Announcement

Collapse
No announcement yet.

উঠ, যুগের ফেরাউন আমেরিকা থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ কর

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উঠ, যুগের ফেরাউন আমেরিকা থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ কর

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
    উঠ, যুগের ফেরাউন আমেরিকা থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ কর!
    একটি বার্তা, সমস্ত উম্মাহর প্রতি এবং বিশেষ করে আমাদের পাকিস্তানী জনগণের প্রতি।

    উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ
    কায়িদাতুল জিহাদ ভারতীয় উপমহাদেশের মুখপাত্র

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক। রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক তার সম্মানিত রাসূলের উপর। তারপর:
    পাকিস্তান ও সর্বঞ্চলের আমাদের প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা!
    আস-সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
    নিশ্চয়ই ফেরাউন ছিল চির জালিম ও মহা খুনি। কিন্তু তার সর্বনিকৃষ্ট অপরাধটি ছিল: সে আকাশম-লী ও পৃথিবীর রবের উপর বরত্ব দেখিয়েছিল এবং নিজেকে উপাস্য বলে দাবি করে। সে বলেছিল: [ما علمت لكم من إله غيري]“আমি তো তোমাদের জন্য আমি ছাড়া কোন উপাস্য আছে বলে জানি না।” শক্তি, ক্ষমতা, শাসন ও আইন তো আমারই। যে এটা অস্বীকার করবে তার জন্য রয়েছে চরম দুর্ভোগ- [قال لئن اتخذت إلها غيري لأجعلنك من المسجونين] “সে বলেছিল, যদি আমাকে ছাড়া কাউকে উপাস্যরূপে গ্রহণ কর, তাহলে আমি তোমাকে কারারুদ্ধদের অন্তর্ভূক্ত করবো।”

    হযরত মূসা আলাইহিস সালাম এই সীমালঙ্ঘনকারীর সামনেই আল্লাহর আদেশ নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তার সামনে রবের একত্ব ও বড়ত্ব স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছিলেন। তিনি যখন তাকে জুলুম ও অবাধ্যতা থেকে নিষেধ করেছিলেন, তখন সে বলেছিল- [ذروني أقتل موسى] “আমাকে ছাড়, আমি মূসাকে হত্যা করব।”
    সে তার সেনাবাহিনীকে আদেশ করেছিল, মূসাকে সাহায্যকারী কোন অবাধ্য উপাদানই অবশিষ্ট রাখবে না। তাই নির্দেশ দিয়েছিল- [اقتلوا أبناء الذين آمنوا معه] “যেসকল যুবকরা তার সাথে ঈমান এনেছে তাদেরকে হত্যা কর।”
    তাদেরকে গুণে গুণে হত্যা কর আর তার কওমকে এই ব্যাপারে সতর্ক কর যে, মূসা তাদের ও তাদের উৎকৃষ্ট ধর্মপদ্ধতির শত্রু। সে নৈরাজ্য ও খুনাখুনি করতে চাচ্ছে, যেন অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা যায়।
    তাই সে বলেছিল- [إني أخاف أن يبدل دينكم أو أن يظهر في الأرض الفساد] “আমি আশঙ্কা করছি, সে তোমাদের ধর্ম বদলে দিবে অথবা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করবে।”

