবং তখন শুধু আমাদের সালাউদ্দিনের ঘোড়া পেজের পোস্টগুলো প্রতি সপ্তাহে ১ লক্ষ থেকে ১.৫ লক্ষ লোকের নিকট পৌঁছে যায়। প্রতি সপ্তাহে আমাদের পেজে প্রায় শ’খানে লোক ম্যাসেজ দিয়ে বলে, “ভাই, আমি আল-কায়েদা বাংলাদেশ শাখায় যোগ দিয়ে চাই, কি করতে হবে বলুন…”। “ভাই, আমি সিরিয়া যেতে চাই, সেখানে গেলে কোন দলে যোগ দিলে ভাল হবে… ইত্যাদি ইত্যাদি”।
    আল্লাহর রহমতে ময়দানের মুজাহিদ ভাইদের কষ্ট, ত্যাগ, আর মিডিয়ার ভাইয়েদের ধৈর্যের ফলে দাওয়াহ অনেক দূর পৌঁছেছে। বর্তমানে আমরা যেটা দেখছি তা হলে, বাংলাদেশকে উর্বর জিহাদী ভূমিতে পরিণত করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এখানকার মানুষ দিন দিন তাগুত সরকারের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে, এবং আল-কায়েদা মুজাহিদীনদের প্রতিটি আক্রমণে আক্রমণে চরম খুশি হয়ে আল-কায়েদাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। বিশেষ করে আমেল-ওলামা, তালিবু ইলরা যে কত খুশি হচ্ছে সেটা বলার মত নয়। এই কটূক্তিকারী নাস্তিক-মুরতাদদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য তারা তাগুতের হাতে রাজপথে রক্ত ঝরিয়েছে। আর, আজ আল-কায়েদা যখন কটূক্তিকারী নাস্তিক-মুরতাদদের বিরুদ্ধে এক এক একটি অপারেশান করছে তখন তাদের অন্তর শুধুই যে প্রশান্ত হচ্ছে তা নয়, বরং আনন্দে তারা মিষ্টি মুখ করছে, আল্লাহর কাছে হাত জোড় করে মুজাহিদীনদের জন্য দোয়া করছে। আমরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে একাধিক তলিবু-ইলমদের নিকট থেকে এই খবরই পেয়েছে।
    যেহেতু আমরা সম্মুখপানে অগ্রসর হচ্ছি, সেহেতু আমাদের অনলাইনে যারা আছি, তাদেরকে আরও কার্যকারী হতে হবে। অনলাইনে প্রচারণার জন্য যেসব বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে তা হলঃ-

    # দেশীয় মিডিয়া রিলিজকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে হবে। তিতুমীর মিডিয়া, বালাকোট মিডিয়া, gimf বাংলা, আন-নসর মিডিয়া সহ দেশ-বিদেশের মুজাহিদ-আলেমদের বার্তাগুলোর বাংলা অনুবাদ সবচেয়ে বেশী পরিমানে ছাড়াতে হবে। কারণ আমাদের টার্গেট বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের মানুষ, তাই বাংলা কন্টেন্টগুলো সর্বাধিক অগ্রাধিকার পাবে।

    # বিদেশী জিহাদী মিডিয়া’র প্রকাশনাগুলো। আস-সাহাব মিডিয়া, উমার মিডিয়া, আল-ইমারা স্টুডিও, আল-আন্দালুস মিডিয়া, কাতাইব ফাউন্ডেশান, মানারাতুল বায়দা ইত্যাদি’র ভিডিওগুলো, বার্তা, খবর বেশী করে প্রচার করতে হবে। আমাদের দেশের অনেক ভাইই দেখা যায়, নিজে নিজে কয়েক ঘণ্টা ফেলে ভেবে ভেবে এক একটা জিহাদী স্ট্যাটাস দেয়। কিন্তু এইসকল ভাইয়েদের বোঝা উচিত, ময়দানে একে-৪৭ হাতে দাঁড়িয়ে থাকা একজন মুজাহিদের অভিজ্ঞতা, ১০/২০ বছর অনলাইনে কাটানো ছেলের চেয়েও অনেক বেশী। আপনার হাজারটা বাক্য যে কাজ করবে ময়দানের একজন ভাইয়ের ১ বাক্য তার চেয়েও শক্তিশালী। ময়দানের মুজাহিদীনদের প্রত্যেকটি বাক্য, চলন, আচার প্রভৃতি সাধারণ মানুষের নিকট অনেক বড় প্রভাব ফেলে।

    #কুফর ও তাগুতি বাহিনী এবং তাদের ভণ্ড মিডিয়ার ইসলাম বিরোধী প্রোপ্যাগান্ডা মানুষের সামনে প্রকাশ করে দিন। কুফর, তাগুতের বাহিনী, ফিলিস্তিন, আলেপ্পো, বার্মা, কাশ্মীর, ওয়াজিরিস্থানে যে অত্যাচার চালাচ্ছে সেটা মুসলিমদের সামনে প্রকাশ করে দিতে হবে এবং এই অবস্থায় মুসলিমদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে সকলকে অবহিত করতে হবে।