    ইতিহাসের পরতে পরতে প্রত্যেক ফেরাউনের কর্মপদ্ধতি এমনই ছিল। যেমনটা আমাদের যুগের ফেরাউন আমেরিকার কর্মপদ্ধতি। যেন সে এটাই বলছে: আল্লাহ নয়; আমিই উপাস্য। শাসন ও রাজত্ব আমারই চলবে। রাষ্ট্রে নীতিমালা আমারটা চলবে। ক্ষমতা ও সভ্যতা আমার চলবে। বিচার, আইন, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও অর্থনীতি সব আমার চলবে। আন্তর্জাতিক নীতি আমারটা চলবে- [ما علمت لكم من إله غيري] “আমি ছাড়া তোমাদের কোন উপাস্য আছে বলে তো জানি না।”
    ধর্ম তো শুধু আমারটাই চলবে। যদি ইসলাম বাকি থাকতে চায়, তাহলে তা কেবল আমেরিকান ইসলাম হিসাবে বাকি থাকতে পারবে। আমি যেটাকে ইনসাফ মনে করব, সমস্ত দুনিয়াও সেটাকে ইনসাফ মনে করতে হবে। আর আমি যেটাকে জুলুম মনে করব, সমস্ত দুনিয়াও সেটাকে জুলুম মনে করতে হবে। যে আমার আইন ও আমার শাসনব্যবস্থা না মানবে, আমার প্রভুত্বকে অস্বীকার করবে, অচিরেই আমি তাকে সমস্ত অধিকার থেকে এমনকি শ্বাস নেয়ার অধিকার থেকেও বঞ্চিত করবো। পৃথিবী তার জন্য সংকীর্ণ করে দিব। তার চূড়ান্ত পরিণতি হবে হত্যা ও ধ্বংস। জীবন ও মৃত্যু আমার হাতে। আমার অসংখ্য বিমান ও ডলারের দ্বারা আমি জীবন ও মৃত্যু দান করি।

    পূর্বের ফেরাউন সর্বদা যাদুর মাধ্যমে তার ভুলগুলোকে সুসজ্জিত করে তুলত এবং কালো চরিত্রকে সাদা করে দেখাত- [ما أريكم إلا ما أرى وما أريكم إلا سبيل الرشاد]“আমি যা সঠিক মনে করি, সেই রায়ই তো তোমাদেরকে দেব। আমি তো তোমাদেরকে কেবল সঠিক পথই দেখিয়ে থাকি”

    অনুরূপ আজকের ফেরাউনও তার মিডিয়াকে আদেশ করে তার বাতিলকে হক হিসাবে এবং জুলুমকে ইনসাফ হিসাবে দেখানোর জন্য। আল্লাহ তা’আলা সেই অহংকারী ফেরাউনের জন্য নবী মূসা আলাইহিস সালামকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন এবং তার শেষ পরিণতি করেছিলেন কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য শিক্ষণীয়। আর আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই যামানার ফেরাউন আমেরিকা আফগানিস্তানের কাদা মাটিতে পরাজয়ের আচল গুটাচ্ছে এবং এমন লাঞ্ছনাকর যাত্রার মুখোমুখী হচ্ছে, যা আল্লাহ অন্য সকলের জন্য শিক্ষণীয় বানিয়েছেন, যেমনটা তার পূর্বসূরীদের ঘটেছিল। তবে তা ইসলামী! সেনাবাহিনী (পাকিস্তানী সরকারী বাহিনী)র হাতে নয়, যেমনটা তারা ধারণা করে, যারা মূলত: ফেরাউন আমেরিকারই অগ্রবর্তী বাহিনী। বরং তাদের পরাজয় ঘটেছিল আফগানিস্তানের পর্বতমালার সেই নাম পরিচয়হীন ইসলামের সিংহদের হাতে, যারা অহংকারী ও সীমালঙ্ঘনকারীদের সব অহংকার মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছেন।

    জীবন-মৃত্যুর মালিক দাবিকারী আমেরিকা ১৫ বছর পর্যন্ত অবিরত লোহা ও আগুন বর্ষণ করেছে, কিন্তু আল্লাহর অনুগ্রহে মুজাহিদদেরকে হটাতে সফল হয়নি; বরং তারাই আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে। ফলে কিছুকাল পূর্বে যারা হত্যা ও ধ্বংসের ধমকি দিত, তারা আজ ভিক্ষুকের ন্যায় সংলাপের অনুরোধ করছে। অপরদিকে নবী মূসার আদর্শকে পুনরুজ্জীবিতকারী আল্লাহর সৈনিকগণ যুগের ফেরাউন আমেরিকার কাছে মাথা নত করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে এবং তাদের প্রভুত্বকে অস্বীকার করছে। বর্তমানে কোন জ্ঞানী ব্যক্তিরই সন্দেহ নেই যে, লাঞ্ছনা ও অপদস্ততাই যুগের ফেরাউন ও তার গোলামদের শেষ পরিণতি আর ইসলামের বিজয় অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু আল্লাহ সুবহানাহুর পরীক্ষা করার নীতি সর্বদাই চলতে থাকবে, যাতে তিনি তার বান্দাদেরকে যাচাই করে দেখতে পারেন এবং যাতে পার্থক্য করে নেন, কারা ফেরাউনের শক্তি ও ক্ষমতার দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং তাদের প্রতি ঝুকে পড়ে শয়তানের দলের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যায় আর কারা আল্লাহর প্রতিশ্রুতির উপর ভরসা রেখে রহমানের দলের অন্তর্ভূক্ত হয়।

    নিশ্চয়ই কঠিন পরীক্ষা চলছে এবং ফেৎনা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। সকল মানুষ ও সকল প্রতিষ্ঠান সংঘবদ্ধভাবে ও এককভাবে ফেরাউনকে সন্তুষ্ট করার জন্য প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হয়েছে। তার নিকট সম্মান লাভ করার জন্য দৌঁড়ে অগ্রসর হচ্ছে। একমাত্র আল্লাহ যাদের প্রতি দয়া করেছেন, তারা ব্যতীত। তাই এই পরিস্থিতিতে লা ইলাহা ইল্লাহ বলা, যুগের ফেরাউন আমেরিকার সামনে তরবারী উম্মুক্ত করা এবং হকের সাক্ষ্য দেওয়া আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার তাওফীক ছাড়া কিছুতেই সম্ভব নয়।

    সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমিরুল মুমিনীন মোল্লা আখতার মুহাম্মদ মানসুরকে এই মহান কাজের তাওফীক দিয়েছেন। আমীরুল মুমিনীন, আরব ও আজমের আমীর, তাওহীদবাদীদের চোখের জ্যোতি, যুগের ফেরাউনকে চূড়ান্ত ধ্বংসের সম্মুখীনকারী, মহান বীর, যার জন্য আমেরিকা দুনিয়ার সম্পদের সকল দরজা খুলে দিয়েছিল, ভয় দেখিয়েছিল, ধমকি দিয়েছিল সর্ব উপায়ে, কিন্তু তিনি তার দাপট, শক্তি ও ক্ষমতার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করেননি; ঈমান ও তাওহীদের শক্তিতে তার মোকাবেলা করেছেন। আমেরিকা ও তার দোসররা বহুবার তাকে সংলাপের জালে আটকাতে চেয়েছিল, কিন্তু এই মুমিন ব্যক্তিটি বাতিল উপাস্যদেরকে মূলোৎপাটিত করার দিকেই আরো দ্রুত অগ্রসর হয়েছেন এবং তার মূতিগুলোকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে চূড়ান্ত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত করেছেন। আপন পথ থেকে বিচ্যুত হননি, বিকৃতও হননি। অবশেষে পাকিস্তানের ভূমিতে আমেরিকার হাতে স্বীয় নজরানা পেশ করেছেন এবং আল্লাহর সাথে কৃত চুক্তি সত্যে পরিণত করেছেন; উম্মাহর প্রতি স্বীয় দায়িত্ব পালনে উম্মাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। আল্লাহ তা’আলা তার শাহাদাতকে কবুল করুন এবং আমাদেরকে তার পথে অটল ও অব্যাহত থাকার তাওফীক দান করুন!