    আরও অনেক বিষয় রয়েছে যা আর বিস্তারিত বলা হল না, শুধু প্রধান প্রধান বিষয়গুলো বলা হল।



    ২। অনলাইনে নাস্তিক-মুরতাদ নিধনঃ-
    ২০১৩-১৪ সালের দিকে অনলাইনে নাস্তিকদে-মুরতাদদের দৌরাত্ব্য বেড়েই চলেছিল। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, আল-কায়েদা’র মুজাহিদীনদের বেশ কয়েকটি সফল আক্রমণে সেই পরিস্থিতি পরিবর্তিত হতে শুরু করে। একে একে বিদায় নেয় আশরাফুল, সফিউল, আভিজিত, বাবু, নিলয়, দীপন, নাজিমুদ্দিন সামাদসহ আরও অনেকে।
    আমাদের অনুসন্ধান মতে, নাস্তিকরা এখন অনেকটা ছন্ন-ছাড়া হয়ে গেছে। তারা হামলা হয়ে যাবার ভয়ে বেশী লোক জড় হতে পারে না, বন্ধুদের সাথে বাড়ির বাইরে দেখা করতে ভয় পায়, তাদের বেশির ভাগ ঘরের কোনে বসে থাকা কুনো ব্যাঙ্গের মত হয়েছে গেছে। বেশির ভাগই বাইরের কাজ-কর্ম থেকে সতর্ক থাকছে, অনেকে অনলাইন ছেড়ে চলে গেছে। অনালিনে থাকলেও অনেকে ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে ছদ্মনামে লেখালিখি করছে। অনলাইনে বর্তমান যারা ইসলাম-ধর্মের বিরুধে লেখালিখি করছে তারা বেশির ভাগই বিদেশের মাটিতে বসে আছে।
    যেমনঃ- তসলিমা, আসিফ, শান্তনু, আরিফ, ফরিদ ইত্যাদি।
    আল্লাহ তায়ালা আল-কায়েদা’র বীর মুজাহিদীনদের আক্রমণের মাধ্যমে দেশীয় নাস্তিকদের অন্তরে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছেন। আমরা আল্লাহর ওয়াদাকে সত্য হিসাবে পাচ্ছি।
    যেহেতু নাস্তিকরা আল-কায়েদা’র আক্রমণে ঘরকুনো হয়ে বসে অনলাইনে একটিভ থাকছে। তাই অনলাইনের ভাইদের বলব, আপনারা এবার অনলাইনে আক্রমণ শুরু করুন ওদের উপর। ওরা যাতে ঘরেও শান্তিতে না থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা করুন। তাদের উপর অনলাইনে আক্রমণ করতে নিচের পদ্ধতিগুলো কাজে লাগাতে পারেনঃ-
    # যারা হ্যাকিং পারেন, তারা ধর্মকারী, মুক্ত-মনা সহ ওদের যতগুলো সাইট আছে, সেগুলো হ্যাক করে বন্ধ করে দিন।

    #রিপোর্টিং গ্রুপঃ- আলহামদুলিল্লাহ এটার মাধ্যমে সফলতা আসতে শুরু করেছে। কয়েকজন ভাইয়ের উদ্যোগে নাস্তিকদের কিছু ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সকল ভাইদেরকে বলব, আপনারা কাজ চালিয়ে যান, ধৈর্য ধরুন, ইনশাআল্লাহ সফলতা আসবে।

    # যেহেতু অনলাইনে বিদেশের মাটিতে বসা নাস্তিকরা বেশী সক্রিয়, তার তাদের অন্তরে ভয় ঢুকিয়ে দিতে কৌশল অবলম্বন করুন। প্রয়োজনে বিদেশী অবস্থানকারী মুমিন ভাইয়েরা ওদের বিদেশেই বিজ্ঞানী বানানোর পরিকল্পনা করতে পারেন।


    অনেক কিছু লিখে ফেললাম, ভুল-ত্রুটি হলে, নিজের ভাই ভেবে ক্ষমা করে সংশোধন করে দিবেন।
    জাযাকআল্লাহ খাইর।

    - সালাউদ্দিনের ঘোড়া পেজের একজন নগণ্য অ্যাডমিন।



    Last edited by Ghora; 05-26-2016, 12:40 AM.
    সালাউদ্দিনের ঘোড়া
    তাওহীদ ও জ্বিহাদের বাণী প্রচারে অবিচল

  • #2
    ALHAMDULILLAH
    Apni sundor maswara dichen....
    apnader kaaj chaliye jan... ami kintu online y apnader maddhomei dawah paichi tarpor ofline y khuje paichi ALHAMDULILLAH.........

    Comment


    • #3
      জাজাক আল্লাহ খাইর।

      মহান আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন এবং সাহায্য করুন।
      আমীন।
      রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

      Comment

      Working...
      X