    এই প্রেক্ষাপটে আমি আমার পাকিস্তানী মুসলিম ভাইদের উদ্দেশ্যে কয়েকটি বাণী পেশ করতে চাই। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলবো: পাকিস্তানবাসী উম্মাহর কাছে ঋণী। আর একের পর এক তাদের ভূমিতে উম্মাহর নেতৃবৃন্দের শাহাদাতের কারণে এই ঋণ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পাকিস্তানের ভূমি পাকিস্তানী দালাল সেনাবাহিনীর বিশ্বাসঘাতকতার কারণে উম্মাহর অনেক বাহাদুর ও মুজলুমদের চোখের জ্যোতিসমূহকে তার ভূমিতে শহীদ হতে দেখেছে। আর দেখেছে উম্মাহকে আধারে রাখার জন্য ও প্রকৃত বিষয় গোপন করার জন্য বিভিন্ন প্রদর্শনী, মৌখিক বুলি ও ন্যাক্কারজনক মিথ্যাচার। তাই মুজাহিদদের নেতা মুহসিনুল উম্মাহ শায়খ উসামা বিন লাদেন রহ:, পাকিস্তানে কয়েক যুগ ধরে ব্যবহৃত কোন চলমান বিমানে নিহত না হয়ে অনেকগুলো জঙ্গী বিমানে নিহত হওয়া এবং এখন মোল্লা আখতার মুহাম্মদ মানসুরের একইভাবে নিহত হওয়া প্রমাণ করে, আমেরিকার গোলাম পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এই সকল ঘটনাগুলোতে মৌলিকভাবে জড়িত। পাকিস্তানের ভূমিতে শায়খ উসামা বিন লাদেন রহ: এর শহীদ হওয়ার ঘটনাটি বেশি দূরের নয়। এই ঘটনাগুলো প্রমাণ করে, এই সেনাবাহিনী হল আমেরিকার একেকজন সৈনিক। তারা কিছু আমেরিকান হামলার মাধ্যমে ন্যক্কারজনক মিথ্যাচার করে লাঞ্ছনা আড়াল করতে চায়। আর একই সময়ে আমেরিকান প্রকাশ্য ডলারের বিনিময়ে সেই ঋণী পাকিস্তানী জনগণ ও মুজাহিদদের বিরুদ্ধে জুুলুম, সীমালঙ্ঘন, ধোকা ও প্রতারণার যুদ্ধ চালিয়ে যায়। এ সবগুলো বিষয় কী স্পষ্ট করে?

    তারা চেষ্টা করছে প্রতারণার দ্বারা নিজেদেরকে আড়াল করতে এবং আমীরুল মুমিনীন মোল্লা আখতার মানসুরকে শহীদ করার কাজে অংশগ্রহণের দ্বারা তারা যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তা গোপন করতে। একই সময়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি, উস্তাদ ইয়াসির ও মৌলভী উবাইদুল্লাহ আখন্দ রহিমাহুমাল্লাহর মত ইমারাতে ইসলামীয়ার অনেক বড় বড় নেতৃবৃন্দের রক্তে এসকল বিশ্বাসঘাতকদের হাত রঞ্জিত। অপরদিকে সাবেক আমীরুল মুমিনীন মোল্লা মুহাম্মাদ ওমরের নায়েব মোল্লা আব্দুল গণি বারাদার (আল্লাহ তাকে বন্দীত্ব থেকে মুক্ত করুন!)আজও পর্যন্ত পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে বন্দী। এ সবগুলো বিষয় কিসের ইঙ্গিত দেয়?

    আফগান জিহাদের ফলাফলকে নষ্ট করা, ইমারতে ইসলামীয়ার পথে বাঁধা দেওয়া এবং এতদাঞ্চলে জিহাদ ও মুজাহিদদের পরিসমাপ্তি ঘটানোই তাদের একমাত্র স্বপ্ন, যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমেরিকা ও পাকিস্তানী সেনাবাহিনী অগ্নি, বোমা ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পথে ব্যার্থ হয়ে এখন মুজাহিদদেরকে আলোচনার টেবিলে বসানোর জন্য মরণপণ চেষ্টা করছে। ইসলামের শত্রুরা চায়, মুজাহিদগণ তাদের শহীদদের রক্ত ও জিহাদের ফরজিয়্যাতকে ভুলে যাক, আমেরিকার কাছে আত্মসমর্পণ করুক এবং কুফরী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমেরিকা প্রভুত্বকে গ্রহণ করে নেক।

    কিন্তু আলহামদু লিল্লাহ মুজাহিদগণ জানেন, সংলাপ কখনো ইমারাতে ইসলামীয়া প্রতিষ্ঠার পথ নয়, কুফরী গণতন্ত্র কখনো পবিত্র শরীয়ত বাস্তবায়নের মাধ্যম নয় এবং তারা জানেন, ইসলামের পতাকার সম্মান, পবিত্র শরীয়ার বাস্তবায়ন এবং নিরাপত্তা ও ন্যায়-ইনসাফের প্রসার কেবল কুফরী শাসনব্যবস্থার পতন ঘটানো ও তাকে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলার মাধ্যমে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর পতাকা উচু করার দ্বারাই বাস্তবায়িত হবে।

    তাই পাকিস্তানের মুসলিমদেরকে অনুরোধ করছি, তারা যেন যুগের ফেরাউন আমেরিকার বিরুদ্ধে তাদের জিহাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়। কেননা ইমারাতে ইসলামীয়াকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করা এবং আমেরিকান জোটের বিরুদ্ধে জিহাদ করা এই যামানায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরজে আইন। অন্যান্য শরীয়তসম্মত লক্ষ্যগুলোর পূর্বে পাকিস্তানের জিহাদের সর্বপ্রথম লক্ষ্য হল, ইমারাতে ইসলামীয়কে রক্ষা করা। পাকিস্তানী জনগণের কর্তব্য, পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাত নিবৃত্ত করা এবং ইমারাতে ইসলামীয়ার পিঠে খঞ্জর বসাতে তাদেরকে বাঁধা দেওয়া। যেমনিভাবে তাদের উপর আবশ্যক, পাকিস্তানী কুফরী শাসনব্যবস্থাকে ঘৃণা করা এবং বিশ্ব কুফরী শাসনব্যবস্থার রক্ষক গাদ্দার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর প্রতি শত্রুতা রাখা। এমনিভাবে তাদের উপর আবশ্যক জিহাদের ময়দানে অবতীর্ণ হয়ে মুজাহিদদেরকে সাহায্য করা এবং যুগের ফেরাউন আমেরিকার মোকাবেলা করা।

    তদ্রুপ আমি এসকল দু:খজনক ঘটনাগুলোর ব্যাপারে দাজ্জালী মিডিয়ার বিভিন্ন দাজ্জালীপনা তুলে ধরতে চাই: কোন সন্দেহ নেই যে, এই মিডিয়া এ যুগের ফেরাউনের যাদুর ভূমিকা পালন করছে। উম্মাহর উপর আগ্রাসন, আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদ, হকপন্থী তালেবানদের লড়াই বা মাজলুম মুসলিদেরকে সাহায্য করা- এই মিডিয়ার কাছে এসকল শিরোণামগুলোর কোন স্থানই নেই। বরং তাদের পূর্ণ চিন্তা হল, “কেন সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানে অনুপ্রবেশ করছে আর আমেরিকাকে অনুপ্রবেশের উসিলা সৃষ্টি করে দিচ্ছে?” তাদের কথা হল, যদি আমেরিকার প্রবেশ করা ও রাষ্ট্রীয় নেতৃবৃন্দের সম্মান তার পদতলে রাখা একটি মন্দ কাজ হয়, তাহলে মোল্লা আখতার মুহাম্মদ মানসুরের মত মানুষদের বেআইনীভাবে পাকিস্তানের ভূমিতে প্রবেশ করা কেন এর চেয়েও আরো বেশি মন্দ হবে না? সুবহানাল্লাহ! [أفنجعل المسلمين كالمجرمين ما لكم كيف تحكمون؟] “তাহলে কি আমরা মুসলিমদেরকে অপরাধিদের সমান গণ্য করবো? তোমাদের কি হল, তোমরা কেমন ফায়সালা করছো?”

    যখন অর্থ হয় উপাস্য আর লোভ হয় চলার পথ, তখন কারো পরিণতি লাঞ্ছনা ও অপদস্ততা হলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।

    আমাদেরকে আরও সতর্ক হতে হবে যে, বর্তমানে মিডিয়ার ফেৎনা ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়েও ধ্বংসাত্মক। কারণ এটা শুধু দেহকেই টার্গেট করে না, বরং মুমিনদের অন্তরের আত্মমর্যাদাবোধ, লজ্জা ও ঈমানকেও টার্গেট করে। আমরা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা’আলার নিকট প্রার্থনা করি, আল্লাহ উম্মাতে ইসলামীয়াকে এই ফিৎনা থেকে হেফাজত করুন!

    পরিশেষে আমরা আমীরুল মুমিনীন মোল্লা আখতার মুহাম্মদ মানসুর রহিমাহুল্লাহর শাহাদাতের কারণে উম্মতে ইসলামীয়া, আত্মমর্যাদাশীল আফগান জাতি, ইমারাতে ইসলামীয়ার মুজাহিদগণ ও তাদের সবার উপরে নতুন আমীরুল মুমিনীন শায়খ হাইবাতুল্লাহ আখন্দজাদা হাফিজাহুল্লাহর উদ্দেশ্যে শোক প্রকাশ করছি। আল্লাহ তাকে তার প্রশস্ত রহমতে ঢেকে নিন এবং তার বিশাল জান্নাতে প্রবেশ করান! আমাদের এ জন্য গর্ব করা ও আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা উচিত যে, তিনি আমাদেরকে এই যামানায়ও তাদের মত ইমামদেরকে দান করেছেন, যারা আল্লাহর পথে নিজেদের আত্মাগুলো সস্তায় পেশ করে দেন এবং কুফরের সামনে মাথা নত করেন না।

    নিশ্চয়ই আমীরুল মুমিনীন মোল্লা আখতার মানসুর তার প্রতিশ্রুতি পুরা করেছেন, তার দায়িত্ব আদায় করেছেন এবং তার পূর্বসূরী সাবেক আমীরুল মুমিনীন মোল্লা মুহাম্মদ ওমরের পথচিহ্নের উপর চলেছেন। তাই তারা হলেন আলোর মিনার ও হেদায়াতের প্রদীপ। তারা আমাদেরকে হকের উপর দৃঢ়তা, জিহাদের উপর অবিচলতা এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা’আলার উপর ভরসা শিখিয়েছেন। আমীরুল মুমিনীনের শাহাদাত কেবল জিহাদী কাফেলার শক্তিবৃদ্ধি ও আমেরিকার পরাজয়েরই কারণ হবে ইংশাআল্লাহ- [وما النصر إلا من عند الله] “সাহায্য কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই”।

    আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি, আল্লাহ আমাদেরকে ঈমান ও জিহাদের উপর অটল রাখুন এবং আমাদেরকে তার উপর পরিপূর্ণ ভরসাকারী বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত করুন! আল্লাহ তা’আলা বলেন:
    [إن ينصركم الله فلا غالب لكم وإن يخذلكم فمن ذا الذي ينصركم من بعده وعلى الله فليتوكل المؤمنون]
    “যদি আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করেন, তাহলে কেউ তোমাদেরকে পরাস্ত করতে পারবে না। আর তিনি যদি তোমাদেরকে অসহায়ভাবে ছেড়ে দেন, তাহলে তিনি ছাড়া কে আছে, যে তোমাদেরকে সাহায্য করবে? মুমিনদের উচিত কেবল আল্লাহরই উপর ভরসা করা।”

    পরিশেষে সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক। রহমত বর্ষিত হোক তার সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মুহাম্মদ সা:, তার পরিবারবর্গ ও তার সকল সাহাবীদের উপর!

    আস-সাহাব ভারতীয় উপমহাদেশ
    Last edited by salahuddin aiubi; 07-10-2016, 10:43 PM.

  • #2
    “যদি আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করেন, তাহলে কেউ তোমাদেরকে পরাস্ত করতে পারবে না। আর তিনি যদি তোমাদেরকে অসহায়ভাবে ছেড়ে দেন, তাহলে তিনি ছাড়া কে আছে, যে তোমাদেরকে সাহায্য করবে? মুমিনদের উচিত কেবল আল্লাহরই উপর ভরসা করা।”

    Comment


    • #3
      জাজাকাল্লাহ আখি বাংলা করার জন্য।
      ইয়া রাহমান ! বিশ্বের নির্য়াতিত মুসলিমদেরকে সাহায্য করুন। তাগুতদেরকে পরাজিত করুন। আমিন।

      Comment


      • #4
        সুন্দর ....

        Comment


        • #5
          জাযাকআল্লাহ্* খাইর।
          এই বার্তা প্রকাশের তারিখ কবে বলতে পারবেন ?
          সালাউদ্দিনের ঘোড়া
          তাওহীদ ও জ্বিহাদের বাণী প্রচারে অবিচল

          Comment

          Working...
          X